শ্রেণি: ১২শ/ hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 01 বিষয় কোডঃ 2860 |
বিভাগ: মানবিক শাখা |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ যৌক্তিক সংজ্ঞার নিয়মসমুহ উল্লেখপূর্বক এর সীমাবদ্ধতার ক্ষেত্রগুলাে সম্পর্কে আপনার মতামত ব্যক্ত করুন,
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
সংজ্ঞার নিয়মাবলি
আমরা জানি, কোনো পদের পূর্ণ জাত্যর্থের সুস্পষ্ট বিবৃতির মাধ্যমে ঐ পদের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়। আর কোনো পদের সংজ্ঞা প্রদান করতে গিয়ে যাতে এর জাত্যর্থ সুস্পষ্টভাবে ও শুদ্ধরূপে উল্লেখ করা যায় সে উদ্দেশ্যে যুক্তিবিদগণ কতগুলো নিয়ম বা বিধি প্রণয়ন করেছেন। এ নিয়ম বা বিধিসমূহই যুক্তিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়ে যৌক্তিক সংজ্ঞা হিসেবে পরিচিত। যৌক্তিক সংজ্ঞায়নে এ নিয়ম বা বিধিসমূহ অনুসরণ না করলে যৌক্তিক ভ্রান্তি বা অনুপপত্তি ঘটে। নিম্নে এ নিয়মগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো :
প্রথম নিয়ম ঃ কোনো পদের সংজ্ঞা দিতে হলে সেই পদটির সম্পূর্ণ জাত্যর্থ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে, কোনোক্রমেই জাত্যর্থের অতিরিক্ত কিছু বা জাত্যর্থের অংশবিশেষ উল্লেখ করা যাবে না। অর্থাৎ এ নিয়ম অনুসারে, কোনো পদের সংজ্ঞায়নের সময় শুধুমাত্র এর আসন্নতম জাতি ও বিভেদক লক্ষণ উল্লেখ করতে হবে, এর বেশিও নয় কমও নয়। এ নিয়মটি লঙ্ঘন করলে যে সকল যৌক্তিক ভ্রান্তি বা অনুপপত্তি ঘটে সেগুলো নিম্নরূপ :-
(ক) বাহুল্য সংজ্ঞা : সংজ্ঞায় যদি জাত্যর্থের অতিরিক্ত কোনো গুণের উল্লেখ করা হয় এবং সেই অতিরিক্ত গুণটি যদি ‘উপলক্ষণ’ হয়, তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে বাহুল্য সংজ্ঞা বলে। যেমন, ‘মানুষ হয় এমন প্রাণী যার বিচার ক্ষমতা আছে’-মানুষের এ সংজ্ঞাটি বাহুল্য দোষে দুষ্ট। কারণ এখানে ‘মানুষ’ পদটির সংজ্ঞায় ‘বিচার ক্ষমতা’ গুণটি উল্লেখ করা হয়েছে যা এর একটি উপলক্ষণ।
(খ) অতি ব্যাপক বা অসম্পূর্ণ সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি : কোনো পদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে যদি জাত্যর্থের অংশবিশেষ উল্লেখ করা হয় তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে অতি ব্যাপক বা অসম্পূর্ণ সংজ্ঞা বলে। সাধারণত একটি পদ দ্বারা যে বিষয় বা বস্তুসমূহকে নির্দেশ করা হয় সংজ্ঞায়নের মাধ্যমে যদি সে পদের ব্যপকতা তার চেয়ে বেড়ে যায় তখন পদটি অতিব্যাপক বলে ধরা হয়। যেমন, ‘মানুষ হয় এক শ্রেণীর প্রাণী’ -মানুষের এ সংজ্ঞাটি অতি ব্যাপক বা অসম্পূর্ণ সংজ্ঞা দোষে দুষ্ট। কারণ এখানে ‘মানুষ’ পদটির সংজ্ঞায় মানুষ কী ধরনের প্রাণী তা উল্লেখ না করায় অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষকে পৃথক করা যায়নি। অর্থাৎ এখানে মানুষ পদের সংজ্ঞায় অন্যান্য প্রাণীও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ফলে সংজ্ঞাটি অসম্পূর্ণ এবং এতে অতি ব্যাপক অনুপপত্তি ঘটেছে।
(গ) আপতিক বা অবান্তর লক্ষণজনিত সংজ্ঞা : সংজ্ঞায় যদি জাত্যর্থের অতিরিক্ত কোনো গুণের উল্লেখ করা হয় এবং সেই অতিরিক্ত গুণটি যদি ‘অবান্তর লক্ষণ’ হয়, তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে আপতিক বা অবান্তর লক্ষণজনিত সংজ্ঞা বলে। যেমন, ‘মানুষ হয় এক শ্রেণীর বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন হাস্যপ্রিয় প্রাণী ’-মানুষের এ সংজ্ঞাটি আপতিক বা অবান্তর লক্ষণজনিত সংজ্ঞা দোষে দুষ্ট। কারণ এখানে ‘মানুষ’ পদটির সংজ্ঞায় ‘হাস্যপ্রিয়তা’ গুণটি উল্লেখ করা হয়েছে যা এর একটি অবান্তর লক্ষণ।
(ঘ) অব্যাপক সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি : সংজ্ঞায় যদি জাত্যর্থের অতিরিক্ত কোনো গুণের উল্লেখ করা হয় এবং সেই অতিরিক্ত গুণটি যদি ‘বিচ্ছেদ্য অবান্তর লক্ষণ’ হয়, তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে অব্যাপক সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি বলে। সাধারণত একটি পদ দ্বারা যে বিষয় বা বস্তুসমূহকে নির্দেশ করা হয় সংজ্ঞায়নের মাধ্যমে যদি সে পদের ব্যপকতা তার চেয়ে কমে যায় তখন পদটি অব্যাপক বলে ধরা হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
যেমন, ‘মানুষ হয় এক শ্রেণির সভ্য বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী ’-মানুষের এ সংজ্ঞাটি অব্যাপক সংজ্ঞা দোষে দুষ্ট। কারণ এখানে ‘মানুষ’ পদটির সংজ্ঞায় ‘সভ্য’ গুণটি উল্লেখ করা হয়েছে যা এর একটি বিচ্ছেদ্য অবান্তর লক্ষণ। আর ‘সভ্য’ গুণটি উল্লেখ করায় এখানে মানুষ পদের সম্পূর্ণ ব্যক্ত্যর্থ প্রকাশিত হয়নি বলে এ সংজ্ঞাটিতে অব্যাপক সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
দ্বিতীয় নিয়ম ঃ সংজ্ঞেয় পদের ব্যক্ত্যর্থ সংজ্ঞায় বর্ণিত পদের ব্যক্তর্থের সমান হতে হবে, এর কম বা বেশি হলে চলবে না। যেমন, মানুষের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে যখন বলা হয়, ‘মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী’ তখন ‘মানুষ’-এর ব্যক্তর্থ এবং ‘বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী’-এর ব্যক্তর্থ পরস্পর সমান। তাই সংজ্ঞাটি যথার্থ। এ নিয়মটি লঙ্ঘন করলে যে সকল যৌক্তিক ভ্রান্তি বা অনুপপত্তি ঘটে সেগুলো নিম্নরূপ :
(ক) অব্যাপক সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি: সংজ্ঞায় যদি জাত্যর্থের অতিরিক্ত কোনো গুণের উল্লেখ করা হয় এবং সেই অতিরিক্ত গুণটি যদি ‘বিচ্ছেদ্য অবান্তর লক্ষণ’ হয়, তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে অব্যাপক সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি (ঋধষষধপু ড়ভ ঞড়ড় ঘধৎৎড়ি উবভরহরঃরড়হ) বলে। যেমন, ‘মানুষ হয় এক শ্রেণির সভ্য বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী’-মানুষের এ সংজ্ঞাটি অব্যাপক সংজ্ঞা দোষে দুষ্ট। কারণ এখানে ‘মানুষ’ পদটির সংজ্ঞায় ‘সভ্য’ গুণটি উল্লেখ করা হয়েছে যা এর একটি বিচ্ছেদ্য অবান্তর লক্ষণ।
(খ) অতি ব্যাপক বা অসম্পূর্ণ সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি : কোনো পদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে যদি জাত্যর্থের অংশবিশেষ উল্লেখ করা হয় তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে অতি ব্যাপক বা অসম্পূর্ণ সংজ্ঞা বলে। যেমন, ‘মানুষ হয় এক শ্রেণির প্রাণী’-মানুষের এ সংজ্ঞাটি অতি ব্যাপক বা অসম্পূর্ণ সংজ্ঞা দোষে দুষ্ট। কারণ এখানে ‘মানুষ’ পদটির সংজ্ঞায় মানুষ কী ধরনের প্রাণী তা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে সংজ্ঞাটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে এবং এতে অতি ব্যাপক অনুপপত্তি ঘটেছে।
তৃতীয় নিয়ম ঃ যে পদের সংজ্ঞা দেয়া হবে সংজ্ঞায় সে পদের সমার্থক পদ বা সংজ্ঞেয় পদ ব্যবহার করা যাবে না। অর্থাৎ একই পদের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে কোনো পদের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা যাবে না। এ নিয়মটি লঙ্ঘন করলে চক্রক সংজ্ঞা অনুপপত্তি ঘটে।
চক্রক সংজ্ঞা অনুপপত্তি : কোনো পদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে যদি সে পদের সমার্থক পদ বা সংজ্ঞেয় পদ ব্যবহার করা হয় তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে চক্রক সংজ্ঞা অনুপপত্তি বলে। যেমন, ‘মানুষ হয় মানব সন্তান’-মানুষের এ সংজ্ঞাটি চক্রক সংজ্ঞা দোষে দুষ্ট। কারণ এখানে ‘মানুষ’ পদটির সংজ্ঞায় ‘মানব সন্তান’-এ সমার্থক পদ উল্লেখ করা হয়েছে।
চতুর্থ নিয়ম : যে পদের সংজ্ঞা দেয়া হবে সংজ্ঞাটিকে সেই পদ অপেক্ষা স্পষ্ট ও সহজবোধ্য হতে হবে এবং সংজ্ঞাটিকে কিছুতেই কোনো রূপকের মাধ্যমে বা দুর্বোধ্য ভাষায় ব্যক্ত করা যাবে না। অর্থাৎ সংজ্ঞায় সর্বদা সহজ ও সরল ভাষা ব্যবহার করতে হয় এবং রূপক বা আলঙ্কারিক শব্দ কিংবা জটিল ভাষা পরিহার করতে হয়। এ নিয়মটি লঙ্ঘন করলে যে সকল যৌক্তিক ভ্রান্তি বা অনুপপত্তি ঘটে সেগুলো নিম্নরূপ:-
(ক) রূপক বা আলঙ্কারিক সংজ্ঞা অনুপপত্তি : কোনো পদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে যদি রূপক বা আলঙ্কারিক শব্দ ব্যবহার করা হয় তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে রূপক বা আলঙ্কারিক সংজ্ঞা অনুপপত্তি বলে। যেমন, ‘উট হলো মরুভূমির জাহাজ’ অথবা, ‘সিংহ হয় পশুর
‘রাজা’ উল্লিখিত বাক্য দু’টিতে ‘মরুভূমির জাহাজ’ এবং ‘পশুর রাজা’ শব্দগুলি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে রূপক বা আলঙ্কারিক সংজ্ঞা অনুপপত্তি ঘটেছে।
(খ) দুর্বোধ্য সংজ্ঞা অনুপপত্তি : কোনো পদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে যদি কঠিন বা দুর্বোধ্য শব্দ এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যে তা বুঝতে পারা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে দুর্বোধ্য সংজ্ঞা অনুপপত্তি বলে। যেমন, ‘শিক্ষা হচ্ছে শারীরবৃত্তিক ও মনোবৃত্তিক উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র মাধ্যম’ এ সংজ্ঞায় কঠিন বা দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে দুর্বোধ্য সংজ্ঞা অনুপপত্তি ঘটেছে।
পঞ্চম নিয়ম : যেক্ষেত্রে সদর্থক সংজ্ঞা প্রদান সম্ভব, সেক্ষেত্রে নঞর্থক সংজ্ঞা দেয়া যাবে না। অর্থাৎ সংজ্ঞেয় পদ নঞর্থক না হলে সংজ্ঞা কখনও নঞর্থক হবে না। কারণ সংজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য হলো কোনো পদের অর্থ স্পষ্ট করা বা একটি পদ আসলে কী তা নির্দেশ করা। অর্থাৎ পদটি কী নয় তা নির্দেশ করা সংজ্ঞার কাজ নয়। এ নিয়মটি লঙ্ঘন করলে যে যৌক্তিক
ভ্রান্তি বা অনুপপত্তি ঘটে তা নিম্নরূপ ঃ
নঞর্থক সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি কোনো পদের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে যদি নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করা হয় তাহলে সংজ্ঞায়নে যে ত্রুটি দেখা দেয় তাকে নঞর্থক সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি বলে। যেমন, ‘পাপ নয় পূণ্য’ এ সংজ্ঞায় নেতিবাচক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। তাই এতে নঞর্থক সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
যৌক্তিক সংজ্ঞার গুরুত্ব
যুক্তিবিদ্যার মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে সংজ্ঞা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা সংজ্ঞা পদের অর্থ সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট ও প্রাঞ্জল করে তোলে এবং আমাদের চিন্তাধারা যথাযথভাবে প্রকাশ করতে সাহায্য করে। তাই যুক্তিবিদ্যায় সংজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ:
১। চিন্তাধারাকে সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট ও নির্ভুল করে : সংজ্ঞার সাহায্যে আমরা আমাদের চিন্তাধারাকে সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট ও নির্ভুল করে তুলতে পারি। সুতরাং যে কোনো চিন্তার শুরুতেই যৌক্তিক সংজ্ঞার প্রয়োজন।
২। বস্তু বা বিষয়ের স্বরূপ জানতে সহায়তা করে : সংজ্ঞা কোনো বস্তু বা বিষয়ের স্বরূপ জানতে সহায়তা করে। অনেক সময় সঠিক জ্ঞানের অভাবে আমরা একটি বস্তুকে অন্য বস্তু বলে ভুল করি; যেমন- বাদুড়কে ভুল করে বলি পাখি, আর তিমিকে ভুল করে বলি মাছ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাদুড় পাখি নয় এবং তিমি মাছ নয়। পাখি এবং মাছ সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান না থাকার জন্যই এমনটি ঘটে থাকে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, কোন্ জিনিসটি আসলে কী তা সঠিকভাবে জানার জন্য যৌক্তিক সংজ্ঞার জ্ঞান অপরিহার্য।
৩। পদের দ্ব্যর্থকতা রোধ করে : দু’টি যুক্তিবাক্যে যাতে একই পদ একাধিক অর্থে ব্যবহার করা না হয় কিংবা ব্যবহৃত পদের অর্থ নিয়ে যাতে কোনো প্রকার বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগেই সংজ্ঞার সাহায্যে পদের অর্থ সুনির্দিষ্ট করে নিতে হয়। অর্থাৎ পদের অর্থ সুনির্দিষ্টকরণের মাধ্যমে এর দ্ব্যর্থকতা রোধ করার ক্ষেত্রেও যৌক্তিক সংজ্ঞার জ্ঞান অপরিহার্য।
৪। সঠিক ও নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক : সঠিক অনুমানের সাহায্যে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায়। আর অনুমানের যথার্থতা নির্ভর করে পদের সঠিক জ্ঞানের উপর, যে জ্ঞান আমরা পাই সংজ্ঞার সাহায্যে। সুতরাং সঠিক ও নির্ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংজ্ঞা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৫। বৈজ্ঞানিক জ্ঞানে সহায়ক : যেকোনো বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের শুরুতেই তার সঠিক সংজ্ঞার প্রয়োজন হয়। কারণ কার্যকরী সংজ্ঞা প্রদানের মাধ্যমে যেকোনো বিজ্ঞান এর বিষয়বস্তুর প্রকৃতি নির্ধারণ করে থাকে।
৬। বৈধ অনুমান গঠনে সহায়ক : সংজ্ঞার মাধ্যমে পদের দুর্বোধ্যতা দূর হয় এবং এর অর্থ স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট হয়। ফলে অনুমান গঠনের ক্ষেত্রে পদের যথার্থ প্রয়োগ সম্ভব হয়। তাই বৈধ অনুমান গঠন করতে হলে সংজ্ঞার জ্ঞান থাকা দরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, যুক্তিবিদ আই. এম. কপি (ও. গ. ঈড়ঢ়র) যৌক্তিক সংজ্ঞার মাত্র পাঁচটি প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। যথা:
১. যৌক্তিক সংজ্ঞার মাধ্যমে শব্দের ভান্ডার বৃদ্ধি করা যায়।
২. যৌক্তিক সংজ্ঞার মাধ্যমে পদের দ্ব্যর্থকতা দূর করা যায়।
৩. যৌক্তিক সংজ্ঞার সাহায্যে পদের অর্থ সুস্পষ্ট করা যায়।
৪. যৌক্তিক সংজ্ঞা দ্বারা পদের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা প্রদান করা যায়।
৫. যৌক্তিক সংজ্ঞা প্রদানের মাধ্যমে নিজের মত দ্বারা অন্যের মতকে প্রভাবিত করা যায়।
যৌক্তিক সংজ্ঞার সীমাবদ্ধতা
সাধারণত কোনো পদের আসন্নতম জাতি ও বিভেদক লক্ষণ উল্লেখপূর্বক এর সংজ্ঞা প্রদান করা হয়। তাই যে সকল পদের আসন্নতম জাতি ও বিভেদক লক্ষণ নির্ণয় করা যায় না সে সকল পদের সংজ্ঞা প্রদানও সম্ভব হয় না। আর এটিই হলো যৌক্তিক সংজ্ঞার সীমাবদ্ধতা। যৌক্তিক সংজ্ঞার সীমাবদ্ধতাসমূহ নিম্নরূপ:
১। পরমতম জাতি : পরমতম জাতির ব্যক্ত্যর্থ এত বেশি যে এর চেয়ে অধিক ব্যক্ত্যর্থসম্পন্ন আর কোনো জাতি নেই। অর্থাৎ পরমতম জাতির কোনো আসন্নতম জাতি নেই। আর তাই এর যৌক্তিক সংজ্ঞা দেয়া যায় না। যেমন- ‘দ্রব্য’ একটি পরমতম জাতি বলে এর যৌক্তিক সংজ্ঞা প্রদান সম্ভব নয়।
২। বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তু বা স্বকীয় নামবাচক পদ: বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তু বা স্বকীয় নামবাচক পদের অসংখ্য গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকে বলে এদের বিভেদক লক্ষণ নির্ণয় করা যায় না। এজন্য প্রশান্ত মহাসাগর, চীনের মহাপ্রাচীর, সক্রেটিস ইত্যাদি জাতীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর সংজ্ঞা দেয়া যায় না।
৩। বিশিষ্ট গুণবাচক পদ : সততা, সত্যবাদিতা, শুভ্রতা, চতুষ্কোণতা ইত্যাদি বিশিষ্ট গুণবাচক পদগুলোকে আর কোনো সরলতম উপাদানে বিশ্লেষণ করা যায় না বলে এগুলোর সংজ্ঞা দেয়া যায় না।
৪। অনন্য বা মৌলিক বিষয় : ঈশ^র, আত্মা, দেশ, কাল ইত্যাদি অনন্য বা মৌলিক বিষয় বলে এগুলোকে অন্য কোনো জাতির অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। তাই এসব অনন্য বা মৌলিক বিষয়ের সংজ্ঞা প্রদানও সম্ভব নয়।
৫। সরল ও মৌলিক মানসিক প্রক্রিয়া : সুখ-দঃখ, আনন্দ-বেদনা, প্রেম-বিরহ, আবেগ-অনুভূতি ইত্যাদি সরল ও মৌলিক মানসিক প্রক্রিয়াগুলো অতুলনীয় বলে এগুলোর সংজ্ঞা দেয়া যায় না।
৬। পরম নিয়ম : প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা নীতি, কার্যকারণ নিয়ম ইত্যাদি পরম নিয়মসমূহকে অন্য কোনো উচ্চতর নিয়মের অন্তর্ভুক্ত করা যায় না বলে এগুলোর সংজ্ঞা দেয়া যায় না। যৌক্তিক সংজ্ঞার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কিত উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, এটি একটি সীমিত প্রক্রিয়া। তবে যে সব পদের যৌক্তিক সংজ্ঞা প্রদান সম্ভব নয় বর্ণনার সাহায্যে সে সব পদের অর্থ স্পষ্ট করা যায়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
- degree 3rd year philosophy 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- degree 3rd year psychology 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- ডিগ্রি ১ম বর্ষের রেজাল্ট NU Degree 1st Year Result
- ডিগ্রী ২য় বর্ষের সাজেশন pdf
- Degree 2nd year suggestion
- Degree 2nd Year Math 4th paper Suggestion