শস্য বীমা কাকে বলে? বীমার গুরুত্ব , বাংলাদেশে কৃষি ক্ষেত্রে শস্য বীমার ঝুঁকিসমূহ?

কৃষি প্রধান দেশে বন্যা খড়া ইত্যাদির কারনে কৃষি উৎপাদন ও উৎপাদিত শস্য বিনিষ্ট হয়। কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়নে নিরাপত্তা এবং বিপদে ঝুঁকি গ্রহনের জন্য আমরা কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।
নির্দেশনাঃ

ক. শস্য বীমা কাকে বলে সংক্ষেপে লিখতে হবে।

খ. কৃষি ক্ষেত্রে শস্য বীমার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।

গ. বাংলাদেশে কৃষি ক্ষেত্রে শস্য বীমার ঝুঁকিসমূহ আলোচনা করবে।

উত্তর সমূহ:

ক. শস্য বীমা কাকে বলে সংক্ষেপে লিখতে হবে।

উত্তর:

শস্য বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আমাদের দেশের মত উন্নয়নশীল দেশে এ
সমস্যা আরো ব্যাপক। শস্য ক্ষতির পেছনে কারণগুলো হলো বন্যা, শিলা বৃষ্টি, অতি বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

এতে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়ে থাকে। এ ধরনের আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলা করার জন্য যে বীমা পত্র গ্রহণ করা হয় তাই শস্য বীমা। এখানে উলে−খ করা যেতে পারে যে, সর্বপ্রথম জামানিতে শস্য বীমার গোড়াপত্তন হয়। পরবর্তিতে আমেরিকা, জাপান ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শস্য বীমার ব্যপকতা লাভ করে। বর্তমানে প্রায় সকল
দেশেই শস্য বীমার পচলন আছে। আমাদের বাংলাদেশে ১৯৭৭ সাল থেকে শস্য বীমার প্রবর্তন হয়। প্রাথমিক ভাবে আমাদের দেশে ধান, পাট, গম ও ইক্ষু শস্য বীমার আওতায় আনা হয়।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

খ. কৃষি ক্ষেত্রে শস্য বীমার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।

উত্তর:

আমাদের বাংলাদেশ এখনও কৃষি প্রধান দেশ। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি আজও কৃষির
উপর নির্ভরশীল এবং অধিকাংশ কৃষিই প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। তাই আমাদের দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কৃষি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে বলে এদেশে শস্য বীমার গুরুত্ব অত্যাধিক।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

শস্য বীমার গুরুত্ব বর্ণনা করা হলো ঃ


১. নিরাপত্তা ঃ শস্য বীমা যে কোন ধরনের শস্য ক্ষতি বা দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতি পূরণ করে থাকে বিধায় শস্যের ক্ষতি হলে কৃষিতে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ নিঃস্ব হয়ে থায় না। তাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা শস্য বীমার মাধ্যমে পেয়ে তাকে।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

২. উৎপাদন বৃদ্ধি ঃ শস্যের বীমা ব্যবস্থা চালু থাকাতে শস্য ঝুঁকি বীমাকারীরা বহন করে। ফলে উৎপাদনকারীগণ উৎপাদনে স্বস্তি পায় ও উৎসাহ বোধ কলে। ফলে দেশের শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

৩. মিতব্যায়িতা ঃ বীমা মানুষকে মিতব্যয়ী হতে উৎসাহিত করে। তাই শস্য বীমা ব্যবস্থা চালুর ফলে কৃষকদের মধ্যে মিতব্যয়িতা বৃদ্ধি পায়।

৪. গুদামজাত করণঃ উৎপাদিত শস্য উৎপাদনের শেষেই সব ব্যবহৃত হয় না। তাই গুদামজাত করণ করে রাখতে হয়। এ ধরনের বীমার নিশ্চয়তা থাকায় উৎপাদকগণ ভাবনা হীন ভাবে দীর্ঘদিন মাল মজুত করে রাখতে উৎসাহিত হয়।

৫. ঋণ সুবিধাঃ শস্য বীমার ফলে বিভিন্ন ব্যাংক ও বিভিন্ন ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান কৃষকদেরকে ঋণ দিতে নিরাপদ বোধ করে। প্রয়োজনে বীমাকারীরাও কৃষি কাজে ঋণ দিয়ে তাকে। ফলে কৃষকের ঋণের সুবিধা বৃদ্ধি পায়।

৬. সঞ্চয় বৃদ্ধি ঃ বীমা ব্যবস্থা মানুষকে সঞ্চয়ী করে তুলে। শস্য বীমার মাধ্যমেও মানুষ সঞ্চয়ী হতে শিখে।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

৭. মূলধন গঠন ঃ অন্যান্য বীমার ন্যায় শস্য বীমার মাধ্যমেও মূলধন গঠন হয়ে থাকে যা বিনিয়োগে সহায়ক হয়।

৮. শিল্প উন্নয়ন ঃ শস্য বীমার মাধ্যমে বীমা কোম্পানী যে মূলধন সংগ্রহ করে তা লাভজনক প্রকল্পে বিনিয়োগ করে থাকে। ফলে দেশে শিল্প কারখানা গড়তে সহায়ক হয়।

৯. সুগঠিত বাজার সৃষ্টিঃ অনেক দেশেই পণ্যের বাজার সুগঠিত নয়। শস্য বীমার ফলে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার কারণে কৃষকরা সুগঠিত বাজার গঠতে ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হয়।

১০. অর্থনৈতিক উন্নয়নঃ শস্য বীমার ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সম্পদের সুরক্ষা ও মুদ্রাস্ফীতি রোধের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখে।

১১. উপকরণ সরবরাহ: কৃষিতে উপকরণ আবশ্যক। কিন্তু কৃষকদের সাধারণভাবে উপকরণ ক্রয় করা কষ্টসাধ্য। কিন্তু শস্য বীমা থাকার ফলে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যায়। যার মাধ্যমে কৃষি উপকরণ সংগ্রহ করতে সহজ হয়।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

গ. বাংলাদেশে কৃষি ক্ষেত্রে শস্য বীমার ঝুঁকিসমূহ আলোচনা করবে।

উত্তর:

বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক প্রয্ুিক্ত, সার, উন্নত বীজ, কীটনাশকের ব্যবহার ইত্যাদি কারণে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। তথাপিও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায়ই বিপুল পরিমাণ ফসল নষ্ট হয়ে যায়। শস্য বীমা, মৎস্য বীমা, গবাদিপশু বীমা ইত্যাদি বীমা সেবা ব্যাপকভাবে প্রচলন করে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা যায়। ইতিপূর্বে পাইলট কর্মসূচী গ্রহণ করে স্বল্প পরিসরে এ সকল অপ্রচলিত বীমা চালু করা হয়েছিল।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

তবে বীমা সম্পর্কে অনীহা, স্বল্প সংখ্যক পলিসি, এলাকাভিত্তিক আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র না থাকা ইত্যাদি কারণে কৃষি বীমা সফলতা পায়নি। উন্নত দেশে কৃষি বীমা ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। কৃষির জন্য পৃথক বীমা কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে বীমা সেবা সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে বীমার আওতায় আনা হলে, কৃষকদের সর্বশান্ত হওয়ার ভয় থাকবে না।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

 “কৃষি ও শষ্য বীমা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিকে পুষিয়ে নিতে কৃষককে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করবে এবং বাজারে কৃষি পণ্যের দামের পচনশীলতা থেকেও রক্ষা করতে এ বীমা সক্ষম হবে। ”

শস্য বীমার অন্য সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে- উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহ চ্যানেল নির্ধারণ ও স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন স্থাপন, স্টেশনের মাধ্যমে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার মাত্রা নির্ণয়, কৃষকের মধ্যে সচেতন সৃষ্টি, কৃষিবান্ধব রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন এবং বীমাসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া।

সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে হাওগের কৃষক জানমাল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর আর্থিক বিপর্যের মুখোমুখি হয়ে একবারেই নিঃস্ব হয়ে পড়ে। ফলে সামাজিক অস্থিরতা দেখা দেয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পুনরায় উৎপাদনে ফিরতে পারে না। এতে কৃষি উৎপাদনে ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।

আগাম ও স্বাভাবিক বন্যা, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফসলের ক্ষতির জন্য হাওড়ের কৃষককে ত্রাণ, নগদ সহায়তা, প্রণোদনাসহ নানা ধরনের সহায়তা দরকার

কিন্তু কৃষক এ ধরনের কর্মসূচিতে সাময়িক সহায়তা পেলেও দীর্ঘমেয়াদে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগসৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিকে শস্য বীমায় রূপান্তর করা গেলে কৃষকের অনিশ্চয়তা দূর করতে পারে। শস্য বীমা চালুর কিছুটা চ্যালেঞ্জও শনাক্ত করা হয়েছে।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে- জনসচেতনতা, অবকাঠামোগত সমস্যা, কারিগরি, রেগুলেটরি, বীমা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার অভাব, বিতরণ মাধ্যম ও কৃষকের আর্থিক সচ্ছলতা।

ফলে বীমার কিস্তি কৃষকের কাছে বাড়তি বোঝা মনে হতে পারে। আগে শস্য বীমা না থাকায় তা বাস্তবায়ন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে শস্য বীমা চালু করা কঠিন হবে। এরপরও সরকার চ্যালেঞ্জ নিয়ে শস্য বীমা চালু করবে।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)] 

জানা অজানা

2 thoughts on “শস্য বীমা কাকে বলে? বীমার গুরুত্ব , বাংলাদেশে কৃষি ক্ষেত্রে শস্য বীমার ঝুঁকিসমূহ?”

Leave a Comment