সাধারণ চলমান গড়ের সুবিধা অসুবিধা আলোচনা কর
ভূমিকা : কালীন সারির সাধারণ ধারা নির্ণয়ে এটা একটা বহুল প্রচলিত পদ্ধতি। চলমান গড় হলো মূল্য গতিবিধির অন্তর্নিহিত ধারার একটি গাণিতিক নির্দেশক। যে পদ্ধতিতে কালীন সারির তথ্যগুলোকে দুই, তিন, চার, পাঁচ প্রভৃতি বছরের ভিত্তিতে সরল গড় নির্ণয় করে সাধারণ ধারা নির্ণয় করা হয় তাকে চলমান গড় পদ্ধতি বলে ।
নিম্নে চলমান গড় পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করা হলো :
চলমান গড় পদ্ধতির সুবিধা :
১. এ পদ্ধতি সাধারণ ধারা নির্ণয় ছাড়া ঋতুগত ভেদ, অনিয়মিত চক্র ও চক্রক্রমিক পরিবর্তনকেও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে পারে।
২. এ পদ্ধতি বর্গসমূহের ক্ষুদ্রতমকরণ পদ্ধতির তুলনায় তুলনামূলকভাবে সহজ । এখানে, কোনো জটিল গাণিতিক প্রক্রিয়া সমাধা করতে হয় না ।
৩. এ পদ্ধতিতে যদি পর্যায়কাল সঠিকভাবে বিবেচনা করে চক্রক্রমিক পর্যায়কাল বা তার গুণিতকের সমান ধরা হয় তাহলে কালীন সারিকে চক্রক্রমিক পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা যায় ।
৪. এ পদ্ধতির গাণিতিক ভিত্তি আছে। শুধুমাত্র বিচারবুদ্ধির উপর নির্ভরশীল নয় ।
৫. এ পদ্ধতিতে কালীন সারিতে অতিরিক্ত তথ্য সংযোজন করা হলেও গণনাকৃত অংশ পরিবর্তন না করে শুধুমাত্র সংযোজিত তথ্যের প্রবণতা পরিমাপ করলেই চলে।
চলমান গড় পদ্ধতির অসুবিধা :
চলমান গড় পদ্ধতির যে সকল অসুবিধা দেখা যায় নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো :
১. এ পদ্ধতিতে নির্ণীত ধারার গতি যদি সরলরৈখিক হয়, তাহলে গণনাকার্যে নির্ভুলতা প্রমাণ পায়। কিন্তু প্রবণতা যদি অরৈখিক হয় তাহলে হিসাব যথাযথ নাও হতে পারে।
২. এ পদ্ধতি কোনো সূত্র মেনে চলে না বিধায় এ পদ্ধতিটির উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না।
৩. এ পদ্ধতিতে অন্যান্য উপাদানের প্রভাব বেশ খানিকটা মুক্ত রাখা গেলেও অনিয়মিত ভেদ সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা যায় না।
৪. এ পদ্ধতি মুক্ত হস্ত রেখাও আধ গড় পদ্ধতি অপেক্ষা জটিল ও trend নির্ণয় শ্রম/সময়সাপেক্ষ ।
উপসংহার : আলোচনা পরিশেষে বলা যায় যে, সাধারণ চলমান গড় পদ্ধতির অনেক অসুবিধা থাকলেও এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে ।
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।