সালাত এর আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ কী?, সালাত এর পরিচয় দাও ,সালাত কী?
রুকু সিজদাহ বিশিষ্ট নির্দিষ্ট ইবাদতকে (সালাত) বলা হয়। ইসলামি জীবনব্যবস্থার মৌলিক স্তম্ভের মধ্যে (সালাত) প্রথম এবং প্রধান স্তম্ভ । সালাতকে বলা হয় সকল ইবাদতের চাবিকাঠি । সালাত ছাড়া অন্যান্য ইবাদত মূল্যহীন।
সালাত এর পরিচিতি : আভিধানিক অর্থ : ফার্সি শব্দ নামাজ এবং আরবি প্রতিশব্দ (সালাত)। শব্দটি
মাসদার বাবে (তাফয়িল) থেকে ব্যবহৃত হয়। শব্দটি স্থান কাল, অবস্থাভেদে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়।
১.অনুগ্রহ । যখন শব্দটি মহান আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত হবে।
২.ক্ষমা প্রার্থনা। যখন শব্দটি ফেরেশতার সাথে সম্পৃক্ত হবে ।
৩. প্রার্থনা । যখন শব্দটি বান্দার সাথে সম্পৃক্ত হবে ।
৪. দরুদ পড়া। যখন শব্দটি রাসূলের সাথে সম্পৃক্ত হবে।
৫. পবিত্রতা বর্ণনা করা। যখন শব্দটি পশুপাখির সাথে সম্পৃক্ত হবে।
৬. কেউ কেউ বলেছেন অর্থ সম্পর্ক, মিলন। কারণ সালাত আল্লাহ ও বান্দার মাঝে সম্পর্ক সৃষ্টি করে ।
৭. কারো কারো মতে অর্থ বাঁকা কাঠকে আগুনের তাপ দিয়ে সোজা করা ৷
তবে এখানে শব্দটি নির্দিষ্ট আরকান ও আহকামের সমষ্টিকে বুঝায় ।
সালাতের পারিভাষিক সংজ্ঞা : ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়
অর্থাৎ,“কতিপয় নির্দিষ্ট কার্য ও নির্দিষ্ট আরকানের সমষ্টির নাম(সালাত) বা নামাজ ।”
“সালাত এমন একটি ইবাদতের নাম, ইসলামি শরিয়তে যার নির্দিষ্ট সীমা বর্ণিত হয়েছে।”
কুদূরী গ্রন্থের টীকায় বলা হয়েছে— “নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আল্লাহর নির্দেশিত রুকনসমূহ আদায় করাকে সালাত বা নামাজ বলা হয় ।”
তানযীমুল আশতাত গ্রন্থ প্রণেতা বলেছেন
অর্থাৎ, “নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট আরকান নির্দিষ্ট কার্যাবলি সম্পাদন করাকে সালাত বলা হয়।”
‘ইসলাম পরিচিতি’ গ্রন্থে ড. মো. ইব্রাহীম খলিল বলেছেন— “শরীআত নির্ধারিত নিয়মে সুনির্দিষ্ট সময়ে কিয়াম, রুকু ও সিজদার মাধ্যমে মহান আল্লাহর আদেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনই সালাত ।’
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়,, সালাত হচ্ছে মহান আল্লাহ কর্তৃক আদেশকৃত ইবাদতের নাম, যা তারই নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট নিয়মে আদায় করতে হয় । মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের জন্য এটি ফরজ করে দিয়েছেন।