বিষয়: ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন, অনুচ্ছেদ লিখুন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অনুচ্ছেদ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি , অনুচ্ছেদ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুচ্ছেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুচ্ছেদ PDF Download :01
পৃথিবীতে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে। নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে প্রীতি ও ভাতৃত্বের যে ভাব বিদ্যমান থাকে তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। কোনো দেশে শুধু একটি জাতিসত্তা ও ধর্মীয় সম্প্রদায় বাস করে না। আমাদের দেশেও নানা জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের বসবাস রয়েছে।
বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে বহু জাতি-গোষ্ঠীর মানুষ এদেশে এসে প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, রক্তের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তাই তো আমরা সংকর জাতি । আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি কখনোই সমপ্রদায়গত বিভেদ সৃষ্টি করেনি।
বরং এদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনাকেই ধারণ করেছে। এক ধর্মের উৎসব-অনুষ্ঠানে ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করে। ভালোবাসার বন্ধনে বাংলাদেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বাঙালি, অবাঙালি আবদ্ধ। তারপরও কখনো কখনো স্বার্থান্ধ বিদেশি শক্তি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে এদেশের মানুষের একতার বন্ধনকে ছিন্ন করতে চেয়েছে, কিন্তু তারা সফল হয়নি। এই মাটি, বায়ু, চন্দ্র, সূর্য, সুনীল সাগর মানুষকে যে উদারতা শিখিয়েছে তাই তাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগিয়ে রেখেছে। সাম্প্রদায়িক বিবাদ মানুষের জন্য অকল্যাণকর।
বহু মানুষের রক্তক্ষরণ হয় সাম্প্রদায়িক বিবাদে। সাম্প্রদায়িক বিবাদে মানবতা পরাজিত হয়। সারা বিশ্বেই সাম্প্রদায়িক বিবাদে বহু মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, আর্থনীতিক উন্নতি ব্যাহত হচ্ছে। জাতীয় উন্নয়নের জন্যও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জরুরি। আমরা আমাদের দেশের উন্নতির জন্য, মানবতাকে রক্ষার জন্য, এদেশের নানা ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখব- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আরো ও সাজেশন:-
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুচ্ছেদ PDF Download :02
মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা না করে ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোত্র ইত্যাদি দিয়ে পার্থক্য করে দেখাই সাম্প্রদায়িকতা। অথচ পৃথিবীতে মানুষের আগমনের সূচনাপর্বে কোনো ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোত্রভেদ ছিল না।
পরবর্তী সময়ে সমাজ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সূত্রে আত্মস্বার্থের কারণে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদের সূচনা হলো। মানুষ যখন প্রেম, মৈত্রী, শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্মীয় বাণী ও ভাবধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হিংসা-বিদ্বেষ ও আক্রোশের বশবর্তী হলো, তখন থেকেই সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প মানুষকে কলুষিত করল। জাতিবিদ্বেষ, ধর্মবিদ্বেষ, বর্ণবিদ্বেষ, গোত্রবিদ্বেষ মানুষকে কখনো ভালো কিছু দেয়নি, কোনো সুফল বয়ে আনেনি।
বরং মানুষের সাধনালব্ধ সমস্ত অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, সমস্ত নিরাপত্তা, শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছে। সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন প্রকাশ মানুষকে পশুতে পরিণত করেছে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অগণিত মানুষ মারা যাচ্ছে, মানবতা লঙ্ঘিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। অন্ধবিশ্বাস ও গোড়ামিকে পুঁজি করে একশ্রেণির মানুষ বিভেদ ও হিংসা ছড়িয়ে দাঙ্গা বাঁধিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। বাংলাদেশে বহু কাল ধরে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষ পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ বজায় রেখে সহাবস্থান করছে, পালন করছে ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠান।
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এদেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ যেমন অপরিহার্য, তেমনই অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও অপরিহার্য। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, আন্তরিক মেলামেলা, পরোপকারী মনোভাব, সুকুমার বৃত্তির লালন ও কল্যাণকর্ম সম্পাদনের মাধ্যমেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লালন ও বিকাশ সম্ভব। সর্বোপরি ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’- এটাই সবরকম সম্প্রীতির মূলমন্ত্র। এই মূলমন্ত্র অনুসরণ করাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনুচ্ছেদ PDF Download :03
প্রত্যেক ধর্ম বা সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ যে যার ধর্মকে সবার সেরা বলে মনে করে।কিছু এমন মানুষও থাকে যারা অন্য ধর্ম বা সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের ছোটো করে দেখে। এখান থেকে জন্ম নেয় হিংসার।
নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ আসনে বসাতে গিয়ে অন্য ধর্মের মানুষের সাথে খারাপ ব্যাবহার,অত্যাচার যে সংঘাতের সৃষ্টি করে তাকে এক কথায় বলে সাম্প্রদায়িকতা।আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলতে বোঝায় এমন এক সহবস্থান যেখানে সব ধর্মের মানুষ মিলে মিশে থাকে,যেখানে ধর্ম নিয়ে কোনো হিংসার যুদ্ধ চলেনা,কোনো ধর্মের মানুষ কোনো ধর্মকে ছোটো করে দেখেনা।যেখানে সব ধর্মের মানুষ সবাই সবার বন্ধু।
এক দেশে এক জায়গায় একই সাথে বাস করার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা একান্তই কাম্য।সমাজ দেহকে সুস্থ সবল রেখে সমাজের ভবিষ্যতকে বিকাশের পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সবার আগে ধ্বংস করতে হবে সাম্প্রদায়িকতার দুষ্ট জীবাণুকে।যার জন্য ভীষণভাবে প্রয়োজন সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ।
ছোটো থেকে সঠিক শিক্ষায় পারে এমন শুভ বোধের জাগরণ করতে।তাই এ ব্যাপারে ছাত্র সমাজের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।হিন্দু,মুসলমান,শিখ,বৌদ্ধ নির্বিশেষে এক বিদ্যালয়ে পাশাপাশি বসে শিক্ষা গ্রহণ,বন্ধুত্ব,পারস্পরিক সহযোগিতা,সহমর্মিতা সম্প্রীতির বুনিয়াদকে মজবুত করে গড়ে তোলে। ছোটো থেকে ধর্ম নিরপেক্ষ বন্ধুত্ব স্থাপন ভবিষ্যত সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
- শীর্ষ ১০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যানিমে কী কী?, সর্বকালের সেরা ২০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যানিমে
- বৃষ্টির আবহাওয়ায় আমার মোটরসাইকেলের যত্ন
- কিভাবে মরিচা থেকে আপনার মোটরসাইকেলকে রক্ষা করবেন?, বাইকে মরিচা কিভাবে দূর করা যায় ?