বিষয়:শিশুর ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়,শিশুদের ডেঙ্গু ও আমাদের করণীয়, শিশুদের ডেঙ্গু’র লক্ষণ ও করণীয়, শিশুদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় ও বিশেষ সচেতনতা, শিশুর ডেঙ্গু জ্বরে যা করবেন
বাচ্চাদের মধ্যে এই রোগ পরিবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকার কারণ শুধুমাত্র এই নয় যে তাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা কম। এ ছাড়াও অন্য কারণ হলো ডেঙ্গু পরিবহনকারী মশারা দিনের বেলায় কামড়ায়। আবার শিশুরা নিজেরা মশার কামড় খাওয়া প্রতিরোধ করতে পারে না।অতএব, আমাদের জন্য এটি বোঝা অত্যন্ত আবশ্যক যে কীভাবে আমরা এই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো ব্যাধিকে আটকাতে সক্ষম হবো, বিশেষ করে বাচ্চাদের মধ্যে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
মাথাব্যথা, শরীরের মাংস পেশির ব্যথা, হাত ব্যথা, র্যাশ ওঠা, বমিভাব বা বমি, পাতলা পায়খানা।
ডেঙ্গুর হেমোরেজিক জ্বর
২-৭ দিনের টানা বেশি জ্বর, রক্তপাত হওয়া।
কোন জ্বর ডেঙ্গু বলে মনে করা যেতে পারে
ডেঙ্গু হয় এমন কোনো স্থানে বাস করা বা সেখানে বা সেখানে বেড়াতে গিয়েছিল, বমি ভাব, বমি, র্যাশ, শরীর ব্যথা।
ডেঙ্গুর হুঁশিয়ারি চিহ্ন
প্রচ- ব্যথা, বমি তিন দিনে, পাতলা পায়খানা তিন দিনে, মুখ ও নাক দিয়ে রক্তপাত, নেতিয়ে পড়া, অস্থির।
কোন রোগীর গুরুত্ব বেশি
বয়স ১ বছরের মধ্যে হলে, ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন থাকলে, হার্টের রোগ থাকলে, রক্তরোগ থাকলে, যেসব বাচ্চা স্টেরয়েড বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খায়।
ডেঙ্গু জ্বর মনে হলে কি করবেন
হুঁশিয়ারি চিহ্ন থাকলে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে এবং এমন অবস্থা থাকলে তাকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
কাকে বাসায় চিকিৎসা করা যাবে
স্বাভাবিকভাবে খেতে পারলে, কোনো হুঁশিয়ারি চিহ্ন না থাকলে, জ্বর থাকলে বাবুকে দেখতে সুস্থ মনে হলে।
বাড়িতে কি চিকিৎসা দেবেন
বিশ্রামে রাখতে হবে, তরল খাবার বেশি খাবে, জ্বর কমাতে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল ওষুধ খাবে, শরীর মুছে দিতে হবে, প্রস্রাবের পরিমাণ খেয়াল রাখতে হবে, হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয় কিনা খেয়াল রাখতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়
* বর্ষা (এপ্রিল-অক্টোবর) ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ে এ সময় অধিক সতর্ক থাকুন।
* ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিশ মশা পরিষ্কার পানিতে বংশবিস্তার করে, তাই অফিস ঘর ও বাড়ির আশপাশে পানি জমতে দেবেন না। যেকোনো পাত্রে জমিয়ে রাখা বা জমে থাকা পানি ৩ দিনের মধ্যে পরিবর্তন করুন।
* এডিশ মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়। যথাসম্ভব লম্বা পোশাক পরুন। দিনে ঘুমানোর ক্ষেত্রেও মশারি ব্যবহার করুন।
ডেঙ্গু প্রতিকারে করণীয়
* তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা ও মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে লালচে দানা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হলেও সাম্প্রতিককালে এর ব্যতিক্রম পাওয়া যাচ্ছে।
* জ্বর হলে প্যারাসিটামল ব্যতীত অন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ান।
* জ্বর হলে ডেঙ্গু হয়েছে কিনা তার পরীক্ষা করুন।
* জ্বর ভালো হওয়ার পরও ডেঙ্গুজনিত মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।