শ্রেণি: ১১শ/hsc/ উন্মুক্ত-2021 বিষয়: সমাজবিজ্ঞান (প্রথম পত্র) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04 বিষয় কোডঃ 1859 |
বিভাগ: মানবিক শাখা |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ সামাজিক অসমতা ও সামাজিক স্তরবিন্যাসের সম্পর্ক ও পার্থক্য নিরূপণ করুন।
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
সামাজিক অসমত
সমাজবিজ্ঞানে সামাজিক অসমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়। পৃথিবীতে বসবাসকারী সকল মানুষ সমান বলা হলেও বাস্তবে সকল ক্ষেত্রে অসমতা লক্ষ কার যায়। মানুষের প্রাত্যহিক জীবন, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে যদি নজর দেয়া হয় তাহলে দেখা যাবে যে, সর্বত্র সামাজিক অসমতা বিরাজমান। উদাহরণ হিসেবে বর্তমান সমাজের বিভিন্ন পদ, সেবার দিকে লক্ষ করলে দেখা যায় যে, সর্বত্র অসমতা। সমাজে যারা ভালো অবস্থান ও সেবা ভোগ করে তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।
যারা কম সুযোগ সুবিধা ভোগ করে বিভিন্ন কাজে, অধিকারের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয় তারা হলো সমাজের সাধারণ শ্রেণি। আবার পিতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা নারীর উপর কর্তৃত্ব আরোপ করে। সুতরাং সবদিক থেকেই সামাজিক অসমতা বিদ্যমান। সামাজিক অসমতা উত্তরাধিকার ব্যবস্থার মত আমাদের সমাজ কাঠামোর সাথে জড়িত হয়ে আছে। এটি অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে ও ভবিষ্যতে থাকবে।
সামাজিক অসমতার সংজ্ঞা সাধারণভাবে যদি সামাজিক অসমতাকে বোঝাতে চাই তাহলে সমাজে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সুযোগসুবিধা, সম্পদ, সামাজিক অবস্থান ও পরিচিতি এবং পদমর্যাদাকে কেন্দ্র করে যে অসম অংশীদারিত্ব সৃষ্টি হয়ে থাকে সেটাই হলো সামাজিক অসমতা। সামাজিক অসমতা হলো সামাজিক ভিন্নতা তৈরির এমন এক প্রক্রিয়া, যার দ্বারা সামাজিক মানমর্যাদা, যশ ,খ্যাতি, বিত্ত বৈভব ইত্যাদি বিকশিত হয় ও ব্যক্তি সমাজে পরিচিত লাভ করে।
সামাজিক অসমতার উৎপত্তি
ক্ষুদ্র সমাজ কাঠামোর দিকে তাকালেও আমরা সামাজিক অসমতার উপস্থিতি লক্ষ করি। প্যাট্রন-ক্লায়েন্ট সমাজেও অসমতা ছিল। সমাজের উৎপাদন ব্যবস্থা ও সামাজিক শ্রেণি ব্যবস্থার মধ্যে পরিবর্তনের মাধ্যমে সব সমাজেই অসমতা টিকে আছে। এখানে সামাজিক অসমতা সম্পর্কে বিভিন্ন মনীষীর ধারণা উপস্থাপন করা হল: সামাজিক অসমতা ও এরিস্টটল: অসম সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল বলেছেন-“প্রাকৃতিকভাবেই কিছু মানুষ স্বাধীন ও কিছু মানুষ দাস”। তিনি বিভিন্ন কারণে দাস প্রথাকে সমর্থন করেছেন। এরিস্টটল মূলত দাসত্ব প্রথার সমর্থনে বক্তব্য দিতে গিয়ে সামাজিক অসমতা বিষয়ে ব্যাখা করেন। তিনি বলেন, কিছু
মানুষ প্রাকৃতিকভাবে মেধাবী, বিচক্ষণ ও ক্ষমতাধর আর কিছু মানুষ প্রজ্ঞাহীন। প্রজ্ঞাহীনরা সমাজে দাসত্ব করবে আর জ্ঞানীরা সমাজের নিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এটাই স্বাভাবিক। এদের অধীনে থাকবে দেশের সাধারণ মানুষ। সামাজিক অসমতা ও কার্ল মার্কস: কার্ল মার্কস ও তাঁর সহযোগীরা মনে করেন যে, সমাজজীবনের সূচনাকাল থেকে সামাজিক অসমতা ছিল না।
পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মুনাফা হলো মুখ্য বিষয় আর এক্ষেত্রে মালিক শ্রেণি সবসময় শ্রমিক শ্রেণিকে শোষণ করে। মালিক শ্রেণি শোষণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজে অসমতা টিকিয়ে রাখে। সামাজিক অসমতা ও এমিল ডুর্খেইম: এমিল ডুর্খেইমের বক্তব্য এর সাথে এরিস্টটলের বক্তব্যের মিল রয়েছে। ডুর্খেইম বলেন যে, প্রাকৃতিকভাবে কিছু মানুষ মেধাবী যারা অন্যদের থেকে আলাদা। সমাজের পরিচালনা ও বড় কাজগুলো মেধাবীরা পরিচালনা করে। পক্ষান্তরে, অন্যন্য কাজগুলো সাধারণ মানুষেরা করে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার ফলে মেধাবীরা সমাজের মর্যাদায় আসনে আসীন হয়। এভাবে সামাজিক অসমতার সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অসমতা
সামাজিক অসমতা সমাজের সবক্ষেত্রে বিদ্যমান। নিম্নে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অসমতার বর্ণনা দেওয়া হলো: রাজনৈতিক অসমতা: রাজনৈতিক অসমতা বর্তমান সমাজে লক্ষণীয়। রাজনৈতিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ক্ষমতাশালীরা ভোগ করে। এছাড়াও আইনের সুযোগ লাভের অধিকার এর উপর রাজনৈতিক অসমতা নির্ভর করে। আয় ও সম্পদের অসমতা: সম্পদের মালিকানা ও আয়ের বৈষম্য বিভিন্ন সমাজে লক্ষ করা যায়। সম্পদ মূলত সমান সুযোগ মুষ্টিমেয় শ্রেণির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আয়ের ক্ষেত্রেও সম্পদের মতো বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে অসমতা: মানুষের জীবনকে অর্থবহ করার জন্য সমাজে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু সুযোগ সুবিধা গ্রহণের মতো ক্ষমতা সবার থাকে না। ফলে অসমতার সৃষ্টি হয়। জেন্ডার ও জাতিগত অসমতা: সমাজে জেন্ডারের তারতাম্যের বিচারে অসমতা লক্ষ করা যায়। অনেক সমাজেই নারী ও পুরুষের মধ্যে অসমতা বিরাজ করে। একজন পুরুষ তুলনায় একজন নারী সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করে না। জাতিগত অসমতা সকল সমাজে কম বেশি বিদ্যমান। শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে অসমতার মূল কারণ জাতিগত ভিন্নতা। শ্রমের বিভাজন ও সামাজিক অসমতা: শ্রমের বিভাজনেও অসমতা লক্ষণীয়। একটি সমাজে বিভিন্ন পেশা বিদ্যমান আর এক্ষেত্রে পেশাগত ও কর্মদক্ষতার ভিন্নতা সামাজিক অসমতা তৈরি করে।
সমাজের সদস্য হিসেবে অসমতা: সমাজের সদস্য হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তির যে সমতার রয়েছে সেটা নানা কারণে বাস্তবে রূপায়িত করা সম্ভব হয় না। সমাজের সদস্য হিসেবে অধিকার ভোগ করা সম্ভব হয় না। সম্পদশালী ব্যক্তিরা সমাজে অসমতার অন্যতম কারণ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সামাজিক স্তরবিন্যাস
সমাজে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে আমরা দেখতে পাই প্রত্যেকেই একে অন্যের থেকে আলাদা। বয়স, লিঙ্গ, ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই একজন মানুষ আরেকজন মানুষের মত হয় না। ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য ও ব্যক্তিত্বের ভিত্তিতে আমরা সহজেই একজন থেকে অন্যজনকে পৃথক করে ফেলি। এ বিবেচনা অনুসারে আমরা কাউকে দক্ষ, কাউকে অদক্ষ, ভালো-মন্দ ইত্যাদি নানা ভাগে ভাগ করে থাকি। এ ধরনের শ্রেণিকরণকে সামাজিক বিভাজন বলা হয়। সমাজে আরেক ধরনের সামাজিক শ্রেণিকরণ আমাদের চোখে পড়ে-সেটি পদমর্যাদার ভিত্তিতে। ব্যক্তির এই পদমর্যাদার মূলে তাঁর আর্থিক সক্ষমতা, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, জন্মসূত্রে পাওয়া পরিচিতি ও সম্মান ইত্যাদি অনেক কিছু। যেভাবেই এ পদমর্যাদা তৈরি হোক না কেনো- এর ভিত্তিতে সমাজের মানুষকে আমরা স্তরে স্তরে ভাগ করে ফেলি এবং তার সামাজিক মর্যাদা নির্ধারণ করি।
সামাজিক স্তরবিন্যাসের সংজ্ঞা
সামাজিক বৈচিত্র্য, বিভাজন ও স্তরবিন্যাস অনেকটা প্রকৃতির নিয়মের মতোই সত্য। মানব সমাজের কথাই ধরা যাক। শারীরিক সৌন্দর্য্য, অবয়ব, বুদ্ধিমত্তা, নৈতিকতার ধারণা, দর্শন, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা, ধর্মীয় অনুরাগ, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি বিচারে মানুষ একে অন্যের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে সৃষ্ট পদমর্যাদার নিরিখে আমরা সমাজের মানুষকে স্তরে স্তরে বিন্যাস করি একেই সামাজিক স্তরবিন্যাস বলে। “যে প্রক্রিয়ায় সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গ কিংবা দলকে স্থায়ী বা অস্থায়িভাবে একেক পদমর্যাদার অধিকারী বলে বিন্যস্ত করা হয় তাকে স্তরবিন্যাস বলে।” অগর্বাণ ও নিমকফ “সামাজিক স্তরবিন্যাস হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষদেরকে স্থায়িভাবে দল অনুযায়ী বিন্যাস করা এবং তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব ও আনুগত্যের সম্পর্ক বজায় রাখা।”
অর্থাৎ সামাজিক স্তরবিন্যাস হলো সমাজ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ সূচক অনুসারে সমাজের মানুষকে মর্যাদার ভিত্তিতে বিভক্ত করা। এই স্তরবিন্যাস সমাজ দীর্ঘ সময় ধরে ধারণ করে এবং মেনে চলে।
স্তরবিন্যাসের ধরনসমূহ
স্তরবিন্যাসের চারটি ধরন এখানে আলোচনা করা হলো। যথা- দাস প্রথা, সামন্ত প্রথা, সামাজিক শ্রেণি এবং বর্ণ প্রথা। দাস প্রথা: দাস প্রথা হল সমাজের অসমতার এক চরম নিদর্শন। মানব ইতিহাসের যে পর্যায়ে দাস প্রথার প্রচলন হয়েছিল সেখানে দাস নামে আখ্যায়িত এক শ্রেণির মানুষকে দাস মালিকেরা নিজেদের কাজে নির্বিচারে ব্যবহার করত। কোনো কোনো আইনে (যেমন হাম্মুরাবি প্রণীত আইন) দাস ব্যবস্থাকে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং দাসকে কেউ পালাতে সাহায্য করলে বা পলাতক দাসকে কেউ আশ্রয় দিলে তাকে শাস্তি পেতে হতো। দাসদের কোনো স্বাধীনতা ছিল না, দাস
মালিকদের ইচ্ছানুসারেই শ্রম দিতে হতো। দাস ছিল দাস মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি অনেকটা হালের লাঙল, বলদ ইত্যাদির মতো। দাসদের কোনো অধিকার ছিল না। সমাজের স্বাধীন মানুষ অপেক্ষা দাসের মর্যাদা অনেক নিচে ছিল। অন্যান্য পণ্যের ন্যায় খোলাবাজারে দাস কেনাবেচা হতো এবং অনেক ক্ষেত্রে দাস মালিক কোনো কোনো দাসকে আজীবনের জন্য কিনে নিত। আদিম সমাজে দাসের কয়েকটা উৎস ছিল-কেউ যুদ্ধবন্দী হয়ে, কেউ ঋণগ্রস্থ হয়ে দাসে পরিণত হতো। কেউ বা বংশানুক্রমে দাসত্ব করতো।
সামন্ত প্রথা: ইউরোপের সামন্ত সমাজে এ প্রথা প্রধানত প্রচলিত ছিল বলা হলেও এর ব্যাপ্তি পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও দেখতে পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে সামন্ত প্রথার আংশিক প্রমাণ মেলে। এ ব্যবস্থা মূলত সম্রাটের ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈচিত্র্য লক্ষণীয়। সম্রাট তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা সমস্ত ভূমিকে সামন্ত রাজাদের মধ্যে ভাগ করে দিতেন। এর মাধ্যমে সামন্ত রাজারা সম্রাটের সাথে এক ধরনের চুক্তিতে আবদ্ধ হতেন।
এ চুক্তি অনুসারে নিজ সাম্রাজ্য রক্ষার জন্য বা অন্য সাম্রাজ্য দখলের প্রয়োজনে সম্রাটের পরামর্শ বা সৈন্যসামন্তের প্রয়োজন হলে সামন্তরাজারা তা প্রদান করে সম্রাটকে সাহায্য করতেন। সামন্ত রাজারা তাঁদের জমি অভিজাত শ্রেণিকে আর অভিজাত শ্রেণি নাইটদেরকে, নাইটরা (যোদ্ধা শ্রেণি) কৃষককে খাজনার বিনিময়ে ভূমি জায়গীর হিসেবে প্রদান করতেন। এভাবেই সামন্ত সমাজে ভূমিভিত্তিক স্তরবিন্যাসের প্রচলন ছিল।
বর্ণপ্রথা: বর্ণভিত্তিক স্তরায়ন মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত। কোনো আর্থিক সচ্ছলতা বা মালিকানার ভিত্তিতে নয় বরং এ প্রথানুসারে মানুষের জন্মগ্রহণই তার পদমর্যাদা নির্ধারণ করে দেয়। এ প্রথার প্রচলন ও রীতিনীতিকে আইনসিদ্ধ করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করতে দেখা যায়। এ প্রথা অনুসারে মানুষ যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করবে সে পরিবারের মান ও সামাজিক মর্যাদা অনুসারে নবজাতকের মর্যাদা নির্ধারিত হয়ে থাকে। বর্ণপ্রথার বিভিন্ন ধরন দেখা যায়। যেমন: প্রাচীন ভারতীয় হিন্দু সমাজে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শুদ্রÑ এই চার ধরনের বর্ণ দেখা যায়।
এ বিভাজন জন্মসূত্রে। হিন্দু শাস্ত্রে গুণ ও কর্ম অনুসারে বিভাজনের কথা বলা হলেও প্রাচীন কাল থেকে জন্মসূত্রে এ বিভাজন চলে আসছে। পশ্চিমা সমাজে গায়ের বর্ণের ভিত্তিতে স্তরবিন্যাস দেখা যায়। এ স্তরবিন্যাসও জন্মসূত্রে। জন্মসূত্রে ব্যক্তি যে সামাজিক মর্যাদা পেয়ে থাকে সে সারাজীবন সে মর্যাদা ভোগ করে। বর্ণপ্রথা অনুসারে সামাজিক গতিশীলতার প্রায় কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। সামাজিক শ্রেণি: শ্রেণি প্রত্যয়টি মূলত আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার সাথে জড়িত। মূলত অর্থ সম্পদ, পেশা, শিক্ষার ভিত্তিতে এ বিভাজন করা হয়ে থাকে।
এ সকল বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটা শ্রেণি সহজেই অন্য শ্রেণির থেকে আলাদা হয়ে থাকে। সম্পদের মালিকানা বা আর্থিক সচ্ছলতার ভিত্তিতে সমাজের আলাদা আলাদা গোষ্ঠীগুলোতে শ্রেণি হিসেবে চিহ্নিত করার এ প্রথা শুরু হয়েছে শিল্প বিপ্লবের পরপরই। শিল্প সমাজের বিকাশের সাথে সাথে মানুষের আর্থিক সম্পদের বৃদ্ধির ফলে সমাজে ধনী, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ইত্যাদি শ্রেণির বিকাশ হতে থাকে।
অগবার্ন ও নিমকফের মতে, সামাজিক শ্রেণি হল সমাজে বসবাসকারী এমন এক ধরনের মানুষের সমাহার যাদের প্রায় একই ধরনের আর্থিক সম্পদ থাকার কারণে একই ধরনের সমাজিক মর্যাদা রয়েছে। মার্কসীয় সংজ্ঞা অনুসারে শ্রেণি হল এমন এক গোষ্ঠী যাদের উৎপাদনের উপাদানের সাথে একই ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে সমাজে উৎপাদনের বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করছে সেটাই মুখ্য বিষয়। উৎপাদনের উপায়সমূহ যার বা যাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে তার একটা শ্রেণি (পুঁজিপতি) আর যাদের হাতে সে নিয়ন্ত্রণ থাকে না তারা অন্য শ্রেণি, যেমন-সর্বহারা, শ্রমিক শ্রেণি।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- degree 3rd year philosophy 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ দর্শন ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- degree 3rd year psychology 6th paper super suggestion, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন, ডিগ্রি ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র স্পেশাল সাজেশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ৩য় বর্ষ মনোবিজ্ঞান ৬ষ্ঠ পত্র পরিক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- ডিগ্রি ১ম বর্ষের রেজাল্ট NU Degree 1st Year Result
- ডিগ্রী ২য় বর্ষের সাজেশন pdf
- Degree 2nd year suggestion
- Degree 2nd Year Math 4th paper Suggestion