রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ থেকে নিয়োগ পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন সমাধান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জীবনী A to Z সহ সকল প্রশ্ন সমাধান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এর জানা ও অজানা সকল তথ্য

জনাব মোঃ আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সনের ০১ জানুয়ারী কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম হাজী মোঃ তায়েব উদ্দিন এবং মাতার নাম মরহুমা তমিজা খাতুন।

তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলি উপজেলার নিকলী জি,সি হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ থেকে আইএ ও বিএ ডিগ্রি এবং ঢাকার সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত হন।

তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৫৯ সনে তৎকালীন ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৬১ সনে তিনি ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় আইয়ূব বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সনে তিনি হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট এর বিরোধিতা করেন এবং ঐ সময় ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়ার কারণে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তাঁকে কারারুদ্ধ করেন। ১৯৬২-৬৩ সনে তিনি কিশোগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৪ সনে কিশোরগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ১৯৬৫-৬৬ সনে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপিত এবং ১৯৬৬-৬৭ সনে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানের কারণে ১৯৬৮ সনে তিনি আবারো কারাবরণ করেন। ১৯৬৯ সনের শেষ পর্যায়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

তিনি ১৯৭১ সনের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। একাত্তরের মার্চের উত্তাল দিনগুলোতে তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে কিশোরগঞ্জে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ মার্চ কিশোরগঞ্জ শহরের রথখোলা মাঠে ছাত্র-জনতার সভায় হাজার হাজার লোকের উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন।

২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ঐদিন সকালেই স্বাধীনতার ঘোষণা টেলিগ্রামের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়ে সর্বাত্মক মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার ব্যয় নির্বাহের জন্য তিনি বাঙ্গালী সামরিক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এপ্রিলের প্রথম দিকে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান-এর কিশোরগঞ্জ, ভৈরব ও বাজিতপুর শাখা থেকে আনুমানিক ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করে ঐ সময় নিরাপদ স্থান হিসেবে বিবেচিত ব্রাহ্মনবাড়িয়া ন্যাশনাল ব্যাংক শাখায় জমা রাখেন।

এরপর তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারতের আগরতলায় চলে যান। তখন বৃহত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের অধিকাংশ সংসদ সদস্য সেখানে অবস্থান করেছিলেন। জনাব আবদুল হামিদ তাঁদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কৌশলগত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ করেন। একই সাথে তিনি আগরতলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথেও মত বিনিময় করেন। পরে তিনি এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশে এসে আরো কিছুসংখ্যক সহযোগীসহ মেঘালয়ের টেকেরহাট, গুমাঘাট, পানছড়া, মৈইলাম হয়ে বালাট পৌছান। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে আগতদের জন্য তিনি ইয়ুথ রিসিপশান ক্যাম্প চালু করেন এবং এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। মূলতঃ কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ থেকে আগতদের প্রাথমিক বাছাই কাজ এখানে করা হতো। এছাড়া মেঘালয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও শরনার্থীদের ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে গঠিত জোনাল এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিল-এর তিনি অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ভারতের মেঘালয়ে রিক্রুটিং ক্যাম্পের চেয়ারম্যান থাকাকালীন তৎকালীন সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলা নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (মুজিব বাহিনী) এর সাব-সেক্টরের কমান্ডার পদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে তিনি মেঘালয়ে অবস্থানকারী শরনার্থীদের দেশে প্রত্যাবর্তনে উদ্ধুদ্ধ করতে বিভিন্ন ক্যাম্পে সভা করেন। শরনার্থীদের দেশে ফেরা সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি ১৯৭২ সনের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন।

স্বাধীনতার পর তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনঃর্বাসন কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৭৪ সনে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকান্ডের পর ১৯৭৬-৭৮ সনে তৎকালীন সামরিক ও বিএনপি সরকারের সময় তিনি কারারুদ্ধ হন। তিনি ১৯৭৮ সন থেকে ২০০৯ সনের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ১৯৯০ সন থেকে ১৯৯৬ সন পর্যন্ত ৫(পাঁচ) বার কিশোরগঞ্জ বার এসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

একজন সমাজসেবক ও শিক্ষা-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক জনাব মোঃ আবদুল হামিদ মিঠামইন তমিজা খাতুন গালর্স হাইস্কুল, মিঠামইন হাজী তায়েব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, মিঠামইন কলেজসহ এলাকায় প্রায় ৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৪টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৩টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি অষ্টগ্রাম রোটারি ডিগ্রি কলেজ, মিঠামইন ডিগ্রি কলেজ, ইটনা ডিগ্রি কলেজ, মিঠামইন হাইস্কুল, তমিজা খাতুন গালর্স হাইস্কুল, এলংজুড়ি হাইস্কুল, ইটনা গালর্স হাইস্কুল, বড়িবাড়ি হাইস্কুল, আবদুল্লাহপুর হাইস্কুল, অষ্টগ্রাম গালর্স হাইস্কুল, আবদুল ওয়াদুদ হাইস্কুল, কিশোরগঞ্জ গালর্স হাইস্কুল, ধনপুর হাইস্কুল, শহীদ স্মৃতি হাইস্কুল, মোহনতলা হাইস্কুল এবং ঘাগড়া আঃ গণি হাই স্কুলের পৃষ্ঠপোষকসহ তাঁর নির্বাচনী এলাকার আরও অনেক জুনিয়র হাইস্কুল ও মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষক।

জনাব আবদুল হামিদ ১৯৯৭-২০০০ সাল পর্যন্ত Inter parliamentary union (IPU) এর Sustainable Development কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯৯ সাল হতে ২০০১ পর্যন্ত কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারিয়ান এসোসিয়েশন (C.P.A) এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। পুনরায় ২০১০ হতে ২০১২ পর্যন্ত IPU এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি একই সময় (২০১০-২০১২ পর্যন্ত) কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন এর নির্বাহী সদস্য ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর আজীবন সদস্য ও নির্বাহী সদস্য এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও রাইফেলস্ ক্লাবের আজীবন সদস্য। তিনি কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সম্মানসূচক সদস্যসহ বহু সংগঠনের সাথে জড়িত।

জনাব মোঃ আবদুল হামিদ ১৯৭০ সনে ময়মনসিংহ-১৮ থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য, ১৯৭২ সনে গণপরিষদ সদস্য, ১৯৭৩ সনের ০৭ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে, ১৯৮৬ সনের ০৭ মে অনুষ্ঠিত তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৯১ সনের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৯৬ সনের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০০১ সনের ০১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০০৮ সনের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচন হন।

তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পীকার নির্বাচিত হন এবং ১৩ জুলাই ১৯৯৬ থেকে ১০ জুলাই ২০০১ পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সম্মানিত স্পীকার নির্বাচিত হন এবং ১২ জুলাই ২০০১ থেকে ২৮ অক্টোবর ২০০১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি ২০০১ সনের ০১ নভেম্বর থেকে বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০০৮ সনের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদে নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি সর্বসম্মতিক্রমে স্পীকার নির্বাচিত হন এবং সফলভাবে এ দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি কার্য উপদেষ্টা কমিটি, কার্যপ্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং পিটিশন কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সরকারি সফর, সেমিনার, সভা ও ব্যক্তিগত কাজে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, কানাডা, ভারত, জি্ব্রালটার, বার্বাডোজ, মিশর, সিঙ্গাপুর, দুবাই, আবুধাবী, মরোক্কো, সৌদী আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, সুইজারল্যান্ড, হংকং, কুয়েত, ইরান, কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীন, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, কিরিবাতি, ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালী, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, কাজাকিস্তান, তুরস্ক, জাপান, নাউরো, মালদ্বীপ, উগান্ডা, থাইল্যান্ড, ফিজি প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ জনাব মোঃ আবদুল হামিদ-কে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৩’ প্রদান করা হয়।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ১৪ মার্চ ২০১৩ থেকে জনাব মোঃ আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০ মার্চ ২০১৩ তারিখে রাষ্ট্রপতি জনাব জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে তিনি সে দিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২২ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

জনাব আবদুল হামিদ ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

তিনি একজন পরোপকারী, বিনয়ী, সদালাপী এবং প্রচার বিমুখ ব্যক্তি। সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সাথে সুন্দর ও হৃদয়গ্রাহী আচার আচরণের জন্য তিনি সুপরিচিত। তিনি অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত। দরিদ্র জনগণের জন্য রয়েছে তাঁর অকৃত্রিম দরদ ও ভালবাসা।

জনাব মোঃ আবদুল হামিদ বিবাহিত। তিনি তিন পুত্র ও এক কন্যার জনক।
বিভিন্ন দেশের সংবিধান ও ইতিহাস গ্রন্থ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্বলিত পুস্তক পাঠ করা তাঁর প্রিয় শখ।

গ্রামের নাম কামালপুর। কিশোরগঞ্জ হাওর এলাকার এক নিভৃত পল্লী। দুর্গম আর হতদরিদ্র মানুষের এ গ্রামে জন্ম নেয়া দুরন্ত এক শিশুর বেড়ে ওঠা। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে শিশুটি।

হাওরের প্রবেশদ্বার করিমগঞ্জ উপজেলা। গ্রামের নাম জাফরাবাদ। ওই গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে রাশিদা খানম। পরিবারের মত-অমতের বাধা পেরিয়ে ওই হাওর-বালকের মন কেড়ে নেন রাশিদা খানম। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে শক্তি আর সাহস জোগাতে থাকেন তিনি।

সেই থেকে গল্পের শুরু। একজন নারী কতটা শ্রম-মেধা-মননে তার প্রিয় মানুষটিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহস আর অনুপ্রেরণা জোগাতে পারেন, রাশিদা তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

দেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্ত্রী তিনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির মুখে নিজ স্ত্রীকে নিয়ে নানা রসালো গল্প শুনে থাকবেন নিশ্চয়ই। তবে আজকের একজন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হয়ে ওঠার পেছনের মানুষটির কথা কয়জনই জানেন! রাশিদা হামিদের প্রেরণায় শুরু হয় একজন সহজ-সরল আর আপাদমস্তক রাজনীতিক আবদুল হামিদের পথচলা। যে পথের শেষ বঙ্গভবন।

তবে আবদুল হামিদ আর রাশিদা হামিদের চলার পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না। স্বামী রাজনীতি করেন। এটাই যেন ছিল অপরাধ। এজন্য কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি এ মহীয়সী নারীকে। এমনকি ছেলে রাজনীতি করে বলে তার আত্মীয়রা প্রথমে আবদুল হামিদের কাছে বিয়ে দিতে রাজি হননি! স্বামী-সন্তানের জন্য রাশিদাকে জীবনভর সহ্য করতে হয়েছে নানা প্রতিকূলতা। তবে কিছুতেই দমে যাননি তিনি। স্বামী আর সংসারের জন্য নিজের জীবন তুচ্ছ মনে করেছেন। পরিবারের খোঁজ-খবর আর ভরণ-পোষণ চালাতে গিয়ে নিজের প্রতি খেয়াল রাখার সুযোগ পাননি।

জাগো নিউজ’র সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে এসেছে সংগ্রামী এ নারীর জীবনকথা। জানান, শুধু রাজনীতি করায়, মানুষের জন্য কাজ করায় তার স্বামী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আর তাকে কী পরিমাণ নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।

করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল হালিম খানের চার ছেলে আর দুই মেয়ের মধ্যে রাশিদা সবার বড়। তিন ছেলে আর এক মেয়ের মা। বাড়ির পাশের মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর ১৯৬৩ সালে এসভি সরকারি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজে ভর্তি হন। এ সময় পরিচয় হয় কামালপুরের সেই কিশোর গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের তৎকালীন জিএস মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রেম। তারপর বিয়ে। এইচএসসি পাস করার আগেই আবদুল হামিদের সঙ্গে বিয়ে হয়।

তবে বিয়ের পর্বটাও সহজ ছিল না। রাজনীতি করা ছেলের সঙ্গে কিছুতেই বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না তার মামা-খালারা। কিন্তু ততদিনে আবদুল হামিদ আর রাশিদার মন বাঁধা পড়ে গেছে মাছিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের বকুল গাছের ফুলের মালার মতোই! বকুলতলা থেকে কুড়িয়ে আনা ফুল দিয়ে মালা গেঁথে প্রতিদিন আবদুল হামিদকে উপহার দিতেন রাশিদা। কী করে বিচ্ছিন্ন হয় সেই মধুর মিলন! অগত্যা রাশিদার নানা সেই সময়কার পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য মাওলানা সাইদুর রহমানের হস্তক্ষেপে ১৯৬৪ সালে বিয়ে হয় প্রেমিক আবদুল হামিদের সঙ্গে। তখন থেকেই সংগ্রামী জীবনের শুরু রাশিদার।

রাশিদা হামিদ বলেন, এসএসসি পাস করার পর বিয়ে! মামা বিয়ের বিষয়ে মত বদলে ফেলতে পারেন। এজন্য তাড়াহুড়া করে বিয়ে হয়ে যায়। স্বামী রাজনীতি করেন। কিশোরগঞ্জে একটি ছোট বাসায় থাকতাম। গ্রামের বাড়ি থেকে ছোট ছোট অনেক দেবর আর ভাগ্নে বাসায় থেকে লেখাপড়া করে। তাদের কেউ পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে, কেউবা ষষ্ঠ শ্রেণিতে। সারাদিন বাসায় লোকজন লেগেই থাকত। তাদের চা-নাশতা দেয়া, পরিবারের লোকজনের জন্য রান্না, খাওয়ানো সব আমাকে সামলাতে হতো।

‘বিয়ের পর হঠাৎ করে এমন অবস্থায় পড়লাম, কোনো অবসর ছিল না। নিজের দিকে খেয়াল রাখার সুযোগ ছিল না। টানাপোড়েনের সংসার। সংসার বাড়তে থাকে। ছন্দপতন ঘটে নিজের লেখাপড়ায়। কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকি। গভীর রাতে একটু একটু করে পড়ি। এভাবে এইচএসসি পাস করি। স্বামী আর বাচ্চাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিজের জীবন নিয়ে কোনো চিন্তার সুযোগ পাইনি। তবে আমার স্বামী মানুষকে ভালোবাসে। সহজিয়া। সৎ রাজনীতিক। এজন্য একদিন ও ভালো করবে- এমন বিশ্বাস ছিল আমার’- বলছিলেন, দেশের টানা দু’বারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্ত্রী রাশিদা হামিদ।

স্বামীর দীর্ঘ রাজনীতিক জীবনে জেল-জুলুম, হুলিয়া আর নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে রাশিদা হামিদ বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র শিক্ষা আন্দোলন, ছয়দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, সর্বোপরি ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলন আর একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবদুল হামিদ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মিঠামইনে গ্রামে গ্রামে পালিয়ে বেড়াতে হয় রাশিদাকে। ডাকাতরা কেড়ে নেয় সবকিছু। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সন্তানদের মুখে সময়মতো খাবার তুলে দিতে পারেননি। মেলেনি প্রয়োজনীয় কাপড়। তবে থামেনি তার জীবন-সংগ্রাম। আবদুল হামিদকে রাজনীতির কারণে বারবার জেলে যেতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৬ সালে গ্রেফতার করা হয় আবদুল হামিদকে। দুই বছর পর তাকে জেল থেকে বের করে আনেন রাশিদা হামিদ।

রাশিদা হামিদের ছোট ভাই আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আ. ন. ম নওশাদ খান বলেন, কতটুকু ধৈর্য থাকলে কঠিন পরিস্থিতিতে অবিচল থেকে স্বামীকে পেছনে থেকে প্রেরণা দিয়ে মর্যাদার আসনে তুলে দিতে পারেন, আমার বোন তার অন্যতম উদাহরণ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেনাবাহিনী আবদুল হামিদকে কিশোরগঞ্জের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। গভীর রাতে সেই সময়কার আবদুল হামিদের শিক্ষক গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াসীম উদ্দীন খানকে দিয়ে রাতে আবদুল হামিদকে বাসা থেকে ডেকে বের করা হয়। সকালে রাশিদা হামিদ জানতে পারেন, তার স্বামীকে আর্মিরা ধরে নিয়ে গেছে। কিশোরগঞ্জ জেল থেকে তাকে পাঠানো হয় ময়মনসিংহ কারাগারে। পরে আবদুল হামিদকে নেয়া হয় রাজশাহী ও কুষ্টিয়া কারাগারে। কুষ্টিয়া কারাগারে থাকার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় রাশিদা স্বামীকে দেখতে ঘুরে বেড়ান দেশের বিভিন্ন কারাগারে। একদিকে পরিবার আরেক দিকে সংসার। দুই দিকই সামলাতে হয় তাকে। হাসপাতালে ভর্তির পর রাশিদা হামিদ আদালতে রিট করেন।

ডা. নওশাদ খান বলেন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মতোই আমার বোন সারাজীবন পরিবার, এলাকাবাসী ও সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত। মায়ের মতোই আদর দিয়ে তিনি আমাদের এতগুলো ভাই-বোনকে বড় করেছেন। তিনি একজন মহান শিক্ষক। তার কাছ থেকে আমরা জীবনের পাঠ নিয়েছি।

১৯৮১ সালের ঘটনা। তখন দেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তার পিএস ছিলেন রাশিদা হামিদের মামা কর্নেল এ ওয়াই এম মাহফুজুর রহমান। তাকে দিয়ে আবদুল হামিদ ও রাশিদা হামিদকে ক্যান্টনমেন্টের বাসায় ডেকে পাঠান জিয়াউর রহমান। তাকে প্রস্তাব দেয়া হয় আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে তার মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিতে। কিন্তু রাশিদা হামিদ ও তার স্বামী আবদুল হামিদ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এজন্য অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয় তাদের।

রাশিদা হামিদের বড় ছেলে জাতীয় সংসদের সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, আম্মা আমার আদর্শ। আব্বা রাজনীতির বাইরে পরিবারের খোঁজ নিতে পারতেন না। সবকিছু সামলাতে হয়েছে আম্মাকে।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের পরিবারকে কঠিন সময় পার করতে হয়। পরিবারের উপার্জনক্ষম কেউ ছিল না। ভরণ-পোষণের জন্য আম্মা আমাদের নিয়ে আশুগঞ্জে মামার বাসায় চলে এলেন। ছয় মাস সেখানে ছিলাম। আব্বা জেলে থাকার সময় ১৫ দিন পরপর আম্মা আমাদের নিয়ে আব্বাকে দেখতে যেতেন। আইনি বিষয়গুলো নিজেই খোজঁ-খবর নিতেন। আব্বাকে রাজশাহী জেলে নেয়ার পর আম্মার জন্য আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এমন সময় গেছে টাকার অভাবে আমাদের একমাত্র ছোট বোনটি অসুস্থ হয়ে পড়লেও তার চিকিৎসা করাতে পারিনি। কিন্তু আম্মা কোনো কিছুর বিনিময়ে কোনো আপস করেননি। অবিচল থেকে আব্বাকে সাহস জোগাতেন। কুষ্টিয়া জেল থেকে আব্বাকে অসুস্থ অবস্থায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি করার পর আম্মা হাইকোর্টে রিট করেন। সেই সময়কার প্রধান বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে দেখা করে বিনাবিচারে আটক করে রাখা আব্বার মুক্তির জন্য তার সহযোগিতা চান।

মাকে নিয়ে গর্বিত এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান, এত অভাব-অনটনের মধ্যেও কোনোকিছু অপূর্ণ রাখেননি তিনি।

আবদুল হামিদের মতোই সহজিয়া জীবনের মানুষ রাশিদা হামিদ। আবদুল হামিদ স্পিকার হওয়ার আগ পর্যন্ত শহরের একটি কিন্ডারগার্টেনে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন।

বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত আবদুল হালিম খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাশিদা হামিদ একজন শিক্ষানুরাগী। এ ফাউন্ডেশন থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। তার পরিবারের লোকজন এটি পরিচালনা করেন। আবদুল হালিম খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু জানান, আপার মতো এমন একজন আদর্শ নারীকে পেয়ে আমরা গর্বিত। ব্যস্ততার মাঝেও মাঝে-মধ্যে ছুটে আসেন কলেজে। সবার খোঁজ-খবর নেন। তিনি আমাদের আদর্শ।

রাশিদা হামিদ বলেন, আমার স্বামী জাতীয় সংসদে সাতবার এমপি হয়েছেন। সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও পরপর দু’বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এটা আমার জন্য অনেক গর্বের। কিন্তু আমি তার পাশে থেকেছি কোনো ক্ষমতার লোভে নয়। একজন ভালো ও সৎ মানুষ হিসেবে যতটুকু পেরেছি প্রেরণা-সাহস জুগিয়েছি। বঙ্গভবনে থাকলেও আমার মন পড়ে থাকে গ্রামে। সেই কোলাহল, শিশুদের মুখরতা আমাকে টানে। আমি মনে করি সততা ও মানুষের ভালোবাসাই আবদুল হামিদকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

‘আমি এখনও সেই আগের মতোই। সংসার জীবন শুরু হয়েছিল কঠিন পরিস্থিতিতে। তখন রাত দেড়টা-দুটার আগে ঘুমাতে পারতাম না। সবাই ঘুমিয়ে গেলে বই নিয়ে পড়তে বসতাম। এভাবেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখনও রাত দুটার আগে ঘুমাতে পারি না’- বলেন রাশিদা হামিদ।

তিনি বলেন, ‘আবদুল হামিদকে কতটা ভালোবাসি তা কেবল আমিই জানি। ওকে কলেজ জীবন থেকেই ভালোবাসি, কারণ সে মানুষকে ভালোবাসে। কারও ক্ষতি করে না। তার সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। এখনও বঙ্গভবনে এসে এলাকার কোনো মানুষ ডাক দিলে সঙ্গে সঙ্গে লাফ দিয়ে উঠে পড়ে। তাকে ভালোবাসা, ভালো লাগার প্রেরণা এটাই।

যা যা পড়তে হবে

নিয়োগ সহায়িকা গাইড বই pdf download, Free Job guide books pdf

সাধারণ জ্ঞান থেকে নিয়োগ পরিক্ষায় আসা প্রশ্ন সমাধান

কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স PDF ডাউনলোড / Current Affairs PDF Download

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

ইংরেজি

ইংরেজি ব্যাকরণ

প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
Parts of Speech প্রশ্ন ও উত্তর লিংক Abbreviations or
Elaboration Terms
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Articleপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক One word Substitutionsপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Appropriate Preposition প্রশ্ন ও উত্তর লিংক English literatureপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Prepositionপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক Sentence Correctionপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Right forms of verbপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক Translation /Vocabularyপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Voice প্রশ্ন ও উত্তর লিংক Spellingপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Narrationপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক Synonym-Antonymপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Phrase and Idioms প্রশ্ন ও উত্তর লিংক Word Meaningপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
prefix and suffixপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক প্রায় ৩০০টি প্রশ্ন উত্তরসহ প্রশ্ন ও উত্তর লিংক

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

বাংলা

বিগত ৩০ বছরে বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ নিয়োগ পরীক্ষায় আষার সকল MCQ নৈবিত্তিক প্রশ্ন সমাধান এক সাথে, নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা থেকে আসা প্রশ্নগুলোর সমাধান প্রশ্ন ও উত্তর লিংক

বাংলা ব্যাকরণ

প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
সন্ধিপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক শেখ হাসিনাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বিপরীত শব্দপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
সমার্থক শব্দপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক জাতীর ৪ নেতাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
শুদ্ধ বানানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বিভিন্ন চুক্তি
বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্ত
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
এককথায় প্রকাশপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক মুক্তিযুদ্ধ সেক্টরপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
তৎসম অর্ধতৎসম তদ্ভব
বিদেশী ও দেশি শব্দ
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক রােহিঙ্গা সমস্যাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
উপসর্গপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বাংলাদেশের জনপদপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
সমাসপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক সংবিধানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বাগধারা, প্রবাদ ও প্রবচনপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক মুক্তিযুদ্ধপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
কারক-বিভক্তিপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বাংলাদেশের ভৌগলিকপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
যুক্ত বর্ণেরপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক কবি সাহিত্যিকের রচনা বা জন্ম মৃত্যুপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
ধ্বনি, বর্ণপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক উপন্যাস/রচনাসমগ্রপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বাক্য (সরল, জটিল, যৌগিক) প্রশ্ন ও উত্তর লিংক ভাষা আন্দোলপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
পদ নির্ণয়প্রশ্ন ও উত্তর লিংক বিখ্যাত স্থানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
দ্বিরুক্ত শব্দ/ দ্বন্দ্ব প্রশ্ন ও উত্তর লিংকস্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রশ্ন ও উত্তর লিংকবাংলাদেশের কৃষ্টি
ও সংস্কৃতি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
প্রকৃতি ও প্রত্যয় প্রশ্ন ও উত্তর লিংক

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

গণিত

প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
দশমিকের (যোগ, বিয়োগ, গুণ*, ভাগ) প্রশ্ন ও উত্তর লিংক বীজগাণিতিক মান নির্ণয় প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
শতকরা, লাভ-ক্ষতি, মুনাফাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক উৎপাদক নির্ণয়, গড়, মধ্যক, প্রচুরক নির্ণয় প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
ল.সা.গু, গ.সা.গু প্রশ্ন ও উত্তর লিংক ত্রিভুজক্ষেত্র, বর্গক্ষেত্র প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
ঐকিক নিয়ম (কাজ, খাদ্য, সৈন্য)প্রশ্ন ও উত্তর লিংক আয়তক্ষেত্রের বেসিক
সূত্রের অংকসমূহ, সরলরেখা
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
অনুপাত:সমানুপাত প্রশ্ন ও উত্তর লিংক গাছের উচ্চতা/
মিনারের উচ্চতা
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
সংখ্যা পদ্ধতি প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
মইয়ের দৈর্ঘ্য/সূর্যের উন্নতি
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বিগত সালে প্রশ্ন প্রশ্ন ও উত্তর লিংক পরিমাপ ও পরিমান প্রশ্ন ও উত্তর লিংক

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

কম্পিউটার

প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
তথ্য ও প্রযুক্তি লিখিত প্রশ্ন উত্তরপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বাংলাদেশের তথ্য

যোগাযোগ প্রযুক্তি
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
কম্পিউটার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক সেটেলাইট-১প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
LAN, WAN
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক কম্পিউটার সংক্ষিপ্ত
শব্দের পূর্ণরুপ
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
গুগলপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেট স্পীডপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
৩জি,৪জি, ৫ জি প্রশ্ন ও উত্তর লিংক

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

General Knowledge (GK) সাধারণ জ্ঞান বিজ্ঞান 

প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
ইতিহাস , সভ্যতা ও সংস্কৃতি প্রশ্ন ও উত্তর লিংক পুরস্কার ও সম্মাননাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
গভর্নর জেনারেল ও
ভাইসরয়দের তালিকা
প্রশ্ন ও উত্তর লিংক খেলাধুলাপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বাংলার শাসন আমল প্রশ্ন ও উত্তর লিংক জিন-কোষপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ুপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক বিভিন্ন রোগব্যাধিপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বিখ্যাত উক্তিপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক পরিমাপক যন্ত্রপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
সংক্ষিপ্ত রূপ বা বিস্তারিত শর্তাবলীপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক রসায়নপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
আন্তর্জাতিক সংস্থার সংক্ষিপ্ত নামপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক ভূগোলপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
আন্তর্জাতিক দিবস ও জাতীয় দিবসপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক পদার্থ বিজ্ঞানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বিভিন্ন দেশের আয়তন ও রাজধানী প্রশ্ন ও উত্তর লিংক জীববিজ্ঞানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নামপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক গাণিতিক পরিমাপের এককপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
বাংলাদেশের আলােচিত ঘটনাবলীপ্রশ্ন ও উত্তর লিংকসাধারণ বিজ্ঞানপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক
সাম্প্রতিক সোস্যাল মিডিয়াপ্রশ্ন ও উত্তর লিংক

নিয়োগ পরীক্ষার নৈবিত্তিক ও লিখিত প্রশ্ন সমাধান লিংক

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান

গণিত লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসমাধান / উত্তর লিংক আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
সমাধান / উত্তর লিংক
বাংলাদেশ লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান সমাধান / উত্তর লিংক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসমাধান / উত্তর লিংক
ইংরেজি লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান সমাধান / উত্তর লিংক মানসিক দক্ষতা লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান সমাধান / উত্তর লিংক
বাংলা ১ম ও ২য় পত্র লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধানসমাধান / উত্তর লিংক
Paragraph & Composition উত্তর লিংক ভাবসম্প্রসারণ, রচনা উত্তর লিংক
আবেদন পত্র/ Application form উত্তর লিংক প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ রচনা উত্তর লিংক

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

চাকুরি

    Leave a Comment