যৌথ মূলধনী ব্যবসায় গঠন ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দিক বিশ্লেষণ।,যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।,যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের শ্রেণীবিভাগ বর্ণনা করতে পারবে।

শ্রেণি: ১২শ/ HSC ইন কমার্স -2021 বিষয়: ব্যবসায় সংগঠন এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 08 বিষয় কোডঃ 1728
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃযৌথ মূলধনী ব্যবসায় গঠন ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দিক বিশ্লেষণ।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।,
  • যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের শ্রেণীবিভাগ বর্ণনা করতে পারবে।,
  • যৌথ মূলধনী কোম্পানী গঠন পদ্ধতি বর্ণনা করতে পারবে।,
  • যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে পারবে।,

নির্দেশনা :  

  • যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।,
  • যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের শ্রেণীবিভাগ বর্ণনা করতে হবে।,
  • যৌথ মূলধনী কোম্পানী গঠন পদ্ধতি বর্ণনা করতে হবে।,
  • যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে হবে।,

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।,

যে কোম্পানি অধিক মূলধন,সীমিত দায়,যৌথ ব্যবস্থাপনা এবং আইন সর্তা ও পৃথক অস্তিত্ব বিশিষ্ট ব্যবসাকে যৌথ মূলধনী ব্যবসা বলে।


কোম্পানি ব্যবসায় একটি স্বেচ্ছামূলক প্রতিষ্ঠান।কোম্পানি ব্যবসায় করতে আগ্রহী কিছু সংখ্যক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সংঘবদ্ধ হয়ে কোম্পানি গঠন করে।

যৌথ মূলধন ব্যবসা হল একটি ব্যবসায় সত্তা বা প্রতিষ্ঠান যেখানে অংশীদারীরা শেয়ার এবং বিভিন্ন প্রকার স্টক ক্রয়ের মাধ্যমে কোম্পানির মালিকানা লাভ করেন। অংশীদারীরা তাদের শেয়ার অবাধে হস্তান্তর করতে পারেন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আধুনিক যুগে যৌথ মূলধন ব্যবসাকে কর্পোরেশন বলা হয়। যেখানে কোম্পানি কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী এবং ব্যক্তিমালিকানা হতে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র। সাধারণত অংশীদারীদের দায় শেয়ার সংখ্যা দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে। প্রথম যৌথ মূলধন ব্যবসা আইন ১৮৪৪ সালে ইংল্যান্ডে চালু হয়।

অধ্যাপক এম. এইচ. বোখারীর মতে, “মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে কতিপয় ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে আইনসম্মত উপায়ে যে ব্যবসায় করে তাকে যৌথ মূলধনী কোম্পানি বলে।

বিচারপতি জন মার্শাল এর মতে, “যৌথ মূলধনী কোম্পানি হলো এমন একটি কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা- যা অদৃশ্য, স্পর্শাতীত এবং আইনের দ্বারা অস্তিত্ববান।

  • যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের শ্রেণীবিভাগ বর্ণনা করতে হবে।,

১) প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি: যে কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ ৫০ জন দ্বারা সীমাবদ্ধ এবং যার শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয় তাকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে। কোম্পানি আইন অনুযায়ী, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি জনগণের উদ্দেশ্যে শেয়ার বিক্রয় বা মালিকানা হস্তান্তরের আহবান জানাতে পারে না।

২) পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি: যে কোম্পানির সর্বনিম্ন সদস্য সংখ্যা ৭ জন এবং সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা শেয়ার সংখ্যা দ্বারা সীমাবদ্ধ,যার শেয়ার ও ঋণপত্র জনগনের নিকট বিক্রয়ের জন্য আবেদন করা যায় এবং শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য তাকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বলে। কোম্পানি বলতে মূলত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকেই বোঝায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • যৌথ মূলধনী কোম্পানী গঠন পদ্ধতি বর্ণনা করতে হবে।,

কোম্পানির গঠন পদ্ধতি/প্রণালী
 

  • কোম্পানি গঠন পদ্ধতির পর্যায়-

১. উদ্যোগ গ্রহণ পর্যায়
২. নিবন্ধন পর্যায়
৩. কার্যারম্ভ পর্যায়
 
১. উদ্যোগ গ্রহণ পর্যায়

  • ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গঠন করতে হলে কমপক্ষে দুই (২) জন এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গঠন করতে কমপক্ষে সাত (৭) জনকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

 
২. নিবন্ধন পর্যায়

  • নিবন্ধন পর্যায়ে প্রবর্তকগণ কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য পর্যায়ক্রমে কার্য সম্পন্ন করে-

ক) নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ ও পূরণ
খ) দলিলপত্রাদি তৈরি ও সংযুক্তি

  • আবেদনপত্রের সাথে দলিলপত্র জমা দিতে হয়:

১. স্মারকলিপি ১ কপি
২. পরিমেল নিয়মাবলী ১ কপি
৩. প্রস্তাবিত কোম্পানির মোট মূলধনের পরিমাণ সম্বন্ধে প্রবর্তকদের একটি ঘোষণাপত্র
৪. পরিচালকদের নামের তালিকা এবং তাদের তৈরিকৃত ন্যূনতম যোগ্যতাসূচক শেয়ারের পরিমাণ
৫. কোম্পানির প্রস্তাবিত নাম [নামের শেষে অবশ্যই সীমিত (Limited) কথাটি লিখতে হবে] সম্বন্ধে ঘোষণাপত্র
৬. কোম্পানি আইনের ধারাসমূহ যথাযথভাবে পালন করা হয়েছে এ মর্মে একজন আইনজীবী বা চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট বা কোম্পানির যে কোন পরিচালক কর্তৃক একটি ঘোষণাপত্র

  • কোম্পানির নিবন্ধক দলিলপত্রাদি যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হলে কোম্পানির প্রবর্তকগণকে তার দস্তখত ও সিলমোহর দিয়ে কোম্পানির ‘জন্মপত্রিকা’ নিবন্ধনপত্র (Certificate of Incorporation) প্রদান করে।
  • কোম্পানির জন্মপত্রিকা বলা হয়- নিবন্ধনপত্রকে
  • কোম্পানির অস্তিত্বের প্রশ্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হল- নিবন্ধনপত্র
  • কোম্পানির কৃত্তিম ব্যক্তিসত্তা সৃষ্টি হয়- নিবন্ধনপত্র প্রাপ্তির পর
  • নিবন্ধনপত্র পাওয়ার পর পরই কাজ শুরু করতে পারে- প্রাইভেট লিঃ কোম্পানি
  • পাবলিক লিঃ কোম্পানিকে সংগ্রহ করতে হয়- কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র

গ) কার্যারম্ভের অনুমতি সংগ্রহ

  • পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে নিবন্ধপত্র পাওয়ার পর কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র (Certificate of Commencement) সংগ্রহ করতে হয়
  • এ পর্যায়ে প্রবর্তকগণ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বিবরণীপত্র (Prospectus) তৈরি করে
  • জনগণকের শেয়ার ক্রয়ের আহ্বান জানিয়ে খবরের কাগজে বিবরণীপত্রটি প্রচার এবং কার্যারম্ভের অনুমতি সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় দলিলগুলো নিবন্ধকের নিকট পেশ করে

১. বিবরণীপত্রের বা বিকল্প বিবরণীপত্রের ছাপানো এক কপি
২. পরিচালকদের নাম, ঠিকানা, পদবি, পেশা ইত্যাদির পূর্ণবিবরণ
৩. পরিচালক হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক- এ মর্মে প্রত্যেক পরিচালকের লিখিত ও দস্তখতকৃত সম্মতিপত্র
৪. পরিচালকগণ ন্যূনতম যোগ্যতাসূচক শেয়ারের মূল্য পরিশোধ করেছে এ মর্মে ঘোষণাপত্র

  • দলিলপত্রাদি পাঠ করে নিবন্ধক সন্তুষ্ট হলে তিনি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র প্রদান করেন

 
৩. কার্যারম্ভ পর্যায়

  • এ পর্যায়ে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কাজ শুরু করে এবং প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহের পদক্ষেপ গ্রহণ করে

 
ন্যূনতম চাঁদা
ন্যূনতম মূলধণ/চাঁদা সংগ্রহের কারণ

  • কোম্পানি প্রাথমিক ব্যয় ও গঠন সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহ
  • সম্পত্তি ক্রয় বা প্রাথমিক ব্যয় নির্বাহের জন্য ঋণ করা হলে তা পরিশোধ
  • শেয়ার বিক্রয়ের জন্য দালাল বা অবলেখককে কমিশন প্রদান
  • চলতি মূলধন সংগ্রহ

 
ন্যূনতম চাঁদা সংগ্রহে ব্যর্থ হলে যে সব অসুবিধা হয়

  • কোম্পানি কার্যারম্ভের অনুমতি পায় না
  • আবেদনের সাথে গৃহীত অর্থ ফেরত দিতে হয়
  • যথাসময়ে অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে সুদসমূহ পরিশোধ করতে হয়
  • কোম্পানির বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন ঘটে
  • বিবরণপত্র প্রচারের পর ১৮০ দিন বা বিবরণপত্রে নির্দিষ্ট চাঁদা তালিকা বন্ধ হওয়ার তারিখের পর ৪০ দিন, এই দুটির মধ্যে যেটি পূর্বে হয় এর মধ্যে ন্যূনতম মূলধন সংগ্রহে কোম্পানি ব্যর্থ হলে শেয়ারের আবেদন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আবেদনকারীর ফেরত দিতে হয়
  • পরিচালকগণ পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে তা ফেরত দানে ব্যর্থ হলে ব্যাংক রেটের ঊর্ধ্বে ৫% হারে (অর্থাৎ ১০% হারে) সুদসহ অর্থ ফেরত প্রদানে বাধ্য থাকে

 
স্মারকলিপি/সংঘস্মারক/পরিমেলবন্ধ (Memorandum of Association)
এটি কোম্পানির মূল দলিল, সনদ বা সংগঠন
এতে কোম্পানির নাম, ঠিকানা, মূলধন ও ক্ষমতার সীমা উল্লেখ থাকে
এর মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের সাথে কোম্পানির সম্পর্ক নির্ধারিত হয়
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত উদ্দেশ্যের বাইরে কোম্পানি কোন কাজ করতে পারে না
এটি সম্পর্কে কোম্পানি আইনের ধারা ৬ ও ৯ এ বলা হয়েছে
 
স্মারকলিপির বিষয়বস্তু বা ধারাসমূহ
১. নামধারা : এ ধারায় কোম্পানির নাম লেখা হয়। সীমাবদ্ধ দায়সম্পন্ন কোম্পানি হবার কারণে এর নামের শেষে অবশ্যই সীমিত বা (Ltd) শব্দের উল্লেখ থাকতে হয়।
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে লিমিটেড শব্দের পূর্বে (Pvt) শব্দের উল্লেখ করা যেতে পারে।
নাম গ্রহণের ক্ষেত্রে অত্র আইনের ১১ ধারায় নিন্মোক্ত বাধা-নিষেধ রয়েছে-
ক) প্রচলিত কোন কোম্পানির নাম বা প্রতারণার উদ্দেশ্যে প্রচলিত কোন কোম্পানির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নাম রাখা যায় না।
খ) সরকারের লিখিত পূর্ব অনুমতি ছাড়া সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপনের দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন নাম গ্রহণ করা যায় না।
গ) জাতিসংঘ সেক্রেটারি জেনারেলের লিখিত অনুমিত ছাড়া জাতিসংঘ বা এর কোন অঙ্গ সংস্থার সাথে সম্পর্ক রয়েছে অনুমিত হয় এমন নাম রাখা যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্ষেত্রে এর ডাইরেক্টর জেনারেলের পূর্ব অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
 
২. অবস্থান ও ঠিকানা ধারা : কোম্পানির নিবন্ধিত কার্যালয় কোথায় স্থাপিত হবে বা এর প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা এ ধারায় উল্লেখ করতে হয়। এর সাথে কোম্পানি বর্তমান ও ভবিষ্যতে যে এলাকা সীমার মধ্যে তার শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে পারবে এতে তাও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
 
৩. উদ্দেশ্য ধারা : কোম্পানি কোন ধরনের ব্যবসায়ের সাথে জড়িত থাকবে তা এ ধারায় উল্লেখ করা হয়। ভবিষ্যতে কোম্পানি যে সকল ব্যবসায়ের সাথে জড়িত হতে পারবে তাও এ ধারায় উল্লেখ করা আবশ্যক।

স্মারকলিপির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারা হল- উদ্দেশ্য ধারা
কোম্পানির কার্যক্ষমতার সীমা নির্দেশ করা হয়- উদ্দেশ্য ধারার মাধ্যম
উদ্দেশ্য ধারাকে বলা হয়- কোম্পানির কর্মপন্থার নকশা
 
৪. মূলধন ধারা : এ ধারায় কোম্পানির মোট মূলধনের পরিমাণ, এর জন্য শেয়ার সংখ্যা ও শেয়ার মূল্যমান কী হবে তা উল্লেখ থাকে।
 
৫. দায় ধারা : এ ধারায় কোম্পানির সদস্যদের দায়ের প্রকৃতি কি হবে তা উল্লেখ করা হয়ে থাকে। সাধারণত এ দায় শেয়ারের আঙ্কিক মূল্য (Face value) দ্বারা সীমাবদ্ধ হয়।
 
৬. সম্মতি ধারা : এ ধারায় স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারীগণ এ মর্মে ঘোষণা প্রদান করে যে, তাদের নামের পাশে বর্ণিত পরিমাণ শেয়ার তারা ক্রয় করবে এবং স্মারকলিপির বর্ণনামতে তারা কোম্পানি গঠন করবে।
 
পরিমেল নিয়মাবলী/সংঘবিধি :
এটি কোম্পানির দ্বিতীয় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দলিল
এটি ব্যবসায় পরিচালনা সংক্রান্ত দলিল
এতে কোম্পানি পরিচালনার সকল নিয়ম অন্তর্ভূক্ত থাকে
 
বিবরণপত্র :
পাবলিক লিমিটেডি কোম্পানি নিবন্ধিত হবার পর মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্য নিয়ে জনগণকে কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে যে প্রচারপত্র বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাকে কোম্পানির বিবরণপত্র বলে।
 
 
কোম্পানি সংগঠনের শ্রেণীবিভাগ
 

m2_2
 
 
১. সনদপ্রাপ্ত কোম্পানি : কোম্পানি আইন চালু হওয়ার পূর্বে (১৮৪৪ সালের পূর্বে) ইংল্যান্ডের রাজার ফরমান বলে যে সমস্ত কোম্পানি গঠিত হয়েছিল সেগুলোকে সনদপ্রাপ্ত কোম্পানি বলা হয়।
১৮৪৪ সালে প্রথম কোম্পানি আইন চালু হওয়ার পর এ কোম্পানিগুলো পুনরায় কোম্পানি আইনের অধীনে নিবন্ধিত হয়।
যেমন- ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, চার্টার্ড ব্যাক অব ইংল্যান্ড, দি ইমপিরিয়াল ব্যাক
 
২. সংবিধিবদ্ধ কোম্পানি : দেশের আইনসভা বা সংসদে বিল পাস করে অথবা রাষ্ট্র প্রধানের বিশেষ আইনের দ্বারা যে সমস্ত কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠান গঠিত হয় তাদের সংবিধিবদ্ধ কোম্পানি বলে।
যেমন- WASA, BTV, RAJUK
 
৩. নিবন্ধিত কোম্পানি : নিবন্ধিত কোম্পানিসমূহকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
অসীম দায় সম্পন্ন কোম্পানি : যে সকল কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারদের দায় অসীম। এ ধরনের কোম্পানি পৃথিবীতে নেই।
সসীম দায় সম্পন্ন কোম্পানি : যে সকল কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারদের দায় সসীম। সসীম দায় সম্পন্ন কোম্পানিসমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
১) প্রতিশ্রুতি মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ কোম্পানি
২) শেয়ার মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ কোম্পানি
শেয়ার মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ কোম্পানি ২ প্রকার। যথা :
ক) প্রাইভেট লি: কোম্পানি
খ) পাবলিক লি: কোম্পানি
 
৪. অনিবন্ধিত কোম্পানি : কোম্পানি আইনের ৩৭১ ধারা অনুযায়ী অনিবন্ধিত কোম্পানি হল ৭ সদস্যদের অধিক সদস্য নিয়ে গঠিত কোনো অংশীদারী ব্যবসায় বা সমিতি যা কোম্পানি আইনের আওতায় নিবন্ধিত নয়।
 
৫. অন্যান্য কোম্পানি :
বিদ্যমান কোম্পানি : ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন প্রচলিত হবার পূর্বে বিদ্যমান কোম্পানি আইনের আওতায় কোন কোম্পানি গঠিত, নিবন্ধিত ও বর্তমানে চালু থাকলে তাকে বলা হয় বিদ্যমান কোম্পানি।
বিদেশি কোম্পানি : দেশের বাইরে গঠিত ও নিবন্ধিত কোনো কোম্পানি যদি পুনরায় দেশীয় আইনের আওতায় নিবন্ধিত হয়ে কাজ পরিচালনা করে তাকে বলা হয় বিদেশি কোম্পানি। যেমন- ALICO Ltd

অব্যবসায়ী বা লাভবিহীন কোম্পানি : দায় সীমাবদ্ধ হলেও নামের শেষে লিমিটেড বা প্রাইভেট লি: ব্যবহার করা হয় না। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য বিবর্জিত কোম্পানি বা লাভবিহীন কোম্পানি গঠিত হয় বাণিজ্য, কলা, বিজ্ঞান, ধর্ম, দাতব্য বা অন্য কোনো উপযোগিতামূলক উদ্দেশ্যে।
বিশেষ কোম্পানি : যে সকল কোম্পানি দেশের প্রচলিত কোম্পানি আইনের আওতায় নিবন্ধিত হলেও অন্য কোন বিশেষ আইন দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে বিশেষ কোম্পানি বলে।
 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে হবে।,
AVvXsEiePXTd0XaI OReQUQbVcIEy BREk 5NiERju0sXSZY0pGP3OaswLm24m 4M5qtzKOYgOCQ76mw yvYney1PjIvZAwpgGtAZwv5cxCxnhVSBObCUgLKC2YMF6CNX6QYcUeVMaz5DhCQ5LODURDUcNCtcRhubiAQ1iSNMT qBfHLek0WCDXDwPOpNWu
AVvXsEhJ6mIxNySFd2axHbf3n9Il SxA8HBtBA3VIjPV4fBvvEmin9K3KzPoCEVcyIREcRvKN2buo7nx 2kE8exBfTzeoUeSXVR WwQpsWaezeFUegLBbOC9AHX jAMEFq7HjvuObXf3ERefgHBWHReJUioDlELL

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment