আজকের বিষয়: সূরা ত্বহা সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল ত্বহা আলমল ও ফজিলত, সূরা ত্বহা কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা ত্বহা নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ২০ সূরা আল – ত্বহা
أَنِ اقْذِفِيهِ فِي التَّابُوتِ فَاقْذِفِيهِ فِي الْيَمِّ فَلْيُلْقِهِ الْيَمُّ بِالسَّاحِلِ يَأْخُذْهُ عَدُوٌّ لِّي وَعَدُوٌّ لَّهُ ۚ وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِّنِّي وَلِتُصْنَعَ عَلَىٰ عَيْنِي
আনিকযিফীহি ফিততা-বূতি ফাকযিফীহি ফিল ইয়াম্মি ফালইউলকিহিল ইয়াম্মুবিছছাহিলি ইয়া’খুযহু ‘আদুওউললী ওয়া ‘আদুওউল্লাহূ ওয়াআলকাইতু‘আলাইকা মাহাব্বাতাম মিন্নী ওয়ালিতুসনা‘আ ‘আলা-‘আইনী।
অর্থ:
মুফতী তাকী উসমানী
তুমি এ ( শিশু ) কে সিন্দুকের মধ্যে রাখ। তারপর সিন্দুকটি দরিয়ায় ফেলে দাও। ১২ তারপর দরিয়া সে সিন্দুকটিকে তীরে নিয়ে ফেলে দেবে। তাকে তুলে নেবে আমার এক শত্রু এবং তারও শত্রু। ১৩ আমি আমার পক্ষ হতে তােমার প্রতি ভালােবাসা বর্ষণ করেছিলাম ১৪ আর এসব করেছিলাম এজন্য, যাতে তুমি আমার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হও। ১৫
মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
যে, তুমি (মূসাকে) সিন্দুকে রাখ, অতঃপর তা দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও, অতঃপর দরিয়া তাকে তীরে ঠেলে দেবে। তাকে আমার শক্র ও তার শক্র উঠিয়ে নেবে। আমি তোমার প্রতি মহব্বত সঞ্চারিত করেছিলাম আমার নিজের পক্ষ থেকে, যাতে তুমি আমার দৃষ্টির সামনে প্রতি পালিত হও।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
‘যে, তুমি তাকে সিন্দুকের মধ্যে রাখ, এরপর তা দরিয়ায় ভাসাইয়া দাও যাতে দরিয়া একে তীরে ঠেলে দেয়, একে আমার শত্রু ও এর শত্রু নিয়ে যাবে। আমি আমার নিকট হতে তোমার ওপর ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম, যাতে তুমি আমার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হও।’তাফসীর:
১২. কোন জ্যোতিষী ফিরাউনকে বলেছিল, বনী ইসরাঈলে এমন এক ব্যক্তির জন্ম হবে, যার হাতে আপনার রাজত্বের অবসান হবে। তাই সে ফরমান জারি করল, এখন থেকে বনী ইসরাঈলে যত শিশু জন্ম নেবে তাদেরকে হত্যা করা হােক। এ রকম পরিস্থিতির ভেতরই হযরত মূসা আলাইহিস সালাম জন্মগ্রহণ করেন। আইন অনুসারে ফিরাউনের লােকজন তাে তাকে হত্যা করে ফেলবে। স্বভাবতই তাঁর মা ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা রদ করবে কে? তিনি হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে রক্ষা করার জন্য নিজ কুদরতের মহিমা দেখালেন। তার মাকে ইলহামের মাধ্যমে নির্দেশ দিলেন, শিশুকে একটি সিন্দুকের ভেতর রেখে নীল নদীতে ফেলে দাও।
১৩. আল্লাহ তাআলা যা বলেছিলেন তাই হল। সিন্দুকটি ভাসতে ভাসতে ফিরাউনের রাজপ্রাসাদের কাছে কাছে এসে ঠেকল। ফিরাউনের কর্মচারীগণ সেটি তুলে দেখল ভেতরে একটি শিশু। তারা কালবিলম্ব না করে শিশুটিকে ফিরাউনের কাছে নিয়ে আসল। তার স্ত্রী আসিয়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শিশুটির প্রতি তার বড় মায়া ধরে গেল। তিনি তাকে পুত্র হিসেবে লালন-পালন করার জন্য ফিরাউনকে উদ্বুদ্ধ করলেন।
১৪. আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা আলাইহিস সালামের চেহারার ভেতর এমন আকর্ষণ দান করেছিলেন যে, যে-কেউ তাঁকে দেখত ভালােবেসে ফেলত। এ কারণেই ফিরাউনও তাঁকে নিজ প্রাসাদে রাখতে সম্মত হয়ে গেল।
১৫. এমনিতে তাে প্রত্যেকেরই প্রতিপালন আল্লাহ তাআলাই করেন। তা সত্ত্বেও হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে লক্ষ্য করে তুমি আমার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হবে’, বলা হয়েছে তার লালন-পালনের বিশেষত্বের কারণে। সাধারণত লালন-পালনের দুনিয়াবী ব্যবস্থা হল, পিতা-মাতা নিজেদের খরচায় ও নিজেদের তত্ত্বাবধানে সন্তানের লালন-পালন করে। কিন্তু হযরত মূসা আলাইহিস সালামের ক্ষেত্রে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আল্লাহ তাআলা তাঁকে ব্যতিক্রমভাবে সরাসরি নিজ তত্ত্বাবধানে রেখে তার শত্রুর মাধ্যমে প্রতিপালন করিয়েছেন।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
- রমজান মাসের ৯টি ফজিলত
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
নাযিলের সময়-কাল
সূরা মারইয়াম যে সময় নাযিল হয় এ সূরাটি তার কাছাকাছি সময়েই নাযিল হয়। সম্ভবত হাবশায় হিজরতকালে অথবা তার পরবর্তীকালে এটি নাযিল হয়। তবে হযরত উমরের (রা) ইসলাম গ্রহণের পূর্বেই যে এটি নাযিল হয় তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
তাঁর ইসলাম গ্রহণ সংক্রান্ত সবচেয়ে বেশী প্রচলিত ও নির্ভরযোগ্য হাদীসটি হচ্ছেঃ যখন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যা করার সংকল্প নিয়ে বের হলেন তখন পথে এক ব্যক্তি তাঁকে বললো, প্রথমে নিজের ঘরের খবর নাও, তোমার নিজের বোন ও ভগিনীপতি এ নতুন ধর্ম গ্রহণ করে বসে আছে। একথা কথা শুনে ওমর সোজা নিজের বোনের বাড়িতে চলে গেলেন। সেখানে তাঁর বোন ফাতিমা (রা) বিনতে খাত্তাব ও ভগিনীপতি সাঈদ যায়েদ (রা) বসেছিলন। তাঁরা হযরত খাব্বাব ইবনে আরতের (রা) কাছে কুরআনের কোন একটি অংশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছিলেন। হযরত উমরের আসার সাথে সাথেই তার ভগিনী ঐ অংশটি লুকিয়ে ফেললেন। কিন্তু হযরত উমর তা পড়ার আওয়াজ শুনে ফেলেছিলেন। তিনি প্রথমে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। তারপর ভগিনীপতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন এবং তাঁকে মারতে শুরু করলেন। বোন তাঁকে বাঁচাতে চাইলেন। ফলে তাঁকেও মারলেন। এমনিক তার মাথা ফেটে গেলো। শেষে বোন ও ভগিনীপতি দু’জনই বললেন, হাঁ আমরা মুসলমান হয়ে গেছি, তুমি যা করতে পারো করো। নিজের বোনের রক্ত প্রবাহিত হতে দেখে হযরত উমর কিছুটা লজ্জিত হলেন। এবং বলতে লাগলেন, ঠিক আছে, তোমরা যা পড়ছিলে তা আমাকে দেখাও। বোন প্রথমে তা ছিঁড়ে না ফেলে দেবার জন্য শপথ নিলেন, তুমি গোসল না করা পর্যন্ত এ পবিত্র সহীফায় হাত লাগাতে পারবে না। হযরত উমর (রা) গোসল করলেন তারপর সে সহীফা নিয়ে পড়তে শুরু করলেন। সেখানে এই সূরা ত্বা-হা লেখা ছিল। পড়তে পড়তে হঠাৎ তাঁর মুখ থেকে বের হয়ে পড়লো, “বড় চমৎকার কথা” একথা শুনতেই হযরত খাব্বাব ইবনে আরত বের হয়ে এলেন। এতক্ষণ তিনি হযরত উমরের আগমনের শব্দ শুনেই লুকিয়ে পড়েছিলেন। হযরত খাব্বাব (রা) বললেন, “আল্লাহর কসম, আমি আশা করি আল্লাহ তাঁর নবীর দাওয়াত ছড়াবার ক্ষেত্রে তোমার সাহায্যে বিরাট দায়িত্ব সম্পাদন করবেন। গতকালই আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, হে আল্লাহ! আবুল হাকাম ইবনে হিশাম (আবুজেলেহ) অথবা উমর ইবনুল খাত্তাব, এ দু’জনের মধ্য থেকে কোন একজনকে ইসলামের সাহয্যকারী বানিয়ে দাও। কাজেই হে উমর! আল্লাহর দিকে চলো, আল্লাহর দিকে চলো” ওমরের মনে পরিবর্তন ঘটতে যেটুকু বাকি ছিল খাব্বাবের এ উক্তি তাও পূর্ণ করে দিল। তখনই হযরত ওমর খাব্ববের সংগে গিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে ইসলাম গ্রহণ করলেন। এটি হাবশায় হিজরত অনুষ্ঠানের কিছুকাল পরের ঘটনা।
বিষয়বস্তু ও আলোচ্য বিষয়
সূরাটি এভাবে শুরু হয়েছে, হে মুহাম্মাদ! অযথা তোমাকে একটি বিপদের সম্মুখীন করার জন্য তোমার ওপর এ কুরআন নাযিল হয়নি। তোমার কাছে এ দাবী করা হয়নি যে, পাথরের বুক চিরে দুধের নহর বের করে আনো, অস্বীকারকারীদেরকে স্বীকার করিয়ে ছাড়ো এবং হঠকারীদের অন্তরে ঈমান সৃস্টি করে দেখিয়ে দাও। এটি তো শুধুমাত্র একটি উপদেশ ও স্মারক, যার ফলে অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগবে এবং তাঁর পাকড়াএ থেকে যে নিষ্কৃতি পেতে চায় সে এটি শুনে সংশোধিত হয়ে যাবে। এটি আকাশ ও পৃথিবীর মালিকের কালাম এবং তিনি ছাড়া আর কেউ প্রভুত্বের কর্তৃত্বের অধিকারী নয়। কেউ মানুক না মানুক এ দু’টি কথা চিরন্তন ও অমোঘ সত্য।
এ ভূমিকার পর হঠাৎ হযরত মূসার কাহিনী শুরু করা হয়েছে। বাহ্যত একটি কাহিনী আকারে এটি বর্ণিত হয়েছে। সমকালীন অবস্থার প্রতি কোন ইংগিতও এতে নেই। কিন্তু যে পরিবেশে এ কাহিনী শুনানো হয়েছে তার অবস্থার সাথে মিলেমিশে এটি মক্কাবাসীদের সাথে কিছু ভিন্নতর কথা বলছে বলে মনে হয়। এর শব্দ ও বাক্যগুলো থেকে নয় বরং দুই বাক্যের মধ্যস্থিত অনুচ্চারিত ভাবার্থ থেকেই সে কথা প্রকাশিত হচ্ছে। সে কথা প্রকাশের আগে আর একটি কথা ভালোভাবে বুঝে নেয়া উচিত যে, আরব দেশে বিপুল সংখ্যক ইহুদীদের উপস্থিতি এবং আরববাসীদের ওপর ইহুদীদের জ্ঞানগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রেষ্ঠত্বের কারণে, তাছাড়া রোমের ও হাবশায় খৃষ্টীয় শাসনের প্রভাবেও আরবদের মধ্যে সাধারণভাবে হাযরত মুসা আলাইহিস সালামকে আল্লাহর নবী বলে স্বীকার করা হতো। এ সথ্যটি দৃষ্টি সমক্ষে রাখার পর এখন আসুন এ কাহিনীর মধ্যে যে অব্যক্ত কথাগুলো মক্কাবাসীদেরকে বুঝানো হয়েছে সেদিকে দৃষ্টিপাত করিঃ
একঃ কাউকে নবুওয়াত দান করার জন্য আল্লাহ ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিপুল সংখ্যক জনতাকে একত্র করে যথারীতি একটি উৎসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ ঘোষণাবাণী শুনিয়ে দেবার ব্যবস্থা করেননি যে, আজ থেকে অমুক ব্যক্তিকে আমি তোমাদের জন্য নবী নিযুক্ত করেছি। নবুওয়াত যাকেই দেয়া হয়েছে হযরত মূসার মত গোপনীয়তা সক্ষা করেই দেয়া হয়েছে। কাজেই আজ তোমরা অবাক হচ্ছো কেন যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অকস্মাত তোমাদের সামনে নবী হিসেবে হাযির হয়ে গেছেন, আকাশ থেকেও এর ঘোষণাবাণী উচ্চারিত হলো না। আর ফেরেশারাও পৃথিবীতে এসে ঢাক ঢোল পিটিয়ে একথা ঘোষণা করলেন না? ইতিপুর্বে যাদেরকে নবী নিযুক্ত করা হয়েছিল তাদের নিযুক্তিকালে কবে এ ধরনের ঘোষণা হয়েছিল যে, আজ তা হবে?
দুইঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আজ যে কথা পেশ করছেন (অর্থাৎ তাওহীদ ও আখেরাত) ঠিক একই কথা নবুওয়াতের দায়িত্ব দান করার সময় আল্লাহ মূসা আলাইহিস সালামকে শিখিয়েছিলেন।
তিনঃ তারপর আজ যেভাবে মুহাম্মাদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কোন প্রকার সাজসরঞ্জাম ও সৈন্য সামন্ত ছাড়াই কুরাইশদের মোকাবিলায় সত্যের দাওয়াতের পতাকাবাহী করে একাকী দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে ঠিক তেমনিভাবে মূসা আলাইহিস সালামকেও ফেরাউনের মতো মহাপরাক্রমশালী বাদশাহকে অবাধ্যতা ও বিদ্রোহের পথ পরিহার করার আহ্বান জানাবার গুরুদায়িত্বে অকস্মিকভাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তাঁর সাথেও কোন সেনাবাহিনী পাঠানো হয়নি। আল্লাহর যাবতীয় কর্মকাণ্ড এমনি অদ্ভুত ও বিষ্ময়কর। তিনি মাদয়ান থেকে মিসর গমনকারী একজন পথিককে পথ চলাকালে ধরে নিজের কাছে ডেকে নেন এবং বলেন, যাও, সমকালের সবচেয়ে পরাক্রমশালী ও জালেম শাসকের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও। কিছু সাহায্য করে থাকলে এতটুকু করেছেন যে, তাঁর আবেদনক্রমে তাঁর ভাইকে সাহয্যকারী হিসেবে দিয়েছেন। কোন দুর্দান্ত সেনাবাহিনী এবং হাতি, ঘোড়া ইত্যাদি দিয়ে এ কঠিন কাজে তাঁকে সাহয্য করা হয়নি।
চারঃ মক্কবাসীরা আজ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লামের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সংশয়-সন্দেহ, অপবাদ-দোষারোপ, প্রতারণা ও জুলুমের অস্ত্র ব্যবহার করছে ফেরাউন এসব অস্ত্র আরো অনেক বেশী করে মূসা আলাইহিস সালামের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। কিন্তু দেখো কিভাবে তার সমস্ত কৌশল ব্যর্থ হয়ে গেলো এবং শেষ পর্যন্ত কে বিজয়ী হলো? আল্লাহর সেই সাজসরঞ্জামহীন নবী, না সৈন্য বলে বলীয়ান ফেরাউন? এ প্রসংগে মুসলমানদরকে এ একটি অব্যক্ত সান্তনা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সাজসরঞ্জাম ও উপায়-উপকরণের ক্ষেত্র নিজেদের সৈন্য ও কাফেরদের প্রাচূর্যের প্রতি লক্ষ করো না, বরং যে কাজের পেছনে আল্লাহর হাত থাকে শেষ পর্যন্ত কারই বিজয় সূচিত হয়। এ সংগে মুসলমানদের সামনে মিসরের যাদুকরদের দৃষ্টান্ত পেশ করা হয়েছে। যখন সত্য তাদের কাছে আবরণমুক্ত হয়ে গেলো কথন তারা নির্দ্বিদায় তার প্রতি ঈমান আনলো। তারপর ফেরাউনের প্রতিশোধ গ্রহনের ভয় তাদেরকে ঈমানের পথ থেকে এক চুল পরিমাণও সরিয়ে আনতে পারলো না।
পাঁচঃ শেষে বনী ইসরাঈলের ইতিহাস থেকে একটি সাক্ষ পেশ করতে গিয়ে দেবতা ও উপাস্য তৈরীর সূচনা কেমন হাস্যকর পদ্ধতিতে হয়ে থাকে তা বর্ণনা করা হয়েছে। এই সংগে একথাও বলা হয়েছে যে, আল্লাহর নবী কখনো এ ধরনের ঘৃণ্য জিনিসের নামগন্ধও বাকি রাখার পক্ষপাতি হন না। কাজেই আজ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে শিরক ও মূর্তিপূজার বিরোধিতা করছেন তা নবুওয়াতের ইতিহাসরে কোন নতুন ঘটনা নয়।
এভাবে মূসার কাহিনীর মোড়কে এমন সমস্ত বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে যা সে সময় তাদের ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মধ্যকার পারস্পরিক সংঘাতের সাথে সম্পর্ক রাখতো। এরপর একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছেঃ এ কুরআন একটি উপদেশ ও স্মারক। তোমাদের নিজেদের ভাষায় তোমাদের বুঝাবার জন্য এটি পাঠানো হয়েছে। এর বক্তব্য শুনলে এবং এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করলে তোমরা নিজেদেরই কল্যাণ করবে। আর এর কথা না মানলে অশুভ পরিনামের সম্মুখীন হবে।
তারপর আদম আলাইহিস সালামের কাহিনী বর্ণনা করে একথা বুঝানো হয়েছে যে, তোমরা যে পথে এগিয়ে যাচ্ছো এটা হচ্ছে শয়তানের পদাংক অনুসরণ। কখনো কখনো শয়তানের প্ররোচানায় বিভ্রান্ত হ্ওয়া অবশ্যি একটি সাময়িক দুর্বলতা। মানুষের পক্ষে এর হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া বড়ই কঠিন ব্যাপার। কিন্তু মানুষের জন্য সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে এই যে, যখনই তার সামনে তার ভুল সুস্পষ্ট করে দেয়া হবে তখনই সে তার পিতা আদমের মতো পরিস্কার ভাষায় তা স্বীকার করে নেবে, তাওবা করবে এবং আবার আল্লাহর বন্দেগীর দিকে ফিরে আসবে। ভুল করা ও তার ওপর অবিছল থাকা এবং একের পর এক উপদেশ দেবার পরও তা থেকে বিরত না হওয়া নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার শামিল। এর পরিণামে নিজেকে ভূগতে হবে, অন্যের এতে কোন ক্ষতি নেই।
[important]
সব শেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও মুসলমানদেরকে এ মর্মে বুঝানো হয়েছে যে, এ সত্য অস্বীকারকারীদের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবেন না এবং বে সবর হবেন না। আল্লাহর নিয়ম হচ্ছে, তিনি কোন জাতিকে তার কুফরী ও অস্বীকারের কারণে সংগে সংগেই পাকড়াও কারেন না। ধৈর্য সহকারে এদের বাড়াবাড়ি ও জুলুম অত্যাচার বরদাশত করতে এবং উপদেশ দেবার দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করে যেতে থাকুন।
প্রসংগক্রমে নামাযের ওপর জোর দোয়া হয়েছে, যাতে মু’মিনদের মধ্যে সবর, সংযম, সহিঞ্চুতা, অল্পে তুষ্টি, আল্লাহর ফায়সালায় সন্তুস্টি এবং আত্নপর্যালোচানার এমন গুণাবলী সৃষ্টি হয় যা সত্যের দাওয়াত দেবার দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রয়োজন।
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
সুরা নং- ০২০ : সুরা আত-ত্বহা
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
طه20.1
আরবি উচ্চারণ ২০.১। ত্বোয়া-হা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১ ত-হা
مَا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْقُرْآنَ لِتَشْقَى20.2
আরবি উচ্চারণ ২০.২। মা য় আন্যাল্না- ‘আলাইকাল্ ক্বর্আ-না লিতাশ্ক্ব য় ।
বাংলা অনুবাদ ২০.২ আমি তোমার প্রতি আল-কুরআন এজন্য নাযিল করিনি যে, তুমি দুর্ভোগ পোহাবে
إِلَّا تَذْكِرَةً لِمَنْ يَخْشَى20.3
আরবি উচ্চারণ ২০.৩। ইল্লা-তায্কিরতাল্ লিমাইঁ ইয়াখ্শা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৩ বরং যে ভয় করে তার জন্য উপদেশ স্বরূপ।
تَنْزِيلًا مِمَّنْ خَلَقَ الْأَرْضَ وَالسَّمَاوَاتِ الْعُلَا20.4
আরবি উচ্চারণ ২০.৪। তান্যীলাম্ মিম্মান, খলাক্বল্ র্আদ্বোয়া অস্সামা-ওয়া-তিল্ ‘উলা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৪ যিনি যমীন ও সুউচ্চ আসমানসমূহ সৃষ্টি করেছেন তাঁর নিকট থেকে অবতীর্ণ।
الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى20.5
আরবি উচ্চারণ ২০.৫। র্আরহমানু ‘আলাল্ ‘র্আশিস্ তাওয়া-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৫ পরম করুণাময় আরশের ওপর উঠেছেন ।
لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَمَا تَحْتَ الثَّرَى20.6
আরবি উচ্চারণ ২০.৬। লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ্বি অমা-বাইনাহুমা-অমা-তাহ্তাছ্ ছার-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৬ যা আছে আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’য়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং যা আছে মাটির নিচে সব তাঁরই।
وَإِنْ تَجْهَرْ بِالْقَوْلِ فَإِنَّهُ يَعْلَمُ السِّرَّ وَأَخْفَى20.7
আরবি উচ্চারণ ২০.৭। অ ইন্ তাজ্বর্হা বিল্ক্বওলি ফাইন্নাহূ ইয়া’লামুস্ র্সির অআখ্ফা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৭ আর যদি তুমি উচ্চস্বরে কথা বল তবে তিনি গোপন ও অতি গোপন বিষয় জানেন।
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى 20.8
আরবি উচ্চারণ ২০.৮। আল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা-হূ; লাহুল্ আস্মা-য়ুল্ হুস্না-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৮ আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুন্দর নামসমূহ তাঁরই।
وَهَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ مُوسَى20.9
আরবি উচ্চারণ ২০.৯। অহাল্ আতা-কা হাদীছু মূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৯ আর তোমার কাছে কি মূসার কথা পৌঁছেছে?
إِذْ رَأَى نَارًا فَقَالَ لِأَهْلِهِ امْكُثُوا إِنِّي آنَسْتُ نَارًا لَعَلِّي آتِيكُمْ مِنْهَا بِقَبَسٍ أَوْ أَجِدُ عَلَى النَّارِ هُدًى20.10
আরবি উচ্চারণ ২০.১০। ইয্ রয়া-না-রন্ ফাক্ব-লা লিআহ্লিহিম্কুছূ য় ইন্নী য় আ-নাস্তু না-রল্লা‘আল্লী য় আ-তীকুম্ মিন্হা- বিক্ববাসিন্ আও আজ্বিদু ‘আলান্না-রি হুদা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১০ যখন সে আগুন দেখল, তখন নিজ পরিবারকে বলল, ‘তোমরা অপেক্ষা কর, আমি আগুন দেখতে পেয়েছি, আশা করি আমি তোমাদের জন্য তা থেকে কিছু জ্বলন্ত অঙ্গার নিয়ে আসতে পারব অথবা আগুনের নিকট পথনির্দেশ পাব।’
فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِيَ يَا مُوسَى20.11
আরবি উচ্চারণ ২০.১১। ফালাম্মা য় আতা-হা- নূদিয়া ইয়া-মূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১১ যখন সে আগুনের কাছে আসল তখন তাকে আহবান করা হল, ‘হে মূসা’
إِنِّي أَنَا رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ إِنَّكَ بِالْوَادِي الْمُقَدَّسِ طُوًى20.12
আরবি উচ্চারণ ২০.১২। ইন্নী য় আনা রব্বুকা ফাখ্লা’ না’লাইকা ইন্নাকা বিল্ওয়া-দিল্ মুক্বাদ্দাসি ত্বঅ-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১২ নিশ্চয় আমি তোমার রব; সুতরাং তোমার জুতা জোড়া খুলে ফেল, নিশ্চয় তুমি পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায় রয়েছ’।
وَأَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوحَى20.13
আরবি উচ্চারণ ২০.১৩। অ আনাখ্ র্তাতুকা ফাস্তামি’ লিমা- ইয়ূহা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৩ ‘আর আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, সুতরাং যা ওহীরূপে পাঠানো হচ্ছে তা মনোযোগ দিয়ে শুন’।
إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي20.14
আরবি উচ্চারণ ২০.১৪। ইন্নানী য় আনাল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা য় আনা ফা’বুদ্নী অআক্বিমিছ্ ছলা-তা লিযিক্রী।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৪ ‘নিশ্চয় আমি আল্লাহ, আমি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; সুতরাং আমার ইবাদাত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর’।
إِنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ أَكَادُ أُخْفِيهَا لِتُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا تَسْعَى 20.15
আরবি উচ্চারণ ২০.১৫। ইন্নাস্ সা‘আতা আ-তিয়াতুন্ আকা-দু উখ্ফীহা-লিতুজ্বযা-কুল্ল নাফ্সিম্ বিমা-তাস্‘আ-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৫ ‘নিশ্চয় কিয়ামত আসবে; আমি তা গোপন রাখতে চাই যাতে প্রত্যেককে স্বীয় চেষ্টা-সাধনা অনুযায়ী প্রতিদান দেয়া যায়’।
فَلَا يَصُدَّنَّكَ عَنْهَا مَنْ لَا يُؤْمِنُ بِهَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ فَتَرْدَى20.16
আরবি উচ্চারণ ২০.১৬। ফালা-ইয়াছুদ্দান্নাকা ‘আন্হা-মাল্লা-ইয়ুমিনু বিহা-অত্তাবা‘আ হাওয়া-হু ফার্তাদা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৬ অতএব যে ব্যক্তি তার প্রতি ঈমান রাখে না এবং স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করে সে যেন কিছুতেই তাতে ঈমান আনয়নে তোমাকে বাধা দিতে না পারে; অন্যথায় তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।
وَمَا تِلْكَ بِيَمِينِكَ يَا مُوسَى20.17
আরবি উচ্চারণ ২০.১৭। অমা-তিল্কা বিইয়ামীনিকা ইয়া-মূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৭ আর ‘হে মূসা, তোমার ডান হাতে ওটা কি’?
قَالَ هِيَ عَصَايَ أَتَوَكَّأُ عَلَيْهَا وَأَهُشُّ بِهَا عَلَى غَنَمِي وَلِيَ فِيهَا مَآرِبُ أُخْرَى20.18
আরবি উচ্চারণ ২০.১৮। ক্ব-লা হিয়া ‘আছোয়া-ইয়া আতাওয়াক্বয়ু ‘আলাইহা-অআহুশ্শু বিহা-‘আলা-গনামী অলিয়া ফীহা- মা-আ-রিবু উখ্র-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৮ সে বলল, ‘এটি আমার লাঠি; আমি এর ওপর ভর করি, এটি দিয়ে আমি আমার মেষপালের জন্য গাছের পাতা পাড়ি এবং এটি আমার আরো অনেক কাজে লাগে।’
قَالَ أَلْقِهَا يَا مُوسَى20.19
আরবি উচ্চারণ ২০.১৯। ক্ব-লা আল্ক্বিহা-ইয়া-মূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৯ তিনি বললেন, ‘হে মূসা! ওটা ফেলে দাও।’
فَأَلْقَاهَا فَإِذَا هِيَ حَيَّةٌ تَسْعَى20.20
আরবি উচ্চারণ ২০.২০। ফাআল্ক্ব-হা- ফাইযা-হিয়া হাইয়্যাতুন্ তাস্‘আ-।
বাংলা অনুবাদ ২০.২০ অতঃপর সে তা ফেলে দিল; অমনি তা সাপ হয়ে ছুটতে লাগল।
قَالَ خُذْهَا وَلَا تَخَفْ سَنُعِيدُهَا سِيرَتَهَا الْأُولَى20.21
আরবি উচ্চারণ ২০.২১। ক্ব-লা খুয্হা-অলা- তাখাফ্ সানু‘ঈদুহা-সীরতাহাল্ ঊলা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.২১ তিনি বললেন, ‘ওটা ধর এবং ভয় করো না, আমি ওকে ওর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেব’।
وَاضْمُمْ يَدَكَ إِلَى جَنَاحِكَ تَخْرُجْ بَيْضَاءَ مِنْ غَيْرِ سُوءٍ آيَةً أُخْرَى20.22
আরবি উচ্চারণ ২০.২২। ওয়াদ্ব্মুম্ ইয়াদাকা ইলা-জ্বানা-হিকা তাখ্রুজ বাইদ্বো-য়া মিন্ গইরি সূ-য়িন আ-ইয়াতান্ উখ্র।
বাংলা অনুবাদ ২০.২২ ‘আর তোমার হাত তোমার বগলের সাথে মিলাও, তাহলে তা উজ্জ্বল হয়ে বেরিয়ে আসবে কোনরূপ ত্র“টি ছাড়া; আরেকটি নিদর্শনরূপে’।
لِنُرِيَكَ مِنْ آيَاتِنَا الْكُبْرَى 20.23
আরবি উচ্চারণ ২০.২৩। লিনুরিয়াকা মিন্ আ-ইয়া-তিনাল্ কুব্র-।
বাংলা অনুবাদ ২০.২৩ এটা এজন্য যে, আমি তোমাকে আমার বড় বড় নিদর্শনসমূহের কিছু দেখাব।
اذْهَبْ إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى20.24
আরবি উচ্চারণ ২০.২৪। ইয্হাব্ ইলা-ফির‘আঊনা ইন্নাহূ ত্বগ-।
বাংলা অনুবাদ ২০.২৪ ‘ফির‘আউনের কাছে যাও; নিশ্চয় সে সীমালঙ্ঘন করেছে’।
قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي20.25
আরবি উচ্চারণ ২০.২৫। ক্ব-লা রব্বিশ্ রহ্লী ছোয়াদ্রী।
বাংলা অনুবাদ ২০.২৫ সে বলল, ‘হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দিন’
وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي20.26
আরবি উচ্চারণ ২০.২৬। অ ইয়ার্স্সিলী য় আম্রী।
বাংলা অনুবাদ ২০.২৬ ‘এবং আমার কাজ সহজ করে দিন,
وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي20.27
আরবি উচ্চারণ ২০.২৭। ওয়াহ্লুল্ ‘উক্ব্দাতাম্ মিল্লিসা-নী।
বাংলা অনুবাদ ২০.২৭ ‘আর আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন-
يَفْقَهُوا قَوْلِي20.28
আরবি উচ্চারণ ২০.২৮। ইয়াফ্ক্বাহূ ক্বওলী।
বাংলা অনুবাদ ২০.২৮ যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে’।
وَاجْعَلْ لِي وَزِيرًا مِنْ أَهْلِي20.29
আরবি উচ্চারণ ২০.২৯। অজ্ব্‘আল্লী অযীরাম্ মিন্ আহ্লী।
বাংলা অনুবাদ ২০.২৯ ‘আর আমার পরিবার থেকে আমার জন্য একজন সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দিন।
هَارُونَ أَخِي20.30
আরবি উচ্চারণ ২০.৩০। হারূনা আখী
বাংলা অনুবাদ ২০.৩০ আমার ভাই হারূনকে’
اشْدُدْ بِهِ أَزْرِي20.31
আরবি উচ্চারণ ২০.৩১। শ্দুদ্ বিহী য় আয্রী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৩১ ‘তার দ্বারা আমার শক্তি সুদৃঢ় করুন
وَأَشْرِكْهُ فِي أَمْرِي20.32
আরবি উচ্চারণ ২০.৩২। অ আশ্রিক্হু ফী য় আম্রী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৩২ এবং তাকে আমার কাজে শরীক করুন’।
كَيْ نُسَبِّحَكَ كَثِيرًا20.33
আরবি উচ্চারণ ২০.৩৩। কাই নুসাব্বিহাকা কাছীর-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৩৩ ‘যাতে আমরা বেশী করে আপনার তাসবীহ পাঠ করতে পারি’,
وَنَذْكُرَكَ كَثِيرًا20.34
আরবি উচ্চারণ ২০.৩৪। অ নায্ কুরকা কাছীর-
বাংলা অনুবাদ ২০.৩৪ এবং অধিক পরিমাণে আপনাকে স্মরণ করতে পারি।
إِنَّكَ كُنْتَ بِنَا بَصِيرًا20.35
আরবি উচ্চারণ ২০.৩৫। ইন্নাকা কুন্তা বিনা-বাছীর-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৩৫ ‘আপনিই তো আমাদের সম্যক দ্রষ্টা’।
قَالَ قَدْ أُوتِيتَ سُؤْلَكَ يَا مُوسَى20.36
আরবি উচ্চারণ ২০.৩৬। ক্ব-লা ক্বদ্ ঊতীতা সু’লাকা ইয়া-মূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৩৬ তিনি বললেন, ‘হে মূসা, তুমি যা চেয়েছ তা তোমাকে দেয়া হল’।
وَلَقَدْ مَنَنَّا عَلَيْكَ مَرَّةً أُخْرَى 20.37
আরবি উচ্চারণ ২০.৩৭। অ লাক্বদ্ মানান্না- ‘আলাইকা র্মারতান্ উখ্র য় ।
বাংলা অনুবাদ ২০.৩৭ ‘আর আমি আরো একবার তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম’।
إِذْ أَوْحَيْنَا إِلَى أُمِّكَ مَا يُوحَى20.38
আরবি উচ্চারণ ২০.৩৮। ইয্ আওহাইনা য় ইলা য় উম্মিকা মা-ইয়ূহা য় ।
বাংলা অনুবাদ ২০.৩৮ ‘যখন আমি তোমার মাতাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যা জানাবার ছিল
أَنِ اقْذِفِيهِ فِي التَّابُوتِ فَاقْذِفِيهِ فِي الْيَمِّ فَلْيُلْقِهِ الْيَمُّ بِالسَّاحِلِ يَأْخُذْهُ عَدُوٌّ لِي وَعَدُوٌّ لَهُ وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِنِّي وَلِتُصْنَعَ عَلَى عَيْنِي20.39
আরবি উচ্চারণ ২০.৩৯। আনিক্বযি ফীহি ফিত তা-বূতি ফাক্বযি ফীহি ফিল্ ইয়াম্মি ফাল্ইয়ুল্ক্বিহিল্ ইয়াম্মু বিস্সা-হিলি ইয়া’খুয্হু ‘আদুওউল্লী ওয়া‘আদুওউল লা-হ্; অআল্ক্বইতু ‘আলাইকা মাহাব্বাতাম্ মিন্নী অলিতুছ্না‘আ ‘আলা-আইনী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৩৯ ‘যে, তুমি তাঁকে সিন্ধুকের মধ্যে রেখে দাও। তারপর তা দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও। যেন দরিয়া তাকে তীরে ঠেলে দেয়। ফলে তাকে আমার শত্র“ ও তার শত্র“ নিয়ে নেবে। আর আমি আমার পক্ষ থেকে তোমার প্রতি ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম, যাতে তুমি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হও’।
إِذْ تَمْشِي أُخْتُكَ فَتَقُولُ هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَنْ يَكْفُلُهُ فَرَجَعْنَاكَ إِلَى أُمِّكَ كَيْ تَقَرَّ عَيْنُهَا وَلَا تَحْزَنَ وَقَتَلْتَ نَفْسًا فَنَجَّيْنَاكَ مِنَ الْغَمِّ وَفَتَنَّاكَ فُتُونًا فَلَبِثْتَ سِنِينَ فِي أَهْلِ مَدْيَنَ ثُمَّ جِئْتَ عَلَى قَدَرٍ يَا مُوسَى20.40
আরবি উচ্চারণ ২০.৪০। ইয্ তাম্শী য় উখ্তুকা ফাতাকু লু হাল্ আদুল্লুকুম্ ‘আলা-মাইঁ ইয়াক্ফুলুহ্; ফারাজ্বা’না-কা ইলা য় উম্মিকা কাই তার্ক্বর ‘আইনুহা-অলা-তাহ্যান্; অ ক্বতাল্তা নাফ্সান্ ফানাজ্জ্বাইনা-কা মিনাল্ গম্মি অফাতান্না-কা-ফুতূনা-; ফালাবিছ্তা সিনীনা ফী য় আহ্লি মাদ্ইয়ানা ছুম্মা জ্বিতা ‘আলা- ক্বদারিঁই ইয়া-মূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৪০ যখন তোমার বোন (সিন্দুকের সাথে সাথে) চলছিল। অতঃপর সে গিয়ে বলল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন একজনের সন্ধান দেব, যে এর দায়িত্বভার নিতে পারবে’? অতঃপর আমি তোমাকে তোমার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিলাম; যাতে তার চোখ জুড়ায় এবং সে দুঃখ না পায়। আর তুমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে। তখন আমি তোমাকে মানোবেদনা থেকে মুক্তি দিলাম এবং তোমাকে আমি বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেছি। অতঃপর তুমি কয়েক বছর মাদইয়ানবাসীদের মধ্যে অবস্থান করেছ। হে মূসা, তারপর নির্ধারিত সময়ে তুমি এসে উপস্থিত হলে’।
وَاصْطَنَعْتُكَ لِنَفْسِي 20.41
আরবি উচ্চারণ ২০.৪১। অছ্ত্বোয়ানা’তুকা লিনাফ্সী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৪১ এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য মনোনীত করেছি।
اذْهَبْ أَنْتَ وَأَخُوكَ بِآيَاتِي وَلَا تَنِيَا فِي ذِكْرِي20.42
আরবি উচ্চারণ ২০.৪২। ইয্হাব্ আন্তা অআখূকা বিআ-ইয়া-তী অলা-তানিয়া-ফী যিক্রী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৪২ তুমি ও তোমার ভাই আমার আয়াতসমূহ নিয়ে যাও এবং আমাকে স্মরণ করার ক্ষেত্রে কোনরূপ অলসতা করো না।
اذْهَبَا إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى20.43
আরবি উচ্চারণ ২০.৪৩। ইয্হাবা য় ইলা-ফির‘আউনা ইন্নাহূ ত্বোয়াগ-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৪৩ তোমরা দু’জন ফির‘আউনের নিকট যাও, কেননা সে তো সীমালংঘন করেছে।
فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا لَعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى20.44
আরবি উচ্চারণ ২০.৪৪। ফাকু লা লাহূ ক্বওলাল্ লাইয়্যিনা ল্লা‘আল্লাহূ ইয়াতাযাক্কারু আও ইয়াখ্শা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৪৪ তোমরা তার সাথে নরম কথা বলবে। হয়তোবা সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে।
قَالَا رَبَّنَا إِنَّنَا نَخَافُ أَنْ يَفْرُطَ عَلَيْنَا أَوْ أَنْ يَطْغَى20.45
আরবি উচ্চারণ ২০.৪৫। ক্ব-লা রব্বানা য় ইন্নানা-নাখা-ফু আইঁ ইয়াফ্রুত্বোয়া ‘আলাইনা য় আও আইঁ ইয়াত¦গ-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৪৫ তারা বলল, ‘হে আমাদের রব, আমরা তো আশংকা করছি যে, সে আমাদের উপর বাড়াবাড়ি করবে অথবা সীমালঙ্ঘন করবে’।
قَالَ لَا تَخَافَا إِنَّنِي مَعَكُمَا أَسْمَعُ وَأَرَى20.46
আরবি উচ্চারণ ২০.৪৬। ক্ব-লা লা-তাখ-ফা য় ইন্নানী মা ‘আকুমা য় আস্মা‘উ আআর-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৪৬ তিনি বললেন, ‘তোমরা ভয় করো না। আমি তো তোমাদের সাথেই আছি। আমি সবকিছু শুনি ও দেখি’।
فَأْتِيَاهُ فَقُولَا إِنَّا رَسُولَا رَبِّكَ فَأَرْسِلْ مَعَنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَا تُعَذِّبْهُمْ قَدْ جِئْنَاكَ بِآيَةٍ مِنْ رَبِّكَ وَالسَّلَامُ عَلَى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدَى20.47
আরবি উচ্চারণ ২০.৪৭। ফাতিয়া-হু ফাকু লা য় ইন্না রসূলা-রব্বিকা ফার্আসিল্ মা ‘আনা বানী য় ইস্রা-ঈলা অলা-তু‘আয্যিব্হুম্; ক্বদ্ জ্বি’’না-কা বিআ-ইয়াতিম্ র্মি রব্বিক্; অস্সালা-মু ‘আলা-মানিত্তাবা‘আ ল্ হুদা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৪৭ সুতরাং তোমরা দু’জন তার কাছে যাও অতঃপর বল, ‘আমরা তোমার রবের দু’জন রাসূল। সুতরাং তুমি বনী ইসরাঈলকে আমাদের সাথে যেতে দাও এবং তাদেরকে নির্যাতন করো না। আমরা তোমার কাছে এসেছি তোমার রবের আয়াত নিয়ে। আর যারা সৎ পথ অনুসরণ করে, তাদের প্রতি শান্তি।
إِنَّا قَدْ أُوحِيَ إِلَيْنَا أَنَّ الْعَذَابَ عَلَى مَنْ كَذَّبَ وَتَوَلَّى 20.48
আরবি উচ্চারণ ২০.৪৮। ইন্না-ক্বদ্ ঊহিয়া ইলাইনা য় আন্নাল্ ‘আযা-বা ‘আলা-মান্ কায্যাবা অ তাওয়াল্লা- ।
বাংলা অনুবাদ ২০.৪৮ নিশ্চয় আমাদের নিকট ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, আযাবতো তার জন্য, যে মিথ্যা আরোপ করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়।
قَالَ فَمَنْ رَبُّكُمَا يَا مُوسَى20.49
আরবি উচ্চারণ ২০.৪৯। ক্ব-লা ফার্মা রব্বুকুমা- ইয়া-মূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৪৯ ফির‘আউন বলল, ‘হে মূসা, তাহলে কে তোমাদের রব’?
قَالَ رَبُّنَا الَّذِي أَعْطَى كُلَّ شَيْءٍ خَلْقَهُ ثُمَّ هَدَى20.50
আরবি উচ্চারণ ২০.৫০। ক্ব-লা রব্বুনাল্লাযী য় ‘আত্বো য়া-কুল্লা শাইয়িন্ খল্ক্বহূ ছুম্মা হাদা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৫০ মূসা বলল, ‘আমাদের রব তিনি, যিনি সকল বস্তুকে তার আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর সঠিক পথ নির্দেশ করেছেন’।
قَالَ فَمَا بَالُ الْقُرُونِ الْأُولَى20.51
আরবি উচ্চারণ ২০.৫১। ক্ব-লা ফামা-বা-লুল্ ক্বরূ নিল্ ঊলা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৫১ ফির‘আউন বলল, ‘তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কী’?
قَالَ عِلْمُهَا عِنْدَ رَبِّي فِي كِتَابٍ لَا يَضِلُّ رَبِّي وَلَا يَنْسَى20.52
আরবি উচ্চারণ ২০.৫২। ক্ব-লা ‘ইল্মুহা ‘ইন্দা রব্বী ফী কিতা-বিন্ লা-ইয়াদ্বিল্ল রব্বী অলা-ইয়ান্সা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৫২ মূসা বলল, ‘এর জ্ঞান আমার রবের নিকট কিতাবে আছে। আমার রব বিভ্রান্ত হন না এবং ভুলেও যান না’।
الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ مَهْدًا وَسَلَكَ لَكُمْ فِيهَا سُبُلًا وَأَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجْنَا بِهِ أَزْوَاجًا مِنْ نَبَاتٍ شَتَّى20.53
আরবি উচ্চারণ ২০.৫৩। আল্লাযী জ্বা‘আলা লাকুমুল্ র্আদ্বোয়া মাহ্দাঁও অ সালাকা লাকুম্ ফীহা-সুবুলাঁও অ আন্যালা মিনাস্ সামা-য়ি মা-য়; ফাআখ্রাজ্বনা-বিহী য় আয্ওয়া জ্বাম্ মিন্ নাবা-তিন্ শাত্তা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৫৩ ‘যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে বিছানা বানিয়েছেন এবং তাতে তোমাদের জন্য চলার পথ করে দিয়েছেন। আর আসমান থেকে তিনি পানি বর্ষণ করেন’; অতঃপর তা দিয়ে আমি বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ উৎপন্ন করি।
كُلُوا وَارْعَوْا أَنْعَامَكُمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِأُولِي النُّهَى 20.54
আরবি উচ্চারণ ২০.৫৪। কুলূ র্অ‘আও আন্‘আ-মাকুম্; ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়া-তিল্ লিউলিন্নুহা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৫৪ তোমরা নিজেরা খাও এবং তোমাদের গবাদি পশু চরাও। অবশ্যই এতে বিবেকসম্পন্ন লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।
مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ وَفِيهَا نُعِيدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً أُخْرَى20.55
আরবি উচ্চারণ ২০.৫৫। মিন্হা খালাক্ব্না-কুম্ অ ফীহা নু‘ঈদুকুম্ অ মিন্হা- নুখ্রিজ্বকুম্ তা-রাতান্ উখ্র-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৫৫ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, মাটিতেই আমি তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেব এবং মাটি থেকেই তোমাদেরকে পুনরায় বের করে আনব।
وَلَقَدْ أَرَيْنَاهُ آيَاتِنَا كُلَّهَا فَكَذَّبَ وَأَبَى20.56
আরবি উচ্চারণ ২০.৫৬। অ লাক্বদ্ আরইনা-হু আ-ইয়া-তিনা- কুল্লাহা-ফাকায্যাবা অ আবা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৫৬ আমি তাকে আমার সকল নিদর্শন দেখিয়েছিলাম, কিন্তু সে মিথ্যা আরোপ করেছে এবং অমান্য করেছে।
قَالَ أَجِئْتَنَا لِتُخْرِجَنَا مِنْ أَرْضِنَا بِسِحْرِكَ يَا مُوسَى20.57
আরবি উচ্চারণ ২০.৫৭। ক্ব-লা আজ্বিতানা-লিতুখ্ রিজ্বানা- মিন্ র্আদ্বিনা-বিসিহ্রিকা ইয়া-মূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৫৭ সে বলল, ‘হে মূসা, তুমি কি আমাদের কাছে এজন্য এসেছ যে, তোমার যাদুর দ্বারা আমাদেরকে আমাদের দেশ থেকে বের করে দেবে’?
فَلَنَأْتِيَنَّكَ بِسِحْرٍ مِثْلِهِ فَاجْعَلْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ مَوْعِدًا لَا نُخْلِفُهُ نَحْنُ وَلَا أَنْتَ مَكَانًا سُوًى20.58
আরবি উচ্চারণ ২০.৫৮। ফালানা তিয়ান্নাকা বিসিহ্রিম্ মিছ্লিহী ফাজ্ব্‘আল্ বাইনানা-অ বাইনাকা মাও‘ইদাল্ লা- নুখ্লিফুহূ নাহ্নু অলা য় আন্তা মাকা-নান্ সুওয়া-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৫৮ ‘তাহলে আমরা অবশ্যই তোমার নিকট অনুরূপ যাদু নিয়ে আসব। সুতরাং একটা মধ্যবর্তী স্থানে আমাদের ও তোমার মিলিত হওয়ার জন্য একটি সময় নির্ধারণ কর, যা আমরাও লঙ্ঘন করব না, তুমিও করবে না’।
قَالَ مَوْعِدُكُمْ يَوْمُ الزِّينَةِ وَأَنْ يُحْشَرَ النَّاسُ ضُحًى20.59
আরবি উচ্চারণ ২০.৫৯। ক্ব-লা মাও‘ইদু কুম্ ইয়াওমুয্ যীনাতি অআইঁ ইয়ুহ্শারান্না-সু দ্বুহা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৫৯ মূসা বলল, ‘তোমাদের নির্ধারিত সময় হল উৎসবের দিন। আর সেদিন পূর্বাহ্নেই যেন লোকজনকে সমবেত করা হয়’।
فَتَوَلَّى فِرْعَوْنُ فَجَمَعَ كَيْدَهُ ثُمَّ أَتَى 20.60
আরবি উচ্চারণ ২০.৬০। ফাতাওয়াল্লা-র্ফি‘আউনু ফাজ্বামা‘আ কাইদাহূ ছুম্মা আতা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৬০ অতঃপর ফির‘আউন উঠে গেল। তারপর সে তার কৌশল একত্র করল, তারপর সে আসল।
قَالَ لَهُمْ مُوسَى وَيْلَكُمْ لَا تَفْتَرُوا عَلَى اللَّهِ كَذِبًا فَيُسْحِتَكُمْ بِعَذَابٍ وَقَدْ خَابَ مَنِ افْتَرَى20.61
আরবি উচ্চারণ ২০.৬১। ক্বা- লা লাহুম্ মূসা- অইলাকুম্ লা-তাফ্তারূ ‘আলাল্লা-হি কাযিবান্ ফাইয়ুস্হিতাকুম্ বি‘আযা-বিন্ অক্বদ্ খ-বা মানিফ্ তার-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৬১ মূসা তাদেরকে বলল, ‘তোমাদের দুর্ভাগ্য! তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না। করলে তিনি আযাব দ্বারা তোমাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি মিথ্যা আরোপ করে, সে-ই ব্যর্থ হয়।
فَتَنَازَعُوا أَمْرَهُمْ بَيْنَهُمْ وَأَسَرُّوا النَّجْوَى20.62
আরবি উচ্চারণ ২০.৬২। ফাতানা-যা‘উ য় আমরহুম্ বাইনাহুম্ অ আসাররুন্ নাজ্বওয়া-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৬২ তখন তারা নিজেদের মধ্যে তাদের কর্ম সম্বন্ধে বাক-বিতণ্ডা করল এবং তারা গোপনে পরামর্শ করল।
قَالُوا إِنْ هَذَانِ لَسَاحِرَانِ يُرِيدَانِ أَنْ يُخْرِجَاكُمْ مِنْ أَرْضِكُمْ بِسِحْرِهِمَا وَيَذْهَبَا بِطَرِيقَتِكُمُ الْمُثْلَى20.63
আরবি উচ্চারণ ২০.৬৩। ক্ব-লূ য় ইন্ হা-যা-নি লাসা-হির-নি ইয়ুরীদা-নি আইঁ ইঁয়ুখ্রিজ্বাকুম্ মিন্ র্আদ্বিকুম্ বিসিহ্রিহিমা-অইয়ায্হাবা- বিত্বোয়ারীক্বতিকুমুল্ মুছ্লা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৬৩ তারা বলল, ‘এ দু’জন অবশ্যই যাদুকর। তারা চায় তাদের যাদুর মাধ্যমে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দিতে এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবন পদ্ধতি ধ্বংস করে দিতে’।
فَأَجْمِعُوا كَيْدَكُمْ ثُمَّ ائْتُوا صَفًّا وَقَدْ أَفْلَحَ الْيَوْمَ مَنِ اسْتَعْلَى20.64
আরবি উচ্চারণ ২০.৬৪। ফাআজ্বমিঊ’ কাইদাকুম্ ছুম্মাতূ ছফ্ফান্, অ-ক্বদ আফলাহাল্ ইয়াওমা মানিস্ তা’লা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৬৪ ‘কাজেই তোমরা তোমাদের কলা-কৌশল জমা কর। তারপর তোমরা সবাই সারিবদ্ধভাবে আস। আর আজ যে বিজয়ী হবে, সে-ই সফল হবে’।
قَالُوا يَا مُوسَى إِمَّا أَنْ تُلْقِيَ وَإِمَّا أَنْ نَكُونَ أَوَّلَ مَنْ أَلْقَى 20.65
আরবি উচ্চারণ ২০.৬৫। ক্ব-লূ ইয়া মূসা য় ইম্মা য় আন্ তুল্ক্বিয়া অইম্মা য় আন্ নাকূনা আওঅলা মান্ আল্ক্ব-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৬৫ তারা বলল, হে মূসা, হয় তুমি নিক্ষেপ কর, না হয় আমরাই প্রথমে নিক্ষেপ করি।
قَالَ بَلْ أَلْقُوا فَإِذَا حِبَالُهُمْ وَعِصِيُّهُمْ يُخَيَّلُ إِلَيْهِ مِنْ سِحْرِهِمْ أَنَّهَا تَسْعَى20.66
আরবি উচ্চারণ ২০.৬৬। ক্ব-লা বাল্ আল্ক্ব ফাইযা-হিবা-লুহুম্ অ ‘ইছিয়্যুহুম্ ইয়ুখইয়্যালু ইলাইহি মিন্ সিহ্রিহিম্ আন্নাহা-তাস্‘আ।
বাংলা অনুবাদ ২০.৬৬ মূসা বলল, ‘বরং তোমরাই নিক্ষেপ কর। অতঃপর তাদের যাদুর প্রভাবে মূসার কাছে মনে হল যেন তাদের রশি ও লাঠিগুলো ছুটোছুটি করছে।
فَأَوْجَسَ فِي نَفْسِهِ خِيفَةً مُوسَى20.67
আরবি উচ্চারণ ২০.৬৭। ফাআওজ্বাসা ফী নাফ্সিহী খীফাতাম্ মূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৬৭ তখন মূসা তার অন্তরে কিছুটা ভীতি অনুভব করল।
قُلْنَا لَا تَخَفْ إِنَّكَ أَنْتَ الْأَعْلَى20.68
আরবি উচ্চারণ ২০.৬৮। ক্বুল্না-লা-তাখাফ্ ইন্নাকা আন্তাল্ ‘আলা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৬৮ আমি বললাম, ‘তুমি ভয় পেয়ো না, নিশ্চয় তুমিই বিজয়ী হবে’।
وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَى20.69
আরবি উচ্চারণ ২০.৬৯। অ আল্ক্বি মা-ফী ইয়ামীনিকা তাল্ক্বফ্ মা-ছোয়ানা‘ঊ; ইন্নামা- ছোয়ানা‘উ কাইদু সা-র্হি; অলা -ইয়ুফ্লিহুস্ সা- হিরু হাইছু আতা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৬৯ ‘আর তোমার ডান হাতে যা আছে, তা ফেলে দাও। তারা যা করেছে, এটা সেগুলো গ্রাস করে ফেলবে। তারা যা করেছে, তাতো কেবল যাদুকরের কৌশল। আর যাদুকর যেখানেই আসুক না কেন, সে সফল হবে না’।
فَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سُجَّدًا قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ هَارُونَ وَمُوسَى20.70
আরবি উচ্চারণ ২০.৭০। ফাউল্ক্বিয়াস্ সাহারতু সুজ্জ্বাদান্ ক্ব-লূ য় আ-মান্না -বিরব্বি হা-রূনা অমূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৭০ অতঃপর যাদুকরেরা সিজদায় লুটিয়ে পড়ল। তারা বলল, ‘আমরা হারূন ও মূসার রবের প্রতি ঈমান আনলাম’।
قَالَ آمَنْتُمْ لَهُ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ إِنَّهُ لَكَبِيرُكُمُ الَّذِي عَلَّمَكُمُ السِّحْرَ فَلَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ مِنْ خِلَافٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ فِي جُذُوعِ النَّخْلِ وَلَتَعْلَمُنَّ أَيُّنَا أَشَدُّ عَذَابًا وَأَبْقَى20.71
আরবি উচ্চারণ ২০.৭১। ক্ব-লা আ-মান্তুম্ লাহূ ক্বব্লা আন্ আ-যানা লাকুম্; ইন্নাহূ লাকাবী রুকুমুল্লাযী ‘আল্লামাকুমুস্ সিহ্র ফালাউক্বত্ত্বি‘আন্না আইদিয়াকুম্ অর্আজ্বলাকুম্ মিন্ খিলা-ফিঁও অ লায়ুছোয়াল্লিবান্নাকুম্ ফী জ্বযূ ‘ইন্নাখ্লি অলা-তা’লামুন্না আইয়্যুনা য় আশাদ্দু ‘আযা-বাঁও অআব্ক্বা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৭১ ফির‘আউন বলল, ‘কী, আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনলে? নিশ্চয় সে-ই তোমাদের প্রধান, যে তোমাদেরকে যাদু শিখিয়েছে। সুতরাং আমি অবশ্যই তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব এবং আমি তোমাদেরকে খেজুর গাছের কাণ্ডে শূলিবিদ্ধ করবই। আর তোমরা অবশ্যই জানতে পারবে, আমাদের মধ্যে কার আযাব বেশী কঠোর এবং বেশী স্থায়ী।
قَالُوا لَنْ نُؤْثِرَكَ عَلَى مَا جَاءَنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالَّذِي فَطَرَنَا فَاقْضِ مَا أَنْتَ قَاضٍ إِنَّمَا تَقْضِي هَذِهِ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا20.72
আরবি উচ্চারণ ২০.৭২। ক্ব-লূ লান্ নু’ছিরকা ‘আলা-মা -জ্বা-য়ানা মিনাল্ বাইয়্যিনা -তি অল্লাযী ফাত্বোয়ারনা ফাক্বদ্বি মা য় আন্তা ক্ব-দ্ব্; ইন্নামা- তাক্বদী হা-যিহিল্ হা-ইয়াতাদ্দুন্ইয়া-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৭২ তারা বলল, ‘আমাদের নিকট যে সকল স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে এবং যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তার উপর আমরা তোমাকে কিছুতেই প্রাধান্য দেব না। সুতরাং তুমি যা ফয়সালা করতে চাও, তাই করো। তুমিতো কেবল এ দুনিয়ার জীবনের উপর কর্তৃত্ব করতে পার’।
إِنَّا آمَنَّا بِرَبِّنَا لِيَغْفِرَ لَنَا خَطَايَانَا وَمَا أَكْرَهْتَنَا عَلَيْهِ مِنَ السِّحْرِ وَاللَّهُ خَيْرٌ وَأَبْقَى20.73
আরবি উচ্চারণ ২০.৭৩। ইন্না য় আ-মান্না -বিরব্বিনা- লিইয়াগ্ফিরলানা-খাত্বোয়া-ইয়া -না অমা য় আক্রহ্তানা ‘আলাইহি মিনাস্ সিহ্র্; অল্লা-হু খইরুঁও অ আব্ক্ব-
বাংলা অনুবাদ ২০.৭৩ ‘নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের প্রতি ঈমান এনেছি, যাতে তিনি আমাদের অপরাধসমূহ এবং যে যাদু তুমি আমাদেরকে করতে বাধ্য করেছ, তা ক্ষমা করে দেন। আর আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ ও চিরস্থায়ী’।
إِنَّهُ مَنْ يَأْتِ رَبَّهُ مُجْرِمًا فَإِنَّ لَهُ جَهَنَّمَ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَا 20.74
আরবি উচ্চারণ ২০.৭৪। ইন্নাহূ মাইঁ ইয়াতি রব্বাহূ মুজ্বরমান্ ফাইন্না লাহূ জ্বাহান্নাম্; লা -ইয়ামূতু ফীহা -অলা- ইয়াহ্ইয়া-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৭৪ যে তার রবের নিকট অপরাধী অবস্থায় আসবে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। সেখানে সে মরবেও না, বাঁচবেও না।
وَمَنْ يَأْتِهِ مُؤْمِنًا قَدْ عَمِلَ الصَّالِحَاتِ فَأُولَئِكَ لَهُمُالدَّرَجَاتُ الْعُلَا20.75
আরবি উচ্চারণ ২০.৭৫। অমাইঁ ইয়াতিহী মুমিনান্ ক্বাদ্ ’আমিলাছ্ ছোয়া-লিহা-তি ফাউলা-য়িকা লাহুমুদ্দারাজ্বা-তুল্ ‘উলা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৭৫ আর যারা তাঁর নিকট আসবে মুমিন অবস্থায়, সৎকর্ম করে তাদের জন্যই রয়েছে সুউচ্চ মর্যাদা।
جَنَّاتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ جَزَاءُ مَنْ تَزَكَّى20.76
আরবি উচ্চারণ ২০.৭৬। জ্বান্না-তু ‘আদ্নিন্ তাজ্বরী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হা-রু খ-লিদীনা ফীহা-; অযা-লিকা জ্বাযা-য়ু মান্ তাযাক্কা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৭৬ স্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, তারা সেখানে স্থায়ী হবে। আর এটা হল যারা পরিশুদ্ধ হয় তাদের পুরষ্কার।
وَلَقَدْ أَوْحَيْنَا إِلَى مُوسَى أَنْ أَسْرِ بِعِبَادِي فَاضْرِبْ لَهُمْ طَرِيقًا فِي الْبَحْرِ يَبَسًا لَا تَخَافُ دَرَكًا وَلَا تَخْشَى20.77
আরবি উচ্চারণ ২০.৭৭। অলাক্বদ্ আওহাইনা য় ইলা -মূসা য় আন্ আস্রি বি‘ইবা-দী ফাদ্ব্রিব্ লাহুম্ ত্বোয়ারীক্বান্ ফিল্ বাহ্রি ইয়াবাসা ল্লা-তাখা-ফু দারকাঁও অলা-তাখ্শা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৭৭ আর আমি অবশ্যই মূসার কাছে ওহী প্রেরণ করেছিলাম যে, ‘আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাতের বেলায় রওয়ানা হও। অতঃপর সজোরে আঘাত করে তাদের জন্য শুকনো রাস্তা বানাও। পেছন থেকে ধরে ফেলার আশংকা করো না এবং ভয়ও করো না’।
فَأَتْبَعَهُمْ فِرْعَوْنُ بِجُنُودِهِ فَغَشِيَهُمْ مِنَ الْيَمِّ مَا غَشِيَهُمْ20.78
আরবি উচ্চারণ ২০.৭৮। ফাআত্বা‘আহুম্ র্ফি‘আউনু বিজ্বনূদিহী ফাগশিয়াহুম্ মিনাল্ ইয়াম্মি মা-গশিয়াহুম্।
বাংলা অনুবাদ ২০.৭৮ তারপর ফির‘আউন তার সেনাবাহিনী সহ তাদের পিছু নিল। অতঃপর সমুদ্র তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত করল।
وَأَضَلَّ فِرْعَوْنُ قَوْمَهُ وَمَا هَدَى 20.79
আরবি উচ্চারণ ২০.৭৯। অ আদ্বোয়াল্লা র্ফি‘আউনু ক্বওমাহূ অমা-হাদা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৭৯ আর ফির‘আউন তার কওমকে পথভ্রষ্ট করেছিল এবং সে সঠিক পথ দেখায়নি।
يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ قَدْ أَنْجَيْنَاكُمْ مِنْ عَدُوِّكُمْ وَوَاعَدْنَاكُمْ جَانِبَ الطُّورِ الْأَيْمَنَ وَنَزَّلْنَا عَلَيْكُمُ الْمَنَّ وَالسَّلْوَى20.80
আরবি উচ্চারণ ২০.৮০। ইয়া-বানী য় ইস্রা-ঈলা ক্বদ্ আন্জ্বাইনা-কুম্ মিন্ ‘আদুওয়্যিকুম্ অওয়া-‘আদ্না-কুম্ জ্বা-নিবাত্ব্ত্বুরিল্ আইমানা অনায্যাল্না- ‘আলাইকুমুল্ মান্না অস্সাল্ওয়া।
বাংলা অনুবাদ ২০.৮০ হে বনী ইসরাঈল, আমিই তোমাদেরকে তোমাদের শত্র“ থেকে নাজাত দিয়েছি। আর তোমাদেরকে ওয়াদা দিয়েছিলাম তূর পাহাড়ের ডান পাশের এবং আমি তোমাদের জন্য অবতরণ করেছিলাম ‘মান্না’ ও ‘সালওয়া’।
كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَلَا تَطْغَوْا فِيهِ فَيَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبِي وَمَنْ يَحْلِلْ عَلَيْهِ غَضَبِي فَقَدْ هَوَى20.81
আরবি উচ্চারণ ২০.৮১। কুলূ মিন্ ত্বোয়াইয়্যিবা-তি মা-রযাক্বনা-কুম্ অলা-তাত্বগও ফীহি ফাইয়াহিল্লা ‘আলাইকুম্ গদ্বোয়াবী অমাইঁ ইয়াহ্লিল্ ‘আলাইহি গদ্বোয়াবী ফাক্বদ্ হাওয়া-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৮১ আমি তোমাদেরকে যে রিয্ক দান করেছি তা থেকে ভালগুলো খাও এবং এতে সীমালংঘন করো না। করলে তোমাদের উপর আমার গযব পতিত হবে। আর যার উপর আমার গযব পতিত হয় সে অবশ্যই ধ্বংস হয়।
وَإِنِّي لَغَفَّارٌ لِمَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَى20.82
আরবি উচ্চারণ ২০.৮২। অইন্নী লাগফ্ফা-রুল্লিমান্ তা-বা অআ-মানা অ‘আমিলা ছোয়া-লিহান্ ছুম্মাহ্তাদা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৮২ আর অবশ্যই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল, যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎ পথে চলতে থাকে।
وَمَا أَعْجَلَكَ عَنْ قَوْمِكَ يَا مُوسَى20.83
আরবি উচ্চারণ ২০.৮৩। অমা য় আ’জ্বালাকা ‘আন্ ক্বওমিকা ইয়া-মূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৮৩ হে মূসা, কিসে তাড়াতাড়ি নিয়ে এসেছে তোমাকে, তোমার কওমকে পেছনে ফেলে?
قَالَ هُمْ أُولَاءِ عَلَى أَثَرِي وَعَجِلْتُ إِلَيْكَ رَبِّ لِتَرْضَى 20.84
আরবি উচ্চারণ ২০.৮৪। ক্ব-লা হুম্ উলা-য়ি ‘আলা য় আছারী অআজ্বিল্তু ইলাইকা রব্বি লির্তাদ্বোয়া-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৮৪ মূসা বলল, ‘এই তো তারা আমার পিছনে। হে আমার রব, আমি তাড়াতাড়ি করে আপনার নিকট এসেছি, যাতে আপনি আমার উপর সন্তুষ্ট হন’।
قَالَ فَإِنَّا قَدْ فَتَنَّا قَوْمَكَ مِنْ بَعْدِكَ وَأَضَلَّهُمُ السَّامِرِيُّ20.85
আরবি উচ্চারণ ২০.৮৫। ক্ব-লা ফাইন্না-ক্বদ্ ফাতান্না-ক্বওমাকা মিম্ বা’দিকা অআদ্বোয়াল্লাহুমুস্ সা-মিরী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৮৫ আল্লাহ বললেন, ‘তোমার চলে আসার পর আমি তো তোমার কওমকে পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছি। আর সামেরী তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে’।
فَرَجَعَ مُوسَى إِلَى قَوْمِهِ غَضْبَانَ أَسِفًا قَالَ يَا قَوْمِ أَلَمْ يَعِدْكُمْ رَبُّكُمْ وَعْدًا حَسَنًا أَفَطَالَ عَلَيْكُمُ الْعَهْدُ أَمْ أَرَدْتُمْ أَنْ يَحِلَّ عَلَيْكُمْ غَضَبٌ مِنْ رَبِّكُمْ فَأَخْلَفْتُمْ مَوْعِدِي20.86
আরবি উচ্চারণ ২০.৮৬। ফারজ্বা‘আ মূসা য় ইলা-ক্বওমিহী গাদ্ব্বা-না আসিফান্ ক্ব-লা ইয়া-ক্বওমি আলাম্ ইয়া‘ইদ্কুম্ রব্বুকুম্ ওয়া’দান্ হাসানা-; আফাত্বোয়া-লা ‘আলাইকুমুল্ ‘আহ্দু আম্ আরত্তুম্ আইঁ ইয়াহিল্লা ‘আলাইকুম্ গদ্বোয়াবুম্ র্মি রব্বিকুম্ ফাআখ্লাফ্তুম্ মাও‘ইদী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৮৬ তারপর মূসা ক্রোধ ও দুঃখভরে তার কওমের কাছে ফিরে গেল। সে বলল, ‘হে কওম, তোমাদের রব কি তোমাদের সাথে এক উত্তম ওয়াদা করেননি? তোমাদের কাছে কি সেই ওয়াদার সময় দীর্ঘ হয়ে গেছে? নাকি তোমরা চেয়েছ যে, তোমাদের উপর তোমাদের রবের গযব পতিত হোক? তাই তোমরা আমার সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করলে’?
قَالُوا مَا أَخْلَفْنَا مَوْعِدَكَ بِمَلْكِنَا وَلَكِنَّا حُمِّلْنَا أَوْزَارًا مِنْ زِينَةِ الْقَوْمِ فَقَذَفْنَاهَا فَكَذَلِكَ أَلْقَى السَّامِرِيُّ 20.87
আরবি উচ্চারণ ২০.৮৭। ক্ব-লূ মা য় আখ্লাফ্না-মাও‘ইদাকা বিমাল্কিনা-অলা-কিন্না-হুম্মিল্না য় আওযা-রাম্ মিন্যীনাতিল্ ক্বওমি ফাক্বযাফ্না-হা-ফাকাযা-লিকা আল্ক্বস্ সা-মিরী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৮৭ তারা বলল, ‘আমরা তো স্বেচ্ছায় আপনার সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করিনি, বরং কওমের অলংকারের বোঝা আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। তাই আমরা তা (আগুনে) নিক্ষেপ করেছি, অনুরূপভাবে সামেরীও ফেলে দিয়েছে’।
فَأَخْرَجَ لَهُمْ عِجْلًا جَسَدًا لَهُ خُوَارٌ فَقَالُوا هَذَا إِلَهُكُمْ وَإِلَهُ مُوسَى فَنَسِيَ20.88
আরবি উচ্চারণ ২০.৮৮। ফাআখ্রজ্বা লাহুম্ ‘ইজ্বলান্ জসাদাল্ লাহূ খুওয়া-রুন্ ফাক্ব-লূ হা-যা য় ইলা-হুকুম্ অইলা-হু মূসা- ফানাসী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৮৮ তারপর সে তাদের জন্য একটা গো বাছুরের প্রতিকৃতি বের করে আনল, যার ছিল আওয়াজ। তখন তারা বলল, ‘এটাই তোমাদের ইলাহ এবং মূসারও ইলাহ; কিন্তু সে এ কথা ভুলে গেছে’।
أَفَلَا يَرَوْنَ أَلَّا يَرْجِعُ إِلَيْهِمْ قَوْلًا وَلَا يَمْلِكُ لَهُمْ ضَرًّا وَلَا نَفْعًا20.89
আরবি উচ্চারণ ২০.৮৯। আফালা- ইয়ারওনা আল্লা-ইর্য়াজ্বি‘উ ইলাইহিম্ ক্বওলাঁও অলা-ইয়াম্লিকু লাহুম্ দ্বোর্য়ারাঁও অলা-নাফ্‘আ-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৮৯ তারা কি দেখে না যে, এটা তাদের কোন কথার জবাব দিতে পারে না, আর তাদের কোন ক্ষতি বা উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না?
وَلَقَدْ قَالَ لَهُمْ هَارُونُ مِنْ قَبْلُ يَا قَوْمِ إِنَّمَا فُتِنْتُمْ بِهِ وَإِنَّ رَبَّكُمُ الرَّحْمَنُ فَاتَّبِعُونِي وَأَطِيعُوا أَمْرِي20.90
আরবি উচ্চারণ ২০.৯০। অলাক্বদ্ ক্ব-লা লাহুম্ হারূনু মিন্ ক্বব্লু ইয়া-ক্বওমি ইন্নামা-ফুতিন্তুম্ বিহী অ ইন্না রব্বাকুর্মু রহ্মানু ফাত্তাবি‘ঊনী অ আত্বী‘ঊ য় আম্রী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৯০ আর হারূন পূর্বেই তাদেরকে বলেছিল, ‘হে আমার কওম, এটা দ্বারা তো কেবল তোমাদেরকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে। আর তোমাদের রব তো পরম করুণাময়। তাই তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং আমার আদেশ মেনে চল’।
قَالُوا لَنْ نَبْرَحَ عَلَيْهِ عَاكِفِينَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْنَا مُوسَى20.91
আরবি উচ্চারণ ২০.৯১। ক্ব-লূ লান্ নাব্রহা ‘আলাইহি ‘আ-কিফীনা হাত্তা-ইর্য়াজ্বি‘আ ইলাইনা- মূসা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৯১ তারা বলল, ‘আমরা এর উপরই অবিচল থাকব যতক্ষণ না মূসা আমাদের কাছে ফিরে আসে’।
قَالَ يَا هَارُونُ مَا مَنَعَكَ إِذْ رَأَيْتَهُمْ ضَلُّوا20.92
আরবি উচ্চারণ ২০.৯২। ক্ব-লা ইয়া-হা-রূনু মা-মানা‘আকা ইয্ রয়াইতাহুম্ দ্বোয়াল্লু য় ।
বাংলা অনুবাদ ২০.৯২ মূসা বলল, ‘হে হারূন! তুমি যখন দেখলে যে, তারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে তখন তোমাকে কিসে বিরত রাখল’
أَلَّا تَتَّبِعَنِي أَفَعَصَيْتَ أَمْرِي 20.93
আরবি উচ্চারণ ২০.৯৩। আল্লা-তাত্তাবি‘আন্; আফা‘আছোয়াইতা আম্রী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৯৩ যে তুমি আমার অনুসরণ করলে না? তাহলে তুমিও কি আমার আদেশ অমান্য করেছ’?
قَالَ يَا ابْنَ أُمَّ لَا تَأْخُذْ بِلِحْيَتِي وَلَا بِرَأْسِي إِنِّي خَشِيتُ أَنْ تَقُولَ فَرَّقْتَ بَيْنَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَمْ تَرْقُبْ قَوْلِي20.94
আরবি উচ্চারণ ২০.৯৪। ক্ব-লা ইয়াব্নায়ুম্মা লা-তা’খুয্ বিলিহ্ইয়াতী অলা-বিরাসী ইন্নী খাশীতু আন্ তাকুলা র্ফারাক্বতা বাইনা বানী য় ইস্রা-ঈলা অলাম্ র্তাক্বব্ ক্বওলী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৯৪ সে বলল, ‘হে আমার সহোদর! আমার দাড়িও ধরো না, মাথার চুলও ধরো না। আমি আশংকা করেছিলাম যে, তুমি বলবে, তুমি বনী ইসরাঈলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা রক্ষা করনি’।
قَالَ فَمَا خَطْبُكَ يَا سَامِرِيُّ20.95
আরবি উচ্চারণ ২০.৯৫। ক্ব-লা ফামা-খাত্ববুকা ইয়া-সা মিরীয়্যু ।
বাংলা অনুবাদ ২০.৯৫ মূসা বলল, ‘হে সামেরী! তোমার কী অবস্থা’?
قَالَ بَصُرْتُ بِمَا لَمْ يَبْصُرُوا بِهِ فَقَبَضْتُ قَبْضَةً مِنْ أَثَرِ الرَّسُولِ فَنَبَذْتُهَا وَكَذَلِكَ سَوَّلَتْ لِي نَفْسِي20.96
আরবি উচ্চারণ ২০.৯৬। ক্ব-লা বার্ছুতু বিমা-লাম্ ইয়াব্ছুরূ বিহী ফাক্ববাদ্ব্তু ক্বাদ্বোয়াতাম্ মিন্ আছার্রি রাসূলি ফানাবায্তুহা-অকাযা-লিকা সাওঅলাত্লী নাফ্সী।
বাংলা অনুবাদ ২০.৯৬ সে বলল, ‘আমি এমন কিছু দেখেছি যা ওরা দেখেনি। তারপর আমি দূতের (জিবরীলের) পায়ের চিহ্ন থেকে এক মুষ্টি মাটি নিয়েছিলাম। অতঃপর তা নিক্ষেপ করেছিলাম। আর আমার মন আমার জন্য এরূপ করাটা শোভন করেছিল’।
قَالَ فَاذْهَبْ فَإِنَّ لَكَ فِي الْحَيَاةِ أَنْ تَقُولَ لَا مِسَاسَ وَإِنَّ لَكَ مَوْعِدًا لَنْ تُخْلَفَهُ وَانْظُرْ إِلَى إِلَهِكَ الَّذِي ظَلْتَ عَلَيْهِ عَاكِفًا لَنُحَرِّقَنَّهُ ثُمَّ لَنَنْسِفَنَّهُ فِي الْيَمِّ نَسْفًا 20.97
আরবি উচ্চারণ ২০.৯৭। ক্ব-লা ফায্হাব্ ফাইন্না লাকা ফিল্ হাইয়াতি আন্ তাকুলা লা-মিসা-সা অইন্না লাকা মাও‘ঈদাল্লান্ তুখ্লাফাহূ অর্ন্জু ইলা য় হিকাল্লাযী জোয়াল্তা ‘আলাইহি ‘আ-কিফা-; লানুর্হারিক্বন্নাহূ ছুম্মা-; লানান্সিফান্নাহূ ফিল্ ইয়াম্মি নাস্ফা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৯৭ মূসা বলল, ‘যাও, তোমার শাস্তি হল, জীবদ্দশায় তুমি বলতে থাকবে, ‘আমি অস্পৃশ্য’। আর তোমার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় রইল যার কখনো ব্যতিক্রম হবে না। আর তুমি তোমার ইলাহের প্রতি চেয়ে দেখ, যার পূজায় তুমি রত ছিলে, আমরা তা অবশ্যই জ্বালিয়ে দেব। তারপর বিক্ষিপ্ত করে তা সাগরে নিক্ষেপ করবই’।
إِنَّمَا إِلَهُكُمُ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ وَسِعَ كُلَّ شَيْءٍ عِلْمًا20.98
আরবি উচ্চারণ ২০.৯৮। ইন্নামা য় ইলাহুকুমুল্লা-হুল্লাযী লা য় ইলা- হা ইল্লা-হু; অসি‘আ কুল্লা শাইয়িন্ ‘ইল্মা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.৯৮ ‘তোমাদের ইলাহ তো কেবল আল্লাহই। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই। সকল বিষয়েই তার জ্ঞান পরিব্যাপ্ত’।
كَذَلِكَ نَقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ أَنْبَاءِ مَا قَدْ سَبَقَ وَقَدْ آتَيْنَاكَ مِنْ لَدُنَّا ذِكْرًا20.99
আরবি উচ্চারণ ২০.৯৯। কাযা-লিকা নাক্বছ্ছু ‘আলাইকা মিন্ আম্বা-য়ি মা-ক্বদ্ সাবাক্ব অক্বদ্ আ-তাইনা- কামিল্লাদুন্না-যিক্র- ।
বাংলা অনুবাদ ২০.৯৯ পূর্বে যা ঘটে গেছে তার কিছু সংবাদ এভাবেই আমি তোমার কাছে বর্ণনা করি। আর আমি তোমাকে আমার পক্ষ থেকে উপদেশ দান করেছি।
مَنْ أَعْرَضَ عَنْهُ فَإِنَّهُ يَحْمِلُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وِزْرًا20.100
আরবি উচ্চারণ ২০.১০০। মান্ আ’রদ্বোয়া ‘আন্হু ফাইন্নাহূ ইয়াহ্মিলূ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি ওয়িযর-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১০০তা থেকে যে বিমুখ হবে, অবশ্যই সে কিয়ামতের দিন পাপের বোঝা বহন করবে।
خَالِدِينَ فِيهِ وَسَاءَ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حِمْلًا20.101
আরবি উচ্চারণ ২০.১০১। খ-লিদীনা ফীহ্; অ সা-য়া লাহুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি হিম্লা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১০১ সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং কিয়ামতের দিন এটা তাদের জন্য বোঝা হিসেবে কতই না মন্দ হবে!
يَوْمَ يُنْفَخُ فِي الصُّورِ وَنَحْشُرُ الْمُجْرِمِينَ يَوْمَئِذٍ زُرْقًا20.102
আরবি উচ্চারণ ২০.১০২। ইয়াওমা ইয়ুন্ফাখু ফিছ্ ছুরি অনাহ্শুরুল্ মুজ্বরিমীনা ইয়াওমায়িযিন্ র্যুক্বা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১০২ যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, আর সেদিন আমি অপরাধীদেরকে দৃষ্টিহীন অবস্থায় সমবেত করব।
يَتَخَافَتُونَ بَيْنَهُمْ إِنْ لَبِثْتُمْ إِلَّا عَشْرًا20.103
আরবি উচ্চারণ ২০.১০৩। ইয়াতাখ-ফাতূনা বাইনাহুম্ ইল্লাবিছ্তুম্ ইল্লা-‘আশর-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১০৩ সেদিন তারা চুপে চুপে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করবে, ‘তোমরা মাত্র দশদিন অবস্থান করেছিলে’।
نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَقُولُونَ إِذْ يَقُولُ أَمْثَلُهُمْ طَرِيقَةً إِنْ لَبِثْتُمْ إِلَّا يَوْمًا 20.104
আরবি উচ্চারণ ২০.১০৪। নাহ্নু ‘আলামু বিমা- ইয়াকুলূনা ইয্ ইয়াকুলু আম্ছালুহুম্ ত্বোয়ারীক্বতান্ ইল্লাবিছ্তুম্ ইল্লা- ইয়াওমা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১০৪ আমি ভালভাবেই জানি তারা কী বলবে, তাদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত সৎপথে ছিল যে লোকটি সে বলবে, ‘তোমরা মাত্র একদিন অবস্থান করেছিলে’!
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْجِبَالِ فَقُلْ يَنْسِفُهَا رَبِّي نَسْفًا20.105
আরবি উচ্চারণ ২০.১০৫। অইয়াস্য়ালূ নাকা ‘আনিল্ জ্বিবা-লি ফাক্বল্ ইয়ান্সিফুহা- রব্বী নাস্ফা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১০৫ আর তারা তোমাকে পাহাড় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘আমার রব এগুলোকে সমূলে উৎপাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন’।
فَيَذَرُهَا قَاعًا صَفْصَفًا20.106
আরবি উচ্চারণ ২০.১০৬। ফাইয়াযারুহা-ক্ব-‘আন্ ছোয়াফ্ছোয়াফা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১০৬ ‘তারপর তিনি তাকে মসৃণ সমতলভূমি করে দিবেন’।
لَا تَرَى فِيهَا عِوَجًا وَلَا أَمْتًا20.107
আরবি উচ্চারণ ২০.১০৭। লা- তারা-ফীহা ‘ই অজ্বাঁও অলা য় আম্তা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১০৭ ‘তাতে তুমি কোন বক্রতা ও উচ্চতা দেখবে না’।
يَوْمَئِذٍ يَتَّبِعُونَ الدَّاعِيَ لَا عِوَجَ لَهُ وَخَشَعَتِ الْأَصْوَاتُ لِلرَّحْمَنِ فَلَا تَسْمَعُ إِلَّا هَمْسًا20.108
আরবি উচ্চারণ ২০.১০৮। ইয়াওমায়িযিঁই ইয়াত্তাবি‘ঊনাদ্দা‘ইয়া লা-‘ইওয়াজ্বা লাহূ, অখশা‘আতিল্ আছ্ওয়া-তু র্লিরহ্মা- নি ফালা- তাস্মা‘উ ইল্লা- হাম্সা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১০৮ সেদিন তারা আহ্বানকারীর (ফেরেশতার) অনুসরণ করবে। এর কোন এদিক সেদিক হবে না এবং পরম করুণাময়ের সামনে সকল আওয়াজ নিচু হয়ে যাবে। তাই মৃদু আওয়াজ ছাড়া তুমি কিছুই শুনতে পাবে না।
يَوْمَئِذٍ لَا تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَرَضِيَ لَهُ قَوْلًا20.109
আরবি উচ্চারণ ২০.১০৯। ইয়াওমায়িযিল্লা- তান্ফা‘উশ্ শাফা-‘আতু ইল্লা-মান্ আযিনা লার্হু রহ্মা-নু অ রদ্বিয়া লাহূ ক্বওলা।
বাংলা অনুবাদ ২০.১০৯ সেদিন পরম করুণাময় যাকে অনুমতি দিবেন আর যার কথায় তিনি সন্তুষ্ট হবেন তার সুপারিশ ছাড়া কারো সুপারিশ কোন কাজে আসবে না।
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِهِ عِلْمًا20.110
আরবি উচ্চারণ ২০.১১০। ইয়া’লামু মা-বাইনা আইদীহিম্ অমা-খল্ফাহুম্ অলা-ইয়ুহীত্ব ূনা বিহী ‘ইল্মা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১১০ তিনি তাদের আগের ও পরের সব কিছুই জানেন, কিন্তু তারা জ্ঞান দিয়ে তাঁকে বেষ্টন করতে পারবে না।
وَعَنَتِ الْوُجُوهُ لِلْحَيِّ الْقَيُّومِ وَقَدْ خَابَ مَنْ حَمَلَ ظُلْمًا 20.111
আরবি উচ্চারণ ২০.১১১। অ ‘আনাতিল্ উজুহু লিল্হাইয়্যিল্ ক্বাইয়্যূম্; অক্বদ্ খ-বা মান্ হামালা জুল্মা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১১১ আর চিরঞ্জীব, চিরপ্রতিষ্ঠিত সত্তার সামনে সকলেই অবনত হবে। আর সে অবশ্যই ব্যর্থ হবে যে যুল্ম বহন করবে।
وَمَنْ يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا يَخَافُ ظُلْمًا وَلَا هَضْمًا20.112
আরবি উচ্চারণ ২০.১১২। অমাইঁ ইয়া’মাল্ মিনাছ্ ছোয়া-লিহা-তি অহুঅ মু’মিনুন্ ফালা-ইয়াখ-ফু জুল্মাঁও অলা- হাদ্ব্মা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১১২ এবং যে মুমিন অবস্থায় ভাল কাজ করবে সে কোন যুল্ম বা ক্ষতির আশংকা করবে না।
وَكَذَلِكَ أَنْزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا وَصَرَّفْنَا فِيهِ مِنَ الْوَعِيدِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ أَوْ يُحْدِثُ لَهُمْ ذِكْرًا20.113
আরবি উচ্চারণ ২০.১১৩। অকাযা-লিকা আন্যাল্না-হু ক্বর্আ-নান্ ‘আরবিয়্যাঁও অছোর্য়া রফ্না-ফীহি মিনাল্ অ‘ঈদি লাআল্লাহুম্ ইয়াত্তাকুনা আও ইয়ুহ্দিছু লাহুম্ যিক্র-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১১৩ আর এভাবেই আমি আরবী ভাষায় কুরআন নাযিল করেছি এবং তাতে বিভিন্ন সতর্কবাণী বর্ণনা করেছি, যাতে তারা মুত্তাকী হতে পারে অথবা তা হয় তাদের জন্য উপদেশ।
فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْآنِ مِنْ قَبْلِ أَنْ يُقْضَى إِلَيْكَ وَحْيُهُ وَقُلْ رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا20.114
আরবি উচ্চারণ ২০.১১৪। ফাতা ‘আলাল্লা-হুল্ মালিকুল্ হাক্বক্বঅলা-তা’জ্বাল্ বিল্ক্বর্আ-নি মিন্ ক্বব্লি আইঁ ইয়ুক্বদ্বোয়া য় ইলাইকা অহ্ইয়ুহূ অক্বর্ রব্বি যিদ্নী ‘ইল্মা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১১৪ সুতরাং আল্লাহ মহান যিনি সত্যিকার অধিপতি; তোমার প্রতি ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তুমি কুরআন পাঠে তাড়াহুড়া করো না এবং তুমি বল, ‘হে আমার রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।’
وَلَقَدْ عَهِدْنَا إِلَى آدَمَ مِنْ قَبْلُ فَنَسِيَ وَلَمْ نَجِدْ لَهُ عَزْمًا20.115
আরবি উচ্চারণ ২০.১১৫। অ লাক্বদ্ ‘আহিদ্না য় ইলা য় আ-দামা মিন্ ক্বব্লু ফানাসিয়া অলাম্ নাজ্বিদ্ লাহূ ‘আয্মা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১১৫ আর আমি ইতিপূর্বে আদমের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলাম; কিন্তু সে তা ভুলে গিয়েছিল এবং আমি তার মধ্যে সংকল্পে দৃঢ়তা পাইনি।
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى 20.116
আরবি উচ্চারণ ২০.১১৬। অ ইয্ক্বল্না-লিল্ মালা-য়িকাতিস্ জ্বদূ লি আ-দামা ফাসাজ্বাদূ য় ইল্লা য় ইব্লীস্; আবা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১১৬ আর স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, ‘তোমরা আদমকে সিজদা কর,’ তখন ইবলীস ছাড়া সকলেই সিজদা করল; সে অমান্য করল।
فَقُلْنَا يَا آدَمُ إِنَّ هَذَا عَدُوٌّ لَكَ وَلِزَوْجِكَ فَلَا يُخْرِجَنَّكُمَا مِنَ الْجَنَّةِ فَتَشْقَى20.117
আরবি উচ্চারণ ২০.১১৭। ফাক্বল্না-ইয়া য় আ-দামু ইন্না হা-যা- ‘আদুওয়ুল্লাকা অলিযাওজ্বিকা ফালা-ইয়ুখ্রিজ্বান্নাকুমা-মিনাল্ জ্বান্নাতি ফাতাশ্ক্ব-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১১৭ অতঃপর আমি বললাম, ‘হে আদম, নিশ্চয় এ তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্র“। সুতরাং সে যেন তোমাদের উভয়কে জান্নাত থেকে কিছুতেই বের করে না দেয়, তাহলে তোমরা দুর্ভোগ পোহাবে’।
إِنَّ لَكَ أَلَّا تَجُوعَ فِيهَا وَلَا تَعْرَى20.118
আরবি উচ্চারণ ২০.১১৮। ইন্না লাকা আল্লা-তাজু ‘আ ফীহা-অলা-তা’রা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১১৮ ‘নিশ্চয় তোমার জন্য এ ব্যবস্থা যে, তুমি সেখানে ক্ষুধার্তও হবেনা এবং বস্ত্রহীনও হবেনা’।
وَأَنَّكَ لَا تَظْمَأُ فِيهَا وَلَا تَضْحَى20.119
আরবি উচ্চারণ ২০.১১৯। অ আন্নাকা লা-তাজ্মায়ূ ফীহা- অলা-তাদ্ব্হা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১১৯ ‘আর সেখানে তুমি পিপাসার্তও হবে না এবং রৌদ্রদগ্ধও হবে না’।
فَوَسْوَسَ إِلَيْهِ الشَّيْطَانُ قَالَ يَا آدَمُ هَلْ أَدُلُّكَ عَلَى شَجَرَةِ الْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَا يَبْلَى20.120
আরবি উচ্চারণ ২০.১২০। ফা অস্অসা ইলাইহিশ্ শাইতোয়া-নু ক্ব-লা ইয়া য় আ-দামু হাল্ আদুল্লুকা ‘আলা-শাজ্বারতিল্ খুল্দি অমুল্কিল্ লা-ইয়াব্লা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১২০ অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রণা দিল, বলল, ‘হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্ত জীবনপ্রদ গাছ এবং অক্ষয় রাজত্ব সম্পর্কে?’
فَأَكَلَا مِنْهَا فَبَدَتْ لَهُمَا سَوْآتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ وَعَصَى آدَمُ رَبَّهُ فَغَوَى20.121
আরবি উচ্চারণ ২০.১২১। ফা আকালা-মিন্হা-ফাবাদাত্ লাহুমা-সাত-তুহুমা-অত্বোয়াফিক্ব-ইয়াখ্ছিফা-নি ‘আলাইহিমা-মিওঁ অরক্বিল্ জ্বান্না-তি অ‘আছোয়া য় আ-দামু রব্বাহূ ফাগওয়া-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১২১ অতঃপর তারা উভয়েই সে গাছ থেকে খেল। তখন তাদের উভয়ের সতর তাদের সামনে প্রকাশ হয়ে পড়ল এবং তারা জান্নাতের গাছের পাতা দিয়ে নিজদেরকে আবৃত করতে লাগল এবং আদম তার রবের হুকুম অমান্য করল; ফলে সে বিভ্রান্ত হল।
ثُمَّ اجْتَبَاهُ رَبُّهُ فَتَابَ عَلَيْهِ وَهَدَى 20.122
আরবি উচ্চারণ ২০.১২২। ছুম্মাজ্বতাবা-হু রব্বুহূ ফাতা-বা ‘আলাইহি অহাদা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১২২ এরপর তার রব তাকে মনোনীত করলেন, অতঃপর তার তাওবা কবূল করলেন এবং তাকে পথনির্দেশ করলেন।
قَالَ اهْبِطَا مِنْهَا جَمِيعًا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِنِّي هُدًى فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلَا يَضِلُّ وَلَا يَشْقَى20.123
আরবি উচ্চারণ ২০.১২৩। ক্ব-লাহ্ বিত্বোয়া-মিন্হা-জামী‘আম্ বা’দ্বকুম্ লিবা’দ্বিন্ ‘আদুওয়্যুন্ ফাইম্মা-ইয়াতিয়ান্নাকুম্ মিন্নী হুদান্ ফামানি ত্তাবা‘আ হুদা-ইয়া ফালা-ইয়াদিল্ল অলা-ইয়াশ্ক্ব-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১২৩ তিনি বললেন, ‘তোমরা উভয়েই জান্নাত হতে এক সাথে নেমে যাও। তোমরা একে অপরের শত্র“। অতঃপর যখন তোমাদের কাছে আমার পক্ষ থেকে হিদায়াত আসবে, তখন যে আমার হিদায়াতের অনুসরণ করবে সে বিপথগামী হবে না এবং দুর্ভাগাও হবে না’।
وَمَنْ أَعْرَضَ عَنْ ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنْكًا وَنَحْشُرُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمَى20.124
আরবি উচ্চারণ ২০.১২৪। অমান্ ‘আরদ্বোয়া আন্ যিক্রী ফাইন্না লাহূ মা‘ঈশাতান্ দ্বোয়ান্কঁও অনাহ্শুরুহূ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি আমা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১২৪ ‘আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জন্য হবে নিশ্চয় এক সংকুচিত জীবন এবং আমি তাকে কিয়ামত দিবসে উঠাবো অন্ধ অবস্থায়।
قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِي أَعْمَى وَقَدْ كُنْتُ بَصِيرًا20.125
আরবি উচ্চারণ ২০.১২৫। ক্ব-লা রব্বি লিমা হার্শাতানী য় আ’মা- অক্বদ্ কুন্তু বাছীরা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১২৫ সে বলবে, ‘হে আমার রব, কেন আপনি আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালেন? অথচ আমি তো ছিলাম দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন’?
قَالَ كَذَلِكَ أَتَتْكَ آيَاتُنَا فَنَسِيتَهَا وَكَذَلِكَ الْيَوْمَ تُنْسَى20.126
আরবি উচ্চারণ ২০.১২৬। ক্ব-লা কাযা-লিকা আতাত্কা আ-ইয়া-তুনা ফানাসী তাহা- অ কাযা-লিকাল্ ইয়াওমা তুন্সা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১২৬ তিনি বলবেন, ‘এমনিভাবেই তোমার নিকট আমার নিদর্শনাবলী এসেছিল, কিন্তু তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে এবং সেভাবেই আজ তোমাকে ভুলে যাওয়া হল’।
وَكَذَلِكَ نَجْزِي مَنْ أَسْرَفَ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِآيَاتِ رَبِّهِ وَلَعَذَابُ الْآخِرَةِ أَشَدُّ وَأَبْقَى 20.127
আরবি উচ্চারণ ২০.১২৭। অ কাযা-লিকা নাজ্বযী মান্ আস্রফা অলাম, ইয়ুমিম্ বিআ-ইয়া-তি রব্বিহ্; অলা‘আযা-বুল্ আ-খিরতি আশাদ্দু অআব্ক্ব-;
বাংলা অনুবাদ ২০.১২৭ আর এভাবেই আমি প্রতিফল দান করি তাকে, যে বাড়াবাড়ি করে এবং তার রবের নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে না। আর আখিরাতের আযাব তো অবশ্যই কঠোরতর ও অধিকতর স্থায়ী।
أَفَلَمْ يَهْدِ لَهُمْ كَمْ أَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِنَ الْقُرُونِ يَمْشُونَ فِي مَسَاكِنِهِمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِأُولِي النُّهَى20.128
আরবি উচ্চারণ ২০.১২৮। আফালাম্ ইয়াহ্দি লাহুম্ কাম্ আহ্লাক্না-ক্বব্লাহুম্ মিনাল্ ক্বরূনি ইয়াম্শূনা ফী মাসা-কিনিহিম্ ইন্না ফী যা-লিকা লা-আ-ইয়া-তিল্লি উলিন্ নুহা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১২৮ এটি কি তাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করল না যে, আমি তাদের পূর্বে কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যাদের বাসভূমিতে তারা বিচরণ করে? নিশ্চয় এর মধ্যে রয়েছে বিবেকসম্পন্নদের জন্য নিদর্শন।
وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِنْ رَبِّكَ لَكَانَ لِزَامًا وَأَجَلٌ مُسَمًّى20.129
আরবি উচ্চারণ ২০.১২৯। অলাও লা-কালিমাতুন্ সাবাক্বত্ র্মি রব্বিকা লাকা-না লিযা-মাঁও অ আজ্বালুম্ মুসাম্মা।
বাংলা অনুবাদ ২০.১২৯ আর যদি তোমার রবের পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত ও একটি কাল নির্ধারিত হয়ে না থাকত, তবে আশু শাস্তি অবশ্যম্ভাবী হত।
فَاصْبِرْ عَلَى مَا يَقُولُونَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا وَمِنْ آنَاءِ اللَّيْلِ فَسَبِّحْ وَأَطْرَافَ النَّهَارِ لَعَلَّكَ تَرْضَى20.130
আরবি উচ্চারণ ২০.১৩০। ফার্ছ্বি ‘আলা-মা-ইয়াকুলূনা অসাব্বিহ্ বিহাম্দি রব্বিকা ক্বব্লা ত্বলূইশ্ শাম্সি অক্বব্লা গুরূবিহা-অমিন্ আ-না-য়ি ল্লাইলি ফাসাব্বিহ্ অআত্বর-ফান্ নাহা-রি লা‘আল্লাকা র্তাদ্বোয়া-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৩০ সুতরাং এরা যা বলে তার উপর ধৈর্য ধারণ কর এবং তাসবীহ পাঠ কর তোমার রবের প্রশংসা বর্ণনার মাধ্যমে, সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং তাসবীহ পাঠ কর রাতের কিছু অংশে ও দিনের প্রান্তসমূহে, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।
وَلَا تَمُدَّنَّ عَيْنَيْكَ إِلَى مَا مَتَّعْنَا بِهِ أَزْوَاجًا مِنْهُمْ زَهْرَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا لِنَفْتِنَهُمْ فِيهِ وَرِزْقُ رَبِّكَ خَيْرٌ وَأَبْقَى 20.131
আরবি উচ্চারণ ২০.১৩১। অলা-তামুদ্দান্না ‘আইনাইকা ইলা-মা-মাত্তা’না-বিহী য় আয্ওয়া-জ্বাম্ মিন্হুম্ যাহ্রতাল্ হা-ইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া- লিনাফ্তিনাহুম্ ফীহ্ ; অ রিয্ক্ব রব্বিকা খইরুঁও অআব্ক্ব-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৩১ আর তুমি কখনো প্রসারিত করো না তোমার দু’চোখ সে সবের প্রতি, যা আমি তাদের বিভিন্ন শ্রেণীকে দুনিয়ার জীবনের জাঁক-জমকস্বরূপ উপভোগের উপকরণ হিসেবে দিয়েছি। যাতে আমি সে বিষয়ে তাদেরকে পরীক্ষা করে নিতে পারি। আর তোমার রবের প্রদত্ত রিয্ক সর্বোৎকৃষ্ট ও অধিকতর স্থায়ী।
وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَى20.132
আরবি উচ্চারণ ২০.১৩২। অর্মু আহ্লাকা বিছ ছ্লা-তি অছ্ত্বোয়ার্বি ‘আলাইহা-; লা-নাস্য়ালুকা রিয্ক্ব-; নাহ্নু র্নাযুক্বক্ব; অল্ ‘আ-ক্বিবাতু লিত্তাক্ব্ওয়া-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৩২ আর তোমার পরিবার-পরিজনকে সালাত আদায়ের আদেশ দাও এবং নিজেও তার উপর অবিচল থাক। আমি তোমার কাছে কোন রিয্ক চাই না। আমিই তোমাকে রিয্ক দেই আর শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য ।
وَقَالُوا لَوْلَا يَأْتِينَا بِآيَةٍ مِنْ رَبِّهِ أَوَلَمْ تَأْتِهِمْ بَيِّنَةُ مَا فِي الصُّحُفِ الْأُولَى20.133
আরবি উচ্চারণ ২০.১৩৩। অক্ব-লূ লাওলা ইয়াতীনা-বিআ-ইয়াতিম্ র্মি রব্বিহ্; আওয়ালাম্ তাতিহিম্ বাইয়্যিনাতু মা-ফিছ্ ছুহুফিল্ ঊলা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৩৩ আর তারা বলে, ‘সে তার রবের কাছ থেকে আমাদের নিকট কোন নিদর্শন নিয়ে আসে না কেন’? পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে যে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে তা কি তাদের কাছে আসেনি?
وَلَوْ أَنَّا أَهْلَكْنَاهُمْ بِعَذَابٍ مِنْ قَبْلِهِ لَقَالُوا رَبَّنَا لَوْلَا أَرْسَلْتَ إِلَيْنَا رَسُولًا فَنَتَّبِعَ آيَاتِكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ نَذِلَّ وَنَخْزَى20.134
আরবি উচ্চারণ ২০.১৩৪। অলাও আন্না য় আহ্লাক্না-হুম বি ‘আযা-বিম্ মিন্ ক্বব্লিহী লাক্ব-লূ রব্বানা-লাওলা য় র্আসাল্তা ইলাইনা-রসূলান্ ফানাত্তাবি‘আ আ-ইয়া-তিকা মিন্ ক্বব্লি আন্ নাযিল্লা অনাখ্যা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৩৪ আর যদি আমি তাদেরকে ইতঃপূর্বে কোন আযাব দ্বারা ধ্বংস করতাম তবে অবশ্যই, তারা বলত, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের কাছে কোন রাসূল পাঠালেন না কেন? তাহলে তো আমরা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হওয়ার পূর্বে আপনার নিদর্শনাবলী অনুসরণ করতাম’।
قُلْ كُلٌّ مُتَرَبِّصٌ فَتَرَبَّصُوا فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ أَصْحَابُ الصِّرَاطِ السَّوِيِّ وَمَنِ اهْتَدَى 20.135
আরবি উচ্চারণ ২০.১৩৫। ক্বল্ কুল্লম্ মুতারব্বিছুন্ ফাতারব্বাছূ ফাসাতা’লামূনা মান্ আছ্হা-বুছ্ ছির-ত্বিস্ সাওয়্যি অমানিহ্ তাদা-।
বাংলা অনুবাদ ২০.১৩৫ বল, ‘প্রত্যেকেই প্রতীক্ষা করছে, অতএব তোমরাও প্রতীক্ষায় থাক। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে কারা সঠিক পথের উপর রয়েছে এবং কারা হিদায়াতপ্রাপ্ত’।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত