আজকের বিষয়: সূরা কাসাস সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল কাসাস আলমল ও ফজিলত, সূরা কাসাস কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা কাসাস নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ২৮ সূরা আল – কাসাস
فَسَقَىٰ لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّىٰ إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
ফাছাকা-লাহুমা-ছু ম্মা তাওয়াল্লাইলাজজিলিল ফাকা-লা রাব্বি ইন্নী লিমাআনঝালতা ইলাইইয়া মিন খাইরিন ফাকীর।
অর্থ:
মুফতী তাকী উসমানী
তখন মূসা তাদের সম্মানাথে তাদের পশুগুলােকে পানি পান করিয়ে দিল। তারপর একটি ছায়াস্থলে ফিরে আসল। তারপর বলল, হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে কল্যাণ বর্ষণ করবে আমি তার ভিখারী। ১৬
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
অতঃপর মূসা তাদের জন্তুদেরকে পানি পান করালেন। অতঃপর তিনি ছায়ার দিকে সরে গেলেন এবং বললেন, হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাযিল করবে, আমি তার মুখাপেক্ষী।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
মূসা তখন এদের পক্ষে জানোয়ারগুলিকে পানি পান করাল। তৎপর সে ছায়ার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবে আমি তো তার কাঙ্গাল।’তাফসীর:
১৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত আছে, হযরত মূসা আলাইহিস সালাম নারীদ্বয়কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এখানে কি আর কোনও কুয়া আছে? তারা বললেন, আরেকটি কুয়া আছে বটে, কিন্তু একটি বিশাল পাথর পড়ে সেটির মুখ আটকে আছে। আর সে পাথরটি সরানােও খুব সহজ নয়। হযরত মূসা আলাইহিস সালাম সেখানে গেলেন এবং পাথরটি সরিয়ে তাদের মেষগুলােকে পানি পান করিয়ে দিলেন- (রূহুল মাআনী, আবদ ইবনে হুমায়দ-এর বরাতে ২০ খণ্ড, ৩৬৭ পৃষ্ঠা)। ।
১৬. তুমি আমার প্রতি যে কল্যাণ বর্ষণ করবে আমি তার ভিখারী’ – হযরত মূসা আলাইহিস সালামের সংক্ষিপ্ত দোয়া আল্লাহ তাআলার প্রতি তাঁর আবদিয়াত ও দাসত্ববােধের এক চমৎকার অভিব্যক্তি। একদিকে তাে আল্লাহ তাআলার সমীপে নিজের অভাব ও অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন, জানাচ্ছেন যে, এই বিদেশ বিভূইয়ে নিজের পরিচিত কোন লােক নেই, জীবন রক্ষার জন্য প্রয়ােজনীয় কোন কিছুরই ব্যবস্থা নেই। অপর দিকে নিজের পক্ষ থেকে ঠিক কি-কি বস্তু চাই তা ঠিক করে দিচ্ছেন না; বরং বিষয়টা আল্লাহ তাআলার উপর ছেড়ে দিচ্ছেন যে, আপনি আমার জন্য কল্যাণকর যে ব্যবস্থাই গ্রহণ করবেন এবং উপর থেকে আমার প্রতি যে অনুগ্রহই বর্ষণ করবেন, আমি তারই কাঙ্গাল এবং আমি তাই আপনার কাছে চাচ্ছি। নিজের পক্ষ হতে সুনির্দিষ্টভাবে কোন কিছু চাব, সেই অবস্থায় আমি নেই।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
চাকরি বা কাজ পাওয়া সব সময়ই কঠিন। ভালো মান-সম্মত চাকরি বা কাজ পাওয়াতো আরও বেশি কঠিন। তা পেতে অনেক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। আর বর্তমান সময়ে চাকরি তো এক দুঃস্বপ্নের নাম। কেননা কর্মক্ষেত্রের তুলনায় চাকরি প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি। তা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই ভালো চাকরি বা কাজ পেতে যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি কুরআনি আমলও করা যেতে পারে। এর জন্য রয়েছে একটি দোয়া ও তাসবিহ। আর তাহলো-
তাসবিহ
ভালো চাকরির নিয়তে দিনে যতবার খুশি মহান আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামের আমল করা এবং বেশি বেশি পাঠ করা।
يَا وَهَّابُ
উচ্চারণ : ‘ইয়া ওয়াহহাবু’
অর্থ : ‘কোনোরূপ প্রতিদান ব্যতীত অধিক দানকারী।’
দোয়া
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিং ফাক্বির।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার প্রতি যে কল্যাণ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)
হজরত শাহ আবদুল আজিজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, যে ব্যক্তি রিজিকের প্রশস্ততার জন্য (ভালো কাজ বা চাকরির প্রত্যাশায়) চাশতের নামাজের সময় ১২ রাকাআত নামাজ পড়ে সিজদায় গিয়ে (يَا وَهَّابُ) ইয়া ওয়াহ্হাবু পবিত্র গুণবাচক নামের জিকির ১০০ বার অথবা ৫০ বার পাঠ করে। তবে অবশ্যই তার রিজিকের অভাব থাকবে না।
দোয়ার উৎস
কুরআনুল কারিমে হজরত মুসা আলাইহিস সালামের একটি আকুতি ও আল্লাহর কাছে আশ্রয় লাভ ও কাজ অনুসন্ধানের আহ্বান উঠে এসেছে। কুরআনে সে ঘটনাটি এভাবে এসেছে-
মুসা আলাইহিস সালাম ফেরাউনের ঘরে থেকে বেরিয়ে আসার পর তার কোথাও যাওয়ার, আশ্রয়ের কিংবা জীবিকার কোনো সংস্থান ছিল না। সে সময় তিনি ফেরাউনের ঘর থেকে বেরিয়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলেন। আল্লাহ বলেন-
‘যখন সে মাদইয়ানের কূপের কাছে পৌঁছল। সেখানে দেখলো একদল লোক তাদের পশুগুলোকে পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের পিছনে দু’জন নারী তাদের পশুগুলোকে আগলে আছে। মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, তোমাদের কি হলো? (দাঁড়িয়ে আছ কেন?) ওরা (নারী) বলল, রাখালরা ওদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না গেলে আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না। আর আমাদের পিতা অতি বৃদ্ধ মানুষ।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৩)
এর পরের আয়াতেই মুসা আলাইহিস সালামের কাজ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়ার আবেদন এসেছে।
ভালো চাকরি পেতে যে এ দোয়া কার্যকরী তা পরের ঘটনাতেই প্রমাণিত। আল্লাহ বলেন-
‘তখন (ওই) দুই নারীর একজন লজ্জাজড়িত পদে তার কাছে এসে বললো, আপনি যে আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করিয়েছেন, তার পারিশ্রমিক দেয়ার জন্য আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন। অতঃপর মুসা আলাইহিস সালাম তার কাছে এসে সব ঘটনা বর্ণনা করলে সে বলল, ‘ভয় করো না। তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কবল থেকে বেঁচে গেছ। ওদের (দুই নারীর) একজন বলল, হে আব্বা! আপনি একে মজুর হিসেবে নিযুক্ত করুন। কারণ আপনার মজুর হিসেবে নিশ্চয় সে (মুসা) উত্তম হবে, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৫-২৬)
এভাবে হজরত মুসা আলাইহিস সালাম এ আহ্বানের ফলে আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তম কর্মক্ষেত্র ও জীবিকা লাভ করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উত্তম কাজ বা চকরির জন্য উল্লেখিত দোয়া ও তাসবিহ এর নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন।
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
- রমজান মাসের ৯টি ফজিলত
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
নামকরণ
২৫ আয়াতের (আরবী) বাক্যংশ থেকে সূরার নামকরণ করা হয়েছে । অর্থাৎ যে সূরায় (আরবী) শব্দটি এসেছে । আভিধানিক অর্থে কাসাস বলতে ধারাবাহিকভাবে ঘটনা বর্ণনা করা বুঝায় । এ দিক দিয়ে এ শব্দটি অর্থের দিক দিয়েও এ সূরার শিরোনাম হতে পারে । কারণ এর মধ্যে হযরত মূসার কাহিনী বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে ।
নাযিলের হওয়ার সময়-কাল
সূরা নামলের ভূমিকায় আমি ইবনে আব্বাস (রা) ও জাবের ইবনে যায়েদের (রা) একটি উক্তি উদ্ধৃত করে এসেছি । তাতে বলা হয়েছিল, সুরা শু’আরা, সুরা নামল ও সূরা কাসাস একের পর এক নাযিল হয় । ভাষা, বর্ণনাভংগী ও বিষয়বস্তু থেকেও একথাই অনুভূত হয় যে, এ তিনটি সূরা প্রায় একই সময় নাযিল হয় । আবার এদিক দিয়েও এদের মধ্যে নিকটতম সম্পর্ক রয়েছে যে, এ সূরাগুলোতে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের কাহিনীর যে বিভিন্ন অংশ বর্ণনা করা হয়েছে সেগুলো পরস্পর মিলিত আকারে একটি পূর্ণ কাহিনীতে পরিণত হয়ে যায় । সূরা শু’আরায় নবুওয়াতের দায়িত্ব গ্রহণ করার ব্যাপারে অক্ষমতা প্রকাশ করে হযরত মূসা বলেনঃ “ফেরাউনী জাতির বিরুদ্ধে একটি অপরাধের জন্য আমি দায়ী । এ কারণে আমার ভয় হচ্ছে, সেখানে গেলেই তারা আমাকে হত্যা করে ফেলবে । ” তারপর হযরত মূসা যখন ফেরাউনের কাছে যান তখন সে বলেঃ “আমরা কি তোমাকে আমাদের এখানে ছোট্ট শিশুটি থাকা অবস্থায় লালন পালন করিনি? এবং তুমি আমাদের এখানে কয়েক বছর থাকার পর যা করে গেছো তাতো করেছই । ” এ দু’টি কথার কোন বিস্তারিত বর্ণনা সেখানে নেই । এ সূরায় তার বিস্তারিত বিবরণ এসে গেছে । অনুরূপভাবে সূরা নামলে এ কাহিনী সহসা একথার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে যে, হযরত মূসা তাঁর পরিবার পরিজনদের নিয়ে যাচ্ছিলেন এমন সময় হঠাৎ তিনি একটি আগুন দেখলেন । এটা কোন ধরনের সফর ছিল, তিনি কোথায় থেকে আসছিলেন এবং কোথায় যাচ্ছিলেন এর কোন বিবরণ সেখানে নেই । এর বিস্তারিত বিবরণ এ সূরায় পাওয়া যায় । এভাবেএ তিনটি সূরা মিলে হযরত মূসা আলাইহিস সালামের কাহিনীকে পূর্ণাঙ্গ রূপদান করেছে ।
বিষয়বস্তু ও আলোচ্য বিষয়
এর বিষয়বস্তু হচ্ছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রিসালাতের বিরুদ্ধে যেসব সন্দেহ ও আপত্তি উত্থাপন করা হচ্ছিল সেগুলো দূর করা এবং তাঁর প্রতি ঈমান আনার ব্যাপারে যেসব ওজুহাত পেশ করা হচ্ছিল সেগুলো নাকচ করে দেয়া ।
এ উদ্দেশ্যে প্রথমে বর্ণনা করা হয়েছে হযরত মূসার কাহিনী” । সুরা নাযিলের সময়কালীন অবস্থা সাথে মিলে এ কাহিনী স্বতষ্ফূর্তভাবেই শ্রোতার মনে কতিপয় সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়ঃ
একঃ আল্লাহ যা কিছু করতে চান সে জন্য তিনি সবার অলক্ষ্যে কার্যকারণ ও উপায়-উপরকণ সংগ্রহ করে দেন । যে শিশুর হাতে শেষ পর্যন্ত ফেরাউনের রাজরত্বের অবসান ঘটবার কথা, তাকে আল্লাহ স্বয়ং ফেরাউনের গৃহে তার নিজের হাতেই প্রতিপালনের ব্যবস্থা করেন এবং ফেরাউন জানতে পারেনি সে কাকে প্রতিতপালন করছেন । সেই আল্লাহর ইচ্ছার সাথে কে লড়াই করতে পারে এবং তাঁর মোকাবিলায় কার কৌশল সফল হতে পারে ।
দুইঃ কোন বিরাট জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করে এবং আকাশ ও পৃথিবীতে কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার মাধ্যমে কাউকে এ নবুওয়াত দান করা হয় না । তোমরা অবাক ইচ্ছো, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোথা থেকে চুপিচুপি এ নবুওয়াত লাভ করেন এবং ঘরে বসে বসে তিনি কেমন করে নবী হয়ে গেলেন । কিন্তু তোমরা নিজেরাই যে মুসা আলাইহিস সালামের বরাত দিয়ে থাকে যে, (আরবী) (৪৮ আয়াত) তিনিও এভাবে পথে চলার সময় নবুওয়াত লাভ করেছিলেন এবং সেদিন সিনাই পাহাড়ের নিঝুম উপত্যকায় কি ঘটনা ঘটে গেলো তা ঘূণাক্ষরেও কেউ জানতে পারলো না । মূসা নিজেও এক সেকেণ্ড আগে জানতেন না তিনি কি জিনিস পেতে যাচ্ছেন । যাচ্ছিলেন আগুন আনতে, পেয়ে গেলেন পয়গম্বরী ।
তিনঃ যে বান্দার সাহায্যে আল্লাহ কোন কাজ নিতে চান, কোন দলবল-সেনাবাহিনী ও সাজ-সরঞ্জাম ছাড়াই তার উত্থান ঘটে থাকে । কেউ তাঁর সাহায্যকারী হয় না । বাহ্যত তার কাছে কোন শক্তির বহর থাকে না । কিন্তু বড় বড় দলবল, সেনাবাহিনী ও সাজ-সরঞ্জাম ওয়ালারা শেষ পর্যন্ত তার মোকাবিলায় ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে যায় । তোমরা আজ তোমাদের ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মধ্যে যে আনুপাতিক পার্থক্য দেখতে পাচ্ছো তার চেয়ে অনেক বেশী পার্থক্য ছিল মূসা আলাইহিস সালাম ও ফেরাউনের শক্তির মধ্যে । কিন্তু দেখে নাও কে জিতলো এবং কে হারলো।
চারঃ তোমরা বার বার মূসার বরাত দিয়ে থাকো । তোমরা বলে থাকো, মূসাকে যা দেয়া হয়েছিল তা মুহাম্মাদকে দেয়া হলো না কেন? অর্থাৎ লাঠি, সাদা হাত ও অন্যান্য প্রকাশ্য মু’জিযা সমূহ । ভাবখানা এ রকম যেন তোমরা ঈমান আনার জন্য তৈরী হয়েই বসে আছো, এখন শুধু তোমাদেরকে সেই মু’জিযাগুলো দেখাতে হবে যা মূসা ফেরাউনকে দেখিয়েছিলেন । তোমর তার অপেক্ষায় রয়েছো । কিন্তু যাদেরকে এসব মু’জিয়া দেখানো হয়েছিল তারা কি করেছিল তা কি তোমরা জানো? তারা এগুলো দেখেও ঈমান আনেনি । তারা নির্দ্বিধায় বলেছিল, এসব জাদু । কারণ তারা সত্যের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও হঠকারিতায় লিপ্ত হয়েছিল । এই একই রোগে আজ তোমরাও ভুগছো । তোমরা কি ঐ ধরনের মু’জিযা দেখে ঈমান আনবে? তারপর তোমরা কি এ খবরও রাখো, যারা ঐ মু’জিযা দেখে সত্যকে অস্বীকার করেছিল তাদের পরিণাম কি হয়েছিল? শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন । এখন তোমরাও কি একই প্রকার হঠকারিতা সহকারে মু’জিযা দাবী জানিয়ে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনতে চাচ্ছো?
মক্কার কুফরী ভারাক্রান্ত পরিবেশে যে ব্যক্তি হযরত মূসার এ কাহিনী শুনতো তার মনে কোন প্রকার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ছাড়াই আপনা আপনিই একথাগুলো বদ্ধমূল হয়ে যেতো । কারণ সেসময় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম ও মক্কার কাফেরদের মধ্যে ঠিক তেমনি ধরনের একটি দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলছিল যেমন ইতিপূর্বে চলেছিল ফেরাউন ও হযরত মূসা আলাইহিস সালামের মধ্যে । এ অবস্থায় এ কাহিনী শুনাবার অর্থ ছিল এই যে, এর প্রত্যেকটি অংশ সম সাময়িক অবস্থার ওপর আপনা আপনি প্রযুক্ত হয়ে যেতে থাকবে । যদি এমন একটি কথাও না বলা হয়ে থাকে যার মাধ্যমে কাহিনীর কোন অংশটি সে সময়ের কোন অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যশীল তা জানা যায়, তাহলেও তাতে কিছু এসে যায় না ।
এরপর পঞ্চম রুকু’ থেকে মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে সরাসরি আলোচনা শুরু হয়েছে । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মী তথা নিরক্ষর হওয়া সত্ত্বেও দু’হাজার বছর আগের ঐতিহাসিক ঘটনা একেবারে হুবহু শুনিয়ে যাচ্ছেন, অথচ তাঁর শহর ও তাঁর বংশের লোকেরা ভালোভাবেই জানতো, তাঁর কাছে এসব তথ্য সংগ্রত করার জন্য উপযুক্ত কোন উপায় উপকরণ ছিল না । প্রথমে এ বিষয়টিকে তাঁর নবুওয়াতের প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হয় ।
তারপর তাঁকে নবুওয়াত দান করার ব্যাপারটিকে তাদের পক্ষে আল্লাহর রহমত হিসেবে গণ্য করা হয় । কারণ তারা গাফিলতির মধ্যে ডুবে গিয়েছিল এবং আল্লাহ তাদের সৎপথ দেখাবার জন্য এ ব্যবস্থা করেন ।
তারপর তারা বারবার “এই নবী এমন সব মু’জিযা আনছেন না কেন? যা ইতিপূর্বে মূসা এনেছিলেন । ” এ মর্মে যে অভিযোগ করছিল তার জবাব দেয়া হয় । তাদেরকে বলা হয়, মূসার ব্যাপারে তোমরা স্বীকার করছো যে, তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে মু’জিযা এনেছিলেন । কিন্তু তাঁকেই বা তোমরা কবে মেনে নিয়েছিলে? তাহলে এখন এ নবীর মু’জিযার দাবী করছো কেন? তোমরা যদি প্রবৃত্তির কামনা বাসনার দাসত্ব না করো, তাহলে সত্য এখনো তোমাদের দৃষ্টিগ্রাহ্য হতে পারে । কিন্তু তোমরা যদি এ রোগে ভূগতে থাকো, তাহলে যে কোন মু’জিযা আসুক না কেন তোমাদের চোখ খুলবে না ।
তারপর সে সময়কার একটি ঘটনার ব্যাপারে মক্কার কাফেরদেরকে শিক্ষা ও লজ্জা দেয়া হয়েছে । ঘটনাটি ছিলঃ সে সময় বাহির থেকে কিছু খৃষ্টান মক্কার আসেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখে কুরআন শুনে ঈমান আনেন । কিন্তু মক্কার লোকেরা নিজেদের গৃহের এ নিয়ামত থেকে লাভবান তো হলোই না । উপরন্তু আবু জেহেল প্রকাশ্যে তাদেরকে লাঞ্ছিত করে ।
সবশেষে মক্কার কাফেররা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা না মানার জন্য তাদের পক্ষ থেকে যে আসল ওযর পেশ করতো সে প্রসংগ আলোচিত হয়েছে । তারা বলতো, যদি আরববাসীদের প্রচলিত পৌত্তলিক ধর্ম ত্যাগ করে আমরা এ নতুন তাওহীদী ধর্ম গ্রহণ করি, তাহলে সহসাই এদেশ থেকে আমাদের ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নেতৃত্ব খতম হয়ে যাবে । তখন আমাদের অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছুবে যার ফলে আমরা আরবের সবচেয়ে বেশী প্রভাবশালী গোত্রের মর্যাদা হারিয়ে বসবো এবং এ ভূ-খণ্ডে আমাদের জন্য কোন আশ্রয়স্থলও থাকবে না । এটিই ছিল কুরাইশ সরদারদের সত্য বৈরিতার মূল উদ্যোক্তা । অন্যান্য সমস্ত সন্দেহ, অভিযোগ, আপত্তি ছিল নিছক বাহানাবাজী । জনগণকে প্রতারিত করার জন্য তারা সেগুলো সময়মতো তৈরী করে নিতো । তাই আল্লাহ সূরার শেষ পর্যন্ত এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং এক একটি দিকের ওপর আলোকপাত করে অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এমন সমস্ত মৌলিক রোগের চিকিৎসা করেছেন যেগুলোর কারণে তারা পার্থিব ও বৈষয়িক স্বার্থের দৃষ্টিতে সত্য ও মিথ্যার ফায়সালা করতো ।
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
সুরা নং- ০২৮ : আল-কসাস
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
طسٓمٓ ١
আরবি উচ্চারণ ২৮.১। ত্বোয়া-সী য় ম্ মী-ম্ ।
বাংলা অনুবাদ ২৮.১ ত্বা-সীন-মীম।
تِلۡكَ ءَايَـٰتُ ٱلۡكِتَـٰبِ ٱلۡمُبِينِ ٢
আরবি উচ্চারণ ২৮.২। তিল্কা আ-ইয়া-তুল্ কিতা-বিল্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.২ এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
نَتۡلُواْ عَلَيۡكَ مِن نَّبَإِ مُوسَىٰ وَفِرۡعَوۡنَ بِٱلۡحَقِّ لِقَوۡمٍ۬ يُؤۡمِنُونَ ٣
আরবি উচ্চারণ ২৮.৩। নাত্লু ‘আলাইকা মিন্ নাবা-য়ি মূসা-অ র্ফি‘আউনা বিল্হাক ক্বি লিক্বওমিঁ ইয়ুমিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৩ আমি তোমার কাছে পাঠ করছি মূসা ও ফির‘আউনের কিছু বৃত্তান্ত যথাযথভাবে, এমন লোকদের জন্য যারা ঈমান আনে।
إِنَّ فِرۡعَوۡنَ عَلَا فِى ٱلۡأَرۡضِ وَجَعَلَ أَهۡلَهَا شِيَعً۬ا يَسۡتَضۡعِفُ طَآٮِٕفَةً۬ مِّنۡہُمۡ يُذَبِّحُ أَبۡنَآءَهُمۡ وَيَسۡتَحۡىِۦ نِسَآءَهُمۡۚ إِنَّهُ ۥ كَانَ مِنَ ٱلۡمُفۡسِدِينَ ٤
আরবি উচ্চারণ ২৮.৪। ইন্না র্ফি‘আউনা ‘আলা-ফিল্ র্আদ্বি অজ্বা‘আলা আহ্লাহা-শিয়া‘আইঁ ইয়াস্ তাদ্ব্‘ঈফু ত্বোয়া-য়িফাতাম্ মিন্হুম্ ইয়ুযাব্বিহু আব্না-য়া হুম্ অ ইয়াস্তাহ্য়ী নিসা-য়া হুম্; ইন্নাহূ কা-না মিনাল্ মুফ্সিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৪ নিশ্চয় ফির‘আউন (মিশর) দেশে উদ্ধত হয়েছিল এবং তার অধিবাসীকে নানা দলে বিভক্ত করেছিল। তাদের একদলকে সে দুর্বল করে রেখেছিল, যাদের পুত্রদেরকে সে হত্যা করত আর কন্যাদেরকে বাঁচিয়ে রাখত। নিশ্চয় সে ছিল বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের অন্যতম।
وَنُرِيدُ أَن نَّمُنَّ عَلَى ٱلَّذِينَ ٱسۡتُضۡعِفُواْ فِى ٱلۡأَرۡضِ وَنَجۡعَلَهُمۡ أَٮِٕمَّةً۬ وَنَجۡعَلَهُمُ ٱلۡوَٲرِثِينَ ٥
আরবি উচ্চারণ ২৮.৫। অ নুরীদু আন্ নামুন্না ‘আলাল্লাযীনাস্ তুদ্ব্‘ইফূ ফিল্ র্আদ্বি অনাজ‘আলাহুম্ আয়িম্মাতাঁও অনাজ্ব্‘আলা-হুমুল্ ওয়া-রিছীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৫ আর আমি চাইলাম সেই দেশে যাদেরকে দুর্বল করে রাখা হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে এবং তাদেরকে নেতা বানাতে, আর তাদেরকে উত্তরাধিকারী বানাতে।
وَنُمَكِّنَ لَهُمۡ فِى ٱلۡأَرۡضِ وَنُرِىَ فِرۡعَوۡنَ وَهَـٰمَـٰنَ وَجُنُودَهُمَا مِنۡهُم مَّا ڪَانُواْ يَحۡذَرُونَ ٦
আরবি উচ্চারণ ২৮.৬। অ নুমাক্কিনা লাহুম্ ফিল্ র্আদ্বি অ নুরিয়া র্ফি‘আউনা অহা-মা-না অজুনূদাহুমা- মিন্হুম্ মা-কা-নূ ইয়াহ্যারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৬ আর যমীনে তাদেরকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে এবং ফির‘আউন, হামান ও তাদের সৈন্যদেরকে দেখিয়ে দিতে, যা তারা তাদের কাছ থেকে আশঙ্কা করছিল।
وَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰٓ أُمِّ مُوسَىٰٓ أَنۡ أَرۡضِعِيهِۖ فَإِذَا خِفۡتِ عَلَيۡهِ فَأَلۡقِيهِ فِى ٱلۡيَمِّ وَلَا تَخَافِى وَلَا تَحۡزَنِىٓۖ إِنَّا رَآدُّوهُ إِلَيۡكِ وَجَاعِلُوهُ مِنَ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ٧
আরবি উচ্চারণ ২৮.৭। অআওহাইনা য় ইলা য় উম্মি মূসা য় আন্ র্আদ্বি‘ঈহি ফাইযা-খিফ্তি ‘আলাইহি ফাআল্ক্বীহি ফিল্ ইয়াম্মি অলা-তাখ-ফী অলা তাহ্যানী ইন্না রা-দুহু ইলাইকি অজ্বা-‘ইলূহু মিনাল্ মুরসালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৭ আর আমি মূসার মায়ের প্রতি নির্দেশ পাঠালাম, ‘তুমি তাকে দুধ পান করাও। অতঃপর যখন তুমি তার ব্যাপারে আশঙ্কা করবে, তখন তাকে দরিয়ায় নিক্ষেপ করবে। আর তুমি ভয় করবে না এবং চিন্তা করবে না। নিশ্চয় আমি তাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দেব এবং তাকে রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত করব’।
فَٱلۡتَقَطَهُ ۥۤ ءَالُ فِرۡعَوۡنَ لِيَڪُونَ لَهُمۡ عَدُوًّ۬ا وَحَزَنًاۗ إِنَّ فِرۡعَوۡنَ وَهَـٰمَـٰنَ وَجُنُودَهُمَا ڪَانُواْ خَـٰطِـِٔينَ ٨
আরবি উচ্চারণ ২৮.৮। ফাল্তাক্বত্বোয়াহূ য় আ-লু র্ফি‘আউনা লিইয়াকূনা লাহুম্ ‘আদুঅও অ হাযানা-; ইন্না র্ফি‘আউনা অহা-মা-না অ জুনূদাহুমা- কা-নূ খত্বিয়ীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৮ অতঃপর ফির‘আউন পরিবার তাকে উঠিয়ে নিল, পরিণামে সে তাদের শত্র“ ও দুঃশ্চিন্তার কারণ হবে। নিশ্চয় ফির‘আউন, হামান ও তাদের সৈন্যরা ছিল অপরাধী।
وَقَالَتِ ٱمۡرَأَتُ فِرۡعَوۡنَ قُرَّتُ عَيۡنٍ۬ لِّى وَلَكَۖ لَا تَقۡتُلُوهُ عَسَىٰٓ أَن يَنفَعَنَآ أَوۡ نَتَّخِذَهُ ۥ وَلَدً۬ا وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ ٩
আরবি উচ্চারণ ২৮.৯। অক্ব-লাতিম্ রয়াতু র্ফি‘আউনা ক্বর্ রতু ‘আইনিল্লী অলাকা; লা-তাকতুলূহু ‘আসা য় আঁই ইয়্যান্ফাআ’না য় আও নাত্তাখিযাহূ অলাদাঁও অহুম্ লা-ইয়াশ‘উরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৯ আর ফির‘আউনের স্ত্রী বলল, ‘এ শিশুটি আমার ও তোমার চক্ষু শীতলকারী, তাকে হত্যা করো না। আশা করা যায়, সে আমাদের কোন উপকারে আসবে। অথবা আমরা তাকে সন্তান হিসেবে গ্রহণ করতে পারি’। অথচ তারা উপলব্ধি করতে পারেনি।
وَأَصۡبَحَ فُؤَادُ أُمِّ مُوسَىٰ فَـٰرِغًاۖ إِن ڪَادَتۡ لَتُبۡدِى بِهِۦ لَوۡلَآ أَن رَّبَطۡنَا عَلَىٰ قَلۡبِهَا لِتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١٠
আরবি উচ্চারণ ২৮.১০। অআছ্বাহা-ফুয়া- দু উম্মি মূসা-ফা-রিগ-; ইন্ কা-দাত্ লাতুব্দী বিহী লাওলা য় র্আরবাত্ব ্না- ‘আলা-ক্বল্বিহা-লিতাকূনা মিনাল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.১০ আর মূসার মায়ের অন্তর বিচলিত হয়ে উঠেছিল। সে তো তার পরিচয় প্রকাশ করেই দিত, যদি আমি তার অন্তরকে দৃঢ় করে না দিতাম, যাতে সে আস্থাশীলদের অন্তর্ভুক্ত হয়।
وَقَالَتۡ لِأُخۡتِهِۦ قُصِّيهِۖ فَبَصُرَتۡ بِهِۦ عَن جُنُبٍ۬ وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ ١١ ۞
আরবি উচ্চারণ ২৮.১১। অক্ব-লাত্ লিউখ্তিহী কুছ্ছীহি ফাবাছোয়ারত বিহী ‘আন্ জুনুবিঁও অহুম্ লা-ইয়াশ্‘উরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.১১ আর সে মূসার বোনকে বলল, ‘এর পিছনে পিছনে যাও’। সে দূর থেকে তাকে দেখছিল, কিন্তু তারা টের পায়নি।
وَحَرَّمۡنَا عَلَيۡهِ ٱلۡمَرَاضِعَ مِن قَبۡلُ فَقَالَتۡ هَلۡ أَدُلُّكُمۡ عَلَىٰٓ أَهۡلِ بَيۡتٍ۬ يَكۡفُلُونَهُ ۥ لَڪُمۡ وَهُمۡ لَهُ ۥ نَـٰصِحُونَ ١٢
আরবি উচ্চারণ ২৮.১২। অ র্হারম্না- ‘আলাইহিল্ মার-দ্বি‘আ মিন্ ক্বব্লু ফাক্ব-লাত্ হাল্ আদুল্লুকুম্ ‘আলা য় আহ্লি বাইতিঁ ইয়াক্ফুলূনাহূ লাকুম্ অহুম্ লাহূ না-ছিহূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.১২ আর আমি তার জন্য পূর্ব থেকেই ধাত্রী (স্তন্য পান) নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলাম। তারপর মূসার বোন এসে বলল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি পরিবারের সন্ধান দেব, যারা এ শিশুটিকে তোমাদের পক্ষে লালন পালন করবে এবং তারা তার শুভাকাক্সক্ষী হবে’।
فَرَدَدۡنَـٰهُ إِلَىٰٓ أُمِّهِۦ كَىۡ تَقَرَّ عَيۡنُهَا وَلَا تَحۡزَنَ وَلِتَعۡلَمَ أَنَّ وَعۡدَ ٱللَّهِ حَقٌّ۬ وَلَـٰكِنَّ أَڪۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ١٣
আরবি উচ্চারণ ২৮.১৩। ফারদাদ্না-হু ইলা য় উম্মিহী কাই তার্ক্বর ‘আইনুহা-‘অলা-তাহ্যানা অলিতা’লামা আন্না অদাল্লা-হি হাক্ব্ কুঁও অলা-কিন্না আক্ছারহুম্ লা-ইয়া’লামূন্ ।
বাংলা অনুবাদ ২৮.১৩ অতঃপর আমি তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলাম, যাতে তার চোখ জুড়ায় এবং সে যেন কোন দুশ্চিন্তা না করে। আর সে যেন জানতে পারে যে, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
وَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُ ۥ وَٱسۡتَوَىٰٓ ءَاتَيۡنَـٰهُ حُكۡمً۬ا وَعِلۡمً۬اۚ وَكَذَٲلِكَ نَجۡزِى ٱلۡمُحۡسِنِينَ ١٤
আরবি উচ্চারণ ২৮.১৪। অ লাম্মা-বালাগ আশুদ্দাহূ অস্তাওয়া য় আ-তাইনা-হু হুক্মাঁও অ‘ইল্মা-; অকাযা-লিকা নাজ¦্যিল্ মুহ্সিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.১৪ আর মূসা যখন যৌবনে পদার্পণ করল এবং পরিণত বয়স্ক হলো, তখন আমি তাকে বিচারবুদ্ধি ও জ্ঞান দান করলাম। আর এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কার দিয়ে থাকি।
وَدَخَلَ ٱلۡمَدِينَةَ عَلَىٰ حِينِ غَفۡلَةٍ۬ مِّنۡ أَهۡلِهَا فَوَجَدَ فِيہَا رَجُلَيۡنِ يَقۡتَتِلَانِ هَـٰذَا مِن شِيعَتِهِۦ وَهَـٰذَا مِنۡ عَدُوِّهِۦۖ فَٱسۡتَغَـٰثَهُ ٱلَّذِى مِن شِيعَتِهِۦ عَلَى ٱلَّذِى مِنۡ عَدُوِّهِۦ فَوَكَزَهُ ۥ مُوسَىٰ فَقَضَىٰ عَلَيۡهِۖ قَالَ هَـٰذَا مِنۡ عَمَلِ ٱلشَّيۡطَـٰنِۖ إِنَّهُ ۥ عَدُوٌّ۬ مُّضِلٌّ۬ مُّبِينٌ۬ ١٥
আরবি উচ্চারণ ২৮.১৫। অ দাখালাল্ মাদীনাতা ‘আলা-হীনি গাফ্লাতিম্ মিন্ আহ্লিহা- ফাওয়াজ্বাদা ফীহা-রজুলাইনি ইয়াকতাতিলা-নি হাযা-মিন্ শী‘আতিহী অ হাযা-মিন্ ‘আদুওয়্যিহী ফাস্তাগা-ছাহুল্ লাযী মিন্ শী ‘আতিহী ‘আলাল্লাযী মিন্ ‘আদুওয়িহী ফা অকাযাহূ মূসা-ফাক্বদ্বোয়া ‘আলাইহি ক্ব-লা হাযা-মিন্ ‘আমালিশ্ শাইত্বোয়ান্’ ইন্নাহূ ‘আদুওয়্যুম্ মুদ্বিল্লুম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.১৫ আর সে শহরে প্রবেশ করল, যখন তার অধিবাসীরা ছিল অসতর্ক। তখন সেখানে সে দু’জন লোককে সংঘর্ষে লিপ্ত অবস্থায় পেল। একজন তার নিজের দলের এবং অপরজন তার শত্র“দলের। তখন তার নিজের দলের লোকটি তার শত্র“দলের লোকটির বিরুদ্ধে তার কাছে সাহায্য চাইল। অতঃপর মূসা তাকে ঘুষি মারল ফলে সে তাকে মেরে ফেলল। মূসা বলল, ‘এটা শয়তানের কাজ। নিশ্চয় সে পথভ্রষ্টকারী প্রকাশ্য শত্র“’।
قَالَ رَبِّ إِنِّى ظَلَمۡتُ نَفۡسِى فَٱغۡفِرۡ لِى فَغَفَرَ لَهُ ۥۤۚ إِنَّهُ ۥ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ ١٦
আরবি উচ্চারণ ২৮.১৬। ক্ব-লা রব্বি ইন্নী জোয়ালাম্তু নাফ্সী ফার্গ্ফিলী ফাগফার লাহ্;ইন্নাহূ হুওয়াল্ গফূর্রু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.১৬ সে বলল, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমি আমার নফ্সের প্রতি যুলম করেছি, সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন’। অতঃপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন। নিশ্চয় তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
قَالَ رَبِّ بِمَآ أَنۡعَمۡتَ عَلَىَّ فَلَنۡ أَكُونَ ظَهِيرً۬ا لِّلۡمُجۡرِمِينَ ١٧
আরবি উচ্চারণ ২৮.১৭। ক্ব-লা রব্বি বিমা য় আন্‘আম্তা ‘আলাইয়্যা ফালান্ আকূনা জোয়াহীরল্ লিল্মুজ্বরিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.১৭ মূসা বলল, ‘হে আমার রব, আপনি যেহেতু আমার প্রতি নিআমত দান করেন, তাই আমি কখনো আর অপরাধীদের সাহায্যকারী হব না।
فَأَصۡبَحَ فِى ٱلۡمَدِينَةِ خَآٮِٕفً۬ا يَتَرَقَّبُ فَإِذَا ٱلَّذِى ٱسۡتَنصَرَهُ ۥ بِٱلۡأَمۡسِ يَسۡتَصۡرِخُهُ ۥۚ قَالَ لَهُ ۥ مُوسَىٰٓ إِنَّكَ لَغَوِىٌّ۬ مُّبِينٌ۬ ١٨
আরবি উচ্চারণ ২৮.১৮। ফায়াছ্বাহা ফিল্ মাদীনাতি খ-য়িফাইঁ ইয়াতারকক্ববু ফাইযাল্লাযিস্ তান্ছোয়ারহূ বিল্আম্সি ইয়াস্তাছ্রিখুহ্; ক্ব-লা লাহূ মূসা য় ইন্নাকা লাগাওয়িয়্যুম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.১৮ অতঃপর ভীত প্রতীক্ষারত অবস্থায় সেই শহরে তার সকাল হল। হঠাৎ সে শুনতে পেল, যে লোকটি গতকাল তার কাছে সাহায্য চেয়েছিল, সে আবার সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে। মূসা তাকে বলল, ‘নিশ্চয় তুমি তো একজন স্পষ্ট বিভ্রান্ত ব্যক্তি’।
فَلَمَّآ أَنۡ أَرَادَ أَن يَبۡطِشَ بِٱلَّذِى هُوَ عَدُوٌّ۬ لَّهُمَا قَالَ يَـٰمُوسَىٰٓ أَتُرِيدُ أَن تَقۡتُلَنِى كَمَا قَتَلۡتَ نَفۡسَۢا بِٱلۡأَمۡسِۖ إِن تُرِيدُ إِلَّآ أَن تَكُونَ جَبَّارً۬ا فِى ٱلۡأَرۡضِ وَمَا تُرِيدُ أَن تَكُونَ مِنَ ٱلۡمُصۡلِحِينَ ١٩
আরবি উচ্চারণ ২৮.১৯। ফালাম্মা য় আন আর-দা আঁই ইয়াব্ত্বিশা বিল্লাযী হুয়া‘আদুওয়্যুল্ লাহুমা-ক্ব-লা ইয়া- মূসা য় আতুরীদু আন্ তাকতুলানী কামা-ক্বতাল্তা নাফ্সাম্ বিল্আম্সি ইন্ তুরীদু ইল্লা য় আন্ তাকূনা জ্বাব্বা-রন্ ফিল্ র্আদ্বি অমা-তুরীদু আন্ তাকূনা মিনাল্ মুছ্লিহীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.১৯ অতঃপর মূসা যখন উভয়েরই শত্র“কে ধরতে চাইল, তখন লোকটি বলে উঠল, ‘হে মূসা, তুমি কি আমাকেও হত্যা করতে চাও? যেমন গতকাল একটি লোককে তুমি হত্যা করেছ? তুমি তো যমীনে কেবল স্বৈরাচারী হতে চাচ্ছ। আর তুমি তো সংশোধনকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে চাচ্ছ না’।
وَجَآءَ رَجُلٌ۬ مِّنۡ أَقۡصَا ٱلۡمَدِينَةِ يَسۡعَىٰ قَالَ يَـٰمُوسَىٰٓ إِنَّ ٱلۡمَلَأَ يَأۡتَمِرُونَ بِكَ لِيَقۡتُلُوكَ فَٱخۡرُجۡ إِنِّى لَكَ مِنَ ٱلنَّـٰصِحِينَ ٢٠
আরবি উচ্চারণ ২৮.২০। অজ্বা-য়া রাজুলুম্ মিন্ আকছোয়াল্ মাদীনাতি ইয়াস্ ‘আ- ক্ব-লা ইয়া-মূসা য় ইন্নাল্ মালায়া ইয়াতামিরূনা বিকা লিইয়াকতুলূকা ফাখ্রুজ ইন্নী লাকা মিনান্ না-ছিহীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.২০ আর শহরের দূরপ্রান্ত থেকে একজন লোক ছুটে আসল। সে বলল, ‘হে মূসা, নিশ্চয় পারিষদবর্গ তোমাকে হত্যার পরামর্শ করছে, তাই তুমি বেরিয়ে যাও, নিশ্চয় আমি তোমার জন্য কল্যাণকামীদের একজন’।
فَخَرَجَ مِنۡہَا خَآٮِٕفً۬ا يَتَرَقَّبُۖ قَالَ رَبِّ نَجِّنِى مِنَ ٱلۡقَوۡمِ ٱلظَّـٰلِمِينَ ٢١
আরবি উচ্চারণ ২৮.২১। ফাখরজ্বা মিন্হা-খ-য়িফাইঁ ইয়াতারক্ক্ববু ক্ব-লা রব্বি নাজজ্বিনী মিনাল্ ক্বওমিজ্ জোয়া-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.২১ তখন সে ভীত প্রতীক্ষারত অবস্থায় শহর থেকে বেরিয়ে পড়ল। বলল, ‘হে আমার রব, আপনি যালিম কওম থেকে আমাকে রক্ষা করুন’।
وَلَمَّا تَوَجَّهَ تِلۡقَآءَ مَدۡيَنَ قَالَ عَسَىٰ رَبِّىٓ أَن يَهۡدِيَنِى سَوَآءَ ٱلسَّبِيلِ ٢٢
আরবি উচ্চারণ ২৮.২২। অলাম্মা-তাওয়াজ্জহা -তিল্ক্ব-য়া মাদ্ইয়ানা ক্ব-লা ‘আসা রাব্বী য় আইঁ ইয়াহ্দিয়ানী সাওয়া-য়াস্ সাবীল্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.২২ আর যখন মূসা মাদইয়ান অভিমুখে রওয়ানা করল, তখন বলল, ‘আশা করি আমার রব আমাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন’।
وَلَمَّا وَرَدَ مَآءَ مَدۡيَنَ وَجَدَ عَلَيۡهِ أُمَّةً۬ مِّنَ ٱلنَّاسِ يَسۡقُونَ وَوَجَدَ مِن دُونِهِمُ ٱمۡرَأَتَيۡنِ تَذُودَانِۖ قَالَ مَا خَطۡبُكُمَاۖ قَالَتَا لَا نَسۡقِى حَتَّىٰ يُصۡدِرَ ٱلرِّعَآءُۖ وَأَبُونَا شَيۡخٌ۬ ڪَبِيرٌ۬ ٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৮.২৩। অলাম্মা-অরদা মা-য়া মাদ্ইয়ানা অজ্বাদা ‘আলাইহি উম্মাতাম্ মিনান্না-সি ইয়াস্ক্ব না অওয়াজ্বাদা মিন্ দূনিহিমুম্ রয়াতাইনি তাযূদা-নি ক্ব-লা মা-খতবুকুমা-; ক্ব-লাতা লা-নাস্ক্বী হাত্তা-ইয়ুছ্দির্র রি‘আ-য়ু অআবূনা শাইখুন্ কার্বী।
বাংলা অনুবাদ ২৮.২৩ আর যখন সে মাদইয়ানের পানির নিকট উপনীত হল, তখন সেখানে একদল লোককে পেল, যারা (পশুদের) পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের ছাড়া দু’জন নারীকে পেল, যারা তাদের পশুগুলোকে আগলে রাখছে। সে বলল, ‘তোমাদের ব্যাপার কী’? তারা বলল, ‘আমরা (আমাদের পশুগুলোর) পানি পান করাতে পারি না। যতক্ষণ না রাখালরা তাদের (পশুগুলো) নিয়ে সরে যায়। আর আমাদের পিতা অতিবৃদ্ধ’।
فَسَقَىٰ لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّىٰٓ إِلَى ٱلظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّى لِمَآ أَنزَلۡتَ إِلَىَّ مِنۡ خَيۡرٍ۬ فَقِيرٌ۬ ٢٤
আরবি উচ্চারণ ২৮.২৪। ফাসাক্ব-লাহুমা-ছুম্মা তাওয়াল্লা য় ইলাজ্ জিল্লি ফাক্ব-লা রব্বি ইন্নী লিমা য় আন্যাল্তা ইলাইয়্যা মিন্ খাইরিন্ ফার্ক্বী।
বাংলা অনুবাদ ২৮.২৪ তখন মূসা তাদের পক্ষে (পশুগুলোকে) পানি পান করিয়ে দিল। তারপর ছায়ায় ফিরে গেল এবং বলল, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাযিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী’।
فَجَآءَتۡهُ إِحۡدَٮٰهُمَا تَمۡشِى عَلَى ٱسۡتِحۡيَآءٍ۬ قَالَتۡ إِنَّ أَبِى يَدۡعُوكَ لِيَجۡزِيَكَ أَجۡرَ مَا سَقَيۡتَ لَنَاۚ فَلَمَّا جَآءَهُ ۥ وَقَصَّ عَلَيۡهِ ٱلۡقَصَصَ قَالَ لَا تَخَفۡۖ نَجَوۡتَ مِنَ ٱلۡقَوۡمِ ٱلظَّـٰلِمِينَ ٢٥
আরবি উচ্চারণ ২৮.২৫। ফাজ্বা-য়াত্হু ইহ্দা-হুমা- তাম্শী ‘আলাস্ তিহ্ইয়া-য়িন্ ক্ব-লাত্ ইন্না আবী ইয়াদ্‘ঊকা লিয়াজযিয়াকা আজ্ব রমা- সাক্বইতা লানা-; ফালাম্মা জ্বা-য়াহূ অক্বছ্ছোয়া ‘আলাইহিল্ ক্বছোয়াছোয়া ক্ব-লা লা-তাখফ্ নাজ্বাওতা মিনাল্ ক্বওমিজ্ জোয়া-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.২৫ অতঃপর নারীদ্বয়ের একজন লাজুকভাবে হেঁটে তার কাছে এসে বলল যে, আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন, যেন তিনি আপনাকে পারিশ্রমিক দিতে পারেন, আমাদের পশুগুলোকে আপনি যে পানি পান করিয়েছেন তার বিনিময়ে’। অতঃপর যখন মূসা তার নিকট আসল এবং সকল ঘটনা তার কাছে খুলে বলল, তখন সে বলল, ‘তুমি ভয় করো না। তুমি যালিম কওম থেকে রেহাই পেয়ে গেছ’।
قَالَتۡ إِحۡدَٮٰهُمَا يَـٰٓأَبَتِ ٱسۡتَـٔۡجِرۡهُۖ إِنَّ خَيۡرَ مَنِ ٱسۡتَـٔۡجَرۡتَ ٱلۡقَوِىُّ ٱلۡأَمِينُ ٢٦
আরবি উচ্চারণ ২৮.২৬। ক্ব-লাত্ ইহ্দা-হুমা-ইয়া য় আবাতিস্ তা’র্জ্বিহু ইন্না খইর মানিস্ তা’র্জ্বাতাল্ ক্বওওয়িয়্যুল আমীন্
বাংলা অনুবাদ ২৮.২৬ নারীদ্বয়ের একজন বলল, ‘হে আমার পিতা, আপনি তাকে মজুর নিযুক্ত করুন। নিশ্চয় আপনি যাদেরকে মজুর নিযুক্ত করবেন তাদের মধ্যে সে উত্তম, যে শক্তিশালী বিশ্বস্ত’।
قَالَ إِنِّىٓ أُرِيدُ أَنۡ أُنكِحَكَ إِحۡدَى ٱبۡنَتَىَّ هَـٰتَيۡنِ عَلَىٰٓ أَن تَأۡجُرَنِى ثَمَـٰنِىَ حِجَجٍ۬ۖ فَإِنۡ أَتۡمَمۡتَ عَشۡرً۬ا فَمِنۡ عِندِكَۖ وَمَآ أُرِيدُ أَنۡ أَشُقَّ عَلَيۡكَۚ سَتَجِدُنِىٓ إِن شَآءَ ٱللَّهُ مِنَ ٱلصَّـٰلِحِينَ ٢٧
আরবি উচ্চারণ ২৮.২৭। ক্ব-লা ইন্নী য় উরীদু আন্ উন্কিহাকা ইহ্দাব্ নাতাইয়্যা হা-তাইনি ‘আলা য় আন্ তাজুরানী ছামা-নিয়া হিজ্বাজ্বিন্ ফাইন্ আত্মাম্তা ‘আশ্রান্ ফামিন্ ‘ইন্দিকা অমা য় উরীদু আন্ আশুকক্বা ‘আলাইক্; সাতাজ্বিদুনী য় ইন্শা-আল্লা-হু মিনাছ্ ছোয়া-লিহীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.২৭ সে বলল, ‘আমি আমার এই কন্যাদ্বয়ের একজনকে তোমার সাথে বিয়ে দিতে চাই এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার মজুরী করবে। আর যদি তুমি দশ বছর পূর্ণ কর, তবে সেটা তোমার পক্ষ থেকে (অতিরিক্ত)। আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। তুমি ইনশাআল্লাহ আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত পাবে’।
قَالَ ذَٲلِكَ بَيۡنِى وَبَيۡنَكَۖ أَيَّمَا ٱلۡأَجَلَيۡنِ قَضَيۡتُ فَلَا عُدۡوَٲنَ عَلَىَّۖ وَٱللَّهُ عَلَىٰ مَا نَقُولُ وَڪِيلٌ۬ ٢٨ ۞
আরবি উচ্চারণ ২৮.২৮। ক্ব-লা যা-লিকা বাইনি অ বাইনাক্; আইয়ামাল্ আজ্বালাইনি ক্বদ্বোয়াইতু ফালা-উদ্ওয়া-না ‘আলাইয়্যা; অল্লা-হু ‘আলা-মা-নাকুলু অকীল্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.২৮ মূসা বলল, ‘এ চুক্তি আমার ও আপনার মধ্যে রইল। দু’টি মেয়াদের যেটিই আমি পূরণ করি না কেন, তাতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে না। আর আমরা যে বিষয়ে কথা বলছি, আল্লাহ তার সাক্ষী’।
فَلَمَّا قَضَىٰ مُوسَى ٱلۡأَجَلَ وَسَارَ بِأَهۡلِهِۦۤ ءَانَسَ مِن جَانِبِ ٱلطُّورِ نَارً۬ا قَالَ لِأَهۡلِهِ ٱمۡكُثُوٓاْ إِنِّىٓ ءَانَسۡتُ نَارً۬ا لَّعَلِّىٓ ءَاتِيكُم مِّنۡهَا بِخَبَرٍ أَوۡ جَذۡوَةٍ۬ مِّنَ ٱلنَّارِ لَعَلَّكُمۡ تَصۡطَلُونَ ٢٩
আরবি উচ্চারণ ২৮.২৯। ফালাম্মা-ক্বাদ্বোয়া-মূসাল্ আজ্বালা অসা-র বিআহ্লিহী য় আ-নাসা মিন্ জ্বা-নিবিত্ব্্ ত্বুরি না-রান্ ক্ব-লা লিআহ্লিহিম্ কুছূ য় ইন্নী আ-নাস্তু না-রল্লা-‘আল্লী য় আ-তীকুম্ মিন্হা-বিখবারিন্ আও জ্বায্ওয়াতিম্ মিনান্না-রি লা‘আল্লাকুম্ তাছ্ত্বোয়ালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.২৯ অতঃপর মূসা যখন মেয়াদ পূর্ণ করল এবং সপরিবারে যাত্রা করল, তখন সে তূর পর্বতের পাশে আগুন দেখতে পেল। সে তার পরিবার পরিজনকে বলল, ‘তোমরা অপেক্ষা কর, আমি আগুন দেখতে পেয়েছি, সম্ভবত আমি তা থেকে তোমাদের কাছে আনতে পারব কোন খবর, অথবা একটি জ্বলন্ত অংগার; যাতে তোমরা আগুন পোহাতে পার’।
فَلَمَّآ أَتَٮٰهَا نُودِىَ مِن شَـٰطِىِٕ ٱلۡوَادِ ٱلۡأَيۡمَنِ فِى ٱلۡبُقۡعَةِ ٱلۡمُبَـٰرَڪَةِ مِنَ ٱلشَّجَرَةِ أَن يَـٰمُوسَىٰٓ إِنِّىٓ أَنَا ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَـٰلَمِينَ ٣٠
আরবি উচ্চারণ ২৮.৩০। ফালাম্মা য় আতা-হা-নূদিয়া মিন্ শা-ত্বিয়িল্ ওয়া-দিল্ আইমানি ফিল্ বুক‘আতিল্ মুবা-রকাতি মিনাশ্ শাজ্বারতি আইঁ ইয়া- মূসা য় ইন্নী য় আনাল্লা-হু রব্বুল্ ‘আলামীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৩০ অতঃপর যখন মূসা আগুনের নিকট আসল, তখন উপত্যকার ডান পার্শে পবিত্র ভূমিতে অবস্থিত বৃক্ষ থেকে তাকে আহবান করে বলা হলো, ‘হে মূসা, নিশ্চয় আমিই আল্লাহ, সৃষ্টিকুলের রব’।
وَأَنۡ أَلۡقِ عَصَاكَۖ فَلَمَّا رَءَاهَا تَہۡتَزُّ كَأَنَّہَا جَآنٌّ۬ وَلَّىٰ مُدۡبِرً۬ا وَلَمۡ يُعَقِّبۡۚ يَـٰمُوسَىٰٓ أَقۡبِلۡ وَلَا تَخَفۡۖ إِنَّكَ مِنَ ٱلۡأَمِنِينَ ٣١
আরবি উচ্চারণ ২৮.৩১। অ আন্ আল্ক্বি ‘আছোয়াক্; ফালাম্মা-রয়া-হা-তাহ্তায্যু কাআন্নাহা-জ্বা-ন্নুঁও অল্লা-মুদ্বিরাঁও অলাম্ ইয়ুআকক্বিব্; ইয়া-মূসা য় আকবিল্ অলা তাখফ্ ইন্নাকা মিনাল্ আ-মিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৩১ ‘আর তুমি তোমার লাঠি ফেলে দাও’। অতঃপর যখন সে ওটাকে দেখল, সাপের মত ছুটাছুটি করছে, তখন সে পিছনের দিকে ছুটল এবং ফিরেও তাকাল না। (বলা হল) ‘হে মূসা, সামনে যাও এবং ভয় পেয়ো না, নিশ্চয় তুমি নিরাপদ’।
ٱسۡلُكۡ يَدَكَ فِى جَيۡبِكَ تَخۡرُجۡ بَيۡضَآءَ مِنۡ غَيۡرِ سُوٓءٍ۬ وَٱضۡمُمۡ إِلَيۡكَ جَنَاحَكَ مِنَ ٱلرَّهۡبِۖ فَذَٲنِكَ بُرۡهَـٰنَانِ مِن رَّبِّكَ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ وَمَلَإِيْهِۦۤۚ إِنَّهُمۡ ڪَانُواْ قَوۡمً۬ا فَـٰسِقِينَ ٣٢
আরবি উচ্চারণ ২৮.৩২। উস্লুক্ ইয়াদাকা ফী জ্বাইবিকা তাখ্রুজ্ব বাইদ্বোয়া-য়া মিন্ গইরি সূ-য়িঁও ওয়াদ্ব্মুম্ ইলাইকা জ্বানা-হাকা মির্না রহ্বি ফাযা-নিকা বুরহা-না-নি র্মি রব্বিকা ইলা- র্ফি‘আউনা অমালায়িহ্; ইন্নাহুম্ কা-নূ ক্বওমান্ ফা-সিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৩২ ‘তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, এটা ত্র“টিমুক্ত অবস্থায় শুভ্রোজ্জ্বল হয়ে বেরিয়ে আসবে। আর ভয় থেকে রক্ষার জন্য তোমার হাত তোমার নিজের দিকে মিলাও। অতঃপর এ দু’টো তোমার রবের পক্ষ থেকে দু’টি প্রমাণ, ফির‘আউন ও তার পারিষদবর্গের জন্য। নিশ্চয় তারা ফাসিক কওম’।
قَالَ رَبِّ إِنِّى قَتَلۡتُ مِنۡهُمۡ نَفۡسً۬ا فَأَخَافُ أَن يَقۡتُلُونِ ٣٣
আরবি উচ্চারণ ২৮.৩৩। ক্ব-লা রব্বি ইন্নী ক্বতাল্তু মিন্হুম্ নাফ্সান্ ফাআখ-ফু আই ইয়া-কতুলূন।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৩৩ মূসা বলল, ‘হে আমার রব, নিশ্চয় আমি তাদের এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছি, তাই আমি আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে’।
وَأَخِى هَـٰرُونُ هُوَ أَفۡصَحُ مِنِّى لِسَانً۬ا فَأَرۡسِلۡهُ مَعِىَ رِدۡءً۬ا يُصَدِّقُنِىٓۖ إِنِّىٓ أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ ٣٤
আরবি উচ্চারণ ২৮.৩৪। অআখী হারূ-নু হুওয়া আফ্ছোয়াহু মিন্নী লিসা-নান্ ফার্আসিল্হু মা‘ইয়া রিদ্য়াইঁ ইয়ুছোয়াদ্দিকুনী য় ইন্নী য় আখ-ফু আইঁ ইয়ুকায্যিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৩৪ ‘আর আমার ভাই হারূন, সে আমার চেয়ে স্পষ্টভাষী, তাই তাকে আমার সাথে সাহায্যকারী হিসেবে প্রেরণ করুন, সে আমাকে সমর্থন করবে। আমি আশঙ্কা করছি যে, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলবে।
قَالَ سَنَشُدُّ عَضُدَكَ بِأَخِيكَ وَنَجۡعَلُ لَكُمَا سُلۡطَـٰنً۬ا فَلَا يَصِلُونَ إِلَيۡكُمَاۚ بِـَٔايَـٰتِنَآ أَنتُمَا وَمَنِ ٱتَّبَعَكُمَا ٱلۡغَـٰلِبُونَ ٣٥
আরবি উচ্চারণ ২৮.৩৫। ক্ব-লা সানাশুদ্দ ‘আদ্বুদাকা বিআখীকা অনাজ‘আলু লাকুমা- সুল্ত্বোয়া-নান্ ফালা-ইয়াছিলূনা ইলাইকুমা- বিআ-ইয়া-তিনা য় আন্তুমা-অমানি ত্তাবা‘আকুমাল্ গ-লিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৩৫ আল্লাহ বললেন, ‘আমি তোমার ভাইয়ের মাধ্যমে তোমার বাহু শক্তিশালী করব এবং তোমাদের দু’জনকে ক্ষমতা দান করব, ফলে তারা তোমাদের কাছে পৌঁছতে পারবে না। আমার নিদর্শনাবলী দ্বারা তোমরা ও তোমাদের অনুসারীরা বিজয়ী হবে’।
فَلَمَّا جَآءَهُم مُّوسَىٰ بِـَٔايَـٰتِنَا بَيِّنَـٰتٍ۬ قَالُواْ مَا هَـٰذَآ إِلَّا سِحۡرٌ۬ مُّفۡتَرً۬ى وَمَا سَمِعۡنَا بِهَـٰذَا فِىٓ ءَابَآٮِٕنَا ٱلۡأَوَّلِينَ ٣٦
আরবি উচ্চারণ ২৮.৩৬। ফালাম্মা-জ্বা-য়াহুম্ মূসা- বিআ-ইয়া-তিনা- বাইয়্যিনা-তিন্ ক্ব-লূ মা-হাযা য় ইল্লা-সিহ্রুম্ মুফ্তারঁও অমা-সামি’না- বি হা-যা-ফী য় আ-বা-য়িনাল্ আউয়্যালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৩৬ অতঃপর মূসা যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট নিদর্শনগুলো নিয়ে আসল, তখন তারা বলল, ‘এ তো মিথ্যা যাদু ছাড়া আর কিছুই নয় এবং এরূপ কথা আমাদের পিতৃপুরুষদের মধ্যেও শুনিনি’।
وَقَالَ مُوسَىٰ رَبِّىٓ أَعۡلَمُ بِمَن جَآءَ بِٱلۡهُدَىٰ مِنۡ عِندِهِۦ وَمَن تَكُونُ لَهُ ۥ عَـٰقِبَةُ ٱلدَّارِۖ إِنَّهُ ۥ لَا يُفۡلِحُ ٱلظَّـٰلِمُونَ ٣٧
আরবি উচ্চারণ ২৮.৩৭। অ ক্ব-লা- মূসা-রব্বী য় আ’লামু বিমান্ জ্বা-য়া বিল্ হুদা-মিন্ ‘ঈন্দিহী অমান্ তাকূনু লাহূ আ’ ক্বিবাতুদ্ দার্- ইন্নাহূ লা-ইয়ুফ্লিহুজ্ জোয়া-লিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৩৭ আর মূসা বলল, ‘আমার রব সম্যক অবগত আছেন, কে তাঁর কাছ থেকে হিদায়াত নিয়ে এসেছে এবং আখিরাতে কার পরিণাম শুভ হবে। নিশ্চয় যালিমরা সফল হবে না’।
وَقَالَ فِرۡعَوۡنُ يَـٰٓأَيُّهَا ٱلۡمَلَأُ مَا عَلِمۡتُ لَڪُم مِّنۡ إِلَـٰهٍ غَيۡرِى فَأَوۡقِدۡ لِى يَـٰهَـٰمَـٰنُ عَلَى ٱلطِّينِ فَٱجۡعَل لِّى صَرۡحً۬ا لَّعَلِّىٓ أَطَّلِعُ إِلَىٰٓ إِلَـٰهِ مُوسَىٰ وَإِنِّى لَأَظُنُّهُ ۥ مِنَ ٱلۡكَـٰذِبِينَ ٣٨
আরবি উচ্চারণ ২৮.৩৮। অক্ব-লা র্ফি‘আউনু ইয়া য় আইয়ুহাল্ মালায়ু মা-‘আলিম্তু লাকুম্ মিন্ ইলা-হিন্ গইরী, ফাআও ক্বিদ্লী ইয়া-হা-মা-নু ‘আলাত্ব ত্বীনি ফাজআল্লী ছোর্য়াহাল্লা‘আল্লীয় আত্ব্ত্বোয়ালি‘উইলা য় ইলা-হি মূসা-অইন্নী লাআজুন্নুহূ মিনাল্ কা-যিবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৩৮ আর ফির‘আউন বলল, ‘হে পারিষদবর্গ, আমি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ আছে বলে আমি জানি না। অতএব হে হামান, আমার জন্য তুমি ইট পোড়াও, তারপর আমার জন্য একটি প্রাসাদ তৈরী কর। যাতে আমি মূসার ইলাহকে দেখতে পাই। আর নিশ্চয় আমি মনে করি সে মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত’।
وَٱسۡتَكۡبَرَ هُوَ وَجُنُودُهُ ۥ فِى ٱلۡأَرۡضِ بِغَيۡرِ ٱلۡحَقِّ وَظَنُّوٓاْ أَنَّهُمۡ إِلَيۡنَا لَا يُرۡجَعُونَ ٣٩
আরবি উচ্চারণ ২৮.৩৯। অস্তাক্বার হুওয়া অ জুনূদুহূ ফিল্ র্আদ্বি বিগইরিল্ হাকক্বি অজোয়ান্নূ য় আন্নাহুম্ ইলাইনা- লা-ইর্য়ুজ্বা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৩৯ আর ফির‘আউন ও তার সেনাবাহিনী অন্যায়ভাবে যমীনে অহঙ্কার করেছিল এবং তারা মনে করেছিল যে, তাদেরকে আমার নিকট ফিরিয়ে আনা হবে না।
فَأَخَذۡنَـٰهُ وَجُنُودَهُ ۥ فَنَبَذۡنَـٰهُمۡ فِى ٱلۡيَمِّۖ فَٱنظُرۡ كَيۡفَ ڪَانَ عَـٰقِبَةُ ٱلظَّـٰلِمِينَ ٤٠
আরবি উচ্চারণ ২৮.৪০। ফাআখয্না-হু অজুনূদাহূ ফানাবায্না-হুম্ ফিল্ ইয়াম্মি ফার্ন্জু কাইফা কা-না ‘আ-ক্বিবাতুজ্ জোয়া-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৪০ অতঃপর আমি তাকে ও তার সেনাবাহিনীকে পাকড়াও করলাম, তারপর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। অতএব, দেখ যালিমদের পরিণাম কিরূপ হয়েছিল?
وَجَعَلۡنَـٰهُمۡ أَٮِٕمَّةً۬ يَدۡعُونَ إِلَى ٱلنَّارِۖ وَيَوۡمَ ٱلۡقِيَـٰمَةِ لَا يُنصَرُونَ ٤١
আরবি উচ্চারণ ২৮.৪১। অ জ্বা‘আল্না-হুম্ আইয়িম্মাতাঁই ইয়াদ্‘ঊনা ইলান্না-রি অইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি লা-ইয়ুন্ছোয়ারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৪১ আর আমি তাদেরকে নেতা বানিয়েছিলাম, তারা জাহান্নামের দিকে আহ্বান করত এবং কিয়ামতের দিন তাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
وَأَتۡبَعۡنَـٰهُمۡ فِى هَـٰذِهِ ٱلدُّنۡيَا لَعۡنَةً۬ۖ وَيَوۡمَ ٱلۡقِيَـٰمَةِ هُم مِّنَ ٱلۡمَقۡبُوحِينَ ٤٢
আরবি উচ্চারণ ২৮.৪২। অ আত্বা’না-হুম্ ফী হা-যিহিদ্দুন্ইয়া-লা’নাতান্ অ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি হুম্ মিনাল্ মাকবূহীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৪২ এ যমীনে আমি তাদের পিছনে অভিসম্পাত লাগিয়ে দিয়েছি আর কিয়ামতের দিন তারা হবে ঘৃণিতদের অন্তর্ভুক্ত।
وَلَقَدۡ ءَاتَيۡنَا مُوسَى ٱلۡڪِتَـٰبَ مِنۢ بَعۡدِ مَآ أَهۡلَكۡنَا ٱلۡقُرُونَ ٱلۡأُولَىٰ بَصَآٮِٕرَ لِلنَّاسِ وَهُدً۬ى وَرَحۡمَةً۬ لَّعَلَّهُمۡ يَتَذَكَّرُونَ ٤٣
আরবি উচ্চারণ ২৮.৪৩। অলাক্বদ্ আ-তাইনা-মূসাল্ কিতা-বা মিম্ বা’দি মায় আহ্লাক্নাল্ কুরূনাল্ ঊলা-বাছোয়া-য়িরা লিন্না-সি অহুদাঁও অরহ্মাতাল্ লা‘আল্লাহুম্ ইয়াতাযাক্কারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৪৩ আর অবশ্যই আমি পূর্ববর্তী বহু প্রজন্মকে ধ্বংস করার পর মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা, হিদায়াত ও রহমতস্বরূপ মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম। যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
وَمَا كُنتَ بِجَانِبِ ٱلۡغَرۡبِىِّ إِذۡ قَضَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَى ٱلۡأَمۡرَ وَمَا كُنتَ مِنَ ٱلشَّـٰهِدِينَ ٤٤
আরবি উচ্চারণ ২৮.৪৪। অমা-কুন্তা বিজ্বা-নিবিল্ র্গবিয়্যী ইয্ ক্বাদ্বোয়াইনা য় ইলা-মূসাল্ আম্র অমা-কুন্তা মিনাশ্ শা-হিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৪৪ আর (হে নবী) আমি যখন মূসাকে বিধান দিয়েছিলাম তখন তুমি (তূর পাহাড়ের) পশ্চিম পার্শে উপস্থিত ছিলে না। আর তুমি প্রত্যক্ষদর্শীদের অন্তর্ভুক্তও ছিলে না।
وَلَـٰكِنَّآ أَنشَأۡنَا قُرُونً۬ا فَتَطَاوَلَ عَلَيۡہِمُ ٱلۡعُمُرُۚ وَمَا ڪُنتَ ثَاوِيً۬ا فِىٓ أَهۡلِ مَدۡيَنَ تَتۡلُواْ عَلَيۡهِمۡ ءَايَـٰتِنَا وَلَـٰكِنَّا ڪُنَّا مُرۡسِلِينَ ٤٥
আরবি উচ্চারণ ২৮.৪৫। অলা-কিন্না য় আন্ শানা কুরূনান্ ফাতাত্বোয়া- অলা ‘আলাইহিমুল্ উমুরু অমা-কুন্তা ছা-ওয়িয়ান্ ফী য় আহ্লি মাদ্ইয়ানা তাত্লূ ‘আলাইহিম্- আ-ইয়া-তিনা- অলা-কিন্না- কুন্না- র্মুসিলীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৪৫ কিন্তু আমি অনেক প্রজন্মকে সৃষ্টি করেছি। তারপর তাদের উপর বহু যুগ অতিবাহিত হয়েছিল। তুমি তো মাদইয়ানবাসীদের মধ্যে অবস্থানকারী ছিলে না যে, তাদের নিকট আমার আয়াতগুলো তুমি তিলাওয়াত করবে। কিন্তু আমিই রাসূল প্রেরণকারী।
وَمَا كُنتَ بِجَانِبِ ٱلطُّورِ إِذۡ نَادَيۡنَا وَلَـٰكِن رَّحۡمَةً۬ مِّن رَّبِّكَ لِتُنذِرَ قَوۡمً۬ا مَّآ أَتَٮٰهُم مِّن نَّذِيرٍ۬ مِّن قَبۡلِكَ لَعَلَّهُمۡ يَتَذَڪَّرُونَ ٤٦
আরবি উচ্চারণ ২৮.৪৬। অমা-কুন্তা বিজ্বা-নিবিত্ব্ তুরি ইয্ না-দাইনা- অলা-র্কি রহ্মাতাম্ র্মি রব্বিকা লিতুন্যির ক্বওমাম্ মায় আতা-হুম্ মিন্ নাযীরিম্ মিন্ ক্বব্লিকা লা‘আল্লাহুম্ ইয়াতাযাক্কারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৪৬ আর যখন আমি (মূসাকে) ডেকেছিলাম তখন তুমি তূর পর্বতের পাশে উপস্থিত ছিলে না। কিন্তু তোমার রবের পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ জানানো হয়েছে, যাতে তুমি এমন কওমকে সতর্ক করতে পার, যাদের কাছে তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি। সম্ভবত তারা উপদেশ গ্রহণ করবে।
وَلَوۡلَآ أَن تُصِيبَهُم مُّصِيبَةُۢ بِمَا قَدَّمَتۡ أَيۡدِيهِمۡ فَيَقُولُواْ رَبَّنَا لَوۡلَآ أَرۡسَلۡتَ إِلَيۡنَا رَسُولاً۬ فَنَتَّبِعَ ءَايَـٰتِكَ وَنَكُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٤٧
আরবি উচ্চারণ ২৮.৪৭। অ লাওলা য় আন্ তুছীবাহুম্ মুছীবাতুম্ বিমা-ক্বদ্দামাত্ আইদীহিম্ ফাইয়াকুলূ রব্বানা-লাওলা য় র্আসাল্তা ইলাইনা-রসূলান্ ফানাত্তাবি‘আ আ-ইয়া-তিকা অনাকূনা মিনাল্ মুমিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৪৭ তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের উপর কোন বিপদ আসলে তারা যাতে বলতে না পারে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের কাছে কোন রাসূল পাঠালেন না কেন? তাহলে আমরা আপনার আয়াতসমূহ অনুসরণ করতাম আর আমরা মুমিনদের অন্তর্র্ভুক্ত হতাম’।
فَلَمَّا جَآءَهُمُ ٱلۡحَقُّ مِنۡ عِندِنَا قَالُواْ لَوۡلَآ أُوتِىَ مِثۡلَ مَآ أُوتِىَ مُوسَىٰٓۚ أَوَلَمۡ يَڪۡفُرُواْ بِمَآ أُوتِىَ مُوسَىٰ مِن قَبۡلُۖ قَالُواْ سِحۡرَانِ تَظَـٰهَرَا وَقَالُوٓاْ إِنَّا بِكُلٍّ۬ كَـٰفِرُونَ ٤٨
আরবি উচ্চারণ ২৮.৪৮। ফালাম্মা- জ্বা-য়াহুমুল্ হাক্ক্বু মিন্ ‘ইন্দিনা-ক্ব-লূ লাওলা য় ঊতিয়া মিছ্লা মা য় ঊতিয়া মূসা-; আওয়ালাম্ ইয়াক্ফুরূ বিমা য় ঊতিয়া মূসা-মিন্ ক্বব্লু ক্ব-লূ সিহ্র-নি তাজোয়া-হারা অ ক্ব-লূ য় ইন্না বিকুল্লিন্ কা-ফিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৪৮ অতঃপর যখন আমার নিকট থেকে তাদের কাছে সত্য আসল তখন তারা বলল, ‘মূসাকে যা দেয়া হয়েছিল তাকে (মুহাম্মাদকে) কেন সেরূপ দেয়া হল না’? ইতঃপূর্বে মূসাকে যা দেয়া হয়েছিল তারা কি তা অস্বীকার করেনি? তারা বলেছিল, ‘দু’টিই যাদু, একটি অপরটিকে সাহায্য করে’। আর তারা বলেছিল, ‘আমরা সবই অস্বীকারকারী’।
قُلۡ فَأۡتُواْ بِكِتَـٰبٍ۬ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِ هُوَ أَهۡدَىٰ مِنۡہُمَآ أَتَّبِعۡهُ إِن ڪُنتُمۡ صَـٰدِقِينَ ٤٩
আরবি উচ্চারণ ২৮.৪৯। কুল্ ফাতূ বিকিতা-বিম্ মিন্ ‘ইন্দিল্লা-হি হুওয়া আহ্দা মিন্হুমা য় আত্তাবি’হু ইন্ কুন্তুম্ ছোয়া-দিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৪৯ বল, ‘তাহলে তোমরা আল্লাহর কাছ থেকে এমন একটি কিতাব নিয়ে আস যা এ দু’টো কিতাব থেকে উৎকৃষ্ট; আমি তারই অনুসরণ করব, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক’।
فَإِن لَّمۡ يَسۡتَجِيبُواْ لَكَ فَٱعۡلَمۡ أَنَّمَا يَتَّبِعُونَ أَهۡوَآءَهُمۡۚ وَمَنۡ أَضَلُّ مِمَّنِ ٱتَّبَعَ هَوَٮٰهُ بِغَيۡرِ هُدً۬ى مِّنَ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَہۡدِى ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ ٥٠ ۞
আরবি উচ্চারণ ২৮.৫০। ফাইল্ লাম্ ইয়াস্তাজ্বীবূ লাকা ফা’লাম্ আন্নামা- ইয়াত্তাবি‘ঊনা আহ্ওয়া-য়াহুম্ অমান্ আদ্বোয়াল্লু মিম্মানিত্তাবা‘আ হাওয়া-হু বিগইরি হুদাম্ মিনাল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহ্দিল্ ক্বওমাজ্ জোয়া-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৫০ অতঃপর তারা যদি তোমার আহবানে সাড়া না দেয়, তাহলে জেনে রাখ, তারা তো নিজদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে। আর আল্লাহর দিকনির্দেশনা ছাড়া যে নিজের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করে তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত করেন না।
وَلَقَدۡ وَصَّلۡنَا لَهُمُ ٱلۡقَوۡلَ لَعَلَّهُمۡ يَتَذَكَّرُونَ ٥١
আরবি উচ্চারণ ২৮.৫১। অলাক্বদ্ অছ্ ছোয়াল্না-লাহুমুল্ ক্বওলা লা‘আল্লাহুম্ ইয়াতাযাক্কারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৫১ আর আমি তো তাদের কাছে একের পর এক বাণী পৌঁছে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
ٱلَّذِينَ ءَاتَيۡنَـٰهُمُ ٱلۡكِتَـٰبَ مِن قَبۡلِهِۦ هُم بِهِۦ يُؤۡمِنُونَ ٥٢
আরবি উচ্চারণ ২৮.৫২। আল্লাযীনা আ-তাইনা-হুমুল্ কিতা-বা মিন্ ক্বব্লিহী হুম্ বিহী ইয়ুমিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৫২ এর পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছিলাম তারা এর প্রতি ঈমান আনে।
وَإِذَا يُتۡلَىٰ عَلَيۡہِمۡ قَالُوٓاْ ءَامَنَّا بِهِۦۤ إِنَّهُ ٱلۡحَقُّ مِن رَّبِّنَآ إِنَّا كُنَّا مِن قَبۡلِهِۦ مُسۡلِمِينَ ٥٣
আরবি উচ্চারণ ২৮.৫৩। অইযা-ইয়ুত্লা- ‘আলাইহিম্ ক্ব-লূ য় আ-মান্না- বিহী য় ইন্নাহুল্ হাককু র্মি রব্বিনা য় ইন্না-কুন্না-মিন্ ক্বব্লিহী মুস্লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৫৩ আর যখন তাদের নিকট তা তিলাওয়াত করা হয় তখন তারা বলে, ‘আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি, নিশ্চয় তা সত্য আমাদের রবের পক্ষ থেকে। নিশ্চয় আমরা এর পূর্বেও আত্মসমর্পণকারী ছিলাম’।
أُوْلَـٰٓٮِٕكَ يُؤۡتَوۡنَ أَجۡرَهُم مَّرَّتَيۡنِ بِمَا صَبَرُواْ وَيَدۡرَءُونَ بِٱلۡحَسَنَةِ ٱلسَّيِّئَةَ وَمِمَّا رَزَقۡنَـٰهُمۡ يُنفِقُونَ ٥٤
আরবি উচ্চারণ ২৮.৫৪। উলা-য়িকা ইয়ুতাওনা আজরহুম্ র্মারাতাইনি বিমা-ছোয়াবারূ অ ইয়াদ্রায়ূনা বিল্হাসানাতিস্ সাইয়িয়াতা অমিম্মা-রযাকনা-হুম্ ইয়ুন্ফিকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৫৪ তাদেরকে দু’বার প্রতিদান দেয়া হবে। এ কারণে যে, তারা ধৈর্যধারণ করে এবং ভাল দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করে। আর আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।
وَإِذَا سَمِعُواْ ٱللَّغۡوَ أَعۡرَضُواْ عَنۡهُ وَقَالُواْ لَنَآ أَعۡمَـٰلُنَا وَلَكُمۡ أَعۡمَـٰلُكُمۡ سَلَـٰمٌ عَلَيۡكُمۡ لَا نَبۡتَغِى ٱلۡجَـٰهِلِينَ ٥٥
আরবি উচ্চারণ ২৮.৫৫। অ ইযা-সামি‘উল্ লাগ্ওয়া আ’রদ্বূ ‘আন্হু অক্ব-লূ লানা য় আ’মা-লুনা অলাকুম্ আ’মা-লুকুম্ সালা-মুন্ ‘আলাইকুম্ লা-নাব্তাগিল্ জ্বা-হিলীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৫৫ আর তারা যখন অনর্থক কথাবার্তা শুনে তখন তা থেকে বিমুখ হয় এবং বলে, ‘আমাদের আমল আমাদের জন্য, আর তোমাদের আমল তোমাদের জন্য। তোমাদের প্রতি ‘সালাম’। আমরা অজ্ঞদের সাহচর্য চাই না’।
إِنَّكَ لَا تَہۡدِى مَنۡ أَحۡبَبۡتَ وَلَـٰكِنَّ ٱللَّهَ يَہۡدِى مَن يَشَآءُۚ وَهُوَ أَعۡلَمُ بِٱلۡمُهۡتَدِينَ ٥٦
আরবি উচ্চারণ ২৮.৫৬। ইন্নাকা লা-তাহ্দী মান্ আহ্বাব্তা অলা-কিন্নাল্লা-হা ইয়াহ্দী মাইঁ ইয়াশা-য়ু অহুওয়া আ’লামু বিল্মুহ্তাদীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৫৬ নিশ্চয় তুমি যাকে ভালবাস তাকে তুমি হিদায়াত দিতে পারবে না; বরং আল্লাহই যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন। আর হিদায়াতপ্রাপ্তদের ব্যাপারে তিনি ভাল জানেন।
وَقَالُوٓاْ إِن نَّتَّبِعِ ٱلۡهُدَىٰ مَعَكَ نُتَخَطَّفۡ مِنۡ أَرۡضِنَآۚ أَوَلَمۡ نُمَكِّن لَّهُمۡ حَرَمًا ءَامِنً۬ا يُجۡبَىٰٓ إِلَيۡهِ ثَمَرَٲتُ كُلِّ شَىۡءٍ۬ رِّزۡقً۬ا مِّن لَّدُنَّا وَلَـٰكِنَّ أَڪۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ٥٧
আরবি উচ্চারণ ২৮.৫৭। অক্ব-লূ য় ইন্ নাত্তাবি‘ইল্ হুদা- মা‘আকা নুতাখত্ব ত্বোয়াফ্ মিন্ র্আদ্বিনা-আওয়ালাম্ নুমাক্কিল্লাহুম্ হারমান্ আ-মিনাইঁ ইয়ুজবা য় ইলাইহি ছামার-তু কুল্লি শাইর্য়ি রিয্ক্বম্ মিল্লাদুন্না-অলা-কিন্না আক্ছারহুম্ লা-ইয়া’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৫৭ আর তারা বলে, ‘আমরা যদি তোমার সাথে হিদায়াতের অনুসরণ করি তবে আমাদেরকে আমাদের দেশ থেকে উৎখাত করা হবে’। আমি কি তাদের জন্য এক নিরাপদ ‘হারাম’ এর সুব্যবস্থা করিনি? সেখানে সব ধরনের ফলমূল আমদানী করা হয়, আমার পক্ষ থেকে রিয্কস্বরূপ? কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।
وَكَمۡ أَهۡلَڪۡنَا مِن قَرۡيَةِۭ بَطِرَتۡ مَعِيشَتَهَاۖ فَتِلۡكَ مَسَـٰكِنُهُمۡ لَمۡ تُسۡكَن مِّنۢ بَعۡدِهِمۡ إِلَّا قَلِيلاً۬ۖ وَڪُنَّا نَحۡنُ ٱلۡوَٲرِثِينَ ٥٨
আরবি উচ্চারণ ২৮.৫৮। অকাম্ আহ্লাক্না মিন্ র্ক্বইয়াতিম্ বাত্বিরাত্ মাঈ’শাতাহা- ফাতিল্কা মাসা-কিনুহুম্ লাম্ তুস্কাম্ মিম্ বা’দিহিম্ ইল্লা-ক্বলীলা-; অকুন্না-নাহ্নুল্ ওয়া-রিছীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৫৮ আর আমি কত জনপদকে ধ্বংস করেছি, যার বাসিন্দারা তাদের জীবন উপকরণ নিয়ে দম্ভ করত! এগুলো তো তাদের বাসস্থান। তাদের পরে (এখানে) সামান্যই বসবাস করা হয়েছে। আর আমিই চূড়ান্ত মালিকানার ওয়ারিস।
وَمَا كَانَ رَبُّكَ مُهۡلِكَ ٱلۡقُرَىٰ حَتَّىٰ يَبۡعَثَ فِىٓ أُمِّهَا رَسُولاً۬ يَتۡلُواْ عَلَيۡهِمۡ ءَايَـٰتِنَاۚ وَمَا ڪُنَّا مُهۡلِكِى ٱلۡقُرَىٰٓ إِلَّا وَأَهۡلُهَا ظَـٰلِمُونَ ٥٩
আরবি উচ্চারণ ২৮.৫৯। অ মা-কা-না রব্বুকা মুহ্লিকাল্ কুরা-হাত্তা-ইয়াব্‘আছা ফী য় উম্মিহা-রাসূলাইঁ ইয়াত্লূ ‘আলাইহিম্ আ-ইয়াতিনা-অমা-কুন্না -মুহ্লিক্বিল্ কুরা য় ইল্লা-অআহ্লুহা-জোয়া-লিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৫৯ আর তোমার রব কোন জনপদকে ধ্বংস করেন না, যতক্ষণ না তিনি তার মূল ভূখন্ডে রাসূল প্রেরণ করেন, যে তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে। আর কোন জনপদের অধিবাসীরা যালিম না হলে আমি তাদেরকে ধ্বংস করি না।
وَمَآ أُوتِيتُم مِّن شَىۡءٍ۬ فَمَتَـٰعُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَزِينَتُهَاۚ وَمَا عِندَ ٱللَّهِ خَيۡرٌ۬ وَأَبۡقَىٰٓۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ ٦٠
আরবি উচ্চারণ ২৮.৬০। অমা য় ঊতীতুম্ মিন্ শাইয়িন্ ফামাতা‘উল্ হা-ইয়া-তিদ্দুন্ইয়া-অযীনাতুহা- অমা-‘ইন্দাল্লা-হি খইরুঁও অ আব্ক্ব-; আফালা- তা’ক্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৬০ আর তোমাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে তা দুনিয়ার জীবনের ভোগ ও সৌন্দর্য মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা আছে তাই উত্তম ও স্থায়ী। তোমরা কি বুঝবে না?
أَفَمَن وَعَدۡنَـٰهُ وَعۡدًا حَسَنً۬ا فَهُوَ لَـٰقِيهِ كَمَن مَّتَّعۡنَـٰهُ مَتَـٰعَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا ثُمَّ هُوَ يَوۡمَ ٱلۡقِيَـٰمَةِ مِنَ ٱلۡمُحۡضَرِينَ ٦١
আরবি উচ্চারণ ২৮.৬১। আফামাঁও অ‘আদ্না-হু ওয়া’দান্ হাসানান্ ফাহুওয়া লা-ক্বীহি কামাম্ মাত্তা’না-হু মাতা-‘আল হা-ইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া- ছুম্মা হুওয়া ইয়াওমাল্ ক্বিয়ামাতি মিনাল্ মুহ্দ্বোয়ারীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৬১ আমি যাকে উত্তম ওয়াদা দিয়েছি সে তা পাবেই; সে কি তার মতই যাকে আমি দুনিয়ার জীবনের ভোগসামগ্রী দিয়েছি? তারপর কিয়ামতের দিনে সে উপস্থিতকৃতদের মধ্যে থাকবে।
وَيَوۡمَ يُنَادِيهِمۡ فَيَقُولُ أَيۡنَ شُرَكَآءِىَ ٱلَّذِينَ كُنتُمۡ تَزۡعُمُونَ ٦٢
আরবি উচ্চারণ ২৮.৬২। অ ইয়াওমা ইয়ুনা-দী হিম্ ফাইয়াকুলু আইনা শুরকা-ইইয়া ল্লাযীনা কুন্তুম্ তায্‘উমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৬২ আর সে দিন তিনি তাদেরকে আহবান করবেন, অতঃপর বলবেন, ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়’?
قَالَ ٱلَّذِينَ حَقَّ عَلَيۡہِمُ ٱلۡقَوۡلُ رَبَّنَا هَـٰٓؤُلَآءِ ٱلَّذِينَ أَغۡوَيۡنَآ أَغۡوَيۡنَـٰهُمۡ كَمَا غَوَيۡنَاۖ تَبَرَّأۡنَآ إِلَيۡكَۖ مَا كَانُوٓاْ إِيَّانَا يَعۡبُدُونَ ٦٣
আরবি উচ্চারণ ২৮.৬৩। ক্ব-লাল্লাযীনা হাক্ব্ক্বা ‘আলাইহিমুল্ ক্বওলু রব্বানা-হা য় উলা-য়িল্লাযীনা আগ্ওয়াইনা-আগ্ওয়াইনা-হুম্ কামা- গওয়াইনা-তার্বারনায় ইলাইকা মা-কা-নূ য় ইয়্যা-না-ইয়া’বুদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৬৩ যাদের জন্য (শাস্তির) বাণী অবধারিত হবে তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, ওরা তো তারা যাদেরকে আমরা বিভ্রান্ত করেছিলাম। তাদেরকে আমরা বিভ্রান্ত করেছিলাম যেমন আমরা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। আমরা আপনার কাছে দায় মুক্তি চাচ্ছি। তারা তো আমাদের ইবাদাত করত না’।
وَقِيلَ ٱدۡعُواْ شُرَكَآءَكُمۡ فَدَعَوۡهُمۡ فَلَمۡ يَسۡتَجِيبُواْ لَهُمۡ وَرَأَوُاْ ٱلۡعَذَابَۚ لَوۡ أَنَّهُمۡ كَانُواْ يَہۡتَدُونَ ٦٤
আরবি উচ্চারণ ২৮.৬৪। অক্বীলাদ্‘উ শুরাকা-য়াকুম্ ফাদা‘আওহুম্ ফালাম্ ইয়াস্তাজ্বীবূ লাহুম্ অরয়ায়ুল্ ‘আযা-বা লাও আন্নাহুম্ কা-নূ ইয়াহ্তাদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৬৪ আর বলা হবে, ‘তোমাদের দেবতাগুলোকে ডাক, অতঃপর তারা তাদেরকে ডাকবে, তখন তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। আর তারা আযাব দেখতে পাবে। হায়, এরা যদি সৎপথ প্রাপ্ত হত!
وَيَوۡمَ يُنَادِيہِمۡ فَيَقُولُ مَاذَآ أَجَبۡتُمُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ٦٥
আরবি উচ্চারণ ২৮.৬৫। অ ইয়াওমা ইয়ুনা-দীহিম্ ফাইয়াকুলু মা-যা য়আজ্বাব্তুমুল্ র্মুসালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৬৫ আর সেদিন আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বলবেন, ‘তোমরা রাসূলদেরকে কী জবাব দিয়েছিলে’?
فَعَمِيَتۡ عَلَيۡہِمُ ٱلۡأَنۢبَآءُ يَوۡمَٮِٕذٍ۬ فَهُمۡ لَا يَتَسَآءَلُونَ ٦٦
আরবি উচ্চারণ ২৮.৬৬। ফা‘আমিয়াত্ ‘আলাইহিমুল্ আম্বা-য়ু ইয়াওমায়িযিন্ ফাহুম্ লা-ইয়াতাসা-য়ালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৬৬ অতঃপর সেদিন সকল সংবাদ তাদের কাছ থেকে গোপন হয়ে যাবে, তখন তারা পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করতে পারবে না।
فَأَمَّا مَن تَابَ وَءَامَنَ وَعَمِلَ صَـٰلِحً۬ا فَعَسَىٰٓ أَن يَكُونَ مِنَ ٱلۡمُفۡلِحِينَ ٦٧
আরবি উচ্চারণ ২৮.৬৭। ফা আম্মা-মান্ তা-বা অআ-মানা অ ‘আমিলা ছোয়া-লিহান্ ফা‘আসা য় আইঁ ইয়াকূনা মিনাল্ মুফ্লিহীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৬৭ তবে যে তাওবা করেছিল, ঈমান এনেছিল এবং সৎকর্ম করেছিল, আশা করা যায় সে সাফল্য অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
وَرَبُّكَ يَخۡلُقُ مَا يَشَآءُ وَيَخۡتَارُۗ مَا ڪَانَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُۚ سُبۡحَـٰنَ ٱللَّهِ وَتَعَـٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِڪُونَ ٦٨
আরবি উচ্চারণ ২৮.৬৮। অরব্বুকা ইয়াখ্লুকু মা-ইয়াশা-য়ু অইয়াখ্ তা-র; মা-কা-না লাহুমুল্ খিয়ারহ্; সুবহা-নাল্লা-হি অতা‘আলা-‘আম্মা ইয়ুশ্রিকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৬৮ আর তোমার রব যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং মনোনীত করেন, তাদের কোন এখতিয়ার নাই। আল্লাহ পবিত্র মহান এবং তারা যা শরীক করে তিনি তা থেকে ঊর্ধ্বে।
وَرَبُّكَ يَعۡلَمُ مَا تُكِنُّ صُدُورُهُمۡ وَمَا يُعۡلِنُونَ ٦٩
আরবি উচ্চারণ ২৮.৬৯। অ রব্বুকা ইয়া’লামু মা-তুকিন্নু ছুদূরুহুম্ অমা-ইয়ুলিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৬৯ আর তোমার রব জানেন, তাদের অন্তর যা গোপন করে আর তারা যা প্রকাশ করে।
وَهُوَ ٱللَّهُ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَۖ لَهُ ٱلۡحَمۡدُ فِى ٱلۡأُولَىٰ وَٱلۡأَخِرَةِۖ وَلَهُ ٱلۡحُكۡمُ وَإِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ ٧٠
আরবি উচ্চারণ ২৮.৭০। অহুওয়াল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা-হুয়া; লাহুল্ হাম্দু ফিল্ ঊলা-অল্আ-খিরতি অলাহুল্ হুক্মু অইলাইহি র্তুজ্বা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৭০ আর তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। দুনিয়া ও আখিরাতে সমস্ত প্রশংসা তাঁরই; বিধান তাঁরই। আর তাঁর কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
قُلۡ أَرَءَيۡتُمۡ إِن جَعَلَ ٱللَّهُ عَلَيۡڪُمُ ٱلَّيۡلَ سَرۡمَدًا إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَـٰمَةِ مَنۡ إِلَـٰهٌ غَيۡرُ ٱللَّهِ يَأۡتِيڪُم بِضِيَآءٍۖ أَفَلَا تَسۡمَعُونَ ٧١
আরবি উচ্চারণ ২৮.৭১। কুল্ আরায়াইতুম্ ইন্জ্বা‘আলাল্লা-হু ‘আলাইকুমুল্ লাইলা র্সামাদান্ ইলা-ইয়াওমিল্ ক্বিয়া-মাতি মান্ ইলা-হুন্ গইরুল্লা-হি ইয়াতীকুম্ বিদ্বিয়া-য়্; আফালা-তাস্মা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৭১ বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ রাতকে তোমাদের উপর কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী করে দেন, তবে তাঁর পরিবর্তে কোন ইলাহ আছে কি যে তোমাদের আলো এনে দেবে? তবুও কি তোমরা শুনবে না’?
قُلۡ أَرَءَيۡتُمۡ إِن جَعَلَ ٱللَّهُ عَلَيۡڪُمُ ٱلنَّہَارَ سَرۡمَدًا إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَـٰمَةِ مَنۡ إِلَـٰهٌ غَيۡرُ ٱللَّهِ يَأۡتِيڪُم بِلَيۡلٍ۬ تَسۡكُنُونَ فِيهِۖ أَفَلَا تُبۡصِرُونَ ٧٢
আরবি উচ্চারণ ২৮.৭২। কুল্ আরয়াইতুম্ ইন্ জ্বা‘আলাল্লা-হু ‘আলাইকুমু ন্নাহা-র র্সামাদান্ ইলা-ইয়াওমিল্ ক্বিয়া-মাতি মান্ ইলা-হুন্ গইরুল্লা-হি ইয়াতীকুম্ বিলাইলিন্ তাস্কুনূনা ফীহ্; আফালা-তুব্ছিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৭২ বল, ‘তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ দিনকে তোমাদের উপর কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী করে দেন, তবে তাঁর পরিবর্তে কোন ইলাহ আছে কি, যে তোমাদের রাত এনে দেবে যাতে তোমরা বিশ্রাম করবে? তবুও কি তোমরা ভেবে দেখবে না’?
وَمِن رَّحۡمَتِهِۦ جَعَلَ لَكُمُ ٱلَّيۡلَ وَٱلنَّهَارَ لِتَسۡكُنُواْ فِيهِ وَلِتَبۡتَغُواْ مِن فَضۡلِهِۦ وَلَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ٧٣
আরবি উচ্চারণ ২৮.৭৩। অর্মি রহমাতিহী জ্বা‘আলা লাকুমুল্ লাইলা অন্নাহা-র লিতাস্কুনূ ফীহি অলিতাব্তাগূ মিন্ ফাদ্ব্লিহী অ লা‘আল্লাকুম্ তাশ্কুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৭৩ আর তাঁর অনুগ্রহে তিনি তোমাদের জন্য রাত ও দিন করেছেন যাতে তোমরা বিশ্রাম নিতে পার এবং তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং যেন তোমরা শোকর আদায় করতে পার।
وَيَوۡمَ يُنَادِيهِمۡ فَيَقُولُ أَيۡنَ شُرَڪَآءِىَ ٱلَّذِينَ كُنتُمۡ تَزۡعُمُونَ ٧٤
আরবি উচ্চারণ ২৮.৭৪। অ ইয়াওমা ইয়ুনা-দীহিম্ ফাইয়াকুলু আইনা শুরাকা-য়িয়াল্ লাযীনা কুন্তুম্ তায্‘উমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৭৪ আর সেদিন তিনি তাদের ডাকবেন। অতঃপর বলবেন, ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়’?
وَنَزَعۡنَا مِن ڪُلِّ أُمَّةٍ۬ شَهِيدً۬ا فَقُلۡنَا هَاتُواْ بُرۡهَـٰنَكُمۡ فَعَلِمُوٓاْ أَنَّ ٱلۡحَقَّ لِلَّهِ وَضَلَّ عَنۡہُم مَّا ڪَانُواْ يَفۡتَرُونَ ٧٥ ۞
আরবি উচ্চারণ ২৮.৭৫। অনাযা’না-মিন্ কুল্লি উম্মাতিন্ শাহীদান্ ফাকুল্না- হা-তূ র্বুহা-নাকুম্ ফা‘আলিমূ য় আন্নাল্ হাকক্ব লিল্লা-হি অদ্বোয়াল্লা ‘আন্হুম্ মা-কা-নূ ইয়াফ্তারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৭৫ আর আমি প্রত্যেক জাতি থেকে একজন সাক্ষী বের করে নেব। অতঃপর আমি বলব, ‘তোমাদের প্রমাণ নিয়ে আস’। তখন তারা জানতে পারবে যে, নিশ্চয় সত্য আল্লাহর কাছেই এবং তারা যে সব মিথ্যা উদ্ভাবন করত তা তাদের থেকে হারিয়ে যাবে।
إِنَّ قَـٰرُونَ ڪَانَ مِن قَوۡمِ مُوسَىٰ فَبَغَىٰ عَلَيۡهِمۡۖ وَءَاتَيۡنَـٰهُ مِنَ ٱلۡكُنُوزِ مَآ إِنَّ مَفَاتِحَهُ ۥ لَتَنُوٓأُ بِٱلۡعُصۡبَةِ أُوْلِى ٱلۡقُوَّةِ إِذۡ قَالَ لَهُ ۥ قَوۡمُهُ ۥ لَا تَفۡرَحۡۖ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡفَرِحِينَ ٧٦
আরবি উচ্চারণ ২৮.৭৬। ইন্না ক্বা-রূনা কা-না মিন্ ক্বাওমি মূসা- ফাবাগ-‘আলাইহিম্ অআ-তাইনা-হু মিনাল্ কুনূযি মা য় ইন্না মাফা-তিহাহূ লাতানূ য় বিল্উছ্বাতি উলিল্ কুওয়াতি ইয্ ক্ব-লা লাহূ ক্বওমুহূ লা-তাফ্রাহ্ ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়ুহিব্বুল্ ফারিহীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৭৬ নিশ্চয় কারূন ছিল মূসার কওমভুক্ত। অতঃপর সে তাদের উপর ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে। অথচ আমি তাকে এমন ধনভাণ্ডার দান করেছিলাম যে, নিশ্চয় তার চাবিগুলো একদল শক্তিশালী লোকের উপর ভারী হয়ে যেত। স্মরণ কর, যখন তার কওম তাকে বলল, ‘দম্ভ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ দাম্ভিকদের ভালবাসেন না’।
وَٱبۡتَغِ فِيمَآ ءَاتَٮٰكَ ٱللَّهُ ٱلدَّارَ ٱلۡأَخِرَةَۖ وَلَا تَنسَ نَصِيبَكَ مِنَ ٱلدُّنۡيَاۖ وَأَحۡسِن ڪَمَآ أَحۡسَنَ ٱللَّهُ إِلَيۡكَۖ وَلَا تَبۡغِ ٱلۡفَسَادَ فِى ٱلۡأَرۡضِۖ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُفۡسِدِينَ ٧٧
আরবি উচ্চারণ ২৮.৭৭। অব্তাগি ফীমা য় আ- তা-কাল্ লা-হুদ্ দা-রল্ আ-খিরতা অলা- তান্সা নাছীবাকা মিনাদ্দুনইয়া-অআহ্সিন্ কামা য় আহ্সানাল্লা-হু ইলাইকা অলা-তাব্গিল্ ফাসা-দা ফিল্ র্আদ্ব্; ইন্নাল্লা-হা-লা- ইয়ুহিব্বুল্ মুফ্সিদীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৭৭ আর আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছেন তাতে তুমি আখিরাতের নিবাস অনুসন্ধান কর। তবে তুমি দুনিয়া থেকে তোমার অংশ ভুলে যেয়ো না। তোমার প্রতি আল্লাহ যেরূপ অনুগ্রহ করেছেন তুমিও সেরূপ অনুগ্রহ কর। আর যমীনে ফাসাদ করতে চেয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ ফাসাদকারীদের ভালবাসেন না’।
قَالَ إِنَّمَآ أُوتِيتُهُ ۥ عَلَىٰ عِلۡمٍ عِندِىٓۚ أَوَلَمۡ يَعۡلَمۡ أَنَّ ٱللَّهَ قَدۡ أَهۡلَكَ مِن قَبۡلِهِۦ مِنَ ٱلۡقُرُونِ مَنۡ هُوَ أَشَدُّ مِنۡهُ قُوَّةً۬ وَأَڪۡثَرُ جَمۡعً۬اۚ وَلَا يُسۡـَٔلُ عَن ذُنُوبِهِمُ ٱلۡمُجۡرِمُونَ ٧٨
আরবি উচ্চারণ ২৮.৭৮। ক্ব-লা ইন্নামা য় ঊ তীতুহূ ‘আলা- ‘ইল্মিন্ ‘ইন্দী; আওয়ালাম্ ইয়া’লাম্ আন্নাল্লা-হা ক্বদ্ আহ্লাকা মিন্ ক্বব্লিহী মিনাল্ ক্ব্ রূনি মান্ হুওয়া আশাদ্দু মিন্হু কুওয়্যাতাঁও অআক্ছারু জ্বাম্‘আ-; অলা-ইয়ুস্য়ালু ‘আন্ যুনূবিহিমুল্ মুজ্ব রিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৭৮ সে বলল, ‘আমি তো এই ধনভাণ্ডার প্রাপ্ত হয়েছি আমার কাছে থাকা জ্ঞান দ্বারা’। সে কি জানত না যে, আল্লাহ তার পূর্বে বহু প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিয়েছেন, যারা ছিল তার থেকে শক্তিমত্তায় প্রবলতর এবং জনসংখ্যায় অধিক। আর অপরাধীদেরকে তাদের অপরাধ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না।
فَخَرَجَ عَلَىٰ قَوۡمِهِۦ فِى زِينَتِهِۦۖ قَالَ ٱلَّذِينَ يُرِيدُونَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا يَـٰلَيۡتَ لَنَا مِثۡلَ مَآ أُوتِىَ قَـٰرُونُ إِنَّهُ ۥ لَذُو حَظٍّ عَظِيمٍ۬ ٧٩
আরবি উচ্চারণ ২৮.৭৯। ফাখরজ্বা ‘আলা-ক্বওমিহী ফী যীনাতিহী; ক্ব-লাল্লাযীনা ইয়ুরীদূনাল্ হাইয়া-তাদ্ দুন্ইয়া- ইয়া-লাইতা লানা-মিছ্লা মা য় ঊতিয়া ক্বা-রূনু ইন্নাহূ লাযূ হাজ্জিন্ ‘আজীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৭৯ অতঃপর সে তার কওমের সামনে জাঁকজমকের সাথে বের হল। যারা দুনিয়ার জীবন চাইত তারা বলল, ‘আহা! কারূনকে যেমন দেয়া হয়েছে আমাদেরও যদি তেমন থাকত! নিশ্চয় সে বিরাট সম্পদশালী।’
وَقَالَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ وَيۡلَڪُمۡ ثَوَابُ ٱللَّهِ خَيۡرٌ۬ لِّمَنۡ ءَامَنَ وَعَمِلَ صَـٰلِحً۬ا وَلَا يُلَقَّٮٰهَآ إِلَّا ٱلصَّـٰبِرُونَ ٨٠
আরবি উচ্চারণ ২৮.৮০। অক্ব-লাল লাযীনা ঊ তুল্ ‘ইল্মা অইলাকুম্ ছাওয়াবু ল্লা-হি খইরুল্লিমান্ আ-মানা অ‘আমিলা ছোয়া-লিহান্ অলা‘ইয়ুলাকক্ব-হা য় ইল্লাছ্ ছোয়া-বিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৮০ আর যারা জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছিল, তারা বলল, ‘ধিক তোমাদেরকে! আল্লাহর প্রতিদানই উত্তম যে ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তার জন্য। আর তা শুধু সবরকারীরাই পেতে পারে।’
فَخَسَفۡنَا بِهِۦ وَبِدَارِهِ ٱلۡأَرۡضَ فَمَا ڪَانَ لَهُ ۥ مِن فِئَةٍ۬ يَنصُرُونَهُ ۥ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَمَا كَانَ مِنَ ٱلۡمُنتَصِرِينَ ٨١
আরবি উচ্চারণ ২৮.৮১। ফাখসাফ্না বিহী অবিদা-রিহিল্ র্আদ্বোয়া ফামা- কা-না লাহূ মিন্ ফিয়াতিঁই ইয়ান্ ছুরূনাহূ মিন্ দূনিল্লা-হি অমা-কা-না মিনাল্ মুন্তাছিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৮১ অতঃপর আমি কারূন ও তার প্রাসাদকে মাটিতে দাবিয়ে দিলাম। তখন তার জন্য এমন কোন দল ছিল না, যে আল্লাহর মোকাবিলায় তাকে সাহায্য করতে পারত এবং সে নিজেও নিজেকে সাহায্য করতে সক্ষম ছিল না।
وَأَصۡبَحَ ٱلَّذِينَ تَمَنَّوۡاْ مَكَانَهُ ۥ بِٱلۡأَمۡسِ يَقُولُونَ وَيۡكَأَنَّ ٱللَّهَ يَبۡسُطُ ٱلرِّزۡقَ لِمَن يَشَآءُ مِنۡ عِبَادِهِۦ وَيَقۡدِرُۖ لَوۡلَآ أَن مَّنَّ ٱللَّهُ عَلَيۡنَا لَخَسَفَ بِنَاۖ وَيۡكَأَنَّهُ ۥ لَا يُفۡلِحُ ٱلۡكَـٰفِرُونَ ٨٢
আরবি উচ্চারণ ২৮.৮২। অ আছ্বাহাল্লাযীনা তামান্নাও মাকা-নাহূ বিল্ আম্সি ইয়াকুলূনা অইকায়ান্নাল্লা- হা ইয়াব্সুত্বর্ ু রিয্ক্বা লিমাই ইয়াশা-য়ু মিন্ ‘ইবা-দিহী অইয়াকদিরু লাওলা য় আম্মান্নাল্লা-হু ‘আলাইনা- লাখসাফা বিনা-; অইকায়ান্নাহূ লা-ইয়ুফ্লিহুল্ কা-ফিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৮২ আর গতকাল যারা তার মত হতে প্রত্যাশা করেছিল তারা বলতে লাগল, ‘আশ্চর্য! দেখলে তো, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রসারিত অথবা সংকুচিত করেন। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করতেন তবে আমাদেরকেও তিনি দাবিয়ে দিতেন। দেখলে তো, কাফিররা সফল হয় না’।
تِلۡكَ ٱلدَّارُ ٱلۡأَخِرَةُ نَجۡعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّ۬ا فِى ٱلۡأَرۡضِ وَلَا فَسَادً۬اۚ وَٱلۡعَـٰقِبَةُ لِلۡمُتَّقِينَ ٨٣
আরবি উচ্চারণ ২৮.৮৩। তিল্কাদ্দা-রুল্ আ-খিরতু নাজ্ব ‘আলুহা- লিল্লাযীনা লা-ইয়ুরীদূনা উলুওয়্যান্ ফিল্ র্আদ্বি অলা-ফাসা-দা-; অল্‘অক্বিবাতু লিল্মুত্তাক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৮৩ এই হচ্ছে আখিরাতের নিবাস, যা আমি তাদের জন্য নির্ধারিত করি, যারা যমীনে ঔদ্ধত্য দেখাতে চায় না এবং ফাসাদও চায় না। আর শুভ পরিণাম মুত্তাকীদের জন্য।
مَن جَآءَ بِٱلۡحَسَنَةِ فَلَهُ ۥ خَيۡرٌ۬ مِّنۡہَاۖ وَمَن جَآءَ بِٱلسَّيِّئَةِ فَلَا يُجۡزَى ٱلَّذِينَ عَمِلُواْ ٱلسَّيِّـَٔاتِ إِلَّا مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٨٤
আরবি উচ্চারণ ২৮.৮৪। মান্ জ্বা-য়া বিল্ হাসানাতি ফালাহূ খইরুম্ মিন্হা-অমান্ জ্বা-য়া বিস্সাইয়িয়া-তি ফালা- ইয়ুজ্ব যা ল্লাযীনা ‘আমিলুস্ সাইয়্যিয়া-তি ইল্লা-মা কা-নূ ইয়া’মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৮৪ কেউ পূণ্য নিয়ে আসলে তার জন্য থাকবে তা থেকে উত্তম প্রতিদান। আর কেউ পাপ নিয়ে আসলে তবে যারা মন্দকর্ম করেছে তাদের শুধু তারই প্রতিদান দেওয়া হবে যা তারা করেছে।
إِنَّ ٱلَّذِى فَرَضَ عَلَيۡكَ ٱلۡقُرۡءَانَ لَرَآدُّكَ إِلَىٰ مَعَادٍ۬ۚ قُل رَّبِّىٓ أَعۡلَمُ مَن جَآءَ بِٱلۡهُدَىٰ وَمَنۡ هُوَ فِى ضَلَـٰلٍ۬ مُّبِينٍ۬ ٨٥
আরবি উচ্চারণ ২৮.৮৫। ইন্না ল্লাযী ফারাদ্বোয়া ‘আলাইকাল্ ক্কর্ আ-না লার-দ্দুকা ইলা-মা‘আ-দ্; ক্বর্ রব্বী য় আ’লামু মান্ জ্বা-য়া বিল্হুদা-অমান্ হুওয়া ফী দ্বোয়ালা-লিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৮৫ নিশ্চয় যিনি তোমার প্রতি কুরআনকে বিধানস্বরূপ দিয়েছেন, অবশ্যই তিনি তোমাকে প্রত্যাবর্তনস্থলে ফিরিয়ে নেবেন। বল, ‘আমার রব বেশী জানেন, কে হিদায়াত নিয়ে এসেছে, আর কে রয়েছে স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায়’।
وَمَا كُنتَ تَرۡجُوٓاْ أَن يُلۡقَىٰٓ إِلَيۡكَ ٱلۡڪِتَـٰبُ إِلَّا رَحۡمَةً۬ مِّن رَّبِّكَۖ فَلَا تَكُونَنَّ ظَهِيرً۬ا لِّلۡكَـٰفِرِينَ ٨٦
আরবি উচ্চারণ ২৮.৮৬। অমা-কুন্তা র্তাজ্ব য় আইঁ ইইয়ুল্ক্ব য় ইলাইকাল্ কিতা-বু ইল্লা-রহ্মাতাম্ র্মি রব্বিকা ফালা- তাকূনান্না জোয়াহীরল্ লিল্ কা-ফিরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৮৬ আর তুমি আশা করছিলে না যে, তোমার প্রতি কিতাব (কুরআন) নাযিল করা হবে, বরং তা তোমার রবের পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। অতএব, তুমি কখনো কাফিরদের জন্য সাহায্যকারী হয়ো না।
وَلَا يَصُدُّنَّكَ عَنۡ ءَايَـٰتِ ٱللَّهِ بَعۡدَ إِذۡ أُنزِلَتۡ إِلَيۡكَۖ وَٱدۡعُ إِلَىٰ رَبِّكَۖ وَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمُشۡرِڪِينَ ٨٧
আরবি উচ্চারণ ২৮.৮৭। অলা-ইয়াছুদ্দুন্নাকা ‘আন্ আ-ইয়া-তিল্লা-হি বা’দা ইয্ উন্যিলাত্ ইলাইকা ওয়াদ্‘ঊ ইলা-রব্বিকা অলা-তাকূনান্না মিনাল্ মুশ্রিকীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৮৭ আর আল্লাহর আয়াতসমূহ তোমার প্রতি নাযিল হওয়ার পর তারা যেন তোমাকে তা থেকে বিরত রাখতে না পারে, তোমার রবের প্রতি তুমি আহ্বান কর এবং তুমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
وَلَا تَدۡعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَـٰهًا ءَاخَرَۘ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَۚ كُلُّ شَىۡءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجۡهَهُ ۥۚ لَهُ ٱلۡحُكۡمُ وَإِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ ٨٨
আরবি উচ্চারণ ২৮.৮৮। অলা-তাদ্‘ঊ মা‘আল্লা-হি ইলা-হান্ আ-র্খ লা য় ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া কুল্লু শাইয়িন্ হা-লিকুন্ ইল্লা -অজহাহ্; লাহুল্ হুক্মু অইলাইহি র্তুজ্বা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৮.৮৮ আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডেকো না, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তাঁর চেহারা (সত্ত্বা) ছাড়া সব কিছুই ধ্বংসশীল, সিদ্ধান্ত তাঁরই এবং তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত