যে কাজ গুলো ভুলে ও জুমু’আর দিন করা যাবে না ,জুমু’আর দিনে যা যা করবেন না , জুমার সালাতের বর্জনীয় দিকসমূহ, জুমু’আর দিনে করণীয় ও বর্জনীয় , জুমু‘আর দিনে যা বর্জনীয়,জুমার দিনের ফজিলত ও আমল

১] ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হওয়া উচিত নয় । তন্দ্রা ভাব হলে জায়গা পরিবর্তন করে বসা উচিত ।(সহিহঃ আবু দাউদঃ ১১১৯)

২] খুৎবার সময় কেউ কথা বললে চুপ করুন’ এটুকুও বলা যাবে না ।
(নাসায়ীঃ ৭১৪, সহিহ বুখারীঃ ৯৩৪)

৩] ভাগ ভাগ হয়ে, গোল গোল হয়ে বসা উচিত নয়, যদিও এটা কোন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন। (সহিহ হাদিসঃ আবু দাউদঃ ১০৮৯)

৪] মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া।
(বুখারীঃ৯১০, ৮৮৩)

৫] মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করা।
(আবু দাউদঃ ৩৪৩, ৩৪৭)

৬] কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারীঃ৯১১, মুসলিমঃ২১৭৭, ২১৭৮)

৭] ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা।
(আবু দাউদঃ ১১১০, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪)

৮] সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা। (আবু দাউদঃ৮৬২)।

অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।

৯] মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা। (বুখারীঃ ৮৫৩)
কেননা, এতে মুসল্লি ও মালাইকাদের কষ্ট হয়।
যারা ধূমপান করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছিঃ আজ থেকে ধূমপান ছাড়ার পরিকল্পনা করুন। এটি মাখরুহ নয়, তামাক জাতিয় সকল পণ্য পান করা হারাম ।

১০] কোন নামাজীর সামনে দিয়ে না হাঁটা অর্থাৎ মুসুল্লী ও সুতরার মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে না হাঁটা। (বুখারীঃ৫১০)

১১] এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদঃ ১৩৩২)
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং পরিপূর্ণ ভাবে সঠিক পথে চলার তাওফীক দিন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা, কবুল ও হিফাযত করুন(আমীন)।।

বি,দ্রঃ যারা গল্প পরেন বা গল্প পরতে ভাল লাগে এবং ইসলাম সম্পর্কে আরো জানতে চান, ইসলামিক গল্প পড়তে ভালোবাসেন, তারা কমেন্ট বক্স এ জানাবেন আমি তাদের আমার ফ্রেন্ড লিস্টে রাখতে চাই 💖
আপনার রিকুুয়েস্ট দিতে problem হলে আমি নিজেই দিব। ইনশাআল্লাহ

Leave a Comment