সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বিধি ১৯৮৭ সম্পর্কে আলোচনা কর

সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বিধি ১৯৮৭ সম্পর্কে আলোচনা কর

সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বিধি ১৯৮৭ বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধিমালা। এটি সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর অধীনে প্রণয়ন করা হয় এবং সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ (শেয়ার বাজার) এর কার্যক্রম, নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির জন্য বিস্তারিত নিয়ম-কানুন ও পদ্ধতি নির্ধারণ করে। এই বিধিমালাটি বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ বাজারের কার্যক্রমকে সুশৃঙ্খল, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়।

সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বিধি ১৯৮৭-এর মূল উদ্দেশ্য:

  1. সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ: শেয়ার বাজারের কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য বিস্তারিত নিয়মাবলী প্রদান।
  2. বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা: বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা এবং প্রতারণা ও অনিয়ম রোধ করা।
  3. বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: সিকিউরিটিজ বাজারের লেনদেনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
  4. বাজার উন্নয়ন: সিকিউরিটিজ বাজারের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

আরো ও সাজেশন:-

Honors Suggestion Linksপ্রশ্ন সমাধান সমূহ
Degree Suggestion LinksBCS Exan Solution
HSC Suggestion Links2016 সাল থেকে সকল জব পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর
SSC ‍& JSC Suggestion Linksবিষয় ভিত্তিক জব পরিক্ষার সাজেশন

বিধিমালার প্রধান বৈশিষ্ট্য:

সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জের গঠন ও পরিচালনা:

    • সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জের গঠন, সদস্যতা, পরিচালনা পর্ষদ ও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত বিধান।
    • এক্সচেঞ্জের সদস্যদের (ব্রোকার, ডিলার ইত্যাদি) নিয়ম-কানুন ও শর্তাবলী।

    সিকিউরিটিজের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ:

      • শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড ইত্যাদি সিকিউরিটিজের লেনদেনের নিয়মাবলী।
      • লেনদেনের সময়সূচি, প্রক্রিয়া ও নিষ্পত্তি পদ্ধতি।

      তালিকাভুক্ত কোম্পানির নিয়মাবলী:

        • সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য শর্তাবলী ও নিয়মাবলী।
        • তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন, তথ্য প্রকাশ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ।

        বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা:

          • বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বিধান।
          • অভিযোগ নিষ্পত্তি ও প্রতিকার ব্যবস্থা।

          অভ্যন্তরীণ তথ্য ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ:

            • অভ্যন্তরীণ তথ্য ব্যবহার করে লেনদেন করা নিষিদ্ধ এবং এর জন্য শাস্তির বিধান।

            তদারকি ও তদন্ত:

              • সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম তদারকি ও তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান।

              শাস্তিমূলক ব্যবস্থা:

                • বিধিমালা লঙ্ঘনের জন্য শাস্তির বিধান, যেমন জরিমানা, সদস্যপদ স্থগিতকরণ বা বাতিলকরণ।

                বিধিমালার গুরুত্ব:

                • সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বিধি ১৯৮৭ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের কার্যক্রমকে সুশৃঙ্খল ও নিয়ন্ত্রিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
                • এটি বাজারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
                • সিকিউরিটিজ বাজারের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এটি একটি প্রয়োজনীয় বিধিমালা।

                পরবর্তী উন্নয়ন:

                ১৯৮৭ সালের এই বিধিমালাটি পরবর্তীতে আধুনিকীকরণ ও সংস্কারের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এবং অন্যান্য বিধিমালা দ্বারা প্রতিস্থাপিত ও সংযোজিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (BSEC) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যা বাজারের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও বিধিমালা প্রণয়ন করে।

                সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বিধি ১৯৮৭ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা বাজারের কার্যক্রমকে সুসংহত ও নিয়ন্ত্রিত করার ভিত্তি স্থাপন করে।

                উপসংহার : সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বিধি ১৯৮৭ সম্পর্কে আলোচনা কর

                আর্টিকেলের শেষ কথাঃ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ বিধি ১৯৮৭ সম্পর্কে আলোচনা কর

                আরো পড়ুন:

                Leave a Comment