সম্ভাব্য ক্রেতা বলতে কাদেরকে বােঝায়? বিপণনের মৌলিক ধারণাসমূহ বর্ণনা করুন, hsc (bou) 12 class production management and marketing 2nd paper 1st assignment answer 2021

শ্রেণি: ১২শ/ hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন (২য় পত্র) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 01 বিষয় কোডঃ 2888
বিভাগ: ব্যবসায় শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

মানুষ জন্মগ্রহণ করার পর থেকে আমৃত্যু বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করে। মানুষ বিভিন্ন প্রয়ােজনে তার চাহিদা মেটানাের জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের পণ্য বা সেবা ক্রয় ও ভােগ করে থাকে। ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার ক্রয় করে, বাসস্থানের জন্য ঘর-বাড়ি ক্রয় করে আবার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে। পণ্য বা সেবা ভােগ করার জন্য মানুষ নির্দিষ্ট বাজার থেকে যাচাই-বাছাই করে প্রয়ােজন অনুসারে ক্রয় ও ভােগ করে।

লক্ষ্য করা যায় যে, পণ্য বা সেবার ধারণার সৃষ্টি থেকে শুরু করে, ক্রেতাদের মাঝে তা পরিচিতিকরণ, ক্রয়ে উৎসাহ প্রদান, পণ্য বণ্টন, মূল্য নির্ধারণ, ক্রয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা প্রদান এবং বিক্রয়ােত্তর সেবাসহ বিভিন্ন কাজের সাথে বিপণন বা বাজাজাতকরণ জড়িত।

ল্যাটিন শব্দ Marcatus থেকে ইংরেজী Market শব্দের উৎপত্তি। এই Market শব্দ থেকে পরবর্তীতে Marketing শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। এর বাংলা প্রতিশব্দ হলাে বিপণন বা বাজারজাতকরণ। অনেক সময়ই বিপণন বা মার্কেটিং দিয়ে শুধুমাত্র ক্রয়-বিক্রয় বা প্রচারণাকার্যকে বুঝানাে হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে ক্রয়-বিক্রয় বা প্রচারণা হচ্ছে বিপণনের অনেক কাজের অংশবিশেষ। বিপণন একটি পরিবর্তনশীল ও জটিল বিষয়। বর্তমান সময়ে বিপণন বলতে সন্তোষজনকভাবে ক্রেতা বা ভােক্তার প্রয়ােজনসমূহ পূরণকে বােঝায়।

বিপণনের মূল উদ্দেশ্য হলাে ক্রেতা ভ্যালু বা সুবিধা সরবরাহের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নতুন ক্রেতাকে আকৃষ্ট করা এবং সন্তুষ্টি বিধানের মাধ্যমে বর্তমান ক্রেতাকে ধরে রাখা ও সন্তুষ্ট ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

যে সব ক্রেতা নিজের বা পরিবারের সদস্যদের ভোগ ও ব্যবহারে রজন্য পণ্য ক্রয় করে সে সব ক্রেতাদের নিয়ে ভোক্তা বাজার গড়ে উঠে। ভোক্তা বাজারের ক্রেতারা কখনোই পুনঃ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয় করে না। পণ্যকে চূড়ান্ত ভাবে ব্যবহার করার জন্য অর্থাৎ পণ্যটি থেকে উপযোগ লাভের উদ্দেশ্যেই ক্রয় করে। দেশের জনসংখ্যার পরিমাণ ও মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থারই ভোক্তা বজায় নির্ভর করে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ভোক্তা বাজারও সম্প্রসারিত হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বিপণনের মৌলিক ধারণাসমূহ

ভোক্তাদের প্রয়োজন নির্ধারণ, সেইভাবে পণ্য উৎপাদন ও বণ্টন এবং ভোক্তাদের সন্তুষ্টি বিধান হলো বিপণনের একমাত্র লক্ষ্য। বিপণন সম্পর্কে আলোচনার জন্য এবং ই বিষয়ে পরিষ্কার জ্ঞান লাভের নিমিত্তে কতকগুলো ধারণা সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এই ধারণাসমূহ বিপণন সম্পর্কিত আলোচনার ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। নিম্নে বিপণনের মৌলিক ধারণাগুলো আলোচনা করা হলো

১. প্রয়োজন, অভাব ও চাহিদা

দৈনন্দিন জীবনে বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার আবশ্যকতা অনুভব করাকে প্রয়োজন বলে। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, সেবা ইত্যাদি অপরিহার্য। যেমন, ক্ষুধা নিবারণের জন্য মানুষ খাদ্য গ্রহণ করে আবার মানুষ বাসস্থানের প্রয়োজন বোধ করে নিরাপদে ও আরামের থাকার জন্য। মানুষের এই প্রয়োজন পূরণ করা থেকে বিপণনের মৌলিক ধারণার শুরু হয়েছে।

সমাজ, সংস্কৃতি বা ব্যক্তিত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ‘প্রয়োজন’ যখন দ্রব্য সামগ্রী ও সেবার আকারে প্রকাশ পায় তখন তাকে অভাব (ডধহঃ) বলে। মানুষ ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্যসামগ্রীর প্রয়োজন অনুভব করে। যেমন, বাসস্থানের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য মানুষের টিনের তৈরি ঘর, ইটের তৈরি অট্টালিকা বা কাঠের তৈরি ঘরবাড়ি প্রয়োজন হতে পারে। ভোক্তার বাসস্থানের এই প্রয়োজন কোনম ধরনের আবাসন দিয়ে পূরণ হবে তা ভোক্তার সংস্কৃতি, ব্যক্তিত্ব বা সমাজ দ্বারা নির্ধারিত হয়। সাধারণত বাংলাদেশের নিম্নবিত্তের ভোক্তা টিনের তৈরি ঘর দিয়ে বাসস্থানের প্রয়োজন পূরণ করে, আবার উচ্চ বিত্তের ভোক্তা রড- বালু-সিমেন্টের তৈরি অট্টালিকা এবং পাহাড়ি এলাকার ভোক্তা কাঠের তৈরি ঘর-বাড়ি দিয়ে তার প্রয়োজন পূরণ করে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

কোন দ্রব্য বা সেবার অভাব থাকলে এবং সেটি ক্রয় করার জন্য অর্থ ব্যয় করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য থাকলে তাকে চাহিদা বলে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কোন ভোক্তার বাসস্থানের অভাব রয়েছে, একারণে সে টিনের তৈরি ঘর বা ইটের তৈরি অট্টালিকা অথবা কাঠের তৈরি ঘর তৈরি করে তার বাসস্থানের অভাব পূরণ করতে পারে। আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী ভোক্তা যখন টিনের ঘর তৈরি করার জন্য করার ইচ্ছা করে, তখন বলা যায় যে তার নিকট টিনের চাহিদা রয়েছে।

২. পণ্য, সেবা ও অভিজ্ঞতা

ভোক্তার প্রয়োজন ও অভাব পূরণ করতে পারে এমন যা কিছু বাজারে বিক্রয়ের জন্য ছাড়া হবে তাকে পণ্য বলে। পণ্য দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান হতে পারে। খাতা, কলম, বই, চাল, টেবিল, চেয়ার ইত্যাদি দৃশ্যমান পণ্য। অন্য দিকে, সেবা জাতীয় পণ্য হলো অদৃশ্যমান পণ্য। চিকিৎসকের চিকিৎসা, শিক্ষকের শিক্ষা দান, নাপিতের চুল কাটা ইত্যাদিকে সেবা বলা হয়।

৩. ভ্যালু এবং সন্তুষ্টি

কোন পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের মাধ্যমে ক্রেতা যে উপকারিতা পায় এবং পণ্যটি অর্জনের জন্য যে অর্থ ব্যয় করে, এ দুয়ের পার্থক্যকে ‘ক্রেতার ভ্যাল’ু বলা হয়। পণ্য বা সেবার মান, মূল্য, ব্র্যান্ড ইত্যাদির সমন্বয়ে ক্রেতার মধ্যে সে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে একটি মনোভাব তৈরি হয়, যার ভিত্তিতে ক্রেতার ভ্যালু নির্ধারিত হয়।

ভোক্তা কোন পণ্য বা সেবা ক্রয়ের সময় যেসব সুবিধা প্রত্যশা করে, তার সাথে ব্যবহারের পর প্রাপ্ত সুবিধার তুলনা করে ভোক্তার মধ্যে যে আনন্দ বা নৈরাশ্যের অনুভূতি সৃষ্টি হয় তাকে সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টি বলে। ভোক্তা তারা প্রত্যাশা অনুসারে পণ্য বা সেবা হতে সুবিধা পেলে সন্তুষ্ট হবে এবং না পেলে অসন্তুষ্ট হবে।

৪. বিনিময়, লেনদেন এবং সম্পর্ক (

কোন কিছু প্রদানের মাধ্যমে অন্যের কাছ থেকে কাঙ্খিত পণ্য লাভের উপায়কে বিনিময় বলে। যেমন, কোন শিল্পী যদি তার চিত্রকর্ম প্রদর্শন করে দশর্কের সংখ্যা বাড়াতে চায়, তাকে বিনিময় বলা হবে। দুইটি পক্ষের মধ্যে মূল্য বা অর্থের মাধ্যমে কোন বিনিময় সংঘটিত হওয়াকে লেনদেন বলে। যদি ১০০ টাকার বিনিময়ে প্রবেশ টিকেট বিক্রয় করে শিল্পীর চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়, তাকে লেনদেন বলা হবে।

সম্পর্কভিত্তিক বিপণন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিপণনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য পণ্য বা সেবার বিনিমিয়ের সাথে জড়িত পক্ষগুলোর (ক্রেতা, ভোক্তা, বিক্রেতা, সরবরাহকারী, পরিবেশক ইত্যাদি) মধ্যে দীর্ঘকালীন সুসম্পর্ক সৃষ্টি ও রক্ষা করা হয়।

৫. বাজার

বিপণনের পরিভাষায় বাজার বলতে ক্রেতা-বিক্রেতার একটি সমষ্টিকে বুঝায় যাদের ব্যক্তি বা কোম্পানি হিসেবে পণ্য বা সেবার প্রয়োজন থাকে এবং সেই পণ্য বা সেবা ক্রয়ের সামর্থ্য, ইচ্ছে ও কর্তৃত্ব থাকে। এক কথায়, পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে সক্ষম এমন বর্তমান ক্রেতা এবং সম্ভাব্য ক্রেতার সমষ্টিকে বাজার বলা যায়। সাধারণত বিপণন কর্মকান্ড বাজারকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়।

যেমন, কোন শিশু চকোলেট ক্রয় করলে চকোলেট পণ্যের সে বর্তমান ক্রেতা হিসেবে চকোলেট বাজারের অন্তর্গত। আবার শিশুটি বড় হয়ে ভবিষ্যতে কম্পিউটার ক্রয় করতে পারে বলে সম্ভাব্য ক্রেতা হিসেবে সে কম্পিউটার বাজারের অন্তর্গত হতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

Leave a Comment