শ্রমিক কবি সহল আহমেদ ইমরান তালুকদার
“শ্রমিক”
হে সভ্যতার নির্মাতা,
এই ভূবনকে দিয়েছো বসবাসের যোগ্যতা।
করেছো তুমি রক্তকে পানি,
গড়ে তুলতে সভ্যতার লিলাভূমি। এই পৃথিবীতে যত দালান স্তম্ভ, মিনার,
করেছো তুমি সকলই নির্মাণ। কাজ করছো দিবা রাত্রি,
সভ্যতা বহন করছে তারই স্মৃতি। কি পেয়েছো প্রতিদান?
করে এত দান।
চেয়ে দেখো ঐ রজনীর গগণের দিকে,
চেয়ে রয়েছে সব গ্রহ নক্ষত্র তোমার মুখের দিকে।
বিধাতা কি তোমায় দিয়েছে এত শক্তি,
যে, কাজ করেছো দিবা রাত্রি।
সূর্যের আলো উজ্জ্বল গগণে, তেমনই, সভ্যতা নির্মাণে তুমি উজ্জ্বল সবার প্রথমে।
তাইতো গগণের লক্ষ নক্ষত্র স্বাক্ষী দেয়,
জীবের বেঁচে থাকতে নিঃশ্বাস।
সভ্যতার জন্য তুমি হায়।
সাক্ষী দেয়, এই স্তম্ভগুলি,
কত রক্ত করেছো তুমি পানি। ইহকালে তুমি পেলে নাকো সম্মান,
পরকালে বিধাতার কাছে চেয়ে নিও প্রতিদান।
মোরা দিতে চাই না এর পুরুস্কার,
পরকালে বিধাতা মোদের করবে তিরস্কার।
সময়ে, সময়ে, হারিয়ে যায় তোমাদের সবস্মৃতি,
শুধু থেকে যাবে সভ্যতার কীর্তি। ভেবে দেখ,
যদি শ্রমিক কাজই না করে, এই সভ্যতা যাইবে রসাতলে। সভ্যতাকে যদি স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে চাও,
তবে অবশ্যই শ্রমিককে সম্মান দাও।