আজকের বিষয়: সূরা কাহাফ সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল কাহাফ আলমল ও ফজিলত, সূরা কাহাফ কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা কাহাফ নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ১৮ সূরা আল – কাহাফ
উম্মতে মুহাম্মদির কিছু বিশেষ প্রাপ্তি রয়েছে, যা অন্যান্য নবীর উম্মতেরা পাননি। তন্মধ্যে একটি হলো জুমার দিন। হাদিস শরিফে এই দিনের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবীজি (সা.) বলেন, আমাদের পূর্ববর্তী উম্মতকে জুমার দিন সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা অজ্ঞ রেখেছেন।ইহুদিদের ফজিলতপূর্ণ দিবস ছিল শনিবার। খ্রিস্টানদের ছিল রোববার। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দুনিয়ায় পাঠালেন এবং জুমার দিনের ফজিলত দান করলেন। সিরিয়ালে শনি ও রোববারকে শুক্রবারের পরে রাখলেন। দুনিয়ার এই সিরিয়ালের মতো কেয়ামতের দিনও ইহুদি-খ্রিস্টানরা উম্মতে মুহাম্মদির পড়ে থাকবে। আমরা উম্মত হিসেবে সবার শেষে এলেও কেয়ামতের দিন সকল সৃষ্টির আগে থাকব। (মুসলিম : ১৪৭৩)
জুমার দিন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবীজি (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর যতদিন সূর্য উদিত হবে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো শুক্রবার। এ দিনে আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছিল। সর্বশেষ কেয়ামত সংঘটিত হবে শুক্রবার দিনে। (মুসলিম : ৮৫৪)। জুমার দিনকে সপ্তাহের সেরা দিন হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিন দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। (ইবনে মাজা : ১০৮৪)
জুমআর দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল। এগুলো মধ্যে একটি আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তা হচ্ছে জুমআর দিনে ‘সুরা কাহফ’ তেলাওয়াত করা। পবিত্র কুরআনুল কারিমের ১৫তম পারার ১৮নং সুরা এটি। যদি কেউ সম্পূর্ণ সুরাটি তেলাওয়াত করতে না পারে তবে সে যেন এ সুরার প্রথম এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে।
জুমার দিনে ‘সূরা কাহাফ’ তেলাওয়াতের ফজিলত
– যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমাহ হতে আগামী জুমাহ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।
– যে ব্যক্তি সূরা আল কাহাফ এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে তাকে দাজ্জালের অনিষ্ট হতে নিরাপদ রাখা হবে। (মুসলিম) (মিশকাত)।
– ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য এমন একটি নূর হবে, যা তার অবস্থানের জায়গা থেকে মক্কা পর্যন্ত আলোকিত করে দিবে। আর যে ব্যক্তি উহার শেষ দশটি আয়াত পাঠ করবে, তার জীবদ্দশায় দাজ্জাল বের হলেও সে তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। ’ (সিলসিলায়ে সহীহা -২৬৫১)।
– যে ব্যক্তি জুমার রাত্রিতে সূরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য স্বীয় অবস্থানের জায়গা হতে পবিত্র মক্কা পর্যন্ত একটি নূর হবে। ’ (সহীহ তারগীব ওয়াত্ তারহীব – ৭৩৬)।
– জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করিলে কিয়ামত দিবসে তার পায়ের নীচ থেকে আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত নূর আলোকিত হবে এবং দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহ মাফ হবে। (আত তারগীব ওয়াল তারহীব- ১/২৯৮)
– জনৈক ব্যক্তি সূরাহ আল কাহফ পড়ছিল। তখন লোকটি তাকিয়ে দেখতে পেল একখণ্ড মেঘ তাকে পরিবেষ্টন করে নিয়েছে। বারা ইবনু আযিব বর্ণনা করেছেন যে, লোকটি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম এর কাছে বললেন। তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে অমুক তুমি সূরাটি পড়তে থাক। কারণ এটি ছিল আল্লাহর রহমাত বা প্রশান্তি যা কোরআন তেলাওয়াতের কারণে বা কোরআন তেলাওয়াতের জন্য অবতীর্ণ হয়েছিল। (মুসলিম- ১৭৪২)।
অর্থাৎ এটা হলো আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ওই ‘সাকীনা’ বা প্রশান্তি যা কোরআন পাঠের সময় অবতীর্ণ হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : সূরাহ কাহাফ (১৮ নম্বর সূরা) পড়ার সময় কখন?
উত্তর : বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্য ডোবা পর্যন্ত যে কোনো সময় সূরা কাহাফ পাঠ করলে হাদিস অনুযায়ী আমল করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
উলেখ্য যে, তা এক বৈঠকে পূরা সূরা পড়া জরুরি নয়। বরং বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত একাধিক বৈঠকে ভাগ ভাগ করে উক্ত সূরা পড়ে শেষ করলেও একই সওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
জুমার দিন সুরা কাহাফের ফজিলত
পবিত্র কুরআনের ১৮ নম্বর সুরা হলো ‘সুরা কাহাফ’। এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সুরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আয়াত সংখ্যা ১১০।
হজরত আনাস রা. বলেন, এ পূর্ণাঙ্গ সুরাটি একসাথে অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর সাথে ৭০ হাজার ফেরেশতা দুনিয়াতে আগমন করেছেন।
জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।
হজরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সবধরনের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।
হজরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। – সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩
হজরত বারা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাতে সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিল। তার কাছে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঢেকে ফেলল। এরপর যখন মেঘখণ্ডটি তার কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। অতঃপর সকালে ওই ব্যক্তি নবীজি সা. – এর কাছে গিয়ে রাতের ঘটনা বললেন। তিনি বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (রহমত), যা কোরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। -সহিহ বোখারি: ৫০১১, ৩৬১৪; সহিহ মুসলিম: ৭৯৫
হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে হেফাজত থাকবে। সহিহ মুসলিম: ৮০৯, আবু দাউদ: ৪৩২৩
প্রিয় পাঠক, আসুন, আমরা জুমার দিনে পবিত্র কুরআনের সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করে ওপরে বর্ণিত সওয়াব অর্জন করি। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন। আমিন।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
- রমজান মাসের ৯টি ফজিলত
নামকরণ
প্রথম রুকূ’র ৯ আয়াত (আরবী ————————————-) থেকে এ সূরার নামকরণ করা হয়েছে । এ নাম দেবার মানে হচ্ছে এই যে, এটা এমন একটা সূরা যার মধ্যে আল কাহফ শব্দ এসেছে ।
নাযিলের সময় কাল
এখান থেকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কী জীবনের তৃতীয় অধ্যায়ে অবতীর্ণ সূরাগুলো শুরু হচ্ছে । মক্কী জীবনকে আমি চারটি বড় বড় অধ্যায়ে ভাগ করেছি । সূরা আন ’ আমের ভূমিকায় এর বিস্তারিত বিবরণ এসে গেছে । এ বিভাগ অনুযায়ী তৃতীয় অধ্যায়টি প্রায় ৫ নববী সন থেকে শুরু হয়ে ১০ নববী সন পর্যন্ত বিস্তৃত । পূর্ববর্তী অধ্যায়গুলোর মোকবিলায় এ অধ্যায়টির বৈশিষ্ট হচ্ছে এই যে, পূর্ববর্তী অধ্যায় দু’টিতে কুরাইশরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম এবং তাঁর আন্দোলন ও জামায়াতকে বিপর্যস্ত করার জন্য বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে উপহাস, ব্যাংগ – বিদ্রূপ, আপত্তি, অপবাদ, দোষারোপ, ভীতি প্রদর্শন, লোভ দেখানো ও বিরুদ্ধে প্রচারণার ওপর নির্ভর করছিল । কিন্তু এ তৃতীয় অধ্যায় এসে তারা জুলুম, নিপীড়ন, মারধর ও অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির অস্ত্র খুব কড়াকড়িভাবে ব্যবহার করে । এমনকি বিপুল সংখ্যক মুসলমানকে দেশ ত্যাগ করে হাবশার দিকে যেতে হয় । আর বাদবাকি মুসলমানদের এবং তাদের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর পরিবার ও বংশের লোকদের আবু তালেব গিরি গুহার পূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বয়কটের মধ্যে অবরুদ্ধ জীবন যাপন করতে হয় । তবুও এ যুগে আবু তালেব ও উমমূল মু’মিনীন হযরত খাদীজার (রা) ন্যায় দু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ব্যক্তিগত প্রভাবে ফলে কুরাইশদের দু’টি বড় বড় শাখা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পৃষ্ঠপোষকতা করছিল । ১০ নববী সনে এ দু’জনের মৃত্যুর সাথে সাথেই এ অধ্যায়টির সমাপ্তি ঘটে । এরপর শুরু হয় চতুর্থ অথ্যায় । এ শেষ অধ্যায়ে মুসলমানদের মক্কায় জীবন যাপন অসম্ভব হয়ে পড়ে । এমনকি শেষ পর্যন্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সমস্ত মুসলমানদের নিয়ে মক্কা ত্যাগ করতে হয় ।
সূরা কাহফের বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা করলে বুঝা যায়, মক্কী যুগের এ তৃতীয় অধ্যায়ের শুরুতেই এ সূরাটি নাযিল হয়ে থাকবে । এ সময় জুলুম, নিপীড়ন, বিরোধিতা ও প্রতিবন্ধকতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল । ঠিকই কিন্তু তখনো মুসলমানরা হাবশায় হিজরত করেনি । তখন যেসব মুসলমান নির্যাতিত হচ্ছিল তাদেরকে আসহাবে কাহফের কাহিনী শুনানো হয়, যাতে তাদের হিম্মত বেড়ে যায় এবং তারা জানতে পারে যে, ঈমানদাররা নিজেদের ঈমান বাঁচাবার জন্য ইতিপূর্বে কি করেছে ।
বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য
মক্কার মুশরিকরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরীক্ষা নেবার জন্য আহলি কিতাবদের পরামর্শক্রমে তাঁর সামনে যে তিনটি প্রশ্ন করেছিল তার জবাবে এ সূরাটি নাযিল হয় । প্রশ্ন তিনটি ছিল: এক, আসহাবে কাহফ কারা ছিলেন? দুই, খিযিরের ঘটনাটি এবং তার তাৎপর্য কি ? ১ তিন, যুলকারনাইনের ঘটনাটি কি ? এ তিনটি কাহিনীই খৃস্টান ও ইহুদীদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত ছিল । হিজাযে এর কোন চর্চা ছিল না । তাই আহলি কিতাবরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে সত্যিই কোন গায়েবী ইলমের মাধ্যম আছে কিনা তা জানার জন্যেই এগুলো নির্বাচন করেছিল । কিন্তু আল্লাহ তাঁর নবীর মুখ দিয়ে কেবল এগুলোর পূর্ণ জবাব দিয়েই ক্ষান্ত হননি বরং এ সংগে এ ঘটনা তিনটিকে সে সময় মক্কায় কুফর ও ইসলামের মধ্যে যে অবস্থা বিরাজ করছিল তার সাথে পুরোপুরি খাপ খাইয়ে দিয়েছেন ।
১. হাদীসে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল রূহ সম্পর্কে । বনী ইসরাঈলের ১০ রুকূতে এর জবাব দেয়া হয়েছে । কিন্তু সূরা কাহফ ও বনী ইসরাঈলের নাযিলের সময়কালের মধ্যে রয়েছে কয়েক বছরের ব্যবধান । আর সূরা কাহফে দু’টির জায়গায় তিনটি কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে । তাই আমার মতে, দ্বিতীয় প্রশ্নটি হযরত খিযির সম্পর্কেই ছিল, রূহ সম্পর্কে নয় । খোদ কুরআনেই এমনি একটি ইশারা আছে, তা থেকে আমার এ অভিমতের প্রতি সমর্থন পাওয়া যাবে । ( দেখুন ৬১ টীকা )
এক: আসহাবে কাহফ সম্পর্কে বলেন, এ কুরআন যে তাওহীদের দাওয়াত পেশ করছে তারা ছিলেন তারই প্রবক্তা । তাদের অবস্থা মক্কার এ মুষ্টিমেয় মজলুম মুসলমানদের অবস্থা থেকে এবং তাদের জাতির মনোভাব ও ভূমিকা মক্কার কুরাইশ বংশীয় কাফেরদের ভূমিকা থেকে ভিন্নতর ছিল না । তারপর এ কাহিনী থেকে ঈমানদারদেরকে এ শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, যদি কাফেররা সীমাহীন ক্ষমতা ও আধিপত্যের অধিকারী হয়ে গিয়ে থাকে তাদের জুলুম -নির্যাতনের ফলে সমাজে একজন মুমিন শ্বাসগ্রহণ করারও অধিকার হারিয়ে বসে তবুও তার বাতিলের সামনে মাথা নত না করা উচিত বরং আল্লাহর ওপর ভরসা করে দেশ থেকে বির হয়ে যাওয়া উচিত । এ প্রসংগে আনুসংগিকভাবে মক্কার কাফেরদেরকে একথাও বলা হয়েছে যে, আসহাবে কাহফের কাহিনী আখেরাত বিশ্বাসের নির্ভুলতার একটি প্রমাণ । যেভাবে আল্লাহ তা’আলা আসাহবে কাহফের সুদীর্ঘকাল মৃত্যু নিদ্রায় বিভোর করে রাখার পর আবার জীবিত করে তোলেন ঠিক তেমনিভাবে মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবন মেনে নিতে তোমরা অস্বীকার করলে কি হবে, তা আল্লাহর ক্ষমতার বাইরে নয় ।
দুই: মক্কার সরদার ও সচ্ছল পরিবারের লোকেরা নিজেদের জনপদের ক্ষুদ্র নও মুসলিম জামায়াতের ওপর যে জুলুম নিপীড়ন চালাচ্ছিল এবং তাদের সাথে ঘৃণা ও লাঞ্ছনাপূর্ণ আচরণ করছিল আসহাবে কাহফের কাহিনীর পথ ধরে সে সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা হয়েছে । এ প্রসংগে একদিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই মর্মে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, এ জালেমদের সাথে কোন আপোস করবে না এবং নিজের গরীব সাথীদের মোকাবিলায় এ বড় লোকদের মোটেই গুরুত্ব দেবে না । অন্যদিকে এ ধনী ও সরদারদেরকে এ মর্মে নসীয়ত করা হয়েছে যে, নিজেদের দু’দিনের আয়েশী জীবনের চাকচিক্য দেখে ভুলে যেয়ো না বরং চিরন্তন ও চিরস্থায়ী কল্যাণের সন্ধান করো ।
তিন: এ আলোচনা প্রসংগে খিযির ও মূসার কাহিনীটি এমনভাবে শুনিয়ে দেয়া হয়েছে যে, তাতে কাফেরদের প্রশ্নের জবাবও এসে গেছে এ সংগে মুমিনদরেকেও সরবরাহ করা হয়েছে সান্তনার সরঞ্জাম । এ কাহিনীতে মূলত যে শিক্ষা দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে এই যে, যেসব উদ্দেশ্য ও কল্যাণকারিতার ভিত্তিতে আল্লাহর এ বিশাল সৃষ্টিজগত চলছে তা যেহেতু তোমাদের দৃষ্টির অন্তরালে রয়েছে তাই তোমরা কথায় কথায় অবাক হয়ে প্রশ্ন করো, এমন কেন হলো ? এ কি – হয়ে গেলো । এ – তো বড়ই ক্ষতি হলো ! অথচ যদি পর্দা উঠিয়ে দেয়া হয় তাহলে তোমরা নিজেরাই জানতে পারবে এখানে যা কিছু হচ্ছে ঠিকই হচ্ছে এবং বাহ্যত যে জিনিসের মধ্যে ক্ষতি দেখা যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত তার ফলশ্রুতিতে কোন না কোন কল্যাণই দেখা যায় ।
চার: এরপর যুলকারনাইনের কাহিনী বলা হয় । সেখানে প্রশ্নকারীদেরকে এ শিক্ষা দেয়া হয় যে, তোমরা তো নিজেদের এ সামান্য সরদারীর মোহে অহংকারী হয়ে উঠেছো অথচ যুলকারণাইনকে দেখো । কত বড় শাসক । কত জবরদস্ত বিজেতা । কত বিপুল বিশাল উপায় – উপকরণের মালিক হয়েও নিজের স্বরূপ ও পরিচিত বিস্মৃত হননি । নিজের স্রষ্টার সামনে সবসময় মাথা হেঁট করে থাকতেন । অন্যদিকে তোমরা নিজেদের এ সামান্য পার্থিব বৈভব ও ক্ষেত খামারের শ্যামল শোভাকে চিরস্থায়ী মনে করে বসেছো । কিন্তু তিনি দুনিয়ার সবচেয়ে মজবুত ও সুদৃঢ় প্রতিরক্ষা প্রাচীর নির্মাণ করেও মনে করতেন সার্ববস্থায় একমাত্র আল্লাহর ওপরই নির্ভর করা যেতে পারে, এ প্রাচীরের ওপর নয় । আল্লাহ যতদিন চাইবেন ততদিন এ প্রাচীর শত্রুদের পথ রোধ করতে থাকবে এবং যখনই তাঁর ইচ্ছা ভিন্নতর হবে তখনই এ প্রাচীরে ফাটল ও গর্ত ছাড়া আর কিছুই থাকবে না ।
এভাবে কাফেরদের পরীক্ষামূলক প্রশ্নগুলো তাদের ওপরই পুরোপুরি উল্টে দেবার পর বক্তব্যের শেষে আবার সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে, বক্তব্য শুরু করার সময় যা বলা হয়েছিল । অর্থাৎ তাওহীদ ও আখেরাত হচ্ছে পুরোপুরি সত্য । একে মেনে নেয়া, সে অনুযায়ী নিজেদের সংশোধন করা এবং আল্লাহর সামনে নিজেদের জবাবদিহি করতে হবে বলে মনে করে দুনিয়ায় জীবন যাপন করার মধ্যেই তোমাদের নিজেদের মংগল । এভাবে না চললে তোমাদের নিজেদের জীবন ধ্বংস হবে এবং তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপও নিষ্ফল হয়ে যাবে ।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
সরা কাহাফ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআন শরিফের ১৮ নম্বর সূরা এটি। আয়াত সংখ্যা ১১০, রুকু ১২। এটি ১৫ নম্বর পারার দ্বিতীয় সূরা। বিভিন্ন হাদিসে সূরা কাহাফের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। বিশেষত জুমার দিন এ সূরা তেলাওয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে। নিচে কিছু সহিহ হাদিস উল্লেখ করা হলো-
১। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে হেফাজত থাকবে। -সহিহ মুসলিম: ৮০৯, আবু দাউদ: ৪৩২৩
২। হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পড়বে যেমনভাবে নাজিল করা হয়েছে, তাহলে সেটা তার জন্য নূর হবে তার স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত এবং যে সূরার শেষ দশ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে এবং দাজ্জাল তার ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। -সুনানে নাসাঈ: ১৭২২
৩।হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ যেমনভাবে নাজিল হয়েছে সেভাবে পড়বে, তার জন্য কেয়ামতের দিন সেটা নূর হবে। -শোয়াবুল ঈমান: ২২২১
সুরা নং- ০১৮ : আল-কাহফ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَى عَبْدِهِ الْكِتَابَ وَلَمْ يَجْعَلْ لَهُ عِوَجَا18.1
আরবি উচ্চারণ ১৮.১। আল্হাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী য় আন্যালা ‘আলা ‘আবদিহিল্ কিতা-বা অ লাম্ ইয়াজ্ব‘আল্ লাহূ ‘ইওয়াজ্বা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দার উপর কিতাব নাযিল করেছেন এবং তাতে রাখেননি কোন বক্রতা ।
قَيِّمًا لِيُنْذِرَ بَأْسًا شَدِيدًا مِنْ لَدُنْهُ وَيُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا حَسَنًا18.2
আরবি উচ্চারণ ১৮.২। ক্বাইয়্যিমাল্ লিইয়ুন্যির বাসান্ শাদীদাম্ মিল্লাদুন্হু অইয়ুবাশ্ শিরাল্ মুমিনীনাল্লাযীনা ইয়া’মালূনাছ্ ছোয়া-লিহা-তি আন্না লাহুম্ আজ্বরান্ হাসানা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.২ সরলরূপে, যাতে সে তাঁর পক্ষ থেকে কঠিন আযাব সম্পর্কে সতর্ক করে এবং সুসংবাদ দেয়, সেসব মুমিনকে, যারা সৎকর্ম করে, নিশ্চয় তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান।
مَاكِثِينَ فِيهِ أَبَدًا18.3
আরবি উচ্চারণ ১৮.৩। মা-কিছীনা ফীহি আবাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৩ তারা তাতে অনন্তকাল অবস্থান করবে।
وَيُنْذِرَ الَّذِينَ قَالُوا اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا18.4
আরবি উচ্চারণ ১৮.৪। অইয়ুন্যিরল্লাযীনা ক্ব-লুত্তাখযাল্লা-হু অলাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৪ আর যেন সতর্ক করে তাদেরকে, যারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন’।
مَا لَهُمْ بِهِ مِنْ عِلْمٍ وَلَا لِآبَائِهِمْ كَبُرَتْ كَلِمَةً تَخْرُجُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ إِنْ يَقُولُونَ إِلَّا كَذِبًا 18.5
আরবি উচ্চারণ ১৮.৫। মা-লাহুম্ বিহী মিন্ ‘ইল্মিঁও অলা- লিআ-বা-য়িহিম্; কাবুরত্ কালিমাতান্ তাখ্রুজু মিন্ আফ্ওয়া-হিহিম্; ইঁইয়াকু লূনা ইল্লা-কাযিবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৫ এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও না। বড় মারাত্মক কথা, যা তাদের মুখ থেকে বের হয়। মিথ্যা ছাড়া তারা কিছুই বলে না!
فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَفْسَكَ عَلَى آثَارِهِمْ إِنْ لَمْ يُؤْمِنُوا بِهَذَا الْحَدِيثِ أَسَفًا18.6
আরবি উচ্চারণ ১৮.৬। ফালা‘আল্লাকা বা-খি‘উন্নাফ্সাকা ‘আলা য় আ-ছা-রিহিম্ ইল্ লাম্ ইয়ুমিনূ বিহা-যাল্ হাদীছি আসাফা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৬ হয়তো তুমি তাদের পেছনে পেছনে ঘুরে দুঃখে নিজকে শেষ করে দেবে, যদি তারা এই কথার প্রতি ঈমান না আনে।
إِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْأَرْضِ زِينَةً لَهَا لِنَبْلُوَهُمْ أَيُّهُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا18.7
আরবি উচ্চারণ ১৮.৭। ইন্না- জ্বা‘আল্না-মা- ‘আলাল্ র্আদ্বি যীনাতাল্লাহা-লিনাব্লুঅহুম্ আইয়্যুহুম্ আহ্সানু ‘আমালা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৭ নিশ্চয় যমীনের উপর যা রয়েছে, তা আমি শোভা করেছি তার জন্য, যাতে তাদেরকে পরীক্ষা করি যে, কর্মে তাদের মধ্যে কে উত্তম।
وَإِنَّا لَجَاعِلُونَ مَا عَلَيْهَا صَعِيدًا جُرُزًا18.8
আরবি উচ্চারণ ১৮.৮। অইন্না-লাজ্বা-‘ইলূনা মা-‘আলাইহা-ছোয়া‘ঈদান্ জুরুযা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৮ আর নিশ্চয় তার উপর যা রয়েছে তাকে আমি উদ্ভিদহীন শুষ্ক মাটিতে পরিণত করব।
أَمْ حَسِبْتَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيمِ كَانُوا مِنْ آيَاتِنَا عَجَبًا18.9
আরবি উচ্চারণ ১৮.৯। আম্ হাসিব্তা আন্না আছ্হা-বাল্ ক্বহ্ফি র্অরক্বীমি কা-নূ মিন্ আ-ইয়া-তিনা- ‘আজ্বাবা-
বাংলা অনুবাদ ১৮.৯ তুমি কি মনে করেছ যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা ছিল আমার আয়াতসমূহের এক বিস্ময়?
إِذْ أَوَى الْفِتْيَةُ إِلَى الْكَهْفِ فَقَالُوا رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا18.10
আরবি উচ্চারণ ১৮.১০। ইয্ আওয়াল্ ফিত্ইয়াতু ইলাল্ কাহ্ফি ফাক্ব-লূ রব্বানা য় আ-তিনা-মিল্লাদুন্কা রাহ্মাতাঁও অহাইয়ি লানা- মিন্ আম্রিনা- রশাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১০ যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিল অতঃপর বলল, ‘হে আমদের রব, আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড সঠিক করে দিন’।
فَضَرَبْنَا عَلَى آذَانِهِمْ فِي الْكَهْفِ سِنِينَ عَدَدًا 18.11
আরবি উচ্চারণ ১৮.১১। ফাদ্বোয়ারব্না-‘আলা য় আ-যা- নিহিম্ ফিল্ কাহ্ফি সিনীনা ‘আদাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১১ ফলে আমি গুহায় তাদের কান বন্ধ করে দিলাম অনেক বছরের জন্য।
ثُمَّ بَعَثْنَاهُمْ لِنَعْلَمَ أَيُّ الْحِزْبَيْنِ أَحْصَى لِمَا لَبِثُوا أَمَدًا18.12
আরবি উচ্চারণ ১৮.১২। ছুম্মা বা‘আছ্না-হুম্ লিনা’লামা আই ইয়ুল্ হিয্বাইনি আহ্ছোয়া-লিমা-লাবিছূ য় আমাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১২ তারপর আমি তাদেরকে জাগালাম, যাতে আমি জানতে পারি, যতটুকু সময় তারা অবস্থান করেছিল, দু’দলের মধ্যে কে তা অধিক নির্ণয়কারী।
نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ نَبَأَهُمْ بِالْحَقِّ إِنَّهُمْ فِتْيَةٌ آمَنُوا بِرَبِّهِمْ وَزِدْنَاهُمْ هُدًى18.13
আরবি উচ্চারণ ১৮.১৩। নাহ্নু নাকুছ্ছু ‘আলাইকা নাবায়াহুম্ বিল্হাক; ইন্নাহুম্ ফিত্ইয়াতুন্ আ-মানূ বিরব্বিহিম্ অযিদ্না-হুম্ হুদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১৩ আমিই তোমাকে তাদের সংবাদ সঠিকভাবে বর্ণনা করছি। নিশ্চয় তারা কয়েকজন যুবক, যারা তাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছিল এবং আমি তাদের হিদায়াত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
وَرَبَطْنَا عَلَى قُلُوبِهِمْ إِذْ قَامُوا فَقَالُوا رَبُّنَا رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَنْ نَدْعُوَ مِنْ دُونِهِ إِلَهًا لَقَدْ قُلْنَا إِذًا شَطَطًا18.14
আরবি উচ্চারণ ১৮.১৪। অ রবাত্বনা- ‘আলা-কুলূ বিহিম্ ইয্ ক্ব-মূ ফাক্ব-লূ রব্বুনা-রব্বুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি লান্ নাদ্ব‘ঊঅ মিন্ দূনিহী য় ইলা-হাল্ লাক্বদ্ কুল্না য় ইযান্ শাত্বোয়াত্বোয়া-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১৪ যখন তারা উঠেছিল, আমি তাদের অন্তরকে দৃঢ় করেছিলাম। তখন তারা বলল, ‘আমাদের রব আসমানসমূহ ও যমীনের রব। তিনি ছাড়া কোন ইলাহকে আমরা কখনো ডাকব না। (যদি ডাকি) তাহলে নিশ্চয় আমরা গর্হিত কথা বলব’।
هَؤُلَاءِ قَوْمُنَا اتَّخَذُوا مِنْ دُونِهِ آلِهَةً لَوْلَا يَأْتُونَ عَلَيْهِمْ بِسُلْطَانٍ بَيِّنٍ فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا 18.15
আরবি উচ্চারণ ১৮.১৫। হা য় উলা -য়ি ক্বওমুনাত্তাখাযূ মিন্ দূনিহী য়আ-লিহাহ্; লাওলা- ইয়াতূনা ‘আলাইহিম্ বিসুল্ত্বোয়া-নিম্ বাইয়িনিন্; ফামান্ আজ্লামু মিম্মানিফ্তার- ‘আলাল্লা-হি কাযিবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১৫ এরা আমাদের কওম, তারা তাঁকে ছাড়া অন্যান্য উপাস্য গ্রহণ করেছে। কেন তারা তাদের ব্যাপারে স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করে না? অতএব যে আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা রটায়, তার চেয়ে বড় যালিম আর কে?
وَإِذِ اعْتَزَلْتُمُوهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ إِلَّا اللَّهَ فَأْوُوا إِلَى الْكَهْفِ يَنْشُرْ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ رَحْمَتِهِ وَيُهَيِّئْ لَكُمْ مِنْ أَمْرِكُمْ مِرفَقًا18.16
আরবি উচ্চারণ ১৮.১৬। অ ইযি তাযাল্তুমূহুম্ অমা-ইয়া’বুদূনা ইল্লাল্লা-হা ফায়ূ য় ইলাল্ কাহ্ফি ইয়ার্ন্শু লাকুম্ রব্বুকুম্ র্মি রহ্মাতিহী অ ইয়ুহাইয়িয়ে; লাকুম্ মিন্ আম্রিকুম্ র্মিফাক্ব-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১৬ আর যখন তোমরা তাদের থেকে আলাদা হয়েছ এবং আল্লাহ ছাড়া যাদের তারা উপাসনা করে তাদের থেকেও, তখন গুহায় আশ্রয় নাও। তাহলে তোমাদের রব তোমাদের জন্য তার রহমত উন্মুক্ত করে দেবেন এবং তোমাদের জন্য তোমাদের জীবনোপকরণের বিষয়টি সহজ করে দেবেন।
وَتَرَى الشَّمْسَ إِذَا طَلَعَتْ تَزَاوَرُ عَنْ كَهْفِهِمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَتْ تَقْرِضُهُمْ ذَاتَ الشِّمَالِ وَهُمْ فِي فَجْوَةٍ مِنْهُ ذَلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ مَنْ يَهْدِ اللَّهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِي وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ وَلِيًّا مُرْشِدًا18.17
আরবি উচ্চারণ ১৮.১৭। অতারা শ্ শাম্সা ইযা- ত্বোয়ালা‘আত্ তাযা-অরু ‘আন্ কাহ্ফিহিম্ যা-তাল্ ইয়ামীনি অ ইযা-গরবাত্ তাকরিদ্বুহুম্ যা-তাশ্ শিমা-লি অহুম্ ফী ফাজ্বঅতিম্ মিন্হু যা-লিকা মিন্ আ-ইয়া-তিল্লা-হ্; মাইইঁয়াহ্দিল্লা-হু ফাহুওয়াল্ মুহ্তাদি অমাই ইঁয়ুদ্ব্লিল্ ফালান্ তাজ্বিদা লাহূ অলিয়্যার্ম্মুশিদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১৭ আর তুমি দেখতে পেতে, সূর্য উদিত হলে তাদের গুহার ডানে তা হেলে পড়ছে, আর অস্ত গেলে তাদেরকে বামে রেখে কেটে যাচ্ছে, তখন তারা ছিল তার আঙিনায়। এগুলো আল্লাহর আয়াতসমূহের কিছু। আল্লাহ যাকে হিদায়াত দেন, সে হেদায়াতপ্রাপ্ত। আর যাকে ভ্রষ্ট করেন, তুমি তার জন্য পথনির্দেশকারী কোন অভিভাবক পাবে না।
وَتَحْسَبُهُمْ أَيْقَاظًا وَهُمْ رُقُودٌ وَنُقَلِّبُهُمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَذَاتَ الشِّمَالِ وَكَلْبُهُمْ بَاسِطٌ ذِرَاعَيْهِ بِالْوَصِيدِ لَوِ اطَّلَعْتَ عَلَيْهِمْ لَوَلَّيْتَ مِنْهُمْ فِرَارًا وَلَمُلِئْتَ مِنْهُمْ رُعْبًا18.18
আরবি উচ্চারণ ১৮.১৮। অতাহ্সাবুহুম্ আইক্ব-জোয়াঁও অহুম্ রুকুদুঁও অ নুক্বল্লিবুহুম্ যা-তাল্ ইয়ামীনি অযা-তাশ্ শিমা-লি অকাল্বুহুম্ বা-সিত্বুন্ যির-‘আইহি বিল্অছীদ্; লাওয়িত্ত্ব ত্বোয়ালা’তা ‘আলাইহিম্ লাওয়াল্লাইতা মিন্হুম্ ফির-রঁও অলামুলিতা মিন্হুম্ রু’বা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১৮ তুমি তাদেরকে মনে করতে জাগ্রত, অথচ তারা ছিল ঘুমন্ত, আমি তাদেরকে পাশ পরিবর্তন করাচ্ছি ডানে ও বামে এবং তাদের কুকুরটি আঙিনায় তার সামনের দু’পা বাড়িয়ে আছে। যদি তুমি তাদেরকে উঁকি মেরে দেখতে, তবে নিশ্চয় তাদের থেকে পেছনে ফিরে পালিয়ে যেতে এবং অবশ্যই তাদের কারণে ভীষণ ভীত হতে।
وَكَذَلِكَ بَعَثْنَاهُمْ لِيَتَسَاءَلُوا بَيْنَهُمْ قَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ كَمْ لَبِثْتُمْ قَالُوا لَبِثْنَا يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍ قَالُوا رَبُّكُمْ أَعْلَمُ بِمَا لَبِثْتُمْ فَابْعَثُوا أَحَدَكُمْ بِوَرِقِكُمْ هَذِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ فَلْيَنْظُرْ أَيُّهَا أَزْكَى طَعَامًا فَلْيَأْتِكُمْ بِرِزْقٍ مِنْهُ وَلْيَتَلَطَّفْ وَلَا يُشْعِرَنَّ بِكُمْ أَحَدًا 18.19
আরবি উচ্চারণ ১৮.১৯। অ কাযা-লিকা বা‘আছ্না-হুম্ লিইয়াতাসা-য়ালূ বাইনাহুম্; ক্ব-লা ক্ব-য়িলুম্ মিন্হুম্ কাম্ লাবিছ্তুম্ ; ক্ব-লূ লাবিছ্না-ইয়াওমান্ আও বা’দ্বোয়া ইয়াওম্; ক্ব-লূ রব্বুকুম্ আ’লামু বিমা-লাবিছ্তুম্; ফাব্আছূ য় আহাদাকুম্ বিওয়ারিক্বিকুম্ হা-যিহী য় ইলাল্ মাদীনাতি ফাল্ইয়ার্ন্জু আই ইয়ুহা য় আয্কা-ত্বোয়া‘আ-মান্ ফাল্ইয়াতিকুম্ বিরিয্ক্বিম্ মিন্হু অল্ইয়াতালাত্ত্বোয়াফ্ অলা-ইয়ুশ্‘ইরান্না বিকুম্ আহাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১৯ আর এমনিভাবে আমি তাদেরকে জাগিয়ে তুলেছিলাম, যাতে তারা পরস্পর জিজ্ঞাসা করে। তাদের একজন বলল, ‘তোমরা কতক্ষণ অবস্থান করলে’? তারা বলল, ‘আমরা একদিন কিংবা একদিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি। তারা বলল, ‘তোমরা কতক্ষণ অবস্থান করেছ, সে ব্যাপারে তোমাদের রবই অধিক জানেন। তাই তোমরা তোমাদের কাউকে তোমাদের এই রৌপ্যমুদ্রাগুলো দিয়ে শহরে পাঠাও। অতঃপর সে যেন দেখে শহরের কোন্ খাবার একেবারে ভেজালমুক্ত, তখন সে যেন তোমাদের জন্য তা থেকে কিছু খাবার নিয়ে আসে। আর সে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবে এবং কাউকে যেন তোমাদের ব্যাপারে না জানায়’।
إِنَّهُمْ إِنْ يَظْهَرُوا عَلَيْكُمْ يَرْجُمُوكُمْ أَوْ يُعِيدُوكُمْ فِي مِلَّتِهِمْ وَلَنْ تُفْلِحُوا إِذًا أَبَدًا18.20
আরবি উচ্চারণ ১৮.২০। ইন্নাহুম্ ইঁ ইয়াজ্হারূ ‘আলাইকুম্ ইর্য়াজুমূকুম্ আও ইয়ু‘ঈ দূকুম্ ফী মিল্লাতিহিম্ অলান্ তুফ্লিহূ য় ইযান্ আবাদা।
বাংলা অনুবাদ ১৮.২০ ‘নিশ্চয় তারা যদি তোমাদের ব্যাপারে জেনে যায়, তাহলে তারা তোমাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করবে অথবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। আর তখন তোমরা কোনভাবেই সফল হবে না’।
وَكَذَلِكَ أَعْثَرْنَا عَلَيْهِمْ لِيَعْلَمُوا أَنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ وَأَنَّ السَّاعَةَ لَا رَيْبَ فِيهَا إِذْ يَتَنَازَعُونَ بَيْنَهُمْ أَمْرَهُمْ فَقَالُوا ابْنُوا عَلَيْهِمْ بُنْيَانًا رَبُّهُمْ أَعْلَمُ بِهِمْ قَالَ الَّذِينَ غَلَبُوا عَلَى أَمْرِهِمْ لَنَتَّخِذَنَّ عَلَيْهِمْ مَسْجِدًا18.21
আরবি উচ্চারণ ১৮.২১। অ কাযা-লিকা আ’র্ছানা-‘আলাইহিম্ লিইয়া’লামূ য় আন্না অ’দাল্লা-হি হাককুঁও অআন্নাস্সা-‘আতা লা-রইবা ফীহা-ইয্ ইয়াতানা-যা‘ঊনা বাইনাহুম্ আম্রহুম্ ফাক্ব-লুব্নূ ‘আলাইহিম্ বুন্ইয়া-না-; রব্বুহুম্ আ’লামু বিহিম্ ; ক্ব-লাল্লাযীনা গলাবূ ‘আলা য় আম্রিহিম্ লানাত্তাখিযান্না ‘আলাইহিম্ মাস্জ্বিদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.২১ আর এমনিভাবে আমি তাদের ব্যাপারে (লোকদেরকে) জানিয়ে দিলাম, যাতে তারা জানতে পারে যে, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কিয়ামতের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। যখন তারা নিজদের মধ্যে তাদের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করছিল, তখন তারা বলল, ‘তাদের উপর তোমরা একটি ভবন নির্মাণ কর’। তাদের রবই তাদের ব্যাপারে অধিক জ্ঞাত। যারা গুহাবাসীদের উপর প্রাধান্য লাভ করেছিল, তারা বলল, ‘আমরা অবশ্যই তাদের উপর একটি মসজিদ নির্মাণ করব’।
سَيَقُولُونَ ثَلَاثَةٌ رَابِعُهُمْ كَلْبُهُمْ وَيَقُولُونَ خَمْسَةٌ سَادِسُهُمْ كَلْبُهُمْ رَجْمًا بِالْغَيْبِ وَيَقُولُونَ سَبْعَةٌ وَثَامِنُهُمْ كَلْبُهُمْ قُلْ رَبِّي أَعْلَمُ بِعِدَّتِهِمْ مَا يَعْلَمُهُمْ إِلَّا قَلِيلٌ فَلَا تُمَارِ فِيهِمْ إِلَّا مِرَاءً ظَاهِرًا وَلَا تَسْتَفْتِ فِيهِمْ مِنْهُمْ أَحَدًا18.22
আরবি উচ্চারণ ১৮.২২। সাইয়াকুলূনা ছালা-ছার্তু র-বি‘ঊহুম্ কাল্বুহুম্ অইয়াকু লূনা খাম্সাতুন্ সাদিসুহুম্ কাল্বুহুম্্ রাজ্বমাম্ বিল্গইবি অ ইয়াকুলূনা সাব্‘আতুঁও অ ছা-মিনুহুম্ কাল্বুহুম্; ক্বর্ ু রব্বী য় আ’লামু বি‘ইদ্দাতিহিম্ মা-ইয়া’লামুহুম্ ইল্লা-ক্বলীল্; ফালা-তুমা-রি ফীহিম্ ইল্লা-মির-য়ান্ জোয়া-হিরঁও অলা-তাস্তাফ্তি ফীহিম্ মিন্হুম্ আহাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.২২ বিতর্ককারীরা বলবে, ‘তারা ছিল তিন জন, চতুর্থ হল তাদের কুকুর’। আর কতক বলবে, ‘তারা ছিল পাঁচজন, ষষ্ঠ হল তাদের কুকুর’। এসবই অজানা বিষয়ে অনুমান করে। আর কেউ কেউ বলবে, ‘তারা ছিল সাত জন; অষ্টম হল তাদের কুকুর’। বল, ‘আমার রবই তাদের সংখ্যা সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত’। কম সংখ্যক লোকই তাদেরকে জানে। সুতরাং স্পষ্ট আলোচনা ছাড়া তুমি তাদের ব্যাপারে বিতর্ক করো না। আর তাদের ব্যাপারে লোকদের মধ্যে কারো কাছে জানতে চেয়ো না।
وَلَا تَقُولَنَّ لِشَيْءٍ إِنِّي فَاعِلٌ ذَلِكَ غَدًا18.23
আরবি উচ্চারণ ১৮.২৩। অলা-ত্বাকু লান্না লিশাইয়িন্ ইন্নী ফা-‘ইলুন্ যা-লিকা গদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.২৩ আর কোন কিছুর ব্যাপারে তুমি মোটেই বলবে না যে, ‘নিশ্চয় আমি তা আগামী কাল করব’,
إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ وَاذْكُرْ رَبَّكَ إِذَا نَسِيتَ وَقُلْ عَسَى أَنْ يَهْدِيَنِي رَبِّي لِأَقْرَبَ مِنْ هَذَا رَشَدًا18.24
আরবি উচ্চারণ ১৮.২৪। ইল্লা য় আইঁ ইয়াশা-য়াল্লা-হু অর্য্কু রব্বাকা ইযা-নাসীতা অকুল্ ‘আসা য় আইঁ ইয়াহ্দিয়ানি রব্বী লিআকরবা মিন্ হা-যা-রশাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.২৪ তবে ‘আল্লাহ যদি চান’। আর যখন ভুলে যাও, তখন তুমি তোমার রবের যিকির কর এবং বল, আশা করি, আল্লাহ আমাকে এর চেয়েও নিকটবর্তী সত্য পথের হিদায়াত দেবেন।
وَلَبِثُوا فِي كَهْفِهِمْ ثَلَاثَ مِائَةٍ سِنِينَ وَازْدَادُوا تِسْعًا18.25
আরবি উচ্চারণ ১৮.২৫। অ লাবিছূ ফী কাহ্ফিহিম্ ছালা-ছা মিয়াতিন্ সিনীনা অয্দা-দূ তিস্‘আ-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.২৫ আর তারা তাদের গুহায় অবস্থান করেছে তিনশ’বছর এবং এর সাথে অতিরিক্ত হয়েছিল ‘নয়’।
قُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا لَبِثُوا لَهُ غَيْبُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَبْصِرْ بِهِ وَأَسْمِعْ مَا لَهُمْ مِنْ دُونِهِ مِنْ وَلِيٍّ وَلَا يُشْرِكُ فِي حُكْمِهِ أَحَدًا18.26
আরবি উচ্চারণ ১৮.২৬। কুলিল্লা-হু আ’লামু বিমা-লাবিছূ লাহূ গইবুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব্; আর্ব্ছি বিহী অআস্মি’ মা-লাহুম্ মিন্ দূনিহী মিওঁ অলিয়্যিওঁ অলা-ইয়ুশ্রিকু ফী হুক্মিহী য় আহাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.২৬ বল, ‘তারা যে সময়টুকু অবস্থান করেছিল, সে ব্যাপারে আল্লাহই অধিক জানেন’। আসমানসমূহ ও যমীনের গায়েবী বিষয় তাঁরই। এ ব্যাপারে তিনিই উত্তম দ্রষ্টা ও উত্তম শ্রোতা। তিনি ছাড়া তাদের কোন অভিভাবক নেই। তাঁর সিদ্ধান্তে তিনি কাউকে শরীক করেন না।
وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنْ كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَنْ تَجِدَ مِنْ دُونِهِ مُلْتَحَدًا18.27
আরবি উচ্চারণ ১৮.২৭। অত্লু মা য় ঊহিয়া ইলাইকা মিন্ কিতা-বি রব্বিক্;লা-মুবাদ্দিলা লিকালিমা-তিহী অলান্ তাজ্বিদা মিন্ দূনিহী মুল্তাহাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.২৭ আর তোমার রবের কিতাব থেকে তোমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়, তুমি তা তিলাওয়াত কর। তাঁর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তনকারী নেই এবং তিনি ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল তুমি পাবে না।
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَنْ ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا18.28
আরবি উচ্চারণ ১৮.২৮। অর্ছ্বি নাফ্সাকা মা‘আল্লাযীনা ইয়াদ্‘ঊনা রব্বাহুম্ বিল্গদা-তি অল্‘আশিয়্যি ইয়ুরীদূনা অজ্বহাহূ অলা-তা’দু ‘আইনা-কা ‘আন্হুম্ তুরীদু যীনাতাল্ হাইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া-অলা-তুত্বি’মান্ আগ্ফাল্না-ক্বল্বাহূ ‘আন্ যিক্রিনা- অত্তাবা‘আ হাওয়া-হু অ কা-না আম্রুহূ ফুরুত্বোয়া-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.২৮ আর তুমি নিজকে ধৈর্যশীল রাখ তাদের সাথে, যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের রবকে ডাকে, তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশে এবং দুনিয়ার জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে। তোমার দু’চোখ যেন তাদের থেকে ঘুরে না যায়। আর ওই ব্যক্তির আনুগত্য করো না, যার অন্তরকে আমি আমার যিকির থেকে গাফেল করে দিয়েছি এবং যে তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে এবং যার কর্ম বিনষ্ট হয়েছে।
وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكُمْ فَمَنْ شَاءَ فَلْيُؤْمِنْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَكْفُرْ إِنَّا أَعْتَدْنَا لِلظَّالِمِينَ نَارًا أَحَاطَ بِهِمْ سُرَادِقُهَا وَإِنْ يَسْتَغِيثُوا يُغَاثُوا بِمَاءٍ كَالْمُهْلِ يَشْوِي الْوُجُوهَ بِئْسَ الشَّرَابُ وَسَاءَتْ مُرْتَفَقًا18.29
আরবি উচ্চারণ ১৮.২৯। অকুলিল্ হাককু র্মি রব্বিকুম্ ফামান্ শা-য়া ফাল্ ইয়ুমিঁও অমান্ শা-য়া ফাল্ ইয়ার্ক্ফু ইন্না য় আ’তাদ্না-লিজ্বজোয়া-লিমীনা না-রান্ আহা-ত্বোয়া বিহিম্ সুরা-দিকুহা-; অ ইঁ ইয়াস্তাগীছূ ইয়ুগা-ছু বিমা-য়িন্ কাল্মুহ্লি ইয়াশ্ওয়িল্ উজুহ্; বি’সাশ্ শারা-ব্; অসা-য়াত্ র্মুতাফাক্ব-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.২৯ আর বল, ‘সত্য তোমাদের রবের পক্ষ থেকে। সুতরাং যে ইচ্ছা করে সে যেন ঈমান আনে এবং যে ইচ্ছা করে সে যেন কুফরী করে। নিশ্চয় আমি যালিমদের জন্য আগুন প্রস্তুত করেছি, যার প্রাচীরগুলো তাদেরকে বেষ্টন করে রেখেছে। যদি তারা পানি চায়, তবে তাদেরকে দেয়া হবে এমন পানি যা গলিত ধাতুর মত, যা চেহারাগুলো ঝলসে দেবে। কী নিকৃষ্ট পানীয়! আর কী মন্দ বিশ্রামস্থল!
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ إِنَّا لَا نُضِيعُ أَجْرَ مَنْ أَحْسَنَ عَمَلًا18.30
আরবি উচ্চারণ ১৮.৩০। ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি ইন্না-লা-নুদ্বী‘উ আজ্বরা মান্ আহ্সানা ‘আমালা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৩০ নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, নিশ্চয় আমি এমন কারো প্রতিদান নষ্ট করব না, যে সুকর্ম করেছে।
أُولَئِكَ لَهُمْ جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهِمُ الْأَنْهَارُ يُحَلَّوْنَ فِيهَا مِنْ أَسَاوِرَ مِنْ ذَهَبٍ وَيَلْبَسُونَ ثِيَابًا خُضْرًا مِنْ سُنْدُسٍ وَإِسْتَبْرَقٍ مُتَّكِئِينَ فِيهَا عَلَى الْأَرَائِكِ نِعْمَ الثَّوَابُ وَحَسُنَتْ مُرْتَفَقًا 18.31
আরবি উচ্চারণ ১৮.৩১। উলা-য়িকা লাহুম্ জ্বান্না-তু ‘আদ্নিন্ তাজ্বরী মিন্ তাহ্তিহিমুল্ আন্হা-রু ইয়ুহাল্লাওনা ফীহা- মিন্ আসা-ওয়ির মিন্ যাহাবিঁও অ ইয়াল্বাস্না ছিয়াবান্ খুদ্ব্রাম্ মিন্ সুন্দুসিঁও অ ইস্তাব্রক্বিম্ মুত্তাক্বিয়ীনা ফীহা-‘আলাল্ আর-য়িক্; নি’মাছ্ ছাওয়া-ব্; অহাসুনাত্ র্মুতাফাক্ব-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৩১ এরাই তারা, যাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী জান্নাতসমূহ, যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয় নদীসমূহ। সেখানে তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণের চুড়ি দিয়ে এবং তারা পরিধান করবে মিহি ও পুরু সিল্কের সবুজ পোশাক। তারা সেখানে (থাকবে) আসনে হেলান দিয়ে। কী উত্তম প্রতিদান এবং কী সুন্দর বিশ্রামস্থল !
وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلًا رَجُلَيْنِ جَعَلْنَا لِأَحَدِهِمَا جَنَّتَيْنِ مِنْ أَعْنَابٍ وَحَفَفْنَاهُمَا بِنَخْلٍ وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمَا زَرْعًا18.32
আরবি উচ্চারণ ১৮.৩২। অদ্বরিব্ লাহুম্ মাছার্লা রাজু লাইনি জ্বা‘আল্না-লিআহাদিহিমা-জ্বান্নাতাইনি মিন্ আ’না-বিঁও অ হাফাফ্না-হুমা-বিনাখ্লিঁও অ জ্বা‘আল্না-বাইনাহুমা- র্যা‘আ-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৩২ আর তুমি তাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত পেশ কর: দুই ব্যক্তি, তাদের একজনকে আমি দু’টি আঙ্গুরের বাগান দিয়েছি এবং উভয় বাগানকে ঘিরে দিয়েছি খেজুর গাছ দ্বারা এবং উভয়ের মাঝখানে রেখেছি শস্যক্ষেত।
كِلْتَا الْجَنَّتَيْنِ آتَتْ أُكُلَهَا وَلَمْ تَظْلِمْ مِنْهُ شَيْئًا وَفَجَّرْنَا خِلَالَهُمَا نَهَرًا18.33
আরবি উচ্চারণ ১৮.৩৩। কিল্তাল্ জ্বান্নাতাইনি আ-তাত্ উকুলাহা- অ লাম্ তাজ্লিম্ মিন্হু শাইয়াঁও অ ফার্জ্জ্বানা-খিলা-লাহুমা-নাহর-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৩৩ উভয় বাগান ফল দিয়েছে, তাতে কিছুই ত্র“টি করেনি এবং আমি উভয়ের মাঝ দিয়ে নদী প্রবাহিত করেছি।
وَكَانَ لَهُ ثَمَرٌ فَقَالَ لِصَاحِبِهِ وَهُوَ يُحَاوِرُهُ أَنَا أَكْثَرُ مِنْكَ مَالًا وَأَعَزُّ نَفَرًا18.34
আরবি উচ্চারণ ১৮.৩৪। অ কা-না লাহূ ছামারুন্ ফাক্ব-লা লিছোয়া- হিবিহী অ হুঅ ইয়ুহা-ওয়িরুহূয় আনা-আক্ছারু মিন্কা মা-লাওঁ অ আ‘আয্যু নাফার-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৩৪ আর (এতে) তার ছিল বিপুল ফল-ফলাদি। তাই সে তার সঙ্গীকে কথায় কথায় বলল, ‘সম্পদে আমি তোমার চেয়ে অধিক এবং জনবলেও অনেক শক্তিশালী’।
وَدَخَلَ جَنَّتَهُ وَهُوَ ظَالِمٌ لِنَفْسِهِ قَالَ مَا أَظُنُّ أَنْ تَبِيدَ هَذِهِ أَبَدًا 18.35
আরবি উচ্চারণ ১৮.৩৫। অ দাখালা জ্বান্নাতাহূ অ হুঅ জোয়া-লিমুল্ লিনাফ্সিহী ক্ব-লা মা য় আজুন্নু আন্ তাবীদা হা-যিহী য় আবাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৩৫ আর সে তার বাগানে প্রবেশ করল, নিজের প্রতি যুলমরত অবস্থায়। সে বলল, ‘আমি মনে করি না যে, এটি কখনো ধ্বংস হবে’।
وَمَا أَظُنُّ السَّاعَةَ قَائِمَةً وَلَئِنْ رُدِدْتُ إِلَى رَبِّي لَأَجِدَنَّ خَيْرًا مِنْهَا مُنْقَلَبًا18.36
আরবি উচ্চারণ ১৮.৩৬। অমায় আজুন্নুস্ সা‘আতা ক্ব-য়িমাতাঁও অলার্য়ি রুদিত্তু ইলা-রব্বী লাআজ্বিদান্না খইরম্ মিন্হা- মুন্ক্বলাবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৩৬ ‘আর আমি মনে করি না যে, কিয়ামত সংঘটিত হবে। আর আমাকে যদি ফিরিয়ে নেয়া হয় আমার রবের কাছে, তবে নিশ্চয় আমি এর চেয়ে উত্তম প্রত্যাবর্তনস্থল পাব’।
قَالَ لَهُ صَاحِبُهُ وَهُوَ يُحَاوِرُهُ أَكَفَرْتَ بِالَّذِي خَلَقَكَ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ سَوَّاكَ رَجُلًا18.37
আরবি উচ্চারণ ১৮.৩৭। ক্ব-লা লাহূ ছোয়া-হিবুহূ অ হুঅ ইয়ুহা-ওয়িরুহূ য় আকার্ফাতা বিল্লাযী খলাক্বকা মিন্ তুরা-বিন্ ছুম্মা মিন্ নুত্বফাতিন্ ছুম্মা সাওয়্যা-কা রাজুলা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৩৭ কথায় কথায় তার সঙ্গী বলল, ‘তুমি কি তাকে অস্বীকার করছ, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর ‘বীর্য’ থেকে, তারপর তোমাকে অবয়ব দিয়েছেন পুরুষের’?
لَكِنَّا هُوَ اللَّهُ رَبِّي وَلَا أُشْرِكُ بِرَبِّي أَحَدًا18.38
আরবি উচ্চারণ ১৮.৩৮। লা-কিন্না হুওয়াল্লা-হু রব্বী অলা য়উশ্রিকু বিরব্বী য়আহাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৩৮ ‘কিন্তু তিনিই আল্লাহ, আমার রব। আর আমি আমার রবের সাথে কাউকে শরীক করি না’।
وَلَوْلَا إِذْ دَخَلْتَ جَنَّتَكَ قُلْتَ مَا شَاءَ اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ إِنْ تَرَنِي أَنَا أَقَلَّ مِنْكَ مَالًا وَوَلَدًا18.39
আরবি উচ্চারণ ১৮.৩৯। অ লাওলা য় ইয্ দাখাল্তা জ্বান্নাতাকা কুল্তা মা-শা-য়াল্লা-হু লা-কুওয়্যাতা ইল্লা- বিল্লা-হি ইন্ তারনি আনা-আক্বল্লা মিন্কা মা-লাঁও ওয়া অলাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৩৯ ‘আর যখন তুমি তোমার বাগানে প্রবেশ করলে, তখন কেন তুমি বললে না, ‘মাশাআল্লাহ’! আল্লাহর তৌফিক ছাড়া কোন শক্তি নেই। তুমি যদি দেখ যে, আমি সম্পদে ও সন্তানে তোমার চেয়ে কম,
فَعَسَى رَبِّي أَنْ يُؤْتِيَنِي خَيْرًا مِنْ جَنَّتِكَ وَيُرْسِلَ عَلَيْهَا حُسْبَانًا مِنَ السَّمَاءِ فَتُصْبِحَ صَعِيدًا زَلَقًا 18.40
আরবি উচ্চারণ ১৮.৪০। ফা‘আসা-রব্বী য় আইঁ ইয়ুতিয়ানি খইরম্ মিন্ জ্বন্নাতিকা অইর্য়ুসিলা ‘আলাইহা- হুস্বা-নাম্ মিনাস্ সামা-য়ি ফাতুছ্বিহা ছোয়া‘ঈদান্ যালাক্ব-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৪০ তবে আশা করা যায় যে, ‘আমার রব আমাকে তোমার বাগানের চেয়ে উত্তম (কিছু) দান করবেন এবং তার উপর আসমান থেকে বজ্র পাঠাবেন। ফলে তা অনুর্বর উদ্ভিদশূন্য যমীনে পরিণত হবে’।
أَوْ يُصْبِحَ مَاؤُهَا غَوْرًا فَلَنْ تَسْتَطِيعَ لَهُ طَلَبًا18.41
আরবি উচ্চারণ ১৮.৪১। আও ইয়ুছ্বিহা মা-য়ুহা-গওরান্ ফালান্ তাস্তাত্বী ‘আ লাহূ ত্বোয়ালাবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৪১ ‘কিংবা তার পানি মাটির গভীরে চলে যাবে, ফলে তা তুমি কোনভাবেই খুঁজে পাবে না’।
وَأُحِيطَ بِثَمَرِهِ فَأَصْبَحَ يُقَلِّبُ كَفَّيْهِ عَلَى مَا أَنْفَقَ فِيهَا وَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَى عُرُوشِهَا وَيَقُولُ يَا لَيْتَنِي لَمْ أُشْرِكْ بِرَبِّي أَحَدًا18.42
আরবি উচ্চারণ ১৮.৪২। অ উহীত্বোয়া বিছামারিহী ফাআছ্বাহা ইয়ুক্বাল্লিবু কাফ্ফাইহি ‘আলা-মা য় আন্ফাক্ব ফীহা-অ হিয়া খ-ওয়িয়াতুন্ ‘আলা-উরূশিহা-অ ইয়াকুলু ইয়া-লাইতানী লাম্ উশ্রিক্ বিরব্বী য় আহাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৪২ আর (বিপর্যয়ে) তার ফল-ফলাদি ঘিরে ফেলা হল। ফলে তাতে সে যা ব্যয় করেছিল, তার জন্য (আক্ষেপে) হাত কচলাতে লাগল এবং সেটি ধ্বংস হয়েছিল তার মাচার উপর। আর সে বলছিল, ‘হায় আক্ষেপ! আমি যদি আমার রবের সাথে কাউকে শরীক না করতাম’!
وَلَمْ تَكُنْ لَهُ فِئَةٌ يَنْصُرُونَهُ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَمَا كَانَ مُنْتَصِرًا18.43
আরবি উচ্চারণ ১৮.৪৩। অলাম্ তাকুল্লাহূ ফিয়াতুঁই ইয়ান্ছুরূ নাহূ মিন্ দূনিল্লা-হি অমা-কা-না মুন্তাছির-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৪৩ আর আল্লাহ ছাড়া তার এমন কোন লোকবলও ছিল না যারা তাকে সাহায্য করবে এবং সে সাহায্যপ্রাপ্তও ছিল না।
هُنَالِكَ الْوَلَايَةُ لِلَّهِ الْحَقِّ هُوَ خَيْرٌ ثَوَابًا وَخَيْرٌ عُقْبًا18.44
আরবি উচ্চারণ ১৮.৪৪। হুনা-লিকাল্ অলা-ইয়াতু লিল্লা-হিল্ হাক; হুঅ খইরুন্ ছাওয়া-বাঁও অখইরুন্ ‘উকবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৪৪ এখানে অভিভাবকত্ব আল্লাহর, যিনি সত্য। তিনিই প্রতিদানে উত্তম এবং পরিণামে শ্রেষ্ঠ।
وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا كَمَاءٍ أَنْزَلْنَاهُ مِنَ السَّمَاءِ كَمَاءٍ أَنْزَلْنَاهُ مِنَ السَّمَاءِ فَاخْتَلَطَ بِهِ نَبَاتُ الْأَرْضِ فَأَصْبَحَ هَشِيمًا تَذْرُوهُ الرِّيَاحُ وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ مُقْتَدِرًا18.45
আরবি উচ্চারণ ১৮.৪৫। অদ্ব্রিব্ লাহুম্ মাছালাল্ হা-ইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া-কামা-য়িন্ আন্যাল্না-হু মিনাস্ সামা-য়ি ফাখ্তালাত্বোয়া বিহী নাবা-তুল্ র্আদ্বি ফাআছ্বাহা হাশীমান্ তায্রূ র্হুরিয়া-হ্; অকা-নাল্লা-হু ‘আলা- কুল্লি শাইয়িম্ মুকতাদির-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৪৫ আর আপনি তাদের জন্য পেশ করুন দুনিয়ার জীবনের উপমাঃ তা পানির মত, যা আমি আসমান থেকে বর্ষণ করেছি। অতঃপর তার সাথে মিশ্রিত হয় যমীনের উদ্ভিদ। ফলে তা পরিণত হয় এমন শুকনো গুঁড়ায়, বাতাস যাকে উড়িয়ে নেয়। আর আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
الْمَالُ وَالْبَنُونَ زِينَةُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَالْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ خَيْرٌ عِنْدَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَخَيْرٌ أَمَلًا18.46
আরবি উচ্চারণ ১৮.৪৬।-আল্মালু অল্বানূনা যীনাতুল্ হা-ইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া-অল্ বা-ক্বিয়া-তুছ্ ছোয়া-লিহা-তু খইরুন্ ‘ইন্দা রব্বিকা ছাওয়া-বাঁও অখইরুন্ আমালা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৪৬ সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দুনিয়ার জীবনের শোভা। আর স্থায়ী সৎকাজ তোমার রবের নিকট প্রতিদানে উত্তম এবং প্রত্যাশাতেও উত্তম।
وَيَوْمَ نُسَيِّرُ الْجِبَالَ وَتَرَى الْأَرْضَ بَارِزَةً وَحَشَرْنَاهُمْ فَلَمْ نُغَادِرْ مِنْهُمْ أَحَدًا18.47
আরবি উচ্চারণ ১৮.৪৭। অ ইয়াওমা নুসাইয়্যিরুল্ জ্বিবা-লা অ তারাল্ র্আদ্বোয়া বা-রিযাতাঁও অ হার্শানা-হুম্ ফালাম্ নুগ-র্দি মিন্হুম্ আহাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৪৭ আর যেদিন আমি পাহাড়কে চলমান করব এবং তুমি যমীনকে দেখতে পাবে দৃশ্যমান, আর আমি তাদেরকে একত্র করব। অতঃপর তাদের কাউকেই ছাড়ব না।
وَعُرِضُوا عَلَى رَبِّكَ صَفًّا لَقَدْ جِئْتُمُونَا كَمَا خَلَقْنَاكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ بَلْ زَعَمْتُمْ أَلَّنْ نَجْعَلَ لَكُمْ مَوْعِدًا 18.48
আরবি উচ্চারণ ১৮.৪৮। অ ঊরিদ্বূ ‘আলা-রব্বিকা ছফ্ফা-; লাক্বদ্ জ্বিতুমূনা কামা-খলাকনা-কুম্ আউয়্যালা র্মারাহ্ বাল্ যা‘আম্তুম্ আল্লান্ নাজ্ব‘আলা লাকুম্ মাও‘ইদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৪৮ আর তাদেরকে তোমার রবের সামনে উপস্থিত করা হবে কাতারবদ্ধ করে। (আল্লাহ বলবেন) ‘তোমরা আমার কাছে এসেছ তেমনভাবে, যেমন আমি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম; বরং তোমরা তো ভেবেছিলে আমি তোমাদের জন্য কোন প্রতিশ্র“ত মুহূর্ত রাখিনি’।
وَوُضِعَ الْكِتَابُ فَتَرَى الْمُجْرِمِينَ مُشْفِقِينَ مِمَّا فِيهِ وَيَقُولُونَ يَا وَيْلَتَنَا مَالِ هَذَا الْكِتَابِ لَا يُغَادِرُ صَغِيرَةً وَلَا كَبِيرَةً إِلَّا أَحْصَاهَا وَوَجَدُوا مَا عَمِلُوا حَاضِرًا وَلَا يَظْلِمُ رَبُّكَ أَحَدًا18.49
আরবি উচ্চারণ ১৮.৪৯। অ উদ্বি‘আল্ কিতা-বু ফাতারাল্ মুজ্বরিমীনা মুশ্ফিক্বীনা মিম্মা-ফীহি অইয়াকুলূনা ইয়া-অইলাতানা-মা-লি হা-যাল্ কিতা-বি লা-ইয়ুগ-দিরু ছোয়াগীর তাঁও অলা-কাবীর তান্ ইল্লায় আহ্ছোয়া-হা-অওয়াজ্বাদূ মা- ‘আমিলূ হা-দ্বির-; অলা-ইয়াজ্লিমু রব্বুকা আহাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৪৯ আর আমলনামা রাখা হবে। তখন তুমি অপরাধীদেরকে দেখতে পাবে ভীত, তাতে যা রয়েছে তার কারণে। আর তারা বলবে, ‘হায় ধ্বংস আমাদের! কী হল এ কিতাবের! তা ছোট-বড় কিছুই ছাড়ে না, শুধু সংরক্ষণ করে’ এবং তারা যা করেছে, তা হাযির পাবে। আর তোমার রব কারো প্রতি যুলম করেন না।
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ أَفَتَتَّخِذُونَهُ وَذُرِّيَّتَهُ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِي وَهُمْ لَكُمْ عَدُوٌّ بِئْسَ لِلظَّالِمِينَ بَدَلًا 18.50
আরবি উচ্চারণ ১৮.৫০। অ ইয্ কুল্না-লিল্ মালা-য়িক্বাতিস্ জুদূ লিআ-দামা ফাসাজ্বাদূ য় ইল্লা য় ইবলীস্; কা-না মিনাল্ জ্বিন্নি ফাফাসাক্ব ‘আন্ আম্রি রব্বিহ্; আফাতাত্তাখিযূনাহূ অ র্যুরিয়্যাতাহূ য় আউলিয়া-য়া মিন্ দূনী অহুম্ লাকুম্ ‘আদূ-; বিসা লিজ্জোয়া-লিমীনা বাদালা-
বাংলা অনুবাদ ১৮.৫০ আর যখন আমি ফেরেশতাদের বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর। অতঃপর তারা সিজদা করল, ইবলীস ছাড়া । সে ছিল জিনদের একজন। সে তার রবের নির্দেশ অমান্য করল। তোমরা কি তাকে ও তার বংশকে আমার পরিবর্তে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবে, অথচ তারা তোমাদের শত্র“? যালিমদের জন্য কী মন্দ বিনিময়!
مَا أَشْهَدْتُهُمْ خَلْقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلَا خَلْقَ أَنْفُسِهِمْ وَمَا كُنْتُ مُتَّخِذَ الْمُضِلِّينَ عَضُدًا18.51
আরবি উচ্চারণ ১৮.৫১। মা য় আশ্ হাত্তুহুম্ খল্ক্বস্ সামা-ওয়া-তি অল্র্আদ্বি অলা-খল্ক্ব আন্ফুসিহিম্ অমা- কুন্তু মুত্তাখিযাল্ মুদ্বিল্লীনা ‘আদ্বুদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৫১ আমি তাদেরকে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টির সাক্ষী করিনি এবং না তাদের নিজদের সৃষ্টির। আর আমি পথভ্রষ্টকারীদেরকে সহায়তাকারী হিসেবে গ্রহণ করিনি।
وَيَوْمَ يَقُولُ نَادُوا شُرَكَائِيَ الَّذِينَ زَعَمْتُمْ فَدَعَوْهُمْ فَلَمْ يَسْتَجِيبُوا لَهُمْ وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمْ مَوْبِقًا18.52
আরবি উচ্চারণ ১৮.৫২। অ ইয়াওমা ইয়াকুলু না-দূ শুরাকা-য়িয়াল্লাযীনা যা‘আম্তুম্ ফাদা ‘আওহুম্ ফালাম্ ইয়াস্তাজ্বীবূ লাহুম্ অ জ্বা‘আল্না-বাইনাহুম্ মাওবিক্ব-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৫২ আর যেদিন তিনি বলবেন, ‘তোমরা ডাক আমার শরীকদের, যাদেরকে তোমরা (শরীক) মনে করতে’। অতঃপর তারা তাদেরকে ডাকবে, কিন্তু তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। আর আমি তাদের মধ্যে রেখে দেব ধ্বংসস্থল।
وَرَأَى الْمُجْرِمُونَ النَّارَ فَظَنُّوا أَنَّهُمْ مُوَاقِعُوهَا وَلَمْ يَجِدُوا عَنْهَا مَصْرِفًا18.53
আরবি উচ্চারণ ১৮.৫৩। অরয়াল্ মুজ্বরিমূনা ন্না-র ফাজোয়ান্নূ য় আন্নাহুম্ মুঅ-ক্বিঊ’হা-অলাম্ ইয়াজ্বিদূ ‘আন্হা মাছ্রিফা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৫৩ আর অপরাধীরা আগুন দেখবে, অতঃপর তারা নিশ্চিতরূপে জানতে পারবে যে, নিশ্চয় তারা তাতে নিপতিত হবে এবং তারা তা থেকে বাঁচার কোন পথ খুঁজে পাবে না।
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِنْ كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا 18.54
আরবি উচ্চারণ ১৮.৫৪। অ লাক্বদ্ ছোর্য়ারাফ্না-ফী হা-যাল্ ক্বর্ ুআ-নিলিন্না -সি মিন্ কুল্লি মাছাল্; অ কা-নাল্ ইন্সা-নু আক্ছারা শাইয়িন্ জ্বাদালা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৫৪ আর আমি এই কুরআনে মানুষের জন্য সকল প্রকার উপমা বিস্তারিত বর্ণনা করেছি। আর মানুষ সবচেয়ে বেশি তর্ককারী।
وَمَا مَنَعَ النَّاسَ أَنْ يُؤْمِنُوا إِذْ جَاءَهُمُ الْهُدَى وَيَسْتَغْفِرُوا رَبَّهُمْ إِلَّا أَنْ تَأْتِيَهُمْ سُنَّةُ الْأَوَّلِينَ أَوْ يَأْتِيَهُمُ الْعَذَابُ قُبُلًا18.55
আরবি উচ্চারণ ১৮.৫৫। অমা-মানা‘আন্না-সা আইঁ ইয়ুমিনূ য় ইয্ জ্বা-য়াহুমুল্ হুদা- অ ইয়াস্ তাগ্ফিরূ রব্বাহুম্ ইল্লা য় আন্ তাতিয়াহুম্ সুন্নাতুল্ আও অলীনা আও ইয়াতিয়াহুমুল্ ‘আযা-বু কুবুলা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৫৫ আর যখন মানুষের নিকট হিদায়াত এসেছে, তখন তাদেরকে ঈমান আনতে কিংবা তাদের রবের কাছে ইস্তিগফার করতে বাধা প্রদান করেছে কেবল এ বিষয়টিই যে, পূর্ববর্তীদের (ব্যাপারে আমার নির্ধারিত) রীতি তাদের উপর পুনরায় নেমে আসবে কিংবা তাদের উপর আযাব সরাসরি এসে উপস্থিত হবে।
وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنْذِرِينَ وَيُجَادِلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَمَا أُنْذِرُوا هُزُوًا18.56
আরবি উচ্চারণ ১৮.৫৬। অমা- র্নুসিলুল্ র্মুসালীনা ইল্লা-মুবাশ্শিরীনা অ মুন্যিরীনা অ ইয়ুজ্বা-দিলুল্লাযীনা কাফারূ বিল্বা-ত্বিলি লিইয়ুদ্হিদ্বূ বিহিল্ হাকক্ব অত্তাখাযূ য় আ-ইয়া-তী অমা য় উন্যিরূ হুযুঅ।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৫৬ আর আমি তো রাসূলদেরকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপেই পাঠিয়েছি এবং যারা কুফরী করেছে তারা বাতিল দ্বারা তর্ক করে, যাতে তার মাধ্যমে সত্যকে মিটিয়ে দিতে পারে। আর তারা আমার আয়াতসমূহকে এবং যা দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, তাকে উপহাস হিসেবে গ্রহণ করে।
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِّرَ بِآيَاتِ رَبِّهِ فَأَعْرَضَ عَنْهَا وَنَسِيَ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ إِنَّا جَعَلْنَا عَلَى قُلُوبِهِمْ أَكِنَّةً أَنْ يَفْقَهُوهُ وَفِي آذَانِهِمْ وَقْرًا وَإِنْ تَدْعُهُمْ إِلَى الْهُدَى فَلَنْ يَهْتَدُوا إِذًا أَبَدًا18.57
আরবি উচ্চারণ ১৮.৫৭। অমান্ আজ্লামু মিম্মান্ যুক্কিরা বি আ-ইয়া-তি রব্বিহী ফাআ’রদ্বোয়া ‘আন্হা-অনাসিয়া মা-কাদ্দামাত্ ইয়াদা-হ্; ইন্না-জ্বা‘আল্না- ‘আলা-কুলূবিহিম্ আকিন্নাতান্ আইঁ ইয়াফ্ক্বহূহু অফী য় আ-যা-নিহিম্ অকর-; অ ইন্ তাদ্‘ঊহুম্ ইলাল্ হুদা-ফালাইঁ ইয়াহ্তাদূ য় ইযান্ আবাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৫৭ আর তার চেয়ে অধিক যালিম আর কে হতে পারে, যাকে তার রবের আয়াতসমূহ স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে, অতঃপর সে তা থেকে বিমুখ হয়েছে এবং সে ভুলে গেছে যা তার দু-হাত পেশ করেছে? নিশ্চয় আমি তাদের অন্তরসমূহের উপর পর্দা দিয়ে দিয়েছি, যাতে তারা তা (কুরআন) বুঝতে না পারে। আর তাদের কর্ণসমূহে রয়েছে বধিরতা এবং তুমি তাদেরকে হিদায়াতের প্রতি আহ্বান করলেও তারা কখনো হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে না।
وَرَبُّكَ الْغَفُورُ ذُو الرَّحْمَةِ لَوْ يُؤَاخِذُهُمْ بِمَا كَسَبُوا لَعَجَّلَ لَهُمُالْعَذَابَ بَلْ لَهُمْ مَوْعِدٌ لَنْ يَجِدُوا مِنْ دُونِهِ مَوْئِلًا18.58
আরবি উচ্চারণ ১৮.৫৮। অ রব্বুকাল্ গফূরু র্যুরহমাহ্; লাও ইয়ুঅ খিযুহুম্ বিমা-কাসাবূ লা‘আজ্জ্বালা লাহুমুল্ ‘আযা-ব্; বাল্ লাহুম্ মাও‘ইদুল্লাইঁ ইয়াজিদূ মিন্ দূনিহী মাওয়িলা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৫৮ আর তোমার রব ক্ষমাশীল, দয়াময়। তারা যা উপার্জন করেছে, তার কারণে তিনি যদি তাদেরকে পাকড়াও করতেন তবে অবশ্যই তাদের জন্য আযাব ত্বরান্বিত করতেন। বরং তাদের জন্য রয়েছে প্রতিশ্র“ত সময়, যা থেকে তারা কোন আশ্রয়স্থল পাবে না।
وَتِلْكَ الْقُرَى أَهْلَكْنَاهُمْ لَمَّا ظَلَمُوا وَجَعَلْنَا لِمَهْلِكِهِمْ مَوْعِدًا18.59
আরবি উচ্চারণ ১৮.৫৯। অ তিল্কাল্ কুর য় আহ্লাক্না-হুম্ লাম্মা- জোয়ালামূ অজ্বা‘আল্না-লিমাহ্লিকিহিম্ মাও‘ইদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৫৯ আর এগুলো সেই জনপদ যেগুলো আমি ধ্বংস করেছি যখন তারা যুলম করেছে এবং আমি তাদের ধ্বংসের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করেছি।
وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِفَتَاهُ لَا أَبْرَحُ حَتَّى أَبْلُغَ مَجْمَعَ الْبَحْرَيْنِ أَوْ أَمْضِيَ حُقُبًا18.60
আরবি উচ্চারণ ১৮.৬০। অইয্ ক্ব-লা মূসা -লিফাতা-হু লা য় আব্রহু হাত্তা য় আব্লুগ মাজ্বমা‘আল্ বাহ্রাইনি আও আম্দ্বিয়া হুকুবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৬০ আর স্মরণ কর, যখন মূসা তার সহচর যুবকটিকে বলল, আমি চলতে থাকব যতক্ষণ না দুই সমুদ্রের মিলনস্থলে উপনীত হব কিংবা দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দেব।
فَلَمَّا بَلَغَا مَجْمَعَ بَيْنِهِمَا نَسِيَا حُوتَهُمَا فَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِي الْبَحْرِ سَرَبًا 18.61
আরবি উচ্চারণ ১৮.৬১। ফালাম্মা-বালাগ মাজ্ব্মা‘আ বাইনিহিমা-নাসিয়া-হূতাহুমা- ফাত্তাখাযা সাবীলাহূ বিল্ বাহ্রি সারাবা।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৬১ এরপর যখন তারা তাদের দুই সমুদ্রের মিলনস্থলে উপনীত হল, তখন তারা তাদের মাছের কথা ভুলে গেল। ফলে মাছটি নালার মত করে সমুদ্রে তার পথ করে নিল।
فَلَمَّا جَاوَزَا قَالَ لِفَتَاهُ آتِنَا غَدَاءَنَا لَقَدْ لَقِينَا مِنْ سَفَرِنَا هَذَا نَصَبًا18.62
আরবি উচ্চারণ ১৮.৬২। ফালাম্মা-জ্বা-অযা-ক্ব-লা লিফাত্বা-হু আ-তিনা- গদা-য়ানা-লাক্বদ্ লাক্বীনা-মিন্ সাফারিনা-হাযা-নাছোয়াবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৬২ অতঃপর যখন তারা অগ্রসর হল তখন সে তার যুবককে বলল, ‘আমাদের সকালের খাবার নিয়ে আস। আমাদের এই সফরে আমরা অনেক ক্লান্তির মুখোমুখি হয়েছি’।
قَالَ أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الْحُوتَ وَمَا أَنْسَانِيهُ إِلَّا الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ وَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِي الْبَحْرِ عَجَبًا18.63
আরবি উচ্চারণ ১৮.৬৩। ক্ব-লা আরায়াইতা ইয্ আওয়াইনা য় ইলাছ্ ছোয়াখ্রতি ফাইন্নী নাসীতুল্ হূতা অমা য় আন্সানীহু ইল্লাশ্ শাইত্বোয়া-নু আন্ আয্কুরাহূ ওয়াত্তাখাযা সাবীলাহূ ফিল্ বাহ্রি ‘আজ্বাবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৬৩ সে বলল, আপনি কি লক্ষ্য করেছেন যে, যখন আমরা পাথরটিতে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম, তখন আমি মাছটি হারিয়ে ফেলি। আর আমাকে তা স্মরণ করতে ভুলিয়েছে কেবল শয়তান এবং আশ্চর্যজনকভাবে তা সমুদ্রে তার পথ করে নিয়েছে’।
قَالَ ذَلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِ فَارْتَدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قَصَصًا18.64
আরবি উচ্চারণ ১৮.৬৪। ক্ব-লা যা-লিকা মা-কুন্না- নাব্গি ফারতাদ্দা ‘আলা য় আ-ছা-রিহিমা ক্বাছোয়াছোয়া-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৬৪ সে বলল, ‘ঐ স্থানটিই আমরা খুঁজছি। তাই তারা তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে পেছনে ফিরে গেল’।
فَوَجَدَا عَبْدًا مِنْ عِبَادِنَا آتَيْنَاهُ رَحْمَةً مِنْ عِنْدِنَا وَعَلَّمْنَاهُ مِنْ لَدُنَّا عِلْمًا18.65
আরবি উচ্চারণ ১৮.৬৫। ফাঅজ্বাদা-‘আব্দাম্ মিন্ ‘ইবা-দিনা য় আ-তাইনা-হু রহ্মাতাম্ মিন্ ‘ইন্দিনা-অ ‘আল্লাম্না-হু মিল লাদুন্না ‘ইল্মা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৬৫ অতঃপর তারা আমার বান্দাদের মধ্য থেকে এক বান্দাকে পেল, যাকে আমি আমার পক্ষ থেকে রহমত দান করেছি এবং তাকে আমার পক্ষ থেকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছি।
قَالَ لَهُ مُوسَى هَلْ أَتَّبِعُكَ عَلَى أَنْ تُعَلِّمَنِي مِمَّا عُلِّمْتَ رُشْدًا 18.66
আরবি উচ্চারণ ১৮.৬৬। ক্ব-লা লাহূ মূসা- হাল্ আত্তাবি‘উকা ‘আলা য় আন্ তু‘আল্লিমানি মিম্মা-‘উল্লিম্তা রুশ্দা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৬৬ মূসা তাঁকে বলল, ‘আমি কি আপনাকে এই শর্তে অনুসরণ করব যে, আপনাকে যে সঠিক জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তা আমাকে শিক্ষা দেবেন’?
قَالَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا18.67
আরবি উচ্চারণ ১৮.৬৭। ক্ব-লা ইন্নাকা লান্ তাস্তাত্বী ‘আ মাই’য়া ছোয়াব্রা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৬৭ সে বলল, ‘আপনি কখনো আমার সাথে ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না’।
وَكَيْفَ تَصْبِرُ عَلَى مَا لَمْ تُحِطْ بِهِ خُبْرًا18.68
আরবি উচ্চারণ ১৮.৬৮। অ কাইফা তাছ্বিরু ‘আলা-মা-লাম্ তুহিত্ব বিহী খুব্রা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৬৮ ‘আপনি তাতে কীভাবে ধৈর্য ধরবেন, যে সম্পর্কে আপনি জানেন না’?
قَالَ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ صَابِرًا وَلَا أَعْصِي لَكَ أَمْرًا18.69
আরবি উচ্চারণ ১৮.৬৯। ক্ব-লা সাতাজ্বিদুনী য় ইন্ শা-য়াল্লা-হু ছোয়া-বিরাঁও অলা য় আ’ছী লাকা আম্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৬৯ সে বলল, ‘ইনশাআল্লাহ, আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন এবং কোন বিষয়ে আমি আপনার অবাধ্য হব না’।
قَالَ فَإِنِ اتَّبَعْتَنِي فَلَا تَسْأَلْنِي عَنْ شَيْءٍ حَتَّى أُحْدِثَ لَكَ مِنْهُ ذِكْرًا18.70
আরবি উচ্চারণ ১৮.৭০। ক্ব-লা ফাইনিত্ তাবা’তানী ফালা-তাস্য়াল্নী ‘আন্ শাইয়িন্ হাত্তা -উহ্দিছা লাকা মিন্হু যিক্র।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৭০ সে বলল, ‘তবে আপনি যদি আমাকে অনুসরণ করেন, তাহলে কোন বিষয় সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যতক্ষণ না আমি সে সম্পর্কে আপনাকে জানাই’।
فَانْطَلَقَا حَتَّى إِذَا رَكِبَا فِي السَّفِينَةِ خَرَقَهَا قَالَ أَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ أَهْلَهَا لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا إِمْرًا18.71
আরবি উচ্চারণ ১৮.৭১। ফান্ত্বোয়ালাক্ব-হাত্তা য় ইযা-রকিবা-ফিস্ সাফীনাতি খারাক্বাহা-; ক্ব-লা আখারাকতাহা-লিতুগ্রিক্ব আহ্লাহা-লাক্বদ্ জ্বিতা শাইয়ান্ ইম্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৭১ অতঃপর তারা চলতে থাক। অবশেষে যখন তারা জাহাজে চড়ল, সে তা ফুটো করে দিল। সে বলল, ‘আপনি কি তার আরোহীদের ডুবানোর জন্য তা ফুটো করে দিলেন? আপনি অবশ্যই মন্দ কাজ করলেন’।
قَالَ أَلَمْ أَقُلْ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا 18.72
আরবি উচ্চারণ ১৮.৭২। ক্ব-লা আলাম্ আকুল্ ইন্নাকা লান্ তাস্তাত্বী‘আ মাড্ডইয়া ছোয়াব্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৭২ সে বলল, ‘আমি কি বলিনি, আপনি আমার সাথে ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না?
قَالَ لَا تُؤَاخِذْنِي بِمَا نَسِيتُ وَلَا تُرْهِقْنِي مِنْ أَمْرِي عُسْرًا18.73
আরবি উচ্চারণ ১৮.৭৩। ক্ব-লা লা-তুওয়া-খিয্নী বিমা-নাসীতু অলা- র্তুহিকনী মিন্ আম্রী‘উস্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৭৩ সে বলল, ‘আমি যা ভুলে গিয়েছি, সে ব্যাপারে আমাকে ধরবেন না এবং আমাকে আমার বিষয়ে কঠোর আচরণ করবেন না।
فَانْطَلَقَا حَتَّى إِذَا لَقِيَا غُلَامًا فَقَتَلَهُ قَالَ أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً بِغَيْرِ نَفْسٍ لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا نُكْرًا18.74
আরবি উচ্চারণ ১৮.৭৪। ফান্ত্বোয়ালাক্ব-হাত্তা য় ইযা-লাক্বিয়া-গুলা-মান্ ফাক্বতালাহূ ক্ব-লা আক্বতাল্তা নাফ্সান্ যাকিয়্যাতাম্ বিগইরি নাফ্স্; লাক্বদ্ জ্বিতা শাইয়ান্ নুক্রা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৭৪ অতঃপর তারা চলতে লাগল। অবশেষে যখন তারা এক বালকের সাক্ষাৎ পেল, তখন সে তাকে হত্যা করল। সে বলল, ‘আপনি নিষ্পাপ ব্যক্তিকে হত্যা করলেন, যে কাউকে হত্যা করেনি? আপনি তো খুবই মন্দ কাজ করলেন’।
قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا18.75
আরবি উচ্চারণ ১৮.৭৫। ক্ব-লা আলাম্ আকুল্ লাকা ইন্নাকা লান্ তাস্তাত্বী‘আ মা‘ইয়া ছোয়াব্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৭৫ সে বলল, ‘আমি কি আপনাকে বলিনি যে, আপনি আমার সাথে কখনই ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না’?
قَالَ إِنْ سَأَلْتُكَ عَنْ شَيْءٍ بَعْدَهَا فَلَا تُصَاحِبْنِي قَدْ بَلَغْتَ مِنْ لَدُنِّي عُذْرًا18.76
আরবি উচ্চারণ ১৮.৭৬। ক্ব-লা ইন্ সায়াল্তুকা আন্ শাইয়িম্ বা’দাহা-ফালা-তুছোয়া-হিব্নী, ক্বদ্ বালাগ্তা মিল্লাদুন্নী ‘উয্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৭৬ মূসা বলল, ‘এরপর যদি আমি আপনাকে আর কোন বিষয়ে প্রশ্ন করি, তাহলে আপনি আমাকে আর আপনার সাথে রাখবেন না। আমার পক্ষ থেকে আপনি ওযর পেয়ে গেছেন’।
فَانْطَلَقَا حَتَّى إِذَا أَتَيَا أَهْلَ قَرْيَةٍ اسْتَطْعَمَا أَهْلَهَا فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمَا فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمَا فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارًا يُرِيدُ أَنْ يَنْقَضَّ فَأَقَامَهُ قَالَ لَوْ شِئْتَ لَاتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًا18.77
আরবি উচ্চারণ ১৮.৭৭। ফান্ত্বোয়ালাক্ব- হাত্তা য় ইযা য় আতাইয়া য় আহ্লা র্ক্বইয়াতিনিস্ তাত্ব‘আমা য় আহ্লাহা-ফাআবাও আইঁ ইয়ুদ্বোয়াইয়্যিফূ হুমা- ফাওয়াজ্বাদা-ফীহা-জ্বিদা-রইঁ ইয়ুরীদু আই ঁইয়ান্ক্বদ্ব্দ্বোয়া ফায়াক্ব-মাহ্; ক্ব-লা লাও শিতা লাত্তাখয্তা ‘আলাইহি আজ্বর-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৭৭ অতঃপর তারা দু’জন চলতে শুরু করল। অবশেষে যখন তারা একটি জনপদের অধিবাসীদের নিকট পৌঁছল তখন তাদের কাছে কিছু খাবার চাইল; কিন্তু তারা তাদেরকে মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। অতঃপর তারা সেখানে একটি প্রাচীর দেখতে পেল, যা পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সে তখন প্রাচীরটি সোজাভাবে দাঁড় করিয়ে দিল। মূসা বলল, ‘আপনি ইচ্ছা করলে এর জন্য পারিশ্রমিক নিতে পারতেন’।
قَالَ هَذَا فِرَاقُ بَيْنِي وَبَيْنِكَ سَأُنَبِّئُكَ بِتَأْوِيلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَلَيْهِ صَبْرًا18.78
আরবি উচ্চারণ ১৮.৭৮। ক্ব-লা হা-যা-ফির-কু বাইনী অবাইনিকা সাউনাব্বিয়ুকা বিতাওয়ীলি মা-লাম্ তাস্তাত্বি’ ‘আলাইহি ছোয়াব্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৭৮ সে বলল, ‘এখানেই আমার ও আপনার মধ্যে বিচ্ছেদ। যে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি আমি এখন আপনাকে তার ব্যাখ্যা দিচ্ছি’।
أَمَّا السَّفِينَةُ فَكَانَتْ لِمَسَاكِينَ يَعْمَلُونَ فِي الْبَحْرِ فَأَرَدْتُ أَنْ أَعِيبَهَا وَكَانَ وَرَاءَهُمْ مَلِكٌ يَأْخُذُ كُلَّ سَفِينَةٍ غَصْبًا18.79
আরবি উচ্চারণ ১৮.৭৯। আম্মাস্ সাফীনাতু ফাকা-নাত্ লিমাসাকীনা ইয়া’মালূনা ফিল্ বাহ্রি ফাআরত্তু আন্ আ‘ঈবাহা-অকা-না অর-য়াহুম্ মালিকুঁই ইয়াখুযু কুল্লা সাফীনাতিন্ গাছ্বা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৭৯ ‘নৌকাটির বিষয় হল, তা ছিল কিছু দরিদ্র লোকের যারা সমুদ্রে কাজ করত। আমি নৌকাটিকে ত্র“টিযুক্ত করতে চেয়েছি কারণ তাদের পেছনে ছিল এক রাজা, যে নৌকাগুলো জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিচ্ছিল’।
وَأَمَّا الْغُلَامُ فَكَانَ أَبَوَاهُ مُؤْمِنَيْنِ فَخَشِينَا أَنْ يُرْهِقَهُمَا طُغْيَانًا وَكُفْرًا 18.80
আরবি উচ্চারণ ১৮.৮০। অআম্মাল্ গুলা-মু ফাকা-না আবাওয়া-হু মুমিনাইনি ফাখাশীনা য় আইঁ ইর্য়ুহিক্বাহুমা- ত্বুগ্ইয়া-নাওঁ অ কুফ্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৮০ ‘আর বালকটির বিষয় হল, তার পিতা-মাতা ছিল মুমিন। অতঃপর আমি আশংকা করলাম যে, সে সীমালংঘন ও কুফরী দ্বারা তাদেরকে অতিষ্ঠ করে তুলবে’।
فَأَرَدْنَا أَنْ يُبْدِلَهُمَا رَبُّهُمَا خَيْرًا مِنْهُ زَكَاةً وَأَقْرَبَ رُحْمًا18.81
আরবি উচ্চারণ ১৮.৮১। ফাআরদ্না য় আইঁ ইয়ুব্দিলাহুমা- রব্বুহুমা-খইরম্ মিন্হু যাকা-তাঁও অআকরাবা রুহ্মা-। বাংলা অনুবাদ ১৮.৮১ ‘তাই আমি চাইলাম, তাদের রব তাদেরকে তার পরিবর্তে এমন সন্তান দান করবেন, যে হবে তার চেয়ে পবিত্রতায় উত্তম এবং দয়ামায়ায় অধিক ঘনিষ্ঠ।
وَأَمَّا الْجِدَارُ فَكَانَ لِغُلَامَيْنِ يَتِيمَيْنِ فِي الْمَدِينَةِ وَكَانَ تَحْتَهُ كَنْزٌ لَهُمَا وَكَانَ أَبُوهُمَا صَالِحًا فَأَرَادَ رَبُّكَ أَنْ يَبْلُغَا أَشُدَّهُمَا وَيَسْتَخْرِجَا كَنْزَهُمَا رَحْمَةً مِنْ رَبِّكَ وَمَا فَعَلْتُهُ عَنْ أَمْرِي ذَلِكَ تَأْوِيلُ مَا لَمْ تَسْطِعْ عَلَيْهِ صَبْرًا18.82
আরবি উচ্চারণ ১৮.৮২। অআম্মাল্ জ্বিদা-রু ফাকা-না লিগুলা-মাইনি ইয়াতীমাইনি ফিল্ মাদীনাতি অকা-না তাহ্তাহূ কান্যুল্ লাহুমা-অকা-না আবূহুমা-ছোয়া-লিহান্ ফাআর-দা রব্বুকা আইঁ ইয়াব্লুগা য় আশুদ্দা হুমা-অইয়াস্তাখ্রিজ্বা-কান্যাহুমা-রহ্মাতাম্ র্মি রব্বিকা অমা-ফা‘আল্তুহূ ‘আন্ আম্রী; যা-লিকা তাওয়ীলু মা-লাম্ তাস্ত্বি’ ‘আলাইহি ছোয়াব্রা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৮২ ‘আর প্রাচীরটির বিষয় হল, তা ছিল শহরের দু’জন ইয়াতীম বালকের এবং তার নিচে ছিল তাদের গুপ্তধন। আর তাদের পিতা ছিল সৎকর্মপরায়ণ। তাই আপনার রব চাইলেন যে, তারা দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে তাদের গুপ্তধন বের করে নেবে। এ সবই আপনার রবের রহমত স্বরূপ। আমি নিজ থেকে তা করিনি। এ হলো সে বিষয়ের ব্যাখ্যা, যে সম্পর্কে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি।
وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ ذِي الْقَرْنَيْنِ قُلْ سَأَتْلُو عَلَيْكُمْ مِنْهُ ذِكْرًا18.83
আরবি উচ্চারণ ১৮.৮৩। অইয়াস্য়ালূনাকা আন্ যির্ল্ক্বানাইন্; কুল্ সায়াত্লূ আলাইকুম্ মিন্হু যিক্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৮৩ আর তারা তোমাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। বল, ‘আমি এখন তার সম্পর্কে তোমাদের নিকট বর্ণনা দিচ্ছি’।
إِنَّا مَكَّنَّا لَهُ فِي الْأَرْضِ وَآتَيْنَاهُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ سَبَبًا 18.84
আরবি উচ্চারণ ১৮.৮৪। ইন্না- মাক্কান্না-লাহূ ফিল্ র্আদ্বি অ আ-তাইনা-হু মিন্ কুল্লি শাইয়িন্ সাবাবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৮৪ আমি তাকে যমীনে কর্তৃত্ব দান করেছিলাম এবং সববিষয়ের উপায়- উপকরণ দান করেছিলাম।
فَأَتْبَعَ سَبَبًا18.85
আরবি উচ্চারণ ১৮.৮৫। ফাআত্বা‘আ য় সাবাবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৮৫ অতঃপর সে একটি পথ অবলম্বন করল।
إِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَغْرُبُ فِي عَيْنٍ حَمِئَةٍ وَوَجَدَ عِنْدَهَا قَوْمًا قُلْنَا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِمَّا أَنْ تُعَذِّبَ وَإِمَّا أَنْ تَتَّخِذَ فِيهِمْ حُسْنًا18.86
আরবি উচ্চারণ ১৮.৮৬। হাত্তা য় ইযা-বালাগ মাগ্রিবাশ্ শাম্সি অ জ্বাদাহা-তাগ্রুবু ফী ‘আইনিন্ হামিয়াতিঁও অ অজ্বাদা ‘ইন্দাহা- ক্বওমা-; কুল্না-ইয়াযাল্ র্ক্বনাইনি ইম্মা য় আন্ তু‘আয্যিবা অ ইম্মা য় আন্ তাত্তাখিযা ফীহিম্ হুস্না-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৮৬ অবশেষে যখন সে সূর্যাস্তের স্থানে পৌঁছল, তখন সে সূর্যকে একটি কর্দমাক্ত পানির ঝর্ণায় ডুবতে দেখতে পেল এবং সে এর কাছে একটি জাতির দেখা পেল। আমি বললাম, ‘হে যুলকারনাইন, তুমি তাদেরকে আযাবও দিতে পার অথবা তাদের ব্যাপারে সদাচরণও করতে পার’।
قَالَ أَمَّا مَنْ ظَلَمَ فَسَوْفَ نُعَذِّبُهُ ثُمَّ يُرَدُّ إِلَى رَبِّهِ فَيُعَذِّبُهُ عَذَابًا نُكْرًا18.87
আরবি উচ্চারণ ১৮.৮৭। ক্ব-লা আম্মা-মান জোয়ালামা ফাসাওফা নু‘আয্যিবুহূ ছুম্মা ইয়ুরদ্দু ইলা-রব্বিহী ফাইয়ু‘আয্যিবুহূ ‘আযা-বান্ নুক্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৮৭ সে বলল, ‘যে ব্যক্তি যুলম করবে, আমি অচিরেই তাকে শাস্তি দেব। অতঃপর তাকে তার রবের নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে। তখন তিনি তাকে কঠিন আযাব দেবেন’।
وَأَمَّا مَنْ آمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَلَهُ جَزَاءً الْحُسْنَى وَسَنَقُولُ لَهُ مِنْ أَمْرِنَا يُسْرًا18.88
আরবি উচ্চারণ ১৮.৮৮। অআম্মা-মান্ আ-মানা অ ‘আমিলা ছোয়া-লিহান্ ফালাহূ জ্বাযা-য়ানিল্ হুস্না- অ সানাকুলু লাহূ মিন্ আম্রিনা-ইয়ুস্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৮৮ ‘আর যে ব্যক্তি ঈমান আনবে এবং সৎকাজ করবে, তার জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার। আর আমি আমার ব্যবহারে তার সাথে নরম কথা বলব’।
ثُمَّ أَتْبَعَ سَبَبًا 18.89
আরবি উচ্চারণ ১৮.৮৯। ছুম্মা আত্বা‘আ সাবাবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৮৯ তারপর সে আরেক পথ অবলম্বন করল।
حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَطْلِعَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَطْلُعُ عَلَى قَوْمٍ لَمْ نَجْعَلْ لَهُمْ مِنْ دُونِهَا سِتْرًا18.90
আরবি উচ্চারণ ১৮.৯০। হাত্তা য় ইযা-বালাগ মাত্বলি‘আশ্ শাম্সি অজ্বাদাহা- তাত্বলু‘উ ‘আলা-ক্বওমিল্ লাম্ নাজ্ব্‘আল্ লাহুম্ মিন্ দূনিহা-সিত্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৯০ অবশেষে সে যখন সূর্যোদয়ের স্থানে এসে পৌঁছল তখন সে দেখতে পেল, তা এমন এক জাতির উপর উদিত হচ্ছে যাদের জন্য আমি সূর্যের বিপরীতে কোন আড়ালের ব্যবস্থা করিনি।
كَذَلِكَ وَقَدْ أَحَطْنَا بِمَا لَدَيْهِ خُبْرًا18.91
আরবি উচ্চারণ ১৮.৯১। কাযা-লিক্; অক্বদ্ আহাত্বনা- বিমা-লাদাইহি খুব্র-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৯১ প্রকৃত ঘটনা এটাই। আর তার নিকট যা ছিল, আমি সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত।
ثُمَّ أَتْبَعَ سَبَبًا18.92
আরবি উচ্চারণ ১৮.৯২। ছুম্মা আত্বা‘আ সাবাবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৯২ তারপর সে আরেক পথ অবলম্বন করল।
حَتَّى إِذَا بَلَغَ بَيْنَ السَّدَّيْنِ وَجَدَ مِنْ دُونِهِمَا قَوْمًا لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ قَوْلًا18.93
আরবি উচ্চারণ ১৮.৯৩। হাত্তা য় ইযা-বালাগ বাইনাস্ সাদ্দাইনি অজ্বাদা মিন্ দূনিহিমা-ক্বওমাল্ লা-ইয়াকা-দূনা ইয়াফ্ক্বাহূনা ক্বওলা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৯৩ অবশেষে যখন সে দুই পর্বতের মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছল, তখন সেখানে সে এমন এক জাতিকে পেল, যারা তার কথা তেমন একটা বুঝতে পারছিল না।
قَالُوا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِنَّ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ فَهَلْ نَجْعَلُ لَكَ خَرْجًا عَلَى أَنْ تَجْعَلَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ سَدًّا 18.94
আরবি উচ্চারণ ১৮.৯৪। ক্ব-লূ ইয়াযাল্ র্ক্বনাইনি ইন্না ইয়াজুজ্বা অ মাজুজ্বা মুফ্সিদূনা ফিল্ র্আদ্বি ফাহাল্ নাজ্ব‘আলু লাকা র্খাজ্বান্ ‘আলা য় আন্ তাজ্ব‘আলা বাইনানা-অবাইনাহুম্ সাদ্দা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৯৪ তারা বলল, ‘হে যুলকারনাইন! নিশ্চয় ইয়া’জূজ ও মা’জূজ যমীনে অশান্তি সৃষ্টি করছে, তাই আমরা কি আপনাকে এ জন্য কিছু খরচ দেব যে, আপনি আমাদের ও তাদের মধ্যে একটা প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন’?
قَالَ مَا مَكَّنِّي فِيهِ رَبِّي خَيْرٌ فَأَعِينُونِي بِقُوَّةٍ أَجْعَلْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ رَدْمًا18.95
আরবি উচ্চারণ ১৮.৯৫। ক্ব-লা মা-মাক্কান্নী ফীহি রব্বী খইরুন্ ফাআ‘ঈনূনী বিকুওঅতিন্ আজ্ব্ ্‘আল্ বাইনাকুম্ অ বাইনাহুম্ রদ্মা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৯৫ সে বলল, ‘আমার রব আমাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন, সেটাই উত্তম। সুতরাং তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য কর। আমি তোমাদের ও তাদের মাঝখানে একটি সুদৃঢ় প্রাচীর নির্মাণ করে দেব’।
آتُونِي زُبَرَ الْحَدِيدِ حَتَّى إِذَا سَاوَى بَيْنَ الصَّدَفَيْنِ قَالَ انْفُخُوا حَتَّى إِذَا جَعَلَهُ نَارًا قَالَ آتُونِي أُفْرِغْ عَلَيْهِ قِطْرًا18.96
আরবি উচ্চারণ ১৮.৯৬। আ-তূনী যুবারল্ হাদীদ্; হাত্তা য় ইযা- সা-ওয়া-বাইনাছ্ ছদাফাইনি ক্ব-লান্ ফুখূ; হাত্তা য় ইযা-জ্বা‘আলাহূ না-রন্ ক্ব-লা আ-তূনী য় উফ্রিগ্ ‘আলাইহি ক্বিত্ব্রা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৯৬ ‘তোমরা আমাকে লোহার পাত এনে দাও’। অবশেষে যখন সে দু’পাহাড়ের মধ্যবর্তী জায়গা সমান করে দিল, তখন সে বলল, ‘তোমরা ফুঁক দিতে থাক’। অতঃপর যখন সে তা আগুনে পরিণত করল, তখন বলল, ‘তোমরা আমাকে কিছু তামা দাও, আমি তা এর উপর ঢেলে দেই’।
فَمَا اسْطَاعُوا أَنْ يَظْهَرُوهُ وَمَا اسْتَطَاعُوا لَهُ نَقْبًا18.97
আরবি উচ্চারণ ১৮.৯৭। ফামাস্ ত্বোয়া-‘ঊয় আইঁ ইয়াজ্হারূহু অমাস্ তাত্বোয়া‘ঊ লাহূ নাকবা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৯৭ এরপর তারা (ইয়া’জূজ ও মা’জূজ) প্রাচীরের উপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারল না এবং নিচ দিয়েও তা ভেদ করতে পারল না।
قَالَ هَذَا رَحْمَةٌ مِنْ رَبِّي فَإِذَا جَاءَ وَعْدُ رَبِّي جَعَلَهُ دَكَّاءَ وَكَانَ وَعْدُ رَبِّي حَقًّا 18.98
আরবি উচ্চারণ ১৮.৯৮। ক্ব-লা হা-যা- রহ্মাতুম্ র্মি রব্বী ফাইযা-জ্বা-য়া অ’দু রব্বী জ্বা‘আলাহূ দাক্কা-য়া অ কা-না অ’দু রব্বী হাকক্ব-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৯৮ সে বলল, ‘এটা আমার রবের অনুগ্রহ। অতঃপর যখন আমার রবের ওয়াদাকৃত সময় আসবে তখন তিনি তা মাটির সাথে মিশিয়ে দেবেন। আর আমার রবের ওয়াদা সত্য’।
وَتَرَكْنَا بَعْضَهُمْ يَوْمَئِذٍ يَمُوجُ فِي بَعْضٍ وَنُفِخَ فِي الصُّورِ فَجَمَعْنَاهُمْ جَمْعًا18.99
আরবি উচ্চারণ ১৮.৯৯। অ তারক্না- বা’দ্বোয়াহুম্ ইয়াওমায়িযিঁ ইয়ামূজু ফী বা’দ্বিঁও অ নুফিখ ফিছ্ ছূরি ফাজ্বামা’না-হুম্ জ্বাম্‘আ-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.৯৯ আর সেদিন আমি তাদেরকে এমন অবস্থায় ছেড়ে দেব যে, তারা একদল আরেক দলের উপর তরঙ্গমালার মত আছড়ে পড়বে এবং শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। অতঃপর আমি তাদের সকলকে একত্র করব।
وَعَرَضْنَا جَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ لِلْكَافِرِينَ عَرْضًا18.100
আরবি উচ্চারণ ১৮.১০০। অ ‘আরদ্ব্না-জ্বাহান্নামা ইয়াওমায়িযিল্লিল্ কা-ফিরীনা ‘র্আদ্বোয়া-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১০০এবং আমি সেদিন কাফিরদের জন্য জাহান্নামকে সরাসরি উপস্থিত করব;
الَّذِينَ كَانَتْ أَعْيُنُهُمْ فِي غِطَاءٍ عَنْ ذِكْرِي وَكَانُوا لَا يَسْتَطِيعُونَ سَمْعًا18.101
আরবি উচ্চারণ ১৮.১০১। নিল্লাযীনা কা-নাত্ ‘আইয়ুনুহুম্ ফী গিত্বোয়া-য়িন্ ‘আন্ যিক্রী অকা-নূ লা- ইয়াস্তাত্বী ‘ঊনা সাম্‘আ-। বাংলা অনুবাদ ১৮.১০১আমার স্মরণ থেকে যাদের চোখ ছিল আবরণে ঢাকা এবং যারা শুনতেও ছিল অক্ষম।
أَفَحَسِبَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنْ يَتَّخِذُوا عِبَادِي مِنْ دُونِي أَوْلِيَاءَ إِنَّا أَعْتَدْنَا جَهَنَّمَ لِلْكَافِرِينَ نُزُلًا18.102
আরবি উচ্চারণ ১৮.১০২। আফাহাসিবাল্ লাযীনা কাফারূ য় আইঁ ইয়্যাত্তাখিযূ ‘ইবা-দী মিন্ দূনী য় আওলিয়া-য়্; ইন্না য় ‘আতাদ্না-জ্বাহান্নামালিল্ কা-ফিরীনা নুযুলা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১০২যারা কুফরী করছে, তারা কি মনে করেছে যে, তারা আমার পরিবর্তে আমার বান্দাদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করবে? নিশ্চয় আমি জাহান্নামকে কাফিরদের আপ্যায়নের জন্য প্রস্তুত করছি।
قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالًا 18.103
আরবি উচ্চারণ ১৮.১০৩। কুল্ হাল্ নুনাব্বিয়ুকুম্ বিল্আখ্সারীনা ‘আমা-লা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১০৩বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন লোকদের কথা জানাব, যারা আমলের দিক থেকে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত’?
الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا18.104
আরবি উচ্চারণ ১৮.১০৪। আল্লাযীনা দ্বোয়াল্লা সা’ইয়ুহুম্ ফীল্ হা-ইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া-অ হুম্ ইয়াহ্সাবূনা আন্নাহুম্ ইয়ুহ্সিনূনা ছুন্‘আ-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১০৪দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে, অথচ তারা মনে করছে যে, তারা ভাল কাজই করছে’!
أُولَئِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ وَلِقَائِهِ فَحَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فَلَا نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَزْنًا18.105
আরবি উচ্চারণ ১৮.১০৫। উলা-য়িকাল লাযীনা কাফারূ বিআ-ইয়া-তি রব্বিহিম্ অলিক্ব-য়িহী ফাহাবিত্বোয়াত্ আ’মা-লূহুম্ ফালা-নুক্বীমু লাহুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি অয্না-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১০৫‘তারাই সেসব লোক, যারা তাদের রবের আয়াতসমূহ এবং তাঁর সাথে সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছে। ফলে তাদের সকল আমল নিষ্ফল হয়ে গেছে। সুতরাং আমি তাদের জন্য কিয়ামতের দিন কোন ওজনের ব্যবস্থা রাখব না’।
ذَلِكَ جَزَاؤُهُمْ جَهَنَّمُ بِمَا كَفَرُوا وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَرُسُلِي هُزُوًا18.106
আরবি উচ্চারণ ১৮.১০৬। যা-লিকা জ্বাযা-য়ুহুম্ জ্বাহান্নামু বিমা-কাফারূ অত্তাখাযূ য় আ-ইয়া-তী অরুসুলী হুযুওয়া-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১০৬‘এ জন্যই তাদের প্রতিফল জাহান্নাম। কারণ তারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহ ও আমার রাসূলগণকে বিদ্রুপের বিষয় বানিয়েছে’।
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا18.107
আরবি উচ্চারণ ১৮.১০৭। ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি কা-নাত্ লাহুম্ জ্বান্নাতুল্ ফিরদাউসি নুযুলা-। বাংলা অনুবাদ ১৮.১০৭নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তাদের মেহমানদারির জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস।
خَالِدِينَ فِيهَا لَا يَبْغُونَ عَنْهَا حِوَلًا 18.108
আরবি উচ্চারণ ১৮.১০৮। খা-লিদীনা ফীহা-লা-ইয়াব্গূনা ‘আন্হা-হিওয়ালা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১০৮সেখানে তারা স্থায়ী হবে। তারা সেখান থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হতে চাইবে না।
قُلْ لَوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ أَنْ تَنْفَدَ كَلِمَاتُ رَبِّي وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهِ مَدَدًا18.109
আরবি উচ্চারণ ১৮.১০৯। কুল্ লাও কা-নাল্ বাহ্রু মিদা-দাল্ লিকালিমাতি রব্বী লানাফিদাল্ বাহ্রু ক্বাব্লা আন্ তান্ফাদা কালিমা-তু রব্বী অলাও জ্বিনা-বিমিছ্লিহী মাদাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১০৯বল, ‘আমার রবের কথা লেখার জন্য সমুদ্র যদি কালি হয়ে যায় তবে সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে আমার রবের কথা শেষ হওয়ার আগেই। যদিও এর সাহায্যার্থে অনুরূপ আরো সমুদ্র নিয়ে আসি’।
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَنْ كَانَ يَرْجُوا لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا 18.110
আরবি উচ্চারণ ১৮.১১০। কুল্ ইন্নামা য় আনা-বাশারুম্ মিছ্লুকুম্ ইয়ূহা য় ইলাইয়্যা আন্নামা য় ইলা-হুকুম্ ইলাহুঁও ওয়া- হিদুন্ ফামান্ কা-না ইর্য়াজু লিক্ব-য়া রব্বিহী ফাল্ইয়া’মাল্ ‘আমালান্ ছোয়া-লিহাঁও অলা-ইয়ুশ্রিক্ বিই’বা-দাতি রব্বিহী য় আহাদা-।
বাংলা অনুবাদ ১৮.১১০বল, ‘আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার নিকট ওহী প্রেরণ করা হয় যে, তোমাদের ইলাহই এক ইলাহ। সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে’।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত