বিষয়: শুক্রানু ঘন করার খাবার ও উপায় জেনে নিন,শুক্রানু ঘন করার ৪ টি সহজ পদ্ধতি,শুক্রানু ঘন করার উপায়,শুক্রানু হবে ঘন আঠার মতো ও শরীরে বাড়বে বল,শুক্রানু ঘন করার প্রাকৃতিক উপায়,শুক্রানু ঘন ও গাঢ় করার জন্য কি খাবার খেতে হবে বা কি করতে হবে?
বীর্য (Semen) ঘন করার উপায় নিয়ে ছোট থেকে বৃদ্ধ, আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা সবার মধ্যেই একটি কৌতুহল কাজ করে। কিশোর বয়স থেকেই অনেকেই হস্তমৈথুন করে শুক্রক্ষয় করে থাকে।
এতে করে শারীরিক ও মানসিক অনেক ধরণের জটিলতা দেখা যায় । যার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়া ।
হস্তমৈথুন ছাড়াও আরও অনেক কারনেই বীর্য পাতলা হতে পারে। এছাড়াও ঘুম কম হওয়া, অতিরিক্ত চিন্তা এর কারনে ,মানসিক বা শারীরিক চাপ এর কারনে বীর্য পাতলা হয়।
এক মিনিটে দেখে নিন, বীর্য (Semen) কেন পাতলা হয়, হলে কি কি সমস্যা হতে পারে ও বীর্য ঘন করার উপায় কি কি!!
বীর্য পাতলা কেন হয়? | বীর্য পাতলা হলে সমস্যা কি? | বীর্য ঘন করার উপায় |
যথেচ্ছ অনিয়ম | শুক্রানুর কাউন্টিং কম হয় | পুস্টিকর খাদ্যাভ্যাস |
অত্যাধিক হস্তমৈথুন | পুরুষত্বহীনতা দেখা যায় | নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন |
ধুমপান, মদ্যপান | সন্তান জন্মদানে জটিলতা থাকে | |
অতিরিক্ত চিন্তা ও মানসিক চাপ | ||
অনিদ্রা |
তবে নিয়মিত পুস্টিকর খাবার খেলে এবং সঠিক ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলে বীর্য ঘনত্ব বাড়ানো সম্ভব। এই লেখাতে এই নিয়েই থাকছে বিস্তারিত ।
নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার যেমন প্রতিদিন দুধ, ডিম, মধু খেলে স্বাভাবিক ভাবেই বীর্য ঘন হয় । তবে এখানে বিশেষ কিছু খাবারের কথা আলোচনা করা হলো যা খেলে আপনার বীর্য ঘন হবার সাথে সাথে শুক্রানুর পরিমান বৃদ্ধি পাবে। যেসব খাদ্য নিয়মিত খেলে বীর্য ঘন হবে।
বীর্য পাতলা হলে কি কি সমস্যা হতে পারে
১। শুক্রানুর কাউন্টিং কমে যায়।
২। পুরুষত্বহীনতা দেখা যায়।
৩। সন্তান জন্মদানে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
বীর্য (Semen) ঘন করতে যে ১২টি খাবার খাওয়া প্রয়োজন
বীর্য গাড় করার ভেষজ বা প্রাকৃতিক উপায় সর্ম্পকে অনেকেই জানতে ইচ্ছুক থাকেন, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানার চেষ্টা করবো এমন ১২টি খাবার সর্ম্পকে যা খেলে আপনার বীর্য গাঢ ও ঘন হবে।
- যৌনমিলন করার উপকারিতা, নিয়মিত সহবাসের দশটি উপকারিতা,নিয়মিত সহবাসের উপকারিতা কী?
- বাচ্চা নিতে কতবার সহবাস করতে হয়,বাচ্চা নেওয়ার জন্য কতবার সহবাস করতে হয়?
১। কলমি শাক
কলমি শাক আমাদের অতি পরিচিত শাক। আমরা সকলি জানি কলমি শাকের গুনাবলী ও পুষ্টিগুন অন্যান্য শাকের থেকে অনেক বেশি। কলমি শাকের রস ৩ চামচ এবং অশ্বদন্ধা মূলের গুড়া ,দেড় গ্রাম গরুর দুধ এক কাপ মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর সময় একবার করে প্রতিদিন খেলে বীর্য ঘন হবে এটি বীর্য ঘন করার উপায় এর মধ্যে একটি।
২। শিমুল মূল বা শতমুলী
হস্তমৈথুনের ফলে অধিকাংশ পুরুষের বীর্য পাতলা হয়ে যায়। শতমূলীর রস ৫০ মিলি লিটার একটি পাত্রে রেখে তাতে ১০০ মি.লি লিটার ঘিয়ে জ্বাল করে , গরম দুধের সাথে মিশিয়ে সকালে বিকেলে খেলে বীর্য গাঢ় হবে।
শিমুল মূল তাঁজা অবস্থাতে কাঁচা চিবিয়ে খেলে বীর্য বৃদ্ধি ও ঘন হয়। তবে আর বীর্য ঘন করতে হলে অবশ্যই এবং অবশ্যই হস্তমৈথুন ছাড়তে হবে। “শিমুল মূল চূর্ণ” এবং “শিলাজুত” প্রতিদিন ১ চামচ পরিমান সকালে পানিতে মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
৩। গরুর মাংস
গরুর মাংস বীর্য ঘণ করতে অত্যান্ত কার্যকরী একটি উপাদান । তাই খাদ্য তালিকায় গরুর মাংসের অন্তর্ভুক্তি আপনার বীর্য ও শুক্রের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ।
৪। রসুন
রসুন যৌন চাহিদা কে বহুগুণে বৃদ্ধি করে । নিয়মিত রসুন খেলে যৌন চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে বীর্য ঘন ও কার্যকরী হয়ে ওঠে । বীর্য ঘন করতে রসুন অসম্ভব উপকারী একটি ভেষজ।
ভাড়ি করার ক্ষেত্রে অন্তত্য উপকারী। আর রসুন নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় যার ফলে আপনার স্ত্রী এর সাথে দীর্ঘ সময় ধরে মিলন করতে চাইলে প্রতিদিন দুই কোয়া কাচা রসুন চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন।
এতে করে আপনার যৌন ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পাবে , তেমনি বীর্য হবে ঘন ।
৫। দুধ
দুধ কে বলা হয় প্রাকৃতিক পুস্টির সর্বোত্তম ভান্ডার । দুধ যেমন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুস্টি যোগায় , তেমনি শরীরের ক্ষয় পূরনে সাহায্য করে । শুক্র ও বীর্যক্ষয় রোধে দুধ অতি কার্যকর একটি পুস্টি উপাদান।
তাই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করুন । নিয়মিত দুধ পান আপনাকে করবে ভেতর থেকে শক্তিশালী । বীর্যের কার্যকারিতা বাড়াতে দুধের কোনো বিকল্প নেই।
৬। ডিম
দুধের ন্যায় ডিম হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ পুস্টিকর খাদ্য। ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই যৌন চাহিদা বৃদ্ধি করে। ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি ক্ষয়িষ্ণু শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বীর্যের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং বীর্য ঘন করতে সাহায্য করে।
৭। মধু
আল্লাহ তাআলার এক অপার নিয়ামত হচ্ছে মধু । মধু সকল ধরণের পুষ্টিগুণে ভরপুর । মধু শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক গ্লাস দুধের সাথে দুই চামুচ মধু মিশিয়ে খেলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।
বীর্য ঘন করতে মধু খুব ই কার্যকরী। শতমূলীর রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে দীর্ঘ সময় ধরে সহবাস করা যায়। দেরিতে বীর্যপাত হয়। পাতলা বীর্য ঘন করতে মধু অধিক কার্যকরী একটি উপাদান ।
৮। ইসুবগুলের ভুসি
সাধারণত কোস্টবদ্ধতা দূর করতে ইসুবগুলের ভুসি অধিক পরিমানে খাওয়া হয়। তবে ইসুবগুলের ভুসি পুরুষের শুক্রানু বৃদ্ধি করার জন্য অতি উপকারী। নিয়মিত ইসুবগুলের ভুসি পানিতে মিশিয়ে খেলে শুক্রানুর পরিমান বৃদ্ধি পায়।
বীর্য গাঢ় ও ঘন হয় । প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এক গেলাস পানিতে দুই চামুচ ইসুপগুলের ভুসি মিশিয়ে পান করুন । কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবার পাশাপাশি বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।
৯। বাদাম
প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি খাদ্য হচ্ছে বাদাম । কাজু, পেস্তা , চিনাবাদাম , আখরোট কিংবা কাঠবাদাম যে ধরণের বাদাম হোক না কেন, বাদাম রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে।
শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে বাদাম। শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে যা শরীরে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে।
এতে করে সহবাস দীর্ঘ সময় ধরে করা যায় । প্রাচীন কাল থেকে নানা ধরণের যৌন রোগের জন্য বাদাম বহুল বাবহৃত। হয়ে আসছে। নিয়মিত বাদাম খেলে বীর্য বৃদ্ধি ও ঘন হয়। শক্তি ও সহবাসে সক্ষমতা বাড়ায় ।
১০। তুলসী
তুলসী পাতার রস একটি উপকারী উপাদান। ধ্বজভঙ্গের রোগীর ক্ষেত্রে তুলসী বিশেষ উপ্সহম দেয়। । আসবে। মধুর সাথে রতুলসীর পাতা রস রাতে ঘুমানোর আগে খেলে ,যৌন দূর্বলতা দূর হবে এবং বীর্য পরিমান মত বৃদ্ধি ও গাঢ় হবে।
১১। লতাকস্তুরী
লতাকস্তুরী বীজের গুড়া এক গ্লাস ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করলে শুক্র বৃদ্ধি পায় । যায়।অনেকের প্রসাবের আগে অথবা পরে প্রস্রাবের সাথে পাতলা বীর্য বেরিয়ে আসে।
এ অবস্থায় এ গাছের পাতা নিয়ে বেটে আধা পোয়া পানিতে চটকে ছেকে নিন। এতে অল্প আখের গুর বা মধু মিশিয়ে শরবত করে খেলে বীর্য গাঢ় হবে।
১২। বেল
বেলের পাতার রস শারীরিক উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। চিত্ত প্রশান্ত রাখে । অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বেলপাতার রস সেবন আপনাকে চনমনে একটা অনুভূতি দিবে। বীর্য গাঢ় করতে সাহায্য করবে। কচি বেল পাতা রস করে অথবা বেল পাতা পানিতে ফুটিয়ে খেতে পারেন।
পাতলা বীর্যে শুক্রানুর কাউন্টিং কম হয়। এতে করে পুরুষত্বহীনতা দেখা যায়। সন্তান জন্মদানে জটিলতা শুরু হয়। যথেচ্ছা অনিয়ম, অত্যাধিক হস্তমৈথুন , ধুমপান,মদ্যপান, অনিদ্রা ইত্যাদি কারনে বীর্য পাতলা হতে পারে। তবে পুস্টিকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে বীর্যের ঘনত্ব বাড়ানো সম্ভব ।
পরিশেষে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বীর্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে খাওয়া শুক্রাণুর ক্ষয় রোধ হয়। বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি হয়।
জিংক হচ্ছে এমন একটি উপাদান যা, বীর্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি শুক্রাণু চলাচল নির্বিঘ্ন করে।
বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি এবং শুক্রাণুর নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে উন্নত করতে মানসিক চাপ হ্রাস, ধূমপান না করা , সিগারেট ও অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পরিহার করার কোন বিকল্প নেই ।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। আর আমাদের লেখাটি ভালো লেগে থাকলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। আপনার মতামত আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তাই কমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার মতামত জানান। ধন্যবাদ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- মাইগ্রেন ব্যথার কারণ, মাইগ্রেন ব্যথার উপসর্গ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিকার ,মাইগ্রেন ব্যথার প্রতিরোধ – বিস্তারিত গাইড
- মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার: একটি সম্পূর্ণ গাইড
- কেন আপনার ওষুধের বাক্সে প্যারাসিটামল থাকা উচিত,কীভাবে প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিনবেন
- ঠান্ডার লক্ষণগুলির জন্য প্যারাসিটামল ভালো,কীভাবে প্যারাসিটামলের লেবেল পড়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন
- যৌনমিলন করার উপকারিতা, নিয়মিত সহবাসের দশটি উপকারিতা,নিয়মিত সহবাসের উপকারিতা কী?
- বাচ্চা নিতে কতবার সহবাস করতে হয়,বাচ্চা নেওয়ার জন্য কতবার সহবাস করতে হয়?