বিষয়: রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন কার্যকরী ১০টি উপায়ে!, রাগ কমানোর ১০ উপায়, জেনে নিন রাগ কমানোর ৫ উপায়, অতিরিক্ত রাগ কমানোর ৩ উপায়, রাগ কে নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে, রাগ কীভাবে কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়?,যেভাবে নিজের অনিয়ন্ত্রিত রাগকে নিয়ন্ত্রণ করবেন
অনেকে আছেন- কথায় কথায় রেগে যান। ছোটখাটো বিষয়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেন না। এই রেগে যাওয়াটা স্বাভাবিক মনে হলেও এটি অনেক ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক। তাই কথায় কথায় রেগে যাওয়াটা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। এটি পরে বড় ধরনের সমস্যা ডেকে আনতে পারে।
তাই কথায় কথায় রেগে যাওয়া যাবে না। মাথা ঠাণ্ডা রেখে রাখ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আসুন জেনে নিই কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন-
ধৈর্য ধরে শুনুন
কেউ কোনো কথা বললে তা ধৈয ধরে শোনার অভ্যাস করুন। প্রথমে শুনুন, এর পর ভালোভাবে বুঝে উত্তর দিন।
রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত নয়
রাগের মাথায় কখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। কারণ রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত আপনার বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। সবসময় মাথা ঠাণ্ডা করে সিদ্ধান্ত নিন।
ঘুরে আসুন
রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘোরাঘুরি বেশ ভালো একটি মাধ্যম। রাগ হোক আর মন খারাপ হোক- ঘুরতে যান প্রিয় কোনো জায়গায়। হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে। দেখুন, রাগ কমবে মনও ভালো থাকবে।
অপমানজনক কিছু বলা যাবে না
রাগের মাথায় সবসময় মনে রাখতে হবে, কাউকে অপমানজনক কিছু বলা যাবে না। যদি বলেও ফেলেন, তবে অবশ্যই সরি বলুন!
শেয়ার করুন
মনের দুঃখ-কষ্ট প্রিয়জনের সঙ্গে শেয়ার করুন। মনের ভেতরে কষ্ট চেপে রাখলে রাগ বেড়ে যেতে পারে, তাই আপনি হতে পারেন অসুস্থ। কষ্ট শেয়ার করলে রাগ কমে যায়।
গান শুনুন, আড্ডা দিন
খুব বেশি রাগ হলে বা মন খারাপ হলে গান শুনতে পারেন। এ ছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাও দিতে পারেন। আড্ডা দিলে বা গান শুনলে রাগ কমে যায়।
হতাশা, শারীরিক নানা সমস্যা ও ঘুম কম হলেও আমাদের মনের ওপর প্রভাব পড়ে। আর এটি যদি দীর্ঘমেয়াদি চলতে থাকে, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
- যৌনমিলন করার উপকারিতা, নিয়মিত সহবাসের দশটি উপকারিতা,নিয়মিত সহবাসের উপকারিতা কী?
- বাচ্চা নিতে কতবার সহবাস করতে হয়,বাচ্চা নেওয়ার জন্য কতবার সহবাস করতে হয়?
১। আপনি যখন কোনো একটি সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন না, মূলত তখনই আপনার রক্ত গরম হতে শুরু করবে। গায়ের জোরে কিছু করার চেষ্টা আর কি। তাই ধৈর্যের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
২। রাগান্বিত অবস্থা মূলত একটি অসুস্থ অবস্থা। কারণ তখন বিবেক-বুদ্ধি-আবেগ-শারীরিক গতিবেগ কোনোকিছুই স্বাভাবিক থাকে না। একজন বুদ্ধিমান মানুষ হিশেবে আমরা নিজেকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিতে পারি না।
৩। কারো অন্যায় রাগের কারণে যদি রাগ হয়, সেক্ষেত্রে বলবো আপনি একজন মানসিক রোগীর সাথে অমানবিক আচরণ করছেন। রোগীর তো রাগাটাই স্বাভাবিক। একজন সুস্থ মানুষ হিশেবে আপনার উচিত তার সাথে মানবিক ও সহানুভূতিপূর্ণ আচরণ করা।
৪। কোনো পরিবেশ আপনার মাঝে নেতিবাচক উত্তেজনা সৃষ্টি করে বা কেউ আপনাকে রাগাতে পারে—এর মানে হলো আপনি একজন রি-অ্যাক্টিভ, আত্মনিয়ন্ত্রনহীন ব্যক্তি। আপনার ইগোতে খোঁচা দিয়ে বললে বলা যায়—আপনার নাকের দড়ি অন্যরা নিয়ন্ত্রণ করছে। এজন্য বলবো আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য আত্মবিশ্বাসী হোন। আর আত্মবিশ্বাসী হতে হলে দরকার আত্মজ্ঞান। নিজে কাজটি সঠিক করছেন না বেঠিক করছেন সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা রাখুন; এরপর অন্যদের নেতিবাচক ধারণা থেকে নিজেকে প্রভাবমুক্ত রাখুন।
৫। হিংসা আর রাগ এমন এক প্রকারের বিষ যা মানুষ নিজে পান করে আর ভাবে—অন্যজন মারা যাচ্ছে। আসলে সে নিজেই যে নিজেকে মৃত্যুর কিনারায় পৌঁছে দিচ্ছে তা সে টেরই পায় না। বিষ খুব বিশ্বস্ত শত্রু। একে বুঝে পান করেন আর না বুঝে পান করেন, সে আপনাকে ধ্বংসের মুখোমুখি না করা পর্যন্ত আপনার হাত ছেড়ে যাবে না।
৬। রাগ আপনার পারিবারিক ও সামাজিক সেতুবন্ধনে ফাঁটল সৃষ্টি করছে এবং দিনকে-দিন আপনার মধ্যে মানসিক অস্থিরতা ও চাপ সৃষ্টি করছে। সুতরাং রাগের প্রতি অনুরাগ দূর করুন।
৭। রাগে উত্তেজনার মুহু্তে দৃষ্টিকে নিচের দিকে রাখুন। দাঁড়ানো অবস্থায় থাকলে বসে পড়ুন। এতেও কাজ না হলে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। যেকোনো মূল্যে মুড স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা চাই।
৮। অন্যদের অবস্থান বুঝার, তাদের প্রতি সুবিবেচনা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ক্ষমা করার স্বভাব গড়ে তুলুন। ক্ষমা করে কেবল অন্যদের প্রতি করুণা করছেন ব্যাপারটা এমন নয়; বরং নিজেকে মানসিক অস্থিরতার জিঞ্জির থেকে মুক্ত করে নেয়ার জন্যও ক্ষমা করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
৯। বিকল্প অনুসরণ করুন। একটি স্বভাব ত্যাগ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো এর পরিবর্তে আরেকটি স্বভাবের অনুশীলন শুরু করা। ”রাগ” এর সাধারণ অর্থ ”ক্ষোভ”। তবে সঙ্গীতশাস্ত্রে রাগের মানে: “স্বর-লহরী / স্বর ও বর্ণ দ্বারা ভূষিত ধ্বনিবিশেষ” যা মনকে রঞ্জিত/বিমোহিত করে। আপনি দ্বিতীয় অর্থটি গ্রহণ করে মানুষের মাঝে সুরের ধারা বইয়ে দিতে পারেন। অথবা রাগের সাথে সামান্য “অনু ” যোগ করে দিন—ব্যস ”অনুরাগ” হয়ে গেলো। এতে আপনার রাগ করাও হলো আবার মানুষের মাঝে অনুরুক্তিও সৃষ্টি হলো।
১০। রুঢ় ও রাগী স্বভাবের রোগা লোকজনকে মানুষ পছন্দ করে না। মানুষ স্বস্তি পায়, কেবল এমন আচরণই করুন। মেঘ আর বজ্র-বিদ্যুতের ভয় না দেখিয়ে প্রতিদিন অন্তত একজন মানুষের আকাশে রঙধনুর রঙ ছিটিয়ে দিন।
১১। ওপরের পরামর্শগুলোর কোনোটা কাজে না দিলে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। তার সাথে খোলামেলাভাবে আপনার অবস্থা নিয়ে কথা বলুন। আশা করি তিনি আপনাকে ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন।
১২। আল্লাহ কাছে অনবরত প্রার্থনা করে এই রাগের আগুন থেকে মুক্তির সাহায্য চান।
রাগ থেকে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত ফর্মূলা:
রাগের উত্তেজনা অনুভব হওয়ার সাথে সাথে নিজেকে বলতে শুরু করি: আমি ক্রমেই রাগে আইসবার্গ হয়ে যাচ্ছি।
মানে আপনি বৃষ্টির মতো শীতল কিংবা ভোরের শিশির পাতের মতো স্নিগ্ধ কিছুর কল্পনা করতে পারেন–যার আবহ আপনার মেজাজে স্থিরতা নিয়ে আসতে সাহায্য করতে পারে বলে আপনি মনে করেন।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
“এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললঃ আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ রাগ করো না। লোকটি বার বার রাসূলের নিকট উপেদশ চায় আর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ রাগ করো না।” [সহীহ আল-বুখারীঃ ৬১১৬]
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- মাইগ্রেন ব্যথার কারণ, মাইগ্রেন ব্যথার উপসর্গ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিকার ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিরোধ – বিস্তারিত গাইড
- মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার: একটি সম্পূর্ণ গাইড
- কেন আপনার ওষুধের বাক্সে প্যারাসিটামল থাকা উচিত,কীভাবে প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিনবেন
- ঠান্ডার লক্ষণগুলির জন্য প্যারাসিটামল ভালো,কীভাবে প্যারাসিটামলের লেবেল পড়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন
- যৌনমিলন করার উপকারিতা, নিয়মিত সহবাসের দশটি উপকারিতা,নিয়মিত সহবাসের উপকারিতা কী?
- বাচ্চা নিতে কতবার সহবাস করতে হয়,বাচ্চা নেওয়ার জন্য কতবার সহবাস করতে হয়?