আজকের বিষয়: সূরা আস-সাবা সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল আস-সাবা আলমল ও ফজিলত, সূরা আস-সাবা কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত
নামকরণ
১৫ আয়াতের বাক্য (………………..) থেকে গৃহীত হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, এটি এমন একটি সূরা যেখানে সাবা এর কথা বলা হয়েছে।
নাযিল হওয়ার সময় কাল-
কোন নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়াত থেকে এর নাযিলের সঠিক সময়-কাল জানা যায় না। তবে বর্ণনাধারা থেকে অনুভূত হয়, সেটি ছিল মক্কার মাঝামাঝি যুগ অথবা প্রাথমিক যুগ। যদি মাঝামাঝি যুগ হয়ে থাকে তাহলে সম্ভবত সেটি ছিল তার একেবারে প্রথম দিককার সময়। তখনো পর্যন্ত জুলুম নিপীড়নের তীব্রতা দেখা দেয়নি এবং তখনো কেবলমাত্র ঠাট্টা, তামাশা, বিদ্রূপ , গুজব ছড়ানো এবং মিথ্যা অপবাদ ও প্ররোচনা দেবার মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনকে দমিত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছিল।
বিষয়বস্তু ও কেন্দ্রীয় আলোচ্য-
এ সূরায় কাফেরদের এমন সব আপত্তির জবাব দেয়া হয়েছে যা তারা নবী (সা) মের তাওহীদ ও আখেরাতের দাওয়াতের এবং তার নবুওয়াতের বিরুদ্ধে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ ও অর্থহীন অপবাদের আকারে পেশ করতো।
কোথাও এ আপত্তি গুলো উদ্ধৃত করে তার জবাব দেয়া হয়েছে আবার কোথাও সেগুলো কোন আপত্তির জবাব তা স্বতস্ফূর্তভাবে প্রকাশ হয়ে গেছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে জবাব গুলো দেয়া হয়েছে বুঝাবার পদ্ধতিতে এবং আলোচনার মাধ্যমে স্বরণ করিয়ে দেবার ও যুক্তিপ্রদর্শনের কায়দায়।
কিন্তু কোথাও কোথাও কাফেরদেরকে তাদের হঠকারিতা খারাপ পরিণতির ভয় দেখানো হয়েছে। এ প্রসংগে হযরত দাউদ (আ), হযরত সুলাইমান (আ) ও সাবা জাতির কাহিনী এ উদ্দেশ্যে বর্ণনা করা হয়েছে যে, তোমাদের সামনে ইতিহাসের এ দুটি দৃষ্টান্তই রয়েছে- একদিকে রয়েছে হযরত দাউদ (আ) ও হযরত সুলাইমান (আ)। আল্লাহ তাদেরকে দান করেছিলেন বিপুল শক্তি এবং এমন গৌরব দীপ্ত শান-শওকত, যা ইতিপূর্বে খুব কম লোককে দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এসব কিছু পাওয়ার পরও তারা অহংকার ও আত্মম্ভরিতায় লিপ্ত হননি। বরং নিজের রবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পরিবর্তে তার কৃতজ্ঞ বান্দায় পরিণত হন। অন্য দিকে ছিল সাবা জাতি।
যখন আল্লাহ তাদেরকে নিয়ামত দান করলেন, তারা অহমিকায় স্ফীত হয়ে উঠলো এবং শেষে এমনভাবে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো যে, এখন কেবল তাদের কাহিনীই দুনিয়ার বুকে রয়ে গেছে। এ দুটি দৃষ্টান্ত সামনে রেখে স্বয়ং তোমাদেরকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে যে, তাওহীদ ও আখেরাতে বিশ্বাস এবং নিয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রবণতার ভিত্তিতে যে জীবন পড়ে ওঠে তা বেশী ভালো, না সেই জীবন বেশী ভালো যা গড়ে ওঠে কুফর ও শিরক এবং আখেরাত অস্বীকার ও বৈষয়িক স্বার্থ পূজার ভিত্তিতে।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- নামাজে আমরা যা বলি , তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
সুরা নং- ০৩৪ : আস-সাবা بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَلَهُ الْحَمْدُ فِي الْآخِرَةِ وَهُوَ الْحَكِيمُ الْخَبِيرُ1
আরবি উচ্চারণ ৩৪.১। আল্হাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ্বি অলাহুল্ হাম্দু ফিল্ আ-খিরহ্; অহুওয়াল্ হাকীমুল্ খর্বী। বাংলা অনুবাদ ৩৪.১ সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আসমানসমূহে যা কিছু আছে ও যমীনে যা কিছু আছে তার মালিক। আর আখিরাতেও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি প্রজ্ঞাময়, সম্যক অবগত।
يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا يَعْرُجُ فِيهَا وَهُوَ الرَّحِيمُ الْغَفُورُ2
আরবি উচ্চারণ ৩৪.২। ইয়া’লামু মা-ইয়ালিজু ফিল্ র্আদ্বি অমা-ইয়াখ্রুজু মিন্হা-অমা-ইয়ান্যিলু মিনাস্ সামা – য়ি অমা-ইয়ারুজু ফীহা-; অহুওয়ার রহীমুল্ গর্ফূ।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.২ তিনি জানেন যমীনে যা প্রবেশ করে এবং তা থেকে যা বের হয়; আর আসমান থেকে যা নাযিল হয় এবং তাতে যা উঠে । আর তিনি পরম দয়ালু, অতিশয় ক্ষমাশীল।
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَا تَأْتِينَا السَّاعَةُ قُلْ بَلَى وَرَبِّي لَتَأْتِيَنَّكُمْ عَالِمِ الْغَيْبِ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ وَلَا أَصْغَرُ مِنْ ذَلِكَ وَلَا أَكْبَرُ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُبِينٍ3
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৩। অক্ব-লাল্ লাযীনা কাফারূ লা-তাতী নাস্সা‘আহ্;কুল্ বালা অ রব্বী লাতাতিয়ান্নাকুম্ ‘আ-লিমিল্ গইবি লা-ইয়া’যুবু ‘আন্হু মিছ্ক্ব-লু র্যারাতিন্ ফিস্ সামা-ওয়া-তি অলা-ফিল্ র্আদ্বি অলা য় আছ্গরু মিন্ যা-লিকা অলা য় আক্বারু ইল্লা-ফী কিতা-বিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৩ আর কাফিররা বলে, ‘কিয়ামত আমাদের কাছে আসবে না।’ বল, ‘অবশ্যই, আমার রবের কসম! যিনি গায়েব সম্পর্কে অবগত, তা তোমাদের কাছে আসবেই। আসমানসমূহ ও যমীনে অনু পরিমাণ কিংবা তদপেক্ষা ছোট অথবা বড় কিছুই তাঁর অগোচরে নেই, বরং সবই সুস্পষ্ট কিতাবে রয়েছে,
لِيَجْزِيَ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أُولَئِكَ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ4
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৪। লিইয়াজযিয়াল্ লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহাত্; উলা – য়িকা লাহুম্ মাগ্ফিরাতুঁও অ রিয্কুন্ কারীম্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৪ যাতে তিনি প্রতিদান দেন তাদেরকে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। তাদেরই জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিয্ক।
وَالَّذِينَ سَعَوْا فِي آيَاتِنَا مُعَاجِزِينَ أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مِنْ رِجْزٍ أَلِيمٌ5
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৫। অল্লাযীনা সা‘আও ফী য় আ-ইয়া-তিনা মু‘আ-জ্বিযীনা উলা – য়িকা লাহুম্ ‘আযা-বুম্ মির রিজযিন্ আলীম।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৫ আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করে দেয়ার চেষ্টা চালায়, তাদেরই জন্য রয়েছে কঠোর পীড়াদায়ক আযাব।
وَيَرَى الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ الَّذِي أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ هُوَ الْحَقَّ وَيَهْدِي إِلَى صِرَاطِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ 6
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৬। অ ইয়ার ল্লাযীনা ঊতুল্ ‘ইলমা ল্লাযী য় উন্যিলা ইলাইকা র্মি রব্বিকা হওয়াল্ হাক্বক্বা অ ইয়াহ্দী য় ইলা-ছিরা-ত্বিল্ ‘আযীযিল্ হামীদ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৬ আর যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তারা জানে যে, তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তা সত্য এবং তা মহাপরাক্রমশালী ও প্রশংসিত আল্লাহর পথের দিকে হিদায়াত করে।
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا هَلْ نَدُلُّكُمْ عَلَى رَجُلٍ يُنَبِّئُكُمْ إِذَا مُزِّقْتُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ إِنَّكُمْ لَفِي خَلْقٍ جَدِيدٍ7
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৭। অ ক্ব-লাল্ লাযীনা কাফারূ হাল্ নাদ্দুল্লুকুম্ ‘আলা- রাজুলিইঁ ইয়ুনাব্বিয়ুকুম্ ইযা-মুয্যিক্ব তুম্ কুল্লা মুমায্যাক্বিন্ ইন্নাকুম্ লাফী খল্ক্বিন্ জ্বাদীদ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৭ আর কাফিররা বলে, ‘আমরা কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যক্তির সন্ধান দেব, যে তোমাদেরকে সংবাদ দেয় যে, তোমরা যখন পুরোপুরি ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে তখন নিশ্চয় তোমরা নতুনভাবে সৃজিত হবে’?
أَافْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا أَمْ بِهِ جِنَّةٌ بَلِ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ فِي الْعَذَابِ وَالضَّلَالِ الْبَعِيدِ8
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৮। আফ্তারা- ‘আলাল্লা-হি, কাযিবান্ আম্ বিহী জ্বিন্নাহ্; বালিল্লাযীনা লা-ইয়ুমিনূনা বিল্আ-খিরতি ফিল্ ‘আযা-বি অদ্ব্দ্বোয়ালা-লিল্ বা‘ঈদ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৮ সে কি আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে, না কি তার পাগলামী রয়েছে? বরং যারা আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে না তারা আযাব ও সুদূর বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
أَفَلَمْ يَرَوْا إِلَى مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ إِنْ نَشَأْ نَخْسِفْ بِهِمُ الْأَرْضَ أَوْ نُسْقِطْ عَلَيْهِمْ كِسَفًا مِنَ السَّمَاءِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِكُلِّ عَبْدٍ مُنِيبٍ 9
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৯। আফালাম্ ইয়ারাও ইলা-মা-বাইনা আইদীহিম্ অমা-খল্ফাহুম্ মিনাস্ সামা – য়ি অল্র্আদ্ব্; ইন্ নাশা নাখ্সিফ্ বিহিমুল্ র্আদ্বোয়া আও নুস্ক্বিত্ব্ ‘আলাইহিম্ কিসাফাম্ মিনাস্ সামা – য়্; ইন্না ফী যা-লিকা লা আ-ইয়াতাল্ লিকুল্লি ‘আব্দিম্ মুনীব্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৯ তারা কি তাদের সামনে ও তাদের পেছনে আসমান ও যমীনে যা আছে তার প্রতি লক্ষ্য করে না? যদি আমি ইচ্ছা করি তাহলে তাদেরকে সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা আসমান থেকে এক খণ্ড (আযাব) তাদের উপর নিপতিত করব, অবশ্যই তাতে রয়েছে আল্লাহমুখী প্রত্যেক বান্দার জন্য নিদর্শন।
وَلَقَدْ آتَيْنَا دَاوُدَ مِنَّا فَضْلًا يَا جِبَالُ أَوِّبِي مَعَهُ وَالطَّيْرَ وَأَلَنَّا لَهُ الْحَدِيدَ10
আরবি উচ্চারণ ৩৪.১০। অ লাক্বদ্ আ-তাইনা- দায়ূদা- মিন্না-ফাদ্ব্লা-; ইয়া-জ্বিবা-লু আওয়্যিবী মা‘আহূ অত্ব ত্বোয়াইরা অআলান্না-লাহুল্ হাদীদ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.১০ আর অবশ্যই আমি আমার পক্ষ থেকে দাঊদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম। (আমি আদেশ করলাম) ‘হে পর্বতমালা, তোমরা তার সাথে আমার পবিত্রতা ঘোষণা কর’ এবং পাখিদেরকেও (এ আদেশ দিয়েছিলাম)। আর আমি তার জন্য লোহাকেও নরম করে দিয়েছিলাম,
أَنِ اعْمَلْ سَابِغَاتٍ وَقَدِّرْ فِي السَّرْدِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ11
আরবি উচ্চারণ ৩৪.১১। আনি’মাল্ সা-বিগ-তিঁও অক্বর্দ্দি ফিস্ র্সাদি ওয়া’মালূ ছোয়া-লিহা-; ইন্নী বিমা-তা’মালূনা বার্ছী।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.১১ (এ নির্দেশ দিয়ে যে,) ‘তুমি পরিপূর্ণ বর্ম তৈরী কর এবং যথার্থ পরিমাণে প্রস্তুত কর’। আর তোমরা সৎকর্ম কর। তোমরা যা কিছু কর নিশ্চয় আমি তার সম্যক দ্রষ্টা।
وَلِسُلَيْمَانَ الرِّيحَ غُدُوُّهَا شَهْرٌ وَرَوَاحُهَا شَهْرٌ وَأَسَلْنَا لَهُ عَيْنَ الْقِطْرِ وَمِنَ الْجِنِّ مَنْ يَعْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ بِإِذْنِ رَبِّهِ وَمَنْ يَزِغْ مِنْهُمْ عَنْ أَمْرِنَا نُذِقْهُ مِنْ عَذَابِ السَّعِيرِ12
আরবি উচ্চারণ ৩৪.১২। অ লিসুলাইমা-র্না রীহা-গুদুওয়্যুহা-শাহ্রুঁও অ রাওয়া-হুহা- শাহ্রুন্ অ আসাল্না-লাহূ ‘আইনাল্ ক্বিত্বরি; অ মিনাল্ জ্বিন্নি মাইঁ ইয়া’মালু বাইনা ইয়াদাইহি বিইয্নি রব্বিহ্; অমাইঁ ইয়াযিগ্ মিন্হুম্ ‘আন্ আম্রিনা-নুযিকহু মিন্ ‘আযা-বিস্ সাঈর্’।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.১২ আর সুলাইমানের জন্য আমি বাতাসকে অনুগত করে দিয়েছিলাম, যা সকালে এক মাসের পথ এবং সন্ধ্যায় এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আর আমি তার জন্য গলিত তামার প্রস্রবণ প্রবাহিত করেছিলাম। আর কতিপয় জিন তার রবের অনুমতিক্রমে তার সামনে কাজ করত। তাদের মধ্যে যে আমার নির্দেশ থেকে বিচ্যুত হয় তাকে আমি জ্বলন্ত আগুনের আযাব আস্বাদন করাব।
يَعْمَلُونَ لَهُ مَا يَشَاءُ مِنْ مَحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَاسِيَاتٍ اعْمَلُوا آلَ دَاوُدَ شُكْرًا وَقَلِيلٌ مِنْ عِبَادِيَ الشَّكُورُ13
আরবি উচ্চারণ ৩৪.১৩। ইয়া’মালূনা লাহূ মা-ইয়াশা – য়ু মিম্ মাহা-রীবা অ তামা-ছীলা অজ্বিফা-নিন্ কাল্জ্বাঅ-বি অকুদূর্রি র-সিয়া-ত্; ই’মালূ য় আ-লা দা-য়ূদা শুক্র-; অক্বালীলুম্ মিন্ ই’বা-দিয়াশ্ শার্কূ।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.১৩ তারা তৈরী করত সুলাইমানের ইচ্ছানুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ, ভাস্কর্য, সুবিশাল হাউযের মত বড় পাত্র ও স্থির হাড়ি। ‘হে দাঊদ পরিবার, তোমরা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আমল করে যাও এবং আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পই কৃতজ্ঞ’।
فَلَمَّا قَضَيْنَا عَلَيْهِ الْمَوْتَ مَا دَلَّهُمْ عَلَى مَوْتِهِ إِلَّا دَابَّةُ الْأَرْضِ تَأْكُلُ مِنْسَأَتَهُ فَلَمَّا خَرَّ تَبَيَّنَتِ الْجِنُّ أَنْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ الْغَيْبَ مَا لَبِثُوا فِي الْعَذَابِ الْمُهِينِ14
আরবি উচ্চারণ ৩৪.১৪। ফালাম্মা- ক্বাদ্বোয়াইনা- ‘আলাইহিল্ মাওতা মা-দাল্লাহুম্ ‘আলা- মাওতিহী য় ইল্লা-দা – ব্বাতুল্ র্আদ্বি তাকুলু মিন্সায়াতাহূ ফালাম্মা- র্খার তাবাইয়্যানাতিল্ জ্বিন্নু আল্লাও কা-নূ ইয়া’লামূনাল্ গইবা মালাবিছূ ফিল্ ‘আযা বিল্ মুহীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.১৪ তারপর যখন আমি সুলাইমানের মৃত্যুর ফয়সালা করলাম তখন মাটির পোকা জিনদেরকে তার মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল, যা তার লাঠি খাচ্ছিল। অতঃপর যখন সে পড়ে গেল তখন জিনরা বুঝতে পারল যে, তারা যদি গায়েব জানত তাহলে তারা লাঞ্ছনাদায়ক আযাবে থাকত না।
لَقَدْ كَانَ لِسَبَإٍ فِي مَسْكَنِهِمْ آيَةٌ جَنَّتَانِ عَنْ يَمِينٍ وَشِمَالٍ كُلُوا مِنْ رِزْقِ رَبِّكُمْ وَاشْكُرُوا لَهُ بَلْدَةٌ طَيِّبَةٌ وَرَبٌّ غَفُورٌ15 আরবি উচ্চারণ ৩৪.১৫। লাক্বদ্ কা-না লিসাবায়িন্ ফী মাস্কানিহিম্ আ-ইয়াতুন্ জ্বান্নাতা-নি আইঁ ইয়ামীনিঁও অশিমা-লিন্ কুলূ র্মি রিয্ক্বি রব্বিকুম্ অশ্কুরূ লাহূ; বাল্দাতুন্ ত্বোয়াইয়্যিবাতুঁও অরব্বুন্ গর্ফূ।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.১৫ নিশ্চয় সাবা সম্প্রদায়ের জন্য তাদের বাসভূমিতে ছিল একটি নিদর্শন : দু’টি উদ্যান, একটি ডানে ও অপরটি বামে, (তাদেরকে বলা হয়েছিল) ‘তোমরা তোমাদের রবের রিয্ক থেকে খাও আর তাঁর শোকর কর। এটি উত্তম শহর এবং (তোমাদের রব) ক্ষমাশীল রব’।
فَأَعْرَضُوا فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ سَيْلَ الْعَرِمِ وَبَدَّلْنَاهُمْ بِجَنَّتَيْهِمْ جَنَّتَيْنِ وَبَدَّلْنَاهُمْ بِجَنَّتَيْهِمْ جَنَّتَيْنِ ذَوَاتَيْ أُكُلٍ خَمْطٍ وَأَثْلٍ وَشَيْءٍ مِنْ سِدْرٍ قَلِيلٍ16
আরবি উচ্চারণ ৩৪.১৬। ফাআ’রদ্বুফার্য়াসাল্না- ‘আলাইহিম্ সাইলাল্ ‘আরিমি অবাদ্দাল্না-হুম্ বিজ্বান্নাতাইহিম্ জ্বান্নাতাইনি যাওয়া-তাই উকুলিন্ খাম্ত্বিঁও অআছ্লিঁও অশাইয়িম্ মিন্ সিদ্রিন্ ক্বালীল্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.১৬ তারপরও তারা মুখ ফিরিয়ে নিল। ফলে আমি তাদের উপর বাঁধভাঙ্গা বন্যা প্রবাহিত করলাম। আর আমি তাদের উদ্যান দু’টিকে পরিবর্তন করে দিলাম এমন দু’টি উদ্যানে যাতে উৎপন্ন হয় তিক্ত ফলের গাছ, ঝাউগাছ এবং সামান্য কিছু কুল গাছ।
ذَلِكَ جَزَيْنَاهُمْ بِمَا كَفَرُوا وَهَلْ نُجَازِي إِلَّا الْكَفُورَ17
আরবি উচ্চারণ ৩৪.১৭। যা-লিকা জ্বাযাইনা-হুম্ বিমা-কাফারূ; অহাল্ নুজ্বা-যী য় ইল্লাল্ কার্ফূ।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.১৭ সে আযাব আমি তাদেরকে দিয়েছিলাম তাদের কুফরীর কারণে। আর আমি অকৃতজ্ঞ ছাড়া অন্য কাউকে এমন আযাব দেই না।
وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْقُرَى الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا قُرًى ظَاهِرَةً وَقَدَّرْنَا فِيهَا السَّيْرَ سِيرُوا فِيهَا لَيَالِيَ وَأَيَّامًا آمِنِينَ18
আরবি উচ্চারণ ৩৪.১৮। অজ্বা‘আল্না -বাইনাহুম্ অবাইনাল্ ক্বুরল্লাতী বা-রক্না- ফীহা-কুরান্ জোয়া-হিরাতাঁও অক্বার্দ্দানা- ফীহাস্ সার্ই; সীরূ ফীহা-লাইয়া- লিয়া আইয়্যা-মান্ আ-মিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.১৮ আর তাদের ও যে সব জনপদের মধ্যে আমি বরকত দিয়েছিলাম সেগুলোর মধ্যবর্তীস্থানে আমি অনেক দৃশ্যমান জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং তাতে ভ্রমণ করার ব্যবস্থা নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। (তাদেরকে বলা হয়েছিল) ‘তোমরা এসব জনপদে রাত-দিন (যখন ইচ্ছা) নিরাপদে ভ্রমণ কর’।
فَقَالُوا رَبَّنَا بَاعِدْ بَيْنَ أَسْفَارِنَا وَظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ فَجَعَلْنَاهُمْ أَحَادِيثَ وَمَزَّقْنَاهُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ 19
আরবি উচ্চারণ ৩৪.১৯। ফাক্বা-লূ রব্বানা-বা-‘ইদ্ বাইনা আস্ফা-রিনা-অজোয়ালামূ য় আন্ফুসাহুম্ ফাজ্বা‘আল্না-হুম্ আহা-দীছা অমায্যাক্ব্ না-হুম্ কুল্লা মুমায্যাক্ব্ ; ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়া-তিল্লি-কুল্লি ছোয়াব্বা-রিন্ শার্কূ।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.১৯ কিন্তু তারা বলল, ‘হে আমাদের রব, আমাদের সফরের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দিন’। আর তারা নিজদের প্রতি যুল্ম করল। ফলে আমি তাদেরকে কাহিনী বানালাম এবং তাদেরকে একেবারে ছিন্নভিন্ন করে দিলাম। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শন রয়েছে।
وَلَقَدْ صَدَّقَ عَلَيْهِمْ إِبْلِيسُ ظَنَّهُ فَاتَّبَعُوهُ إِلَّا فَرِيقًا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ20
আরবি উচ্চারণ ৩৪.২০। অ লাক্বদ্ ছোয়াদ্দাক্বা ‘আলাইহিম্ ইবলীসু জোয়ান্নাহূ ফাত্তাবা‘ঊহু ইল্লা-ফারীক্বম্ মিনাল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.২০ আর নিশ্চয় তাদের ব্যাপারে ইবলীস তার ধারণা সত্য প্রমাণ করল, ফলে মুমিনদের একটি দল ছাড়া সবাই তার অনুসরণ করল।
وَمَا كَانَ لَهُ عَلَيْهِمْ مِنْ سُلْطَانٍ إِلَّا لِنَعْلَمَ مَنْ يُؤْمِنُ بِالْآخِرَةِ مِمَّنْ هُوَ مِنْهَا فِي شَكٍّ وَرَبُّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ حَفِيظٌ21
আরবি উচ্চারণ ৩৪.২১। অমা-কা-না লাহূ ‘আলাইহিম্ মিন্ সুল্ত্বোয়া-নিন্ ইল্লা-লিনা’লামা মাইঁ ইয়ুমিনু বিল্আ-খিরা-তি মিম্মান হুওয়া মিন্হা-ফী শাক্; অরব্বুকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ হাফীজ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.২১ আর তাদের উপর শয়তানের কোন কর্তৃত্ব ছিল না। তবে কে আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে আর কে তাতে সন্দেহ পোষণ করে তা প্রকাশ করাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। আর তোমার রব সকল কিছুর হিফাযতকারী।
قُلِ ادْعُوا الَّذِينَ زَعَمْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ لَا يَمْلِكُونَ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ وَمَا لَهُمْ فِيهِمَا مِنْ شِرْكٍ وَمَا لَهُ مِنْهُمْ مِنْ ظَهِيرٍ22
আরবি উচ্চারণ ৩৪.২২। কু’লিদ‘ঊ ল্লাযীনা যা‘আম্তুম্ মিন্ দূনিল্লা-হি, লা-ইয়াম্লিকূনা মিছ্ক্ব-লা র্যারতিন্ ফিস্ সামা-ওয়া-তি অলা-ফিল্ র্আদ্বি অমা লাহুম্ ফীহিমা-মিন্ র্শিকিঁও অমা-লাহূ মিন্হুম্ মিন্ জোয়ার্হী।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.২২ বল, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে করতে তাদেরকে আহবান কর। তারা আসমানসমূহ ও যমীনের মধ্যে অণু পরিমাণ কোন কিছুর মালিক নয়। আর এ দু’য়ের মধ্যে তাদের কোন অংশীদারিত্ব নেই এবং তাদের মধ্য থেকে কেউ তাঁর সাহায্যকারীও নয়।
وَلَا تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ عِنْدَهُ إِلَّا لِمَنْ أَذِنَ لَهُ حَتَّى إِذَا فُزِّعَ عَنْ قُلُوبِهِمْ قَالُوا مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ قَالُوا الْحَقَّ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ23
আরবি উচ্চারণ ৩৪.২৩। অলা-তান্ফা‘ঊশ্ শাফা-‘আতু ‘ইন্দাহূ য় ইল্লা- লিমান্ আযিনা লাহ্; হাত্তা য় ইযা-ফ্য্যিয‘আ ‘আন্ কুলূবিহিম্ ক্ব-লূ মা-যা-ক্ব-লা রব্বুকুম্; ক্ব-লুল্ হাক্ব্ ক্ব অ হুওয়াল্ ‘আলিয়্যুল্ কার্বী।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.২৩ আর আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন সে ছাড়া তাঁর কাছে কোন সুপারিশ কারো উপকার করবে না। অবশেষে যখন তাদের অন্তর থেকে ভয় বিদূরিত হবে তখন তারা বলবে, ‘তোমাদের রব কী বলেছেন’? তারা বলবে, ‘সত্যই বলেছেন’ এবং তিনি সুমহান ও সবচেয়ে বড়।
قُلْ مَنْ يَرْزُقُكُمْ مِنَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ قُلِ اللَّهُ وَإِنَّا أَوْ إِيَّاكُمْ لَعَلَى هُدًى أَوْ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ24
আরবি উচ্চারণ ৩৪.২৪। কুল্ মাইঁর্য়্যা যুকুকুম্ মিনাস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব; কুলিল্লা-হু অইন্না য় আও ইয়্যা-কুম্ লা‘আলা- হুদান্ আও ফী দ্বোয়ালা-লিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.২৪ বল, ‘আসমানসমূহ ও যমীন থেকে কে তোমাদেরকে রিয্ক দেন? বল, ‘আল্লাহ’, আর নিশ্চয় আমরা অথবা তোমরা সৎপথে প্রতিষ্ঠিত অথবা স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত’।
قُلْ لَا تُسْأَلُونَ عَمَّا أَجْرَمْنَا وَلَا نُسْأَلُ عَمَّا تَعْمَلُونَ25
আরবি উচ্চারণ ৩৪.২৫। কুল্-লা তুস্য়ালূনা ‘আম্মা য় আজরম্না-অলা-নুস্য়ালু ‘আম্মা-তা’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.২৫ বল, ‘আমরা যে অপরাধ করছি সে ব্যাপারে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে না, আর তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আমাদেরকেও জিজ্ঞাসা করা হবে না’।
قُلْ يَجْمَعُ بَيْنَنَا رَبُّنَا ثُمَّ يَفْتَحُ بَيْنَنَا بِالْحَقِّ وَهُوَ الْفَتَّاحُ الْعَلِيمُ26
আরবি উচ্চারণ ৩৪.২৬। কুল্ ইয়াজ্ব্ মা‘উ বাইনানা-রব্বুনা-ছুম্মা ইয়াফ্তাহু বাইনান- বিল্ হাক্ব্ ; অহুওয়াল্ ফাত্তা-হুল্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.২৬ বল, ‘আমাদের রব আমাদেরকে একত্র করবেন। তারপর তিনি আমাদের মধ্যে সঠিকভাবে ফয়সালা করবেন। আর তিনিই শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী ও সম্যক পরিজ্ঞাত’।
قُلْ أَرُونِيَ الَّذِينَ أَلْحَقْتُمْ بِهِ شُرَكَاءَ كَلَّا بَلْ هُوَ اللَّهُ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ 27
আরবি উচ্চারণ ৩৪.২৭। কুল্ আরূ নিয়াল্ লাযীনা আল্হাক্ব্ তুম্ বিহী শুরাকা – য়া কাল্লা-বাল্ হুওয়াল্লা-হুল্ ‘আযীযুল্ হাকীম্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.২৭ বল, ‘তোমরা আমাকে দেখাও তো, তোমরা যাদেরকে তাঁর সাথে শরীক হিসেবে যুক্ত করেছ (তারা কোন সত্তা?) কখনো নয়, বরং তিনিই আল্লাহ, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ28
আরবি উচ্চারণ ৩৪.২৮। অমা য় র্আসাল্না-কা ইল্লা-কা – ফ্ফাতা লিন্না-সি বাশীরঁও অনাযীরঁও অলা-কিন্না আক্ছারন্না-সি লা-ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.২৮ আর আমি তো কেবল তোমাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না,
وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ29
আরবি উচ্চারণ ৩৪.২৯। অ ইয়াকুলূনা মাতা-হা-যাল্ ওয়া’দু ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দ্বিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.২৯ আর তারা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এ ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে’? قُلْ لَكُمْ مِيعَادُ يَوْمٍ لَا تَسْتَأْخِرُونَ عَنْهُ سَاعَةً وَلَا تَسْتَقْدِمُونَ30
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৩০। কুল্ লাকুম্ মী‘আ-দু ইয়াওমিল্লা-তাস্তাখিরূনা ‘আন্হু সা-‘আতাঁও অলা-তাস্তাক্ব দিমূ ন্ । বাংলা অনুবাদ ৩৪.৩০ বল, ‘তোমাদের জন্য রয়েছে একটি দিনের ওয়াদা যা থেকে তোমরা মুহূর্তকাল বিলম্বিত করতে পারবে না আর তরান্বিতও করতে পারবে না’।
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَنْ نُؤْمِنَ بِهَذَا الْقُرْآنِ وَلَا بِالَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلَوْ تَرَى إِذِ الظَّالِمُونَ مَوْقُوفُونَ عِنْدَ رَبِّهِمْ يَرْجِعُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ الْقَوْلَ يَقُولُ الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا لِلَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا لَوْلَا أَنْتُمْ لَكُنَّا مُؤْمِنِينَ 31
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৩১। অক্বলাল্ লাযীনা কাফারূ লান্ নুমিনা বিহা-যাল্ ক্ব র্আ-নি অলা-বিল্লাযী বাইনা ইয়াদাইহ্;অলাও তারা য় ইযিজ্ জোয়া-লিমূনা মাওকুফূনা ‘ইন্দা রব্বিহিম্ ইর্য়াজি‘ঊ বা’দ্বুহুম্ ইলা-বা’দ্বিনিল্ ক্বওলা ইয়াকু লুল্ লাযীনাস্ তুদ্ব্‘ইফূ লিল্লাযীনাস্ তাক্বারূ লাওলা য় আন্তুম্ লাকুন্না-মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৩১ আর কাফিরগণ বলে, ‘আমরা কখনো এ কুরআনের প্রতি ঈমান আনব না এবং এর পূববর্তী কোন কিতাবের প্রতিও না’। আর তুমি যদি দেখতে যালিমদেরকে, যখন তাদের রবের কাছে দাঁড় করিয়ে দেয়া হবে তখন তারা পরস্পর বাদানুবাদ করতে থাকবে। যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তারা অহঙ্কারীদেরকে বলবে, ‘তোমরা না থাকলে অবশ্যই আমরা মুমিন হতাম’।
قَالَ الَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا لِلَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا أَنَحْنُ صَدَدْنَاكُمْ عَنِ الْهُدَى بَعْدَ إِذْ جَاءَكُمْ بَلْ كُنْتُمْ مُجْرِمِينَ32
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৩২। ক্ব-লা ল্লাযীনাস্ তাক্বারূ লিল্লাযী নাস্ তুদ্ব্‘ইফূ য় আনাহ্নু ছোয়াদাদ্ না-কুম্ ‘আনিল্ হুদা-বা’দা ইয্ জ্বা – য়াকুম্ বাল্ কুন্তুম্ মুজ্বরিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৩২ যারা অহঙ্কারী ছিল তারা, তাদেরকে বলবে, যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল, ‘তোমাদের কাছে হিদায়াত আসার পর আমরা কি তোমাদেরকে তা থেকে বাধা দিয়েছিলাম? বরং তোমরাই ছিলে অপরাধী’।
وَقَالَ الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا لِلَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا بَلْ مَكْرُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ إِذْ تَأْمُرُونَنَا أَنْ نَكْفُرَ بِاللَّهِ وَنَجْعَلَ لَهُ أَنْدَادًا وَأَسَرُّوا النَّدَامَةَ لَمَّا رَأَوُا الْعَذَابَ وَجَعَلْنَا الْأَغْلَالَ فِي أَعْنَاقِ الَّذِينَ كَفَرُوا هَلْ يُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ33
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৩৩। অক্ব-লাল্ লাযীনাস্ তুদ্ব‘ইফূ লিল্লাযীনাস্ তাক্বারূ বাল্ মাক্রুল লাইলি অন নাহা-রি ইয্ তামুরূ নানা য় আন্ নাক্ফুরা বিল্লা-হি অনাজ্ব্‘আলা লাহূ য় আন্দাদা-; অআর্সারু ন্নাদা-মাতা লাম্মা-রায়ায়ুল্ ‘আযা-ব্; অজ্বা‘আল্নাল্ আগ্লা-লা ফী য় ‘আনা, ক্বি ল্লাযীনা কাফারূ; হাল্ ইয়ুজযাওনা ইল্লা-মা-কা-নূ ইয়া’মালূন্। বাংলা অনুবাদ ৩৪.৩৩ আর যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তারা, যারা অহঙ্কারী ছিল তাদেরকে বলবে, ‘বরং এ ছিল তোমাদের দিন-রাতের চক্রান্ত, যখন তোমরা আমাদেরকে আদেশ দিয়েছিলে যেন আমরা আল্লাহকে অস্বীকার করি এবং তাঁর সমকক্ষ স্থির করি’। আর তারা যখন আযাব দেখবে তখন তারা অনুতাপ গোপন করবে। আর আমি কাফিরদের গলায় শৃঙ্খল পরিয়ে দেব। তারা যা করত কেবল তারই প্রতিফল তাদেরকে দেয়া হবে।
وَمَا أَرْسَلْنَا فِي قَرْيَةٍ مِنْ نَذِيرٍ إِلَّا قَالَ مُتْرَفُوهَا إِنَّا بِمَا أُرْسِلْتُمْ بِهِ كَافِرُونَ 34
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৩৪। অমা য় র্আসালনা-ফী-র্ক্বাইয়াতিম্ মিন্নাযীরিন্ ইল্লা-ক্বা-লা মুত্রাফূহা য় ইন্না- বিমা য় র্উসিল্তুম্ বিহী কা-ফিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৩৪ আর আমি কোন জনপদে সতর্ককারী প্রেরণ করলেই সেখানকার বিত্তবান অধিবাসীরা বলেছে, ‘তোমরা যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছ অবশ্যই আমরা তা প্রত্যাখ্যানকারী’।
وَقَالُوا نَحْنُ أَكْثَرُ أَمْوَالًا وَأَوْلَادًا وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ35
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৩৫। অ ক্ব-লূ নাহ্নু আক্ছারু আমওয়া- লাঁও অআওলা-দাওঁ অমা-নাহ্নু বিমু‘আয্যাবীন্। বাংলা অনুবাদ ৩৪.৩৫ তারা আরো বলেছে, ‘আমরা ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে অধিক সমৃদ্ধশালী। আর তাই আমরা আযাবপ্রাপ্ত হব না’।
قُلْ إِنَّ رَبِّي يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَقْدِرُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ36
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৩৬। কুল্ ইন্না রব্বী ইয়াব্স্ত্বর্ রিয্ক্ব লিমাইঁ ইয়াশা – য়ু অইয়াক্ব দিরু অলা-কিন্না আক্ছারন না-সি লা-ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৩৬ বল, ‘আমার রব যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন অথবা সঙ্কুচিত করেন। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।’
وَمَا أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ بِالَّتِي تُقَرِّبُكُمْ عِنْدَنَا زُلْفَى إِلَّا مَنْ آمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَأُولَئِكَ لَهُمْ جَزَاءُ الضِّعْفِ بِمَا عَمِلُوا وَهُمْ فِي الْغُرُفَاتِ آمِنُونَ37
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৩৭। অমা য় আম্ওয়া- লুকুম্ অলা য় আওলা-দুকুম্ বিল্লাতী তুর্ক্বরিবুকুম্ ‘ইন্দানা-যুল্ফা য় ইল্লা-মান্ আ-মানা অ‘আমিলা ছোয়া-লিহান্ ফাউলা – য়িকা লাহুম্ জ্বাযা – য়ুদ্ব্ দ্বি’ফি বিমা-আ’মিলূ অহুম্ ফিল্ গুরূফা-তি আ-মিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৩৭ আর তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন বস্তু নয় যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে দেবে। তবে যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে, তারাই তাদের আমলের বিনিময়ে পাবে বহুগুণ প্রতিদান। আর তারা (জান্নাতের) সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।
وَالَّذِينَ يَسْعَوْنَ فِي آيَاتِنَا مُعَاجِزِينَ أُولَئِكَ فِي الْعَذَابِ مُحْضَرُونَ 38
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৩৮। অল্লাযীনা ইয়াস্‘আওনা ফী য় আ-ইয়াতিনা- ‘মুআ-জ্বিযীনা উলা – য়িকা ফিল্ ‘আযা-বি মুহ্দ্বোয়ারূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৩৮ আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করে দিতে প্রচেষ্টা চালায় তাদেরকে আযাবের মধ্যে উপস্থিত করা হবে।
قُلْ إِنَّ رَبِّي يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ وَمَا أَنْفَقْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهُ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ39
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৩৯। কুল্ ইন্না রব্বী ইয়াব্সুত্বর্ রিয্কা লিমাইঁ ইয়াশা – য়ু মিন্ ‘ইবাদিহী অইয়াক্ব দিরু লাহ্; অমা য় আন্ফাক্ব তুম্ মিন্ শাইয়িন্ ফাহুওয়া ইয়ুখ্লিফুহূ অহুওয়া খাইর্রু র-যিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৩৯ বল, ‘নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিয্কদাতা।’
وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا ثُمَّ يَقُولُ لِلْمَلَائِكَةِ أَهَؤُلَاءِ إِيَّاكُمْ كَانُوا يَعْبُدُونَ40
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৪০। অইয়াওমা ইয়াহ্শুরুহুম্ জ্বামী‘আন্ ছুম্মা ইয়াকুলূ লিল্মালা – য়িকাতি আ হা য় য়ুলা – য়ি ইয়্যা-কুম্ কা-নূ ইয়া’বুদূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৪০ আর স্মরণ কর, যেদিন তিনি তাদের সকলকে সমবেত করবেন তারপর ফেরেশতাদেরকে বলবেন, ‘এরা কি তোমাদেরই পূজা করত?’
قَالُوا سُبْحَانَكَ أَنْتَ وَلِيُّنَا مِنْ دُونِهِمْ بَلْ كَانُوا يَعْبُدُونَ الْجِنَّ أَكْثَرُهُمْ بِهِمْ مُؤْمِنُونَ41
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৪১। ক্ব-লূ সুব্হা-নাকা আন্তা অলিয়্যুনা-মিন্ দূনিহিম্, বাল্ কা-নূ ইয়া’বুদূনাল্ জ্বিন্না আক্ছারুহুম্ বিহিম্ মুমিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৪১ তারা (ফেরেশতারা) বলবে, ‘আপনি পবিত্র মহান, আপনিই আমাদের অভিভাবক, তারা নয়। বরং তারা জিনদের পূজা করত। এদের অধিকাংশই তাদের প্রতি ঈমান রাখত’।
فَالْيَوْمَ لَا يَمْلِكُ بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ نَفْعًا وَلَا ضَرًّا وَنَقُولُ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا ذُوقُوا عَذَابَ النَّارِ الَّتِي كُنْتُمْ بِهَا تُكَذِّبُونَ 42
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৪২। ফাল্ইয়াওমা লা-ইয়াম্লিকু বা’দ্বুকুম্ লিবা’দ্বিন্ নাফ্আঁও অলা-দ্বোর্য়ারা-; অনাকু লু লিল্লাযীনা জোয়ালামূ যূকু‘আযা-বা ন্না-রিল্ লাতী কুন্তুম্ বিহা-তুকায্যিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৪২ ফলে আজ তোমাদের একে অপরের কোন উপকার কিংবা অপকার করার ক্ষমতা কেউ রাখবে না। আর আমি যালিমদের উদ্দেশ্যে বলব, ‘তোমরা আগুনের আযাব আস্বাদন কর যা তোমরা অস্বীকার করতে।’
وَإِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُنَا بَيِّنَاتٍ قَالُوا مَا هَذَا إِلَّا رَجُلٌ يُرِيدُ أَنْ يَصُدَّكُمْ عَمَّا كَانَ يَعْبُدُ آبَاؤُكُمْ وَقَالُوا مَا هَذَا إِلَّا إِفْكٌ مُفْتَرًى وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِلْحَقِّ لَمَّا جَاءَهُمْ إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُبِينٌ43
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৪৩। অইযা-তুত্লা-‘আলাইহিম্ আ-ইয়া-তুনা বাইয়্যিনা-তিন্ ক্ব-লূ-মা-হা-যা য় ইল্লা-রাজুলুইঁ ইয়ুরীদু আইঁ ইয়াছুদ্দাকুম্ ‘আম্মা কা-না ইয়া’বুদু আ-বা – য়ুকুম্ অক্ব-লূ মা-হা-যা য় ইল্লা য় ইফ্কুম্ মুর্ফ্তা ; অক্ব-লাল্ লাযীনা কাফারূ লিল্হাক্ব ক্বি লাম্মা-জ্বা – য়াহুম্ ইন্ হা-যা য় ইল্লা-সিহরুম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৪৩ আর যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হত তখন তারা বলত, ‘এতো এমন এক ব্যক্তি যে তোমাদের বাধা দিতে চায় তা থেকে যার ইবাদাত তোমাদের পিতৃপুরুষগণ করত’। তারা আরও বলে, ‘এটি বানোয়াট মিথ্যা বৈ কিছু নয়।’ আর কাফিরদের নিকট যখনই সত্য আসে তখন তারা বলে, ‘এতো কেবল এক সুস্পষ্ট যাদু।’
وَمَا آتَيْنَاهُمْ مِنْ كُتُبٍ يَدْرُسُونَهَا وَمَا أَرْسَلْنَا إِلَيْهِمْ قَبْلَكَ مِنْ نَذِيرٍ44
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৪৪। অমা য় আ-তাইনা-হুম্ মিন্ কুতুবিঁই ইয়াদ্রুসূনাহার্ অমা য় র্আসাল্না য় ইলাইহিম্ ক্বব্লাকা মিন্ নাযীর।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৪৪ আর আমি তাদেরকে কোন কিতাব দেইনি যা তারা অধ্যয়ন করত, এবং তোমার পূর্বে তাদের প্রতি আর কোন সতর্ককারীও প্রেরণ করিনি।
وَكَذَّبَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَمَا بَلَغُوا مِعْشَارَ مَا آتَيْنَاهُمْ فَكَذَّبُوا رُسُلِي فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ 45
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৪৫। অকায্যা বাল্লাযীনা মিন্ ক্বব্লিহিম্ অমা-বালাগূ মি’শা-র মা য় আ-তাইনা-হুম্ ফাকায্যাবূ রুসুলী ফাকাইফা কা-না নার্কী।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৪৫ আর তাদের পূর্ববর্তীরাও অস্বীকার করেছে। অথচ আমি তাদের [পূর্ববর্তীদের] যা দিয়েছিলাম এরা তার এক দশমাংশও পায়নি, তবুও তারা আমার রাসূলদের অস্বীকার করেছিল। ফলে আমার প্রত্যাখ্যান (শাস্তি) কেমন হয়েছিল?
قُلْ إِنَّمَا أَعِظُكُمْ بِوَاحِدَةٍ أَنْ تَقُومُوا لِلَّهِ مَثْنَى وَفُرَادَى ثُمَّ تَتَفَكَّرُوا مَا بِصَاحِبِكُمْ مِنْ جِنَّةٍ إِنْ هُوَ إِلَّا نَذِيرٌ لَكُمْ بَيْنَ يَدَيْ عَذَابٍ شَدِيدٍ46
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৪৬। কুল্ ইন্নামা য় আ‘ইজুকুম্ বিওয়া-হিদাতিন্ আন্ তাক্বূমূ লিল্লা-হি মাছ্না-অফুর-দা ছুম্মা তাতাফাক্কারূ মা-বিছোয়া-হিবিকুম্ মিন্ জিন্নাহ্; ইন্ হুওয়া ইল্লা-নাযীরুল্লাকুম্ বাইনা ইয়াদাই ‘আযা-বিন্ শাদীদ্। বাংলা অনুবাদ ৩৪.৪৬ বল, ‘আমি তো তোমাদেরকে একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছিঃ তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু’জন অথবা এক একজন করে দাঁড়িয়ে যাও, অতঃপর চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সাথীর মধ্যে কোন পাগলামী নেই। সে তো আসন্ন কঠোর আযাব সম্পর্কে তোমাদের একজন সতর্ককারী বৈ কিছু নয়।’
قُلْ مَا سَأَلْتُكُمْ مِنْ أَجْرٍ فَهُوَ لَكُمْ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى اللَّهِ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ47
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৪৭। কুল্ মা-সায়াল্তুকুম্ মিন্ আজরিন্ ফাহুওয়া লাকুম্; ইন্ আজ্ব্রিয়া ইল্লা-‘আলাল্লা-হি অহুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন্ শাহীদ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৪৭ বল, ‘আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাইনি, বরং তা তোমাদেরই। আমার প্রতিদান তো কেবল আল্লাহর নিকট এবং তিনি সব কিছুর উপরই সাক্ষী।
قُلْ إِنَّ رَبِّي يَقْذِفُ بِالْحَقِّ عَلَّامُ الْغُيُوبِ48
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৪৮। কুল্ ইন্না রব্বী ইয়াক্ব যিফু বিল্হাক্ব ক্বি ‘আল্লা- মুল্গুইয়ূব্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৪৮ বল, ‘আমার রব সত্য পাঠিয়েছেন। তিনি যাবতীয় গায়েব সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।’
قُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ49
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৪৯। কুল্ জ্বা – য়াল্ হাক্ব কুঅমা-ইয়ুব্দিয়ুল্ বা-ত্বিলু অমা-ইয়ু‘ঈদ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৪৯ বল, ‘সত্য এসেছে এবং বাতিল কিছু সৃষ্টি করতে পারে না, আর কিছু পুনরাবৃত্তিও করতে পারে না।’
قُلْ إِنْ ضَلَلْتُ فَإِنَّمَا أَضِلُّ عَلَى نَفْسِي وَإِنِ اهْتَدَيْتُ فَبِمَا يُوحِي إِلَيَّ رَبِّي إِنَّهُ سَمِيعٌ قَرِيبٌ 50
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৫০। কুল্ ইন্ দ্বোয়ালাল্তু ফাইন্নামা য় আদিল্লু ‘আলা- নাফ্সী অ ইনিহ্ তাদাইতু ফাবিমা-ইয়ূহী য় ইলাইয়্যা রব্বী-; ইন্নাহূ সামীউ’ন্ ক্বরীব্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৫০ বল, ‘যদি আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাই তবে আমার অকল্যাণেই আমি পথভ্রষ্ট হব। আর যদি আমি হিদায়াত প্রাপ্ত হই তবে তা এজন্য যে, আমার রব আমার প্রতি ওহী প্রেরণ করেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও অতি নিকটবর্তী’।
وَلَوْ تَرَى إِذْ فَزِعُوا فَلَا فَوْتَ وَأُخِذُوا مِنْ مَكَانٍ قَرِيبٍ51
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৫১। অলাও তারা য় ইয্ ফাযি‘ঊ ফালা-ফাওতা অউখিযূ মিম্ মাকা-নিন্ ক্বরীব্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৫১ আর যদি তুমি দেখতে যখন তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে তখন পালানোর কোন পথ পাবে না এবং নিকটস্থ স্থান থেকে তাদেরকে পাকড়াও করা হবে।
وَقَالُوا آمَنَّا بِهِ وَأَنَّى لَهُمُ التَّنَاوُشُ مِنْ مَكَانٍ بَعِيدٍ52
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৫২। অক্ব-লূ য় আ-মান্না-বিহী অ আন্না-লাহুমুত্তানা-য়ুশু মিম্ মাকা-নিম্ বাঈ’দ্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৫২ আর তারা বলবে, ‘আমরা তাতে ঈমান আনলাম’। কিন্তু দূরবর্তী স্থান থেকে তারা কিভাবে ঈমানের নাগাল পাবে?
وَقَدْ كَفَرُوا بِهِ مِنْ قَبْلُ وَيَقْذِفُونَ بِالْغَيْبِ مِنْ مَكَانٍ بَعِيدٍ53
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৫৩। অক্বদ্ কাফারূ বিহী মিন্ ক্বব্লু, অ ইয়াক্ব ্যিফূনা বিল্গইবি মিম্ মাকা-নিম্ বা‘ঈদ্। বাংলা অনুবাদ ৩৪.৫৩ অথচ তারা ইতঃপূর্বে তা অস্বীকার করত এবং তারা দূরবর্তী স্থান থেকে গায়েব সম্পর্কে কুটমন্তব্য ছুঁড়ে মারত।
وَحِيلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُونَ كَمَا فُعِلَ بِأَشْيَاعِهِمْ مِنْ قَبْلُ إِنَّهُمْ كَانُوا فِي شَكٍّ مُرِيبٍ 54
আরবি উচ্চারণ ৩৪.৫৪। অহীলা বাইনাহুম্ অবাইনা মা-ইয়াশ্তাহূনা কামা ফু‘ইলা বিআশ্ইয়া-‘ইহিম্ মিন্ ক্বব্ল্; ইন্নাহুম্ কা-নূ ফী শাক্কিম্ মুরীব্।
বাংলা অনুবাদ ৩৪.৫৪ আর তাদের ও তারা যা কামনা করত তার মধ্যে অন্তরাল করে দেয়া হবে, যেমন ইতঃপূর্বে তাদের সমগোত্রীয়দের ক্ষেত্রে করা হয়েছিল। নিশ্চয় তারা ছিল বিভ্রান্তিকর সন্দেহে পতিত।
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত
- রমজানের ৩০ দিনের ৩০টি ফজিলতরমজানের ৩০ দিনের আমল ও ফজিলত