মৌল দ্বারা রাসায়নিক বন্ধন গঠন প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ কর,রাসায়নিক বন্ধন এবং গঠনের কারন ব্যাখ্যা করতে পারবে

শ্রেণি: ১০ম ভোকেশনাল দাখিল 2022 বিষয়: রসায়ন (২) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 1926
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ মৌল দ্বারা রাসায়নিক বন্ধন গঠন প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ কর।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • রাসায়নিক বন্ধন এবং গঠনের কারন ব্যাখ্যা করতে পারবে,
  • আয়নিক বন্ধন গঠনের প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে পারবে,
  • সমযােজী বন্ধন গঠনের প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে পারবে পারবে,

নির্দেশনা :  

  • রাসায়নিক বন্ধন এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • আয়নিক বন্ধন গঠনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • সমযােজী বন্ধন গঠনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে হবে,
  • রাসায়নিক বন্ধন গঠনের কারন ব্যাখ্যা করতে হবে,

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • রাসায়নিক বন্ধন এর ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে,

একটি রাসায়নিক বন্ধন পরমাণু, আয়ন বা অণুর মধ্যে একটি স্থায়ী আকর্ষণ যা রাসায়নিক যৌগ গঠন করে। বন্ধনটি আয়নিক বন্ধনের মতো বিপরীতচার্জযুক্ত আয়নের মধ্যে আকর্ষণের তড়িৎস্ট্যাটিক শক্তির ফলে হতে পারে, আবার সমযোজী বন্ধনের মতো ইলেকট্রন ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমেও হতে পারে। রাসায়নিক বন্ধনের শক্তি যথেষ্ট পরিবর্তিত হয়; “শক্তিশালী বন্ধন” বা “প্রাথমিক বন্ধন” যেমন সমযোজী, আয়নিক এবং ধাতব বন্ধন, এবং “দুর্বল বন্ধন” বা “গৌণ বন্ধন” যেমন ডাইপোল-ডাইপোল মিথস্ক্রিয়া, লন্ডন বিচ্ছুরণ শক্তি এবং হাইড্রোজেন বন্ধন ।কার্বন (সি), হাইড্রোজেন (এইচ) এবং অক্সিজেন (ও) এর মধ্যে রাসায়নিক বন্ধনের লুইস ডট-স্টাইলের উদাহরণ। লুইস ডট ডায়াগ্রামগুলি রাসায়নিক বন্ধন বর্ণনা করার প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল এবং বর্তমানেও এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

যেহেতু বিপরীত চার্জ একটি সাধারণ তড়িৎচুম্বকীয় শক্তির মাধ্যমে আকৃষ্ট হয়, ঋনাত্বক চার্জযুক্ত ইলেকট্রনগুলি, যা নিউক্লিয়াসকে প্রদক্ষিণ করছে এবং নিউক্লিয়াসের ধনাত্বক চার্জযুক্ত প্রোটনগুলি একে অপরকে আকর্ষণ করে। দুটি নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থিত একটি ইলেকট্রন তাদের উভয়ের প্রতি আকৃষ্ট হবে, এবং নিউক্লিয়াস এই অবস্থানে ইলেকট্রনের দিকে আকৃষ্ট হবে। এই আকর্ষণ রাসায়নিক বন্ধন গঠন করে।

AVvXsEhURrT jckO Qb 5PnjtR2 twtSf1wrKbeylsi2FBIblMkBPc3SP LBKT4DOfC8J08PyGTk7mUt2QnAaZUtly6N32JBBC2xMcruLC8J1WK6lltByA qX5LOEeVR84Z8lpIljFIJ p8ak1qslcP16gPskrhPDwjO cLv5VJu

সাধারণভাবে, শক্তিশালী রাসায়নিক বন্ধন অংশগ্রহণকারী পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন ভাগ বা স্থানান্তরের সাথে যুক্ত। অণু, স্ফটিক, ধাতু এবং পারমাণবিক গ্যাসের পরমাণুগুলি – প্রকৃতপক্ষে আমাদের চারপাশের বেশিরভাগ ভৌত পরিবেশ – রাসায়নিক বন্ধন দ্বারা একত্রিত হয়, যা পদার্থের কাঠামো এবং প্রচুর বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।

সমস্ত বন্ধন কোয়ান্টাম তত্ত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, কিন্তু, বাস্তবে, সরলীকরণ নিয়ম রসায়নবিদদের বন্ধনের শক্তি, দিকনির্দেশকতা এবং মেরুতার ভবিষ্যদ্বাণী করার অনুমতি দেয়। অক্টেট নিয়ম এবং VSPR তত্ত্ব দুটি উদাহরণ। আরও অত্যাধুনিক তত্ত্ব হল ভ্যালেন্স বন্ধন তত্ত্ব, যার মধ্যে রয়েছে কক্ষীয় সংকরকরণ এবং অনুরণন, এবং আণবিক কক্ষীয় তত্ত্ব যা পারমাণবিক কক্ষীয় এবং লিগ্যান্ড ক্ষেত্র তত্ত্বের রৈখিক সংমিশ্রণ অন্তর্ভুক্ত করে। তড়িৎস্ট্যাটিকস বন্ধন মেরুতা এবং রাসায়নিক পদার্থের উপর তাদের প্রভাব বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • আয়নিক বন্ধন গঠনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে হবে,

এই মহাবিশ্বকে  বিজ্ঞানীরা দুই ভাগে ভাগ করেছেন ,যার একটি হল পদার্থ আর অপরটি হলো শক্তি ।  অর্থাৎবিজ্ঞানীদের ধারণা মতে,  সমগ্র পৃথিবী পদার্থ এবং শক্তি দিয়ে তৈরি । সাধারণত আমরা যা দেখতে পাই  সবকিছুই পদার্থপদার্থ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে|  মৌলিক পদার্থ এবং যৌগিক পদার্থ|  পৃথিবীতে  পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা 118 টি|  বাকি যে পদার্থগুলো আমরা দেখতে পাই সবগুলাই যৌগিক পদার্থএই যৌগিক পদার্থ আবার বিভিন্ন বন্ধনে তৈরি হয়|  যার মধ্যে সবচেয়ে কমন একটা বন্ধন হল আয়নিক বন্ধন।  পৃথিবীতে যত ধরনের যৌগিক পদার্থ রয়েছে বিশেষ করে অজৈব যৌগিক পদার্থ  সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশই গঠিত হয় আয়নিক বন্ধন দ্বারা।  আয়নিক বন্ধন সম্পর্কে তাই ধারণা রাখা প্রয়োজন

বন্ধন হলো  পরস্পরের সাথে যুক্ত হওয়া বা একত্রিত হওয়া |আর আয়নিক বন্ধন হলো আয়ন আদানপ্রদানের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হওয়া।  পৃথিবীতে যে 118 টি মৌলিক পদার্থের পরমাণু রয়েছে তারা প্রত্যেকেই চায় তাদের কাছাকাছি নিষ্ক্রিয় মৌলের ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করতেএই নিষ্ক্রিয় বা স্থিতিশীল মৌলের ইলেকট্রন কাঠামো লাভের উদ্দেশ্যে  দুই বা ততোধিক   একই বা ভিন্ন মৌলের পরমাণু একটা নির্দিষ্ট আকর্ষণ বলের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের যৌগ গঠন করে

আয়নিক বন্ধন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার জন্য আসুন আমরা যে লবণ(NaCl)  খেয়ে থাকেসেই লবণের গঠন টা জেনে নেই।  খাবার লবনের রাসায়নিক নাম হল সোডিয়াম ক্লোরাইড যার সংকেত হিসেবে লেখা হয় NaCl.

অর্থাৎ এখানে আয়নিক যৌগ গঠনকালে  একটি সোডিয়াম  একটি ক্লোরিনের পরমাণু প্রয়োজন ছিল

12345

এই সোডিয়াম পরমাণুতে (Na)11 টি ইলেকট্রন রয়েছেসোডিয়াম পরমাণু একটি ইলেকট্রন ছেড়ে দিলে তার নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস নিয়ন(11) এর ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করে। ফলে সোডিয়াম  আয়নে পরিণত হয়|

Na- e Na+

অপরদিকে ক্লোরিন পরমাণুতে (Cl)17হয়েছে|  ক্লোরিন পরমাণু সোডিয়াম পরমাণুর   ছেড়ে দেওয়া ইলেকট্রন তার নিজ কক্ষপথের নিয়ে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস আর্গন(18) এর ইলেকট্রন কাঠামো লাভ করে। ফলে  ক্লোরাইড আয়নে পরিণত হয়                              Cl+ e Cl

এই সোডিয়াম আয়ন  ক্লোরাইড আয়ন যখন পরস্পরের কাছাকাছি আসে তখন তাদের মধ্যে এক ধরনের ইলেকট্রোস্ট্যাটিক আকর্ষণ বল কাজ করেফলে তারা পরস্পরের সাথে যুক্ত হয় এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড নামের লবণ তৈরি করে থাকে। 

Na + Cl    Na+ + Cl  NaCl

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • সমযােজী বন্ধন গঠনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে হবে,

কোন বন্ধন সম্পূর্ণ সমযোজী বা সম্পূর্ণ তড়িৎযোজী নয়। অনেক সমযোজী যৌগে আয়নীয় চরিত্রের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় আবার তড়িৎযোজী যৌগে সমযোজী ধর্মের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। (ফাজান এর সূত্র এর সরল রূপ)

অর্থাৎ এই প্রকৃতিতে কোন বন্ধনে প্রকৃত সমযোজী বা প্রকৃত তড়িৎ যোজী নয়।

সমযোজ্যতা এবং সমযোজী বন্ধন এর ধারণা দেন বিজ্ঞানী G N Lewis, এই ধারণা অনুযায়ী উচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মকতা সম্পন্ন মৌলের (একি বা ভিন্ন) দুটি পরমাণু ইলেকট্রন আদান প্রদানের মাধ্যমে রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করতে পারে না ,কারণ উভয় পরমাণুর ইলেকট্রন গ্রহণ বর্জন করার ক্ষমতা প্রায় কাছাকাছি থাকে।

এক্ষেত্রে দুটি পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ কক্ষ থেকে সম সংখ্যক ইলেকট্রন এসে এক বা একাধিক ইলেকট্রন জোড় গঠন করে এবং উভয় পরমাণু ই ও ইলেকট্রন জোড় গুলিকে সমভাবে ব্যবহার করে তাদের সর্ববহিঃস্থ কক্ষে অষ্টক পূর্তি (8 টি ইলেকট্রন) করে। সমভাবে ব্যবহৃত ইলেকট্রন জোড় গুলি উভয় পরমাণুর মধ্যে বন্ধন রূপে কাজ করে এবং পরমাণু দুটির মধ্যে রাসায়নিক মিলন ঘটায় মৌল ও যৌগের অনু উৎপন্ন হয়। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, পরমাণু গুলির এরূপ মিলনে এক পরমাণু থেকে অন্য পরমাণুতে ইলেকট্রন স্থানান্তরিত হয় না পেলে পরমাণু আধান গ্রস্ত হয়না (তড়িৎযোজী বন্ধন এর বিপরীত রকম)।

বলে রাখা দরকার: যেকোনো সমযোজী বন্ধন গঠিত হয় দুটি বিপরীত ঘূর্ণন বিশিষ্ট ইলেক্ট্রন দ্বারা। দুটি বিপরীত ঘূর্ণন বিশিষ্ট ইলেকট্রনের জোর গঠনজনিত তড়িৎ চুম্বকীয় আকর্ষণ বল সমযোজী বন্ধন গঠনের ক্ষেত্রে শক্তির উৎস।

সমযোজী যৌগ গঠনের শর্ত গুলি হল

  1. যোজক ইলেকট্রনের সংখ্যা (valence electrons): যেহেতু সমযোজী বন্ধন এর ক্ষেত্রে উভয় পরমাণুর অষ্টক পূর্তি ব্যাপার রয়েছে তাই দুই বা দুইয়ের অধিক পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ কক্ষে অর্থাৎ যোজক কক্ষের যোজক ইলেকট্রনের সংখ্যা 8 এর কাছাকাছি যেমন 4,5,6,7 হতে হবে, এই সমস্ত ইলেকট্রনগুলি নিজেদের মধ্যে share করে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ন্যায় ইলেকট্রনীয় গঠন লাভ করতে পারে।
  2. ইলেকট্রন আসক্তি:সমযোজী বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণকারী পরমাণুর দুটি ইলেকট্রন আসক্তি প্রায় সমান হতে হবে।
  3. তড়িৎ ঋণাত্মকতা: সমযোজী বন্ধনে অংশগ্রহণকারী পরমাণু গুলির ইলেকট্রোনেগেটিভিটি বা তড়িৎ ঋণাত্মকতা প্রায় সমান হতে হবে, এর ফলে ইলেকট্রন এক পরমাণু থেকে অন্য পরমাণুতে স্থানান্তরিত হবে না।
  4. নিউক্লিয় চার্জ এবং নিউক্লিয়াস দুটির মধ্যে দূরত্ব: সমযোজী বন্ধনে অংশগ্রহণকারী পরমাণুর নিউক্লিয়াস যত বেশি হয় এবং নিউক্লিয়াস দুটির মধ্যে দূরত্ব কম হয় সমযোজী বন্ধন দৃঢ় হয়। স্বভাবতই সমযোজী বন্ধন সৃষ্টির সম্ভাবনা তত বেশি হয়।
  5. উচ্চ আয়নীয় বিভব সম্পন্ন করা পরমাণু গুলো নিজেদের মধ্যে অন্য পরমাণুর সঙ্গে আয়নীয় বন্ধন এর পরিবর্তে সমযোজী বন্ধন এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অনু গঠন করে।।

সমযোজী মৌলের অনু – N2,O2,Cl2 etc

সমযোজী যৌগের অনু – CH4,NH3,HCl,CO2, H2O etc

main qimg 5e1eee43906364958e24224c6ba73da2 lq

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • রাসায়নিক বন্ধন গঠনের কারন ব্যাখ্যা করতে হবে,

পর্যায় সারণিতে 18 নম্বর গ্রুপের মৌলসমূহের সর্ববহিঃস্থ  শক্তিস্তরে আটটি করে ইলেকট্রন বিদ্যমান থাকায় এরা রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় অর্থাৎ স্থিতিশীল। পর্যায় সারণির অন্য মৌলগুলো ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস অপেক্ষা এক বা একাধিক ইলেকট্রন কম বা বেশি থাকে।

এজন্য মৌল সমূহ স্থিতিশীলতা লাভের জন্য তাদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন বা শেয়ারের মাধ্যমে তাদের নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে স্থিতিশীলতা অর্জনের চেষ্টা করে। 

একই মৌলের বা বিভিন্ন মৌলের দুটি পরমাণু যখন কাছাকাছি অবস্থান করে তখন তারা তাদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন গ্রহণ, বর্জন বা শেয়ার ঘটে। এর মাধ্যমে তারা তাদের নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে। 

এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে এক ধরনের আকর্ষণের সৃষ্টি হয় যাকে আমরা রাসায়নিক বন্ধন বলি। কাজেই বলা যেতে পারে রাসায়নিক বন্ধন গঠনের মূল কারণ হলো পরমাণুগুলোর সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন গুলো নিষ্ক্রিয় গ্যাসের স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস লাভের প্রবণতা।


 যেমনঃ দুটি ক্লোরিন পরমাণু নিজেদের মধ্যে একটি করে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে ক্লোরিন অনু গঠন করে এবং আর্গনের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে স্থিতিশীলতা অর্জন করে। আবার পানি অণুতে একটি অক্সিজেন পরমাণুর সাথে দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে পানি অনু গঠিত হয়। এতে অক্সিজেনের বাইরে শক্তিস্তরে আটটি ইলেকট্রন এবং হাইড্রোজেনের বাইরে শক্তিস্তরে দুটি ইলেকট্রন পূর্ণ করে। 

আবার পটাশিয়াম ক্লোরাইড অণুতে পটাশিয়াম তার সর্ববহিঃস্থ শক্তি স্তর থেকে একটি ইলেকট্রন ক্লোরিন পরমাণু কে দান করে পটাশিয়াম তার নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস আর্গনের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে অন্যদিকে ক্লোরিন পরমাণু পটাশিয়াম থেকে একটি ইলেকট্রন তার সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে গ্রহণ করে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাস আর্গনের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে এভাবে মৌল সমূহ তাদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ বর্জন বা শেয়ারের মাধ্যমে নিকটতম নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে স্থিতিশীলতা অর্জন করে।

অর্থাৎ মৌলসমূহের রাসায়নিক বন্ধন গঠনের মূল কারণ তাদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment