শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা,শিক্ষায় ইন্টারনেট :সুবিধা অসুবিধে, লেখা পড়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা, বতমান শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা,শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ও উপকারিতা,শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট অপব্যবহার

প্রশ্ন সমাধান: শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা,শিক্ষায় ইন্টারনেট :সুবিধা অসুবিধে, লেখা পড়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা, বতমান শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা,শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ও উপকারিতা,শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট অপব্যবহার

শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা

বর্তমানে সময়ে আমরা সকলেই জানি যে শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার কতটা গরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেটের ব্যবহার বর্তমান সময়ে মোটেও নতুন নয়। যুগের পর যুগ ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাসে কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অনেক বড় ভূমিকা রাখছে। 

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট ছাড়া মানুষের দৈনিন্দ জীবন কল্পনাও করতে পারেনা। মানুষ যেমন ইন্টার ছাড়াও চলতে পারেন তেমনি শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টার ছাড়াও প্রায় অচল। কারণ শিক্ষার যক কাজ কর্ম রয়েছে সবকিছু ইন্টারনেরটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে মাধ্যমে আপনি শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার

অফিস আদালত থেকে শুরু করে ব্যংকিং দপ্তর সকল ক্ষেত্রেই ইন্টার অনেক বড় ভূমিকা রাখে। ঠিক তেমনই শিক্ষা ক্ষেত্রে সংস্কার ঘটেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই। ডিজিটাল পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ইন্টারনেট লারর্নিং এপ্লিকেশন। এই এপ্লিকেশন গুলোর মাধ্যমেই শিক্ষা দান করাচ্ছে।  

ভারতের মতো দেশে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে অনলাইন শিক্ষার হার বেড়ে গেছে অনেক। করোনা মাহামারির কারণে শিক্ষার প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে ইন্টার সেটিকে সহজ ভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। 

অনলােইন স্কুল কলেজ অথবা ই- ক্লাসের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদেরে বাড়ি থেকেই মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ক্লাস করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৯ সালের আগে থেকেই শিক্ষ বিষয়ক বিভিন্ন ইউটিউবে টিউটেরিয়াল, লার্নিং ওয়েব সাইট, ইত্যাদির ব্যবহার অকে আগে থেকেই প্রচলিথ ছিল। 

কিন্তু লকডাউন আসার পর থেকে ইন্টানেটের ব্যবহার ব্যপক হারে বেরে গেছে। পরিক্ষায় দেখা গেছে করোনা মহামারি আসার পর থেকেই অনলাইনে শিক্ষা প্রদান, ভিডিও কনফারেন্সিং টুল, অনলাইন লার্নিং সফটওয়্যারের ব্যবহার ব্যপক গুনে বেড়েছে। 

আধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষার ব্যবহার ব্যপক ভাবে শিক্ষা জগতের প্রগতিশিলতা ও দ্রুততা নিয়ে এসেছে। 

শিক্ষায় ইন্টারনেটের উপকারিতা

শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করারা ফলে শিক্ষার্থী বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হয়ে আসছে। নিচে শিক্ষায় ইন্টারনেনেট ব্যবহারের উপকারিতা কয়েকটি পয়েন্টের মাধ্যমে জানানো হলো-

১. ইন্টারনেট শিক্ষা প্রদান বহুলাংশে সাশ্রয়ী

ইন্টারনেনেটর মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করার ফলে শিক্ষা প্রদানের খরছ অনেক আংশে কমে গেছে। অনেক কম খরচে ইন্টারনেট পরিসেবা উপলব্ধ হওয়ার ফলে শিক্ষা মাধ্যমে এর ব্যপক ব্যবহার সম্ভব হয়েছে। 

এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিনামূলে ইউটিউবে ভিডিও দেখে অনেক কিছু শেখা যায়। যার ফলে যেকোনো ধরনের অর্থনিতির স্তরের মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে ইন্টানেটের মাধ্যমে। 

এছাড়াও পড়াশোনার জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজন গাইড বা সমাধান পত্র যেটা নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যায়। তবে ইন্টারনেট এই বিষয়টি অনেক সহজ করে দিয়েছে। 

ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুগলে প্রায় সকল শ্রেণির গাইড বা সমাধান পত্র পাওয়া যায়। কম ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথবা পরিচিত কারো WiFi দিয়ে সেই গাইড গুলো PDF আকারে করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে অনেক সাশ্রয় হয়। 

২. উন্নতম মানের শিক্ষার পদ্ধতি

ইন্টারনেনেটর মাধ্যমে অসখ্য উন্নতম মানের টিউটেরিয়াল ওয়েব সাইট রয়েছে যেখান থেকে ছাত্রছাত্রীরা নিজের ইচ্ছামতো যেকোনো বিষয়ে জ্ঞন অর্জন করতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের লার্নিং টুল ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন শিক্ষার সামগ্রী বা মেটেরিয়াল সংগ্রহ করে নিতে পারে। 

এছাড়াও ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষগত বিভিন্ন প্রকার শিক্ষানীয় ভিডিও বা ক্লাস খুব সহজেই ছাত্রদের কাছে পৌছে দিতে পারে। 

৩. নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষক- ছাত্র সংযোগ

আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে স্কুল বা কলেজে পাঠ দান শেষ হয়ে যাওয়ার পর, ছাত্রদের পড়াশোনা বিষয়ে যদি কোনো ঘটকা থাকতো তা সমাধানের জন্য পরবর্তী ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। যার ফলে ছাত্রদের সময় এবং পড়ার প্রতি আগ্রহ দুটই হাড়িয়ে যেত। 

কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যম চলে আসার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আধুনিক প্লাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে যোগাযোগ করে যেকোনো সমস্যার সামাধান করে নিতে পারে। এতে করে শিক্ষক এবং ছাত্রদের সংযোগ ভালো থাকে এবং লেখাপড়ার গতিকে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। 

৪. মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার বিস্তার

বর্তমান সময়ে ক্লাসরুমে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা হলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইন্টারনেনেটর মাধ্যমেই অনেক ইন্টারক্টিভ অডিও ভিসুয়াল টিউটেরিয়াল রয়েছে। বিজ্ঞানের গবেষণা অনযায়ী এই দৃশ্য-শ্রাব্য কনন্টেন্ট পড়াশোনা মনে রাখতে বিশেষ ভাবে সাযা্য করে। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। 

৫. সময় উপযোগী তথ্যের উপলব্ধতা 

ইন্টারনেটের মধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য কিছুদিন পর পরই আপডেট হতে থাকে। এজন্য যেকোনো বিষয়ই হোকনা কেন, ইন্টারনেটের মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য মিনিটে মিনিটে নতুন তথ্যের দ্বারা আপডেট হওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়। এর কারনে ছাত্রছাত্রীরা সহজেই তাদের যেকোনো বিষয়ের উপরে নতুন নতুন তথ্য জানতে এবং পড়তে পারে। 

উপরের এই কয়েকটি পয়েন্ট ছাড়াও আরো বেশ কিছু পয়েন্ট রয়েছে শিক্ষায় ইন্টারনেটের উপকারিতার। তবে সবসময় যে ইন্টারনেট আমাদের সুবিধায় দেয় তা কিন্তু নয়। মাঝে মাঝে ইন্টারনেটের কারণে শিক্ষার্থীদের অনেক বড় ক্ষতিও হয়ে যাচ্ছে। এখন চলুন শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট আমাদের কি কি ক্ষতি সাধন করছে সেই বিষয়ে জানা জাক। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

 শিক্ষায় ইন্টারনেটের অপকারিতা

যুগের পর যুগ ইন্টারনেট যেমন আমাদের উপকার করে আসছে ঠিক তেমই অপকারও করে আসছে। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টার কি কি অপকারিতা করছে সেই বিষয়ে কয়েকটি পয়েন্ট নিচে দেওয়া হলো-

১. ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি

করোনা ভাইরাসের সময় অনেক অভিভাবকদের অভিযোগ ছিলো অনলাইনে ক্লাস হয়ে যাওয়ার পর ছাত্রদের মধ্যে ইন্টারনেনেটর আসক্তি তৈরি হচ্ছে। এটা অপরিণত মস্তিস্কের জন্য অনকে ক্ষতির কারণ। 

অনলাইনে ক্লাস করাটা যেহেতু আন্টারনেট এবং যান্ত্রিক নির্ভর হয়ে গেছে সেহেতু ছাত্ররা বিভিন্ন ধরনের অযুহাতে ইন্টানেট ব্যবহারের আসক্তিতে পড়েছে। যা তাদের শিশু মনে অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমনকি তাদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হাড়িয়ে যেতে পারে। 

২. সঠিক ইন্টারনেট প্রযুক্তির অভাব

বর্তমানে দেশের অনেক স্থান রয়েছে যেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা অনেক দূর্বল। এজন্য সেখানকার ছাত্রদের পড়াশোনা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই নিম্নমানে ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য। এছাড়াও ইন্টারনেট যেহেতু বিদ্যুৎ পরিষেবার উপর নির্ভর করে সেহেতু যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা খারাপ, সেসব এলাকার ছাত্ররা সঠিক ভাবে ক্লাস করতে পারে না। তাদের জন্য লেখাপড়া করাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। 

৩. দরিদ্র

বর্তমান বিশ্বের অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন পেক্ষাপটের হয়ে থাকে। এজন্য অনেকেই অর্থের অভাবে ইন্টানেটের পরিসেবা নিতে পারে না অথবা স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারে না। এজন্য বিশ্বের অনেক ছাত্র ছাত্রী করোনা ভাইরাসের লকডাউনে লেখাপড়া ছাড়তে হয়েছিল। 

৪. শারীরির ও মানসিক ক্ষতি

শিক্ষায় ইন্টারনেটের আরো একটি ক্ষতিকর দিক হলো শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতি। একটা আধুনিক যন্ত্রের সামনে যদি থাকা যায়, তা থেকে যে রশ্মি বের হয় সেটা আমাদের শারীরিক ক্ষতির জন্য অনেক দায়ী। 

এছাড়াও এক টানা যদি কম্পিউটার বা মোবাইলের স্কিনের দিকে যদি তাকিয়ে থাকা যায় তাহলে চোখের জন্য অনেক ক্ষতি। এজন্য অনেক সময় অল্প বয়সেরই ছাত্রদের চোখে সমস্যা হয়, যার ফলে দেখবেন অনেকেই চশমা ব্যবহার করে। এজন্য সবসময় ইন্টারনেট ব্যবহার ছাত্রদের জন্য ডেকে আনতে পারে 

উপসংহার

শিক্ষায় যেমন ইন্টানেট ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমই অসুবিধাও রয়েছে। আমাদের সকলেই একটা কথা মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত সবকিছুই জন্ম দেয় নানা ধরনের অসুবিধা যেটা যেকোনো বিষয়ে হতে পারে। এজন্য আমাদের সকলের ইন্টারনেট ব্যবহার করায় অনেক সতর্ক থাকতে হবে। 

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment