প্রশ্ন সমাধান: মেসোপটেমিয়া সভ্যতা কি?, মেসোপটেমীয় সভ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন, মেসোপটেমীয় সভ্যতার ভৌগোলিক অবস্থান বর্ণনা, মেসোপটেমীয় সভ্যতা গঠন সম্পর্কে ভৌগোলিক অবস্থানের প্রভাব বর্ণনা, মেসোপটেমীয় সভ্যতার বৈশিষ্ট্য, মেসোপটেমীয় সভ্যতায় নগরায়ন সৃষ্টির কারণ
এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম সভ্যতা হচ্ছে মেসোপটেমীয় সভ্যতা! আজকে আমরা মেসোপটেমীয় সভ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব।
মেসোপটেমীয় সভ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনাঃ
মেসোপটেমীয় প্রাচীন সভ্যতার উৎপত্তিস্থল পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান ইরাক ও ইরানের মধ্যবর্তী টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর অববাহিকায়! প্রাচীন কালে এ মেসোপটেমীয় সভ্যতা বিকাশ হয়েছিল; একে সামগ্রিকভাবে মেসোপটেমীয় সভ্যতা বলা হয়।
গ্রিক ভাষায় মেসোপটেমীয় অর্থ দুই নদীর মধ্যবর্তী দেশ বা স্থান! খ্রিষ্ট্রপূর্ব ৫০০ অব্দে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী অববাহিকায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে; সুমেরীয়, ক্যাসাইট, ব্যাবিলনীয়, অ্যামিরীয়, ক্যালডীয় জাতির অবদানে দীর্ঘদিন ধরে নগর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল।
এই মেসোপটেমীয় সভ্যতা কে প্রথমে ব্যাবিলনীয় বা এসেরীয় বলে অভিহিত করা হতো। কিন্তু; প্রকৃতপক্ষে যখন জানা যায় যে, এ সভ্যতা প্রধানত ৪টি জাতির অবদানে গঠিত হয়; তখন সামগ্রিকভাবে এ সভ্যতাকে মেসোপটেমীয় সভ্যতা বলে ডাকা হয়।
মেসোপটেমীয় বসতিগুলোর মধ্যে অসেমেটিক, সুমের এবং সেমেটিক আক্কাদ প্রধান! সুমেরের অধিবাসীরা পৃথিবীতে প্রথম সভ্যতার সূত্রপাত করে। সুমেরিয়রা খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে কতগুলো উন্নত নগর এর পত্তন করেছিল!
সম্ভবত রাষ্ট্রগুলোতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। কিন্তু; কালক্রমে রাজতন্ত্র ও পেশাদার সেনাবাহিনীর উদ্ভব হয়েছিল; এবং বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্র একচ্ছত্র প্রতিপত্তি লাভ করেছিল! এবং পরে খ্রিস্টপূর্ব একবিংশ শতাব্দীতে আক্কাদের রাজা সরোগন সমগ্র আক্কাদ ও সুমেরে কতৃর্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল।
ফলে সুমেরীয় নগর রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রচলন ঘটে এবং সমগ্র মেসোপটেমীয় সভ্যতায় আক্কাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু; ১৭৬০ খ্রি:পূ: অব্দে সেমেটিক ভাষাভাষি এমোরাইটদের রাজা হাম্বুরাবি সমগ্র মেসোপটেমীয়তে নিজ রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
ফলে তার অধীনে ব্যাবিলন সভ্যতার কেন্দ্রস্থল হয়ে দাঁড়ায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে চারটি জাতি মেসোপটেমীয় শাসন করেন।
সুতরাং সুমেরীয়, এসেরীয়, ক্যালডীয় ও ব্যাবিলনীয়– এই চারটি সভ্যতাকে একত্রে মেসোপটেমীয় সভ্যতা বলে অভিহিত করা হয়।
মেসোপটেমীয় শব্দের অর্থ কি ?
মেসোপটেমীয় একটি গ্রিক শব্দ। যার অর্থ হলো; দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি। ভৌগলিক আকৃতি জন্য এ অঞ্চলকে অর্ধচন্দ্রাকৃতি উর্বর ভূমি বলা হয়।
এই মেসোপটেমীয় সভ্যতাকে প্রথমে ব্যাবিলনীয় বা অ্যাসেরীয় নামে অভিহিত করা হতো। কিন্তু; প্রকৃতপক্ষে যখন জানা যায় যে; এ সভ্যতা প্রধানত চারটি জাতির অবদানে গঠিত তখন; সামগ্রিক ভাবে এ সভ্যতাকে মেসোপটেমীয় সভ্যতা বলে নামকরন করা হয়।
মেসোপটেমীয় সভ্যতার ভৌগোলিক অবস্থান বর্ণনা:
আধুনিক ইরাক রাষ্ট্রের সীমারেখার মধ্যেই প্রাচীনকালে মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। এই ভূখণ্ডের উত্তরে আর্মেনিয়ার পার্বত্য অঞ্চল; পশ্চিমে আরব মরুভূমি; দক্ষিণ-পূর্বে পারস্য উপসাগর; পূর্বে এলাম পার্বত্য অঞ্চল এবং পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর অবস্থিত।
উত্তর ও পূর্ব দিকে উচ্চপার্বত্য অঞ্চল মেসোপটেমীয় সভ্যতাকে প্রাকৃতিক ভাবে প্রাচীরের সুবিধা দিয়েছে! সুমেরীয়, আক্কাদীয়, আমোরাইট, ক্যাসাইট, এসেরিয় এবং ক্যালডীয় জাতিগোষ্ঠী মিলে; প্রাচীনকালে এ ভূখণ্ডে একটি উন্নত সভ্যতা গড়ে তুলেছিল।
টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিসের গোড়ে তোলা উর্বরভূমি প্রাচীন সভ্যতার চারণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল! মেসোপটেমীয় সভ্যতার পূর্বে টাইগ্রিস এবং পশ্চিমে ইউফ্রেটিস নদী প্রবাহিত। এই দুই নদীই আর্মেনিয়ার পর্বতে উৎপন্ন হয়েছে; এবং মিলিত বা পতিত হয়েছে গিয়ে পারস্য উপসাগরে।
মেসোপটেমীয় সভ্যতা গঠন সম্পর্কে ভৌগোলিক অবস্থানের প্রভাব বর্ণনা:
প্লাবনের সময় ছিল অনিয়মিত এবং প্রকৃতি ছিল খেয়ালিপনা! ফলে বন্যার পাশাপাশি প্রচন্ড ঝড় প্রবাহিত হতো! এছাড়াও বন্যার ফলে অধিকাংশ পলল ভূমিতে আগাছা ও ঝোপঝার জন্মাত।
ফলে যা ব্যবহার যোগ্য করে তোলার জন্য প্রয়োজন ছিল অধিক শ্রম শক্তির! গ্রীষ্মকালে এ অঞ্চলে খরা হতো। তাই কৃষির জন্য প্রয়োজন ছিল সেচ ব্যবস্থার।
মেসোপটেমীয় সভ্যতার ভৌগোলিক বিশেষত্বের অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল এর অবারিত সীমারেখা। দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিল আরব মরুভূমির বিস্তীর্ণ এলাকা! এ অঞ্চলে ধীরে ধীরে সেমেটিক ভাষাভাষী প্রায় যাযাবর জনগোষ্ঠী বসতি গড়ে তোলে।
পূর্ব ও উত্তর সীমান্তে বিশেষ করে ইরান ও আর্মেনিয়ার পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠী মেসোপটেমীয়াতে বসবাস করতে থাকে! মেসোপটেমীয় অঞ্চলে বসতি গড়ে তোলার প্রথম নেতৃত্ব দেয় সুমেরিয়রা।
দুই নদীর উৎসমুখ থেকে শুরু করে পারস্য উপসাগরে পতন পর্যন্ত নদী দুটো নৌবাণিজ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে! বণিকদের যাত্রাপথ বাহরাইন দ্বীপ থেকে শুরু করে সিন্ধু নদ পর্যন্ত প্রসারিত ছিল।
অন্যদিকে পার্বত্য অঞ্চলে কাঠ, ধাতু, পাথর ও অন্যান্য দ্রব্য আহরণ করতে গিয়ে মেসোপটেমীয়রা এশিয়া মাইনর ও ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করে।
আরো ও সাজেশন:-
মেসোপটেমীয় সভ্যতার ১১ টি বৈশিষ্ট্য:
১। মেসোপটেমীয়দের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য:
সুমেরীয়রা ছিলো মেসোপটেমীয় সভ্যতার ১ম পার্ট। জানা গেছে তারা প্রথমে কৃষিভিত্তিক সমাজ গোড়ে তুলেছিলো।
কৃষি কাজে তারা গরু ব্যবহার করতো। চাকা যুক্ত গড়ির ব্যবহার তারা জানতো। তখন চাষিরা কুঠিরে বাস করতো। কৃষি কাজে যে পানির প্রয়োজন হতো- তা তাইগ্রিস ও ইউফ্রেতিস নদী থেকে আসতো।
এছাড়া পরবর্তী ব্যাবিলনে ব্যবসার প্রচলন হয়েছিলো। তখন পাথর, তামা সহ অন্যান্য জিনিসের সাথে ফসলের বিনিময় চালু ছিলো।
২। সামাজিক কাঠামো:
তখন রাষ্ট্র সব কিছুর দাম নির্ধারণ করে দিতো। এমনকি শ্রমিকের মজুরি ও দ্রব্যমূল্যর আইন প্রনয়ন করা হয়েছিলো।
ফলে, ফসল কম বা বেশি যেমনই উৎপাদন হোক, দাম কমানোর বা বাড়ানো সুযোগ থাকতো না। শ্রমিকেরাও তাদের ন্যায্য পাওনা পেতো।
৩। রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য:
তখনকার রাজনীতির মাঠে মন্দিরের প্রাধান্য দেখা যেতো। অর্থাৎ ধর্মীয় পুরোহিতরা সমাজের কর্তাদের আসনে ছিলেন।
যেমন- ব্যাবিলন ছিলো ধর্মকেন্দ্রিক। সেখানে রাজা, দেবতাদের অদেশ মতো রাজ্য শাসন করতো। এতে করে, পুরোহিতরা রাজ্য, শাসন, ব্যবসা, কর্ম, ধর্ম সহ সব নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পায়।
৪। ব্যবসা বানিজ্য:
আমরা আগেই জেনেছি যে তখন সকল ক্ষেত্রে মন্দিরের পুরোহিতদের প্রভাব ছিলো প্রকট। ব্যবসা বানিজ্যতেও তাদের প্রভাব ছিলো। কেননা, মন্দির থেকে ব্যবসা পরিচালিত হতো।
ব্যাবীলন সভ্যতায় দেখা যায়, ক্রেতা ও বিক্রেতাকে, কেনা-বেচার দলিল হিসেবে রসিদ রাখতে হতো। তখন কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা ছিলো।
৫। সামাজিক শ্রেণি:
মেসোপটেমীয় সভ্যতার সুমেরীয় অধ্যায়ে সমাজে শ্রেণি প্রথা লক্ষ্য করা যায়। রাজা, পুরোহিত, সরকারি কর্মচারি সহ সম্ভ্রান্তরা ছিলেন প্রথম শ্রেণির মানুষ।
যারা ব্যবসা বানিজ্য করতো, কারিগর ছিলো বা কৃষি কাজ করতো তারা ছিলো ২য় বা মধ্যম শ্রেণির মানুষ।
আর কৃতদাসরা ছিলো নিম্ন শ্রেণির মানুষ। অর্থাৎ তখন দাস প্রথা ছিলো। সম্ভ্রান্ত পরিবার ও রাজারা পুরোহিতরা দাস রাখতো।
৬। মেসোপটেমীয়দের শিল্পকর্ম:
মধ্যবিত্ত ও কারিগর শ্রেণির মানুষজন বিভিন্ন ছোট ও ক্ষুদ্র শিল্প কর্মে অভ্যস্ত ছিলো। এতে করে তাদের যেমন জীবিকা চলতো, আবার রাষ্ট্রে শিল্প চাহিদাও পূরন হতো।
তারা তামা ও ব্রোঞ্জের ব্যবহার করতে জানতো। এগুলো দিয়ে তারা ঢাল, তলোয়ার, বর্ম, বর্শা সহ বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র ও অলংকার তৈরি করতো।
৭। লিখন পদ্ধতি ও ভাষার ব্যবহার:
কিউনিফর্ম নামক লিখন পদ্ধতির জন্য মেসোপটেমীয় সভ্যতার সুমেরীয় অধ্যায় বিখ্যত। তখন লেখার জন্য এক ধরনের নল-খাগড়া ব্যবহার করা হতো।
এগুলোর ডগা দিয়ে নরম মাটির ফলকে লেখা হতো। এটা শুকিয়ে আগুনে পোড়ালে তা শক্ত পোড়া মাটির ফলক হয়ে যেতো।
৮। পরিবার কাঠামো:
মেসোপটেমীয়র ব্যাবীলন পার্টে পরিবারের চাইতে ব্যক্তি মানুষকে বড় করে দেখা হতো। সেখানে ব্যক্তি ছিলো মুখ্য ও পরিবার গৌণ।
৯। মেসোপটেমীয় সভ্যতার ধর্ম:
তখনকার ব্যাবলীন সভ্যতায় নগরে নগরে ভিন্ন ভিন্ন দেবতার সন্ধান পাওয়া যায়। তারা এক ঈশ্বরের বদলে বহু ঈশ্বরের আরাধনা করতো।
একেক নগরে, একক দেবতার প্রভাব থাকতো। সেই দেবতাদের মধ্যেকার প্রধান দেবতাকে কেন্দ্র করে নগরে মন্দির তৈরি হতো।
একেক দল, একেক দেবতার ভক্ত ছিলো। ফলে, ক্ষমতা বদল হলে, মন্দিরে দেবতাদেরও রদবদল আসতো। মন্দিরগুলো জিগুরাত নামে পরিচিত ছিলো।
১০। স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য:
মেসোপটেমীয় সভ্যতার ব্যাবীলন অধ্যায়ে স্থাপত্যর বিশেষ নিদর্শন পাওয়া যায়। মাটি ও পোড়ানো ইট দিয়ে তৈরি নির্মান কাঠামো দেখা যায়।
বিশেষ করে খুব উঁচু মন্দির নির্মান হতো। জিগুরাট নামক এসব মন্দির প্রায় ৭০ ফুট উঁচু ছিলো। সেখানে উঁচু থাম, খিলান, গম্বুজ ছিলো।
১১। মেসোপটেমীয় আইন:
ব্যাবীলনের হাম্বুরাবি আইন বিখ্যাত। হাম্বুরাবি আইনে ব্যাবীলন সভ্যতার সমস্ত বিষয় অন্তর্ভূক্ত ছিলো।
যেমন, ব্যবসা-বানিজ্য, বিবাহ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুরি, ভাড়া সহ সকল বিষয়ে হাম্বুরাবি আইন প্রচলন ছিলো।
হাম্বুরাবি আইনে যেমন আপরাধ তেমন সাজার প্রচলন ছিলো। যেমন- চোখের বদলে চোখ, হত্যার বদলে হত্যা।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
মেসোপটেমীয় সভ্যতায় নগরায়ন সৃষ্টির কারণ সমূহ:
একটি সভ্যতায় নগর তৈরি হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকে। মেসোপটেমীয় সভ্যতায় নগরায়ন তৈরির বিশেষ কিছু প্রধান কারণ নিম্নরুপ:
- জনসখ্যা: মেসোপটেমিয়ার অধিক জনসংখ্যার জন্য নগর তৈরি হয়। কারণ অধিক জনসংখ্যার জন্য নেতৃত্ব, নিরাপত্তা, ইত্যাদির প্রয়োজন হয়।
- অধিক উৎপাদন: অধিক জনসংখ্যার জন্য অধিক খাদ্য উৎপাদন, বিনিময়, তা থেকে ব্যবসা, তা থেকে নগরায়ন।
- মন্দির: মন্দির ধর্মীয় উপাসনার জায়গা হলেও- তখন মন্দিরই ছিলো সকল কিছুর প্রাণকেন্দ্র। আর মেসোপটেমীয় সভ্যতায় মন্দিরের অধিক্য ছিলো- এটা নগরায়নে ভূমিকা রাখে।
- রাজতন্ত্র: তখন রাজতন্ত্র ছিলো। রাজা থাকলে রাজ্য থাকবে। তাই, ডুঙ্গি, হাম্বুরাবি সহ বিভিন্ন রাজা সাম্রাজ্য তথা নগরায়নে ভূমিকা রাখে।
- কারিগর: মেসোপটেমীয় সভ্যতায় কারিগরা শিল্প, স্থাপত্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখে। এতে করে নগরায়নের পথ সুগম হয়।
- বিনিময়: অতিরিক্ত খাবার, কৃষি পণ্য বিনিময়ের জন্য বাজারের প্রয়োজন হয়। এভাবে ব্যবসা-বানিজ্য চালু হয়। এতে নগরায়ন ঘটে।
- লিখন: লিখতে পারা একটি বড় সফলতা। তখন ব্যাবীলনরা লিপির আবিষ্কার করে। এতে করে নগরায়নের দ্বায় খুলে যায়।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
মেসোপটেমীয় সভ্যতা সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর:
কোন নদীর তীরে মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো ?
ট্রাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো।
খ্রিষ্টপূর্ব কত অব্দে মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো ?
৫০০ অব্দে।
মেসোপটেমীয় শব্দের অর্থ কি ?
দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান বা অংশ।
এশিয়া মহাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতা কোনটি?
মেসোপটেমীয় সভ্যতা।
কোন অঞ্চলকে ফার্টাইল ক্রিসেন্ট বলা হয়?
ভৌগোলিক আকৃতির জন্য মেসোপটেমীয় অঞ্চলকে ফার্টাইল ক্রিসেন্ট বা অর্ধচন্দ্রাকৃতির উর্বর ভূমি বলা হয়।
মেসোপটেমীয় সভ্যতা বর্তমানে কোন দেশের সীমারেখায় অবস্থিত ?
ইরাক রাষ্ট্রের।
কোন কোন সভ্যতা মেসোপটেমীয় সভ্যতার অন্তর্ভূক্ত ?
সুমেরীয়, এসেরিয়, ব্যাবিলনীয় ও ক্যালডীয়।
মেসোপটেমীয় সভ্যতার ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রমাণ কি ?
মেসোপটেমীয় সভ্যতার ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রমাণ হলো শহর সংলগ্ন দেবমন্দির।
কোন মন্দিরকে জিগুরাত বলা হতো ?
মেসোপটেমীয় সভ্যতার দেব মন্দিরকে।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- সোয়াপ (SWAP) কাকে বলে? , সোয়াপ (SWAP) কতো প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করো
- ব্যবসায়িক ঝুকি বলতে কি বুঝায় উদাহরণ সহ আলোচনা করো
- বিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করো
- খিলাফত রাষ্ট্র ও আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য । খিলাফত রাষ্ট্র vs আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য
- What do you near by Business communication?, Explain the concept of business communication
- Describe the barriers to effective communication in business organization