আজকের বিষয়: সূরা আনকাবুত সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল আনকাবুত আলমল ও ফজিলত, সূরা আনকাবুত কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা আনকাবুত নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ২৯ সূরা আল – আনকাবুত
নামকরণঃ
একচল্লিশের আয়াতের অংশবিশেষ ———————–থেকে সূরাটির নামকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ যে সূরার মধ্যে ’আনকাবুত শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, এটি সে সূরা।
নাযিল হবার সময়কালঃ
৫৬ থেকে ৬০ আয়াতের মধ্যে যে বক্তব্য এসেছে তা থেকে সুস্পষ্টভাবে জানা যায় যে, এ সূরাটি হাবশায় হিজরাতের কিছু আগে নাযিল হয়েছিল। অধিকন্তু বিষয়বস্তু গুলোর অভ্যন্তরীন সাক্ষ্যও একথাই সমর্থন করে। কারণ, পশ্চাতপটে সে যুগের অবস্থার চিত্র ঝলকে উঠতে দেখা যায়। যেহেতু এর মধ্যে মুনাফিকদের আলোচনা এসেছে এবং মুনাফিকীর প্রথম দশটি আয়াত হচ্ছে মাদানী এবং বাকি সমস্ত সূরাটি মক্কী। অথচ এখানে যেসব লোকের মুনাফিকীর কথা বলা হয়েছে তারা কেবল কাফেরদের জুলুম, নির্যাতন ও কঠোর শারীরিক নিপীড়নের ভয়ে মুনাফিকী অবলম্বন করছিল। আর একথা সুস্পষ্ট , এ ধরনের মুনাফিকীর ঘটনা মক্কায় ঘটতে পারে , মদীনায় নয়। এভাবে এ সূরায় মুসলমানদেরকে হিজরাত করার উপদেশ দেয়া হয়েছে, এ বিষয়টি দেখেও কোন কোন মুফাসসির একে মক্কায় নাযিলকৃত শেষ সূরা গণ্য করেছেন। । অথচ মদীনায় হিজরাতের আগে মুসলমানগণ হাবশায়ও হিজরাত করেছিলেন। এ ধারণাগুলো আসলে কোন হাদীসের ভিত্তিতে নয়। বরং শুধুমাত্র বিষয়বস্তুর অভ্যন্তরীন সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। আর সমগ্র সূরার বিষয়বস্তুর ওপর সামগ্রিকভাবে দৃষ্টিপাত করলে এ অভ্যন্তরীন সাক্ষ্য মক্কার শেষ যুগের নয় বরং এমন এক যুগের অবস্থার প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করে যে যুগে মুসলমানদের হাবশায় হিজরাত সংঘটিত হয়েছিল।
বিষয়বস্তু ও কেন্দ্রীয় বক্তব্যঃ
সূরাটি পড়লে মনে হবে এটি যখন নাযিল হচ্ছিল তখন মক্কায় মুসলমানরা মহা বিপদ- মুসিবতের মধ্যে অবস্থান করছিল। কাফেরদের পক্ষ থেকে পূর্ণ শক্তিতে চলছিল ইসলামের বিরোধিতা এবং মু’মিনদের ওপর চালানো হচ্ছিল কঠোর জুলুম- নিপীড়ন । এহেন অবস্থায় মহান আল্লাহ একদিকে সাচ্চা ঈমানদারদের লজ্জা দেবার জন্য এ সূরাটি নাযিল করেন। এই সাথে এর মধ্যে মক্কায় কাফেরদেরকেও এ মর্মে কঠোর ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে যে, নিজেদের জন্য এমন পরিণতি ডেকে এনো না সত্যের সাথে শত্রুতা পোষণকারীরা প্রতি যুগে যার সম্মুখীন হয়ে এসেছে।
সে সময় কিছু কিছু যুবক যেসব প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছিলেন এ প্রসঙ্গে তারও জবাব দেয়া হয়েছে। যেমন তাদের পিতা- মাতারা তাদের ওপর মুহাম্মদ (সা) এর দ্বীন ত্যাগ করে তাদের দ্বীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতো। তাদের পিতা- মাতারা বলতো, যে কুরআনের প্রতি তোমরা ঈমান এনেছো তাতেও তো লেখা আছে যে, মা- বাপের হক সবচেয়ে বেশি। কাজেই আমরা যা কিছু বলছি তাই তোমরা মেনে নাও। নয়তো তোমরা নিজেদের ঈমান বিরোধী কাজে লিপ্ত হবে। ৮ আয়াতে এর জবাব দেয়া হয়েছে।
অনুরূপভাবে কোন কোন নওমুসলিমকে তাদের গোত্রের লোকেরা বলতো, তোমরা আমাদের কথা মেনে নাও এবং ঐ ব্যক্তি থেকে আলাদা হয়ে যাও, এ জন্য আযাব- সওয়াব যাই হোক, তার দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করছি। যদি এ জন্য আল্লাহ তোমাদের পাকড়াও করেন তাহলে আমরা অগ্রবর্তী হয়ে বলে দেবোঃ জনাব, এ বেচারাদের কোন দোষ নেই। আমরাই এদেরকে ঈমান ত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলাম। কাজেই আমাদের পাকড়াও করুন। এর জবাব দেয়া হয়েছে ১২-১৩ আয়াতে।
এ সূরায় যে কাহিনীগুলো বর্ণনা করা হয়েছে সেখানেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ দিকটিই সুস্পষ্ট করা হয়েছে যে, পূর্ববর্তী নবীদেরকে দেখো, তারা কেমন কঠিন বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। কত দীর্ঘকাল ধরে তারা নির্যাতিত হয়েছেন। তারপর আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের সাহায্য করা হয়েছে। কাজেই ভয় পেয়ো না। আল্লাহর সাহায্য নিশ্চয়ই আসবে কিন্তু পরীক্ষার একটি সময়কাল অতিবাহিত হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন । মুসলমানদেরকে এ শিক্ষা দেবার সাথে সাথে মক্কার কাফেরদেরকেও এ কাহিনীগুলোতে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে পাকড়াও হতে দেরি হয়, তাহলে তাতে আর কোনদিন পাকড়াও হবেই না বলে মনে করে নিয়ো না। অতীতের ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলোর চিহ্ন ও ধ্বংসাবশেষ তোমাদের সামনে রয়েছে। দেখে নাও, শেষ পর্যন্ত তাদের সর্বনাশ হয়েই গেছে এবং আল্লাহ তার নবীদেরকে সাহায্য করেছেন।
তারপর মুসলমানদেরকে এভাবে পথনির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, জুলুম নির্যাতন যদি তোমাদের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে ঈমান পরিত্যাগ করার পরিবর্তে তোমরা ঘরবাড়ি ত্যাগ করে বের হয়ে যাও। আল্লাহর যমীন অনেক প্রশস্ত । যেখানে আল্লাহর বন্দেগী করার সুযোগ আছে সেখানে চলে যাও।
এসব কথার সাথে সাথে কাফেরদেরকে বুঝাবার দিকটিও বাদ দেয়া হয়নি। তাওহীদ ও আখেরাত উভয় সত্যকে যুক্তিসহকারে তাদেরকে বুঝাবার চেষ্টা করা হয়েছে। শিরককে খণ্ডন করা হয়েছে। বিশ্ব- জাহানের নির্দশনাবলীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদেরকে জানানো হয়েছে যে, আমার নবী তোমাদের সামনে যে শিক্ষা পেশ করছেন এ নির্দশনাবলী তার সত্যতা প্রমাণ করছে।
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
সুরা নং- ০২৯ : আল-আনকাবুত
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
الٓمٓ ١
আরবি উচ্চারণ ২৯.১। আলিফ্ লা-ম্ মী-ম্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.১আলিফ-লাম-মীম।
أَحَسِبَ ٱلنَّاسُ أَن يُتۡرَكُوٓاْ أَن يَقُولُوٓاْ ءَامَنَّا وَهُمۡ لَا يُفۡتَنُونَ ٢
আরবি উচ্চারণ ২৯.২। আহাসিবান্না-সু আইঁ ইয়ুত্রকূ য় আইঁ ইয়াকু লূ য় আ-মান্না- অহুম্ লা-ইয়ুফ্তানূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.২মানুষ কি মনে করে যে, আমরা ঈমান এনেছি বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না?
وَلَقَدۡ فَتَنَّا ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡۖ فَلَيَعۡلَمَنَّ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ صَدَقُواْ وَلَيَعۡلَمَنَّ ٱلۡكَـٰذِبِينَ ٣
আরবি উচ্চারণ ২৯.৩। অলাক্বদ্ ফাতান্নাল্লাযীনা মিন্ ক্বব্লিহিম্ ফালাইয়ালামান্নাল্লা-হুল্ লাযীনা ছোয়াদাকু অলাইয়ালামান্নাল্ কা-যিবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৩আর আমি তো তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছি। ফলে আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন, কারা সত্য বলে এবং অবশ্যই তিনি জেনে নেবেন, কারা মিথ্যাবাদী।
أَمۡ حَسِبَ ٱلَّذِينَ يَعۡمَلُونَ ٱلسَّيِّـَٔاتِ أَن يَسۡبِقُونَاۚ سَآءَ مَا يَحۡكُمُونَ ٤
আরবি উচ্চারণ ২৯.৪। আম্ হাসিবাল্লাযীনা ইয়ামালূনাস্ সাইয়িয়া-তি আইঁ ইয়াস্বিকুনা-; সা-য়া মা-ইয়াহ্ কুমূন্ ।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৪নাকি যারা পাপ কাজ করে তারা মনে করে যে, তারা আমাকে রেখে সামনে চলে যাবে? কতইনা নিকৃষ্ট, যা তারা ফয়সালা করে!
مَن كَانَ يَرۡجُواْ لِقَآءَ ٱللَّهِ فَإِنَّ أَجَلَ ٱللَّهِ لَأَتٍ۬ۚ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ٥
আরবি উচ্চারণ ২৯.৫। মান্ কা-না ইর্য়াজু লিক্ব-য়াল্লা-হি ফাইন্না আজ্বালাল্লা-হি লায়া-ত্; অহুওয়াস্ সামী ঊল্ আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৫যে আল্লাহর সাক্ষাৎ কামনা করে (সে জেনে রাখুক) অতঃপর নিশ্চয় আল্লাহর নির্ধারিত কাল আসবে। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
وَمَن جَـٰهَدَ فَإِنَّمَا يُجَـٰهِدُ لِنَفۡسِهِۦۤۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَغَنِىٌّ عَنِ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ٦
আরবি উচ্চারণ ২৯.৬। অ মান্ জ্বা-হাদা ফাইন্নামা ইয়ুজ্বা-হিদু লিনাফ্সিহ্; ইন্নাল্লা-হা লাগানিইয়ুন্ আনিল্ আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৬আর যে চেষ্টা করে সে তো তার নাফ্সের জন্য চেষ্টা করে। নিশ্চয় আল্লাহ সৃষ্টিকুল থেকে প্রয়োজনমুক্ত।
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ لَنُكَفِّرَنَّ عَنۡهُمۡ سَيِّـَٔاتِهِمۡ وَلَنَجۡزِيَنَّهُمۡ أَحۡسَنَ ٱلَّذِى كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٧
আরবি উচ্চারণ ২৯.৭। অল্লাযীনা আ- মানূ অআমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি লানুকাফ্ফিরন্না আন্হুম্ সাইয়িয়া-তিহিম্ অলানাজ্ব যিয়ান্নাহুম্ আহ্সানাল্ লাযী কা-নূ ইয়ামালূ ন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৭আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, অবশ্যই আমি তাদের থেকে তাদের পাপসমূহ দূর করে দেব এবং আমি অবশ্যই তাদের সেই উত্তম আমলের প্রতিদান দেব, যা তারা করত।
وَوَصَّيۡنَا ٱلۡإِنسَـٰنَ بِوَٲلِدَيۡهِ حُسۡنً۬اۖ وَإِن جَـٰهَدَاكَ لِتُشۡرِكَ بِى مَا لَيۡسَ لَكَ بِهِۦ عِلۡمٌ۬ فَلَا تُطِعۡهُمَآۚ إِلَىَّ مَرۡجِعُكُمۡ فَأُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ٨
আরবি উচ্চারণ ২৯.৮। অ অছ্ছোয়াইনাল্ ইন্সা-না বিওয়া-লিদাইহি হুস্না-; অইন্ জ্বা- হাদা-কা লিতুশ্রিকা বী মা-লাইসা লাকা বিহী ইল্মুন্ ফালা-তুত্বিহুমা-; ইলাইয়্যা র্মাজ্বিউকুম্ ফায়ুনাব্বিয়ুকুম্ বিমা-কুন্তুম্ তামালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৮ আর আমি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছি তার পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করতে। তবে যদি তারা তোমার উপর প্রচেষ্টা চালায় আমার সাথে এমন কিছুকে শরীক করতে যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদের আনুগত্য করবে না। আমার দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তোমরা যা করতে আমি তা তোমাদেরকে জানিয়ে দেব।
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ لَنُدۡخِلَنَّهُمۡ فِى ٱلصَّـٰلِحِينَ ٩
আরবি উচ্চারণ ২৯.৯। অল্লাযীনা আ-মানূ অ আমিলুছ্ছোয়া-লিহা-তি লানুদ্খিলান্নাহুম্ ফিছ্ছোয়া-লিহীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৯আর যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করব।
وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ فَإِذَآ أُوذِىَ فِى ٱللَّهِ جَعَلَ فِتۡنَةَ ٱلنَّاسِ كَعَذَابِ ٱللَّهِ وَلَٮِٕن جَآءَ نَصۡرٌ۬ مِّن رَّبِّكَ لَيَقُولُنَّ إِنَّا ڪُنَّا مَعَكُمۡۚ أَوَلَيۡسَ ٱللَّهُ بِأَعۡلَمَ بِمَا فِى صُدُورِ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ١٠
আরবি উচ্চারণ ২৯.১০। অমিনান্না-সি মাইঁ ইয়াকু লু আ-মান্না- বিল্লা-হ্; ফাইযা য় উযিয়া ফিল্লা-হি জ্বাআলা ফিত্নাতান না-সি কাআযা-বি ল্লা-হি অলায়িন্ জ্বা-য়া নাছ্রুম্ র্মি রব্বিকা লাইয়াকু লুন্না ইন্না-কুন্না-মাআকুম্ আওয়া লাইসাল্লা-হু বি আলামা বিমা-ফী ছুদূরিল্ আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.১০ আর কিছু লোক আছে যারা বলে, আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি, অতঃপর যখন আল্লাহর ব্যাপারে তাদের কষ্ট দেয়া হয়, তখন তারা মানুষের নিপীড়নকে আল্লাহর আযাবের মত গণ্য করে। আর যদি তোমার রবের পক্ষ থেকে কোন বিজয় আসে, তখন অবশ্যই তারা বলে, নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে ছিলাম। সৃষ্টিকুলের অন্তরসমূহে যা কিছু আছে আল্লাহ কি তা সম্পর্কে সম্যক অবগত নন?
وَلَيَعۡلَمَنَّ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَلَيَعۡلَمَنَّ ٱلۡمُنَـٰفِقِينَ ١١
আরবি উচ্চারণ ২৯.১১। অ লাইয়া’লামান্নাল্লা-হু ল্লাযীনা আ-মানূ অ লাইয়ালামান্নাল্ মুনা-ফিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.১১ আর আল্লাহ অবশ্যই জানেন, কারা ঈমান এনেছে এবং তিনি মুনাফিকদেরকেও জানেন।
وَقَالَ ٱلَّذِينَ ڪَفَرُواْ لِلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّبِعُواْ سَبِيلَنَا وَلۡنَحۡمِلۡ خَطَـٰيَـٰكُمۡ وَمَا هُم بِحَـٰمِلِينَ مِنۡ خَطَـٰيَـٰهُم مِّن شَىۡءٍۖ إِنَّهُمۡ لَكَـٰذِبُونَ ١٢
আরবি উচ্চারণ ২৯.১২। অক্ব- লাল্লাযীনা কাফারূ লিল্লাযীনা আ-মানু ত্তাবিঊ সাবীলানা- অল্ নাহ্মিল্ খাত্বোয়া-ইয়া-কুম্; অমা-হুম্ বিহা-মিলীনা মিন্ খাত্বোয়া-ইয়া-হুম্ মিন্ শাইয়িন ইন্নাহুম্ লাকা-যিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.১২ আর কাফিররা মুমিনদেরকে বলে, তোমরা আমাদের পথ অনুসরণ কর এবং যেন আমরা তোমাদের পাপ বহন করি। অথচ তারা তাদের পাপের কিছুই বহন করবে না। নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
وَلَيَحۡمِلُنَّ أَثۡقَالَهُمۡ وَأَثۡقَالاً۬ مَّعَ أَثۡقَالِهِمۡۖ وَلَيُسۡـَٔلُنَّ يَوۡمَ ٱلۡقِيَـٰمَةِ عَمَّا ڪَانُواْ يَفۡتَرُونَ ١٣
আরবি উচ্চারণ ২৯.১৩। অ লাইয়াহ্মিলুন্না আছ্ক্ব-লাহুম্ অআছ্ক্ব-লাম্ মাআ আছ্ক্ব-লিহিম্ অলাইয়ুসয়ালুন্না ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি আম্মা- কা-নূ ইয়াফ্তারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.১৩ আর অবশ্যই তারা বহন করবে তাদের বোঝা এবং তাদের বোঝার সাথে আরো কিছু বোঝা। আর তারা কিয়ামতের দিন অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে সে সম্পর্কে, যা তারা মিথ্যা বানাত।
وَلَقَدۡ أَرۡسَلۡنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوۡمِهِۦ فَلَبِثَ فِيهِمۡ أَلۡفَ سَنَةٍ إِلَّا خَمۡسِينَ عَامً۬ا فَأَخَذَهُمُ ٱلطُّوفَانُ وَهُمۡ ظَـٰلِمُونَ ١٤
আরবি উচ্চারণ ২৯.১৪। অ লাক্বদ্ র্আসাল্না- নূহান্ ইলা-ক্বওমিহী ফালাবিছা ফীহিম্ আল্ফা সানাতিন্ ইল্লা-খাম্সীনা আমা-; ফাআখযাহুমুত্ব তু ফা- নু অহুম্ জোয়া-লিমূ ন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.১৪ আর আমি অবশ্যই নূহকে তার কওমের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। সে তাদের মধ্যে পঞ্চাশ কম এক হাজার বছর অবস্থান করেছিল। অতঃপর মহা-প্লাবন তাদের গ্রাস করল, এমতাবস্থায় যে তারা ছিল যালিম।
فَأَنجَيۡنَـٰهُ وَأَصۡحَـٰبَ ٱلسَّفِينَةِ وَجَعَلۡنَـٰهَآ ءَايَةً۬ لِّلۡعَـٰلَمِينَ ١٥
আরবি উচ্চারণ ২৯.১৫। ফাআন্জ্বাইনা-হু অআছ্হা-বাস্ সাফীনাতি অজ্বাআল্না-হা য় আ-ইয়াতাল্ লিল্আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.১৫ অতঃপর তাকে ও নৌকা আরোহীদেরকে আমি রক্ষা করলাম, আর এটাকে করলাম সৃষ্টিকুলের জন্য একটি নিদর্শন।
وَإِبۡرَٲهِيمَ إِذۡ قَالَ لِقَوۡمِهِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱتَّقُوهُۖ ذَٲلِڪُمۡ خَيۡرٌ۬ لَّكُمۡ إِن ڪُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ١٦
আরবি উচ্চারণ ২৯.১৬। অইব্র-হীমা ইয্ ক্ব-লা লিক্বওমিহি বুদু ল্লা-হা অত্তাকুহ্; যা-লিকুম্ খইরুল্লাকুম্ ইন্ কুন্তুম্ তা’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.১৬ আর (স্মরণ কর) ইবরাহীমকে, যখন সে তার কওমকে বলেছিল, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং তাঁর তাকওয়া অবলম্বন কর; এটি তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জান।
إِنَّمَا تَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَوۡثَـٰنً۬ا وَتَخۡلُقُونَ إِفۡكًاۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ تَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ لَا يَمۡلِكُونَ لَكُمۡ رِزۡقً۬ا فَٱبۡتَغُواْ عِندَ ٱللَّهِ ٱلرِّزۡقَ وَٱعۡبُدُوهُ وَٱشۡكُرُواْ لَهُ ۥۤۖ إِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ ١٧
আরবি উচ্চারণ ২৯.১৭। ইন্নামা- তাবুদূনা মিন্ দূনিল্লা-হি আওছা-নাও অ তাখ্লুকুনা ইফ্ক-; ইন্নাল্লাযীনা তাবুদূনা মিন্ দূ নিল্লা-হি লা-ইয়াম্লিকূনা লাকুম্ রিয্ক্বন্ ফাব্তাগূ ইন্দা ল্লা-র্হি রিয্ক্ব ওয়া’বুদূহু অশ্কুরূ লাহ্; ইলাইহি র্তুজ্বাঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.১৭ তোমরা তো আল্লাহকে বাদ দিয়ে মূর্তিগুলোর পূজা করছ এবং মিথ্যা বানাচ্ছ। নিশ্চয় তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদের উপাসনা কর তারা তোমাদের জন্য রিয্ক-এর মালিক নয়। তাই আল্লাহর কাছে রিয্ক তালাশ কর, তাঁর ইবাদাত কর এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
وَإِن تُكَذِّبُواْ فَقَدۡ ڪَذَّبَ أُمَمٌ۬ مِّن قَبۡلِكُمۡۖ وَمَا عَلَى ٱلرَّسُولِ إِلَّا ٱلۡبَلَـٰغُ ٱلۡمُبِينُ ١٨
আরবি উচ্চারণ ২৯.১৮। অ ইন্ তুকায্যিবূ ফাক্বদ্ কায্যাবা উমামুম্ মিন্ ক্বব্লিকুম্ অমা-আর্লা রসূলি ইল্লাল্ বালা-গুল্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.১৮ আর তোমরা যদি মিথ্যারোপ কর, তবে তোমাদের পূর্বে অনেক জাতি মিথ্যারোপ করেছিল। আর রাসূলের উপর দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টভাবে পৌঁছানো।
أَوَلَمۡ يَرَوۡاْ ڪَيۡفَ يُبۡدِئُ ٱللَّهُ ٱلۡخَلۡقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ ۥۤۚ إِنَّ ذَٲلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرٌ۬ ١٩
আরবি উচ্চারণ ২৯.১৯। আওয়া লাম্ ইয়ারাও কাইফা ইয়ুব্দিয়ুল্লা-হুল্ খল্ক্ব ছুম্মা ইয়ুঈদুহ্; ইন্না যা-লিকা আলাল্লা-হি ইয়ার্সী।
বাংলা অনুবাদ ২৯.১৯ তারা কি দেখে না, আল্লাহ কিভাবে সৃষ্টির সূচনা করেন? তারপর তিনি তার পুনরাবৃত্তি করবেন। নিশ্চয় এটি আল্লাহর জন্য সহজ।
قُلۡ سِيرُواْ فِى ٱلۡأَرۡضِ فَٱنظُرُواْ ڪَيۡفَ بَدَأَ ٱلۡخَلۡقَۚ ثُمَّ ٱللَّهُ يُنشِئُ ٱلنَّشۡأَةَ ٱلۡأَخِرَةَۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ ڪُلِّ شَىۡءٍ۬ قَدِيرٌ۬ ٢٠
আরবি উচ্চারণ ২৯.২০। কুল্ সীরূ ফিল্ র্আদ্বি ফান্জুরূ কাইফা বাদায়াল্ খল্ক্ব ছুম্মাল্লা-হু ইয়ুন্শিয়ুন্ নাশ্য়াতাল্ আ-খিরহ্; ইন্নাল্লা-হা আলা- কুল্লি শাইয়িন্ ক্বর্দী।
বাংলা অনুবাদ ২৯.২০ বল, তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ কীভাবে তিনি সৃষ্টির সূচনা করেছিলেন, তারপর আল্লাহই আরেকবার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
يُعَذِّبُ مَن يَشَآءُ وَيَرۡحَمُ مَن يَشَآءُۖ وَإِلَيۡهِ تُقۡلَبُونَ ٢١
আরবি উচ্চারণ ২৯.২১। ইয়ু আয্যিবু মাইঁ ইয়াশা-য়ু অইর্য়াহামু মাইঁ ইয়াশা-য়ু অইলাইহি তুকলাবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.২১তিনি যাকে ইচ্ছা আযাব দেবেন এবং যাকে ইচ্ছা দয়া করবেন, আর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
وَمَآ أَنتُم بِمُعۡجِزِينَ فِى ٱلۡأَرۡضِ وَلَا فِى ٱلسَّمَآءِۖ وَمَا لَڪُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ مِن وَلِىٍّ۬ وَلَا نَصِيرٍ۬ ٢٢
আরবি উচ্চারণ ২৯.২২। অমা য় আন্তুম্ বিমুজ্বিযীনা ফিল্ র্আদ্বি অলা-ফিস্ সামা-য়ি অমা-লাকুম্ মিন্ দূনিল্লা-হিমিওঁ অলিয়্যিঁও অলা-নার্ছী।
বাংলা অনুবাদ ২৯.২২ আর তোমরা (তাঁকে) অক্ষমকারী নও যমীনে এবং না আসমানে। আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই।
وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ وَلِقَآٮِٕهِۦۤ أُوْلَـٰٓٮِٕكَ يَٮِٕسُواْ مِن رَّحۡمَتِى وَأُوْلَـٰٓٮِٕكَ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ۬ ٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৯.২৩। অল্লাযীনা কাফারূ বিআ-ইয়া তিল্লা-হি অলিক্বা-য়িহী য় উলা-য়িকা ইয়ায়িসূ র্মি রহ্মাতী অউলা-য়িকা লাহুম্ আযা-বুন্ আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.২৩ আর যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ ও তাঁর সক্ষাত অস্বীকার তারা আমার রহমত থেকে হতাশ হবে এবং তাদের জন্যই রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
فَمَا ڪَانَ جَوَابَ قَوۡمِهِۦۤ إِلَّآ أَن قَالُواْ ٱقۡتُلُوهُ أَوۡ حَرِّقُوهُ فَأَنجَٮٰهُ ٱللَّهُ مِنَ ٱلنَّارِۚ إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَـٰتٍ۬ لِّقَوۡمٍ۬ يُؤۡمِنُونَ ٢٤
আরবি উচ্চারণ ২৯.২৪। ফামা-কা-না জ্বাওয়া-বা ক্বওমিহী য় ইল্লা য় আন্ ক্ব-লুকতুলূহু আও র্হারিকু হু ফাআন্জ্বা-হুল্লা-হু মিনা ন্নার্-; ইন্না ফী যা -লিকা লাআ-ইয়া-তিল্ লিক্বওমিঁই ইয়ুমিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.২৪ অতঃপর ইবরাহীমের কওমের জবাব ছিল কেবল এই যে, তারা বলল, ওকে হত্যা কর অথবা জ্বালিয়ে দাও। অতঃপর আল্লাহ আগুন থেকে তাকে রক্ষা করলেন; নিশ্চয় এতে বহু নিদর্শন রয়েছে, যারা ঈমান আনে, সেই কওমের জন্য।
وَقَالَ إِنَّمَا ٱتَّخَذۡتُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ أَوۡثَـٰنً۬ا مَّوَدَّةَ بَيۡنِكُمۡ فِى ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ ثُمَّ يَوۡمَ ٱلۡقِيَـٰمَةِ يَكۡفُرُ بَعۡضُڪُم بِبَعۡضٍ۬ وَيَلۡعَنُ بَعۡضُڪُم بَعۡضً۬ا وَمَأۡوَٮٰكُمُ ٱلنَّارُ وَمَا لَڪُم مِّن نَّـٰصِرِينَ ٢٥ ۞
আরবি উচ্চারণ ২৯.২৫। অ ক্ব-লা ইন্নামা ত্তাখায্তুম্ মিন্ দূনিল্লা-হি আওছা-নাম্ মাঅদ্দাতা বাইনিকুম্ ফিল্ হাইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া-ছুম্মা ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি ইয়াক্ফুরু বাদ্বুকুম্ বিবাদ্বিওঁ অইয়াল্আনু বাদুকুম্ বাদ্বোয়াঁও অমাওয়া-কুমুন্না-রু অমা-লাকুম্ মিন্ না- ছিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.২৫ আর ইবরাহীম বলল, দুনিয়ার জীবনে তোমাদের মধ্যে মিল-মহব্বতের জন্যই তো তোমরা আল্লাহ ছাড়া মূর্তিদেরকে গ্রহণ করেছ। তারপর কিয়ামতের দিন তোমরা একে অপরকে অস্বীকার করবে এবং পরস্পর পরস্পরকে লানত করবে, আর তোমাদের নিবাস জাহান্নাম এবং তোমাদের জন্য থাকবে না কোন সাহায্যকারী।
فَـَٔامَنَ لَهُ ۥ لُوطٌ۬ۘ وَقَالَ إِنِّى مُهَاجِرٌ إِلَىٰ رَبِّىٓۖ إِنَّهُ ۥ هُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ ٢٦
আরবি উচ্চারণ ২৯.২৬। ফাআ-মানা লাহূ লূত্ব অক্ব-লা ইন্নী মুহা-জ্বিরুন্ ইলা-রব্বী; ইন্নাহূ হুওয়াল্ আযীযুল্ হাকীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.২৬ অতঃপর লূত তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করল। আর ইবরাহীম বলল, ‘আমি আমার রবের দিকে হিজরত করছি। নিশ্চয় তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
وَوَهَبۡنَا لَهُ ۥۤ إِسۡحَـٰقَ وَيَعۡقُوبَ وَجَعَلۡنَا فِى ذُرِّيَّتِهِ ٱلنُّبُوَّةَ وَٱلۡكِتَـٰبَ وَءَاتَيۡنَـٰهُ أَجۡرَهُ ۥ فِى ٱلدُّنۡيَاۖ وَإِنَّهُ ۥ فِى ٱلۡأَخِرَةِ لَمِنَ ٱلصَّـٰلِحِينَ ٢٧
আরবি উচ্চারণ ২৯.২৭। অ অহাব্না-লাহূ য় ইস্হা-ক্ব অ ইয়াকুবা অজ্বাআল্না-ফী র্যুরিয়াতিহিন্ নুবুওয়্যাতা অল্কিতা-বা অআ-তাইনা-হু আজরহূ ফিদ্দুন্ইয়া- অইন্নাহূ ফিল্ আ-খিরতি লামিনাছ্ ছোয়া-লিহীন্
বাংলা অনুবাদ ২৯.২৭ আর আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকূবকে এবং তার বংশে নবুওয়াত ও কিতাব দিলাম। আর দুনিয়াতে তাকে তার প্রতিদান দিলাম এবং নিশ্চয় সে আখিরাতে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
وَلُوطًا إِذۡ قَالَ لِقَوۡمِهِۦۤ إِنَّڪُمۡ لَتَأۡتُونَ ٱلۡفَـٰحِشَةَ مَا سَبَقَڪُم بِہَا مِنۡ أَحَدٍ۬ مِّنَ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ٢٨
আরবি উচ্চারণ ২৯.২৮। অলূত্বোয়ান্ ইয্ ক্ব-লা লিক্বওমিহী য় ইন্নাকুম্ লাতাতূনাল্ ফা-হিশাতা মা-সাবাক্বাকুম্ বিহা-মিন্ আহাদিম্ মিনাল্ আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.২৮ আর (স্মরণ কর) লূত এর কথা, যখন সে তার কওমের লোকদেরকে বলেছিল, ‘নিশ্চয় তোমরা এমন অশ্লীল কাজ কর, যা সৃষ্টিকুলের কেউ তোমাদের আগে করেনি।
أَٮِٕنَّكُمۡ لَتَأۡتُونَ ٱلرِّجَالَ وَتَقۡطَعُونَ ٱلسَّبِيلَ وَتَأۡتُونَ فِى نَادِيكُمُ ٱلۡمُنڪَرَۖ فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوۡمِهِۦۤ إِلَّآ أَن قَالُواْ ٱئۡتِنَا بِعَذَابِ ٱللَّهِ إِن ڪُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ ٢٩
আরবি উচ্চারণ ২৯.২৯। আয়িন্নাকুম্ লাতাতূর্না রিজ্বা-লা অতাক ত্বোয়াঊনাস্ সাবীলা অ তাতূনা ফী না-দীকুমুল্ মুর্ন্কা; ফামা-কা-না জ্বাওয়া-বা ক্বওমিহী য় ইল্লা য় আন্ ক্ব-লূ তিনা-বিআযা-বিল্লা-হি ইন্ কুন্তা মিনাছ্ ছোয়া-দিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.২৯ তোমরা তো পুরুষের উপর উপগত হও এবং রাস্তায় ডাকাতি কর; আর নিজদের বৈঠকে গর্হিত কাজ কর! তার কওমের জবাব ছিল কেবল এই যে, তারা বলল, তুমি আল্লাহর আযাব নিয়ে আস যদি তুমি সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও।
قَالَ رَبِّ ٱنصُرۡنِى عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡمُفۡسِدِينَ ٣٠
আরবি উচ্চারণ ২৯.৩০। ক্ব-লা রব্বিন্ র্ছুনী আ-লাল্ ক্বওমিল্ মুফ্সিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৩০ সে বলল, হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন ফাসাদ সৃষ্টিকারী কওমের বিরুদ্ধে।
٣١ ظَـٰلِمِينَ إِنَّ أَهۡلَهَا ڪَانُواْ مُهۡلِكُوٓاْ أَهۡلِ هَـٰذِهِ ٱلۡقَرۡيَةِ جَآءَتۡ رُسُلُنَآ إِبۡرَٲهِيمَ بِٱلۡبُشۡرَىٰ قَالُوٓاْ إِنَّا وَلَمَّا
আরবি উচ্চারণ ২৯.৩১। অ লাম্মা-জ্বা-য়াত্ রুসুলুনা য় ইব্রা-হীমা বিল্ বুশ্র-ক্ব-লূ য় ইন্না-মুহ্লিকূ য় আহ্লি হা-যিহিল্ র্ক্বইয়াতি ইন্না-আহ্লাহা-কা-নূ জ্বোয়া-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৩১ আর আমার ফেরেশতারা যখন ইবরাহীমের কাছে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিল তখন তারা বলেছিল, নিশ্চয় আমরা এ জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব, নিশ্চয় এর অধিবাসীরা যালিম।
قَالَ إِنَّ فِيهَا لُوطً۬اۚ قَالُواْ نَحۡنُ أَعۡلَمُ بِمَن فِيہَاۖ لَنُنَجِّيَنَّهُ ۥ وَأَهۡلَهُ ۥۤ إِلَّا ٱمۡرَأَتَهُ ۥ ڪَانَتۡ مِنَ ٱلۡغَـٰبِرِينَ ٣٢
আরবি উচ্চারণ ২৯.৩২। ক্ব-লা ইন্না ফীহা- লূত্বোয়া-; ক্ব-লূ নাহ্নু আলামু বিমান্ ফীহা-লানুনাজ্জি¦য়ান্নাহূ অআহ্লাহূ য় ইল্লাম্ রায়াতাহূ কা-নাত্ মিনাল্ গ-বিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৩২ইবরাহীম বলল, নিশ্চয় সেখানে লূত আছে। তারা বলল, আমরা ভালই জানি সেখানে কারা আছে, আমরা অবশ্যই তাকে ও তার পরিবারকে রক্ষা করব; তবে তার স্ত্রীকে নয়, সে হবে পিছনে পড়ে থাকা লোকদের একজন।
وَلَمَّآ أَن جَآءَتۡ رُسُلُنَا لُوطً۬ا سِىٓءَ بِہِمۡ وَضَاقَ بِهِمۡ ذَرۡعً۬ا وَقَالُواْ لَا تَخَفۡ وَلَا تَحۡزَنۡۖ إِنَّا مُنَجُّوكَ وَأَهۡلَكَ إِلَّا ٱمۡرَأَتَكَ ڪَانَتۡ مِنَ ٱلۡغَـٰبِرِينَ ٣٣
আরবি উচ্চারণ ২৯.৩৩। অ লাম্মা য় আন্ জ্বা-য়াত্ রুসুলুনা-লূত্বোয়ান্ সী-য়া বিহিম্ অ দ্বোয়া-ক্ব বিহিম্ র্যাআঁও অ ক্ব-লূ লা-তাখফ্ অলা-তাহ্যান্ ইন্না- মুনাজ্জ্বুকা অআহ্লাকা ইল্লাম্ রায়াতাকা কা-নাত্ মিনাল্ গা-বিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৩৩আর যখন আমার ফেরেশতারা লূতের কাছে আসল তখন তাদের জন্য সে চিন্তিত হয়ে পড়ল এবং তাদের রক্ষায় নিজেকে অক্ষম মনে করল; আর তারা বলল, ভয় পাবেন না এবং চিন্তিত হবেন না; আপনাকে ও আপনার পরিবারকে আমরা রক্ষা করব; তবে আপনার স্ত্রীকে নয়, সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের একজন হবে।
إِنَّا مُنزِلُونَ عَلَىٰٓ أَهۡلِ هَـٰذِهِ ٱلۡقَرۡيَةِ رِجۡزً۬ا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ بِمَا كَانُواْ يَفۡسُقُونَ ٣٤
আরবি উচ্চারণ ২৯.৩৪। ইন্না মুন্যিলূনা আলা য় আহ্লি হা-যিহিল্ র্ক্বইয়াতি রিজ¦ যাম্ মিনাস্ সামা য় য়ি বিমা- ক্ব-নূ ইয়াফ্সুকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৩৪ নিশ্চয় আমরা এ জনপদবাসীর উপর আসমান থেকে শাস্তি নাযিল করব। কারণ তারা পাপাচার করত।
وَلَقَد تَّرَڪۡنَا مِنۡهَآ ءَايَةَۢ بَيِّنَةً۬ لِّقَوۡمٍ۬ يَعۡقِلُونَ ٣٥
আরবি উচ্চারণ ২৯.৩৫। অলাক্বদ্ তারক্না-মিন্হা য় আ-ইয়াতাম্ বাইয়িনাতা ল্লিক্বওমিঁই ইয়াক্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৩৫ আর অবশ্যই আমি ঐ জনপদে সুস্পষ্ট নিদর্শন রেখে দিয়েছি সে কওমের জন্য যারা বুঝে।
وَإِلَىٰ مَدۡيَنَ أَخَاهُمۡ شُعَيۡبً۬ا فَقَالَ يَـٰقَوۡمِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱرۡجُواْ ٱلۡيَوۡمَ ٱلۡأَخِرَ وَلَا تَعۡثَوۡاْ فِى ٱلۡأَرۡضِ مُفۡسِدِينَ ٣٦
আরবি উচ্চারণ ২৯.৩৬। অ ইলা-মাদ্ইয়ানা আখ-হুম্ শআইবা-ন্ ফাক্ব-লা ইয়া-ক্বওমিবুদুল্লা-হা অরজুল্ ইয়াওমাল্ আ-খির অলা- তাছাও ফিল্ র্আদ্বি মুফ্সিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৩৬আর মাদইয়ানবাসীর কাছে পাঠিয়েছিলাম তাদের ভাই শুআইবকে; অতঃপর সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, শেষ দিবসের আশা কর এবং যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িও না।
فَڪَذَّبُوهُ فَأَخَذَتۡهُمُ ٱلرَّجۡفَةُ فَأَصۡبَحُواْ فِى دَارِهِمۡ جَـٰثِمِينَ ٣٧
আরবি উচ্চারণ ২৯.৩৭। ফাকায্যাবূহু ফায়াখযাত্ হুর্মু রজফাতু ফায়াছ্বাহূ ফী দা-রিহিম্ জ্বা-ছিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৩৭অতঃপর তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলল; ফলে ভূমিকম্প তাদেরকে গ্রাস করল। অতঃপর নিজদের বাড়ী-ঘরেই তারা উপুড় হয়ে মরে রইল।
وَعَادً۬ا وَثَمُودَاْ وَقَد تَّبَيَّنَ لَڪُم مِّن مَّسَـٰڪِنِهِمۡۖ وَزَيَّنَ لَهُمُ ٱلشَّيۡطَـٰنُ أَعۡمَـٰلَهُمۡ فَصَدَّهُمۡ عَنِ ٱلسَّبِيلِ وَكَانُواْ مُسۡتَبۡصِرِينَ ٣٨
আরবি উচ্চারণ ২৯.৩৮। অ আদাঁও অছামূদা অ ক্বদ্ তাবাইয়্যানা লাকুম্ মিম্ মাসা-কিনিহিম্ অ যাইয়্যানা লাহুমুশ্ শাইত্বোয়া-নু আমা-লাহুম্ ফাছোয়াদ্দাহুম্ আনিস্ সাবীলি অকা-নূ মুস্তাব্সিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৩৮আর আদ ও সামূদকে (আমি ধ্বংস করেছিলাম), তাদের আবাসভূমির কিছু তোমাদের জন্য উন্মোচিত হয়েছে। আর শয়তান তাদের কাজ তাদের চোখে শোভিত করে তাদেরকে সৎপথ থেকে বিরত রেখেছিল, যদিও তারা ছিল বিদগ্ধ।
وَقَـٰرُونَ وَفِرۡعَوۡنَ وَهَـٰمَـٰنَۖ وَلَقَدۡ جَآءَهُم مُّوسَىٰ بِٱلۡبَيِّنَـٰتِ فَٱسۡتَڪۡبَرُواْ فِى ٱلۡأَرۡضِ وَمَا كَانُواْ سَـٰبِقِينَ ٣٩
আরবি উচ্চারণ ২৯.৩৯। অক্ব-রূনা অ র্ফিআউনা অ হা-মা-না অ লাক্বদ্ জ্বা-য়াহুম্ মূসা-বিল্ বাইয়্যিনা-তি ফাস্তাক্বারূ ফীল্ র্আদ্বি অমা-কা-নূ সা-বিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৩৯আর কারূন, ফিরআউন ও হামানকে (আমি ধ্বংস করেছি) এবং অবশ্যই তাদের কাছে মূসা গিয়েছিল প্রমানাদিসহ। অতঃপর তারা যমীনে অহংকার করেছিল; এতদ্সত্ত্বেও তারা (আমার আযাব) এড়াতে পারেনি।
فَكُلاًّ أَخَذۡنَا بِذَنۢبِهِۦۖ فَمِنۡهُم مَّنۡ أَرۡسَلۡنَا عَلَيۡهِ حَاصِبً۬ا وَمِنۡهُم مَّنۡ أَخَذَتۡهُ ٱلصَّيۡحَةُ وَمِنۡهُم مَّنۡ خَسَفۡنَا بِهِ ٱلۡأَرۡضَ وَمِنۡهُم مَّنۡ أَغۡرَقۡنَاۚ وَمَا ڪَانَ ٱللَّهُ لِيَظۡلِمَهُمۡ وَلَـٰكِن ڪَانُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ يَظۡلِمُونَ ٤٠
আরবি উচ্চারণ ২৯.৪০। ফাকুল্লান্ আখয্না-বি যাম্বিহী ফামিন্হুম্ মান্ র্আসাল্না-আলাইহি হা-ছিবান্ অ মিন্হুম্ মান্ আখযাত্হুছ্ ছোয়াইহাতু অ মিন্হুম্ মান্ খসাফ্না-বিহিল্ র্আদ্বোয়া অ মিন্হুম্ মান্ আগ্রাকনা-অমা- কা-না ল্লা-হু লিইয়াজ লিমাহুম্ অলা-কিন্ কা-নূ য় আন্ফুসাহুম্ ইয়াজলিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৪০অতঃপর এদের প্রত্যেককে নিজ নিজ পাপের কারণে আমি পাকড়াও করেছিলাম; তাদের কারো উপর আমি পাথরকুচির ঝড় পাঠিয়েছি, কাউকে পাকড়াও করেছে বিকট আওয়াজ, কাউকে আবার মাটিতে দাবিয়ে দিয়েছি আর কাউকে পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছি। আল্লাহ এমন নন যে, তাদের উপর যুলম করবেন বরং তারা নিজেরা নিজদের ওপর যুল্ম করত।
مَثَلُ ٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَوۡلِيَآءَ كَمَثَلِ ٱلۡعَنڪَبُوتِ ٱتَّخَذَتۡ بَيۡتً۬اۖ وَإِنَّ أَوۡهَنَ ٱلۡبُيُوتِ لَبَيۡتُ ٱلۡعَنڪَبُوتِۖ لَوۡ ڪَانُواْ يَعۡلَمُونَ ٤١
আরবি উচ্চারণ ২৯.৪১। মাছালুল লাযীনাত্ তাখাযূ মিন্ দূনি ল্লা-হি আউলিয়া-য়া কামাছালিল্ আন্কাবূতিত্ তাখাযত্ বাইতা-; অ ইন্না আওহানাল্ বুয়ূতি লাবাইতুল্ আন্কাবূত্; লাও কা-নূ ইয়ালামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৪১ যারা আল্লাহ ছাড়া বহু অভিভাবক গ্রহণ করে, তাদের দৃষ্টান্ত মাকড়সার ন্যায়, যে ঘর বানায় এবং নিশ্চয় সবচাইতে দুর্বল ঘর হল মাকড়সার ঘর, যদি তারা জানত।
إِنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا يَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦ مِن شَىۡءٍ۬ۚ وَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَڪِيمُ ٤٢
আরবি উচ্চারণ ২৯.৪২। ইন্নাল্লা-হা ইয়ালামু মা ইয়াদ্ঊ’না মিন্ দূনিহী মিন্ শাইয়িন্ অ হুওয়াল্ আযীযুল্ হাকীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৪২ নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে জানেন তাঁকে ছাড়া যাদেরকে ওরা আহ্বান করে; আর তিনি মহা পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
وَتِلۡكَ ٱلۡأَمۡثَـٰلُ نَضۡرِبُهَا لِلنَّاسِۖ وَمَا يَعۡقِلُهَآ إِلَّا ٱلۡعَـٰلِمُونَ ٤٣
আরবি উচ্চারণ ২৯.৪৩। অ তিল্কাল্ আম্ছা-লু নাদ্ব্রিবুহা-লিন্না-সি অমা-ইয়াক্বিলুহা য় ইল্লাল্ আ-লিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৪৩ আর এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করি; আর জ্ঞানী লোকেরা ছাড়া কেউ তা বুঝে না।
خَلَقَ ٱللَّهُ ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَٱلۡأَرۡضَ بِٱلۡحَقِّۚ إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَةً۬ لِّلۡمُؤۡمِنِينَ ٤٤
আরবি উচ্চারণ ২৯.৪৪। খলাক্বল্লা-হুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বোয়া বিল্ হাক; ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়া-তাল্লিল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৪৪ আল্লাহ যথাযথভাবে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন; নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে মুমিনদের জন্য।
ٱتۡلُ مَآ أُوحِىَ إِلَيۡكَ مِنَ ٱلۡكِتَـٰبِ وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَۖ إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ تَنۡهَىٰ عَنِ ٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِۗ وَلَذِكۡرُ ٱللَّهِ أَڪۡبَرُۗ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ مَا تَصۡنَعُونَ ٤٥ ۞
আরবি উচ্চারণ ২৯.৪৫। উত্লু মা য় ঊ হিয়া ইলাইকা মিনাল্ কিতা-বি অআক্বিমিছ্ ছলা-হ্; ইন্নাছ্ ছলা-তা তান্হা-আনিল্ ফাহ্শা-য়ি অল্ মুর্ন্কা; অ লাযিক্রুল্লা-হি আর্ক্বা; অল্লা-হু ইযালামু মা-তাছ্নাঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৪৫ তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত কর এবং সালাত কায়েম কর। নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন যা তোমরা কর।
وَلَا تُجَـٰدِلُوٓاْ أَهۡلَ ٱلۡڪِتَـٰبِ إِلَّا بِٱلَّتِى هِىَ أَحۡسَنُ إِلَّا ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ مِنۡهُمۡۖ وَقُولُوٓاْ ءَامَنَّا بِٱلَّذِىٓ أُنزِلَ إِلَيۡنَا وَأُنزِلَ إِلَيۡڪُمۡ وَإِلَـٰهُنَا وَإِلَـٰهُكُمۡ وَٲحِدٌ۬ وَنَحۡنُ لَهُ ۥ مُسۡلِمُونَ ٤٦
আরবি উচ্চারণ ২৯.৪৬। অলা-তুজ্বা-দিলূ য় আহ্লাল্ কিতা-বি ইল্লা- বিল্লাতী হিয়া আহ্সানু ইল্লাল্লাযীনা জোয়ালামূ মিন্হুম্ অকুলূ য় আমান্না-বিল্লাযী য় উন্যিলা ইলাইনা-অ উন্যিলা ইলাইকুম্ অ ইলা-হুনা- অইলা-হুকুম্ ওয়া-হিদুঁও অনাহ্নু লাহূ মুস্লিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৪৬ আর তোমরা উত্তম পন্থা ছাড়া আহলে কিতাবদের সাথে বিতর্ক করো না। তবে তাদের মধ্যে ওরা ছাড়া, যারা যুল্ম করেছে। আর তোমরা বল, আমরা ঈমান এনেছি আমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে এবং তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি এবং আমাদের ইলাহ ও তোমাদের ইলাহ তো একই। আর আমরা তাঁরই সমীপে আত্মসমর্পণকারী।
وَكَذَٲلِكَ أَنزَلۡنَآ إِلَيۡكَ ٱلۡڪِتَـٰبَۚ فَٱلَّذِينَ ءَاتَيۡنَـٰهُمُ ٱلۡڪِتَـٰبَ يُؤۡمِنُونَ بِهِۦۖ وَمِنۡ هَـٰٓؤُلَآءِ مَن يُؤۡمِنُ بِهِۦۚ وَمَا يَجۡحَدُ بِـَٔايَـٰتِنَآ إِلَّا ٱلۡڪَـٰفِرُونَ ٤٧
আরবি উচ্চারণ ২৯.৪৭। অকাযা-লিকা আন্ যাল্না য় ইলাইকাল্ কিতাব্; ফাল্লাযীনা আ-তাইনা-হুমুল্ কিতাবা ইয়ুমিনূনা বিহী অমিন্ হা য় উলা-য়ি মাইঁ ইয়ুমিনু বিহ্; অমা-ইয়াজ্ব্ হাদু বিআ-ইয়া -তিনা য় ইল্লাল্ কা-ফিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৪৭ আর এভাবেই আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি। অতএব, আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছিলাম তারা এর প্রতি ঈমান রাখে এবং এদেরও (মক্কাবাসীদের) কেউ কেউ এর প্রতি ঈমান রাখে। আর কাফিররা ছাড়া আমার আয়াতসমূহকে কেউ অস্বীকার করে না।
وَمَا كُنتَ تَتۡلُواْ مِن قَبۡلِهِۦ مِن كِتَـٰبٍ۬ وَلَا تَخُطُّهُ ۥ بِيَمِينِكَۖ إِذً۬ا لَّٱرۡتَابَ ٱلۡمُبۡطِلُونَ ٤٨
আরবি উচ্চারণ ২৯.৪৮। অমা-কুন্তা তাত্লূ মিন্ ক্বব্লিহী মিন্ কিতা-বিঁও অলা-তাখুত্ব্ ত্বুহূ বিইয়ামীনিকা ইযাল্ র্লাতা-বাল্ মুব্ত্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৪৮ আর তুমি তো এর পূর্বে কোন কিতাব তিলাওয়াত করনি এবং তোমার নিজের হাতে তা লিখনি যে, বাতিলপন্থীরা এতে সন্দেহ পোষণ করবে।
بَلۡ هُوَ ءَايَـٰتُۢ بَيِّنَـٰتٌ۬ فِى صُدُورِ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَۚ وَمَا يَجۡحَدُ بِـَٔايَـٰتِنَآ إِلَّا ٱلظَّـٰلِمُونَ ٤٩
আরবি উচ্চারণ ২৯.৪৯। বাল্ হুওয়া আ-ইয়া-তুম্ বাইয়্যিনা-তুন্ ফী ছুদূরিল্ লাযীনা উতুল্ ইল্ম্; অমা-ইয়াজ্ব্ হাদু বিআ-ইয়া-তিনা য় ইল্লাজ্ জোয়ালিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৪৯ বরং যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তাদের অন্তরে তা সুস্পষ্ট নিদর্শন। আর যালিমরা ছাড়া আমার আয়াতসমূহকে কেউ অস্বীকার করে না।
وَقَالُواْ لَوۡلَآ أُنزِلَ عَلَيۡهِ ءَايَـٰتٌ۬ مِّن رَّبِّهِۦۖ قُلۡ إِنَّمَا ٱلۡأَيَـٰتُ عِندَ ٱللَّهِ وَإِنَّمَآ أَنَا۟ نَذِيرٌ۬ مُّبِينٌ ٥٠
আরবি উচ্চারণ ২৯.৫০। অক্ব-লূ লাওলা য় উন্যিলা আলাইহি আ-ইয়া-তুম্ র্মি রব্বিহ্; কুল্ ইন্নামাল্ আ-ইয়া-তু ইন্দাল্লা-হ্; অইন্নামা য় আনা নাযীরুম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৫০আর তারা বলে, তার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে নিদর্শনসমূহ নাযিল হয় না কেন? বল, নিদর্শনসমূহ তো আল্লাহর কাছে, আর আমি তো কেবল একজন প্রকাশ্য সতর্ককারী।
أَوَلَمۡ يَكۡفِهِمۡ أَنَّآ أَنزَلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡڪِتَـٰبَ يُتۡلَىٰ عَلَيۡهِمۡۚ إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَرَحۡمَةً۬ وَذِڪۡرَىٰ لِقَوۡمٍ۬ يُؤۡمِنُونَ ٥١
আরবি উচ্চারণ ২৯.৫১। আওয়ালাম্ ইয়াক্ফিহিম্ আন্না য় আন্যাল্না আলাইকাল্ কিতা-বা ইয়ুত্লা- আলাইহিম্; ইন্না ফী যা-লিকা লারহ্মাতাঁও অযিক্র-লিকওমিঁই ইয়ু মিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৫১ এটা কি তাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে, নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের নিকট তিলাওয়াত করা হয়? নিশ্চয় এর মধ্যে রহমত ও উপদেশ রয়েছে সেই কওমের জন্য, যারা ঈমান আনে।
قُلۡ كَفَىٰ بِٱللَّهِ بَيۡنِى وَبَيۡنَڪُمۡ شَہِيدً۬اۖ يَعۡلَمُ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَٱلۡأَرۡضِۗ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱلۡبَـٰطِلِ وَڪَفَرُواْ بِٱللَّهِ أُوْلَـٰٓٮِٕكَ هُمُ ٱلۡخَـٰسِرُونَ ٥٢
আরবি উচ্চারণ ২৯.৫২। কুল্ কাফা-বিল্লা-হি বাইনী অবাইনাকুম্ শাহীদান্ ইয়ালামু মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব্; অল্লাযীনা আ-মানূ বিল্ বা-ত্বিলি অকাফারূ বিল্লা-হি উলা-য়িকা হুমুল্ খ-সিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৫২ বল, আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে, তা তিনি জানেন। আর যারা বাতিলে বিশ্বাস করে এবং আল্লাহকে অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।
وَيَسۡتَعۡجِلُونَكَ بِٱلۡعَذَابِۚ وَلَوۡلَآ أَجَلٌ۬ مُّسَمًّ۬ى لَّجَآءَهُمُ ٱلۡعَذَابُ وَلَيَأۡتِيَنَّہُم بَغۡتَةً۬ وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ ٥٣
আরবি উচ্চারণ ২৯.৫৩। অ ইয়াস্তাজ্বিলূ নাকা বিল্আযা-ব্; অ লাওলা য় আজ্বালুম্ মুসাম্মা ল্লাজ্বা-য়া হুমুল্ আযা-ব্; অ লাইয়াতিয়ান্নাহুম্ বাগ্তাতাঁও অহুম্ লা- ইয়াশ্উরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৫৩ আর তারা তোমাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। যদি নির্ধারিত সময় না থাকত, তবে তাদের উপর অবশ্যই আযাব আসত এবং তা আকস্মিকভাবে তাদের উপর আসবেই। অথচ তারা টেরও পাবে না।
يَسۡتَعۡجِلُونَكَ بِٱلۡعَذَابِ وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيطَةُۢ بِٱلۡكَـٰفِرِينَ ٥٤
আরবি উচ্চারণ ২৯.৫৪। ইয়াস্তাজ্বিলূনাকা বিল্আযা-ব্; অইন্না জ্বাহান্নামা লামুহীত্বোয়াতুম্ বিল্ কা-ফিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৫৪ তারা তোমাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে, আর নিশ্চয় জাহান্নাম কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করবে।
يَوۡمَ يَغۡشَٮٰهُمُ ٱلۡعَذَابُ مِن فَوۡقِهِمۡ وَمِن تَحۡتِ أَرۡجُلِهِمۡ وَيَقُولُ ذُوقُواْ مَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ٥٥
আরবি উচ্চারণ ২৯.৫৫। ইয়াওমা ইয়াগ্শা-হুমুল্ আযা-বু মিন্ ফাওক্বিহিম্ অমিন্ তাহ্তি র্আজুলিহিম্ অ ইয়াকুলু যূকু মা-কুন্তুম্ তামালূ ন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৫৫ যেদিন আযাব তাদেরকে তাদের উপর থেকে ও তাদের পায়ের নীচে থেকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে এবং তিনি বলবেন, তোমরা যা করতে, তার স্বাদ আস্বাদন কর।
يَـٰعِبَادِىَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّ أَرۡضِى وَٲسِعَةٌ۬ فَإِيَّـٰىَ فَٱعۡبُدُونِ ٥٦
আরবি উচ্চারণ ২৯.৫৬। ইয়াইবা-দিয়াল্ লাযীনা আ-মানূ য় ইন্না র্আদ্বী ওয়া-সিআতুন্ ফাইয়্যা-ইয়া ফাবুদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৫৬ হে আমার বান্দারা যারা ঈমান এনেছে, নিশ্চয় আমার যমীন প্রশস্ত, সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদাত কর।
كُلُّ نَفۡسٍ۬ ذَآٮِٕقَةُ ٱلۡمَوۡتِۖ ثُمَّ إِلَيۡنَا تُرۡجَعُونَ ٥٧
আরবি উচ্চারণ ২৯.৫৭। কুল্লু নাফ্সিন্ যা-য়িক্বাতুল্ মাউতি ছুম্মা ইলাইনা-র্তুজাঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৫৭ প্রতিটি প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে, তারপর আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ لَنُبَوِّئَنَّهُم مِّنَ ٱلۡجَنَّةِ غُرَفً۬ا تَجۡرِى مِن تَحۡتِہَا ٱلۡأَنۡهَـٰرُ خَـٰلِدِينَ فِيہَاۚ نِعۡمَ أَجۡرُ ٱلۡعَـٰمِلِينَ ٥٨
আরবি উচ্চারণ ২৯.৫৮। অল্লাযীনা আ-মানূ অ আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি লা নুবাওয়্যিয়ান্নাহুম্ মিনাল্ জ্বান্নাতি গুরাফান্ তাজরী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হা-রু খ-লিদীনা ফীহা-; নিমা-আজ্ব্ রুল্ আ-মিলীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৫৮ আর যারা ঈমান আনে ও সৎ কর্ম করে, তাদেরকে অবশ্যই আমি জান্নাতে কক্ষ বানিয়ে দেব, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। কতইনা উত্তম আমলকারীদের প্রতিদান!
ٱلَّذِينَ صَبَرُواْ وَعَلَىٰ رَبِّہِمۡ يَتَوَكَّلُونَ ٥٩
আরবি উচ্চারণ ২৯.৫৯। আল্লাযীনা ছবারূ অআলা-রব্বিহিম্ ইয়াতাওয়াক্কালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৫৯ যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদের রবের উপরই তাওয়াক্কুল করে।
وَڪَأَيِّن مِّن دَآبَّةٍ۬ لَّا تَحۡمِلُ رِزۡقَهَا ٱللَّهُ يَرۡزُقُهَا وَإِيَّاكُمۡۚ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ٦٠
আরবি উচ্চারণ ২৯.৬০। অ কাআইয়্যিম্ মিন্ দা-ব্বাতিল্ লা-তাহ্মিলু রিয্ক্বহা-আল্লা-হু ইর্য়াযুকুহা-অইয়্যাকুম্ অহুওয়াস্ সামীউল্ আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৬০ আর এমন কত জীব-জন্তু রয়েছে, যারা নিজদের রিয্ক নিজেরা সঞ্চয় করে না, আল্লাহই তাদের রিয্ক দেন এবং তোমাদেরও। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।
وَلَٮِٕن سَأَلۡتَهُم مَّنۡ خَلَقَ ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَٱلۡأَرۡضَ وَسَخَّرَ ٱلشَّمۡسَ وَٱلۡقَمَرَ لَيَقُولُنَّ ٱللَّهُۖ فَأَنَّىٰ يُؤۡفَكُونَ ٦١
আরবি উচ্চারণ ২৯.৬১। অলায়িন সায়াল্তাহুম্ মান্ খলাক্বস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বোয়া অসাখ্খরশ্ শাম্সা অল্ ক্বমার লাইয়াকুলুন্নাল্লা-হু ফাআন্না- ইয়ুফাকূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৬১ আর যদি তুমি তাদেরকে প্রশ্ন কর, কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন এবং চাঁদ ও সূর্যকে নিয়োজিত করেছেন? তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। তাহলে কোথায় তাদের ফিরানো হচ্ছে ?
ٱللَّهُ يَبۡسُطُ ٱلرِّزۡقَ لِمَن يَشَآءُ مِنۡ عِبَادِهِۦ وَيَقۡدِرُ لَهُ ۥۤۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَىۡءٍ عَلِيمٌ۬ ٦٢
আরবি উচ্চারণ ২৯.৬২। আল্লা-হু ইয়াব্সুত্বরু রিয্ক্ব লিমাইঁ ইয়্যাশা-য়ু মিন্ ঈবাদিহী অ ইয়াক্ব্ দিরু লাহ্; ইন্নাল্লা-হা বিকুল্লি শাইয়্যিন্ আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৬২ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা করেন রিয্ক প্রশস্ত করে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছা সীমিত করে দেন। নিশ্চয় আল্লাহ সকল বিষয়ে সম্যক অবগত।
وَلَٮِٕن سَأَلۡتَهُم مَّن نَّزَّلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً۬ فَأَحۡيَا بِهِ ٱلۡأَرۡضَ مِنۢ بَعۡدِ مَوۡتِهَا لَيَقُولُنَّ ٱللَّهُۚ قُلِ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِۚ بَلۡ أَڪۡثَرُهُمۡ لَا يَعۡقِلُونَ ٦٣
আরবি উচ্চারণ ২৯.৬৩। অলায়িন্ সায়াল্তাহুম্ মান্ নায্যালা মিনাস্ সামা-য়ি মা-য়ান্ ফাআহ্ইয়া-বিহিল্ র্আদ্বোয়া মিম্ বাদি মাওতিহা-লাইয়াকু লুন্নাল্লা-হ্; কুলিল্ হাম্দু লিল্লা-হ্; বাল্ আক্ছারুহুম্ লা-ইয়াক্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৬৩ আর তুমি যদি তাদেরকে প্রশ্ন কর, কে আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর সঞ্জীবিত করেন? তবে তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। বল, সকল প্রশংসা আল্লাহর। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বুঝে না।
وَمَا هَـٰذِهِ ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَآ إِلَّا لَهۡوٌ۬ وَلَعِبٌ۬ۚ وَإِنَّ ٱلدَّارَ ٱلۡأَخِرَةَ لَهِىَ ٱلۡحَيَوَانُۚ لَوۡ ڪَانُواْ يَعۡلَمُونَ ٦٤
আরবি উচ্চারণ ২৯.৬৪। অমা-হা-যিহিল্ হা-ইয়া-তুদ্ দুন্ইয়া য় ইল্লা-লাহ্য়ুঁও অলাইব্; অ ইন্নাদ্দা-রল্ আ-খিরতা লাহিয়াল্ হাইয়াওয়া-ন্। লাও কা-নূ ইয়ালামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৬৪ আর এ দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং নিশ্চয় আখিরাতের নিবাসই হলো প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত।
فَإِذَا رَڪِبُواْ فِى ٱلۡفُلۡكِ دَعَوُاْ ٱللَّهَ مُخۡلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ فَلَمَّا نَجَّٮٰهُمۡ إِلَى ٱلۡبَرِّ إِذَا هُمۡ يُشۡرِكُونَ ٦٥
আরবি উচ্চারণ ২৯.৬৫। ফাইযা- রকিবূ ফিল্ফুল্কি দাআয়ু ল্লা-হা মুখ্লিছীনা লাহুদ্দীনা-ফালাম্মা- নাজ্জ্বাহুম্ ইলাল্ র্বারি ইযা-হুম্ ইয়ুশ্রিকূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৬৫ তারা যখন নৌযানে আরোহন করে, তখন তারা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর যখন তিনি তাদেরকে স্থলে পৌঁছে দেন, তখনই তারা শিরকে লিপ্ত হয়।
لِيَكۡفُرُواْ بِمَآ ءَاتَيۡنَـٰهُمۡ وَلِيَتَمَتَّعُواْۖ فَسَوۡفَ يَعۡلَمُونَ ٦٦
আরবি উচ্চারণ ২৯.৬৬। লিইয়াক্ফুরূ বিমা য় আ-তাইনা-হুম্ অ লিইয়াতামাত্তাঊ ফাসাওফা ইয়ালামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৬৬ যাতে আমি তাদেরকে যা দিয়েছি, তা তারা অস্বীকার করতে পারে এবং তারা যেন ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকতে পারে। অতঃপর শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।
أَوَلَمۡ يَرَوۡاْ أَنَّا جَعَلۡنَا حَرَمًا ءَامِنً۬ا وَيُتَخَطَّفُ ٱلنَّاسُ مِنۡ حَوۡلِهِمۡۚ أَفَبِٱلۡبَـٰطِلِ يُؤۡمِنُونَ وَبِنِعۡمَةِ ٱللَّهِ يَكۡفُرُونَ ٦٧
আরবি উচ্চারণ ২৯.৬৭। আওয়ালাম্ ইয়ারও আন্না জ্বাআল্না-হারমান্ আ-মিনাঁও অ ইয়ুতাখত্ব ত্বোয়াফুন্ না-সু মিন্ হাওলিহিম্ আফাবিল্বা-ত্বিলি ইয়ুমিনূনা অবিনিমাতিল্লা-হি ইয়াক্ফুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৬৭তারা কি দেখে না যে, আমি (মক্কাকে) নিরাপদ পবিত্র অঞ্চল বানিয়েছি, অথচ তাদের আশ পাশ থেকে মানুষদেরকে ছিনিয়ে নেয়া হয়? তাহলে কি তারা অসত্যেই বিশ্বাস করবে এবং আল্লাহর নিআমতকে অস্বীকার করবে?
وَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّنِ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ ڪَذِبًا أَوۡ كَذَّبَ بِٱلۡحَقِّ لَمَّا جَآءَهُ ۥۤۚ أَلَيۡسَ فِى جَهَنَّمَ مَثۡوً۬ى لِّلۡڪَـٰفِرِينَ ٦٨
আরবি উচ্চারণ ২৯.৬৮। অমান্ আজ্লামু মিম্মা-নিফ্ তারা-আলা ল্লা-হি কাযিবান্ আও কায্যাবা বিল্ হাকক্বি লাম্মা-জ্বা-য়াহ্; আলাইসা ফী জ্বাহান্নামা মাছ্ওয়াল্ লিল্কা-ফিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৯.৬৮ আর সে ব্যক্তির চেয়ে যালিম আর কে, যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করে অথবা তার নিকট সত্য আসার পর তা অস্বীকার করে? জাহান্নামের মধ্যেই কি কাফিরদের আবাস নয়?
وَٱلَّذِينَ جَـٰهَدُواْ فِينَا لَنَہۡدِيَنَّہُمۡ سُبُلَنَاۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَمَعَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ ٦٩
আরবি উচ্চারণ ২৯.৬৯। অল্লাযীনা জ্বা-হাদূ ফীনা- লানাহ্ দিয়ান্নাহুম্ সুবুলানা-; অ ইন্নাল্লা-হা লামাআল্ মুহ্সিনীন্
বাংলা অনুবাদ ২৯.৬৯আর যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, তাদেরকে আমি অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আর নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সাথেই আছেন।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত
- রমজানের ৩০ দিনের ৩০টি ফজিলতরমজানের ৩০ দিনের আমল ও ফজিলত