জগিংয়ের উপকারিতা অনেক। ওজন কমানো ছাড়াও হার্ট, ফুসফুস, হাড়, অস্থিসন্ধি, ঘাড়, কোমর, হাঁটু ভালো রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ শরীরের সব অঙ্গের সুস্থতার জন্য এটা খুব জরুরি। তবে সাইক্লিং ও সাঁতার বেশি উপকারী। সম্প্রতি স্ক্যান্ডেনেভিয়ার একটি স্পোর্টস জার্নাল মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্সের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, শরীরচর্চায় দৌড়ানোর চেয়ে বেশি ভালো সাইক্লিং ও সাঁতার। এতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমে, পেশি নমনীয় হয়, ওজন দ্রুত কমে আসে।
দৌড়ের ক্ষেত্রে পায়ের পেশি সুগঠিত হয় ঠিকই, তবে সাঁতারে সব পেশি শক্তিশালী হয়। পেটের পেশিতে আরও জোর বাড়ে। আমেরিকান জার্নাল অব অ্যাপ্লায়েড ফিজিওলজির এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, সাঁতারের ফলে হাড়ের ওজন বাড়ে এবং তা দৃঢ় হয়। সাঁতার ও সাইক্লিং হার্টের বিভিন্ন সমস্যায় ভালো কাজ দেয়। হার্টের পেশি সুদৃঢ় করে। ট্রেডমিলে দৌড়ানো থেকে আরও দ্রুত ক্যালোরি ঝরায় সাঁতার। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৯০ ক্যালোরি খরচ হয় সাঁতার কাটলে। হাঁপানি রোগের সমস্যা মিটে যায়। দুশ্চিন্তা ও অবসাদ কাটাতে জগিংয়ের চেয়েও সাঁতার ও সাইক্লিং অনেক বেশি উপকারী।
ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলিনার সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চমকপ্রদ তথ্য। যারা নিয়মিত সাঁতার কাটেন, যে কোনো রোগে তাদের মৃত্যুর হার ২৮ শতাংশ কমে যায়। হৃদরোগে মৃত্যুর হার তাদের ক্ষেত্রে কমে ৪১ শতাংশ। যারা নিয়মিত সাইক্লিং করেন, যে কোনো রোগে তাদের মৃত্যুর হার কমে ১৫ শতাংশ। হৃদরোগে মৃত্যুর হার তাদের ক্ষেত্রে কমে ৩৬ শতাংশ। কিন্তু যারা নিয়মিত জগিং করেন, তাদের মৃত্যুর হার সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। হৃদয়ের যত্ন নিন।
লেখক : বাতব্যথা, প্যারালাইসিস রোগে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ