শ্রেণি: দাখিল SSC -2021 বিষয়: হাদিস শরিফ এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 05 বিষয় কোডঃ 102 |
বিভাগ: দাখিল শাখা |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জিহ্বা সংযত করণীয় একটি পর্যালোচনা ।
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- باب حفظ اللسان و
- الغيبة و الشتم
- (জিহ্বা সংযত করণ, গিবত ও গালমন্দ সংক্রান্ত)
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
- অনর্থক কথাবার্তা
- মিথ্যা
- গিবত
- গালমন্দ
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- অনর্থক কথাবার্তা
আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের দ্বারা বেশিরভাগেরই হিদায়াত নসিব হয় না; উল্টো এতে মানুষের মধ্যে জিদ, গোঁড়ামি ও দলান্ধতা শিকড় গেড়ে বসে। তাই আমাদের প্রতিটি আচরণ, প্রতিটি কথা ও প্রতিটি পদক্ষেপ যেন সঠিক হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা কাম্য। একটি বিশুদ্ধ হাদিস স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আশা করি, এতে সবার চিন্তার খোরাক হবে।
ইমাম তিরমিজি রহ. বর্ননা করেন:
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ… ثُمَّ قَالَ: أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ كُلِّهِ وَعَمُودِهِ، وَذِرْوَةِ سَنَامِهِ؟ قُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: رَأْسُ الأَمْرِ الإِسْلاَمُ، وَعَمُودُهُ الصَّلاَةُ، وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الجِهَادُ, ثُمَّ قَالَ: أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمَلاَكِ ذَلِكَ كُلِّهِ؟ قُلْتُ: بَلَى يَا نَبِيَّ اللهِ، فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ قَالَ: كُفَّ عَلَيْكَ هَذَا، فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللهِ، وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُونَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ؟ فَقَالَ: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا مُعَاذُ، وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَوْ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ.
মুআজ বিন জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে সফরে ছিলাম। তিনি বললেন, আমি কি সমস্ত কাজের মূল, স্তম্ভ ও সর্বোচ্চ শিখর সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল সা.। তিনি বললেন, সকল কাজের মূল হলো ইসলাম, তার স্তম্ভ হলো সলাত, আর তার সর্বোচ্চ শিখর হলো জিহাদ। তিনি আরও বললেন, আমি কি তোমাকে এসব কিছুর সার সম্পর্কে বলব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর নবি সা.। তিনি তার জিহ্বা ধরে বললেন, এটা সংযত রাখো। আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর নবি সা., আমরা যে কথাবার্তা বলি, এগুলো সম্পর্কেও কি আমাদের পাকড়াও (জবাবদিহি করা) হবে? তিনি বললেন,”হে মুআজ, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! মানুষকে তো কেবল জিহ্বার উপার্জনের কারণেই অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” (সুনানুত তিরমিজি : ৪/৩০৮, হা. নং ২৬১৬, প্রকাশনী : দারুল গারবিল ইসলামি, বৈরুত)
হাদিসটি নিয়ে একটু চিন্তা করুন। বেশি না, সামান্য। “মানুষকে তো কেবল জিহ্বার উপার্জনের কারণেই অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে” -এ অংশটি আবারও পড়ুন, আবারও, আবারও। একটু চোখ বন্ধ করে ভেবে দেখুন, আমাদের জবানের হিফজত হচ্ছে তো? আমরা সত্যিই জিহ্বার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করছি তো? ঠাণ্ডা মাথায় এ হাদিসটি নিয়ে চিন্তা করলে অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন, অনেক সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। কী করতে হবে, আর কী করা উচিত বা অনুচিত, তা নতুন করে আর বলে দিতে হবে না। সবার প্রতি একটাই অনুরোধ থাকবে, নীরব থাকুন আর সত্যটা সঠিক উপায়ে খুঁজতে থাকুন। অসংলগ্ন কথা বলে নিজেও বিপদে পড়বেন না, অন্য ভাইদেরও বিপদে ফেলবেন না।
সততা, ইখলাস, হিম্মত, বিনয় ও সত্য পাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা আপনাকে হতাশ করবে না। আল্লাহ নিশ্চয়ই সব দেখছেন; তিনিই আপনাকে সঠিক পথ দেখাবেন। আল্লাহ আমাদের পক্ষপাতিত্ব, খিয়ানত, অহংকার, অপবাদ ও হিংসা থেকে রক্ষা করে সত্যানুসন্ধান, সততা, বিনয়, উদারতা ও ধৈর্যসহ সকল উত্তম বৈশিষ্ট্য দান করুন।
পবিত্র কুরআনের সূরা মু’মিনুনের প্রথম তিনটি আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে (সে সব) ঈমানদার ব্যক্তিরা সফলকাম। যারা নিজেদের নামাজে একান্ত বিনয়ানত থাকে। যারা অর্থহিন, বেহুদা কথা ও কাজ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে।’
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- মিথ্যা
মিথ্যা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া উভয়টিই হারাম ও কবীরা গুনাহ । যেমন আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন- “তোমরা মিথ্যা হতে বিরত থাক।” (সূরা হজ্জ-৩০) “মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” (সূরা আলে ইমরান: আয়াত শরীফ ৬১) ছহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফ-এ বর্ণিত হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা সত্য বলাকে অপরিহার্য করে নাও, কেননা সত্য বলা নেক কাজের পথ প্রদর্শন করে আর নেক কাজ জান্নাতের পথ প্রদর্শন করে।
যে ব্যক্তি সর্বদা সত্য কথা বলে এবং সত্য বলার চেষ্টা করে, আল্লাহ পাক উনার নিকট সে ব্যক্তি ‘ছিদ্দীক্ব’ (পরম সত্যবাদী) বলে লিখিত হয়। আর তোমরা মিথ্যা বলা থেকে নিজেকে দূরে রাখো, কেননা মিথ্যা কথা গুনাহর দিকে পথ প্রদর্শন করে এবং গুনাহ দোযখের দিকে ধাবিত করে। যে ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং মিথ্যা বলার চেষ্টা করে, সে ব্যক্তি আল্লাহ পাক উনার নিকট মিথ্যাবাদী বলে লিখিত হয়।” নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ করেন, বান্দা যখন মিথ্যা বলে তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা উক্ত মিথ্যার দুর্গন্ধের জন্য তার নিকট থেকে এক মাইল দূরে চলে যান। (তিরমিযী শরীফ) হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে- অর্থ: নিশ্চয়ই মিথ্যা সকল গুনাহর মূল।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- গিবত
গিবত বা পরচর্চা একটি জঘন্য গোনাহের কাজ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো এটাকে আমরা তেমন কোনো গোনাহই মনে করি না। এটি যে মারাত্মক গোনাহ এবং এর পরিণাম যে অত্যন্ত ভয়াবহ, সে অনুভূতিটুকুও আমাদের অন্তর থেকে মুছে গেছে। যার কারণে আমরা একে অন্যের গিবত বা পরনিন্দা করে থাকি অহরহ। কোরআন-হাদিসে এ সম্পর্কে অনেক হুঁশিয়ারি এসেছে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা পরস্পরের গুপ্তচরবৃত্তি ও গিবত কর্মে লিপ্ত হয়ো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করে? নিশ্চয় তোমরা তা ঘৃণা করো।’ (সুরা হুজরাত-১২)
গিবতের ভয়াবহতার ব্যাপারে বিভিন্ন হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম) আরেক হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা গিবত করা থেকে বেঁচে থাকো। কেননা, গিবতের মাঝে তিনটি ক্ষতি রয়েছে: ১. গিবতকারীর দোয়া কবুল হয় না। ২. গিবতকারীর কোনো নেক আমল কবুল হয় না। ৩. আমলনামায় তার পাপ বৃদ্ধি হতে থাকে।’
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন আমাকে মিরাজে নিয়ে যাওয়া হলো, তখন আমি তামার নখবিশিষ্ট একদল লোকের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তারা তাদের নখগুলো দিয়ে নিজের মুখম-ল ও বক্ষদেশে আঘাত করে ক্ষত-বিক্ষত করছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাইল! এরা কারা? জিবরাইল (আ.) বললেন, এরা দুনিয়াতে মানুষের গোশত খেত এবং তাদের মানসম্মান নষ্ট করত। অর্থাৎ তারা মানুষের গিবত ও চোগলখোরি করত। (আবু দাউদ)
শরিয়তের দৃষ্টিতে গিবত হলো কারও অনুপস্থিতিতে তার এমন কোনো দোষ-গুণ বর্ণনা করা, যা শুনলে সে কষ্ট পাবে। চাই সে মুখের দ্বারা তার গিবত করুক অথবা কলমের দ্বারা কিংবা কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দ্বারা নতুবা অন্য কোনো পদ্ধতিতেÑসেটি গিবত হিসেবে বিবেচিত হবে। সমালোচিত ব্যক্তি চাই মুসলিম হোক বা কাফের হোক, সেটা গিবত হিসেবেই সাব্যস্ত হবে। যদি এমন কোনো দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করে, যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে নেই, তাহলে সেটা হবে ‘তোহমত, অপবাদ’। যা গিবতের চেয়েও জঘন্য। বিষয়টি একাধিক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। সারকথা হলো, কারও অগোচরে তার দোষারোপ করা, কুৎসা রটনা, সমালোচনা করা, পরচর্চা করা, পরনিন্দা করা।
একবার হজরত আয়েশা (রা.) রাসুল (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! সাফিয়্যাহ বেঁটে আকৃতির মেয়ে, তা সত্ত্বেও আপনি তাকে ভালোবাসেন?’ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চেহারা কালো হয়ে গেল। তিনি বললেন, ‘আয়েশা! তুমি আজ এমন একটি কথা বলেছ, যা সমুদ্রের পানিতে মেশালে পানি কালো হয়ে যেত।’ (আবু দাউদ)
উল্লিখিত আয়াত ও হাদিস থেকে গিবতের ভয়াবহতা খুব সহজেই অনুমেয়। ইসলামের দৃষ্টিতে গিবত করা যেমন নিষেধ, তেমনি গিবত শোনাও নিষেধ। যে গিবত শোনে, সেও গিবতের পাপের অংশীদার হয়ে যায়। কেননা এ প্রসঙ্গে হাদিসের ভাষ্য হলো, যখন কেউ আপনার সঙ্গে বসে অন্যের গিবত করে, তখন তাকে থামতে বলুন, আল্লাহর হুকুমের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সাবধান করুন। আর তাতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে সেখান থেকে উঠে আসুন।
গিবতে শুধু পরকালীন ক্ষতিই নয়, বরং সামাজিক ক্ষতিও রয়েছে। গিবত-চোগলখোরির ফলে পরস্পরের মাঝে সম্পর্কে ভাঙন সৃষ্টি হয়। একজনের সঙ্গে আরেকজনের কোন্দল তৈরি হয়। এমনকি আত্মীয়তার সম্পর্কও ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে পরস্পরের মাঝে সুখ-শান্তি নষ্ট হয়। সমাজে মানুষের সম্মানহানি ঘটে। অথচ এ ক্ষেত্রে শরীয় বিধান হলো, কোনো মুসলমানের দ্বারা যেন অপর মুসলমানের জীবন, সম্পদ ও সম্মানহানি না হয়।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা গিবত-পরনিন্দা থেকে সাবধান থেকো, কেননা গিবত অবৈধ যৌনাচারের চেয়েও ঘৃণ্য ও জঘন্য পাপ।’ অর্থাৎ ব্যভিচার করে খাঁটিভাবে তওবা করলে আল্লাহ হয়তো ক্ষমা করে দিতে পারেন; কিন্তু গিবতের দ্বারা অর্জিত গোনাহ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি তথা যার গিবত করা হয়েছে, সে ব্যতীত ক্ষমার শরিয়তে কোনো মাধ্যম নেই। গিবতকারীর তওবা ও অনুশোচনা আল্লাহর দরবারে গৃহীত হবে না। তাই বলা হয়েছে, গিবত ব্যভিচারের চেয়েও নিকৃষ্ট। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা আমাদের এ ধরনের গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
- গালমন্দ
সভ্য মানুষ অন্যকে গালি দেয় না। অশ্রাব্য ভাষায় কারো সঙ্গে কথা বলে না। ক্রোধে অগ্নিশর্মা হলেও মার্জিত শব্দ ব্যবহার করে। ভদ্র ও সংযতভাবে শোকজ করে। কিন্তু কিছু মানুষ রাগের অতিশয্যে হুঁশ-জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অন্যকে অশ্লীল ও শ্রুতিকটূ বাক্যবাণে নাজেহাল করে। গাল-মন্দ করে ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
ইসলামে অন্যকে গালি দেয়া সম্পূর্ণ হারাম। যেকোনো কারণেই হোক, কাউকে গালি দেয়ার অনুমতি নেই।
হাসি-কৌতুক ও ঠাট্টাচ্ছলেও অন্যকে গালি দেয়া ইসলামের দৃষ্টিতে অশোভনীয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা বিনা অপরাধে ঈমানদার পুরুষ ও নারীদের কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে। (সুরা আহযাব, আয়াত: ৫৮)
যার মধ্যে চারটি অভ্যাস আছে তাকে হাদিসে মুনাফিক বলা হয়েছে। এগুলোর কোনো একটি পাওয়া গেলেও সে মুনাফিক হিসেবে ধর্তব্য হবে। হাদিসের আলোকে সেগুলো হলো, ‘যখন তাকে বিশ্বাস করা হয়, সে বিশ্বাস ভঙ্গ করে। কথা বললে, মিথ্যা বলে। অঙ্গিকার করলে ভঙ্গ করে এবং বিবাদ-বিতর্কে উপনীত হলে অন্যায় পথ অবলম্বন করে। (বুখারি, হাদিস নং : ৩৪; মুসলিম, হাদিস নং : ১০৬)
অন্য হাদিসে আছে, মুমিন কখনো দোষারোপকারী, অভিশাপদাতা, অশ্লীলভাষী ও গালিগালাজকারী হয় না। (তিরমিজি, হাদিস নং : ২০৪৩)
আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি [আল্লাহর অবাধ্যাচরণ] এবং তার সঙ্গে লড়াই ঝগড়া করা কুফরি। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ৬০৪৫, ৭০৭৬; তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৮৩)
অন্য এক হাদিসে আছে, ‘কবিরা গুনাহগুলোর একটি হলো নিজের বাবা-মা’কে অভিশাপ করা। ’ জিজ্ঞেস করা হল, আল্লাহর রাসুল! মানুষ নিজের বাবা-মা’কে কিভাবে অভিশাপ করে?’ তিনি বললেন, ‘যখন সে অন্যের বাবাকে গালি-গালাজ করে, তখন সে নিজের বাবাকেও গালি-গালাজ করে থাকে। আর সে অন্যের মা-কে গালি দেয়, বিনিময়ে সে তার মা-কেও গালি দেয়। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৭৩, তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯০২)
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার (কোনো মুসলিম) ভাইয়ের সম্মান নষ্ট করেছে অথবা কোনো বিষয়ে জুলুম করেছে, সে যেন আজই (দুনিয়াতে) তার কাছে (ক্ষমা চেয়ে) হালাল করে নেয়-ওইদিন আসার আগে, যেদিন দিনার ও দিরহাম কিছুই থাকবে না। তার যদি কোনো নেক আমল থাকে, তবে তার জুলুমের পরিমাণ অনুযায়ী তা থেকে নিয়ে নেওয়া হবে। আর যদি তার কোনো নেকি না থেকে, তবে তার সঙ্গীর পাপরাশি তার (জালেমের) ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ২৪৪৯, ৬৫৩৪; মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং: ৯৩৩২)
আল্লাহ তাআলা আমাদের গালমন্দ ও অশ্লীল বাক-বিনিময় থেকে রক্ষা করুন। মার্জিত ভাষা ও শ্রুতিমধুর শব্দ ব্যবহারের তাওফিক দান করুন।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন ডিগ্রি ৩য় বর্ষ , degree 3rd year islamic studies 5th paper suggestion,ডিগ্রি ৩য় বর্ষ ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন, ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন PDF Download
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 politics and citizenship solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week politics and citizenship solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 bangladesh and world identity solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 science solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week science solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 finance and banking solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 biology solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week biology solution 2022]