প্রশ্ন সমাধান: ম্যাকগ্রেগর X-তত্ত্ব ও ম্যাকগ্রেগর Y তত্ত্ব পার্থক্য, ম্যাকগ্রেগর X-তত্ত্ব vs ম্যাকগ্রেগর Y তত্ত্ব পার্থক্য, ম্যাকগ্রেগর X-তত্ত্ব ও ম্যাকগ্রেগর Y তত্ত্ব তুলনামূলক আলোচনা, ম্যাকগ্রেগর Y তত্ত্ব ও ম্যাকগ্রেগর X-তত্ত্ব মধ্যে পার্থক্য, ম্যাকগ্রেগর X-তত্ত্ব ও ম্যাকগ্রেগর Y তত্ত্ব কাকে বলে,তুলনা ম্যাকগ্রেগর X-তত্ত্ব: ম্যাকগ্রেগর X-তত্ত্ব ও ম্যাকগ্রেগর Y তত্ত্ব আলোচনা
নিচের ছকে X ও Y তত্ত্ব এর মূল বক্তব্য তুলে ধরা হলো-
X তত্ত্ব | Y তত্ত্ব |
১) সাধারণভাবে মানুষের নিকট কাজ অপছন্দনীয়। | ১) সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্মীর অংশগ্রহণ প্রণোদনামূলক।২ |
২) সাধারণভাবে মানুষের সততার অভাব রয়েছে এবং তারা স্বভাবতই অলস ও কাজে অনুৎসাহী। | ২) মানুষ কাজ পছন্দ করে এবং কাজকে বিশ্রাম ও খেলার মতোই স্বাভাবিক মনে করে। |
৩) সাধারণভাবে লোকেরা দায়িত্ব এড়াতে চায় এবং কাজে কৃতিত্ব প্রদর্শন করতে অনাগ্রহী। | ৩) কর্মীরা স্ব-উদ্যোগে চলতে আগ্রহী এবং সৃজনীশক্তির বিকাশ ঘটাতে চায়। |
৪) সাধারণভাবে লোকের নতুন ধারণা গ্রহণের ক্ষমতা খুবই কম এবং তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা খুবই কম। | ৪) কর্মী দায়িত্ব গ্রহণ ও পালনে আগ্রহী এবং স্বীকৃতি প্রত্যাশা করে। |
৫) অধিকাংশ লোক ঘনিষ্ঠভাবে নির্দেশিত হতে চায় এবং দায়িত্ব গ্রহণে অনিচ্ছুক। | ৫) অধস্তনদের স্ব-নিয়ন্ত্রণের অধিকার দেয়া হলে জৈবিক, সাময়িক ও আত্মপরিতৃপ্তি অর্জন করতে পারে। |
৬) লোকেরা আর্থিক নিরাপত্তা পেতে অধিক আগ্রহী এবং তারা নিয়ন্ত্রিত হতে চায়। | ৬) এ তত্ত্ব কর্মীর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন করে তার উন্নয়ন ঘটায়। |
৭) ভীতি প্রদর্শনের দ্বারা কর্মীদের কাজ করিয়ে নিতে হয়। | ৭) এ তত্ত্ব সংগঠনে কর্তৃত্বের বিকেন্দ্রীকরণ ও সম্প্রসারণের পক্ষপাতি। |
২) Y-তত্ত্ব (Theory-Y)
এ তত্ত্বে অধস্তন কর্মীদের যথেষ্ট মূল্যায়ন করা হয়। এক্ষেত্রে কর্মীদের ব্যবস্থাপনার অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর কর্মীদের নিকট থেকে কাজ আদায়করণে ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু কার্যপরিবেশ নিশ্চিতকরণের উপর সমধিক গুরুত্বারোপ করে। S. P. Robbins এবং M. Coulter এ তত্ত্ব সম্পর্কে বলেন, “Theory ‘y’ is the assumption that employees are creative, seek responsibility and can exercise self-direction.” অর্থাৎ, ‘Y’ তত্ত্বের ধারণা এরূপ যে কর্মীরা সৃষ্টিশীল দায়িত্ব পেতে চায় এবং আত্মনির্দেশনা অনুশীলন করতে পারে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
১) X-তত্ত্ব (Theory-X)
এ তত্ত্ব অনুযায়ী ব্যবস্থাপকগণ কর্তৃক অধস্তন কর্মীদের অবজ্ঞা করা হয়। এক্ষেত্রে অধস্তন কর্মীদের মনমানসিকতা অত্যন্ত নিম্নমানের বলে বিবেচনা করা হয়। তাই তাদের নিকট থেকে কাজ আদায়করণে নিয়ন্ত্রণমূল ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হয়। S. P. Robbins এবং M. Coulter-এর ভাষায়, “Theory `X’ is the assumption that employees dislike work, are lazy, seek to avoid responsibility and must be coerced to perform. অর্থাৎ, “X” তত্ত্বের ধারণা এরূপ যে কর্মীরা কাজ অপছন্দ করে, অলস ও দায়িত্ব এড়িয়ে চলে এবং তাদেরকে কার্যসম্পাদনে বাধ্য করতে হয়।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- সোয়াপ (SWAP) কাকে বলে? , সোয়াপ (SWAP) কতো প্রকার বিস্তারিত আলোচনা করো
- ব্যবসায়িক ঝুকি বলতে কি বুঝায় উদাহরণ সহ আলোচনা করো
- বিনিয়োগ ব্যাংকের ট্রেডিং ব্যবস্থা আলোচনা করো
- খিলাফত রাষ্ট্র ও আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য । খিলাফত রাষ্ট্র vs আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য
- What do you near by Business communication?, Explain the concept of business communication
- Describe the barriers to effective communication in business organization