বিষয়: রাত থেকে চোখ জালা-পোড়া করে ও চোখে দেখতে অসুবিধা হয়,চোখ জ্বালাপোড়ায় করণীয়,চোখের জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমানোর ৫ উপায়,চোখ জ্বলে কেন
চোখ জ্বালাপোড়া কি?
চোখ জ্বালাপোড়া হল চোখের মধ্যে চুলকানি, যন্ত্রণা অথবা জ্বালার অনুভূতি। এটা প্রায়ই চোখ থেকে জল নির্গমণের সাথে বারবার ঘটে। ব্লেফারাইটিস, শুকনো চোখ, কনজাঙ্কটিভাইটিস এবং চোখের এলার্জি হল চোখ জ্বালাপোড়ার কিছু সাধারণ কারণ।
এর প্রধান যুক্ত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?
চোখ জ্বালাপোড়ার সাথে যুক্ত বারবার দেখা সাধারণ উপসর্গগুলি হল:
- চোখ থেকে জল পড়া
- জলপূর্ণ চোখ
- চোখের লালভাবের সাথে বেদনা
অন্তর্নিহিত রোগের উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট উপসর্গগুলি হল:
- ব্লেফারাইটিস: এটি চোখের পাতার একটি জ্বলন যেখানে চোখের পাতার গোড়াটা তৈলাক্ত দেখায়, স্টাইয়ের উপস্থিতির সাথে খুশকির মতো ফ্লেক্সগুলি (লাল, ফুলে যাওয়া, চোখের পাতার কাছে ডেলার উপস্থিতি)
- শুকনো চোখ: এটা চোখের মধ্যে যন্ত্রণা এবং বিরক্তিকর অনুভূতি; চোখের লালভাব; চোখের চারপাশে অথবা মধ্যে শ্লেষ্মা স্তরের গঠন; চোখে কিছু আটকে থাকার অনুভূতি চিহ্নিত করে
- চোখের অ্যালার্জি বা কনজাংটিভাইটিস: অ্যালার্জি এবং কনজাংটিভের প্রদাহ বেদনা, ফোলাভাব এবং চোখে চুলকানি; অশ্রুসিক্ত চোখ; চুলকানি, বন্ধ নাক এবং হাঁচি হয়ে থাকে
চোখ জ্বালাপোড়ার প্রধান কারণগুলি কি কি?
চোখ জ্বালাপোড়ার সাধারণ কারণগুলি হলো:
- ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
- অশ্রু গ্রন্থি এবং নালীর অকার্যকারীতা
- ধুলো এবং পরাগের মতো অস্বস্তিকর পদার্থ চোখের মধ্যে ঢুকে এলার্জির কারণ হতে পারে
- অতিবেগুনী রশ্মির আলোকসম্পাতে সানবার্ন হওয়ায়
চোখ জ্বালাপোড়ার বিরল কারণগুলি হলো:
- ধোঁয়া, বায়ু বা খুব শুষ্ক জলবায়ুতে থাকলে
- দীর্ঘদিন ধরে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে
- রিউম্যাটয়েড আর্থরাইটিস, থাইরয়েড রোগ এবং লুপাস
- ঘুমের ওষুধ, অম্বলের ওষুধের মত কিছু ওষুধ
এটি কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
চোখ জ্বালাপোড়ার চিকিৎসা করতে ক্রমের মধ্যে অন্তর্নিহিত রোগ নির্ণয় করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ চিকিৎসার ইতিহাস নেন, বিশেষ করে কোনো অ্যালার্জি অথবা অস্বস্তিকর এবং সংক্রামক এজেন্টের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিনা তা নোট করেন।
ফোলাভাব এবং লালচে ভাব পরীক্ষা করার জন্য একটি স্লিট মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। অশ্রু প্রবাহ এবং অশ্রুর ঘনত্বও পরীক্ষা করা হয়।
চোখ জ্বালাপোড়ার জন্য চিকিৎসা অন্তর্নিহিত অবস্থার উপর নির্ভর করে। সেগুলো হলো:
- সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক।
- বেদনা এবং ফোলা চোখের থেকে মুক্তির জন্য কৃত্রিম অশ্রু বা ডিকঞ্জেস্টেন্ট চোখের ড্রপ এবং গরম ভাপ।
- এলার্জির ক্ষেত্রে, ডাক্তার নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেবেন।
নিজেকে যত্ন করার পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল:
- ভাল স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
- অ্যান্টিবায়োটিক স্প্রে এবং শ্যাম্পু, শিশুদের শ্যাম্পু আপনার চোখের পাতা, চুল এবং স্কাল্প ধোয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
- সানবার্নের ক্ষেত্রে সূর্যালোকের এক্সপোজার এড়ানোর জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
- ধুলো বা অন্য কোন বিরক্তিকর এক্সপোজারের এলার্জেন অপসারণের পরে সালাইন চোখের ড্রপ হল অপরিহার্য।
- প্রচুর পরিমাণে জল এবং মাছের তেলের পরিপূরকগুলি চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- যৌনমিলন করার উপকারিতা, নিয়মিত সহবাসের দশটি উপকারিতা,নিয়মিত সহবাসের উপকারিতা কী?
- বাচ্চা নিতে কতবার সহবাস করতে হয়,বাচ্চা নেওয়ার জন্য কতবার সহবাস করতে হয়?
মনের জ্বালায় চোখ তো কাঁদেই, অশ্রু বুঝি একটু কমাতেও পারে মনের জ্বালা। তবে চোখে যখন জ্বালাপোড়ার মতো অস্বস্তিকর অনুভূতি, তখন অন্য কোথাও মন বসানো দায় হয়ে পড়ে বৈকি। চোখের জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি আজকাল অনেকেরই হয়ে থাকে, তবে একটু সচেতন হলে অনেক ক্ষেত্রেই এড়ানো যেতে পারে এমন সমস্যা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদুল হাসান বলেন, কম্পিউটার ও শীতাতপনিয়ন্ত্রণযন্ত্র যেমন চোখে জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে, তেমনি আবার পরিবেশের নানা উপাদানের কারণেও চোখে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
চোখে জ্বালা হওয়ার কারণ
চোখের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে গেলে অর্থাৎ চোখ শুষ্ক হয়ে পড়লে চোখে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। একটানা দীর্ঘসময় কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে এমন সমস্যা হতে পারে। আবার ঘরে বা কর্মক্ষেত্রে শীতাতপনিয়ন্ত্রণযন্ত্র চলতে থাকলে সেখানে যাঁরা দীর্ঘসময় অবস্থান করেন, তাঁদেরও চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। চোখে ধুলাবালু বা এ-জাতীয় কোনো কিছু পড়লেও চোখে জ্বালা করতে পারে। চারপাশের পরিবেশে এমন অনেক কিছুই আছে, যা চোখের সংস্পর্শে এলে চোখ জ্বালাপোড়া করাটা খুবই স্বাভাবিক।
করণীয়
হঠাৎ চোখে জ্বালা করলে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন সঙ্গে সঙ্গে। এ অবস্থায় চোখ ধোয়ার জন্য ফোটানো পানি ব্যবহার করা ভালো। তবে হাতের কাছে ফোটানো পানি না থাকলে কলের পানি দিয়েও চোখ ধুয়ে নিতে পারেন। একটু বেশি সময় ধরে চোখ জ্বালা করলে চোখে একধরনের ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। কৃত্রিম চোখের পানি বা আর্টিফিসিয়াল টিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত এ ড্রপ চোখে দিতে পারেন দিনে তিন থেকে চারবার। ড্রপটি প্রতিবারে এক ফোঁটা করে চোখে দিতে হবে।
এসব পদ্ধতি অবলম্বন করার পরেও যদি চোখে জ্বালাপোড়ার ভাবটা থেকে যায়, সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রতিরোধের উপায়
কম্পিউটারের পর্দার দিকে একটানা দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকবেন না। চোখের পলক না ফেলে কম্পিউটারের পর্দার দিকে একটানা তাকিয়ে থাকলে চোখে জ্বালাপোড়া করতেই পারে। কম্পিউটারে কাজ করার সময় প্রতি ২০ মিনিট পর পর বাইরের দিকে বা দূরে কোথাও তাকান। কাজের মধ্যেও চোখকে এইটুকু স্বস্তি দিতেই হবে, এভাবে কাজ করলে কাজেও আরাম পাবেন।
শীতাতপনিয়ন্ত্রণযন্ত্রের একেবারে সরাসরি থাকাটা ঠিক নয়। এ যন্ত্রের ঠান্ডা হাওয়ায় মন জুড়ালেও খেয়াল রাখতে হবে, এ যন্ত্র থেকে সরাসরি আসা সেই হাওয়া চোখকে শুষ্ক করে ফেলতে পারে এবং তা চোখ জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- মাইগ্রেন ব্যথার কারণ, মাইগ্রেন ব্যথার উপসর্গ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিকার ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিরোধ – বিস্তারিত গাইড
- মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার: একটি সম্পূর্ণ গাইড
- কেন আপনার ওষুধের বাক্সে প্যারাসিটামল থাকা উচিত,কীভাবে প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিনবেন
- ঠান্ডার লক্ষণগুলির জন্য প্যারাসিটামল ভালো,কীভাবে প্যারাসিটামলের লেবেল পড়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন
- যৌনমিলন করার উপকারিতা, নিয়মিত সহবাসের দশটি উপকারিতা,নিয়মিত সহবাসের উপকারিতা কী?
- বাচ্চা নিতে কতবার সহবাস করতে হয়,বাচ্চা নেওয়ার জন্য কতবার সহবাস করতে হয়?