বিষয়: সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থাই সর্বোৎকৃষ্ট ব্যাংক ব্যবস্থা আলোচনা কর, সুদবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থাই সর্বোৎকৃষ্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থা, সুদবিহীন ব্যাংকিং কি , কিভাবে চালু করা যাই সুদবিহীন ব্যাংকিং , ইসলামের আলোতে সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থাই আচোলনা করো
সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থাই সর্বোৎকৃষ্ট ব্যাংক ব্যবস্থা আলোচনা কর
আল্লাহ তায়ালা ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম ঘােষণা করেছেন। ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থাও মূলত একটি ব্যবসা। সুদের সর্বনাশা ও হিংস্র থাবা থেকে বিশ্ব মানবতাকে অর্থনৈতিকভাবে পরিত্রাণের এক সর্বোত্তম হচ্ছে ইসলামি ব্যাংক। সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার কোনাে জুড়ি নেই। সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থাই যে সর্বোৎকৃষ্ট ব্যাংক ব্যবস্থা নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলােচনা করা হলাে
শরিয়ত সমর্থিত ব্যাংকিং : আল্লাহ প্রদত্ত ইসলামি শরিয়ত তথা কুরআন, সুন্নাহ ও কিয়াসে সুদকে হারাম ঘােষণা করে ব্যবসাকে ১০০% হালাল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। শরিয়ত সমর্থিত এ ব্যবস্থায় মানুষ কোনােভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। তাই শরিয়ত ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থাকে পূর্ণসমর্থন দান করেছে। আর যেহেতু এ ব্যবস্থা শরিয়ত সমর্থিত সেহেতু তা সর্বোৎকৃষ্ট ব্যাংক ব্যবস্থা এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ সংশয়ের অবকাশ নেই।
অগ্রগামী ব্যাংক ব্যবস্থা : সুদবিহীন বা ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থা অগ্রগামী ব্যাংক ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত। ইসলাম মানবতার কল্যাণ ও মুক্তির ধর্ম। মানবজীবনের এমন কোনাে দিক ও বিভাগ নেই, যার সঠিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ইসলামে নেই। প্রচলিত সুদি ব্যাংকগুলাের ন্যায় ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থাও যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তবে পার্থক্য হচ্ছে কেবল সুদি ব্যাংকগুলাে ইসলামি শরিয়তের অনুসরণ করে না। কিন্তু ইসলামি ব্যাংকিং যাবতীয় কার্যক্রম ইসলামের নির্দেশ ও নীতিমালার অনুসরণ করে এবং করতে বাধ্য থাকে। আর যেহেতু ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থা অগ্রগামী ব্যাংক ব্যবস্থা এবং ইসলামের রীতিনীতি অনুসরণ করে সেহেতু এটি সর্বোত্তম ব্যাংক ব্যবস্থা।
আমানত গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে সুদিত গ্যাংকগুলোর নীড়ে, নির্ধারিত কোনো সুনির্দিষ্ট হারে সুদ গ্রহণ ও প্রদানের ব্যবস্থা, বরং আমানতকৃত অর্থ শরিয়ত অনুমোদিত লিসা বা বিনিয়ােগ করে তার লভ্যাংশ আমানতকারীকে প্রদান করা । এতে লােকসানের সম্ভাবনা থাকলেও তা হয় না বললেই চলে। ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থা একদিকে লাভজনক অপরদিকে হাম হওয়ায় তা সর্বোত্তম ব্যাংক ব্যবস্থা হিসেবে বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। |
জনকল্যাণমূলক কার্যাবলি সম্পাদন : ইসলামি ২ ব্যবস্থা জনকল্যাণমূলক কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। যা প্রচব্যাংক ব্যবস্থায় বিনা সুদে কল্পনা করা যায় না। অথচ ইসল ব্যাংকিং সমাজসেবা ও জনকল্যাণমূলক কার্যাবলি সম্পাদন মত সর্বোকৃষ্ট ব্যাংক ব্যবস্থা হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
সুদবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা শাস্ত্রে নিশ্চয়তা : ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থায় সুদবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা লাভের পূর্ণ নিশ্চয়তা পাওয়া যায়, এতে যােকোনাে পণ্য আমদানি রপ্তানি করা যায় সুদবিহীনভাবে এরূপ ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে আমানতকারী ইলামি ব্যাংকিং সর্বোত্তম । সর্বোকৃষ্ট ব্যবস্থা হিসেবে পরিচতি লাভ করেছে। |
দারিদ্র্য বিমােচনে ভূমিকা : আধুনিক বিশ্বে দারিদ্র্য এষ মারাত্মক অভিশাপ। তাই দারিদ্র্য বিমােচনে ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থা বিভিন্ন বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে । দারিদ্র্য বিমােচনে ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থা যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। সেগুলাের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলাে : (ক) ক্ষুদ্র ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য ঋণদান; (খ) হাঁস-মুরগি পালনে ঋণদান ও (গ)। কৃষি কাজে ঋণদান ইত্যাদি।
৭. যাকাত তহবিল গঠন : ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থা সদা ইসলামি বিধিবিধান পালনের প্রতি গুরুত্বারােপ করে থাকে। ইসলামি শরিয়াহ অনুসারে সামর্থ্যবানদের জন্য যাকাত আদায় একটি ফরজ ইবাদত। তাই ইসলামি ব্যাংকিং-এর বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ লক্ষ্য পূরণে ইসলামি ব্যাংক সমাজস্থ অসহায় দরিদ্র মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য যাকাত তহবিল গঠন করে থাকে। যা প্রচলিত সুদি ব্যাংক ব্যবস্থায় সাধারণত কল্পনা করা যায় না। |
৮. শিক্ষামূলক কার্যক্রম : মানুষের মৌলিক চাহিদার
অন্যতম হচ্ছে শিক্ষা। আর ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থায় বিভিন্ন শিক্ষামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা, গণশিক্ষা ছাড়াও ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থায় নুরানী পদ্ধতিতে কুরআন শরিফ শিক্ষার মতাে বাস্তবমুখী ও কল্যাণকর কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি তা বাস্তবায়ন করে চলছে। তাই ইসলামি ব্যাংক ব্যবস্থা সর্বোৎকৃষ্ট ব্যাংক ব্যবস্থা এতে সন্দেহের কোনাে অবকাশ থাকতে পারে না।
প্রকৃিতিক দুর্যোগে এণি বিতরণ । পবিষ্ট ব্যাংক ৪ অদমুক্ত এণ বিতরণের সুব্যবস্থা রয়েষ্টে । বিশেন করে খরা, পূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সলিউনি ইসপানি ব্যকিলা রাণকালে কপূর্ণ ভূমিকা দখ । উদাহরণস্বরূপ ২৫৭ সালের বন্যার্তদের মধ্যে ইসলামি আতঙ্ক বাংলাদেশসহ অন্যান্য ইলামি ব্যাংকগুলেরি প্রাণ দ্বিতরণের কথা উল্লেখ করা যায়। এসব ব্যাংকের অর্থ সম্পূর্ণ সদা বিধায় জনগণ এর প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখায় ।
ইসলাম প্রচার, ইসলাম মানবতার শান্তি ও মুক্তির ধর্ম । নবি-রাসুলদের পর ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব মুসলমানদের উপর অর্পিত হয়েছে। সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থা যেহেতু ইসপানি আইন কানুনের অনুসারী সেহেতু তা ইসলাম প্রচারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পক্ষান্তরে, সুদি ব্যাংকগুলো ইসলাম প্রচার তো সরের কথা ইসলামের কোনো অনুশাসন মেনে চলে না। তাই সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থাই সর্বোত্তম ব্যাংক ব্যবস্থা।
ব্যতিক্রম বিনিয়োগ ব্যবস্থা : সুদি ব্যাংক ব্যবস্থায় সূণ ছাড়া অন্যকিছু কল্পনা করা যায় না। এখানে ঋণগ্রহীতার লাভ লােকসান যাই হােক না কেন ব্যাংকের সুদ অবশ্যই পরিশােধ করতে হয়। কিন্তু সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থায় ব্যাংক অব বিনিয়োগের সময় ব্যক্তি ও সমাজের কল্যাণের দিকে লক্ষ রােধে বিনা লাভে কর্জে হাসান প্রদান করে। এ ব্যাংক শিল্প, বাণিজ্য, কৃষিক্ষেত্র, বিভিন্ন প্রকল্পে একজন অংশীদার হিসেব জড়িত থাকে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে সফলতার দিকে বিশেষ নজর রাখে।।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বিনা দ্বিধায়, নিঃসন্দেহে সুদবিহীন ব্যাংক ব্যবস্থাই সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বোত্তম ব্যাংক ব্যবস্থা। এরূপ ব্যাংক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ শরিয়ত সমর্থিত, জনকল্যাণমূলক, উন্নয়নমূলক, দারিদ্র্য বিমােচনে। সহায়ক, হালাল আয় উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে আধুনিক বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশে লিমিটেড দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুদবিহীন ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] |
Paragraph & Composition/Application/Emali | উত্তর লিংক | ভাবসম্প্রসারণ | উত্তর লিংক |
আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক | প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ রচনা | উত্তর লিংক |
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও
- বাংলাদেশের সংবিধানের প্রনয়ণের প্রক্রিয়া শুরু হয় কবে? উত্তর-২৩ মার্চ, ১৯৭২,বাংলাদেশের সংবিধান কবে উত্থাপিত হয়? উত্তর- ১২ অক্টোবর, ১৯৭২,গনপরিষদে কবে সংবিধান গৃহীত হয়? উত্তর-০৪ নভেম্বর,১৯৭২,কোন তারিখে বাংলাদেশের সংবিধান বলবৎ হয়? উত্তর-১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
- Hon‘s 2nd: Business Communication & Report Writing
- Degree 3rd Year Exam Marketing 5th paper Suggestion