আজকের বিষয়: সূরা ইউসুফ সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল ইউসুফ আলমল ও ফজিলত, সূরা ইউসুফ কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা ইউসুফ নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ১২ সূরা আল – ইউসুফ
সুরা ইউসুফের ৫৩নং আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত, সুরা রা’দ এবং সুরা ইবরাহিম-এর তেলাওয়াতে মুগ্ধ হবে মুসল্লি। হাফেজে কুরআনগণ তারাবিহ নামাজ আদায়কারীদের শুনাবেন হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের জীবনের সুন্দর ঘটনা।
কুরআনুল কারিমের ১৩ পারার সুরা ইবরাহিমে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। বাদ যায়নি বাবা-মা ও নিজেদের কল্যাণ কামনার দোয়া। বাবা-মা ও নিজেদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা দোয়া করতে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ হলো এমন-
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪১)
এ সুরাগুলোতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সান্ত্বনা দেয়া হয়েছে। নবুয়তের দায়িত্ব পালনকালে প্রিয়নবি মক্কার শেষ সময়গুলোতে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা ও কষ্টের মাঝে অতিবাহিত করছিলেন। সেই কঠিন পরিস্থিতিতে আল্লাহ তাআলা এ সুরাগুলোর মাধ্যমে প্রিয়নবিকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন। সুরাগুলোর বক্তব্য সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
সুরা ইউসুফ
সুরা ইউসুফ মক্কায় নাজিল হয়েছে। এ সুরাটির আয়াত সংখ্যা ১১১ এবং রুকু সংখ্যা ১২। এ সুরার বিষয়বস্তু থেকে বোঝা যায় যে, সুরাটি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কায় অবস্থানের শেষ যুগে নাজিল হয়েছিল।
তখন মক্কার ইসলাম বিদ্বেষীরা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যা বা দেশান্তর বা বন্দি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিল। আজ এ সুরার ৫৩নং আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করা হবে।
সুরা ইউসুফের শেষাংশে পুরুষদের থেকে নবি পাঠানো এবং কুরআনের নসিহত বা ঘটনোগুলো শিক্ষামূলক এবং বুদ্ধিমানের জন্য উপযোগী বলে ঘোষণা দেন। আল্লাহ বলেন-
– ‘আপনার আগে আমি যতজনকে রাসুল করে পাঠিয়েছি, তারা সবাই পুরুষই ছিল জনপদবাসীদের মধ্য থেকে। আমি তাঁদের কাছে ওহি পাঠাতাম। তারা কি দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করে না, যাতে দেখে নিত কিরূপ পরিণতি হয়েছে তাদের যারা আগে ছিল? সংযমকারীদের জন্যে পরকালের আবাসই উত্তম। তারা কি এখনও বোঝে না?’ (সুরা ইউসুফ : আয়াত ১০৯)
– ‘এমনকি যখন পয়গম্বরগণ নৈরাশ্যে পতিত হয়ে যেতেন, এমনকি এরূপ ধারণা করতে শুরু করতেন যে, তাদের অনুমান বুঝি মিথ্যায় পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছিল, তখন তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌছে। অতঃপর আমি যাদের চেয়েছি তারা উদ্ধার পেয়েছে। আমার শাস্তি অপরাধী সম্প্রদায় থেকে প্রতিহত হয় না।’ (সুরা ইউসুফ : ১১০)
সুরা রাদ
কয়েকটি আয়াত ছাড়া বাকি পুরো সুরাটি মক্কায় নাজিল হয়েছে। ৪৩ আয়াতের সুরাটিতে দ্বীন ইসলামের মৌলিক আকিদ্বা বিশ্বাস সংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে। সুরা রাদ-এ তাওহিদ, রেসালাত, ওহি, শেষ দিবসের কর্মফল, হক ও বাতিলের তাৎপর্য ও পার্থক্য সম্পর্কে রয়েছে বিশেষ আলোচনা। তাই সুরার প্রথমেই এসেছে হকের আলোচনা।
সুরা ইবরাহিম
মক্কায় অবর্তীণ ৫২ আয়াত বিশিষ্ট সুরা হলো ‘সুরা ইবরাহিম’। এ সুরাটি কুরআনুল কারিমের ১৪তম সুরা। মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের ঘটনা বর্ণনার পাশাপাশি সুরাটিতে প্রিয়নবির রেসালাত, নবুয়ত এবং কিছু বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে।
সুরাটির আলোচনা মানুষকে গোমরাহীর অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসে। এ সুরায় রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া ও আবেদন। আর তাহলো-
– رَّبَّنَا إِنِّي أَسْكَنتُ مِن ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِندَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُواْ الصَّلاَةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِّنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُم مِّنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ
‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমি নিজের এক সন্তানকে তোমার পবিত্র গৃহের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় আবাদ করেছি; হে আমাদের পালনকর্তা! যাতে তারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। অতপর আপনি কিছু লোকের অন্তরকে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করুন এবং তাদেরকে ফলাদি দ্বারা রুজি দান করুন, সম্ভবতঃ তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৩৭)
– رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللّهِ مِن شَيْءٍ فَي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاء
‘হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি তো জানেন আমরা যা কিছু গোপনে করি এবং যা কিছু প্রকাশ্য করি। আল্লাহর কাছে পৃথিবীতে ও আকাশে কোন কিছুই গোপন নয়।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৩৮)
– رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلاَةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاء
‘হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামাজ কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! কবুল করুন আমাদের দোয়া।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪০)
– رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪১)
– رَبَّنَا أَخِّرْنَا إِلَى أَجَلٍ قَرِيبٍ نُّجِبْ دَعْوَتَكَ وَنَتَّبِعِ الرُّسُلَ
‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে সামান্য মেয়াদ পর্যন্ত সময় দিন, যাতে আমরা আপনার আহবানে সাড়া দিতে এবং পয়গম্বরগণের অনুসরণ করতে পারি।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৪৪)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের বিষয়বস্তুগুলো অধ্যয়ন করার পাশাপাশি সুরা ইবরাহিমের দোয়াগুলোর মাধ্যমে তার কাছে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- নামাজে আমরা যা বলি , তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
আল্লাহ তায়লা কুরআন নাযিল করেছেন মানব জাতিকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য। হেদায়েতের আলো অন্তরে দেয়ার জন্য। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য উপদেশ, আদেশ, বিধি-বিধান ইত্যাদি প্রদান করেছেন। এসব অনুসরণের দ্বারা দুনিয়ার জীবন যেমন সুন্দর হয় তেমনি সুন্দর হয় আখিরাতের জীবন।
কুরআনে ১১৪ টি সূরা রয়েছে। প্রতিটি সূরার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য শিক্ষা। সেই শিক্ষা আল্লাহ তায়ালা হয়তো কোন ঘটনার মধ্যমে দিয়েছেন অথবা কোন উদাহরণের মাধ্যমে দিয়েছেন। তাই আজকে আমরা এই কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা- আল ইউসুফের শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করবো।
সূরা ইউসুফের ৫টি শিক্ষা
১. শত কষ্টেও আল্লাহর অবাধ্য হওয়া যাবে না
আল্লাহ তায়লা বলেন,
ইউসুফ বললঃ হে পালনকর্তা তারা আমাকে যে কাজের দিকে আহবান করে, তার চাইতে আমি কারাগারই পছন্দ করি। যদি আপনি তাদের চক্রান্ত আমার উপর থেকে প্রতিহত না করেন, তবে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।
– আয়াত : ৩৩
হযরত ইউসুফ আঃ এর বাল্যকাল শুরু হয় দুঃখ আর কষ্টের মধ্যে দিয়ে। পিতা থাকা স্বত্বেও তিনি পিতার আদর থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। বাল্যকালেই তাঁর ভাইয়েরা হিংসার বশবর্তী হয়ে তাকে কূপের মধ্যে ফেলে দেয়। সেখান থেকে আবার তাকে ক্রীতদাস হিসাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
যুবক বয়সেও তাঁর দুঃখ-কষ্টের পাশাপাশি যোগ হয়েছে অনেক কঠিন কঠিন পরীক্ষা। জুলেখা তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কারাগারে বন্দি করে।
কিন্তু এতকিছুর পরেও তিনি আল্লাহর অবাধ্য হননি। আল্লাহর ইবাদত করা বন্ধ করেন নি। উক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহর উপর হযরত ইউসুফ আঃ এর আনুগত্যের কথাই ফুটে উঠেছে। পাপের পথ বেঁছে না নিয়ে, তিনি কারাগারের অন্ধকারের জীবন কাটানোকে বেছে নিয়েছেন।
২. হিংসা করা যাবে না
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
তিনি বললেন: বৎস, তোমার ভাইদের সামনে এ স্বপ্ন বর্ণনা করো না। তাহলে তারা তোমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করবে। নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।
– আয়াত : ৫
হিংসা একটি সুন্দর সম্পর্কের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি করে। একটি পরিবারের মধ্যে তৈরি করে বিশৃঙ্খলা। যার অন্যতম দৃষ্টান্ত হল হযরত ইউসুফ আঃ ও তাঁর হিংসুটে ভাইয়েরা।
হযরত ইউসুফ আঃ রাতে একটি স্বপ্ন দেখেন এবং পরবর্তীতে তাঁর পিতা হযরত ইয়াকুব আঃ এর নিকট বর্ণনা করেন। হযরত ইয়াকুব আঃ এই স্বপ্নের কথা ভাইদের নিকট বর্ণনা করতে নিষেধ করেছেন। কেননা তাঁর ভাইয়েরা তাঁর হিতাকাঙ্খী ছিলেন না। তাঁর ভাইয়েরা সর্বদা তাকে নিয়ে হিংসা করতো।
তাই একজন মুসলমান হিসাবে আমাদের উচিত হিংসা পরিহার করা। অপর ভাইয়ের সফলতা দেখে খুশি হওয়া উচিত। অন্যের সফলতা দেখে সর্বদা “মাশাআল্লাহ” বলা উচিত।
৩. আল্লাহর উপর ভরসা হারানো যাবে না
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
বৎসগণ! যাও, ইউসুফ ও তার ভাইকে তালাশ কর এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।
– আয়াত : ৮৭
হযরত ইয়াকুব আঃ তাঁর সন্তান হযরত ইউসুফ আঃ কে হারানোর পরেও আল্লাহর উপর বিন্দুমাত্র আস্থা হারাননি। তিনি পুত্র বিয়োগের শোকে অন্ধ হয়ে যান কিন্তু সর্বদা এক আল্লাহর নিকট কান্নাকাটি আর অনুশোচনা করতেন। হযরত ইউসুফ আঃ এর ভাইয়েরা এসে যখন বলেছিল ইউসুফ আঃ কে বাঘে নিয়ে গেছে। তখন ইয়াকুব আঃ তাদের কে বলেন তারা যেন ইউসুফ আঃকে খোঁজা বন্ধ না করে।
একটু চিন্তা করুন হযরত ইয়াকুব আঃ তাঁর সন্তানকে সেই বাল্যকালে হারান। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসেও আল্লাহর উপর তাঁর আস্থা বিন্দু মাত্র কমেনি। তিনি বিশ্বাস করতেন আল্লাহ তায়ালা তাঁর দোয়া কবুল করবেন এবং তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে দিবেন। আল্লাহ তায়ালা তাই করেছেন, আল্লাহ তাঁর সন্তানকে ফিরিয়ে দেন।
আমাদেরও উচিত সব ধরনের বিপদ আপদে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রাখা।
৪. সকল অবস্থায় ধর্য্য ধারণ করা
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
তিনি বললেন: কিছুই না, তোমরা মনগড়া একটি কথা নিয়েই এসেছ। এখন ধৈর্য্যধারণই উত্তম। সম্ভবতঃ আল্লাহ তাদের সবাইকে একসঙ্গে আমার কাছে নিয়ে আসবেন তিনি সুবিজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
– আয়াত : ৮৩
একবার চিন্তা করুন হযরত ইউসুফ আঃ জীবনের কত কঠিন পর্যায় পার করেছেন। আর এসব কঠিন পর্যায়ে তিনি কি পরিমাণ ধৈর্য্যর পরীক্ষা দিয়েছেন। ধৈর্য্য ধারণ করার কারণে তিনি অসাধারণ অনেক কিছুই পেয়েছেন।
দুনিয়ার সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় ক্ষণস্থায়ী। আসল চিন্তা পরকালের হওয়া উচিত। সেখানকার সুখ-শান্তি কিংবা কষ্ট চিরস্থায়ী তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত দুনিয়ার জীবনের বিপদ আপদে ধর্য্য ধারণ করা।
৫. ক্ষমা করা
আল্লাহর বানি-
বললেন, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করুন। তিনি সব মেহেরবানদের চাইতে অধিক মেহেরবান।
– আয়াত : ৯২
হযরত ইউসুফ আঃ যখন জীবনের শেষ পর্যায়ে আসেন তখন তিনি অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাঁর জীবনের শেষ সময়টি হল প্রত্যেক মানুষের জন্য অসাধারণ শিক্ষা। হযরত ইউসুফ আঃ ভাইদের ষড়যন্ত্রে দীর্ঘকাল ধরে যেসব বিপদাপদ ভোগ করেছিলেন, এ সময় সেগুলোর কথা মোটেই উল্লেখ করেননি, বরং আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ রাজির কথাই উল্লেখ করেছেন।
তিনি তাঁর ভাইদের ক্ষমা করে দেন এবং তাঁর পিতা ও পরিবারকে তাঁর কাছে নিয়ে আনেন। এর থেকে আমাদেরও অনেক কিছু শিখার আছে। বলা হয়ে থাকা ক্ষমা মহৎ গুন। আর একজন মুসলমান হিসাবে এই মহৎ গুন প্রত্যেক মুসলমানের অর্জন করা উচিত।
শেষ কথা
এই সামান্য লেখায় হয়তো সম্পূর্ণ সূরার শিক্ষা তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবে সবচেয়ে ভাল হয় আল কুরআনের এই গুরুত্বপূর্ণ সূরাটি বার বার পাঠ করা। হযরত ইউসুফ আঃ এর সম্পূর্ণ জীবনী একজন মানুষের জন্য বিশাল শিক্ষা। আর প্রতিটি শিক্ষা আল্লাহ তায়ালা অসাধারণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। উত্তম চরিত্র গঠনের জন্য উক্ত সূরা অন্যতম দৃষ্টান্ত।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
সূরা ইউসুফ পবিত্র কোরআনের ১২ তম সূরা। এর আয়াত সংখ্যা ১১১ টি। রুকুর সংখ্যা ১২ টি। সূরা ইউসুফ পবিত্র নগরী মক্কার অবতীর্ণ হয়েছে। সূরা ইউসুফ এর মধ্যে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম কে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তাআলা সমগ্র মানব জাতির জন্য কোরআনের মধ্যে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন সূরা ইউসুফের মধ্যে মানবজাতির জন্য নির্দেশনা ও শিক্ষা নিহিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা সূরা ইউসুফের মধ্যে নিজে বলেছেন আমি তোমাদের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ( ইউসুফ জুলেখা ) কাহিনী বর্ণনা করতেছি।
সূরা ইউসুফ থেকে চারটি শিক্ষা নেওয়া প্রত্যেকের জন্য কর্তব্য
১. সাধারণ কোনো লক্ষ নয়, অসাধারণ লক্ষ্য স্থির করতে হবে। অসাধারণ লক্ষ্য কাকে বলা হয় জানেন কি? অসাধারণ লক্ষ্য হলো এমন একটি লক্ষ যা আমাদেরকে চেষ্টার শেষ সীমা পর্যন্ত নিয়ে যাবে। প্রতিটা মানুষ তার লক্ষ্যকে স্থির করে তার বর্তমান পরিস্থিতি ওপর। আপনি যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমত না পরেন তাহলে আপনার জন্য অসাধারণ লক্ষ হচ্ছে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সহিত আদায় করা। আর আপনি যদি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তাহলে আপনার জন্য অসাধারন লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিদিন তাহাজ্বতের নামাজ আদায় করা। একটি অসাধারণ লক্ষকে যদি মন থেকে অর্জন করা যায় তাহলে সেটি আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। মনে করেন আপনার লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিদিন তাজ্জতের নামাজ পড়া, আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন তাজ্জতের নামাজ পড়েন তাহলে এটা আপনার জন্য একবারে সহজ হয়ে যাবে।
সূরা ইউসুফ এর তিন নম্বর আয়াতের মধ্যে আল্লাহতালা জানিয়ে দিয়েছেন তুমি একটি অসাধারণ কাহিনী পড়তে যাচ্ছ।সুতরাং এটি কোন দুনিয়ার লেখকদের কাহিনী নয় এটার লেখক স্বয়ং আল্লাহ
আমরা যখনই কোনো ভালো কাজ করার ইচ্ছে করবো তখন আমাদেরকে সর্বোচ্চ লক্ষ স্থির করে কাজ করতে হবে, আমাদের লক্ষ্য যদি সর্বোচ্চ না হয়, তাহলে শয়তান আমাদেরকে ধোকা দিয়ে আমাদের লক্ষ থেকে সরিয়ে ফেলবে।
২. আপনি আপনার ভালো লক্ষ্যকে মনের চোখ দিয়ে এমন ভাবে দেখবেন যাতে মনে হয় আপনি লক্ষটি অর্জন করে ফেলছেন।
আপনি যদি আপনার লক্ষ্যকে মূল্যায়ন করেন, মন থেকে আদায় করার চেষ্টা করেন তাহলে দেখবেন আপনি কত আনন্দের সাথে লক্ষ পৌঁছাতে পারবেন, আর যদি অবহেলা অলসতা করে লক্ষ পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা করেন তাহলে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেনা, শয়তান আপনাকে লক্ষ থেকে সরিয়ে ফেলবে। প্রত্যেক ভাল কাজে আমাদের জন্য অসাধারণ লক্ষ স্থির করা প্রয়োজন যে সমস্ত কাজ আমাদের উপকৃত করবে আল্লাহর হুকুম থেকে সরিয়ে ফেলবে না এটাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য ।
হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম কে আল্লাহ তায়ালা বাল্যকালে স্বপ্নের মাধ্যমে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন তাকে তার মাতা-পিতা ও ১১ ভাইয়ের উপরে স্থান দিয়েছে।
৩. দৃঢ় তাওয়াক্কুল রাখতে হবে । তাওয়াক্কুল এর অর্থ হল ‘এইটাই হবে’ এই বিশ্বাস নিয়ে কাজ করা, যেমন ধরেন আপনার তাওয়াক্কুল আপনি আজকে রাত্রে মারা যাবেন না এইটা আপনার এতই দৃঢ় বিশ্বাস যে আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে ঠিক টাইমে উঠার জন্য এলার্ম সেট করে রাখেন। আমাদেরকে প্রত্যেকটি কাজে এমন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রাখতে হবে যে আল্লাহ চন তো আমি এই কাজটা করতে পারবোই পারব, আমার পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সবকিছুর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা, কারণ আল্লাহ যদি না চায় আমাদের পক্ষে কোন কিছু করা সম্ভব হবেনা, আমাদের যতই বিশ্বাস থাকুক না কেন আমাদের পক্ষে কোন কিছু করা সম্ভব হবে না যতক্ষণ না আল্লাহ চায়, সেজন্য আমরা সব সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। প্রত্যেক কাজে আমাদেরকে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে সাথে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে,দোয়া হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার,দোয়ার মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারে
৪. সঠিক বিষয়গুলোতে ফোকাস করুন, আজেবাজে বিষয় নিয়ে চিন্তা করবেন না, প্রত্যেকটা জিনিস পজেটিভলি নেওয়ার চেষ্টা করুন।আল্লাহ যা করে আমাদের ভালোর জন্য করে। এটাই বলবেন না যে এমন কেন হলো? আল্লাহ এমন কেন করল? আমার সাথে কেন এমন হয়? এমন হওয়া দরকার কি ছিল? এমন না হলেও তো হত? অন্যের সাথে কেন এমন হয় না? এসব বিষয়ে প্রশ্ন কখনো করবেন না। এই সময়গুলোতে আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন ও ধৈর্য ধারণ করবেন, মাথা ঠাণ্ডা রাখবেন, আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে। যে সমস্ত প্রশ্ন করে আমাদের কোনো কাজে আসবে না ও সমস্ত প্রশ্ন না করার জন্য ইসলামে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। যে সমস্ত প্রশ্ন উত্তর আমাদের জন্য লাভজনক হবে ঐ সমস্ত প্রশ্ন করার জন্য ইসলাম আমাদেরকে উৎসাহিত করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, আমার গভীর জ্ঞানের উৎস হচ্ছে আমি প্রশ্ন করতে কখনো দ্বিধা দ্বন্দ করিনা করিনা। সূরা ইউসুফ এর ৭ নং আয়াতে আল্লাহ তা’আলা প্রশ্নকারীদের প্রশংসা করেছেন,কারণ প্রশ্নকারীরা সৎপথ প্রাপ্ত হয়।
আল্লাহপাক সকল মুসলিম নর-নারীকে এর চারটি বিষয়ের উপর আমল করার তৌফিক দান করুন। এবং সূরা ইউসুফ তেলাওয়াত করার তৌফিক দান করুক।আমিন।
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
সুরা নং- ০১২ : ইউসুফ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
الر تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ12.1
আরবি উচ্চারণ ১২.১। আলিফ্ লা – ম্ র-, তিল্কা আ-ইয়া-তুল্ কিতা-বিল্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১ আলিফ-লাম-রা। এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ12.2
আরবি উচ্চারণ ১২.২। ইন্না য় আন্যালনা-হু ক্বর্ ুআ-নান্ ‘আরাবিয়্যাল্ লা‘আল্লাকুম্ তা’ক্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.২ নিশ্চয় আমি একে আরবী কুরআনরূপে নাযিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।
نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ أَحْسَنَ الْقَصَصِ بِمَا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ هَذَا الْقُرْآنَ وَإِنْ كُنْتَ مِنْ قَبْلِهِ لَمِنَ الْغَافِلِينَ12.3
আরবি উচ্চারণ ১২.৩। নাহ্নু নাক্বুছ্ছু ‘আলাইকা আহ্সানাল্ ক্বাছোয়াছি বিমা য় আওহাইনা য় ইলাইকা হা-যাল্ কৃর্আ-না অইন্ কুন্তা মিন্ ক্বাব্লিহী লামিনাল্ গ-ফিলীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৩ আমি তোমার নিকট সুন্দরতম কাহিনী বর্ণনা করছি, এ কুরআন আমার ওহী হিসেবে তোমার কাছে প্রেরণ করার মাধ্যমে। যদিও তুমি এর পূর্বে অনবহিতদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
إِذْ قَالَ يُوسُفُ لِأَبِيهِ يَا أَبَتِ إِنِّي رَأَيْتُ أَحَدَ عَشَرَ كَوْكَبًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ رَأَيْتُهُمْ لِي سَاجِدِينَ 12.4
আরবি উচ্চারণ ১২.৪। ইয্ ক্ব-লা ইয়ূসুফু লিআবীহি ইয়া য় আবাতি ইন্নি-রয়াইতু আহাদা আশারা কাওকাবাঁও অশ্শাম্সা অল্ ক্বমারা রায়াইতুহুম্ লী সা-জ্বিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৪ যখন ইউসুফ তার পিতাকে বলল, ‘হে আমার পিতা, আমি দেখেছি এগারটি নক্ষত্র, সূর্য ও চাঁদকে, আমি দেখেছি তাদেরকে আমার প্রতি সিজদাবনত অবস্থায়’।
قَالَ يَا بُنَيَّ لَا تَقْصُصْ رُؤْيَاكَ عَلَى إِخْوَتِكَ فَيَكِيدُوا لَكَ كَيْدًا إِنَّ الشَّيْطَانَ لِلْإِنْسَانِ عَدُوٌّ مُبِينٌ12.5
আরবি উচ্চারণ ১২.৫। ক্বা-লা ইয়া-বুনাইয়্যা লা-তাক্ব্ছুছ্ রু’ইয়া-কা ‘আলা য় ইখ্ওয়াতিকা ফাইয়াকীদূ লাকা কাইদা-; ইন্নাশ্ শাইত্বোয়া-না লিল্ইন্সা-নি আ’দুওয়ুম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৫ সে বলল, ‘হে আমার পুত্র, তুমি তোমার ভাইদের নিকট তোমার স্বপ্নের বর্ণনা দিও না, তাহলে তারা তোমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করবে। নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন’।
وَكَذَلِكَ يَجْتَبِيكَ رَبُّكَ وَيُعَلِّمُكَ مِنْ تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ وَيُتِمُّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكَ وَعَلَى آلِ يَعْقُوبَ كَمَا أَتَمَّهَا عَلَى أَبَوَيْكَ مِنْ قَبْلُ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبَّكَ عَلِيمٌ حَكِيمٌ12.6
আরবি উচ্চারণ ১২.৬। অকাযা-লিকা ইয়াজ্বতাবীকা রব্বুকা অইয়ু‘আল্লিমুকা মিন্ তা’ওয়ীলিল্ আহা-দীছি অইয়ুতিম্মু নি’মাতাহূ ‘আলাইকা অ‘আলা য় আ-লি ইয়া’ক্বুবা কামা য় আতাম্মাহা ‘আলায় আবাওয়াইকা মিন্ ক্বাব্লু ইব্রা-হীমা অইসহা-ক্ব্; ইন্না রব্বাকা ‘আলীমুন্ হাকীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৬ আর এভাবে তোমার রব তোমাকে মনোনীত করবেন এবং তোমাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দেবেন। আর তোমার উপর ও ইয়াকূবের পরিবারের উপর তাঁর নিআমত পূর্ণ করবেন যেভাবে তিনি তা পূর্বে পূর্ণ করেছিলেন তোমার পিতৃপুরুষ ইবরাহীম ও ইসহাকের উপর, নিশ্চয় তোমার রব সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
لَقَدْ كَانَ فِي يُوسُفَ وَإِخْوَتِهِ آيَاتٌ لِلسَّائِلِينَ12.7
আরবি উচ্চারণ ১২.৭। লাক্বদ্ কা-না ফী ইয়ূসুফা অ ইখ্অতিহী য় আ-ইয়া-তুল্ লিস্সা – য়িলীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৭ ইউসুফ ও তার ভাইদের কাহিনীতে জিজ্ঞাসুদের জন্য অবশ্যই অনেক নিদর্শন রয়েছে।
إِذْ قَالُوا لَيُوسُفُ وَأَخُوهُ أَحَبُّ إِلَى أَبِينَا مِنَّا وَنَحْنُ عُصْبَةٌ إِنَّ أَبَانَا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ 12.8
আরবি উচ্চারণ ১২.৮। ইয্ ক্ব-লূ লাইয়ূসুফু অআখূহু আহাব্বু ইলা য় আবীনা মিন্না-অনাহ্নু ‘উছ্বাহ্; ইন্না আবা-না- লাফী দ্বোয়ালা-লিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৮ যখন তারা বলেছিল, ‘নিশ্চয় ইউসুফ ও তার ভাই আমাদের পিতার নিকট আমাদের চেয়ে অধিক প্রিয়,অথচ আমরা একই দল। নিশ্চয় আমাদের পিতা সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই আছে’।
اقْتُلُوا يُوسُفَ أَوِ اطْرَحُوهُ أَرْضًا يَخْلُ لَكُمْ وَجْهُ أَبِيكُمْ وَتَكُونُوا مِنْ بَعْدِهِ قَوْمًا صَالِحِينَ12.9
আরবি উচ্চারণ ১২.৯। নিক্বুতুলূ ইয়ূসুফা আওয়িত্বরাহূহু র্আদ্বোয়াইঁ ইয়াখ্লু লাকুম্ অজ্বহু আবীকুম্ অতাকূনূ মিম্ বা’দিহী ক্বওমান্ ছোয়া-লিহীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৯ ‘তোমরা ইউসুফকে হত্যা কর অথবা তাকে কোন যমীনে ফেলে আস, তাহলে তোমাদের পিতার আনুকূল্য কেবল তোমাদের জন্য থাকবে এবং তোমরা সৎ লোক হয়ে যাবে’।
قَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ لَا تَقْتُلُوا يُوسُفَ وَأَلْقُوهُ فِي غَيَابَةِ الْجُبِّ يَلْتَقِطْهُ بَعْضُ السَّيَّارَةِ إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ12.10
আরবি উচ্চারণ ১২.১০। ক্ব -লা ক্ব – য়িলুম্ মিন্হুম্ লা-তাক্বুত্বুলূ ইয়ূসুফা অ আল্ক্ব ূহু ফী গইয়া-বাতিল্ জ্বুব্বি ইয়াল্তাক্বিত্বহু বা’দ্বস সাইয়্যা-রতি ইন্ কুন্তুম্ ফা‘ইলীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১০ তাদের মধ্য থেকে একজন বলল, ‘তোমরা ইউসুফকে হত্যা করো না, আর যদি কিছু করই, তাহলে তাকে কোন কূপের গভীরে ফেলে দাও, যাত্রীদলের কেউ তাকে তুলে নিয়ে যাবে’।
قَالُوا يَا أَبَانَا مَا لَكَ لَا تَأْمَنَّا عَلَى يُوسُفَ وَإِنَّا لَهُ لَنَاصِحُونَ12.11
আরবি উচ্চারণ ১২.১১। ক্ব -লূ ইয়া য় আবা-না- মা-লাকা লা-তামান্না-‘আলা-ইয়ূসুফা অইন্না- লাহূ লানা-সিহূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১১ তারা বলল, ‘হে আমাদের পিতা, কী হল আপনার, ইউসুফের ব্যাপারে আপনি আমাদেরকে নিরাপদ মনে করছেন না, অথচ আমরাই তার হিতাকাক্সক্ষী’?
أَرْسِلْهُ مَعَنَا غَدًا يَرْتَعْ وَيَلْعَبْ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ12.12
আরবি উচ্চারণ ১২। র্আসিল্হু মা‘আনা-গদাঁই ইর্য়াতা’ অইয়াল্‘আব্ অইন্না-লাহূ লাহা-ফিজূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১২ ‘আপনি আগামী কাল তাকে আমাদের সাথে প্রেরণ করুন, সে সানন্দে ঘোরাফেরা করবে ও খেলবে। আর অবশ্যই আমরা তার হেফাযতকারী’।
قَالَ إِنِّي لَيَحْزُنُنِي أَنْ تَذْهَبُوا بِهِ وَأَخَافُ أَنْ يَأْكُلَهُ الذِّئْبُ وَأَنْتُمْ عَنْهُ غَافِلُونَ 12.13
আরবি উচ্চারণ ১২.১৩। ক্ব-লা ইন্নী লাইয়াহ্যুনুনী য় আন্ তায্হাবূ বিহী অআখ-ফূ আইঁইয়াকুলাহুয্ যিবু অআন্তুম্ ‘আনহু গফিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১৩ ‘আপনি আগামী কাল তাকে আমাদের সাথে প্রেরণ করুন, সে সানন্দে ঘোরাফেরা করবে ও খেলবে। আর অবশ্যই আমরা তার হেফাযতকারী’।
قَالُوا لَئِنْ أَكَلَهُ الذِّئْبُ وَنَحْنُ عُصْبَةٌ إِنَّا إِذًا لَخَاسِرُونَ12.14
আরবি উচ্চারণ ১২.১৪। ক্ব-লূ লায়িন আকালাহুয্ যিবু অনাহ্নু ‘উছ্বাতুন্ ইন্না য় ইযা ল্লাখ-সিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১৪ তারা বলল, ‘আমরা একই দলভুক্ত থাকা সত্ত্বেও যদি নেকড়ে তাকে খেয়ে ফেলে তাহলে তো আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত’।
فَلَمَّا ذَهَبُوا بِهِ وَأَجْمَعُوا أَنْ يَجْعَلُوهُ فِي غَيَابَةِ الْجُبِّ وَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِ لَتُنَبِّئَنَّهُمْ بِأَمْرِهِمْ هَذَا وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ12.15
আরবি উচ্চারণ ১২.১৫। ফালাম্মা-যাহাবূ বিহী- অ আজ্বমাঊ’য় আইঁ ইয়াজ্বআলূহু ফী গইয়া-বাতিল্ জ্বুব্বি অ আওহাইনা য় ইলাইহি লাতুনাব্বিয়ান্নাহুম্ বিআম্রিহিম্ হা-যা- অ হুম্ লা-ইয়াশ্‘ঊরূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১৫ অতঃপর যখন তারা তাকে নিয়ে গেল এবং তাকে কূপের গভীরে ফেলে দিতে একমত হল (তখন তারা তাই করল) এবং আমি তার নিকট ওহী প্রেরণ করলাম এই মর্মে যে, ‘অবশ্যই তুমি তাদেরকে (ভবিষ্যতে) তাদের এই কর্ম সম্পর্কে জানাবে, এমতাবস্থায় যে, তারা উপলব্ধি করতে পারবে না’।
وَجَاءُوا أَبَاهُمْ عِشَاءً يَبْكُونَ12.16
আরবি উচ্চারণ ১২.১৬। অজ্বা – য়ূ য় আবা-হুম্ ‘ইশা – য়াঁই ইয়াব্কূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১৬ আর তারা রাতের প্রথম ভাগে কাঁদতে কাঁদতে তাদের পিতার নিকট আসল।
قَالُوا يَا أَبَانَا إِنَّا ذَهَبْنَا نَسْتَبِقُ وَتَرَكْنَا يُوسُفَ عِنْدَ مَتَاعِنَا فَأَكَلَهُ الذِّئْبُ وَمَا أَنْتَ بِمُؤْمِنٍ لَنَا وَلَوْ كُنَّا صَادِقِينَ12.17
আরবি উচ্চারণ ১২.১৭। ক্ব-লূ ইয়ায় আবা-না য় ইন্না-যাহাব্না-নাস্তাবিক্বু অতারাক্না-ইয়ূসুফা ‘ইনদা মাতা-‘ইনা-ফাআকালাহুয্ যিবু অমা য় আন্তা বিমুমিনিল্ লানা- অলাও কুন্না-ছোয়া-দ্বিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১৭ তারা বলল, ‘হে আমাদের পিতা, আমরা প্রতিযোগিতা করতে গিয়েছিলাম আর ইউসুফকে রেখে গিয়েছিলাম আমাদের মালপত্রের নিকট, অতঃপর নেকড়ে তাকে খেয়ে ফেলেছে। আর আপনি আমাদেরকে বিশ্বাস করবেন না, যদিও আমরা সত্যবাদী হই’।
وَجَاءُوا عَلَى قَمِيصِهِ بِدَمٍ كَذِبٍ قَالَ بَلْ سَوَّلَتْ لَكُمْ أَنْفُسُكُمْ أَمْرًا فَصَبْرٌ جَمِيلٌ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ12.18
আরবি উচ্চারণ ১২.১৮। অজ্বা – য়ূ ‘আলা-ক্বমীছিহী বিদামিন্ কাযিব্; ক্ব-লা বাল্ সাওঅলাত্ লাকুম্ আন্ফুসুকুম্ আম্রা-; ফাছোয়াব্রুন্ জ্বামীল্; অল্লা-হুল্ মুস্তা‘আ-নু ‘আলা- মা- তাছিফূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১৮ আর তারা তার জামায় মিথ্যা রক্ত লাগিয়ে নিয়ে এসেছিল। সে বলল, ‘বরং তোমাদের নফস তোমাদের জন্য একটি গল্প সাজিয়েছে। সুতরাং (আমার করণীয় হচ্ছে) সুন্দর ধৈর্য। আর তোমরা যা বর্ণনা করছ সে বিষয়ে আল্লাহই সাহায্যস্থল’।
وَجَاءَتْ سَيَّارَةٌ فَأَرْسَلُوا وَارِدَهُمْ فَأَدْلَى دَلْوَهُ قَالَ يَا بُشْرَى هَذَا غُلَامٌ وَأَسَرُّوهُ بِضَاعَةً وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِمَا يَعْمَلُونَ12.19
আরবি উচ্চারণ ১২.১৯। অ জ্বা – য়াত্ সাইয়্যা-রতুন্ ফার্আসালূ ওয়া-রিদাহুম্ ফাআদ্লা- দাল্অহ্; ক্ব-লা ইয়া-বুশরা- হা-যা-গুলা-ম্; অ আর্সারূহু বিদ্বোয়া-‘আহ্; অল্লা-হু ‘আলীমুম্ বিমা-ইয়া’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১৯ আর একটি যাত্রীদল আসল এবং তারা তাদের পানি সংগ্রহকারীকে প্রেরণ করল অতঃপর সে তার বালতি ফেলল। সে বলে উঠলো, ‘কী সুখবর! এ যে একটি বালক’ এবং তারা তাকে পণ্যদ্রব্য হিসেবে গোপন করে ফেলল। আর তারা যা কিছু করছিল সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক জ্ঞাত।
وَشَرَوْهُ بِثَمَنٍ بَخْسٍ دَرَاهِمَ مَعْدُودَةٍ وَكَانُوا فِيهِ مِنَ الزَّاهِدِينَ12.20
আরবি উচ্চারণ ১২.২০। অশারাওহু বিছামানিম্ বাখ্সিন্ দার-হিমা মা’দূদাতিন্ অকা-নূ ফীহি মিনায্ যাহিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.২০ আর তারা তাকে অতি নগণ্য মূল্যে কয়েক দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করে দিল এবং তারা তার ব্যাপারে ছিল অনাগ্রহী।
وَقَالَ الَّذِي اشْتَرَاهُ مِنْ مِصْرَ لِامْرَأَتِهِ أَكْرِمِي مَثْوَاهُ عَسَى أَنْ يَنْفَعَنَا أَوْ نَتَّخِذَهُ وَلَدًا وَكَذَلِكَ مَكَّنَّا لِيُوسُفَ فِي الْأَرْضِ وَلِنُعَلِّمَهُ مِنْ تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ وَاللَّهُ غَالِبٌ عَلَى أَمْرِهِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ12.21
আরবি উচ্চারণ ১২.২১। অক্ব-লা ল্লাযিশ্ তারা-হু মিম্ মিছ্রা লিম্রায়াতিহী য় আক্রিমী মাছ্ওয়া-হু ‘আসা য় আইঁ ইয়ান্ফা‘আনা য় আও নাত্তাখিযাহূ অলাদা-; অকাযা-লিকা মাক্কান্না- লি ইয়ূসুফা ফিল্ র্আদ্বি অ লিনু‘আল্লিমাহূ মিন্ তাওয়ীলিল্ আহা-দীছ্; অল্লা-হু গলিবুন্ ‘আলা য় আম্রিহী অলা-কিন্না আক্ছারা ন্না-সি লা-ইযা’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.২১ আর মিসরের যে ব্যক্তি তাকে ক্রয় করেছিল, সে তার স্ত্রীকে বলল, ‘এর থাকার সুন্দর সম্মানজনক ব্যবস্থা কর। আশা করা যায়, সে আমাদের উপকার করবে অথবা আমরা তাকে পুত্ররূপে গ্রহণ করব’ এবং এভাবেই আমি যমীনে ইউসুফকে প্রতিষ্ঠিত করলাম এবং যেন আমি তাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দেই। আল্লাহ নিজ কর্ম সম্পাদনে প্রবল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
وَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُ آتَيْنَاهُ حُكْمًا وَعِلْمًا وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ12.22
আরবি উচ্চারণ ১২.২২। অ লাম্মা-বালাগা আশুদ্দাহূ য় আ-তাইনা-হু হুক্মাঁও অ ই’ল্মা-;অকাযা-লিকা নাজ্বযিল্ মুহ্সিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.২২ আর সে যখন পূর্ণ যৌবনে উপনীত হল, আমি তাকে হিকমত ও জ্ঞান দান করলাম এবং এভাবেই আমি ইহসানকারীদের প্রতিদান দিয়ে থাকি।
وَرَاوَدَتْهُ الَّتِي هُوَ فِي بَيْتِهَا عَنْ نَفْسِهِ وَغَلَّقَتِ الْأَبْوَابَ وَقَالَتْ هَيْتَ لَكَ قَالَ مَعَاذَ اللَّهِ إِنَّهُ رَبِّي أَحْسَنَ مَثْوَايَ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ12.23
আরবি উচ্চারণ ১২.২৩। অ র-অদাত্ হুল্লাতী হুঅ ফী বাইতিহা-‘আন্ নাফ্সিহী অ গল্লাক্বাতিল্ আব্ওয়া-বা অক্ব-লাত্ হাইতা লাক্; ক্ব-লা মা‘আ-যাল্লাহি ইন্নাহূ রব্বী য় আহ্সানা মাছ্ওয়া-ইয়া; ইন্নাহূ লা-ইয়ুফ্লিহুজ্ জোয়া-লিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.২৩ আর যে মহিলার ঘরে সে ছিল, সে তাকে কুপ্ররোচনা দিল এবং দরজাগুলো বন্ধ করে দিল আর বলল, ‘এসো’। সে বলল, আল্লাহর আশ্রয় (চাই)। নিশ্চয় তিনি আমার মনিব, তিনি আমার থাকার সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয় যালিমগণ সফল হয় না।
وَلَقَدْ هَمَّتْ بِهِ وَهَمَّ بِهَا لَوْلَا أَنْ رَأَى بُرْهَانَ رَبِّهِ كَذَلِكَ لِنَصْرِفَ عَنْهُ السُّوءَ وَالْفَحْشَاءَ إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُخْلَصِينَ 12.24
আরবি উচ্চারণ ১২.২৪। অলাক্বাদ্ হাম্মাত্ বিহী, অহাম্মা বিহা- লাওলা য় র্আরায়া- বুরহা-না রব্বিহ্; কাযা-লিকা লিনাছ্রিফা ‘আন্হুস্ সূ – য়া অল্ ফাহ্শা – য়্; ইন্নাহূ মিন্ ই’বা-দিনাল্ মুখলাছীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.২৪ আর সে মহিলা তার প্রতি আসক্ত হল, আর সেও তার প্রতি আসক্ত হত, যদি না তার রবের স্পষ্ট প্রমাণ প্রত্যক্ষ করত। এভাবেই, যাতে আমি তার থেকে অনিষ্ট ও অশ্লীলতা দূর করে দেই। নিশ্চয় সে আমার খালেস বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।
وَاسْتَبَقَا الْبَابَ وَقَدَّتْ قَمِيصَهُ مِنْ دُبُرٍ وَأَلْفَيَا سَيِّدَهَا لَدَى الْبَابِ قَالَتْ مَا جَزَاءُ مَنْ أَرَادَ بِأَهْلِكَ سُوءًا إِلَّا أَنْ يُسْجَنَ أَوْ عَذَابٌ أَلِيمٌ12.25
আরবি উচ্চারণ ১২.২৫। অস্ তাবাক্বল্ বা-বা অক্বদ্দাত্ ক্বামীছোয়াহূ মিন্ দুবুরিঁও অআল্ফা ইয়া- সাইয়্যিদাহা-লাদাল্ বা-ব্; ক্ব-লাত্ মা-জ্বাযা – য়ু মান্ আর-দা বিআহ্লিকা সূ – য়ান্ ইল্লা য় আইঁ ইয়ুস্জ্বানা আও ‘আযা-বুন্ আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.২৫ আর তারা উভয়ে দরজার দিকে দৌড়ে গেল এবং মহিলা পেছন হতে তার জামা ছিঁড়ে ফেলল। আর তারা মহিলার স্বামীকে দরজার কাছে পেল। মহিলা বলল, ‘যে লোক তোমার পরিবারের সাথে মন্দকর্ম করতে চেয়েছে, তাকে কারাবন্দি করা বা যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দেয়া ছাড়া তার আর কী দণ্ড হতে পারে’?
قَالَ هِيَ رَاوَدَتْنِي عَنْ نَفْسِي وَشَهِدَ شَاهِدٌ مِنْ أَهْلِهَا إِنْ كَانَ قَمِيصُهُ قُدَّ مِنْ قُبُلٍ فَصَدَقَتْ وَهُوَ مِنَ الْكَاذِبِينَ12.26
আরবি উচ্চারণ ১২.২৬। ক্ব-লা হিয়া রা-অদাত্নী ‘আন্ নাফ্সী অ শাহিদা শা-হিদুম্ মিন্ আহ্লিহা- ইন্ কা-না ক্বমীছুহূ ক্বুদ্দা মিন্ ক্বুবুলিন্ ফাছদাক্বত্ অ হুওয়া মিনা ল্কা-যিবীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.২৬ সে বলল, ‘সে-ই আমাকে কুপ্ররোচনা দিয়েছে’। আর মহিলার পরিবার থেকে এক সাক্ষ্যদাতা সাক্ষ্য প্রদান করল, ‘যদি তার জামা সামনের দিক থেকে ছেঁড়া হয় তাহলে সে (মহিলা) সত্য বলেছে এবং সে (পুরুষ) মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত’।
وَإِنْ كَانَ قَمِيصُهُ قُدَّ مِنْ دُبُرٍ فَكَذَبَتْ وَهُوَ مِنَ الصَّادِقِينَ12.27
আরবি উচ্চারণ ১২.২৭। অইন্ কা-না ক্বামীছুহূ ক্বুদ্দা মিন্ দুবুরিন্ ফাকাযাবাত্ অ হুওয়া মিনাছ্ ছোয়া-দিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.২৭ ‘আর তার জামা যদি পেছন থেকে ছেঁড়া হয় তাহলে সে (মহিলা) মিথ্যা বলেছে এবং সে (পুরুষ) হচ্ছে সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত’।
فَلَمَّا رَأَى قَمِيصَهُ قُدَّ مِنْ دُبُرٍ قَالَ إِنَّهُ مِنْ كَيْدِكُنَّ إِنَّ كَيْدَكُنَّ عَظِيمٌ12.28
আরবি উচ্চারণ ১২.২৮। ফালাম্মা-রায়া-ক্বমীছোয়াহূ ক্বুদ্দা মিন্ দুবুরিন্ ক্ব-লা ইন্নাহূ মিন্ কাইদিকুন্; ইন্না কাইদাকুন্না ‘আজীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.২৮ অতঃপর যখন সে দেখল, তার জামা পেছন থেকে ছেঁড়া তখন বলল, ‘নিশ্চয় এটি তোমাদের ষড়যন্ত্র। নিশ্চয় তোমাদের ষড়যন্ত্র ভয়ানক’।
يُوسُفُ أَعْرِضْ عَنْ هَذَا وَاسْتَغْفِرِي لِذَنْبِكِ إِنَّكِ كُنْتِ مِنَ الْخَاطِئِينَ12.29
আরবি উচ্চারণ ১২.২৯। ইয়ূসুফু আ’রিদ্ব্ ‘আন্ হাযা-অস্তাগ্ফিরী লিযাম্বিকি, ইন্নাকি কুন্তি মিনাল্ খ-ত্বিয়ীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.২৯ ‘ইউসুফ, তুমি এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাও, আর (হে নারী) তুমি তোমার পাপের জন্য ইস্তেগফার কর। নিশ্চয় তুমিই পাপীদের অন্তর্ভূক্ত’।
وَقَالَ نِسْوَةٌ فِي الْمَدِينَةِ امْرَأَةُ الْعَزِيزِ تُرَاوِدُ فَتَاهَا عَنْ نَفْسِهِ قَدْ شَغَفَهَا حُبًّا إِنَّا لَنَرَاهَا فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ12.30
আরবি উচ্চারণ ১২.৩০। অ ক্ব-লা নিস্অতুন্ ফিল্ মাদীনাতিম্ রয়াতুল্ ‘আযীযি তুরা-ওয়িদু ফাতাহা-‘আন্ নাফ্সিহী, ক্বদ্ শাগফাহা-হুব্বা-; ইন্না-লানারা-হা ফী দ্বোয়ালা-লিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৩০ আর নগরীতে মহিলারা বলাবলি করল, ‘আযীয পতœী স্বীয় যুবককে কুপ্ররোচনা দিচ্ছে। (যুবকের প্রতি) গভীর প্রেম তাকে আসক্ত করে ফেলেছে, নিশ্চয় আমরা তাকে প্রকাশ্য ভ্রান্তিতে দেখতে পাচ্ছি’।
فَلَمَّا سَمِعَتْ بِمَكْرِهِنَّ أَرْسَلَتْ إِلَيْهِنَّ وَأَعْتَدَتْ لَهُنَّ مُتَّكَأً وَآتَتْ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ سِكِّينًا وَقَالَتِ اخْرُجْ عَلَيْهِنَّ فَلَمَّا رَأَيْنَهُ أَكْبَرْنَهُ وَقَطَّعْنَ أَيْدِيَهُنَّ وَقُلْنَ حَاشَ لِلَّهِ مَا هَذَا بَشَرًا إِنْ هَذَا إِلَّا مَلَكٌ كَرِيمٌ 12.31
আরবি উচ্চারণ ১২.৩১। ফালাম্মা-সামি‘আত্ বিমাক্রিহিন্না আরসালাত্ ইলাইহিন্না অ আ’তাদাত্ লাহুন্না মুত্তাকায়াঁও অআ-তাত্ কুল্লা ওয়া-হিদাতিম্ মিন্হুন্না সিক্কীনাঁও অক্ব-লাতিখ্রুজ্ব্ ‘আলাইহিন্না ফালাম্মা- রায়াইনাহূ য় আর্ক্বানাহূ অক্বাত্ত্বোয়া’না আইদিয়াহুন্না অক্বুল্না হা-শা লিল্লা-হি মা- হাযা- বাশারা-; ইন্ হাযা য় ইল্লা-মালাকুন্ কারীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৩১ অতঃপর যখন সে তাদের কূটকৌশলের কথা শুনতে পেল, তখন তাদেরকে ডেকে পাঠাল এবং তাদের জন্য আসন প্রস্তুত করল, আর তাদের প্রত্যেককে একটি করে ছুরি প্রদান করল এবং ইউসুফকে বলল, ‘তাদের সামনে বেরিয়ে আস’। অতঃপর তারা যখন তাকে দেখল, তখন তাকে বিশাল সৌন্দর্যের অধিকারী মনে করল এবং তারা নিজদের হাত কেটে ফেলল আর বলল, ‘মহিমা আল্লাহর, এতো মানুষ নয়। এ তো এক সম্মানিত ফেরেশতা’।
قَالَتْ فَذَلِكُنَّ الَّذِي لُمْتُنَّنِي فِيهِ وَلَقَدْ رَاوَدْتُهُ عَنْ نَفْسِهِ فَاسْتَعْصَمَ وَلَئِنْ لَمْ يَفْعَلْ مَا آمُرُهُ لَيُسْجَنَنَّ وَلَيَكُونَنْ مِنَ الصَّاغِرِينَ12.32
আরবি উচ্চারণ ১২.৩২। ক্ব-লাত্ ফাযা-লিকুন্নাল্লাযী লুম্তুন্নানী ফীহ্; অলাক্বদ্ রা-অত্তুহূ ‘আন্ নাফ্সিহী ফাস্তা’ছোয়াম্; অলায়িল্লাম্ ইয়াফ্‘আল্ মা য় আ-মুরুহূ লাইয়ুস্জ্বানান্না অলাইয়াকূনাম্ মিনাছ্ ছোয়া-গিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৩২ সে বলল, ‘এ-ই সে, যার ব্যাপারে তোমরা আমাকে ভর্ৎসনা করেছিলে। আর আমিই তাকে কুপ্ররোচনা দিয়েছি; কিন্তু সে বিরত থেকেছে এবং আমি তাকে যা আদেশ করছি সে যদি তা না করে তবে অবশ্যই সে কারারুদ্ধ হবে এবং নিশ্চয় সে অপদস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।
قَالَ رَبِّ السِّجْنُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا يَدْعُونَنِي إِلَيْهِ وَإِلَّا تَصْرِفْ عَنِّي كَيْدَهُنَّ أَصْبُ إِلَيْهِنَّ وَأَكُنْ مِنَ الْجَاهِلِينَ12.33
আরবি উচ্চারণ ১২.৩৩। ক্ব-লা রব্বিস্ সিজ্বনু আহাব্বু ইলাইয়্যা মিম্মা- ইয়াদ্‘ঊনানী য় ইলাইহি অইল্লা-তাছ্রিফ্ ‘আন্নী কাইদাহুন্না আছ্বু ইলাইহিন্না অআকুম্মিনাল্ জ্বা-হিলীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৩৩ সে (ইউসুফ) বলল, ‘হে আমার রব, তারা আমাকে যে কাজের প্রতি আহ্বান করছে তা থেকে কারাগারই আমার নিকট অধিক প্রিয়। আর যদি আপনি আমার থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিহত না করেন তবে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং আমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হব’।
فَاسْتَجَابَ لَهُ رَبُّهُ فَصَرَفَ عَنْهُ كَيْدَهُنَّ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ12.34
আরবি উচ্চারণ ১২.৩৪। ফাস্তাজ্বা-বা লাহূ রব্বুহূ ফাছোয়ারাফা ‘আন্হু কাইদাহুন্;ইন্নাহূ হুঅস্ সামী‘ঊল্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৩৪ অতঃপর তার রব তার আহ্বানে সাড়া দিলেন এবং তার থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিহত করলেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
ثُمَّ بَدَا لَهُمْ مِنْ بَعْدِ مَا رَأَوُا الْآيَاتِ لَيَسْجُنُنَّهُ حَتَّى حِينٍ 12.35
আরবি উচ্চারণ ১২.৩৫। ছুম্মা বাদা-লাহুম্ মিম্ বা’দি মা-রায়ায়ুল্ আ-ইয়া-তি লাইয়াস্জ্বনুন্নাহূ- হাত্তা- হীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৩৫ তারপর নিদর্শনসমূহ দেখার পরে তাদের কাছে স্পষ্ট হল, কিছু কাল পর্যন্ত অবশ্যই তারা তাকে কারারুদ্ধ করে রাখবে।
وَدَخَلَ مَعَهُ السِّجْنَ فَتَيَانِ قَالَ أَحَدُهُمَا إِنِّي أَرَانِي أَعْصِرُ خَمْرًا وَقَالَ الْآخَرُ إِنِّي أَرَانِي أَحْمِلُ فَوْقَ رَأْسِي خُبْزًا تَأْكُلُ الطَّيْرُ مِنْهُ نَبِّئْنَا بِتَأْوِيلِهِ إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ12.36
আরবি উচ্চারণ ১২.৩৬। অদাখালা মা‘আহুস্ সিজ্বনা ফাতাইয়া-ন্; ক্ব-লা আহাদুহুমা য় ইন্নী য় আরনী য় আ’ছিরু খম্রা-’অক্ব-লাল্ আ-খরু ইন্নী য় আরানী য় আহ্মিলু ফাওক্বা রাছী খুব্যান্ তাকুলুত্ব ত্বোয়াইরু মিন্হু; নাব্বিনা- বিতাওয়ীলিহী ইন্না- নারা-কা মিনাল্ মুহ্সিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৩৬ আর কারাগারে তার সাথে প্রবেশ করল দু’জন যুবক। তাদের একজন বলল, ‘আমি স্বপ্নে আমাকে দেখতে পেলাম যে, আমি মদ নিংড়াচ্ছি’। আর অপর জন বলল, ‘আমি স্বপ্নে আমাকে দেখেছি যে, আমি আমার মাথার উপর রুটি বহন করছি তা থেকে পাখি খাচ্ছে। আপনি আমাদেরকে এর ব্যাখ্যা অবহিত করুন। নিশ্চয় আমরা আপনাকে ইহসানকারীদের অন্তর্ভুক্ত দেখতে পাচ্ছি’।
قَالَ لَا يَأْتِيكُمَا طَعَامٌ تُرْزَقَانِهِ إِلَّا نَبَّأْتُكُمَا بِتَأْوِيلِهِ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَكُمَا ذَلِكُمَا مِمَّا عَلَّمَنِي رَبِّي إِنِّي تَرَكْتُ مِلَّةَ قَوْمٍ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَهُمْ بِالْآخِرَةِ هُمْ كَافِرُونَ12.37
আরবি উচ্চারণ ১২.৩৭। ক্ব-লা লা- ইয়াতীকুমা- ত্বোয়া‘আ- মুন্ র্তুযাক্ব-নিহী য় ইল্লা-নাব্বা তুকুমা-বিতাওয়ীলিহী ক্বব্লা আইঁ ইয়াতিয়াকুমা-; যা-লিকুমা-মিম্মা-‘আল্লামানী রব্বী; ইন্নী তারাক্তু মিল্লাতা ক্বওমিল্ লা- ইয়ুমিনূনা বিল্লা-হি অহুম্ বিল্ আ-খিরতিহুম্ কা-ফিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৩৭ সে বলল, ‘তোমাদেরকে যে খাদ্য দেয়া হয় তা তোমাদের কাছে আসার পূর্বেই আমি তোমাদেরকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানিয়ে দেব। সেটি এমন জ্ঞান থেকেই বলব যা আমার রব আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আমি পরিত্যাগ করেছি সে কওমের ধর্ম যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না এবং যারা আখিরাতকে অস্বীকারকারী’।
وَاتَّبَعْتُ مِلَّةَ آبَائِي إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ مَا كَانَ لَنَا أَنْ نُشْرِكَ بِاللَّهِ مِنْ شَيْءٍ ذَلِكَ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ عَلَيْنَا وَعَلَى النَّاسِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ12.38
আরবি উচ্চারণ ১২.৩৮। অত্তাবা’তু মিল্লাতা আ-বা – য়ী য় ইব্রা-হীমা অ ইস্হা-ক্বা অইয়া’ক্বুব্; মা- কা-না লানা য় আন্ নুশ্রিকা বিল্লা-হি মিন্ শাইয়িন্ যা-লিকা মিন্ ফাদ্ব্লিল্লা-হি ‘আলাইনা- অ‘আলান্না-সি অলা-কিন্না আক্ছারান্না-সি লা- ইয়াশ্কুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৩৮ ‘আর আমি অনুসরণ করেছি আমার পিতৃপুরুষ ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকূবের ধর্ম। আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করা আমাদের জন্য সঙ্গত নয়। এটি আমাদের ও সকল মানুষের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না’।
يَا صَاحِبَيِ السِّجْنِ أَأَرْبَابٌ مُتَفَرِّقُونَ خَيْرٌ أَمِ اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ12.39
আরবি উচ্চারণ ১২.৩৯। ইয়া-ছোয়া-হিবায়িস্ সিজ্বনি আ র্আবা-বুম্ মুতার্ফারিক্বুনা খাইরুন্ আমিল্লা-হুল্ওয়া-হিদুল্ ক্বহ্হার্-।
বাংলা অনুবাদ ১২.৩৯ হে আমার কারা সঙ্গীদ্বয়, বহু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন রব ভাল নাকি মহাপরাক্রমশালী এক আল্লাহ’?
مَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِهِ إِلَّا أَسْمَاءً سَمَّيْتُمُوهَا أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ بِهَا مِنْ سُلْطَانٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ أَمَرَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ 12.40
আরবি উচ্চারণ ১২.৪০। মা-তা’বুদূনা মিন্ দুনিহী য় ইল্লা য় আস্মা – য়ান সাম্মাইতুমূ হা য় আন্তুম্ অ আ-বা – য়ুকুম্ মা য় আন্যালা ল্লা-হু বিহা-মিন্ সুল্ত্বোয়া-ন্; ইনিল্ হুক্মু ইল্লা-লিল্লা-হ্; আমারা আল্লা-তা’বুদূ য় ইল্লা য় ইয়্যা-হু; যা-লিকাদ্দীনু ল্ক্বাইয়্যিমু অলা-কিন্না আক্ছারান্ না-সি লা-ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৪০ ‘তোমরা তাঁকে বাদ দিয়ে নিছক কতগুলো নামের ইবাদাত করছ, যাদের নামকরণ তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষরা করেছ, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ প্রমাণ নাযিল করেননি। বিধান একমাত্র আল্লাহরই। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, ‘তাঁকে ছাড়া আর করো ইবাদাত করো না’। এটিই সঠিক দীন, কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না’।
يَا صَاحِبَيِ السِّجْنِ أَمَّا أَحَدُكُمَا فَيَسْقِي رَبَّهُ خَمْرًا وَأَمَّا الْآخَرُ فَيُصْلَبُ فَتَأْكُلُ الطَّيْرُ مِنْ رَأْسِهِ قُضِيَ الْأَمْرُ الَّذِي فِيهِ تَسْتَفْتِيَانِ12.41
আরবি উচ্চারণ ১২.৪১। ইয়া-ছোয়া-হিবায়িস্ সিজ্বনি আম্মা য় আহাদুকুমা- ফাইয়াস্ক্বী রব্বাহূ খাম্রান্ অ আম্মাল্ আ-খারু ফাইয়ুছ্লাবু ফাতাকুলুত্বত্বোয়াইরু র্মি রসিহী-ক্বুদ্বিয়াল্ আম্রুল্লাযী ফীহি তাস্তাফ্তিয়া-ন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৪১ ‘হে আমার কারা সঙ্গীদ্বয়, তোমাদের একজন স্বীয় মনিবকে মদপান করাবে। আর অন্যজনকে শূলে চড়ানো হবে, অতঃপর পাখি তার মাথা থেকে আহার করবে। যে বিষয়ে তোমরা জানতে চাচ্ছ তার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।
وَقَالَ لِلَّذِي ظَنَّ أَنَّهُ نَاجٍ مِنْهُمَا اذْكُرْنِي عِنْدَ رَبِّكَ فَأَنْسَاهُ الشَّيْطَانُ ذِكْرَ رَبِّهِ فَلَبِثَ فِي السِّجْنِ بِضْعَ سِنِينَ12.42
আরবি উচ্চারণ ১২.৪২। অক্ব-লা লিল্লাযী জোয়ান্না আন্নাহূ না-জ্বিম্ মিন্হুমায্ র্কুনী ‘ইন্দা রব্বিকা ফাআন্সা-হুশ্ শাইত্বোয়া-নু যিক্র রব্বিহী ফালাবিছা ফিস্ সিজ্বনি বিদ্ব ‘আ সিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৪২ আর তাদের দু’জনের মধ্যে যে মুক্তি পাবে বলে সে ধারণা করল তাকে বলল, ‘তোমার মনিবের কাছে আমার কথা উল্লেখ করবে’। কিন্তু শয়তান তাকে স্বীয় মনিবের নিকট উল্লেখ করার বিষয়টি ভুলিয়ে দিল। ফলে সে কয়েক বছর কারাগারে অবস্থান করল।
وَقَالَ الْمَلِكُ إِنِّي أَرَى سَبْعَ بَقَرَاتٍ سِمَانٍ يَأْكُلُهُنَّ سَبْعٌ عِجَافٌ وَسَبْعَ سُنْبُلَاتٍ خُضْرٍ وَأُخَرَ يَابِسَاتٍ يَا أَيُّهَا الْمَلَأُ أَفْتُونِي فِي رُؤْيَايَ إِنْ كُنْتُمْ لِلرُّؤْيَا تَعْبُرُونَ12.43
আরবি উচ্চারণ ১২.৪৩। অক্ব-লাল্ মালিকু ইন্নী য় আরা- সাব্‘আ বাক্বারা-তিন্ সিমা-নিইঁ ইয়াকুলুহুন্না সাব্‘উন্ ‘ইজ্বাফুঁও অ সাব্‘আ সুম্বুলাতিন্ খুদ্ব্রিঁও অ উখর ইয়া-বিসা-ত্; ইয়া য় আইয়্যুহাল্ মালায়ু আফ্তূনী ফী রুইয়া-ইয়া ইন্ কুন্তুম্ লিররুইয়া-তাবুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৪৩ আর বাদশাহ বলল, ‘আমি স্বপ্নে দেখছি, সাতটি মোটা তাজা গাভী, তাদের খেয়ে ফেলছে সাতটি ক্ষীণকায় গাভী এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অপর সাতটি শুষ্ক। হে পারিষদবর্গ, তোমরা আমাকে আমার স্বপ্ন সম্বন্ধে ব্যাখ্যা দাও যদি তোমরা স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে থাক’।
قَالُوا أَضْغَاثُ أَحْلَامٍ وَمَا نَحْنُ بِتَأْوِيلِ الْأَحْلَامِ بِعَالِمِينَ12.44
আরবি উচ্চারণ ১২.৪৪। ক্ব-লূ য় আদ্ব্গ-ছু আহ্লা-মিন্ অমা- নাহ্নু বিতাওয়ীলিল্ আহ্লা-মি বি‘আ-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৪৪ তারা বলল, ‘এটি এলোমেলো অলীক স্বপ্ন। আর আমরা এরূপ স্বপ্ন ব্যাখ্যায় জ্ঞানী নই’।
وَقَالَ الَّذِي نَجَا مِنْهُمَا وَادَّكَرَ بَعْدَ أُمَّةٍ أَنَا أُنَبِّئُكُمْ بِتَأْوِيلِهِ فَأَرْسِلُونِي12.45
আরবি উচ্চারণ ১২.৪৫। অক্ব-লাল্লাযী নাজ্বা-মিন্হুমা- অদ্দাকারা বা’দা উম্মাতিন্ আনা উনাব্বিয়ুকুম্ বিতাওয়ীলিহী ফার্আসিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৪৫ আর সে দু’জনের মধ্যে যে মুক্তি পেয়েছিল, সে বলল এবং দীর্ঘ দিন পর তার স্মরণ হল, ‘আমি তোমাদেরকে এর ব্যাখ্যা জানিয়ে দিচ্ছি, অতএব তোমরা আমাকে পাঠিয়ে দাও’।
يُوسُفُ أَيُّهَا الصِّدِّيقُ أَفْتِنَا فِي سَبْعِ بَقَرَاتٍ سِمَانٍ يَأْكُلُهُنَّ سَبْعٌ عِجَافٌ وَسَبْعِ سُنْبُلَاتٍ خُضْرٍ وَأُخَرَ يَابِسَاتٍ لَعَلِّي أَرْجِعُ إِلَى النَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَعْلَمُونَ 12.46
আরবি উচ্চারণ ১২.৪৬। ইয়ূসুফু আইয়্যুহাছ্ ছিদ্দীক্বু আফ্তিনা- ফী সাব‘ঈ বাক্বারা-তিন্ সিমা-নিঁ ইয়াকুলুহুন্না সাব‘ঊন্ ‘ইজ্বা-ফুঁও অসাব্‘ঈ ‘সুম্বুলা-তিন্ খুদ্ব্রিঁও অউখর ইয়া-বিসা-তি ল্লা‘আল্লী য় র্আজি‘উ ইলান্না-সি লা‘আল্লাহুম্ ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৪৬ ‘হে ইউসুফ, হে সত্যবাদী, আপনি আমাদের ব্যাখ্যা দিন, সাতটি মোটা তাজা গাভী সম্বন্ধে, যাদের খাচ্ছে সাতটি ক্ষীণকায় গাভী এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অপর সাতটি শুষ্ক শীষ সম্পর্কে, যাতে আমি লোকদের কাছে ফিরে যেতে পারি যেন তারা জানতে পারে’।
قَالَ تَزْرَعُونَ سَبْعَ سِنِينَ دَأَبًا فَمَا حَصَدْتُمْ فَذَرُوهُ فِي سُنْبُلِهِ إِلَّا قَلِيلًا مِمَّا تَأْكُلُونَ12.47
আরবি উচ্চারণ ১২.৪৭। ক্ব-লা তায্রা‘ঊনা সাব্‘আ সিনীনা দায়াবান্ ফামা-হাছোয়াত্তুম্ ফাযারূহু ফী সুম্বুলিহী য় ইল্লা-ক্বালীলাম্ মিম্মা-তাকুলূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৪৭ সে বলল, ‘তোমরা সাত বছর একাধারে চাষাবাদ করবে অতঃপর যে শস্য কেটে ঘরে তুলবে তার মধ্য থেকে যে সামান্য পরিমাণ খাবে সেগুলো ছাড়া সব শীষের মধ্যে রেখে দেবে’।
ثُمَّ يَأْتِي مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ سَبْعٌ شِدَادٌ يَأْكُلْنَ مَا قَدَّمْتُمْ لَهُنَّ إِلَّا قَلِيلًا مِمَّا تُحْصِنُونَ12.48
আরবি উচ্চারণ ১২.৪৮। ছুম্মা ইয়াতী মিম্ বা’দি যা-লিকা সাব্‘উন্ শিদা-দুইঁ ইয়া’কুল্না মা-ক্বদ্দাম্তুম্ লাহুন্না ইল্লা-ক্বলীলাম্ মিম্মা-তুহ্ছিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৪৮ ‘তারপর আসবে সাতটি কঠিন বছর। এর জন্য তোমরা পূর্বে যা সঞ্চয় করে রেখে দেবে এরা (ঐ সময়ের লোকেরা) সেগুলো খেয়ে ফেলবে, সামান্য কিছু ছাড়া যা তোমরা সংরক্ষণ করে রাখবে’।
ثُمَّ يَأْتِي مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ عَامٌ فِيهِ يُغَاثُ النَّاسُ وَفِيهِ يَعْصِرُونَ12.49
আরবি উচ্চারণ ১২.৪৯। ছুম্মা ইয়াতী মিম্ বা’দি যা-লিকা ‘আ-মুন্ ফীহি ইয়ুগ-ছুন্ না-সু অ ফীহি ইয়া’ছিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৪৯ ‘এরপর আসবে এমন এক বছর যাতে মানুষ বৃষ্টি সিক্ত হবে এবং যাতে তারা (ফলের ও যয়তুনের) রস নিংড়াবে’।
وَقَالَ الْمَلِكُ ائْتُونِي بِهِ فَلَمَّا جَاءَهُ الرَّسُولُ قَالَ ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ مَا بَالُ النِّسْوَةِ اللَّاتِي قَطَّعْنَ أَيْدِيَهُنَّ إِنَّ رَبِّي بِكَيْدِهِنَّ عَلِيمٌ12.50
আরবি উচ্চারণ ১২.৫০। অ ক্ব-লাল্ মালিকুতূনী বিহী ফালাম্মা-জ্বা – য়ার্হু রাসূলু ক্ব-র্লা জ্বি’ ইলা-রব্বিকা ফাস্য়াল্হু মা- বা-লুন্ নিস্অতিল্ লাতী কাত্ত্বোয়া’না আইদিয়াহুন্না; ইন্না রব্বী বিকাইদিহিন্না ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৫০ আর বাদশাহ বলল, ‘তোমরা তাকে আমার কাছে নিয়ে আস’। অতঃপর যখন দূত তার কাছে আসল তখন, সে বলল, তুমি তোমার মনিবের নিকট ফিরে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা কর, যে সব মহিলা নিজ নিজ হাত কেটে ফেলেছিল তাদের অবস্থা কী? নিশ্চয় আমার রব তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত’।
قَالَ مَا خَطْبُكُنَّ إِذْ رَاوَدْتُنَّ يُوسُفَ عَنْ نَفْسِهِ قُلْنَ حَاشَ لِلَّهِ مَا عَلِمْنَا عَلَيْهِ مِنْ سُوءٍ قَالَتِ امْرَأَةُ الْعَزِيزِ الْآنَ حَصْحَصَ الْحَقُّ أَنَا رَاوَدْتُهُ عَنْ نَفْسِهِ وَإِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ12.51
আরবি উচ্চারণ ১২.৫১। ক্ব-লা মা- খাত্ববুকুন্না ইয্ রা-ওয়াত্তুন্না ইয়ূসুফা ‘আন্ নাফ্সিহী; ক্বুল্না হা-শা লিল্লা-হি মা-‘আলিম্না-‘আলাইহি মিন্ সূ – য়িন্; ক্ব-লাতিম্ রায়াতুল্ ‘আযীযিল্ আ-না হাছ্হাছোয়াল্ হাক্ব্ক্ব ু আনা র-ওয়াত্তুহূ আন্ নাফ্সিহী অইন্নাহূ লামিনাছ্ ছোয়া-দিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৫১ বাদশাহ বলল, ‘তোমরা যখন ইউসুফকে কুপ্ররোচনা দিয়েছিলে তখন তোমাদের কী হয়েছিল’? তারা বলল, ‘মহিমা আল্লাহর! আমরা তার ব্যাপারে খারাপ কিছু জানি না’। আযীয পত্নী বলল, ‘এখন সত্য প্রকাশ পেয়েছে, আমিই তাকে কুপ্ররোচনা দিয়েছি। আর নিশ্চয় সে সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত’।
ذَلِكَ لِيَعْلَمَ أَنِّي لَمْ أَخُنْهُ بِالْغَيْبِ وَأَنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي كَيْدَ الْخَائِنِينَ12.52
আরবি উচ্চারণ ১২.৫২। যা-লিকা লিইয়া’লামা আন্নী লাম্ আখুন্হু বিল্গইবি অ আন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহ্দী কাইদাল্ খ – য়িনীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৫২ এটি এ জন্য যে, যাতে সে জানতে পারে , আমি তার অনুপস্থিতিতে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। আর আল্লাহ অবশ্যই বিশ্বাসঘাতকদের চক্রান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে দেন না।
وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَحِيمٌ12.53
আরবি উচ্চারণ ১২.৫৩। অমা য় উর্বারিয়ু নাফ্সী ইন্নান্ নাফ্সা লাআম্মা-রতুম্ বিস্সূ – য়ি ইল্লা-মা-রহিমা রব্বী ; ইন্না রব্বী গফূর্রু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৫৩ ‘আর আমি আমার নাফ্সকে পবিত্র মনে করি না, নিশ্চয় নাফ্স মন্দ কজের নির্দেশ দিয়ে থাকে, আমার রব যাকে দয়া করেন সে ছাড়া। নিশ্চয় আমার রব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
وَقَالَ الْمَلِكُ ائْتُونِي بِهِ أَسْتَخْلِصْهُ لِنَفْسِي فَلَمَّا كَلَّمَهُ قَالَ إِنَّكَ الْيَوْمَ لَدَيْنَا مَكِينٌ أَمِينٌ 12.54
আরবি উচ্চারণ ১২.৫৪। অক্ব-লাল্ মালিকু’তূ নী বিহী য় আস্তাখ্লিছ্হু লিনাফ্সী ফালাম্মা-কাল্লামাহূ ক্ব-লা ইন্নাকাল্ ইয়াওমা লাদাইনা-মাকীনুন্ আমীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৫৪ আর বাদশাহ বলল, ‘তোমরা তাকে আমার নিকট নিয়ে আস, আমি তাকে নিজের জন্য আপন করে নেব’। অতঃপর যখন সে তার সাথে কথা বলল, তখন বলল, ‘নিশ্চয় আজ তুমি আমাদের নিকট মর্যাদাবান ও আস্থাভাজন’।
قَالَ اجْعَلْنِي عَلَى خَزَائِنِ الْأَرْضِ إِنِّي حَفِيظٌ عَلِيمٌ12.55
আরবি উচ্চারণ ১২.৫৫। ক্ব-লা জ‘আল্নী ‘আলা-খযা-য়িনিল্ র্আদ্বি ইন্নী হাফীজুন্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৫৫ সে বলল, ‘আমাকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের দায়িত্ব দিন, নিশ্চয় আমি যথাযথ হেফাযতকারী, সুবিজ্ঞ’।
وَكَذَلِكَ مَكَّنَّا لِيُوسُفَ فِي الْأَرْضِ يَتَبَوَّأُ مِنْهَا حَيْثُ يَشَاءُ نُصِيبُ بِرَحْمَتِنَا مَنْ نَشَاءُ وَلَا نُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ12.56
আরবি উচ্চারণ ১২.৫৬। অকাযা-লিকা মাক্কান্না- লিইয়ূসুফা ফিল্ র্আদ্বি; ইয়াতাবাঅয়ু মিন্হা- হাইছু ইয়াশা – য়্; নুছীবু বিরহ্মাতিনা- মান্ নাশা – য়ু অলা-নুদ্বী‘উ আজ্বরল্ মুহ্সিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৫৬ আর এমনিভাবে আমি ইউসুফকে যমীনে কর্তৃত্ব প্রদান করেছি, সে তার যেখানে ইচ্ছা অবস্থান করতে পারত। আমি যাকে ইচ্ছা স্বীয় রহমত দান করি, আর আমি সৎকর্মশীলদের প্রতিদান বিনষ্ট করি না।
وَلَأَجْرُ الْآخِرَةِ خَيْرٌ لِلَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ12.57
আরবি উচ্চারণ ১২.৫৭। অলা আজ্বরুল্ আ-খিরতি খইরুল্ লিল্লাযীনা আ-মানূ অকা-নূ ইয়াত্তাক্বুন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৫৭ আর যারা ঈমান আনে ও তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য আখিরাতের প্রতিদানই উত্তম।
وَجَاءَ إِخْوَةُ يُوسُفَ فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فَعَرَفَهُمْ وَهُمْ لَهُ مُنْكِرُونَ12.58
আরবি উচ্চারণ ১২.৫৮। অজ্বা – য়া ইখ্ওয়াতু ইউসুফা ফাদাখলূ ‘আলাইহি ফা‘আরফাহুম্ অহুম্ লাহূ মুন্কিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৫৮ আর ইউসুফের ভাইয়েরা আসল এবং তার কাছে প্রবেশ করল। অতঃপর সে তাদেরকে চিনল, অথচ তারা তাকে চিনতে পারল না।
وَلَمَّا جَهَّزَهُمْ بِجَهَازِهِمْ قَالَ ائْتُونِي بِأَخٍ لَكُمْ مِنْ أَبِيكُمْ أَلَا تَرَوْنَ أَنِّي أُوفِي الْكَيْلَ وَأَنَا خَيْرُ الْمُنْزِلِينَ 12.59
আরবি উচ্চারণ ১২.৫৯। অলাম্মা-জ্বাহ্হাযা হুম্ বিজ্বাহা-যিহিম্ ক্বা-লাতূনী বিআখিল্লাকুম্ মিন্ আবীকুম্ আলা-তারাওনা আন্নী য় ঊফিল্ কাইলা অআনা খইরুল্ মুন্যিলীন।
বাংলা অনুবাদ ১২.৫৯ আর সে যখন তাদেরকে তাদের রসদসামগ্রী প্রস্তুত করে দিল, তখন বলল, ‘তোমরা তোমাদের পিতার পক্ষ হতে তোমাদের এক ভাইকে আমার কাছে নিয়ে আস, তোমরা কি দেখ না, আমি পরিমাপে পূর্ণমাত্রায় দেই এবং আমি উত্তম অতিথিপরায়ণ?
فَإِنْ لَمْ تَأْتُونِي بِهِ فَلَا كَيْلَ لَكُمْ عِنْدِي وَلَا تَقْرَبُونِ12.60
আরবি উচ্চারণ ১২.৬০। ফাইল্লাম্ তাতূনী বিহী ফালা- কাইলালাকুম্ ‘ইন্দী অলা-তাক্বুরাবূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৬০ আর যদি তোমরা তাকে নিয়ে না আস, তাহলে আমার নিকট তোমাদের জন্য কোন পরিমাপকৃত (রসদ) নেই এবং তোমরা আমার নিকটবর্তীও হয়ো না’।
قَالُوا سَنُرَاوِدُ عَنْهُ أَبَاهُ وَإِنَّا لَفَاعِلُونَ12.61
আরবি উচ্চারণ ১২.৬১। ক্ব-লূ সানুরা-ওয়িদু ‘আন্হু আবা-হু অইন্না- লাফা-‘ইলূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৬১ তারা বলল, ‘তার বিষয়ে আমরা তার পিতাকে রাজি করাব, আর এটি আমরা করবই’।
وَقَالَ لِفِتْيَانِهِ اجْعَلُوا بِضَاعَتَهُمْ فِي رِحَالِهِمْ لَعَلَّهُمْ يَعْرِفُونَهَا إِذَا انْقَلَبُوا إِلَى أَهْلِهِمْ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ12.62
আরবি উচ্চারণ ১২.৬২। অক্ব-লা লিফিত্ইয়া-নিহিজ্ব ‘আলূ- বিদ্বোয়া-‘আতাহুম্ ফী রিহা-লিহিম্ লা‘আল্লাহুম্ ইয়া’রিফূনাহা য় ইযান্ ক্বলাবূয় ইলা য় আহ্লিহিম্ লা‘আল্লাহুম্ ইর্য়াজ্বি‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৬২ আর সে তার যুবক কর্মচারীদেরকে বলল, ‘তাদের পণ্যমূল্য তাদের মালপত্রের মধ্যে রেখে দাও, যাতে পরিবারের নিকট ফিরে গিয়ে তারা তা চিনতে পারে। আশা করি তারা ফিরে আসবে’।
فَلَمَّا رَجَعُوا إِلَى أَبِيهِمْ قَالُوا يَا أَبَانَا مُنِعَ مِنَّا الْكَيْلُ فَأَرْسِلْ مَعَنَا أَخَانَا نَكْتَلْ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ12.63
আরবি উচ্চারণ ১২.৬৩। ফালাম্মা- রাজ্বা‘ঊয় ইলা য় আবীহিম্ ক্ব-লূ ইয়া য় আবা-না- মুনি‘আ মিন্নাল্ কাইলু ফার্আসিল্ মা‘আনা য় আখা-না-নাক্তাল্ অইন্না-লাহূ লাহাফিজূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৬৩ অতঃপর যখন তারা তাদের বাবার কাছে ফিরে আসল, তখন বলল, ‘হে আমাদের পিতা, আমাদের জন্য পরিমাপকৃত রসদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অতএব আমাদের সাথে আমাদের ভাইকে পাঠান, যেন আমরা পরিমাপ করে রসদ আনতে পারি। আর অবশ্যই আমরা তার হেফাযত করব’।
قَالَ هَلْ آمَنُكُمْ عَلَيْهِ إِلَّا كَمَا أَمِنْتُكُمْ عَلَى أَخِيهِ مِنْ قَبْلُ فَاللَّهُ خَيْرٌ حَافِظًا وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ12.64
আরবি উচ্চারণ ১২.৬৪। ক্ব-লা হাল্ আ-মানুকুম্ ‘আলাইহি ইল্লা-কামা য় আমিন্তুকুম্ ‘আলা য় আখীহি মিন্ ক্বব্লু; ফাল্লা-হু খইরুন্ হা-ফিজোয়াঁও অহুঅ র্আহার্মু র-হিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৬৪ সে বলল, ‘তোমাদেরকে কি আমি তার ব্যাপারে নিরাপদ মনে করব, যেমন নিরাপদ মনে করেছিলাম ইতঃপূর্বে তার ভাইয়ের ব্যাপারে? তবে আল্লাহ উত্তম হেফাযতকারী এবং তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু’।
وَلَمَّا فَتَحُوا مَتَاعَهُمْ وَجَدُوا بِضَاعَتَهُمْ رُدَّتْ إِلَيْهِمْ قَالُوا يَا أَبَانَا مَا نَبْغِي هَذِهِ بِضَاعَتُنَا رُدَّتْ إِلَيْنَا وَنَمِيرُ أَهْلَنَا وَنَحْفَظُ أَخَانَا وَنَزْدَادُ كَيْلَ بَعِيرٍ ذَلِكَ كَيْلٌ يَسِيرٌ12.65
আরবি উচ্চারণ ১২.৬৫। অলাম্মা- ফাতাহূ মাতা-‘আহুম্ অজ্বাদূ বিদ্বোয়া-‘আতাহুম্ রুদ্দাত্ ইলাইহিম্; ক্ব-লূ ইয়া য় আ-বা-না-মা-নাব্গী হা-যিহী বিদ্বোয়া-‘আতুনা- রুদ্দাত্ ইলাইনা- অনামীরু আহ্লানা-অনাহ্ফাজু আখ-না-অনায্দা-দু কাইলা বা‘র্ঈ যা-লিকা কাইলুঁই ইয়ার্সী।
বাংলা অনুবাদ ১২.৬৫ আর যখন তারা তাদের মাল-পত্র খুলল, তখন তারা দেখতে পেল তাদের পণ্যমূল্য তাদের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে। তারা বলল, ‘হে আমাদের পিতা, আমরা আর কী চাই? এই আমাদের পণ্যমূল্য, তা আমাদেরকে ফেরৎ দেয়া হয়েছে। আর আমরা আমাদের পরিবারবর্গের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আসব, আমাদের ভাইকে হেফাযত করব এবং আরো এক উট বোঝাই রসদ বেশি আনব, (বাদশাহ্র জন্য) ঐ রসদ (প্রদান) খুবই সহজ’।
قَالَ لَنْ أُرْسِلَهُ مَعَكُمْ حَتَّى تُؤْتُونِ مَوْثِقًا مِنَ اللَّهِ لَتَأْتُنَّنِي بِهِ إِلَّا أَنْ يُحَاطَ بِكُمْ فَلَمَّا آتَوْهُ مَوْثِقَهُمْ قَالَ اللَّهُ عَلَى مَا نَقُولُ وَكِيلٌ12.66
আরবি উচ্চারণ ১২.৬৬। ক্ব-লা লান্ র্উসিলাহূ মা‘আকুম্ হাত্তা-তুতূনি মাওছিক্বম্ মিনাল্লা-হি লাতাতুন্নানী বিহী য় ইল্লা য় আইঁ ইয়ুহা-ত্বোয়াবিকুম্, ফালাম্মা য় আ-তাওহু মাওছিক্বহুম্ ক্ব-লাল্লা-হু ‘আলা- মা- নাক্বুলু অক্বীল্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৬৬ সে বলল, ‘আমি তোমাদের সাথে তাকে কখনো পাঠাব না, যতক্ষণ না তোমরা আমাকে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার প্রদান কর যে, তাকে অবশ্যই আমার কাছে নিয়ে আসবে। তবে তোমরা (শত্র“ বা বিপদ দ্বারা) বেষ্টিত হলে ভিন্ন কথা’। অতঃপর যখন তারা তাকে প্রতিশ্র“তি দিল, তখন সে বলল, ‘আমরা যা বলছি সে ব্যাপারে আল্লাহই সাক্ষী’।
وَقَالَ يَا بَنِيَّ لَا تَدْخُلُوا مِنْ بَابٍ وَاحِدٍ وَادْخُلُوا مِنْ أَبْوَابٍ مُتَفَرِّقَةٍ وَمَا أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَعَلَيْهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُتَوَكِّلُونَ12.67
আরবি উচ্চারণ ১২.৬৭। অ ক্ব-লা ইয়া-বানিয়্যা লা-তাদ্খুলূ মিম্ বা-বিঁও অহিদিঁও ওয়াদ্খুলূ মিন্ আব্ওয়া-বিম্ মুতার্ফারিক্বাহ; অমা য় উগ্নী ‘আনকুম্ মিনাল্লা-হি মিন্ শাইয়িন্ ইনিল্ হুক্মু ইল্লা-লিল্লা-হি ‘আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু, অ ‘আলাইহি ফালইয়াতাঅক্কালিল্ মুতাঅক্কিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৬৭ সে বলল, ‘হে আমার ছেলেরা, তোমরা এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করো না, বরং ভিন্ন ভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ কর এবং আল্লাহর সিদ্ধান্তের বিপরীতে আমি তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হুকুম একমাত্র আল্লাহরই। তাঁরই উপর আমি তাওয়াক্কুল করছি এবং তাঁরই উপর যেন সকল তাওয়াক্কুলকারী তাওয়াক্কুল করে’।
وَلَمَّا دَخَلُوا مِنْ حَيْثُ أَمَرَهُمْ أَبُوهُمْ مَا كَانَ يُغْنِي عَنْهُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا حَاجَةً فِي نَفْسِ يَعْقُوبَ قَضَاهَا وَإِنَّهُ لَذُو عِلْمٍ لِمَا عَلَّمْنَاهُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ12.68
আরবি উচ্চারণ ১২.৬৮। অ লাম্মা- দাখালূ মিন্ হাইছু আমারহুম্ আবূহুম্ মা-কা-না ইয়ুগ্নী ‘আন্হুম্ মিনাল্লা-হি মিন্ শাইয়িন্ ইল্লা-হা-জ্বাতান্ ফী নাফ্সি ইয়া’ক্বুবা ক্বদ্বোয়া-হা-; অ ইন্নাহূ লাযূ ই’ল্মিল্লিমা-‘আল্লাম্না-হু অলা-কিন্না আক্ছারা ন্না-সি লা-ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৬৮ আর যখন তারা প্রবেশ করল, যেভাবে তাদের পিতা তাদেরকে আদেশ করেছিল, তা আল্লাহর হুকুমের বিপরীতে তাদের কোন উপকারে আসত না, তবে তা ছিল ইয়া‘কূবের মনের একটি ইচ্ছা, যা সে ব্যক্ত করেছিল। আর সে ছিল জ্ঞানী, কারণ আমি তাকে শিখিয়েছিলাম। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।
وَلَمَّا دَخَلُوا عَلَى يُوسُفَ آوَى إِلَيْهِ أَخَاهُ قَالَ إِنِّي أَنَا أَخُوكَ فَلَا تَبْتَئِسْ بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ 12.69
আরবি উচ্চারণ ১২.৬৯। অ লাম্মা- দাখালূ ‘আলা- ইয়ূসুফা আ- অ য় ইলাইহি আখ-হু ক্ব-লা ইন্নী য় আনা আখূকা ফালা-তাব্তায়িস্ বিমা-কানূ ইয়া’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৬৯ আর যখন তারা ইউসুফের নিকট প্রবেশ করল, তখন সে তার ভাইকে নিজের কাছে স্থান দিল এবং বলল, ‘আমি তোমার ভাই, কাজেই ইতঃপূর্বে তারা যা করত, তাতে তুমি দুঃখ পেয়ো না’।
فَلَمَّا جَهَّزَهُمْ بِجَهَازِهِمْ جَعَلَ السِّقَايَةَ فِي رَحْلِ أَخِيهِ ثُمَّ أَذَّنَ مُؤَذِّنٌ أَيَّتُهَا الْعِيرُ إِنَّكُمْ لَسَارِقُونَ12.70
আরবি উচ্চারণ ১২.৭০। ফালাম্মা-জ্বাহ্হাযাহুম্ বিজ্বাহা-যিহিম্ জ্বা‘আলাস্ সিক্ব- ইয়াতা ফী রহ্লি আখীহি ছুম্মা আয্যানা মুওয়ায্যিনুন্ আইয়্যাতুহাল্ ‘ঈরু ইন্নাকুম্ লাসা-রিক্বুন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৭০ অতঃপর সে যখন তাদেরকে তাদের রসদপত্র প্রস্তুত করে দিল, তখন তার ভাইয়ের মালপত্রে পানপাত্রটি রেখে দিল। তারপর একজন ঘোষক ঘোষণা করল, ‘ওহে কাফেলার লোকজন, নিশ্চয় তোমরা চোর’।
قَالُوا وَأَقْبَلُوا عَلَيْهِمْ مَاذَا تَفْقِدُونَ12.71
আরবি উচ্চারণ ১২.৭১। ক্ব-লূ অআক্ব্ ্বালূ ‘আলাইহিম্ মা-যা-তাফ্ক্বিদূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৭১ তারা ওদের দিকে ফিরে বলল, ‘তোমরা কী হারিয়েছ’?
قَالُوا نَفْقِدُ صُوَاعَ الْمَلِكِ وَلِمَنْ جَاءَ بِهِ حِمْلُ بَعِيرٍ وَأَنَا بِهِ زَعِيمٌ12.72
আরবি উচ্চারণ ১২.৭২। ক্ব-লূ নাফ্ক্বিদু ছঅ-‘আল্ মালিকি অলিমান্ জ্বা – য়া বিহী হিম্লু বাঈ’রিওঁ অআনা বিহী যা‘ঈম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৭২ তারা বলল, ‘আমরা বাদশাহ্র পানপাত্র হারিয়েছি, যে তা এনে দেবে, তার জন্য রয়েছে এক উট বোঝাই পুরস্কার। আর আমিই এর যামিন’।
قَالُوا تَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُمْ مَا جِئْنَا لِنُفْسِدَ فِي الْأَرْضِ وَمَا كُنَّا سَارِقِينَ12.73
আরবি উচ্চারণ ১২.৭৩। ক্ব-লূ তাল্লা-হি লাক্বদ্ ‘আলিম্তুম্ মা-জ্বি’না লিনুফ্সিদা ফিল্ র্আদ্বি অমা-কুন্না-সারিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৭৩ তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম, তোমরা নিশ্চয়ই জেনে গিয়েছ, আমরা এ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে আসিনি, আর আমরা চোর নই’।
قَالُوا فَمَا جَزَاؤُهُ إِنْ كُنْتُمْ كَاذِبِينَ12.74
আরবি উচ্চারণ ১২.৭৪। ক্ব-লূ ফামা-জ্বাযা – য়ুহূ য় ইন্ কুন্তুম্ কা-যিবীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৭৪ তারা বলল, ‘তাহলে তার শাস্তি কি হবে, যদি তোমরা মিথ্যাবাদী হও’?
قَالُوا جَزَاؤُهُ مَنْ وُجِدَ فِي رَحْلِهِ فَهُوَ جَزَاؤُهُ كَذَلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ 12.75
আরবি উচ্চারণ ১২.৭৫। ক্ব-লূ জ্বাযা – য়ুহূ মাওঁ য়ুজ্বিদা ফী রহ্লিহী ফাহঅ জ্বাযা – য়ুহূ কাযা-লিকা নাজ্বযিজ্ জোয়া-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৭৫ তারা বলল, ‘তার শাস্তি হবে, যার মালপত্রের ভিতর ওটি পাওয়া যাবে, সে-ই হবে তার বিনিময়। এভাবেই আমরা যালেমদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি’।
فَبَدَأَ بِأَوْعِيَتِهِمْ قَبْلَ وِعَاءِ أَخِيهِ ثُمَّ اسْتَخْرَجَهَا مِنْ وِعَاءِ أَخِيهِ كَذَلِكَ كِدْنَا لِيُوسُفَ مَا كَانَ لِيَأْخُذَ أَخَاهُ فِي دِينِ الْمَلِكِ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ نَرْفَعُ دَرَجَاتٍ مَنْ نَشَاءُ وَفَوْقَ كُلِّ ذِي عِلْمٍ عَلِيمٌ12.76
আরবি উচ্চারণ ১২.৭৬। ফাবাদায়া বিআও‘ইইয়াতিহিম্ ক্বব্লা ওয়ি‘আ – যা আখীহি ছুম্মাস্ তাখ্রাজ্বাহা- মিঁও ওয়ি‘আ – য়ি আখীহ্; কাযা-লিকা কিদ্না-লিইয়ূসুফ্; মা-কা-না লিইয়াখুযা আখ-হু ফী দীনিল্ মালিকি ইল্লা য় আইঁ ইয়াশা – য়াল্লা-হ্; র্নাফাউ’ দারাজ্বা-তিম্ মান্ নাশা – য়ু অফাওক্ব কুল্লি যী ‘ইল্মিন্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৭৬ অতঃপর সে তার ভাইয়ের পাত্রের পূর্বে তাদের পাত্রগুলো দিয়ে (তল্লাশী) শুরু করল, তারপর সেটি তার ভাইয়ের পাত্র থেকে বের করল, এভাবে আমি ইউসুফের জন্য কৌশল করলাম। আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া বাদশাহ্র আইনে সে তার ভাইকে রেখে দিতে পারত না, আমি যাকে ইচ্ছা তার মর্যাদা উঁচু করে দেই এবং প্রত্যেক জ্ঞানীর উপর রয়েছে একজন মহাজ্ঞানী।
قَالُوا إِنْ يَسْرِقْ فَقَدْ سَرَقَ أَخٌ لَهُ مِنْ قَبْلُ فَأَسَرَّهَا يُوسُفُ فِي نَفْسِهِ وَلَمْ يُبْدِهَا لَهُمْ قَالَ أَنْتُمْ شَرٌّ مَكَانًا وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا تَصِفُونَ12.77
আরবি উচ্চারণ ১২.৭৭। ক্ব-লূ য় ইঁ ইয়াসরিক্বু ফাক্বদ্ সারাক্বা আখুল্লাহূ মিন্ ক্বব্লু, ফাআর্সারহা-ইয়ূসুফু ফী নাফ্সিহী অলাম্ ইউব্দিহা-লাহুম্, ক্ব-লা আনতুম্ র্শারুম্ মাকা-নান্, অল্লা-হু আ’লামু বিমা-তাছিফূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৭৭ তারা বলল, ‘যদি সে চুরি করে থাকে, তবে ইতঃপূর্বে তার এক ভাই চুরি করেছিল’। ইউসুফ বিষয়টি নিজের কাছে গোপন রাখল, তাদের কাছে প্রকাশ করল না, সে (মনে মনে) বলল, ‘তোমাদের অবস্থান তো নিকৃষ্টতর, তোমরা যা বলছ, সে সম্পর্কে আল্লাহ ভালভাবেই অবগত’।
قَالُوا يَا أَيُّهَا الْعَزِيزُ إِنَّ لَهُ أَبًا شَيْخًا كَبِيرًا فَخُذْ أَحَدَنَا مَكَانَهُ إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ12.78
আরবি উচ্চারণ ১২.৭৮। ক্ব-লূ-ইয়া য় আইয়্যুহাল্ ‘আযীযু ইন্না লাহূ য় আবান্ শাইখান্ কাবীরান্ ফাখুয্ আহাদানা- মাকা-নাহূ, ইন্না-নারা-কা মিনাল্ মুহ্সিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৭৮ তারা বলল, ‘হে আযীয, তার পিতা বড় বৃদ্ধ, আপনি তার স্থলে আমাদের একজনকে নিন, আমরা তো আপনাকে দেখছি সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
قَالَ مَعَاذَ اللَّهِ أَنْ نَأْخُذَ إِلَّا مَنْ وَجَدْنَا مَتَاعَنَا عِنْدَهُ إِنَّا إِذًا لَظَالِمُونَ12.79
আরবি উচ্চারণ ১২.৭৯। ক্ব-লা মা‘আযাল্লা-হি আন্ নাখুযা ইল্লা-মাওঁ অজ্বাদ্না-মাতা-‘আনা-‘ইন্দাহূ য় ইন্না য় ইযাল্লাজোয়া-লিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৭৯ সে বলল, ‘যার কাছে আমাদের মাল পেয়েছি তাকে ছাড়া অন্যকে পাকড়াও করা হতে আল্লাহর আশ্রয় চাচ্ছি, এমন করলে আমরা হয়ে যাব নিশ্চিত যালিম’।
فَلَمَّا اسْتَيْأَسُوا مِنْهُ خَلَصُوا نَجِيًّا قَالَ كَبِيرُهُمْ أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّ أَبَاكُمْ قَدْ أَخَذَ عَلَيْكُمْ مَوْثِقًا مِنَ اللَّهِ وَمِنْ قَبْلُ مَا فَرَّطْتُمْ فِي يُوسُفَ فَلَنْ أَبْرَحَ الْأَرْضَ حَتَّى يَأْذَنَ لِي أَبِي أَوْ يَحْكُمَ اللَّهُ لِي وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَ12.80
আরবি উচ্চারণ ১২.৮০। ফালাম্মাস্ তাইয়াসূ মিন্হু খালাছূ নাজ্বিয়্যা-; ক্ব-লা কাবীরুহুম্ আলাম্ তা’লামূ য় আন্না আবা-কুম্ ক্বদ্ আখাযা ‘আলাইকুম্ মাওছিক্বম্ মিনাল্লা-হি অমিন্ ক্বব্লু মা-র্ফারাত্বতুম্ ফী ইয়ূসুফা ফালান্ আব্ রহাল্ র্আদ্বোয়া হাত্তা-ইয়াযানা লী য় আবী য় আও ইয়াহ্কুমাল্লা-হু লী অহুঅ খইরুল্ হা-কিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৮০ তারপর যখন তারা তার ব্যাপারে নিরাশ হল, তখন তারা পরামর্শ করতে একান্তে মিলিত হল। তাদের বড়জন বলল, ‘তোমরা কি জান না যে, তোমাদের পিতা তোমাদের কাছ থেকে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার নিয়েছেন, আর ইতঃপূর্বে তোমরা ইউসুফের ব্যাপারে যে অন্যায় করেছ? সুতরাং যতক্ষণ না আমার পিতা আমাকে অনুমতি দেবেন অথবা আল্লাহ আমার ব্যাপারে ফয়সালা করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এদেশ ছেড়ে যাব না এবং তিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী’।
ارْجِعُوا إِلَى أَبِيكُمْ فَقُولُوا يَا أَبَانَا إِنَّ ابْنَكَ سَرَقَ وَمَا شَهِدْنَا إِلَّا بِمَا عَلِمْنَا وَمَا شَهِدْنَا إِلَّا بِمَا عَلِمْنَا وَمَا كُنَّا لِلْغَيْبِ حَافِظِينَ12.81
আরবি উচ্চারণ ১২. ৮১। র্ইজ্বিঊ’ য় ইলা য় আবীকুম্ ফাক্বুলূ ইয়া য় আবা-না য় ইন্নাব্ নাকা সারাক্ব, অমা-শাহিদ্না য় ইল্লা-বিমা-‘আলিম্না-অমা- কুন্না লিল্গাইবি হা-ফিজীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৮১ ‘তোমরা তোমাদের পিতার নিকট ফিরে যাও এবং বল, হে আমাদের পিতা, আপনার ছেলে তো চুরি করেছে, আর আমরা যা জানি তাঁরই সাক্ষ্য দিয়েছি এবং আমরা গায়েব সংরক্ষণকারী নই’।
وَاسْأَلِ الْقَرْيَةَ الَّتِي كُنَّا فِيهَا وَالْعِيرَ الَّتِي أَقْبَلْنَا فِيهَا وَإِنَّا لَصَادِقُونَ12.82
আরবি উচ্চারণ ১২.৮২। অস্য়ালিল্ র্ক্বইয়াতাল্লাতী কুন্না-ফীহা- অল্‘ঈরল লাতী য় আক্বুবাল্না- ফীহা-; অইন্না-লাছোয়া-দিক্বুন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৮২ ‘আর যে জনপদে আমরা ছিলাম তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন এবং যে কাফেলার সাথে আমরা এসেছি তাদেরকেও, অবশ্যই আমরা সত্যবাদী’।
قَالَ بَلْ سَوَّلَتْ لَكُمْ أَنْفُسُكُمْ أَمْرًا فَصَبْرٌ جَمِيلٌ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَأْتِيَنِي بِهِمْ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ12.83
আরবি উচ্চারণ ১২.৮৩। ক্ব-লা বাল্ সাওঅলাত্ লাকুম্ আন্ফুসুকুম্ আম্রা-; ফাছোয়াব্ রুন্ জ্বামীল্; ‘আসাল্লা-হু আইঁ ইয়াতিয়ানী বিহিম্ জ্বামী‘আ-; ইন্নাহূ হুঅল্ ‘আলীমুল্ হাকীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৮৩ সে বলল, ‘বরং তোমাদের নাফ্স তোমাদের জন্য একটি গল্প সাজিয়েছে, সুতরাং (আমার করণীয় হচ্ছে) সুন্দর ধৈর্য। আশা করি, আল্লাহ তাদের সকলকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনবেন, নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’।
وَتَوَلَّى عَنْهُمْ وَقَالَ يَا أَسَفَى عَلَى يُوسُفَ وَابْيَضَّتْ عَيْنَاهُ مِنَ الْحُزْنِ فَهُوَ كَظِيمٌ12.84
আরবি উচ্চারণ ১২.৮৪। অ তাঅল্লা-‘আন্হুম্ অ ক্ব -লা ইয়া য় আ-সাফা- ‘আলা-ইয়ূসুফা অব্ ইয়দ্ব্দ্বোয়াত্ ‘আইনা-হু মিনাল্ হুয্নি ফাহুঅ কাজীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৮৪ আর তাদের থেকে সে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বলল, ‘ইউসুফের জন্য আফসোস’! আর দুঃখে তার চক্ষুদ্বয় সাদা হয়ে গেল, কিন্তু সে তো সংবরণকারী।
قَالُوا تَاللَّهِ تَفْتَأُ تَذْكُرُ يُوسُفَ حَتَّى تَكُونَ حَرَضًا أَوْ تَكُونَ مِنَ الْهَالِكِينَ 12.85
আরবি উচ্চারণ ১২.৮৫। ক্ব- লূ তাল্লা-হি তাফ্তায়ূ তায্কুরু ইয়ূসুফা হাত্তা-তাকূনা হারদ্বোয়ান্ আও তাকূনা মিনাল্ হা-লিকীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৮৫ তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম, আপনি তো ইউসুফকে স্মরণ করতেই থাকবেন, যতক্ষণ না আপনি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছবেন অথবা ধ্বংস হয়ে যাবেন’।
قَالَ إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ وَأَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ12.86
আরবি উচ্চারণ ১২.৮৬। ক্ব-লা ইন্নামা য় আশ্কূ বাছ্ছী অহুয্নী য় ইলাল্লা-হি অ আ’লামু মিনাল্লা-হি মা-লা-তা’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৮৬ সে বলল, ‘আমি আল্লাহর কাছেই আমার দুঃখ বেদনার অভিযোগ জানাচ্ছি। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে আমি যা জানি, তোমরা তা জান না’।
يَا بَنِيَّ اذْهَبُوا فَتَحَسَّسُوا مِنْ يُوسُفَ وَأَخِيهِ وَلَا تَيْأَسُوا مِنْ رَوْحِ اللَّهِ إِنَّهُ لَا يَيْئَسُ مِنْ رَوْحِ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْكَافِرُونَ12.87
আরবি উচ্চারণ ১২.৮৭। ইয়া বানিয়্যায্ হাবূ ফাতাহাস্সাসূ মিঁ ইয়ূসুফা অআখীহি অলা-তাইয়াসূ র্মি রওহিল্লা-হ্; ইন্নাহূ লা-ইয়াই আসু র্মি রওহিল্লা-হি ইল্লাল্ ক্বওমুল্ কা-ফিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৮৭ ‘হে আমার ছেলেরা, তোমরা যাও এবং ইউসুফ ও তার ভাইয়ের খোঁজ খবর নাও। আর তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, কেননা কাফির কওম ছাড়া কেউই আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না’।
فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِ قَالُوا يَا أَيُّهَا الْعَزِيزُ مَسَّنَا وَأَهْلَنَا الضُّرُّ وَجِئْنَا بِبِضَاعَةٍ مُزْجَاةٍ فَأَوْفِ لَنَا الْكَيْلَ وَتَصَدَّقْ عَلَيْنَا إِنَّ اللَّهَ يَجْزِي الْمُتَصَدِّقِينَ12.88
আরবি উচ্চারণ ১২.৮৮। ফালাম্মা-দাখালূ ‘আলাইহি ক্ব-লূ ইয়া য় আইয়্যুহাল্ ‘আযীযু মাস্সানা-অআহ্লানাদ্বর্ ুরু অজ্বিনা- বিবিদ্বোয়া-‘আতিম্ মুয্জ্বা-তিন ফাআওফি লানাল্ কাইলা অতাছোদ্দাক্ব ‘আলাইনা-; ইন্নাল্লা-হা ইয়াজ্বযিল্ মুতাছোয়াদ্দিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৮৮ অতঃপর যখন তারা ইউসুফের কাছে প্রবেশ করল, তখন বলল, ‘হে আযীয, অভাব-অনটন আমাদেরকে ও আমাদের পরিবারকে স্পর্শ করেছে, আর আমরা তুচ্ছ পুঁজি নিয়ে এসেছি। অতএব, আমাদেরকে মাপে পূর্ণমাত্রায় দিন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন, নিশ্চয় আল্লাহ অনুগ্রহকারীদের প্রতিদান দেন’।
قَالَ هَلْ عَلِمْتُمْ مَا فَعَلْتُمْ بِيُوسُفَ وَأَخِيهِ إِذْ أَنْتُمْ جَاهِلُونَ 12.89
আরবি উচ্চারণ ১২.৮৯। ক্ব-লা হাল্ ‘আলিম্তুম্ মা-ফা‘আল্তুম্ বিইয়ূসুফা অআখীহি ইয্ আন্তুম্ জ্বা-হিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৮৯ সে বলল, ‘তোমাদের জানা আছে কি, ইউসুফ ও তার ভাইয়ের সাথে তোমরা কিরূপ আচরণ করেছিলে, যখন তোমরা অজ্ঞ ছিলে’?
قَالُوا أَئِنَّكَ لَأَنْتَ يُوسُفُ قَالَ أَنَا يُوسُفُ وَهَذَا أَخِي قَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْنَا إِنَّهُ مَنْ يَتَّقِ وَيَصْبِرْ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ12.90
আরবি উচ্চারণ ১২.৯০। ক্ব-লূ য় ‘আইন্নাকা লাআন্তা ইয়ূসুফু; ক্ব-লা আনা ইয়ূসূফু অহাযা য় আখী ক্বদ্ মান্নাল্লা-হু ‘আলাইনা-; ইন্নাহূ মাইঁ ইয়াত্তাক্বি অইয়ার্ছ্বি ফাইন্না ল্লা-হা লা-ইয়ুদ্বী‘উ আজ্বরাল্ মুহসিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৯০ তারা বলল, ‘তুমি কি সত্যিই ইউসুফ’? সে বলল, আমি ইউসুফ, আর এ আমার সহোদর। আল্লাহ আমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন। নিশ্চয় যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে এবং সবর করে, তবে অবশ্যই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না’।
قَالُوا تَاللَّهِ لَقَدْ آثَرَكَ اللَّهُ عَلَيْنَا وَإِنْ كُنَّا لَخَاطِئِينَ12.91
আরবি উচ্চারণ ১২.৯১। ক্ব-লূ তাল্লা-হি লাক্বদ্ আ-ছারকাল্লা-হু ‘আলাইনা- অইন্ কুন্না- লাখ-ত্বিয়ীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৯১ তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম, আল্লাহ আমাদের উপর তোমাকে প্রাধান্য দিয়েছেন, আর আমরাই ছিলাম অপরাধী’।
قَالَ لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ يَغْفِرُ اللَّهُ لَكُمْ وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ12.92
আরবি উচ্চারণ ১২.৯২। ক্ব -লা লা-তাছ্রীবা ‘আলাইকুমুল্ ইয়াওম্; ইয়াগ্ফিরু ল্লা-হু লাকুম্ অহুঅ র্আহামুর র-হিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৯২ সে বলল, ‘আজ তোমাদের উপর কোন ভর্ৎসনা নেই, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন। আর তিনি সবচেয়ে বেশি দয়ালু’।
اذْهَبُوا بِقَمِيصِي هَذَا فَأَلْقُوهُ عَلَى وَجْهِ أَبِي يَأْتِ بَصِيرًا وَأْتُونِي بِأَهْلِكُمْ أَجْمَعِينَ 12.93
আরবি উচ্চারণ ১২.৯৩। ইয্ হাবূ বিক্বমীছী হাযা- ফায়াল্ক্বহু ‘আলা-অজ্বহি আবী ইয়াতি বাছীরন্, অতূনী বিআহ্লিকুম্ আজ্বমা‘ঈন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৯৩ ‘তোমরা আমার এ জামাটি নিয়ে যাও, অতঃপর সেটি আমার পিতার চেহারায় ফেল। এতে তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন। আর তোমরা তোমাদের পরিবারের সকলকে নিয়ে আমার কাছে চলে আস’।
وَلَمَّا فَصَلَتِ الْعِيرُ قَالَ أَبُوهُمْ إِنِّي لَأَجِدُ رِيحَ يُوسُفَ لَوْلَا أَنْ تُفَنِّدُونِ12.94
আরবি উচ্চারণ ১২.৯৪। অলাম্মা-ফাছোয়ালাতিল্ ‘ঈরু ক্ব-লা আবূহুম্ ইন্নী লাআজ্বিদু রীহা ইয়ূসুফা লাওলা য় আন্ তুফান্নিদূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৯৪ আর যখন কাফেলা বের হল, তাদের পিতা বলল, ‘নিশ্চয় আমি ইউসুফের ঘ্রাণ পাচ্ছি, যদি তোমরা আমাকে নির্বোধবৃদ্ধ মনে না কর’।
قَالُوا تَاللَّهِ إِنَّكَ لَفِي ضَلَالِكَ الْقَدِيمِ12.95
আরবি উচ্চারণ ১২.৯৫। ক্ব-লূ তাল্লা-হি ইন্নাকা লাফী দ্বলা-লিকাল্ ক্বদীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৯৫ তারা বলল, ‘আল্লাহর কসম, আপনি তো সেই পুরোন ভ্রান্তিতেই আছেন’।
فَلَمَّا أَنْ جَاءَ الْبَشِيرُ أَلْقَاهُ عَلَى وَجْهِهِ فَارْتَدَّ بَصِيرًا قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ12.96
আরবি উচ্চারণ ১২.৯৬। ফালাম্মা য় আন্ জ্বা – য়াল্ বাশীরু আল্ক্বা-হু ‘আলা-অজ্বহিহী র্ফাতাদ্দা বাছীরান্ ক্ব-লা আলাম্ আক্বুল্ লাকুম্ ইন্নী য় আ’লামু মিনাল্লা-হি মা-লা-তা’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৯৬ অতঃপর যখন সুসংবাদদাতা এল, তখন সে জামাটি তার চেহারায় ফেলল। এতে সে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল, বলল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি, নিশ্চয় আমি আল্লাহ্র পক্ষ থেকে যা জানি তোমরা তা জান না’।
قَالُوا يَا أَبَانَا اسْتَغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا إِنَّا كُنَّا خَاطِئِينَ12.97
আরবি উচ্চারণ ১২.৯৭। ক্ব-লূ ইয়া য় আবা-নাস্তার্গ্ফিলানা-যুনূবানা য় ইন্না-কুন্না-খ-ত্বিয়ীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৯৭ তারা বলল, ‘হে আমাদের পিতা, আপনি আমাদের পাপ মোচনের জন্য ক্ষমা চান। নিশ্চয় আমরা ছিলাম অপরাধী’।
قَالَ سَوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ 12.98
আরবি উচ্চারণ ১২.৯৮। ক্ব-লা সাওফা আস্তাগ্ফিরু লাকুম্ রব্বী; ইন্নাহূ হুঅল্ গফূর্রু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৯৮ সে বলল, ‘অচিরেই আমি তোমাদের জন্য আমার রবের নিকট ক্ষমা চাইব, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’।
فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَى يُوسُفَ آوَى إِلَيْهِ أَبَوَيْهِ وَقَالَ ادْخُلُوا مِصْرَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ آمِنِينَ12.99
আরবি উচ্চারণ ১২.৯৯। ফালাম্মা-দাখালূ ‘আলা-ইয়ূসুফা আ-ওয়া য় ইলাইহি আবাঅইহি অক্ব-লাদ্খুলূ মিছ্রা ইন্শা – য়াল্লা-হু আ-মিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.৯৯ অতঃপর যখন তারা ইউসুফের নিকট প্রবেশ করল, তখন সে তার পিতামাতাকে নিজের কাছে স্থান করে দিল এবং বলল, ‘আল্লাহর ইচ্ছায় আপনারা নিরাপদে মিসরে প্রবেশ করুন’।
وَرَفَعَ أَبَوَيْهِ عَلَى الْعَرْشِ وَخَرُّوا لَهُ سُجَّدًا وَقَالَ يَا أَبَتِ هَذَا تَأْوِيلُ رُؤْيَايَ مِنْ قَبْلُ قَدْ جَعَلَهَا رَبِّي حَقًّا وَقَدْ أَحْسَنَ بِي إِذْ أَخْرَجَنِي مِنَ السِّجْنِ وَجَاءَ بِكُمْ مِنَ الْبَدْوِ مِنْ بَعْدِ أَنْ نَزَغَ الشَّيْطَانُ بَيْنِي وَبَيْنَ إِخْوَتِي إِنَّ رَبِّي لَطِيفٌ لِمَا يَشَاءُ إِنَّهُ هُوَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ 12.100
আরবি উচ্চারণ ১২.১০০। অ রফা‘আ আবাঅইহি ‘আলাল্ ‘র্আশি অর্খারূ লাহূ সুজ্জ্বাদান্ অক্ব-লা ইয়া য় আবাতি হাযা- তাওয়ীলু রুইয়া-ইয়া মিন্ ক্ববলু ক্বদ্ জ্বা‘আলাহা-রব্বী হাক্বুক্ব-; অক্বদ্ আহ্সানা বী য় ইয্ আখ্রজ্বানী মিনাস্ সিজ্বনি অজ্বা – য়া বিকুম্ মিনাল্ বাদ্ওয়ি মিম্ বা’দি আন্ নাযাগাশ্ শাইত্বোয়া-নু বাইনী অবাইনা ইখ্অতী-; ইন্না রব্বী লাত্বীফুল্ লিমা-ইয়াশা – য়্; ইন্নাহূ হুঅল্ ‘আলীমুল্ হাকীম্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১০০ আর সে তার পিতামাতাকে রাজাসনে উঠাল এবং তারা সকলে তার সামনে সেজদায় লুটিয়ে পড়ল এবং সে বলল, ‘হে আমার পিতা, এই হল আমার ইতঃপূর্বের স্বপ্নের ব্যাখ্যা, আমার রব তা বাস্তবে পরিণত করেছেন আর তিনি আমার উপর এহসান করেছেন, যখন আমাকে জেলখানা থেকে বের করেছেন এবং তোমাদেরকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছেন, শয়তান আমার ও আমার ভাইদের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করার পর। নিশ্চয় আমার রব যা ইচ্ছা করেন, তাতে তিনি সূক্ষ্মদর্শী। নিশ্চয় তিনি সম্যক জ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়’।
رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِنْ تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ12.101
আরবি উচ্চারণ ১২.১০১। রব্বী ক্বদ্ আ-তাইতানী মিনাল্ মুল্কি অ‘আল্লাম্তানী মিন্ তা’ওয়ীলিল্ আহা-দীছি, ফা-ত্বিরস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি আন্তা অলিয়্যী ফিদ্দুনইয়া-অল্ আ-খিরতি, তাঅফ্ফানী মুস্লিমাওঁ অ আল্হিক্বুনী বিচ্ছোয়া-লিহীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১০১ ‘হে আমার রব, আপনি আমাকে রাজত্ব দান করেছেন এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিখিয়েছেন। হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, দুনিয়া ও আখিরাতে আপনিই আমার অভিভাবক, আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দিন এবং নেককারদের সাথে আমাকে যুক্ত করুন’।
ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ أَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ وَهُمْ يَمْكُرُونَ12.102
আরবি উচ্চারণ ১২.১০২। যা-লিকা মিন্ আম্বা-য়িল্ গইবি নূহীহি ইলাইকা অমা-কুন্তা লাদাইহিম্ ইয্ আজ্বমা‘ঊ য় আম্রহুম্ অহুম্ ইয়াম্কুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১০২ এগুলো গায়েবের সংবাদ, যা আমি তোমার কাছে ওহী করছি। তুমি তো তাদের নিকট ছিলে না যখন তারা তাদের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছিল অথচ তারা ষড়যন্ত্র করছিল।
وَمَا أَكْثَرُ النَّاسِ وَلَوْ حَرَصْتَ بِمُؤْمِنِينَ12.103
আরবি উচ্চারণ ১২.১০৩। অমা য় আক্ছারুন্না-সি অলাও হারাছ্তা বিমুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১০৩ আর তুমি আকাঙ্খা করলেও অধিকাংশ মানুষ মুমিন হবার নয়।
وَمَا تَسْأَلُهُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ لِلْعَالَمِينَ 12.104
আরবি উচ্চারণ ১২.১০৪। অমা-তাস্য়ালুহুম্ ‘আলাইহি মিন্ আজ্বরিন্ ইন্ হুঅ ইল্লা-যিক্রুল্লিল্‘আ-লামীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১০৪ আর তুমি এর উপর তাদের কাছে কোন প্রতিদান চাও না, এ তো (কুরআন) সমগ্র সৃষ্টির জন্য উপদেশমাত্র।
وَكَأَيِّنْ مِنْ آيَةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَمُرُّونَ عَلَيْهَا وَهُمْ عَنْهَا مُعْرِضُونَ12.105
আরবি উচ্চারণ ১২.১০৫। অকায়াইঁয়্যিম্মিন্ আ-ইয়াতিন্ ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি ইয়ার্মুরূনা ‘আলাইহা-অহুম্ ‘আন্হা-মু’রিদ্বুন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১০৫ আর আসমানসমূহ ও যমীনে কত নিদর্শন রয়েছে, যা তারা অতিক্রম করে চলে যায়, অথচ সেগুলো থেকে তারা বিমুখ।
وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللَّهِ إِلَّا وَهُمْ مُشْرِكُونَ12.106
আরবি উচ্চারণ ১২.১০৬। অমা-ইয়ুমিনু আক্ছারুহুম্ বিল্লা-হি ইল্লা- অ হুম্ মুশরিকূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১০৬ তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তবে (ইবাদাতে) র্শিক করা অবস্থায়।
أَفَأَمِنُوا أَنْ تَأْتِيَهُمْ غَاشِيَةٌ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ أَوْ تَأْتِيَهُمُ السَّاعَةُ بَغْتَةً وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ12.107
আরবি উচ্চারণ ১২.১০৭। আফাআ মিনূ য় আন্ তাতিয়াহুম্ গ-শিয়াতুম্ মিন্ ‘আযা-বিল্লা-হি আও তাতিয়াহুমুস্সা-‘আতু বাগ্ তাতাঁও অহুম্ লা-ইয়াশ্ ‘ঊরূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১০৭ আর তারা কি নিরাপদ বোধ করছে যে, তাদের উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন সর্বগ্রাসী আযাব আসবে না অথবা হঠাৎ তারা টের না পেতেই কিয়ামত উপস্থিত হবে না?
قُلْ هَذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللَّهِ عَلَى بَصِيرَةٍ أَنَا وَمَنِ اتَّبَعَنِي وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ12.108
আরবি উচ্চারণ ১২.১০৮। ক্বুল্ হা-যিহী সাবীলী য় আদ্‘ঊ য় ইলাল্লা-হি ‘আলা-বাছীরাতিন্ আনা-অমানিত তাবা‘আনী-; অসুব্হা-নাল্লা-হি অমা য় আনা মিনাল্ মুশ্রিকীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১০৮ বল, ‘এটা আমার পথ। আমি জেনে-বুঝে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেই এবং যারা আমার অনুসরণ করেছে তারাও। আর আল্লাহ পবিত্র মহান এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই’।
وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ إِلَّا رِجَالًا نُوحِي إِلَيْهِمْ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى أَفَلَمْ يَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَيَنْظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَلَدَارُ الْآخِرَةِ خَيْرٌ لِلَّذِينَ اتَّقَوْا أَفَلَا تَعْقِلُونَ12.109
আরবি উচ্চারণ ১২.১০৯। অমা য় র্আসাল্না-মিন্ ক্বব্লিকা ইল্লা- রিজ্বা-লান্ নূহী য় ইলাইহিম্ মিন্ আহ্লিল্ ক্বুরা-; আফালাম্ ইয়াসীরূ ফিল্ র্আদ্বি ফাইয়ান্জুরূ কাইফা কা-না ‘আ-ক্বিবাতু ল্লাযীনা মিন্ ক্ববলিহিম্; অলাদা-রুল্ আ-খিরতি খইরু ল্লিল্লাযীনাত্তাক্বাও; আফালা-তা’ক্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১০৯ আর আমি তোমার পূর্বে জনপদবাসী থেকে পুরুষদেরকেই কেবল রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছি, যাদের উপর আমি ওহী নাযিল করতাম। তারা কি যমীনে বিচরণ করে না। তাহলে দেখত, তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের পরিণতি কিরূপ হয়েছে? আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আখিরাতের আবাসনই উত্তম, তবুও কি তোমরা বুঝ না?
حَتَّى إِذَا اسْتَيْئَسَ الرُّسُلُ وَظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ كُذِبُوا جَاءَهُمْ نَصْرُنَا فَنُجِّيَ مَنْ نَشَاءُ وَلَا يُرَدُّ بَأْسُنَا عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِينَ12.110
আরবি উচ্চারণ ১২.১১০। হাত্তা য় ইযাস্ তাইয়ার্সা রুসুলু অজোয়ান্ন ূয় আন্নাহুম্ ক্বদ্ কুযিবূ জ্বা – য়াহুম্ নাছ্রুনা-ফানুজ্জিয়া মান্ নাশা – য়্;অলা-ইয়ুরদ্দু বাসুনা- ‘আনিল্ ক্বওমিল্ মুজ্বরিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১১০ অবশেষে যখন রাসূলগণ (কওমের ঈমান থেকে) নিরাশ হয়ে গেল এবং তারা মনে করল তাদের সাথে মিথ্যা বলা হয়েছে, তখন তাদের কাছে আমার সাহায্য আসল, অতঃপর আমি যাকে ইচ্ছা নাজাত দেই, আর অপরাধী কওম থেকে আমার আযাব কখনও ফেরানো হয় না।
لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِأُولِي الْأَلْبَابِ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَى وَلَكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ 12.111
আরবি উচ্চারণ ১২.১১১। লাক্বদ্ কা-না ফী ক্বছোয়াছিহিম্ ‘ইব্রতু ল্লিউলিল্ আল্বা-ব্; মা-কা-না হাদীছাঁই ইয়ুফ্তার- অলা-কিন্ তাছ্দীক্বল্ লাযী বাইনা ইয়াদাইহি অতাফ্ছীলা কুল্লি শাইয়িঁও অহুদাঁও অরহ্মাতাল্ লিক্বওমিঁই ইয়ুমিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ১২.১১১ তাদের এ কাহিনীগুলোতে অবশ্যই বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে শিক্ষা, এটা কোন বানানো গল্প নয়, বরং তাদের পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী এবং প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ। আর হিদায়াত ও রহমত ঐ কওমের জন্য যারা ঈমান আনে
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত
- রমজানের ৩০ দিনের ৩০টি ফজিলতরমজানের ৩০ দিনের আমল ও ফজিলত