অতি আদরের ছোট্ট সোনামনিটার তুলতুলে, কোমল নিতম্বে বা ডায়াপার এরিয়াতে ফুসকুড়ি অর্থাৎ র্যাশ দেখা যাওয়ার সাথে সাথে মায়ের কপালে স্পষ্ট হয়ে ওঠে দুশ্চিন্তার রেখা। শিশুর কোমল, নাজুক ত্বকে ডায়াপার র্যাশ অধিকাংশ নতুন মায়েদের দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ। বিশেষ করে আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়েমৌসুমী অন্যান্য রোগের প্রকোপের পাশাপাশি এটি মায়েদের দুশ্চিন্তায় বিশেষ মাত্রা যোগ করে। এমন দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই পেতে মায়েরা অনেকাংশে নির্ভর করেন র্যা্শ ক্রিমের ওপর। বলে রাখা ভালো আপনার আদরের শিশুটির র্যাশ হোক কিংবা না হোক প্রতিবার নতুন ডায়াপার পরানোর আগে ডায়াপার এরিয়া পরিষ্কার করে সেখানে র্যাশ ক্রিম ব্যাবহার করা উচিত।
ঘর আলো করে সদ্য আসা ফুটফুটে শিশুটির যত্নের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে ডায়াপার বা ন্যাপি অন্যতম। নাগরিক জীবনে ডায়াপারের ব্যবহারও বেড়েছে কয়েকগুণ, সেইসঙ্গে বেড়েছে র্ র্যাশ ক্রিমেরও ব্যবহার। সাধারণত শিশুর বয়স আড়াই বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ডায়াপার পরানো হয়ে থাকে। ডিসপোজেবল ও সুতি—দুই ধরনের ডায়াপার শিশুকে পরানো হয়। কিন্তু ছোট্ট শিশুর ক্ষেত্রে যে ধরনের ডায়াপার বা পোশাকই পরানো হোক না কেন, যে সমস্যাটা হয়ে থাকে তার ঝুঁকি একই। আর তা হলো ডায়াপার র্যায়শ। কারণ, ডায়াপারের প্রধান কাজ হলো শিশুর মলমূত্র ধারণ করা। সহজ কথায় যেহেতু শিশুর শরীরের নিন্মাংশের এই পোশাকটি প্রস্রাব ও পায়খানার সংস্পর্শে বেশি আসে, তাই এই সময়ে শিশুর ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হয়। র্যাশ হোক কিংবা না হোক শিশুর ডায়াপার পরার দিনগুলোতে র্যায়শ ক্রিমের নিয়মিত ব্যবহার তাই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুর কোমল সংবেদনশীল ত্বক যখন বেশকিছু সময় ধরে অথবা বারবার প্রস্রাব ও পায়খানার সংস্পর্শে আসে, তখন ডায়াপার এরিয়ায় সৃষ্ট আর্দ্রতার কারণে ত্বকের তৈলাক্ত প্রাকৃতিক স্তরের প্রতিরোধ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি ত্বকে লেগে থাকা প্রস্রাব ও পায়খানা থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্ম নিতে পারে। এতে ত্বক লালাভ চাকার মতো হয়ে ফুলে ওঠে অর্থাৎ ত্বকে ফুসকুড়ির মতো দেখা যায়, যা ডায়াপার র্যাশ নামেই পরিচিত। এটা যে কেবল ডায়াপার পরালেই হয়, এমন না। শিশুর নিচের পোশাকটি কাপড়ের কিংবা একবার ব্যবহারযোগ্য কোনো জিনিসেরই হোক না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই ডায়াপার র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
সৌভাগ্যক্রমে ডায়াপার র্যাশ তেমন বড় কোন জটিলতা সৃষ্টি করে না। তবে এর কারণে শিশু অস্থির হয়ে ওঠে এবং কান্নাকাটি করে। শিশুর স্বস্তির কথা ভেবেই এই সময়টাতে শিশুর প্রতি একটু বাড়তি লক্ষ্য রাখতে হবে।
ডায়াপার র্যাশ থেকে মুক্ত রাখতে নির্ধারিত সময় পরপর শিশুর ডায়াপার বদলানো, সঠিক ডায়াপার বাছাই করা, ডায়াপারের ওপর অতিরিক্ত প্লাস্টিক প্যান্ট না পরানো এবং নিয়মিত র্যাশ ক্রিম লাগানো ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য রাখা উচিত। প্রতিবার নতুন ডায়াপার পরানোর আগে ডায়াপার এরিয়াতে অবশ্যই ভালোমানের র্যাশ ক্রিম লাগানো উচিত।
সেজন্য প্রতিবার শিশুর ডায়াপার এরিয়া ধুয়ে দেওয়ার পর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে সেখানে ভালো মানের র্যাশ ক্রিম লাগিয়ে নিতে হবে এবং ব্যবহৃত ডায়াপার বদলে নতুন ডায়াপার পরানোর ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বিরতি দিতে হবে। র্যাশ ক্রিমের নিয়মিত ব্যবহারে শিশু শঙ্কামুক্ত থাকে। র্যাশ ক্রিম ব্যবহার করলে শিশুর ডায়াপার এরিয়ার ত্বকে একটি নিরাপদ সুরক্ষা আস্তর তৈরি হয়, এই আস্তরটি পানি নিরোধক হওয়ায় শিশুর ত্বক থাকে সুরক্ষিত।
বর্তমানে বাজারে বেশ ভালো মানের র্যাশ ক্রিম পাওয়া যাচ্ছে। শিশুর নাজুক ত্বকের সুরক্ষা বিবেচনায় অধিকাংশ মায়েদের এখন বিশেষ পছন্দ প্যারাস্যুট জাস্ট ফর বেবি র্যাশ ক্রিম। এই ক্রিমটি শতভাগ নিরাপদ উপাদানে তৈরি এবং এতে কোনো কৃত্রিম রঙ ও প্যারাবেন ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিজ্ঞ মায়েরা নতুন মায়েদের এই ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সকলের পরিচিত ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড প্যারাস্যুটের আস্থায় তৈরি জাস্ট ফর বেবি র্যাশ ক্রিমটি শতাভাগ নিরাপদ উপাদান সমৃদ্ধ, পিএইচ ব্যালেন্সড, রঙ মুক্ত, প্যারাবেন মুক্ত এবং সেফ কসমেটিক্স অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক ‘মেডসেফ প্রত্যায়িত’। জলপাই, নিম ও জিংক অক্সাইডের মিশ্রণে তৈরি প্যারাস্যুট জাস্ট ফর বেবি র্যাশ ক্রিম শিশুর র্যাশ জ্বালাপোড়া, চুলকানিভাব ও শুষ্কতা প্রশমিত করে এবং ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রেখে শিশুর ত্বককে রাখে সুরক্ষিত। এই র্যাশ ক্রিমে থাকা জিংক অক্সাইড র্যাশের চিকিৎসায় দারুণ কার্যকরী। এটি জ্বালাপোড়া কমায়, সংক্রমণ রোধ করে এবং ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, প্রতিবার নতুন ডায়াপার পরানোর আগে ডায়াপার এরিয়া পরিষ্কার করে সেখানে অবশ্যই এই র্যাশ ক্রিমটি লাগাতে হবে। এটি শিশুর কোমল ত্বককে র্যাশমুক্ত, কোমল, ময়েশ্চারাইজড ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, আর মায়েদের রাখে দুশ্চিন্তামুক্ত।