সূরা মায়েদা সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল মায়েদা আলমল ও ফজিলত, সূরা মায়েদা কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা মায়েদা নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ০৫ সূরা আল – মায়েদা

আজকের বিষয়: সূরা মায়েদা সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল মায়েদা আলমল ও ফজিলত, সূরা মায়েদা কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত

সুরা নং-০০৫ : আল-মায়িদাহ

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।

5:1 يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ أُحِلَّتْ لَكُمْ بَهِيمَةُ الْأَنْعَامِ إِلَّا مَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ غَيْرَ مُحِلِّي الصَّيْدِ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ إِنَّ اللَّهَ يَحْكُمُ مَا يُرِيدُ

আরবি উচ্চারণ ১। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ য় আওফূ বিল্ ‘উকুদ্; উহিল্লাত্ লাকুম্ বাহীমাতুল্ আন‘আ-মি ইল্লা-মা-ইয়ুত্লা-‘আলাইকুম্ গাইরা মুহিল্লিছ্ ছোয়াইদি অ আন্তুম্ হুরুম্; ইন্নাল্লা-হা ইয়াহ্কুমু মা-ইয়ুরীদ্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১ হে মুমিনগণ, তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর। তোমাদের জন্য গৃহপালিত চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে, তোমাদের নিকট যা বর্ণনা করা হচ্ছে তা ছাড়া। তবে ইহরাম অবস্থায় শিকারকে হালাল করবে না। নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা বিধান দেন।

5:2 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُحِلُّوا شَعَائِرَ اللَّهِ وَلَا الشَّهْرَ الْحَرَامَ وَلَا الْهَدْيَ وَلَا الْقَلَائِدَ وَلَا آمِّينَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنْ رَبِّهِمْ وَرِضْوَانًا وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ أَنْ صَدُّوكُمْ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ أَنْ تَعْتَدُوا وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

আরবি উচ্চারণ ২। ইয়া য় আইয়্যুহাল লাযীনা আ-মানূ লা-তুহিল্লু শা‘আ – য়িরাল্লা-হি অলাশ্ শাহ্রাল্ হারা-মা অলাল্ হাদ্ইয়া অলাল্ ক্বালা-য়িদা অলা য় আ – ম্মীনাল্ বাইতাল্ হার-মা ইয়াব্তাগূনা ফাদ্ব লাম্ র্মি রব্বিহিম্ অরিদ্ব্ওয়ানা-; অইযা-হালাল্তুম্ ফাছ্ত্বোয়া-দূ; অলা-ইয়াজুরিমান্নাকুম্ শানায়া-নু ক্বাওমিন্ আন্ ছোয়াদ্দূকুম্ ‘আনিল্ মাস্জ্বিদিল্ হারা-মি আন্ তা’তাদূ। অতা‘আ-অনূ ‘আলাল্ র্বিরি অত্তাক্বওয়া- অলা- তা‘আ-অনূ ‘আলাল্ ইছ্মি অল্ উদ্ওয়া-নি অত্তাকুল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা শাদী দুল্ ‘ইক্বা-ব্।

বাংলা অনুবাদ ৫.২ হে মুমিনগণ, তোমরা অসম্মান করো না আল্লাহর নিদর্শনসমূহের, হারাম মাসের, হারামে প্রেরিত কুরবানীর পশুর, গলায় চিহ্ন দেয়া পশুর এবং আপন রবের অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অনুসন্ধানে পবিত্র গৃহেরঅভিমুখীদের। যখন তোমরা হালাল হও, তখন শিকার কর। কোন কওমের শত্রুতা যে, তারা তোমাদেরকে মসজিদে হারাম থেকে বাধা প্রদান করেছে, তোমাদেরকে যেন কখনো প্ররোচিত না করে যে, তোমরা সীমালঙ্ঘন করবে। সৎকর্ম ও তাকওয়ায় তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা কর। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে কঠোর।

5:3 حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ وَالدَّمُ وَلَحْمُ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ وَالْمُنْخَنِقَةُ وَالْمَوْقُوذَةُ وَالْمُتَرَدِّيَةُ وَالنَّطِيحَةُ وَمَا أَكَلَ السَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ وَمَا ذُبِحَ عَلَى النُّصُبِ وَأَنْ تَسْتَقْسِمُوا بِالْأَزْلَامِ ذَلِكُمْ فِسْقٌ الْيَوْمَ يَئِسَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ دِينِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِ الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا فَمَنِ اضْطُرَّ فِي مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِإِثْمٍ فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৩। র্হুরিমাত্ ‘আলাইকুমুল্ মাইতাতু অদ্দামু অলাহ্মুল্ খিন্যীরি অমা য় উহিল্লা লিগাইরিল্লা-হি বিহী অল্ মুন্খানিক্বাতু অল্ মাওক্বুযাতু অল্ মুতারদ্দিয়াতু অন্নাত্বীহাতু অমা য় আকালাস্ সাবু‘উ ইল্লা-মা-যাক্কাইতুম্; অমা-যুবিহা ‘আলান্ নুছুবি অআন্ তাস্তাক্ব্সিমূ বিল্ আয্লা-ম্; যা-লিকুম্ ফিস্ক্ব্; আল্ ইয়াওমা ইয়াইসাল্ লাযীনা কাফারূ মিন্ দীনিকুম্ ফালা-তাখ্শাওহুম্ অখ্শাওন্; আল্ইয়াওমা আক্মাল্তু লাকুম্ দীনাকুম্ অআত্মাম্তু ‘আলাইকুম্ নি’মাতী অরাদ্বীতু লাকুমুল্ ইস্লা-মা দীনা-; ফামানিদ্ব্ ত্বর্ ুরা ফী মাখ্ মাছোয়াতিন্ গাইরা মুতাজ্বা-নিফিল্ লিইছ্মিন্ ফাইন্নাল্লা-হা গাফূর্রু রাহীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৩ তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত প্রাণী, রক্ত ও শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ভিন ড়ব কারো নামে যবেহ করা হয়েছে; গলা চিপে মারা জন্তু,‘ প্রহারে মরা জন্তু,‘ উঁচু থেকে পড়ে মরা জন্তু ‘ অন্য প্রাণীর শিঙের আঘাতে মরা জন্তু ‘ এবং যে জন্তুকে হিংস্র প্রাণী খেয়েছে- তবে যা তোমরা যবেহ করে নিয়েছ তা ছাড়া, আর যা মূতির্ পূঁজার বেদিতে বলি দেয়া হয়েছে এবং জুয়ার তীর দ্বারা বণ্টন করা হয়, এগুলো গুনাহ। যারা কুফরী করেছে, আজ তারা তোমাদের দীনের ব্যাপাওে হতাশ হয়ে পড়েছে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পণূর্ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিআমত সম্পণূর্ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। তবে যে তীব ্র ক্ষধু ায় বাধ্য হবে, কোন পাপের প্রতি ঝুঁকে নয় (তাকে ক্ষমা করা হবে), নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়াল।

5:4 يَسْأَلُونَكَ مَاذَا أُحِلَّ لَهُمْ قُلْ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ وَمَا عَلَّمْتُمْ مِنَ الْجَوَارِحِ مُكَلِّبِينَ تُعَلِّمُونَهُنَّ مِمَّا عَلَّمَكُمُ اللَّهُ فَكُلُوا مِمَّا أَمْسَكْنَ عَلَيْكُمْ وَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ

আরবি উচ্চারণ ৪। ইয়াস্আলূনাকা মা- যা য় উহিল্লা লাহুম্; ক্বুল্ উহিল্লা লাকুমুত্ত্বোয়াইয়্যিবা-তু অমা- ‘আল্লাম্তুম্ মিনাল্ জ্বাওয়া-রিহি মুকাল্লিবীনা তু‘আল্লিমূনাহুন্না মিম্মা- ‘আল্লামাকুমুল্লা-হু ফাকুলূ মিম্মা য় আম্সাক্না ‘আলাইকুম্ অয্কুরুস্ মাল্লা-হি ‘আলাইহি অত্তাক্বুল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা সারী‘উল্ হিসা-ব্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৪ তারা তোমাকে প্রশস্ত করে, তাদের জন্য কী বৈধ করা হয়েছে? বল, ‘তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে সব ভাল বস্তু এবং শিকারী পশু-পাখী, যাদেরকে তোমরা শিকার প্রশিক্ষণ দিয়েছ; সেগুলোকে তোমরা শেখাও, যা আল্লাহ তোমাদেরকে শিখিয়েছেন। সুতরাং তোমরা তা থেকে খাও, যা তোমাদের জন্য ধরে এনেছে এবং তাতে তোমরা আল্লাহর নাম স্মরণ কর আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত।

5:5 الْيَوْمَ أُحِلَّ لَكُمُ الطَّيِّبَاتُ وَطَعَامُ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حِلٌّ لَكُمْ وَطَعَامُكُمْ حِلٌّ لَهُمْ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِي أَخْدَانٍ وَمَنْ يَكْفُرْ بِالْإِيمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ

আরবি উচ্চারণ ৫। আল্ ইয়াওমা উহিল্লা লাকুমুত্ব ত্বোয়াইয়্যিবা-ত্; অ ত্বোয়া‘আ-মুল্লাযীনা ঊতুল্ কিতা-বা হিল্লুল্লাকুম্ অত্বোয়া‘আ-মুকুম্ হিল্লুল্লাহুম্ অল্ মুহ্ছোয়ানা-তু মিনাল্ মুমিনা-তি অল্ মুহ্ছোয়ানা-তু মিনাল্লাযীনা ঊতুল্ কিতা-বা মিন্ ক্বাব্লিকুম্ ইযা য় আ-তাইতুমূহুন্না উজ্বুরাহুন্না মুহ্ছিনীনা গাইরা মুসা-ফিহীনা অলা-মুত্তাখিযী য় আখ্দা-ন্; অমাইঁ ইয়ার্ক্ফু বিল্ঈমা-নি ফাক্বাদ্ হাবিত্বোয়া ‘আমালুহূ অহুঅ ফিল্ আ-খিরাতি মিনাল্ খা-সিরীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৫ আজ তোমাদের জন্য বৈধ করা হল সব ভাল বস্তু এবং যাদেরকে কিতাব প্রদান করা হয়েছে, তাদের খাবার তোমাদের জন্য বৈধ এবং তোমাদের খাবার তাদেও জন্য বৈধ। আর মুমিন সচ্চরিত্রা নারী এবং তোমাদেও পূবের্ যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের সচ্চরিত্রা নারীদের সাথে তোমাদের বিবাহ বৈধ। যখন তোমরা তাদেরকে মোহর দেবে, বিবাহকারী হিসেবে, প্রকাশ্য ব্যভিচারকারী বা গোপনপতড়বী গ্রহণকারী হিসেবে নয়। আর যে ঈমানের সাথে কুফরী করবে, অবশ্যই তার আমল বরবাদ হবে এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদেও অন্তর্ভুক্ত। 5:6

 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ وَإِنْ كُنْتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوا وَإِنْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ مِنْهُ مَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ حَرَجٍ وَلَكِنْ يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُ

আরবি উচ্চারণ ৬। ইয়া য় আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ য় ইযা- ক্ব ম্তুম্ ইলাছ্ ছলা-তি ফাগ্সিলূ উজ্ব হাকুম্ অআইদিয়াকুম্ ইলাল্ মারা-ফিক্বি অম্সাহূ বিরুঊসিকুম্ অর্আজ্ব লাকুম্ ইলাল্ কা’বাইন্; অইন্ কুন্তুম জ্বুনুবান্ ফাত্বোয়াহ্হারূ; অইন্ কুন্তুম্ র্মাদ্বোয়া য় আও ‘আলা-সাফারিন্ আও জ্বা – য়া আহাদুম্ মিন্কুম্ মিনাল্ গা – য়িত্বি আও লা-মাস্তুমু ন্নিসা – য়া ফালাম্ তাজ্বিদূ মা – য়ান্ ফাতাইয়াম্মামূ ছোয়া‘ঈ দান্ ত্বোয়াইয়্যিবান্ ফাম্সাহূ বিউজ্বুহিকুম্ অআইদীকুম্ মিন্হু মা-ইয়ুরীদুল্লা-হু লিইয়াজ্বু‘আলা ‘আলাইকুম্ মিন্ হারাজ্বিওঁ অলা-কিইঁ ইয়ুরীদু লিইয়ুত্বোয়াহ্হিরাকুম্ অলিইয়ুতিম্মা নি’মাতাহূ ‘আলাইকুম্ লা‘আল্লাকুম্ তাশ্কুরূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৬ হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দণ্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মখু ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মখু ও হাত তা দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিআমত তোমাদের উপর পণূর্ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।

 5:7 ونَوَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَمِيثَاقَهُ الَّذِي وَاثَقَكُمْ بِهِ إِذْ قُلْتُمْ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ

আরবি উচ্চারণ ৭। অয্কুরূ নি’মাতাল্লা-হি ‘আলাইকুম্ অমীছা-ক্বাহুল্লাযী অ ছাক্বাকুম্ বিহী য় ইয্ ক্বুল্তুম্ সামি’না-অআত্বোয়া’না- অত্তাক্বুল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা ‘আলীমুম্ বিযা-তিছ্ ছুদূর।

বাংলা অনুবাদ ৫.৭ আর স্মরণ কর, তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত এবং তাঁর অঙ্গীকার, যা তিনি তোমাদের থেকে নিয়েছেন। যখন তোমরা বললে, ‘আমরা শুনেছি এবং আনুগত্য করেছি’ আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অন্তরের বিষয় সম্পকের্ বিশেষ অবগত।

 5:8 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ لِلَّهِ شُهَدَاءَ بِالْقِسْطِ وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلَى أَلَّا تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ

আরবি উচ্চারণ ৮। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ কূনূ ক্বাওয়্যা-মীনা লিল্লা-হি শুহাদা – য়া বিল্ক্বিস্ত্বি অলা-ইয়াজ্বুরিমান্নাকুম্ শানায়া-নু ক্বাওমিন্ ‘আলা য় আল্লা-তা’দিলূ; ই’দিলূ হুঅ আক্ব রাবু লিত্তাক্বওয়া-অত্তাক্বুল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা খাবীরুম্ বিমা- তা’মালূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৮ হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর জন্য ন্যায়ের সাথে সাক্ষদানকারী হিসেবে সদা দণ্ডায়মান হও। কোন কওমের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে কোনভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ কর, তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।

 5:9 وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ عَظِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৯। অ‘আদাল্লা-হুল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি লাহুম্ মাগ্ফিরাতুওঁ অআজ্বুরুন্ ‘আজীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৯ যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে আল্লাহ ওয়াদা দিয়েছেন, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।

5:10 وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ

আরবি উচ্চারণ ১০। অল্লাযীনা কাফারূ অকায্যাবূ বিআ-ইয়া-তিনা য় উলা – য়িকা আছ্হা-বুল্ জ্বাহীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১০ আর যারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারাই প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসী।

 5:11 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ هَمَّ قَوْمٌ أَنْ يَبْسُطُوا إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ فَكَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ

আরবি উচ্চারণ ১১। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানুয্ কুরূ নি’ মাতাল্লা-হি ‘আলাইকুম্ ইয্ হাম্মা ক্বাওমুন্ আইঁ ইয়াব্সুত্বুয় ইলাইকুম্ আইদিয়াহুম্ ফাকাফ্ফা আইদিয়াহুম্ ‘আন্কুম্ অত্তাক্বুল্লা-হা; অ ‘আলাল্লা-হি ফাল্ইয়াতাওয়াক্কালিল্ মুমিনূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১১ হে মুমিনগণ, তোমরা স্মরণ কর তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত, যখন একটি কওম তোমাদের প্রতি তাদের হাত প্রসারিত করতে মনস্থ করল; কিন্তু তিনি তাদের হাতকে তোমাদের থেকে নিবৃত্ত রাখলেন। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আল্লাহর উপরই মুমিনরা যেন তাওয়াক্কুল করে।

 5:12 وَلَقَدْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَبَعَثْنَا مِنْهُمُ اثْنَيْ عَشَرَ نَقِيبًا وَقَالَ اللَّهُ إِنِّي مَعَكُمْ لَئِنْ أَقَمْتُمُ الصَّلَاةَ وَآتَيْتُمُ الزَّكَاةَ وَآمَنْتُمْ بِرُسُلِي وَآمَنْتُمْ بِرُسُلِي وَعَزَّرْتُمُوهُمْ وَأَقْرَضْتُمُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا لَأُكَفِّرَنَّ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَلَأُدْخِلَنَّكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ فَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيلِ

আরবি উচ্চারণ ১২। অলাক্বাদ্ আখাযাল্লা-হু মীছা-ক্বা বানী য় ইস্রা – ঈলা অবা‘আছ্না-মিন্হুমুছ্নাই ‘আশারা নাক্বীবা-; অক্ব-লাল্লা-হু ইন্নী মা‘আকুম্; লায়িন্ আক্বাম্তুমুছ্ ছলা-তা অ আ-তাইতুমুয্ যাকা-তা অ আ-মান্তুম্ বিরুসুলী অ‘আর্য্যাতুমূহুম্ অ আক্ব্রাদ্ব্তুমুল্লা-হা র্ক্বাদ্বোয়ান্ হাসানাল্ লাউকাফ্ফিরান্না ‘আন্কুম্ সাইয়িয়া-তিকুম্ অলাউদ্খিলান্নাকুম্ জ্বান্না-তিন্ তাজুরী মিন্ তাহ্তিহাল্ আনহার্-; ফামান্ কাফারা বা’দা যা-লিকা মিন্কুম্ ফাক্বাদ্ দ্বোয়াল্লা সাওয়া – য়াস্ সাবীল্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১২ আর অবশ্যই আল্লাহ বনী ইসরাঈলের অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন এবং আমি তাদের মধ্য থেকে বার জন দলনেতা পাঠিয়েছিলাম এবং আল্লাহ বলেছিলেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথে আছি, যদি তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও, আমার রাসূলদের প্রতি ঈমান আন, তাদেরকে সহযোগিতা কর এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও, তবে নিশ্চয় আমি তোমাদের থেকে তোমাদের পাপসমূহ মুছে দেব। আর অবশ্যই তোমাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতসমূহে, যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। তোমাদের মধ্য থেকে এরপরও যে কুফরী করেছে, সে অবশ্যই সোজা পথ হারিয়েছে।

5:13 فَبِمَا نَقْضِهِمْ مِيثَاقَهُمْ لَعَنَّاهُمْ وَجَعَلْنَا قُلُوبَهُمْ قَاسِيَةً يُحَرِّفُونَ الْكَلِمَ عَنْ مَوَاضِعِهِ وَنَسُوا حَظًّا مِمَّا ذُكِّرُوا بِهِ وَلَا تَزَالُ تَطَّلِعُ عَلَى خَائِنَةٍ مِنْهُمْ إِلَّا قَلِيلًا مِنْهُمْ فَاعْفُ عَنْهُمْ وَاصْفَحْ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ

আরবি উচ্চারণ ১৩। ফাবিমা-নাক্বদ্বিহিম্ মীছা-ক্বাহুম্ লা‘আন্না-হুম্ অজা‘আল্না-ক্বুবাহুম্ ক্বা-সিয়াতান্ ইয়ুর্হারিফূনাল্ কালিমা আম মাঅ-দ্বি‘ইহী অনাসূ হাজ্জোয়াম্ মিম্মা- যুক্কিরূ বিহী অলা- তাযা-লু তাত্ত্বোয়ালি‘উ ‘আলা-খা – য়িনাতিম্ মিন্হুম্ ইল্লা- ক্বালীলাম্ মিন্হুম্ ফা’ফু ‘আন্হুম্ অছ্ফাহ্; ইন্নাল্লা-হা ইয়ুহিব্বুল্ মুহ্সিনীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১৩ সুতরাং তারা তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে আমি তাদেরকে লা‘নত দিয়েছি এবং তাদের অন্তরসমূহকে করেছি কঠোর। তারা শব্দগুলোকে আপন স্থান থেকে বিকৃত করে এবং তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছে, তার একটি অংশ তারা ভুলে গিয়েছে এবং তুমি তাদেও থেকে খিয়ানত সম্পকের্ অবগত হতে থাকবে, তাদেও অল্প সংখ্যক ছাড়া। সুতরাং তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং এড়িয়ে যাও। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদেও ভালবাসেন।

 5:14 وَمِنَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّا نَصَارَى أَخَذْنَا مِيثَاقَهُمْ فَنَسُوا حَظًّا مِمَّا ذُكِّرُوا بِهِ فَأَغْرَيْنَا بَيْنَهُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَسَوْفَ يُنَبِّئُهُمُ اللَّهُ بِمَا كَانُوا يَصْنَعُونَ

আরবি উচ্চারণ ১৪। অ মিনাল্লাযী-না ক্বা-লূ য় ইন্না-নাছোয়া-রা য় আখায্না- মীছা-ক্বাহুম্ ফানাসূ হাজ্জোয়াম্ মিম্মা- যুক্কিরূ বিহী ফাআগ্রাইনা- বাইনাহুমুল্ ‘আদা-ওয়াতা অল বাগ্দ্বোয়া – য়া ইলা-ইয়াওমিল্ ক্বিয়া-মাহ্; অসাওফা ইয়ুনাব্বিউহুমুল্লা-হু বিমা-কা-নূ ইয়াছ্না‘ঊ ন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১৪ আর যারা বলে, ‘আমরা নাসারা’, আমি তাদের থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম। অতঃপর তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল, তারা তার একটি অংশ ভুলে গিয়েছে। ফলে আমি তাদের মধ্যে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত শত্রুতা ও ঘৃনা উসকে দিয়েছি এবং তারা যাকরত সে সম্পকের্ অচিরেই আল্লাহ তাদেরকে অবহিতকরবেন।

 5:15 يَا أَهْلَ الْكِتَابِ قَدْ جَاءَكُمْ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمْ كَثِيرًا مِمَّا كُنْتُمْ تُخْفُونَ مِنَ الْكِتَابِ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُبِينٌ

আরবি উচ্চারণ ১৫। ইয়া য় আহ্লাল্ কিতা-বি ক্বাদ্ জ্বা – য়াকুম্ রসূলুনা- ইয়ুবাইয়্যিনু লাকুম্ কাছীরাম্ মিম্মা- কুন্তুম্ তুখ্ফূনা মিনাল্ কিতা-বি অইয়া’ফূ ‘আন্ কার্ছী; ক্বাদ্ জ্বা – য়াকুম্ মিনাল্লা-হি নূরুওঁ অকিতা-বুঁম্ মুবীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১৫ হে কিতাবীগণ, তোমাদের নিকট আমার রাসূল এসেছে, কিতাব থেকে যা তোমরা গোপন করতে, তার অনেক কিছু তোমাদের নিকট সে প্রকাশ করছে এবং অনেক কিছু ছেড়ে দিয়েছে। অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে।

5:16 يَهْدِي بِهِ اللَّهُ مَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَهُ سُبُلَ السَّلَامِ وَيُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ بِإِذْنِهِ وَيَهْدِيهِمْ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ

আরবি উচ্চারণ ১৬। ইয়াহ্দী বিহিল্লা-হু মানিত্তাবা‘আ রিদ্ব ওয়া-নাহূ সুবুলাস্ সালা-মি অইয়ুখ্রিজ্বুহুম্ মিনাজ্জুলুমা-তি ইলান্ নূরি বিইয্নিহী অ ইয়াহ্দীহিম্ ইলা-ছির-ত্বিম্ মুস্তাক্বীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১৬ এর মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে শান্তির পথ দেখান, যারা তাঁর সন্তুষ্টির অনুসরণ করে এবং তাঁর অনুমতিতে তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করেন। আর তাদেরকে সরল পথের দিকে হিদায়াত দেন।

5:17 لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ قُلْ فَمَنْ يَمْلِكُ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا إِنْ أَرَادَ أَنْ يُهْلِكَ الْمَسِيحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَأُمَّهُ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا وَلِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا يخْلُقُ مَا يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

আরবি উচ্চারণ ১৭। লাক্বাদ্ কাফারাল্লাযীনা ক্বা-লূ য় ইন্নাল্লা-হা হুঅল্ মাসীহুব্নু র্মাইয়াম্; ক্বুল্ ফামাইঁ ইয়াম্লিকু মিনাল্লা-হি শাইয়ান্ ইন্ আরা-দা আইঁ ইয়ুহ্লিকাল্ মাসীহাব্না র্মাইয়ামা অ উম্মাহূ অ মান্ ফিল্ র্আদ্বি জ্বামী‘আ-; অলিল্লা-হি মুল্কুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি অমা- বাইনাহুমা-; ইয়াখ্লুক্বু মা-ইয়াশা -উ; অল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বার্দী।

বাংলা অনুবাদ ৫.১৭ অবশ্যই তারা কুফরী করেছে যারা বলে ‘নিশ্চয় মারইয়াম পুত্র মাসীহই আল্লাহ’। বল, যদি আল্লাহ ধ্বংস করতে চান মারইয়াম পুত্র মাসীহকে ও তার মাকে এবং যমীনে যারা আছে তাদের সকলকে ‘তাহলে কে আল্লাহর বিপক্ষে কোন কিছুর ক্ষমতা রাখে? আর আসমানসমূহ, যমীন ও তাদের মধ্যবর্তী যা রয়েছে, তার রাজত্ব আল্লাহর জন্যই। তিনি যা ইচ্ছা তা সৃষ্টি করেন এবং আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

5:18 وَقَالَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى نَحْنُ أَبْنَاءُ اللَّهِ وَأَحِبَّاؤُهُ قُلْ فَلِمَ يُعَذِّبُكُمْ بِذُنُوبِكُمْ بَلْ أَنْتُمْ بَشَرٌ مِمَّنْ خَلَقَ يَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَلِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ

আরবি উচ্চারণ ১৮। অক্বা-লাতিল্ ইয়া-হূদু অন্নাছোয়া-রা- নাহ্নু আব্না – য়ুল লা-হি অ আহিব্বা – উহ্; কুল্ ফালিমা ইয়ু ‘আয্যিবুকুম্ বিযুনূ বিকুম্; বাল্ আনতুম্ বাশারুম মিম্মান্ খালাক্ব ; ইয়াগ্ফিরু লিমাইঁ ইয়াশা – উ অ ইয়ু‘আযযিবু মাইঁইশা – উ; অলিল্লা-হি মুল্কুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি অমা-বাইনাহুমা-অ ইলাইহিল্ মার্ছী ।

বাংলা অনুবাদ ৫.১৮ ইয়াহূদী ও নাসারারা বলে, ‘আমরা আল্লাহর পুত্র ও তার প্রিয়জন’। বল, ‘তবে কেন তিনি তোমাদেরকে তোমাদের পাপের কারণে আযাব দেন? বরং তোমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত মানুষ, যাদেরকে তিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা আযাব দেন। আর আসমানসমূহ ও যমীন এবং তাদেও মধ্যবর্তী যা আছে তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহর এবং তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তন’।

5:19 يَا أَهْلَ الْكِتَابِ قَدْ جَاءَكُمْ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمْ عَلَى فَتْرَةٍ مِنَ الرُّسُلِ أَنْ تَقُولُوا مَا جَاءَنَا مِنْ بَشِيرٍ وَلَا نَذِيرٍ فَقَدْ جَاءَكُمْ بَشِيرٌ وَنَذِيرٌ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

আরবি উচ্চারণ ১৯। ইয়া য় আহ্লাল্ কিতা-বি ক্বাদ্ জ্বা – য়াকুম্ রাসূলুনা-ইয়ুবাইয়্যিনু লাকুম্ ‘আলা-ফাত্রাতিম্ মির্না রুসুলি আন্ তাক্বুলূ মা-জ্বা – য়ানা-মিম্ বাশীরিওঁ অলা-নাযীরিন্ ফাক্বাদ্ জ্বা – য়াকুম্ বাশীরুওঁ অনার্যী; অল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বার্দী।

বাংলা অনুবাদ ৫.১৯ হে কিতাবীরা, তোমাদের নিকট আমার রাসূল এসেছে, রাসূলদের একটি বিরতির পর তোমাদের জন্য তিনি স্পষ্ট বর্ণনা করছেন. যেন তোমরা না বল যে, ‘আমাদের নিকট কোন সুসংবাদদাতা কিংবা সতর্ককারী আসেনি’। অবশ্যই তোমাদের নিকট সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী এসেছে। আর আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

5:20 وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ جَعَلَ فِيكُمْ أَنْبِيَاءَ وَجَعَلَكُمْ مُلُوكًا وَجَعَلَكُمْ مُلُوكًا وَآتَاكُمْ مَا لَمْ يُؤْتِ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِينَ

আরবি উচ্চারণ ২০। অইয্ ক্বা-লা মূসা- লিক্বাওমিহী ইয়া-ক্বাওমিয্ কুরূ নি’মাতাল্লা- হি‘আলাইকুম্ ইয্ জ্বা‘আলা ফীকুম্ আম্বিয়া – য়া অজ্বা‘আলাকুম্ মুলূকাওঁ অ আ-তা-কুম্ মা-লাম্ ইয়ু”তি আহাদাম্ মিনাল্ ‘আ-লামীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.২০ আর যখন মূসা তার কওমকে বলল, ‘হে আমার কওম, স্মরণ কর তোমাদের উপর আল্লাহর নিআমত, যখন তিনি তোমাদের মধ্যে নবী বানিয়েছেন এবং তোমাদেরকে রাজা-বাদশাহ বানিয়েছেন, আর তোমাদেরকে দান করেছেন এমন কিছু যা সকল সৃষ্টির মধ্যে কাউকে দান করেননি’।

5:21 يَا قَوْمِ ادْخُلُوا الْأَرْضَ الْمُقَدَّسَةَ الَّتِي كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَرْتَدُّوا عَلَى أَدْبَارِكُمْ فَتَنْقَلِبُوا خَاسِرِينَ

আরবি উচ্চারণ ২১। ইয়া-ক্বাওমিদ্ খুলুল্ র্আদ্বোয়াল্ মুক্বাদ্দাসাতাল্ লাতী কাতাবাল্লা-হু লাকুম্ অলা-র্তাতাদ্দূ ‘আলা য় আদ্বা-রিকুম্ ফাতান্ক্বালিবূ খা-সিরীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.২১ ‘হে আমার কওম, তোমরা পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন এবং তোমরা তোমাদের পেছনে ফিরে যেয়ো না, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে’।

5:22 قَالُوا يَا مُوسَى إِنَّ فِيهَا قَوْمًا جَبَّارِينَ وَإِنَّا لَنْ نَدْخُلَهَا حَتَّى يَخْرُجُوا مِنْهَا فَإِنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا فَإِنَّا دَاخِلُونَ

আরবি উচ্চারণ ২২। ক্বা-লূ ইয়া-মূসা য় ইন্না ফীহা- ক্বাওমান্ জ্বাব্বা-রীন্; অইন্না-লান্ নাদ্খুলাহা-হাত্তা- ইয়াখ্রুজ্বু মিন্হা- ফাইঁ ইয়াখ্রুজ্বু মিন্হা-; ফাইন্না- দা-খিলূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.২২ তারা বলল, ‘হে মূসা, নিশ্চয় সেখানে রয়েছে এক শক্তিশালী জাতি এবং আমরা নিশ্চয় সেখানে প্রবেশ করব না, যতক্ষণ না তারা সেখান থেকে বের হয়। অতঃপর যদি তারা সেখান থেকে বের হয়, তবে নিশ্চয় আমরা প্রবেশ করব’।

5:23 قَالَ رَجُلَانِ مِنَ الَّذِينَ يَخَافُونَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمَا ادْخُلُوا عَلَيْهِمُ الْبَابَ فَإِذَا دَخَلْتُمُوهُ فَإِنَّكُمْ غَالِبُونَ وَعَلَى اللَّهِ فَتَوَكَّلُوا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ

আরবি উচ্চারণ ২৩। ক্বা-লা রাজুলা-নি মিনাল্লাযীনা ইয়াখা-ফূনা আন্‘আমাল্লা-হু ‘আলাইহিমাদ্খুলূ ‘আলাইহিমুল্ বা-বা ফাইযা-দাখাল্তুমূহু ফাইন্নাকুম্ গা-লিবূনা অ ‘আলাল্লা-হি ফাতাওয়াক্কালূ য় ইন্ কুন্তুম্ মুমিনীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.২৩ যারা ভয় করে, তাদের মধ্য থেকে এমন দু ব্যক্তি বলল, ‘যাদের উপর আল্লাহ নিআমত দিয়েছেন, ‘তোমরা তাদের নিকট দরজা দিয়ে প্রবেশ কর। যখন সেখানে প্রবেশ করবে, তখন নিশ্চয় জয়ী হবে। আর আল্লাহর উপরই তাওয়াক্কুল কর, যদি তোমরা মুমিন হও’।

5:24 قَالُواْ يَـٰمُوسَىٰٓ إِنَّا لَن نَّدۡخُلَهَآ أَبَدً۬ا مَّا دَامُواْ فِيهَا‌ۖ فَٱذۡهَبۡ أَنتَ وَرَبُّكَ فَقَـٰتِلَآ إِنَّا هَـٰهُنَا قَـٰعِدُون

আরবি উচ্চারণ ২৪। ক্বা-লূ ইয়া-মূসা য় ইন্না- লান্নাদ্খুলাহা য় আবাদাম্মা- দা-মূ ফীহা-ফায্হাব্ আন্তা অরাব্বুকা ফাক্বা-তিলা য় ইন্না- হা-হুনা- ক্বা-‘ইদূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.২৪ তারা বলল, ‘হে মূসা, আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকে। সুতরাং, তুমি ও তোমার রব যাও এবং লড়াই কর। আমরা এখানেই বসে রইলাম’।

5:25 قَالَ رَبِّ إِنِّي لَا أَمْلِكُ إِلَّا نَفْسِي وَأَخِي فَافْرُقْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ

আরবি উচ্চারণ ২৫। ক্বা-লা রব্বি ইন্নী লা য় আম্লিকু ইল্লা-নাফ্সী অআখী ফাফ্রুক্ব বাইনানা- অবাইনাল্ ক্বাওমিল্ ফা-সিক্বীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.২৫ সে বলল, ‘হে আমার রব, আমি আমার ও আমার ভাই ছাড়া কারো উপরে অধিকার রাখি না। সুতরাং আপনি আমাদের ও ফাসিক কওমের মধ্যে বিচ্ছেদ করে দিন।

5:26 قَالَ فَإِنَّهَا مُحَرَّمَةٌ عَلَيْهِمْ أَرْبَعِينَ سَنَةً يَتِيهُونَ فِي الْأَرْضِ فَلَا تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ

আরবি উচ্চারণ ২৬। ক্বা-লা ফাইন্নাহা- মুর্হারামাতুন্ ‘আলাইহিম্ র্আবা‘ঈনা সানাতান্ ইয়াতীহুনা ফিল্ র্আদ্ব ; ফালা-তাসা ‘আলাল্ ক্বাওমিল্ ফা-সিক্বীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.২৬ তিনি বললেন, ‘তাহলে নিশ্চয় তা তাদের জন্য চলি−শ বছর নিষিদ্ধ; তারা যমীনে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরতে থাকবে। সুতরাং তুমি ফাসিক কওমের জন্য আফসোস করো না’।

5:27 وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ابْنَيْ آدَمَ بِالْحَقِّ إِذْ قَرَّبَا قُرْبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنْ أَحَدِهِمَا وَلَمْ يُتَقَبَّلْ مِنَ الْآخَرِ قَالَ لَأَقْتُلَنَّكَ قَالَ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ اللَّهُ مِنَ الْمُتَّقِينَ

আরবি উচ্চারণ ২৭। অত্লু ‘আলাইহিম্ নাবায়াব্নাই আ-দামা বিল্ হাক্ব । ইর্য্ক্বারাবা-ক্বরুবা-নান্ ফাতুক্বুব্বিলা মিন্ আহাদিহিমা-অলাম্ ইয়ুতাক্বাব্বাল্ মিনাল্ আ-র্খা; ক্বা-লা লাআক্ব তুলান্নাক্ব; ক্বা-লা ইন্নামা- ইয়াতাক্বাব্বালুল্লা-হু মিনাল্ মুত্তাক্বীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.২৭ আর তুমি তাদের নিকট আদমের দুই পুত্রের সংবাদ যথাযথভাবে বর্ণনা কর, যখন তারা উভয়ে কুরবানী পেশ করল। অতঃপর তাদের একজন থেকে গ্রহণ করা হল, আর অপরজন থেকে গ্রহণ করা হল না। সেবলল, ‘অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করব’। অন্যজন বলল, ‘আল্লাহ কেবল মুত্তাকীদের থেকে গ্রহণ করেন’।

5:28 لَئِنْ بَسَطْتَ إِلَيَّ يَدَكَ لِتَقْتُلَنِي مَا أَنَا بِبَاسِطٍ يَدِيَ إِلَيْكَ لِأَقْتُلَكَ مَا أَنَا بِبَاسِطٍ يَدِيَ إِلَيْكَ لِأَقْتُلَكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ

আরবি উচ্চারণ ২৮। লায়িম্ বাসাত্তা ইলাইয়্যা ইয়াদাকা লিতাক্ব তুলানী মা য় আনা বিবা-সিত্বিইঁ ইয়াদিয়া ইলাইকা লিআক্ব তুলাকা, ইন্নী য় আখা-ফুল্লা-হা রব্বাল্ ‘আ-লামীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.২৮ ‘যদি তুমি আমার প্রতি তোমার হাত প্রসারিত কর আমাকে হত্যা করার জন্য, আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য আমার হাত তোমার প্রতি প্রসারিত করব না। নিশ্চয় আমি সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহকে ভয় করি’।

5:29 إِنِّي أُرِيدُ أَنْ تَبُوءَ بِإِثْمِي وَإِثْمِكَ فَتَكُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ وَذَلِكَ جَزَاءُ الظَّالِمِينَ

আরবি উচ্চারণ ২৯। ইন্নী য় উরীদু আন্ তাবূ – য়া বিইছ্মী অ ইছ্মিকা ফাতাকূনা মিন্ আছ্হা-বিন্না-রি অযা-লিকা জ্বাযা – উজ্জোয়া-লিমীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.২৯ ‘নিশ্চয় আমি চাই যে, তুমি আমার ও তোমার পাপ নিয়ে ফিরে যাও, ফলে তুমি আগুনের অধিবাসী হও। আর সেটিই হচ্ছে যালিমদের প্রতিদান’।

5:30 فَطَوَّعَتْ لَهُ نَفْسُهُ قَتْلَ أَخِيهِ فَقَتَلَهُ فَأَصْبَحَ مِنَ الْخَاسِرِينَ

আরবি উচ্চারণ ৩০। ফা ত্বোয়াওয়্যা‘আত্ লাহূ নাফ্সুহূ ক্বাত্লা আখীহি ফাক্বাতালাহূ ফা‘আছ্বাহা মিনাল্ খা-সিরীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৩০ সুতরাং তার নফস তাকে বশ করল তার ভাইকে হত্যা করতে। ফলে সে তাকে হত্যা করল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হল।

5:31 فَبَعَثَ اللَّهُ غُرَابًا يَبْحَثُ فِي الْأَرْضِ لِيُرِيَهُ كَيْفَ يُوَارِي سَوْأَةَ أَخِيهِ قَالَ يَا وَيْلَتَا أَعَجَزْتُ أَنْ أَكُونَ مِثْلَ هَذَا الْغُرَابِ فَأُوَارِيَ سَوْأَةَ أَخِي فَأَصْبَحَ مِنَ النَّادِمِينَ

আরবি উচ্চারণ ৩১। ফাবা‘আছাল্লা-হু গুরা-বাইঁ ইয়াব্হাছু ফিল্ র্আদ্বি লিইয়ুরিয়াহূ কাইফা ইয়ুওয়া-রী সাওয়াতা আখীহ্; ক্বা-লা ইয়া-অইলাতা য় আ ‘আজ্বায্তু আন্ আকূনা মিছ্লা হা-যাল্ গুরা-বি ফাউওয়া-রিয়া সাওয়াতা আখী, ফাআছ্বাহা মিনান্না-দিমীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৩১ অতঃপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন, যা মাটি খুঁড়ছিল, যাতে তাকে দেখাতে পারে, কীভাবে সে ভাইয়ের লাশ গোপন করবে। সে বলল, ‘হায়! আমি এই কাকটির মত হতেও অক্ষম হয়েছি যে, আমার ভাইয়ের লাশ গোপন করব’। ফলে সে লজ্জিত হল।

5:32 مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ كَتَبْنَا عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنَّهُ مَنْ قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الْأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا وَلَقَدْ جَاءَتْهُمْ رُسُلُنَا بِالْبَيِّنَاتِ ثُمَّ إِنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْأَرْضِ لَمُسْرِفُونَ

আরবি উচ্চারণ ৩২। মিন্ আজ্ব লি যা-লিকা কাতাব্না- ‘আলা-বানী য় ইস্রা – ঈলা আন্নাহূ মান্ ক্বাতালা নাফ্সাম্ বিগাইরি নাফ্সিন্ আও ফাসা-দিন্ ফিল্ র্আদ্বি ফাকাআন্নামা- ক্বাতালান্ না-সা জ্বামী‘আ-; অমান্ আহ্ইয়া-হা-ফাকাআন্নামায় আহ্ইয়ান্ না-সা জ্বামী‘আ-; অলাক্বাদ্ জ্বা- য়াত্হুম্ রুসুলুনা- বিল্বাইয়্যিনা-তি ছুম্মা ইন্না কাছীরাম্ মিন্হুম্ বা’দা যা-লিকা ফিল্ র্আদ্বি লামুস্রিফূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৩২ এ কারণেই, আমি বনী ইসরাঈলের উপর এই হুকুম দিলাম যে, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করা কিংবা যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করা ছাড়া যে কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। আর যে তাকে বাঁচাল, সে যেন সব মানুষকে বাঁচাল। আর অবশ্যই তাদেও নিকট আমার রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে। তা সত্ত্বে এরপর যমীনে তাদের অনেকে অবশ্যই সীমালঙ্ঘনকারী।

5:33 إِنَّمَا جَزَاءُ الَّذِينَ يُحَارِبُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا أَنْ يُقَتَّلُوا أَوْ يُصَلَّبُوا أَوْ تُقَطَّعَ أَيْدِيهِمْ وَأَرْجُلُهُمْ مِنْ خِلَافٍ أَوْ يُنْفَوْا مِنَ الْأَرْضِ ذَلِكَ لَهُمْ خِزْيٌ فِي الدُّنْيَا وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৩৩। ইন্নামা-জ্বাযা – উল্লাযীনা ইয়ুহা-রিবূনাল্লা-হা অরাসূলাহূ অ ইয়াস‘আওনা ফিল্ র্আদ্বি ফাসা-দান্ আইঁ ইয়ুক্বাত্তালূ য় আও ইয়ুছল্লাবূ য় আও তুক্বাত্তা‘আ আইদীহিম্ অ আরজুলুহুম্ মিন্ খিলা-ফিন্ আও ইয়ুন্ফাও মিনাল্ র্আদ্ব্; যা-লিকা লাহুম্ খিয্ইয়ুন্ ফিদ্দুন্ইয়া-অলাহুম্ ফিল্ আ-খিরাতি ‘আযা-বুন ‘আজীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৩৩ যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং যমীনে ফাসাদ করে বেড়ায়, তাদের আযাব কেবল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে কিংবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। এটি তাদের জন্য দুনিয়ায় লাঞ্ছনা এবং তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে মহাআযাব।

5:34 إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا مِنْ قَبْلِ أَنْ تَقْدِرُوا عَلَيْهِمْ فَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৩৪। ইল্লাল্লাযীনা তা-বূ মিন্ ক্বাব্লি আন্ তাক্ব্দিরূ ‘আলাইহিম্ ফা’লামূ য় আন্নাল্লা-হা গাফূর্রু রাহীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৩৪ তারা ছাড়া, যারা তাওবা করে তোমরা তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভের পূবের্; সুতরাং জেনে রাখ যে, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়াল।

5:35 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَابْتَغُوا إِلَيْهِ الْوَسِيلَةَ وَجَاهِدُوا فِي سَبِيلِهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

আরবি উচ্চারণ ৩৫। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানুত্ তাক্বুল্লা-হা অব্তাগূ য় ইলাইহিল্ অসীলাতা অজ্বা-হিদূ ফী সাবীলিহী লা‘আল্লাকুম্ তুফ্লিহূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৩৫ হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং তার নৈকট্যেও অনুসন্ধান কর, আর তার রাস্তায় জিহাদ কর, যাতে তোমরা সফল হও।

5:36 إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ أَنَّ لَهُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا وَمِثْلَهُ مَعَهُ لِيَفْتَدُوا بِهِ مِنْ عَذَابِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَا تُقُبِّلَ مِنْهُمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৩৬। ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ লাও আন্না লাহুম্ মা-ফিল্ র্আদ্বি জ্বামীআওঁ অমিছ্লাহূ মা‘আহূ লিইয়াফ্তাদূ বিহী মিন্ ‘আযা-বি ইয়াওমিল্ ক্বিয়া-মাতি মা- তুক্বুব্বিলা মিন্হুম্; অলাহুম্ ‘আযা-বুন্ আলীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৩৬ নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে, যদি যমীনে যা আছে তার সব ও তার সাথে সমপরিমাণও তাদের জন্য থাকে, যাতে তারা তার মাধ্যমে কিয়ামতের আযাব থেকে রক্ষার মুক্তিপণ দিতে পারে, তাহলেও তাদের থেকে তা গ্রহণ করা হবে না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।

5:37 يُرِيدُونَ أَنْ يَخْرُجُوا مِنَ النَّارِ وَمَا هُمْ بِخَارِجِينَ مِنْهَا وَلَهُمْ عَذَابٌ مُقِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৩৭। ইয়ুরীদূনা আইঁ ইয়াখ্রুজুমিনান্না-রি অমা-হুম্ বিখা-রিজ্বীনা মিন্হা- অ লাহুম্ ‘আযা-বুমু মুক্বীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৩৭ তারা চাইবে আগুন থেকে বের হতে, কিন্তু তারা সেখান থেকে বের হবার নয় এবং তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী আযাব।

5:38 وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوا أَيْدِيَهُمَا جَزَاءً بِمَا كَسَبَا نَكَالًا مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৩৮। অস্ সা-রিক্বু অস্সা-রিক্বাতু ফাক্ব ত্বোয়াঊ’ য় আইদিয়াহুমা- জ্বাযা – য়াম্ বিমা-কাসাবা-নাকা- লাম্ মিনাল্লা-হ; অল্লা-হু ‘আযীযুন্ হাকীম।

বাংলা অনুবাদ ৫.৩৮ আর পুরুষ চোর ও নারী চোর তাদের উভয়ের হাত কেটে দাও তাদের অর্জনের প্রতিদান ও আল্লাহর পক্ষ থেকে শিক্ষণীয় আযাবস্বরূপ এবং আল্লাহ মহা পরাসমশালী, প্রজ্ঞাময়।

5:39 فَمَنْ تَابَ مِنْ بَعْدِ ظُلْمِهِ وَأَصْلَحَ فَإِنَّ اللَّهَ يَتُوبُ عَلَيْهِ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৩৯। ফামান্ তা-বা মিম্বা’দি জুল্মিহী অ আছ্লাহা ফাইন্নাল্লা-হা ইয়াতূবু ‘আলাইহ্; ইন্নাল্লা-হা গাফূর্রু রাহীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৩৯ অতঃপর যে তার যুলমের পর তাওবা করবে এবং নিজকে সংশোধন করবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

5:40 أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَيَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

আরবি উচ্চারণ ৪০। আলাম্ তা’লাম্ আন্নাল্লা-হা লাহূ মুল্কুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব্; ইয়ু‘আয্যিবু মাইঁ ইয়াশা -উ অইয়াগ্ফিরু লিমাইঁ ইয়াশা -উ; অল্লা-হু ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন্ ক্বার্দী।

বাংলা অনুবাদ ৫.৪০ তুমি কি জান না যে, নিশ্চয় আল্লাহ, তাঁর জন্যই আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত,¡ তিনি যাকে ইচ্ছা আযাব দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন, আর আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

5:41 يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ لَا يَحْزُنْكَ الَّذِينَ يُسَارِعُونَ فِي الْكُفْرِ مِنَ الَّذِينَ قَالُوا آمَنَّا بِأَفْوَاهِهِمْ وَلَمْ تُؤْمِنْ قُلُوبُهُمْ وَمِنَ الَّذِينَ هَادُوا سَمَّاعُونَ لِلْكَذِبِ سَمَّاعُونَ لِقَوْمٍ آخَرِينَ لَمْ يَأْتُوكَ يُحَرِّفُونَ الْكَلِمَ مِنْ بَعْدِ مَوَاضِعِهِ يَقُولُونَ إِنْ أُوتِيتُمْ هَذَا فَخُذُوهُ وَإِنْ لَمْ تُؤْتَوْهُ فَاحْذَرُوا وَمَنْ يُرِدِ اللَّهُ فِتْنَتَهُ فَلَنْ تَمْلِكَ لَهُ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا أُولَئِكَ الَّذِينَ لَمْ يُرِدِ اللَّهُ أَنْ يُطَهِّرَ قُلُوبَهُمْ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৪১। ইয়া য় আইয়্যুর্হা রাসূলু লা-ইয়াহ্যুন্কাল্লাযীনা ইয়ুসা-রি‘ঊনা ফিল্ কুফ্রি মিনাল্লাযীনা ক্বা-লূ য় আ-মান্না-বিআফ্ওয়া-হিহিম্ অলাম্ তুমিন্ ক্বুলূবুহুম্ অমিনাল্লাযীনা হা-দূ সাম্মা-‘ঊনা লিল্কাযিবি সাম্মা-‘ঊনা লিক্বাওমিন্ আ-খারীনা লাম্ ইয়াতূক্; ইয়ুর্হারিফূনাল্ কালিমা মিম্ বা’দি মাওয়া-দ্বি‘ইহী, ইয়াক্বুলূনা ইন্ ঊতীতুম্ হা-যা- ফাখুযূহু অইল্লাম্ তুতাওহু ফাহ্যারূ; অমাইঁ ইয়ুরিদিল্লা-হু ফিত্নাতাহূ ফালান্ তাম্লিকা লাহূ মিনাল্লা-হি শাইয়া-; উলা – য়িকাল্লাযীনা লাম্ ইয়ুরিদিল্লা-হু আইঁ ইয়ুত্বোয়াহ্হিরা ক্বুলূবাহুম্; লাহুম্ ফিদ দুন্ইয়া- খিয্ইয়ুওঁ অলাহুম্ ফিল্ আ-খিরাতি ‘আযা-বুন্ ‘আজীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৪১ হে রাসূল, তোমাকে যেন তারা চিন্তিত না করে, যারা কুফরে দ্রুত ছুটছে- তাদের থেকে, যারা তাদের মুখে বলে ‘ঈমান এনেছি’ কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান আনেনি। আর যারা ইয়াহূদী তারা মিথ্যা অধিক শ্রবণকারী, অন্যান্য কওমের প্রতি, যারা তোমার নিকট আসেনি তাদের পক্ষে তারা কান পেতে থাকে। তারা শব্দগুলোকে যথাযথ সুবিন্যস্ত থাকার পরও আপন স্থান থেকে বিকৃত করে। তারা বলে, ‘যদি তোমাদেরকে এটি প্রদান করা হয়, তবে গ্রহণ কর। আর যদি তা তোমাদেরকে প্রদান না করা হয়, তাহলে বর্জন কর’; আর আল্লাহ যাকে ফিতনায় ফেলতে চান, তুমি তার পক্ষে আল্লাহর বিরুদ্ধে কিছুরই ক্ষমতা রাখ না। এরাই হচ্ছে তারা, যাদের অন্তরসমূহকে আল্লাহ পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহাআযাব।

5:42 سَمَّاعُونَ لِلْكَذِبِ أَكَّالُونَ لِلسُّحْتِ فَإِنْ جَاءُوكَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ أَوْ أَعْرِضْ عَنْهُمْ وَإِنْ تُعْرِضْ عَنْهُمْ فَلَنْ يَضُرُّوكَ شَيْئًا وَإِنْ حَكَمْتَ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِالْقِسْطِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ

আরবি উচ্চারণ ৪২। সাম্মা-‘ঊনা লিল্কাযিবি আক্কা-লূনা লিস্সুহ্তি ফাইন্ জ্বা – ঊকা ফাহ্কুম্ বাইনাহুম্ আও আ’রিদ্ ‘আন্হুম্ অইন্তু’রিদ্ব্ ‘আন্হুম্ ফালাইঁ ইয়ার্দ্বুরূকা শাইয়া-; অইন্ হাকাম্তা ফাহ্কুম্ বাইনাহুম্ বিল্ক্বিস্ত্ব্; ইন্নাল্লা-হা ইয়ুহিব্বুল্ মুক্ব্সিত্বীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৪২ তারা মিথ্যার প্রতি অধিক শ্রবণকারী, হারামের অধিক ভক্ষণকারী। সুতরাং যদি তারা তোমার কাছে আসে, তবে তাদের মধ্যে ফয়সালা কর অথবা তাদেরকে উপেক্ষা কর আর যদি তাদেরকে উপেক্ষা কর, তবে তারা তোমার কিছু ক্ষতি করতে পারবে না, আর যদি তুমি ফয়সালা কর, তবে তাদের মধ্যে ফয়সালা কর ন্যয়ভিত্তিক। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যয়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।

5:43 وَكَيْفَ يُحَكِّمُونَكَ وَعِنْدَهُمُ التَّوْرَاةُ فِيهَا حُكْمُ اللَّهِ ثُمَّ يَتَوَلَّوْنَ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ وَمَا أُولَئِكَ بِالْمُؤْمِنِينَ

আরবি উচ্চারণ ৪৩। অকাইফা ইয়ুহাক্কিমূনাকা অই’ন্দাহুমুত্ তাওরা-তু ফীহা-হুক্মুল্লা-হি ছুম্মা ইয়াতা অল্লাওনা মিম্ বা’দি যা-লিক্; অমা য় উলা – য়িকা বিল্মু‘‘মিনীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৪৩ আর কীভাবে তারা তোমাকে ফয়সালাকারী বানায়? অথচ তাদের কাছে রয়েছে তাওরাত, যাতে আছে আল্লাহর বিধান, তা সত্তে তারা এরপর মখু ফিরিয়ে নেয় এবং তারা মুমিনও নয়।

5:44 إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا لِلَّذِينَ هَادُوا وَالرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ بِمَا اسْتُحْفِظُوا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ وَكَانُوا عَلَيْهِ شُهَدَاءَ فَلَا تَخْشَوُا النَّاسَ وَاخْشَوْنِ وَلَا تَشْتَرُوا بِآيَاتِي ثَمَنًا قَلِيلًا وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ

আরবি উচ্চারণ ৪৪। ইন্না য় আন্যাল্নাত্ তাওরা-তা ফীহা-হুদাওঁ অনূরূন্ ইয়াহ্কুমু বিহান্নাবিয়্যূনাল্ লাযীনা আস্লামূ লিল্লাযীনা হা-দূ র্অরব্বা-নিইয়্যূনা অল্ আহ্বা-রু বিমাস্তুহ্ফিজূ মিন্ কিতা-বিল্লা-হি অকা-নূ ‘আলাইহি শুহাদা – য়া ফালা-তাখ্শাউন্ না-সা অখ্শাওনি অলা-তাশ্তারূ বিআ-ইয়া-তী ছামানান্ ক্বালীলা-; অমাল্লাম্ ইয়াহ্কুম্ বিমা য় আন্যালাল লা-হু ফায়ুলা-য়িকা হুমুল্ কা-ফিরূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৪৪ নিশ্চয় আমি তাওরাত নাযিল করেছি, তাতে ছিল হিদায়াত ও আলো, এর মাধ্যমে ইয়াহূদীদের জন্য ফয়সালা প্রদান করত অনগু ত নবীগণ এবং রব্বানী ও ধর্মবিদগণ। কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল এবং তারা ছিল এর উপর সাক্ষী। সুতরাং তোমরা মানুষকে ভয় করো না, আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াতসমূহের বিনিময়ে সামান্য মূল্য সয় করো না। আর যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে ফয়সালা করে না, তারাই কাফির।

5:45 وَكَتَبْنَا عَلَيْهِمْ فِيهَا أَنَّ النَّفْسَ بِالنَّفْسِ وَالْعَيْنَ بِالْعَيْنِ وَالْأَنْفَ بِالْأَنْفِ وَالْأُذُنَ بِالْأُذُنِ وَالسِّنَّ بِالسِّنِّ وَالْجُرُوحَ قِصَاصٌ فَمَنْ تَصَدَّقَ بِهِ فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ

আরবি উচ্চারণ ৪৫। অ কাতাব্না-‘আলাইহিম্ ফীহায় আন্নান্ নাফ্সা বিন্নাফ্সি অল্ ‘আইনা বিল্‘আইনি অল্ আন্ফা বিল্ আন্ফি অল্ উযুনা বিল্ উযুনি অস্সিন্না বিস্সিন্নি অল্জুরূহা ক্বিছোয়া-ছ্; ফামান্ তাছোয়াদ্দাক্বা বিহী ফাহুঅ কাফ্ফা-রাতুল্লাহ্; অমাল্লাম্ ইয়াহ্কুম্ বিমা য় আন্যালাল্লা-হু ফাউলা – য়িকা হুমুজ্ব্ জোয়া-লিমূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৪৫ আর আমি এতে তাদের উপর অবধারিত করেছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চোখের বিনিময়ে চোখ, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান ও দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং জখমের বিনিময়ে সমপরিমাণ জখম। অতঃপর যে তা ক্ষমা করে দেবে, তার জন্য তা কাফ্ফারা হবে। আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করবে না, তারাই যালিম।

5:46 وَقَفَّيْنَا عَلَى آثَارِهِمْ بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَآتَيْنَاهُ الْإِنْجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ وَمُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةً لِلْمُتَّقِينَ

আরবি উচ্চারণ ৪৬। অক্বাফ্ফাইনা- ‘আলা য় আ-ছা-রিহিম্ বি‘ঈসাব্নি র্মাইয়ামা মুছোয়াদ্দিক্বাল্লিমা-বাইনা ইয়াদাইহি মিনাত্তাওরা-তি অ আ-তাইনা-হুল্ ইন্জ্বীলা ফীহি হুদাওঁ অনূরুওঁ অ মুছোয়াদ্দিক্বাল্লিমা-বাইনা ইয়াদাইহি মিনাত্তাওরা-তি অহুদাওঁ অমাও ‘ই জোয়াতাল লিল্মুত্তাক্বীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৪৬ আর আমি তাদের পেছনে মারইয়াম পুত্র ঈসাকে পাঠিয়েছিলাম তার সম্মুখে বিদ্যমান তাওরাতের সত্যায়নকারীরূপে এবং তাকে দিয়েছিলাম ইনজীল, এতে রয়েছে হিদায়াত ও আলো এবং (তা ছিল) তার সম্মুখে অবশিষ্ট তাওরাতের সত্যায়নকারী, হিদায়াত ও মুত্তাকীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।

5:47 وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الْإِنْجِيلِ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِ وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ

আরবি উচ্চারণ ৪৭। অল্ ইয়াহ্কুম্ আহ্লুল্ ইন্জ্বীলি বিমা য় আন্যালাল্লা-হু ফীহ্; অমাল্লাম্ ইয়াহ্কুম্ বিমা য় আন্যালাল্লা-হু ফাউলা – য়িকা হুমুল্ ফা-সিকুন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৪৭ আর ইনজীলের অনুসারীগণ তাতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে যেন ফয়সালা করে আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করে না, তারাই ফাসিক।

5:48 وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ فَاحْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ عَمَّا جَاءَكَ مِنَ الْحَقِّ لِكُلٍّ جَعَلْنَا مِنْكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلَكِنْ لِيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آتَاكُمْ فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ إِلَى اللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ

আরবি উচ্চারণ ৪৮। অ আন্যাল্না য় ইলাইকাল্ কিতা-বা বিল্ হাক্ব ক্বি মুছোয়াদ্দিক্বাল্লিমা-বাইনা ইয়াদাইহি মিনাল্ কিতা-বি অমুহাইমিনান্ ‘আলাইহি ফাহ্কুম্ বাইনাহুম্ বিমা য় আন্যালাল্লা-হু অলা-তাত্তাবি’ আহ্ওয়া – য়াহুম্ ‘আম্মা-জ্বা – য়াকা মিনাল্ হাক্ব্; লিকুল্লিন্ জ্বা‘আল্না-মিন্কুম্ শির‘আতাওঁ অমিন্হা-জ্বা-; অলাও শা – আল্লা-হু লাজ্বা ‘আলাকুম্ উম্মাতাওঁ অ-হিদাতাঁও অলা-কিল্ লি ইয়াব্লুওয়াকুম্ ফীমা য় আ-তা-কুম্ ফাস্তাবিকুল্ খাইরা-ত্; ইলাল্লা-হি র্মাজ্বি‘উকুম্ জ্বামী‘আন্ ফাইয়ুনাব্বিউকুম্ বিমা-কুন্তুম্ ফীহি তাখ্তালিফূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৪৮ আর আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যথাযথভাবে, এর পূর্বের কিতাবের সত্যায়নকারী ও এর উপর তদারককারীরূপে। সুতরাং আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তুমি তার মাধ্যমে ফয়সালা কর এবং তোমার নিকট যে সত্য এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি শরীআত ও স্পষ্ট পন্থা এবং আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে তোমাদেরকে এক উম্মত বানাতেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান। সুতরাং তোমরা ভাল কাজে প্রতিযোগিতা কর। আল্লাহরই দিকে তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তনস্থল। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন, যা নিয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে।

5:49 وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ أَنْ يَفْتِنُوكَ عَنْ بَعْضِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْكَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُصِيبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ وَإِنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ لَفَاسِقُونَ

আরবি উচ্চারণ ৪৯। অআনিহ্কুম্ বাইনাহুম্ বিমা য় আন্যালাল্লা-হু অলা-তাত্তাবি’ আহ্ওয়া – য়া হুম্ অর্হ্যা হুম্ আইঁ ইয়াফ্তিনূকা ‘আম্ বা’দ্বি মা য় আন্যালাল্লা-হু ইলাইক্; ফাইন্ তাওয়াল্লাও ফা’লাম্ আন্নামা- ইয়ুরীদুল্লা-হু আইঁ ইয়ুছীবাহুম বিবা’দ্বি যুনূবিহিম্; অইন্না কাছীরাঁম্ মিনান্না-সি লাফা-সিকুন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৪৯ আর তাদের মধ্যে তার মাধ্যমে ফয়সালা কর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। আর তাদের থেকে সতকর্ থাক যে, আল্লাহ যা অবতীণর্ করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করবে। অতঃপর যদি তারা মখু ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রাখ যে, আল্লাহ তো কেবল তাদেরকে তাদের কিছু পাপের কারণেই আযাব দিতে চান। আর মানুষের অনেকেই ফাসিক।

5:50 أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ حُكْمًا لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ

আরবি উচ্চারণ ৫০। আফাহুক্মাল্ জ্বা-হিলিয়্যাতি ইয়াব্গূন্; অমান্ আহ্সানু মিনাল্লা-হি হুক্মাল্লিক্বাওমিইঁ ইয়ুক্বিনূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৫০ তারা কি তবে জাহিলিয়্যাতের বিধান চায়? আর নিশ্চিত বিশ্বাসী কওমের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক উত্তম?

5:51 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ

আরবি উচ্চারণ ৫১। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-তাত্তাখিযুল্ ইয়াহূদা অ ন্নাছোয়া-রা য় আওলিয়া – আ বা’দ্বুহুম্ আওলিয়া – উ বা’দ্ব্; অমাইঁ ইয়াতাওয়াল্লাহুম্ মিন্কুম্ ফাইন্নাহূ মিন্হুম্; ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াহ্দিল্ ক্বাওমাজ্ জ্বোয়া-লিমীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৫১ হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধ।ু আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না।

5:52 فَتَرَى الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ يُسَارِعُونَ فِيهِمْ يَقُولُونَ نَخْشَى أَنْ تُصِيبَنَا دَائِرَةٌ فَعَسَى اللَّهُ أَنْ يَأْتِيَ بِالْفَتْحِ أَوْ أَمْرٍ مِنْ عِنْدِهِ فَيُصْبِحُوا عَلَى مَا أَسَرُّوا فَيُصْبِحُوا عَلَى مَا أَسَرُّوا فِي أَنْفُسِهِمْ نَادِمِينَ

আরবি উচ্চারণ ৫২। ফাতারাল্লাযীনা ফী কুলূবিহিম্ মারাদ্বুইঁ ইয়ুছা-রি‘ঊনা ফীহিম্ ইয়াকুলূনা নাখ্শা য় আন্ তুছীবানা-দা – য়িরাহ্; ফা‘আসাল্লা-হু আইঁ ইয়াতিয়া বিল্ ফাত্হি আও আম্রিম্মিন্ ‘ইন্দিহী ফাইয়ুছ্বিহূ ‘আলা-মা য় আর্সারূ-ফী য় আন্ফুসিহিম্ না-দিমীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৫২ সুতরাং তুমি দেখতে পাবে, যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, তারা কাফিরদের মধ্যে (বন্ধুত্বের জন্য) ছুটছে। তারা বলে, ‘আমরা আশঙ্কা করছি যে, কোন বিপদ আমাদেরকে আসান্ত করবে’। অতঃপর হতে পারে আল্লাহ দান করবেন বিজয় কিংবা তাঁর পক্ষ থেকে এমন কিছু যার ফলে তারা তাদের অন্তরে যা লুকিয়ে রেখেছে, তাতে লজ্জিত হবে।

5:53 وَيَقُولُ الَّذِينَ آمَنُوا أَهَؤُلَاءِ الَّذِينَ أَقْسَمُوا بِاللَّهِ جَهْدَ أَيْمَانِهِمْ إِنَّهُمْ لَمَعَكُمْ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فَأَصْبَحُوا خَاسِرِينَ

আরবি উচ্চারণ ৫৩। অ ইয়াকুলুল্লাযীনা আ-মানূ য় আহা য় উলা – য়িল্লাযীনা আক্ব সামূ বিল্লা-হি জ্বাহ্দা আইমা-নিহিম্ ইন্নাহুম্ লামা‘আকুম্ হাবিত্বোয়াত্ আ’মা-লুহুম্ ফাআছ্বাহূ খা-সিরীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৫৩ আর মুমিনগণ বলবে, ‘এরাই কি তারা, যারা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করেছে যে, নিশ্চয় তারা তোমাদেও সাথে আছে’? তাদের আমলসমূহ বরবাদ হয়েছে, ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

5:54 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَنْ يَرْتَدَّ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৫৪। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ মাইঁ ইর্য়াতাদ্দা মিন্কুম্ ‘আন্ দীনিহী ফাসাওফা ইয়াতিল্লা-হু বিক্বাওমিইঁ ইয়ুহিব্বুহুম্ অ ইয়ুহিব্বূ নাহূ য় আযিল্লাতিন্ ‘আলাল্ মুমিনীনা আ‘ইয্যাতিন্ ‘আলাল্ কা-ফিরীনা ইয়ুজ্বা-হিদূনা ফী সাবীলিল্লা-হি অলা- ইয়াখা-ফূনা লাওমাতা লা – য়িম্; যা-লিকা ফাদ্ব্লুল্লা-হি ইয়ু‘’তীহি মাইঁ ইয়াশা – উ; অল্লা-হু অ-সি‘উন্ ‘আলীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৫৪ হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার দীন থেকে ফিরে যাবে তাহলে অচিরেই আল্লাহ এমন কওমকে আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুমিনদের উপর বিনমর এবং কাফিরদের উপর কঠোর হবে। আল্লাহর রাস্তায় তারা জিহাদ করবে এবং কোন কটাক্ষকারীর কটাক্ষকে ভয় করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে তা দান করেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।

5:55 إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ

আরবি উচ্চারণ ৫৫। ইন্নামা- অলিয়্যুকুমুল্লা-হু অরাসূলুহূ অল্লাযীনা আ-মানুল্লাযীনা ইয়ুক্বীমূনাছ্ ছলা-তা অইয়ুতূনায্ যাকা-তা অহুম্ রা-কি‘ঊ ন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৫৫ তোমাদের বন্ধু কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনগণ, যারা সালাত কায়েম করে এবং যাকাত প্রদান করে বিনীত হয়ে।

5:56 وَمَنْ يَتَوَلَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا فَإِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْغَالِبُونَ

আরবি উচ্চারণ ৫৬। অমাইঁ ইয়াতাঅল্লা-হা অরাসূলাহূ অল্লাযীনা আ-মানূ ফাইন্না হিয্বাল্লা-হি হুমুল্ গা-লিবূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৫৬ আর যে আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনদের সাথে বন্ধুত্ব করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহর দলই বিজয়ী।

5:57 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِينَ اتَّخَذُوا دِينَكُمْ هُزُوًا وَلَعِبًا مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَالْكُفَّارَ أَوْلِيَاءَ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ

আরবি উচ্চারণ ৫৭। ইয়া য় আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা- তাত্তাখিযুল্লাযী নাত্ তাখাযূ দীনাকুম্ হুযুওয়াওঁ অলা‘ইবাঁম্ মিনাল্লাযীনা ঊতুল্ কিতা-বা মিন্ ক্বাব্লিকুম্ অল্ কুফ্ফা-রা আওলিয়া – য়া অত্তাকুল্লা-হা ইন্ কুন্তুম্ মুমিনীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৫৭ হে মুমিনগণ, তোমরা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যারা তোমাদের দীনকে উপহাস ও খেল- তামাশারূপে গ্রহণ করেছে, তাদের মধ্য থেকে তোমাদের পূবের্ যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে ও কাফিরদেরকে। আর আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক।

5:58 وَإِذَا نَادَيْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ اتَّخَذُوهَا هُزُوًا وَلَعِبًا ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَا يَعْقِلُونَ

আরবি উচ্চারণ ৫৮। অ ইযা- না-দাইতুম্ ইলাছ্ ছোয়ালা-তিত্ তাখাযূহা- হুযুওয়াওঁ অলা‘ইবা-; যা-লিকা বিআন্নাহুম্ ক্বাওমুল্লা- ইয়া’ক্বিলূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৫৮ আর যখন তোমরা সালাতের দিকে ডাক, তখন তারা একে উপহাস ও খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করে। তা এই কারণে যে, তারা এমন কওম, যারা বুঝে না।

5:59 قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ هَلْ تَنْقِمُونَ مِنَّا إِلَّا أَنْ آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلُ وَأَنَّ أَكْثَرَكُمْ فَاسِقُونَ

আরবি উচ্চারণ ৫৯। কুল্ ইয়া য় আহ্লাল্ কিতা-বি হাল্ তান্ক্বিমূনা মিন্না য় ইল্লা য় আন্ আ-মান্না- বিল্লা-হি অমা য় ঊনযিলা ইলাইনা- অমা য় ঊন্যিলা মিন্ ক্বাব্লু অ আন্না আক্ছারাকুম্ ফা-সিকুন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৫৯ বল, ‘হে কিতাবীরা, কেবল এ কারণে কি তোমরা আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ কর যে, আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং যা আমাদের প্রতি নাযিল হয়েছে এবং পূবের্ নাযিল হয়েছে তার প্রতি? আর নিশ্চয় তোমাদের অধিকাংশ ফাসিক।’

5:60 قُلْ هَلْ أُنَبِّئُكُمْ بِشَرٍّ مِنْ ذَلِكَ مَثُوبَةً عِنْدَ اللَّهِ مَنْ لَعَنَهُ اللَّهُ وَغَضِبَ عَلَيْهِ وَجَعَلَ مِنْهُمُ الْقِرَدَةَ وَالْخَنَازِيرَ وَعَبَدَ الطَّاغُوتَ أُولَئِكَ شَرٌّ مَكَانًا وَأَضَلُّ عَنْ سَوَاءِ السَّبِيلِ

আরবি উচ্চারণ ৬০। কুল্ হাল্ উনাব্বিউকুম্ বির্শারিম্ মিন্ যা-লিকা মাছুবাতান্ ‘ইন্দাল্লা-হ্; মাল্লা‘আনাহুল্লা-হু অগাদ্বিবা ‘আলাইহি অজ্বা‘আলা মিন্হুমুল্ ক্বিরাদাতা অল্খানা-যীরা অ‘আবাদা ত্ত্বোয়া-গূত্; উলা- য়িকা র্শারুম্ মাকা-নাওঁ অ আদ্বোয়াল্লু ‘আন্ সাওয়া – ইস্ সাবীল্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৬০ বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে আল্লাহর নিকট পরিণতির বিচারে এর চেয়ে মন্দ কিছুর সংবাদ দেব? যাকে আল্লাহ লানত দিয়েছেন এবং যার উপর তিনি সোধান্বিত হয়েছেন? আর যাদের মধ্য থেকে বাঁদর ও শূকর বানিয়েছেন এবং তারা তাগূতের উপাসনা করেছে। তারাই অবস্থানে মন্দ এবং সোজা পথ থেকে সর্বাধিক বিচ্যুত’।

5:61 وَإِذَا جَاءُوكُمْ قَالُوا آمَنَّا وَقَدْ دَخَلُوا بِالْكُفْرِ وَهُمْ قَدْ خَرَجُوا بِهِ وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا يَكْتُمُونَ

আরবি উচ্চারণ ৬১। অইযা-জ্বা – ঊ-কুম্ ক্বা-লূ য় আ-মান্না- অক্বাদ্ দাখালূ বিল্কুফ্রি অহুম্ ক্বাদ্ খারাজু বিহ্; অল্লা-হু আ’লামু বিমা- কা-নূ ইয়াক্তুমূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৬১ আর যখন তারা তোমাদের নিকট আসে, তখন বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’। অথচ অবশ্যই তারা কুফরী নিয়ে প্রবেশ করেছে এবং তারা তা নিয়েই বেরিয়ে গেছে। আর আল্লাহ সে সম্পকের্ অধিক জ্ঞাত, যা তারা গোপন করত।

5:62 وَتَرَى كَثِيرًا مِنْهُمْ يُسَارِعُونَ فِي الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَأَكْلِهِمُ السُّحْتَ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

আরবি উচ্চারণ ৬২। অতারা- কাছীরাঁম্ মিন্হুম্ ইয়ুসা-রি‘ঊনা ফিল্ ইছ্মি অল্ ‘উদ্ওয়া-নি অ আক্লিহিমুস্ সুহ্তা লাবিসা মা-কা-নূ ইয়া’মালূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৬২ আর তুমি তাদের মধ্য থেকে অনেককে দেখতে পাবে যে, তারা পাপে, সীমালঙ্ঘনে এবং হারাম ভক্ষণে ছুটোছুটি করছে। তারা যা করছে, নিশ্চয় তা কতইনা মন্দ!

5:63 لَوْلَا يَنْهَاهُمُ الرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ عَنْ قَوْلِهِمُ الْإِثْمَ وَأَكْلِهِمُ السُّحْتَ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَصْنَعُونَ

আরবি উচ্চারণ ৬৩। লাওলা- ইয়ান্হা-হুর্মু রব্বা-নিইয়্যূনা অল্ আহ্বা-রু ‘আন্ ক্বাওলিহিমুল্ ইছ্মা অ আক্লিহিমুস্ সুহ্তা; লাবিসা মা- কা-নূ ইয়াছ্না‘ঊন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৬৩ কেন তাদেরকে রব্বানী ও ধর্মবিদগণ তাদের পাপের কথা ও হারাম ভক্ষণ থেকে নিষেধ করে না? তারা যা করছে, নিশ্চয় তা কতইনা মন্দ!

5:64 وَقَالَتِ الْيَهُودُ يَدُ اللَّهِ مَغْلُولَةٌ غُلَّتْ أَيْدِيهِمْ وَلُعِنُوا بِمَا قَالُوا بَلْ يَدَاهُ مَبْسُوطَتَانِ يُنْفِقُ كَيْفَ يَشَاءُ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا وَأَلْقَيْنَا بَيْنَهُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُفْسِدِينَ

আরবি উচ্চারণ ৬৪। অ ক্বা-লাতিল্ ইয়াহূদু ইয়াদুল্লা-হি মাগ্লূলাতুন্; গুল্লাত্ আইদীহিম্ অলু‘ইনূ বিমা-ক্বা-লূ। বাল্ ইয়াদা-হু মাব্সূত্বোয়াতা-নি ইয়ুন্ফিকু কাইফা ইয়াশা – উ; অলাইয়াযীদান্না কাছীরাঁম্ মিন্হুম্ মা য় উন্যিলা ইলাইকা র্মিরব্বিকা তুগ্ইয়া-নাঁও অ কুফ্রা-; অ আল্ক্বাইনা- বাইনাহুমুল্ আ’দা-ওয়াতা অল্বাগ্দ্বোয়া – য়া ইলা- ইয়াওমিল্ ক্বিয়া-মাহ্; কুল্লামা য় আও ক্বাদূ না-রাল লির্ল্হাবি আত্ব্ফা আহাল্লা-হু অ ইয়াস্‘আওনা ফিল্ র্আদ্বি ফাসা-দা-; অল্লা-হু লা- ইয়ুহিব্বুল্ মুফ্সিদীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৬৪ আর ইয়াহূদীরা বলে, ‘আল্লাহর হাত বাঁধা’। তাদেও হাতই বেঁধে দেয়া হয়েছে এবং তারা যা বলেছে, তার জন্য তারা লা‘নতগ্রস্ত হয়েছে। বরং তার দু হাত প্রসারিত। যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন এবং তোমার উপর তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে তা তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফরী বাড়িয়েই দিচ্ছে। আর আমি তাদের মধ্যে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত শত্রুতা ও ঘৃনা ঢেলে দিয়েছি। যখনই তারা যুদ্ধেও আগুন প্রজ্বলিত করে, আল্লাহ তা নিভিয়ে দেন। আর তারা যমীনে ফাসাদ করে বেড়ায় এবং আল্লাহ ফাসাদকারীদের ভালবাসেন না।

5:65 وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْكِتَابِ آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَكَفَّرْنَا عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَلَأَدْخَلْنَاهُمْ جَنَّاتِ النَّعِيمِ

আরবি উচ্চারণ ৬৫। অলাও আন্না আহ্লাল্ কিতা-বি আ-মানূ অত্তাক্বাও লাকার্ফ্ফানা- ‘আন্হুম্ সাইয়্যিআ-তিহিম্ অলাআদ্খাল্না-হুম্ জ্বান্না-তিন্ না‘ঈম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৬৫ আর যদি কিতাবীরা ঈমান আনত এবং তাকওয়া অবলম্বন করত তবে অবশ্যই আমি তাদের থেকে পাপগুলো দূর করে দিতাম এবং অবশ্যই তাদেরকে আরামদায়ক জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাতাম।

5:66 وَلَوْ أَنَّهُمْ أَقَامُوا التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ مِنْ رَبِّهِمْ لَأَكَلُوا مِنْ فَوْقِهِمْ وَمِنْ تَحْتِ أَرْجُلِهِمْ مِنْهُمْ أُمَّةٌ مُقْتَصِدَةٌ وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ سَاءَ مَا يَعْمَلُونَ

আরবি উচ্চারণ ৬৬। অলাও আন্নাহুম্ আক্বা-মুত তাওরা-তা অল্ ইন্জ্বীলা অমা য় উন্যিলা ইলাইহিম্ র্মি রব্বিহিম্ লাআকালূ মিন্ ফাওক্বিহিম্ অমিন্ তাহ্তি র্আজুলিহিম্; মিন্হুম্ উম্মাতুম্ মুক্ব তাছিদাহ্; অকাছীরুম্ মিন্হুম্ সা – য়া মা-ইয়া’মালূন।

বাংলা অনুবাদ ৫.৬৬ আর যদি তারা তাওরাত, ইনজীল ও তাদের নিকট তাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা কায়েম করত, তবে অবশ্যই তারা আহার করত তাদেও উপর থেকে এবং তাদের পদতল থেকে। তাদের মধ্য থেকে সঠিক পথের অনুসারী একটি দল রয়েছে এবং তাদের অনেকেই যা করছে, তা কতইনা মন্দ!

5:67 يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ

আরবি উচ্চারণ ৬৭। ইয়া য় আইয়্যুর্হা রাসূলু বাল্লিগ্ মা য় উন্যিলা ইলাইকা র্মি রব্বিক্; অইল্ লাম্ তাফ্‘আল্ ফামা-বাল্লাগ্তা রিসা-লাতাহ্; অল্লা-হু ইয়া’ছিমুকা মিনান্না-স্; ইন্নাল্লা-হা লা- ইয়াহ্দিল্ ক্বাওমাল্ কা-ফিরীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৬৭ হে রাসূল, তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা নাযিল করা হয়েছে, তা পৌঁছে দাও আর যদি তুমি না কর তবে তুমি তাঁর রিসালাত পৌঁছালে না। আর আল্লাহ তোমাকে মানুষ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না।

5:68 قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّى تُقِيمُوا التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلَا تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

আরবি উচ্চারণ ৬৮। কুল্ ইয়া য় আহ্লাল্ কিতা-বি লাস্তুম্ ‘আলা-শাইয়িন্ হাত্তা- তুক্বীমুত তাওরা-তা অল্ ইন্জ্বীলা অমা য় উন্যিলা ইলাইকুম্ র্মি রব্বিকুম্; অলাইয়াযীদান্না কাছীরাম্ মিন্হুম্ মা য় উন্যিলা ইলাইকা র্মি রব্বিকা তুগ্ইয়া-নাঁও অকুফ্রান্, ফালা-তা”সা ‘আলাল্ ক্বাওমিল্ কা-ফিরীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৬৮ বল, ‘হে কিতাবীরা, তোমরা কোন ভিত্তির উপর নেই, যতক্ষণ না তোমরা তাওরাত, ইনজীল ও তোমাদেও নিকট তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা কায়েম কর’। আর তোমার নিকট তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা তাদেও অনেকের অবাধ্যতা ও কুফরী বৃদ্ধি করবে। সুতরাং তুমি কাফির কওমের উপর হতাশ হয়ো না।

5:69 إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَادُوا وَالصَّابِئُونَ وَالنَّصَارَى مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَعَمِلَ صَالِحًا فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

আরবি উচ্চারণ ৬৯। ইন্না ল্লাযীনা আ-মানূ অল্লাযীনা হা-দূ অছ্ছোয়া-বিয়ূনা- অন্নাছোয়া-রা- মান্ আ-মানা বিল্লা-হি অল্ ইয়াওমিল্ আ-খিরি অ‘আমিলা ছোয়া-লিহান্ ফালা-খাওফুন্ ‘আলাইহিম্ অলা-হুম্ ইয়াহ্যানূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৬৯ নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, ইয়াহূদী হয়েছে এবং সাবিঈ ও নাসারারা (তাদের মধ্য থেকে) যে ঈমান এনেছে আল্লাহ ও আখিরাত দিবসে এবং নেককাজ করেছে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না।

5:70 لَقَدْ أَخَذْنَا مِيثَاقَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَأَرْسَلْنَا إِلَيْهِمْ رُسُلًا كُلَّمَا جَاءَهُمْ رَسُولٌ بِمَا لَا تَهْوَى أَنْفُسُهُمْ فَرِيقًا كَذَّبُوا وَفَرِيقًا يَقْتُلُونَ

আরবি উচ্চারণ ৭০। লাক্বাদ আখায্না- মীছা-ক্বা বানী য় ইসরা – য়ীলা অ র্আসাল্না য় ইলাইহিম্ রুসুলা-; ‘কুল্লামা- জ্বা – য়াহুম্ রাসূলুম্ বিমা- লা- তাহ্ওয়া য় আন্ফুসুহুম্ ফারীক্বান্ কায্যাবূ অফারীক্বাঁই ইয়াক্ব তুলূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৭০ অবশ্যই আমি বনী ইসরাঈলের অঙ্গীকার নিয়েছি এবং তাদের নিকট পাঠিয়েছি অনেক রাসূল। যখনই তাদেও নিকট কোন রাসূল এমন কিছু নিয়ে এসেছে, যা তাদেও মন চায় না, তখন তারা একদলকে অস্বীকার করেছে এবং একদলকে হত্যা করেছে।

5:71 وَحَسِبُوا أَلَّا تَكُونَ فِتْنَةٌ فَعَمُوا وَصَمُّوا ثُمَّ تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ثُمَّ عَمُوا وَصَمُّوا كَثِيرٌ مِنْهُمْ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِمَا يَعْمَلُونَ

আরবি উচ্চারণ ৭১। অ হাসিবূ য় আল্লা-তাকূনা ফিত্নাতুন্ ফা‘আমূ অ ছোয়াম্মূ ছুম্মা তা-বাল্লা-হু ‘আলাইহিম্ ছুম্মা ‘আমূ অ ছোয়াম্মূ কাছীরুম্ মিন্হুম্ অল্লা-হু বাছীরুঁম্ বিমা-ইয়া’মালূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৭১ আর তারা ভেবেছে যে, কোন বিপর্যয় হবে না। ফলে তারা অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তাদের তাওবা কবূল করেছেন। অতঃপর তাদেও অনেকে অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছে। আর তারা যা আমল করে আল্লাহ তার দ্রষ্টা।

5:72 لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ وَقَالَ الْمَسِيحُ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ

আরবি উচ্চারণ ৭২। লাক্বাদ্ কাফারাল্লাযীনা ক্বা- লূ য় ইন্নাল্লা-হা হুওয়াল্ মাসীহুব্নু র্মাইয়াম্; অক্বা-লাল্ মাসীহু ইয়া-বানী য় ইসরা – ঈলা’বুদুল্লা-হা রব্বী অরব্বাকুম্; ইন্নাহূ মাঁই ইয়ুশ্রিক্ বিল্লা-হি ফাক্বাদ্ র্হারামাল্লা-হু ‘আলাইহিল্ জান্নাতা অমা”ওয়া-হুন্নার্-; অমা-লিজ্জোয়া-লিমীনা মিন্ আন্ছোয়ার্-।

বাংলা অনুবাদ ৫.৭২ অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলেছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ হচ্ছেন মারইয়াম পুত্র মাসীহ’। আর মাসীহ বলেছে, ‘হে বনী ইসরাঈল, তোমরা আমার রব ও তোমাদের রব আল্লাহর ইবাদাত কর’। নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তার উপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা আগুন। আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।

5:73 لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ ثَالِثُ ثَلَاثَةٍ وَمَا مِنْ إِلَهٍ إِلَّا إِلَهٌ وَاحِدٌ وَإِنْ لَمْ يَنْتَهُوا عَمَّا يَقُولُونَ لَيَمَسَّنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৭৩। লাকাদ্ কাফারাল্লাযীনা ক্বা-লূ য় ইন্না ল্লা-হা ছা-লিছু ছালা-ছাহ্। অমা-মিন্ ইলা-হিন্ ইল্লা য় ইলা-হুঁও ওয়া-হিদ্; অ ইল্লাম্ ইয়ান্তাহূ ‘আম্মা- ইয়াকুলূনা লাইয়ামাস্সান্না ল্লাযীনা কাফারূ মিন্হুম্ ‘আযা-বুন্ আলীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৭৩ অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তিন জনের তৃতীয়জন’। যদিও এক ইলাহ ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আর যদি তারা যা বলছে, তা থেকে বিরত না হয়, তবে অবশ্যই তাদের মধ্য থেকে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব স্পশর্ করবে।

5:74 أَفَلَا يَتُوبُونَ إِلَى اللَّهِ وَيَسْتَغْفِرُونَهُ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৭৪। আফালা- ইয়াতূবূনা ইলাল্লা-হি অ ইয়াস্তাগ্ফিরূনাহ্; অল্লা-হু গাফূর্রু রাহীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৭৪ সুতরাং তারা কি আল্লাহর নিকট তাওবা করবে না এবং তাঁর নিকট ক্ষমা চাইবে না? আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

5:75 مَا الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ وَأُمُّهُ صِدِّيقَةٌ كَانَا يَأْكُلَانِ الطَّعَامَ انْظُرْ كَيْفَ نُبَيِّنُ لَهُمُ الْآيَاتِ ثُمَّ انْظُرْ أَنَّى يُؤْفَكُونَ

আরবি উচ্চারণ ৭৫। মাল্মাসীহুব্নু র্মাইয়ামা ইল্লা- রাসূলুন্ ক্বাদ্ খালাত্ মিন্ ক্বাব্লির্হি রুসুল্; অ উম্মুহূ ছিদ্দীক্বাহ্; কা-না- ইয়া”কুলা-নি ত্ত্বোয়া‘আ-ম্; উর্ন্জু কাইফা নুবাইয়্যিনু লাহুমুল্ আ-ইয়া-তি ছুম্মার্ন্জু আন্না-ইয়ু”ফাকূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৭৫ মারইয়াম পুত্র মাসীহ কেবল একজন রাসূল। তার পূবের্ অনেক রাসূল বিগত হয়েছে এবং তার মা ছিল অতি সত্যবাদী। তারা উভয়ে খাবার খেত। দেখ, কীভাবে আমি তাদের জন্য আয়াতসমূহ বর্ণনা করছি। অতঃপর দেখ, কীভাবে তাদেরকে সত্যবিমখু করা হচ্ছে।

5:76 قُلْ أَتَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَمْلِكُ لَكُمْ ضَرًّا وَلَا نَفْعًا وَاللَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

আরবি উচ্চারণ ৭৬। কুল্ আতা’বুদূনা মিন্ দূনিল্লা-হি মা-লা-ইয়াম্লিকু লাকুম্ দ্বোর্য়ারাঁও অলা-নাফ্‘আ-; অল্লা-হু হুওয়াস্ সামী‘উল্ ‘আলীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৭৬ বল, ‘তোমরা কি আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর ইবাদাত করবে, যা তোমাদের জন্য কোন ক্ষতি ও উপকারের ক্ষমতা রাখে না? আর আল্লাহ, তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’।

 5:77 قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَا تَغْلُوا فِي دِينِكُمْ غَيْرَ الْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعُوا أَهْوَاءَ قَوْمٍ قَدْ ضَلُّوا مِنْ قَبْلُ وَأَضَلُّوا كَثِيرًا وَضَلُّوا عَنْ سَوَاءِ السَّبِيلِ

আরবি উচ্চারণ ৭৭। কুল্ ইয়া য় আহ্লাল্ কিতা-বি লা- তাগ্লূ ফী দীনিকুম্ গাইরাল্ হাক্ব ক্বি অলা-তাত্তাবি‘ঊ য় আহ্ওয়া – য়া ক্বাওমিন্ ক্বাদ্ দ্বোয়াল্ল মিন্ ক্বাব্লু অআদ্বোয়াল্লূ কাছীরাঁও অদ্বোয়াল্লূ ‘আন্ সাওয়া – য়িস্ সাবীল্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৭৭ বল, ‘হে কিতাবীরা, সত্য ছাড়া তোমরা তোমাদেও ধর্মের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করো না এবং এমনকওমের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, যারা পূবের্ পথভ্রষ্ট হয়েছে, আর অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে এবং সোজা পথবিচ্যুত হয়েছে।

5:78 لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ

আরবি উচ্চারণ ৭৮। লু ‘ইনাল্লাযীনা কাফারূ মিম্ বানী য় ইসরা – ঈলা ‘আলা-লিসা-নি দা-য়ূদা অ‘ঈসাব্নি র্মাইয়াম্; যা-লিকা বিমা-‘আছোয়াও অকা-নূ ইয়া’তাদূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৭৮ বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদেরকে দাঊদ ও মারইয়াম পুত্র ঈসার মুখে লা‘নত করাহয়েছে। তা এ কারণে যে, তারা অবাধ্য হয়েছে এবংতারা সীমালঙ্ঘন করত।

5:79 كَانُوا لَا يَتَنَاهَوْنَ عَنْ مُنْكَرٍ فَعَلُوهُ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَفْعَلُونَ

আরবি উচ্চারণ ৭৯। কা-নূ লা-ইয়াতানা-হাওনা ‘আম্মুন্কারিন্ ফা‘আলূহ্; লাবি”সা মা-কা-নূ ইয়াফ্‘আলূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৭৯ তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত। তারা যা করত, তা কতইনা মন্দ!

5:80 تَرَى كَثِيرًا مِنْهُمْ يَتَوَلَّوْنَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَبِئْسَ مَا قَدَّمَتْ لَهُمْ أَنْفُسُهُمْ أَنْ سَخِطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَفِي الْعَذَابِ هُمْ خَالِدُونَ

আরবি উচ্চারণ ৮০। তারা- কাছীরাঁম্ মিনহুম্ ইয়াতাঅল্লাওনাল্ লাযীনা কাফারূ; লাবি”সা মা-ক্বাদ্দামাত্ লাহুম্ আন্ফুসুহুম্ আন্ সাখিত্বোয়াল্লা-হু ‘আলাইহিম্ অফিল্ ‘আযা-বি হুম্ খা-লিদূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৮০ তাদের মধ্যে অনেককে তুমি দেখতে পাবে, যারা কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা যা নিজদের জন্যপেশ করেছে, তা কত মন্দ যে, আল্লাহ তাদের উপরসোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা আযাবেই স্থায়ী হবে।

5:81 وَلَوْ كَانُوا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالنَّبِيِّ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مَا اتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَاءَ وَلَكِنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ فَاسِقُونَ

আরবি উচ্চারণ ৮১। অলাও কা-নূ ইয়ু”মিনূনা বিল্লা-হি অন্নাবিয়্যি অমা য় ঊন্যিলা ইলাইহি মাত্তাখাযূহুম্ আওলিয়া – য়া অলা-কিন্না কাছীরাঁম্ মিন্হুম্ ফা-সিকুন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৮১ আর যদি তারা আল্লাহ ও নবীর প্রতি এবং যা তার নিকট নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি ঈমান রাখত, তবে তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করত না। কিন্তু তাদেও মধ্যে অনেকে ফাসিক।

5:82 لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِلَّذِينَ آمَنُوا الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا وَلَتَجِدَنَّ أَقْرَبَهُمْ مَوَدَّةً لِلَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ قَالُوا إِنَّا نَصَارَى ذَلِكَ بِأَنَّ مِنْهُمْ قِسِّيسِينَ وَرُهْبَانًا وَأَنَّهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُونَ

আরবি উচ্চারণ ৮২। লাতাজ্বিদান্না আশাদ্দান্না-সি ‘আদা-ওয়াতাল্লিল্লাযীনা আ-মানুল্ ইয়াহূদা অল্লাযীনা আশ্রাকূ অ লাতাজ্বিদান্না আক্ব রাবাহুম্ মাওয়্যাদ্দাতাল্ লিল্লাযীনা আ-মানু ল্লাযীনা ক্বা-লূ য় ইন্না- নাছোয়া-রা-; যা-লিকা বিআন্না মিন্হুম্ ক্বিস্সীসীনা অরুহ্বা-নাঁও অআন্নাহুম্ লা-ইয়াস্তাক্বিরূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৮২ তুমি অবশ্যই মুমিনদের জন্য মানুষের মধ্যে শত্রুতায়অধিক কঠোর পাবে ইয়াহূদীদেরকে এবং যারা র্শিককরেছে তাদেরকে। আর মুমিনদের জন্য বন্ধুত্বে মধ্যে নিকটতর পাবে তাদেরকে, যারা বলে, ‘আমরানাসারা’। তা এই কারণে যে, তাদের মধ্যে অনেকপণ্ডিত ও সংসারবিরাগী আছে এবং তারা নিশ্চয়অহঙ্কার করে না।

5:83 وَإِذَا سَمِعُوا مَا أُنْزِلَ إِلَى الرَّسُولِ تَرَى أَعْيُنَهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ مِمَّا عَرَفُوا مِنَ الْحَقِّ يَقُولُونَ رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ

আরবি উচ্চারণ ৮৩। অইযা-সামি‘ঊ মা য় উন্যিলা ইর্লা রাসূলি তারা য় আ’ইয়ুনাহুম্ তাফীদ্বু মিনাদ্ দাম্ই’ মিম্মা-আ’রাফূ মিনাল্ হাক্ব্ ক্বি ইয়াকুলূনা রব্বানা য় আ-মান্না- ফাক্তুব্না- মা‘আশ্ শা-হিদীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৮৩ ‘আর রাসূলের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে যখন তারাতা শুনে, তুমি দেখবে তাদের চক্ষ ু অশ্র“তে ভেসেযাচ্ছে, কারণ তারা সত্য হতে জেনেছে। তারা বলে,‘হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাংআপনি আমাদেরকে সাক্ষ্য দানকারীদের সঙ্গেলিপিবদ্ধ করুন’।

5:84 وَمَا لَنَا لَا نُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَمَا جَاءَنَا مِنَ الْحَقِّ وَنَطْمَعُ أَنْ يُدْخِلَنَا رَبُّنَا مَعَ الْقَوْمِ الصَّالِحِينَ

আরবি উচ্চারণ ৮৪। অমা- লানা- লা-নু”মিনু বিল্লা-হি অমা-জ্বা – য়ানা-মিনাল্ হাক্ব ক্বি অনাত্ব মা‘উ আঁই ইয়ুদ্খিলানা- রব্বুনা-মা‘আল্ ক্বাওমিছ্ ছোয়া-লিহীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৮৪ আর আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর প্রতিএবং যে সত্য আমাদের কাছে এসেছে তার প্রতিঈমান আনব না? আর আমরা আশা করব না যে,আমাদের রব আমাদেরকে প্রবেশ করাবেন নেককারসম্প্রদায়ের সাথে’।

5:85 فَأَثَابَهُمُ اللَّهُ بِمَا قَالُوا جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ جَزَاءُ الْمُحْسِنِينَ

আরবি উচ্চারণ ৮৫। ফাআছা-বাহুমুল্লা-হু বিমা- ক্বা-লূ জ্বান্না-তিন্ তাজ্ব রী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হা-রু খা-লিদীনা ফীহা-; অযা-লিকা জ্বাযা – য়ুল্ মুহ্সিনীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৮৫ সুতরাং তারা যা বলেছে এর কারণে আল্লাহ তাদেরকেপুরস্কার দেবেন জান্নাতসমূহ, যার নীচে নদীসমূহ প্রবাহিত হয়, তারা সেখানে স্থায়ী হবে। আর এটাহল সৎকমর্প রায়ণদের প্রতিদান।

5:86 وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ

আরবি উচ্চারণ ৮৬। অল্লাযীনা কাফারূ অকায্যাবূ বিআ-ইয়া-তিনা য় উঁলা – য়িকা আছ্হা-বুল্ জ্বাহীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৮৬ আর যারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারাই প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসী।

5:87 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَعْتَدُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ

আরবি উচ্চারণ ৮৭। ইয়া য় আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-তুর্হারিমূ ত্বোয়াইয়্যিবা-তি মা য় আহাল্লাল্লা-হু লাকুম্ অলা-তা’তাদূ; ইন্নাল্লা-হা লা- ইয়ুহিব্বুল্ মু’তাদীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৮৭ হে মুমিনগণ, আল্লাহ যে সব পবিত্র বস্তু তোমাদেরজন্য হালাল করেছেন, তোমরা তা হারাম করো নাএবং তোমরা সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহসীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।

5:88 وَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي أَنْتُمْ بِهِ مُؤْمِنُونَ

আরবি উচ্চারণ ৮৮। অকুলূ মিম্মা-রাযাক্বাকুমুল্লা-হু হালা-লান্ ত্বোয়াইয়্যিবাওঁ অত্তাকুল্লা-হাল্লাযী য় আন্তুম্ বিহী মুমিনূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৮৮ আর আহার কর আল্লাহ যা তোমাদের রিয্ক দিয়েছেনতা থেকে হালাল, পবিত্র ব¯।‘ আর তাকওয়া অবলম্বন কর আল্লাহর যার প্রতি তোমরা মুমিন।

5:89 لَا يُؤَاخِذُكُمُ اللَّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَكِنْ يُؤَاخِذُكُمْ بِمَا عَقَّدْتُمُ الْأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُوا أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

আরবি উচ্চারণ ৮৯। লা-ইয়ুয়া-খিযু কুমুল্লা-হু বিল্লাগ্ওয়ি ফী য় আইমা-নিকুম্ অলা-কিইঁ ইয়ুয়া-খিযুকুম্ বিমা-‘আক্ব্ক্বাত্তুমুল্ আইমা- না ফাকাফ্ফা-রাতুহূ য় ইত্ব্ ‘আ-মু ‘আশারাতি মাসা-কীনা মিন্ আওসাত্বি মা-তুত্ব্ ‘ইমূনা আহ্লীকুম্ আও-কিস্ অতুহুম্ আও তাহ্রীরু রাক্বাবাহ্; ফামা ল্লাম্ ইয়াজ্বিদ্ ফাছিয়া-মু ছালা-ছাতি আইয়্যা-ম্; যা-লিকা কাফ্ফা-রাত আইমা-নিকুম্ ইযা-হালাফ্তুম্; অহ্ফাজূ য় আইমা-নাকুম্; কাযা-লিকা ইয়ুবাইয়্যিনুল্লা-হু লাকুম্ আ-ইয়া-তিহী লা‘আল্লাকুম্ তাশ্কুরূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৮৯ আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদেরঅর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরাদৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকেপাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জনমিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার,যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্তকরা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিনসিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমেরকাফ্ফারা, যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরাতোমাদের কসম হেফাযত কর। এমনিভাবে আল্লাহতোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতেতোমরা শোকর আদায় কর।

5:90 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنْصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

আরবি উচ্চারণ ৯০। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ য় ইন্নামাল্ খাম্রু অল্মাইসিরু অল্ আন্ছোয়া-বু অল্ আয্লা-মু রিজ্বসুম্ মিন্ ‘আমালিশ্ শাইত্বোয়া-নি ফাজ্ব তানিবূহু লা‘আল্লাকুম্ তুফ্লিহূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৯০ হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ওভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কমর্। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরাসফলকাম হও।

5:91 إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ

আরবি উচ্চারণ ৯১। ইন্নামা- ইয়ুরীদুশ্ শাইত্বোয়া-নু আঁই ইয়ুক্বি‘আ বাইনাকুমুল্ ‘আদা-অতা অল্বাগ্দ্বোয়া – য়া ফিল্ খাম্রি অল্ মাইসিরি অইয়াছুদ্দাকুম্ ‘আন্ যিক্রিল্লা-হি অ‘আনিছ্ ছলা-তি ফাহাল্ আন্তুম্ মুন্তাহূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৯১ শয়তান শুধু মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতাও বিদ্বেষ সঞ্চার করতে চায়। আর (চায়) আল্লাহরস্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের বাধা দিতে।অতএব, তোমরা কি বিরত হবে না?

5:92 وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَاحْذَرُوا فَإِنْ تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّمَا عَلَى رَسُولِنَا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ

আরবি উচ্চারণ ৯২। অ আত্বী‘উল্লা-হা অআত্বী‘র্উ রাসূলা অহ্যারূ ফাইন্ তাঅল্লাইতুম্ ফা’লামূ য় আন্নামা- ‘আলা-রাসূলিনাল্ বালা-গুল্ মুবীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৯২ আর তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং আনগু ত্যকর রাসূলের আর সাবধান হও। তারপর যদি তোমরামখু ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রাখ যে, আমাররাসূলের দায়িত্ব শুধু সুস্পষ্ট প্রচার।

5:93 لَيْسَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا إِذَا مَا اتَّقَوْا وَآمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ ثُمَّ اتَّقَوْا وَآمَنُوا ثُمَّ اتَّقَوْا وَأَحْسَنُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ

আরবি উচ্চারণ ৯৩। লাইসা ‘আলাল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি জুনা-হুন্ ফীমা- ত্বোয়া‘ইমূ য় ইযা-মাত্তাক্বাও অ আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি ছুম্মাত্তাক্বাও অআ-মানূ ছুম্মাত্তাক্বাও অআহ্সানূ; অল্লা-হু ইয়ুহিব্বুল্ মুহ্সিনীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৯৩ যারা ঈমান এনেছে ও নেক আমল করেছে তারা যাআহার করেছে তাতে কোন পাপ নেই, যখন তারাতাকওয়া অবলম্বন করে এবং ঈমান আনে আর নেকআমল করে, তারপর তাকওয়া অবলম্বন করে ওঈমান আনে। এরপরও তারা তাকওয়া অবলম্বন করেএবং সৎকমর্ করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদেও ভালবাসেন।

5:94 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَيَبْلُوَنَّكُمُ اللَّهُ بِشَيْءٍ مِنَ الصَّيْدِ تَنَالُهُ أَيْدِيكُمْ وَرِمَاحُكُمْ لِيَعْلَمَ اللَّهُ مَنْ يَخَافُهُ بِالْغَيْبِ فَمَنِ اعْتَدَى بَعْدَ ذَلِكَ فَلَهُ عَذَابٌ أَلِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৯৪। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ লাইয়াব্লু অন্নাকুমুল্লা-হু বিশাইয়িম্ মিনাছ্ ছোয়াইদি তানা-লুহূ য় আইদীকুম্ অরিমা-হুকুম্ লিইয়া’লামাল্লা-হু মাঁই ইয়্যাখা-ফুহূ বিল্গাইবি ফামানি’তাদা- বা’দা যা-লিকা, ফালাহূ ‘আযা-বুন্ আলীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৯৪ হে মুমিনগণ, অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে পরীক্ষাকরবেন শিকারের এমন বস্তু দ্বারা তোমাদের হাত ও বর্শা যার নাগাল পায়, যাতে আল্লাহ জেনে নেন কে তাঁকে গায়েবের সাথে ভয় করে। সুতরাং এরপর যে সীমালঙ্ঘন করবে তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়কআযাব

5:95 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَقْتُلُوا الصَّيْدَ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا فَجَزَاءٌ مِثْلُ مَا قَتَلَ مِنَ النَّعَمِ يَحْكُمُ بِهِ ذَوَا عَدْلٍ مِنْكُمْ هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ أَوْ كَفَّارَةٌ طَعَامُ مَسَاكِينَ أَوْ عَدْلُ ذَلِكَ صِيَامًا لِيَذُوقَ وَبَالَ أَمْرِهِ عَفَا اللَّهُ عَمَّا سَلَفَ وَمَنْ عَادَ فَيَنْتَقِمُ اللَّهُ مِنْهُ وَاللَّهُ عَزِيزٌ ذُو انْتِقَامٍ

আরবি উচ্চারণ ৯৫। ইয়া য় আইয়্যুহাল্ লাযীনা আ-মানূ লা-তাক্ব ্তুলুছ্ ছোয়াইদা অআন্তুম্ হুরুম্; অমান্ ক্বাতালাহূ মিন্কুম্ মুতা‘আম্মিদান্ ফাজ্বাযা – য়ুম্ মিছ্লু মা-ক্বাতালা মিনান্ না‘আমি ইয়াহ্কুমু বিহী যাঅ ‘আদ্লিম্ মিন্কুম্ হাদ্ইয়াম বা-লিগাল্ কা’বাতি আও কাফ্ফা-রাতুন্ ত্বোয়া‘আ-মু মাসা-কীনা আও ‘আদ্লু যা-লিকা ছিয়া-মাল্লিইয়াযূক্বা অবা-লা আম্রিহ্; ‘আফাল্লা-হু ‘আম্মা-সালাফ্; অমান্ ‘আ-দা ফাইয়ান্তাক্বিমুল্লা-হু মিন্হু; অল্লা-হু ‘আযীযুন যুনতিক্বা- ম।

বাংলা অনুবাদ ৫.৯৫ হে মুমিনগণ, ইহরামে থাকা অবস্থায় তোমরাশিকারকে হত্যা করো না এবং যে তোমাদের মধ্যেইচ্ছাকৃতভাবে তা হত্যা করবে তার বিনিময় হল যাহত্যা করেছে, তার অনুরূপ গৃহপালিত পশু, যারফয়সালা করবে তোমাদের মধ্যে দুজন ন্যায়পরায়ণলোক- কুরবানীর জন্তু ‘ হিসাবে কা’বায় পৌঁছতেহবে। অথবা মিসকীনকে খাবার দানের কাফ্ফারাকিংবা সমসংখ্যক সিয়াম পালন, যাতে সে নিজকর্মের শাস্তি আস্বাদন করে। যা গত হয়েছে তাআল্লাহ ক্ষমা করেছেন। যে পুনরায় করবে আল্লাহতার থেকে প্রতিশোধ নেবেন। আর আল্লাহমহাপরাসমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।

5:96 أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ وَطَعَامُهُ مَتَاعًا لَكُمْ وَلِلسَّيَّارَةِ وَحُرِّمَ عَلَيْكُمْ صَيْدُ الْبَرِّ مَا دُمْتُمْ حُرُمًا وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ

আরবি উচ্চারণ ৯৬। উহিল্লা লাকুম্ ছোয়াইদুল্ বাহ্রি অত্বোয়া‘আ-মূহূ মাতা-‘আল্লাকুম্ অলিস্সাইয়্যা-রাতি, অর্হুরিমা ‘আলাইকুম্ ছোয়াইদুল্ র্বারি মা-দুম্তুম্ হুরুমা-; অত্তাকুল্লা-হাল্লাযী য় ইলাইহি তুহ্শারূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৯৬ তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে সমুদ্রের শিকার ওতার খাদ্য; তোমাদের ও মুসাফিরদের ভোগের জন্য।আর স্থলের শিকার তোমাদের উপর হারাম করাহয়েছে যতক্ষণ তোমরা ইহরাম অবস্থায় থাক। আরতোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যার দিকেতোমাদেরকে একত্র করা হবে।

5:97 جَعَلَ اللَّهُ الْكَعْبَةَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ قِيَامًا لِلنَّاسِ وَالشَّهْرَ الْحَرَامَ وَالْهَدْيَ وَالْقَلَائِدَ ذَلِكَ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَأَنَّ اللَّهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৯৭। জ্বা ‘আলাল্লা-হুল্ ক্বা’বাতাল্ বাইতাল্ হারা-মা ক্বিয়া-মাল্ লিন্না-সি অশ্শাহ্রাল্ হারা-মা অল্হাদ্ইয়া অল্ক্বালা – য়িদ্; যা-লিকা লিতা’লামূ য় আন্নাল্লা-হা ইয়া’লামু মা -ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা- ফিল্ র্আদ্বি অ আন্নাল্লা-হা বিকুল্লি শাইয়িন্ ‘আলীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৯৭ আল্লাহ সম্মানিত গৃহ কা‘বাকে, সম্মানিত মাসকে২৩,হাদয়ি২৪ ও কালায়িদ২৫কেও মানুষের কল্যাণের জন্যপ্রতিষ্ঠা করেছেন। এটা এ জন্য যে, তোমরা যেনজানতে পার, আল্লাহ আসমানসমূহে যা আছে এবংযমীনে যা আছে তা জানেন। আর আল্লাহ সব কিছুসম্পকের্ সম্যক জ্ঞাত।

5:98 اعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ وَأَنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ৯৮। ই’লামূ য় আন্নাল্লা-হা শাদীদুল্ ‘ইক্বা-বি অআন্নাল্লা-হা গাফূর্রূ রাহীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৯৮ জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর আরনিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

5:99 مَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تُبْدُونَ وَمَا تَكْتُمُونَ

আরবি উচ্চারণ ৯৯। মা- ‘আর্লা রাসূলি ইল্লাল্ বালা-গ্; অল্লা-হু ইয়া’লামু মা-তুব্দূনা অমা-তাক্তুমূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.৯৯ প্রচার ব্যতীত রাসূলের কোন দায়িত নেই। আরতোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আল্লাহতা জানেন।

5:100 قُلْ لَا يَسْتَوِي الْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ وَلَوْ أَعْجَبَكَ كَثْرَةُ الْخَبِيثِ فَاتَّقُوا اللَّهَ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

আরবি উচ্চারণ ১০০। কুল্ লা-ইয়াস্তাওয়িল্ খাবীছু অত্ত্বোয়াইয়িবু অলাও আ’জ্বাবাকা কাছ্রাতুল্ খাবীছি, ফাত্তাক্ব ুল্লা-হা ইয়া য় উলিল্ আল্বা-বি লা‘আল্লাকুম্ তুফ্লিহূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১০০ বল, ‘অপবিত্র ও পবিত্র সমান নয়, যদিও অপবিত্রেরআধিক্য তোমাকে মগ্ধু করে। অতএব হে বুদ্ধিমানব্যক্তিরা, আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। যাতে তোমরা সফলকাম হও’।

5:101 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِنْ تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

আরবি উচ্চারণ ১০১। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ লা-তাস্আলূ ‘আন্ আশ্ইয়া – য়া ইন্ তুব্দালাকুম্ তাসুকুম্ অইন্ তাস্আলূ ‘আন্হা- হীনা ইয়ুনায্যালুল্ কুরআ-নু তুব্দা লাকুম্; ‘আফাল্লা-হু ‘আন্হা-; অল্লা-হু গাফূরুন্ হালীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১০১ হে মুমিনগণ, তোমরা এমন বিষয়াবলী সম্পকের্ প্রশ ড়ব করো না যা তোমাদের কাছে প্রকাশ করা হলে তাতোমাদেরকে পীড়া দেবে। আর কুরআন অবতরণকালে যদি তোমরা সে সম্পকের্ প্রশস্থ কর তাহলে তা তোমাদের জন্য প্রকাশ করা হবে। আল্লাহ তা ক্ষমাকরেছেন। আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম সহনশীল।

5:102 قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِنْ قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ

আরবি উচ্চারণ ১০২। ক্বাদ্ সাআলাহা-ক্বাওমুম্ মিন্ ক্বাব্লিকুম্ ছুম্মা আছবাহূ বিহা- কা- ফিরীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১০২ তোমাদের পূবের্ একটি কওম এরূপ প্রশ ড়ব করেছিল; তারপর তারা এর কারণে কাফির হয়ে গেল।

5:103 مَا جَعَلَ اللَّهُ مِنْ بَحِيرَةٍ وَلَا سَائِبَةٍ وَلَا وَصِيلَةٍ وَلَا حَامٍ وَلَكِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَأَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ

আরবি উচ্চারণ ১০৩। মা- জ্বা‘আলাল্লা-হু মিম্ বাহীরাতিঁও অলা-সা – য়িবাতিঁও অলা-অছীলাতিওঁ অলা-হা-মিওঁ অলা-কিন্নালাযীনা কাফারূ ইয়াফ্তা রূনা আলাল্লা-হিল্ কাযিব্; অআক্ছারুহুম্ লা-ইয়া’ক্বিলূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১০৩ আল্লাহ তৈরী করেননি বাহীরা, সায়েবা, ওয়াসীলা ও হাম। কিন্তু যারা কুফরী করেছে তারাআল্লাহর উপর মিথ্যা রটনা করে। আর তাদেরঅধিকাংশই বুঝে না।

5:104 وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا إِلَى مَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَإِلَى الرَّسُولِ قَالُوا حَسْبُنَا مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ شَيْئًا وَلَا يَهْتَدُونَ

আরবি উচ্চারণ ১০৪। অ ইযা- ক্বীলা লাহুম্ তা‘আ-লাও ইলা- মা য় আনযাল্লা-হু অইর্লা রাসূলি ক্বা-লূ হাস্বুনা-মা-অজ্বাদ্না-‘আলাইহি আ-বা – আনা-; আঅলাও কা-না আ-বা – য়ুহুম্ লা-ইয়া’লামূনা শাইয়াওঁ অলা- ইয়াহ্তাদূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১০৪ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা নাযিলকরেছেন তার দিকে ও রাসূলের দিকে আস’, তারা বলে, ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুরুষদের যার উপর পেয়েছি তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।’ যদিও তাদের পিতৃপুরুষরা কিছুই জানত না এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত ছিলনা তবুও ?

5:105 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ لَا يَضُرُّكُمْ مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ إِلَى اللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ

আরবি উচ্চারণ ১০৫। ইয়া য় অইয়্যূহাল্লাযীনা আ-মানূ ‘আলাইকুম্ আন্ফুসাকুম্ লা-ইয়ার্দ্বুরুকুম্ মান্ দ্বোয়াল্লা ইযাহ্ তাদাইতুম্; ইলাল্লা-হি মারজ্বি‘উকুম্ জ্বামী‘আন্ ফাইয়ুনাব্বিউকুম্ বিমা-কুন্তুম্ তা’মালূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১০৫ হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর তোমাদের নিজদেরদায়িত্ব যদি তোমরা সঠিক পথে থাক তাহলে যেপথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের ক্ষতি করতে পারবেনা। আল্লাহর দিকেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন; তখন তিনি তোমরা যা আমল করতে তা তোমাদেরজানিয়ে দেবেন।

5:106 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا شَهَادَةُ بَيْنِكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ حِينَ الْوَصِيَّةِ اثْنَانِ ذَوَا عَدْلٍ مِنْكُمْ أَوْ آخَرَانِ مِنْ غَيْرِكُمْ أَوْ آخَرَانِ مِنْ غَيْرِكُمْ إِنْ أَنْتُمْ ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَأَصَابَتْكُمْ مُصِيبَةُ الْمَوْتِ تَحْبِسُونَهُمَا مِنْ بَعْدِ الصَّلَاةِ فَيُقْسِمَانِ بِاللَّهِ إِنِ ارْتَبْتُمْ لَا نَشْتَرِي بِهِ ثَمَنًا وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَى وَلَا نَكْتُمُ شَهَادَةَ اللَّهِ إِنَّا إِذًا لَمِنَ الْآثِمِينَ

আরবি উচ্চারণ ১০৬। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ শাহা-দাতু বাইনিকুম্ ইযা-হাদ্বোয়ারা আহাদা কুমুল্ মাওতু হীনাল্ অছিয়্যাতিছ্ না-নি যাঅ-‘আদ্লিম্ মিন্কুম্ আও আ-খারা-নি মিন্ গাইরিকুম্ ইন্ আন্তুম্ দ্বোয়ারাব্তুম্ ফিল্ র্আদ্বি ফাআছোয়া-বাত্কুম্ মুছীবাতুল্ মাওত্; তাহ্বিসূনাহুমা-মিম্ বা’দিছ্ ছলা-তি ফাইয়ুক্ব সিমা-নি বিল্লা-হি ইর্নি তাব্তুম্ লা-নাশ্তারী বিহী ছামানাওঁ অলাও কা-না যা-ক্বর্ বা-অলা-নাক্তুমু শাহা-দাতাল্লা-হি ইন্না য় ইযাল্ লামিনাল্ আ-ছিমীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১০৬ হে মুমিনগণ, যখন তোমাদের কারো নিকট মৃত্যুউপস্থিত হয়, তখন ওসিয়তকালে তোমাদের মাঝেতোমাদের মধ্য থেকে দু জন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি সাক্ষীহবে, অথবা অন্যদের থেকে দু জন, যদি তোমরাযমীনে সফরে থাক, অতঃপর তোমাদেরকে মৃত্যুরবিপদ পেয়ে বসে। যদি তোমাদের সন্দেহ হয়, তবেউভয়কে সালাতের পর অপেক্ষমাণ রাখবে। অতঃপরতারা উভয়ে আল্লাহর নামে কসম করবে যে, ‘আমরাএর বিনিময়ে কোন মূল্য গ্রহণ করব না, যদিও সে আত্মীয় হয়। আর আল্লাহর সাক্ষ্য আমরা গোপনকরব না, করলে অবশ্যই আমরা গুনাহগারদের অন্তর্ভুক্ত হব।’

5:107 فَإِنْ عُثِرَ عَلَى أَنَّهُمَا اسْتَحَقَّا إِثْمًا فَآخَرَانِ يَقُومَانِ مَقَامَهُمَا مِنَ الَّذِينَ اسْتَحَقَّ عَلَيْهِمُ الْأَوْلَيَانِ فَيُقْسِمَانِ بِاللَّهِ لَشَهَادَتُنَا أَحَقُّ مِنْ شَهَادَتِهِمَا وَمَا اعْتَدَيْنَا إِنَّا إِذًا لَمِنَ الظَّالِمِينَ

আরবি উচ্চারণ ১০৭। ফাইন্ ‘উছিরা ‘আলা য় আন্নাহুমাস্ তাহাক্ব ক্বা য় ইছ্মান্ ফাআ-খারা-নি ইয়াকুমা-নি মাক্বা-মাহুমা-মিনাল্লাযীনাস্ তাহাক্ব ক্বা ‘আলাইহিমুল্ আওলাইয়া-নি ফাইয়ুক্ব সিমা-নি বিল্লা-হি লাশাহা-দাতুনা য় আহাক্ব কু মিন্ শাহা-দাতিহিমা- অমা’ তাদাইনা য় ইন্না য় ইযাল্ লামিনাজ্জোয়া-লিমীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১০৭ কিন্তু যদি জানা যায় যে, তারা পাপে লিপ্ত হয়েছে,তাহলে তাদের মধ্য থেকে যাদের স্বার্থহানী ঘটেছে- অন্য দু ব্যক্তি প্রমোক্ত দু জনের স্থলাভিষিক্ত হবে। অতঃপর তারা আল্লাহর নামে কসম করে বলবে, ‘অবশ্যই আমাদের সাক্ষ্য তাদের সাক্ষ্য থেকে অধিক সত্য এবং আমরা সীমালঙ্ঘন করিনি; করলে অবশ্যই আমরা যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হব’।

5:108 ذَلِكَ أَدْنَى أَنْ يَأْتُوا بِالشَّهَادَةِ عَلَى وَجْهِهَا أَوْ يَخَافُوا أَنْ تُرَدَّ أَيْمَانٌ بَعْدَ أَيْمَانِهِمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاسْمَعُوا وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ

আরবি উচ্চারণ ১০৮। যা-লিকা আদ্না য় আইঁ ইয়াতূ বিশ্শাহা-দাতি ‘আলা- অজ্ব হিহা য় আও ইয়াখা-ফূ য় আন্ তুরাদ্দা আইমা-নুম্ বা’দা আইমা-নিহিম্; অত্তাকুল্লা-হা অস্মা‘ঊ; অল্লা-হু লা-ইয়াহ্দিল্ ক্বাওমাল্ ফা-সিক্বীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১০৮ এটি নিকটতম যে, তারা সাক্ষ্য সঠিকভাবে উপস্থাপনকরবে অথবা তারা (মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারীরা) ভয়করবে যে, তাদের (নিকটাত্মীয়দের) কসমের পর(পূর্বোক্ত) কসম প্রত্যাখ্যান করা হবে। আর আল্লাহরতাকওয়া অবলম্বন কর এবং শুন! আর আল্লাহ ফাসিককওমকে হিদায়াত করেন না।

5:109 يَوْمَ يَجْمَعُ اللَّهُ الرُّسُلَ فَيَقُولُ مَاذَا أُجِبْتُمْ قَالُوا لَا عِلْمَ لَنَا إِنَّكَ أَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ

আরবি উচ্চারণ ১০৯। ইয়াওমা ইয়াজ্ব মা‘উ ল্লা-র্হু রুসুলা ফাইয়াকুলু মা- যা য় উজ্বিব্তুম্; ক্বা-লূ লা- ‘ইল্মা লা-না-; ইন্নাকা আন্তা ‘আল্লা-মুল্ গুইয়ূব্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১০৯ (স্মরণ কর) যেদিন আল্লাহ রাসূলগণকে একত্র করবেন, অতঃপর বলবেন, ‘তোমাদেরকে কী জবাব দেয়া হয়েছিল’? তারা বলবে, ‘আমাদের কোন ইলমনেই, নিশ্চয় আপনি গায়েবী বিষয়সমূহের সর্বজ্ঞানী’।

5:110 إِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ اذْكُرْ نِعْمَتِي عَلَيْكَ وَعَلى وَالِدَتِكَ إِذْ أَيَّدْتُكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ تُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا وَإِذْ عَلَّمْتُكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَإِذْ تَخْلُقُ مِنَ الطِّينِ كَهَيْئَةِ الطَّيْرِ بِإِذْنِي فَتَنْفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيْرًا بِإِذْنِي وَتُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ بِإِذْنِي وَإِذْ تُخْرِجُ الْمَوْتَى بِإِذْنِي وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَنْكَ إِذْ جِئْتَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ فَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُبِينٌ

আরবি উচ্চারণ ১১০। ইয্ ক্ব-লাল্লা-হু ইয়া-‘ঈসাব্না র্মাইয়ামায্ র্কু নি’মাতী ‘আলাইকা অ ‘আলা-ওয়া-লিদাতিক্ ইয্ আইঁ ইয়াত্তুকা বিরূহিল্ কুদুসি তুকাল্লিমুন্ না- সা ফিল্ মাহ্দি অকাহ্লান্ অইয্ ‘আ ল্লাম্তুকাল্ কিতা-বা অল্হিক্মাতা অত্তাওরা-তা অল্ ইন্জ্বীলা অইয্ তাখ্লুকু মিনাত্ত্বীনি কাহাইয়াতিত্ত্বোয়াইরি বিইয্নী ফাতান্ফুখু ফীহা-ফাতাকূনূ ত্বোয়াইরাম্ বিইয্নী অতুব্রিউল্ আক্মাহা অল্ আব্রাছোয়া বিইয্নী অইয্ তুখ্রিজুল্ মাওতা- বিইয্নী অইয্ কাফাফ্তু বানী য় ইসরা – ঈলা ‘আন্কা ইয্জ্বি’তাহুম্ বিল্বাইয়্যিনা-তি ফাক্বা-লাল্ লাযীনা কাফারূ মিন্হুম্ ইন্ হা-যা য় ইল্লা- সিহ্রুম্ মুবীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১১০ যখন আল্লাহ বলবেন, ‘হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা,তোমার উপর ও তোমার মাতার উপর আমার নি‘আমত স্মরণ কর, যখন আমি তোমাকে শক্তিশালী করেছিলাম পবিত্র আত্মা দিয়ে, তুমি মানুষের সাথেকথা বলতে দোলনায় ও পরিণত বয়সে। আর যখনআমি তোমাকে শিক্ষা দিয়েছিলাম কিতাব, হিকমাত,তাওরাত ও ইনজীল; আর যখন আমার আদেশেকাদামাটি থেকে পাখির আকৃতির মত গঠন করতেএবং তাতে ফুঁক দিতে, ফলে আমার আদেশে তাপাখি হয়ে যেত। আর তুমি আমার আদেশে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করতে এবং যখন আমারআদেশে তুমি মৃতকে জীবিত বের করতে। আর যখনতুমি স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলে তখন আমি বনীইসরাঈলকে তোমার থেকে ফিরিয়ে রেখেছিলাম।অতঃপর তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তারা বলেছিল, এতো স্পষ্ট যাদু।

5:111 وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى الْحَوَارِيِّينَ أَنْ آمِنُوا بِي وَبِرَسُولِي قَالُوا آمَنَّا وَاشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ

আরবি উচ্চারণ ১১১। অইয্ আওহাইতু ইলাল্ হাওয়া-রিয়্যীনা আন্ আ-মিনূ বী অবিরাসূলী ক্বা-লূ য় আ-মান্না-অশ্হাদ্ বিআন্নানা- মুস্লিমূন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১১১ আর যখন আমি হাওয়ারী ৩১ গণকে এ আদেশদিয়েছিলাম যে, ‘আমার প্রতি তোমরা ঈমান আন ওআমার রাসূলের প্রতি’। তারা বলেছিল, ‘আমরা ঈমানআনলাম এবং আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরাঅবশ্যই মুসলিম’।

5:112 إِذْ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيعُ رَبُّكَ أَنْ يُنَزِّلَ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ قَالَ اتَّقُوا اللَّهَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ

আরবি উচ্চারণ ১১২। ইয্ ক্বা-লাল্ হাওয়ারিযূনা ইয়া-‘ঈসাব্না মারইয়ামা হাল্ ইয়াসতাত্বী‘উ’ রব্বুকা আইঁ ইয়ুনায্যিলা ‘আলাইনা-মা – য়িদাতাম্ মিনাস্ সামা – ই; ক্ব-লাত্তাকুল্লা-হা-ইন্ কুন্তুম্ মুমিনীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১১২ যখন হাওয়ারীগণ বলেছিল, ‘হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা, তোমার রব কি পারে আমাদের উপর আসমান থেকে খাবারপণূর্ দস্তরখান নাযিল করতে?’ সে বলেছিল, ‘আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যদিতোমরা মুমিন হও’।

 5:113 قَالُوا نُرِيدُ أَنْ نَأْكُلَ مِنْهَا وَتَطْمَئِنَّ قُلُوبُنَا وَنَعْلَمَ أَنْ قَدْ صَدَقْتَنَا وَنَكُونَ عَلَيْهَا مِنَ الشَّاهِدِينَ

আরবি উচ্চারণ ১১৩। ক্ব-লূ নূরীদু আন্ নাকুলা মিন্হা- অতাত্ব মায়িন্না কুলূবুনা- অনা’লামা আন্ ক্বাদ্ ছদাক্ব তানা-অনাকূনা ‘আলাইহা- মিনাশ্ শা-হিদীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১১৩ তারা বলল, ‘আমরা তা থেকে খেতে চাই। আর আমাদের হৃদয় প্রশান্ত হবে এবং আমরা জানব যে,তুমি আমাদেরকে সত্যই বলেছ, আর আমরা এ ব্যাপারে সাক্ষীদের অন্তর্ভুক্ত হব।’

5:114 قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيرُ الرَّازِقِينَ

আরবি উচ্চারণ ১১৪। ক্ব-লা ‘ঈসাব্নু র্মাইয়ামা ল্লা-হুম্মা রব্বানা য় আন্যিল্ ‘আলাইনা- মা – য়িদাতাম্ মিনাস্ সামা – য়ি তাকূনু লানা-‘ঈদাল্ লিআওয়্যালিনা-অ আ-খিরিনা-অ আ-ইয়াতাম্ মিন্কা, অরযুক্ব না-অ আন্তা খাইর্রু রা-যিক্বীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১১৪ মারইয়ামের পুত্র ঈসা বলল, ‘হে আল্লাহ, হে আমাদেররব, আসমান থেকে আমাদের প্রতি খাবারপণূর্ দস্তরখান নাযিল করুন; এটা আমাদের জন্য ঈদ হবে। আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্য। আরআপনার পক্ষ থেকে এক নিদর্শন হবে। আর আমাদেরকে রিয্ক দান করুন, আপনিই শ্রেষ্ঠ রিয্কদাতা’।

5:115 قَالَ اللَّهُ إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ فَمَنْ يَكْفُرْ بَعْدُ مِنْكُمْ فَإِنِّي أُعَذِّبُهُ عَذَابًا لَا أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِينَ

আরবি উচ্চারণ ১১৫। ক্ব-লাল্লা-হু ইন্নী মুনায্যিলুহা-‘আলাইকুম্ ফামাইঁ ইয়াকর্ফু বা’দু মিন্কুম্ ফাইন্নী য় উ‘আয্যিবুহূ ‘আযা-বাল্লা য় উ‘আয্যিবুহূ য় আহাদাম্ মিনাল্ ‘আ-লামীন্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১১৫ আল্লাহ বললেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের প্রতি তানাযিল করব; কিন্তু এরপর তোমাদের মধ্যে যে কুফরীকরবে তাকে নিশ্চয় আমি এমন আযাব দেব, যেআযাব সৃষ্টিকুলের কাউকে দেব না।’

5:116 وَإِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ أَأَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ قَالَ سُبْحَانَكَ مَا يَكُونُ لِي أَنْ أَقُولَ مَا لَيْسَ لِي بِحَقٍّ إِنْ كُنْتُ قُلْتُهُ فَقَدْ عَلِمْتَهُ تَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِي وَلَا أَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِكَ إِنَّكَ أَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ

আরবি উচ্চারণ ১১৬। অ ইয ক্ব-লা ল্লা-হু ইয়া-‘ঈসাব্না মারইয়ামা আ-আনতা কুল্তা লিন্না-সিত্ তাখিযূনী অ উম্মিয়া ইলা-হাইনি মিন্ দূনিল্লা-হ্; ক্বা-লা সুব্হা-নাকা মা- ইয়াকূনূ লী য় আন্ আক্ব ূলা মা- লাইসা লী বিহাক্ব ; ইন্ কুন্তু কুল্তুহূ ফাক্বাদ্ ‘আলিম্তাহ্; তা’লামূ মা-ফী নাফ্সী অলা য় আ’লামু মা-ফী নাফ্সিক্ ; ইন্নাকা আন্তা ‘আল্লা-মূল্ গুইয়ূব্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১১৬ আর আল্লাহ যখন বলবেন, ‘হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা,তুমি কি মানুষদেরকে বলেছিলে যে, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার মাতাকে ইলাহরূপে গ্রহণকর?’ সে বলবে, ‘আপনি পবিত্র মহান, যার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার জন্য সম্ভব নয়। যদিআমি তা বলতাম তাহলে অবশ্যই আপনি তাজানতেন। আমার অন্তরে যা আছে তা আপনি জানেন, আর আপনার অন্তরে যা আছে তা আমি জানি না; নিশ্চয় আপনি গায়েবী বিষয়সমূহে সর্বজ্ঞাত’।

5:117 مَا قُلْتُ لَهُمْ إِلَّا مَا أَمَرْتَنِي بِهِ أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ

আরবি উচ্চারণ ১১৭। মা-ক্ব ুল্তু লাহুম্ ইল্লা-মা য় আর্মাতানী বিহী য় আনি’বুদুল্লা-হা রব্বী অরব্বাকুম্ অকুন্তু ‘আলাইহিম্ শাহীদাম্ মা-দুম্তু ফীহিম্ ফালাম্মা- তাওয়াফ্ফাইতানী কুন্তা আর্ন্তা রাক্বীবা ‘আলাইহিম; অআন্তা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ শাহীদ্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১১৭ ‘আমি তাদেরকে কেবল তাই বলেছি, যা আপনি আমাকে আদেশ করেছেন যে, তোমরা আমার রব ওতোমাদের রব আল্লাহর ইবাদাত কর। আর যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি তাদের উপর সাক্ষী ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে উঠিয়ে নিলেন তখন আপনি ছিলেন তাদের পর্যবেক্ষণকারী। আর আপনি সব কিছুর উপর সাক্ষী।

5:118 إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

আরবি উচ্চারণ ১১৮। ইন্ তু‘আয্যিব্হুম্ ফাইন্নাহুম্ ‘ইবা-দুকা, অ ইন্ তার্গ্ফি লাহুম্ ফাইন্নাকা আনতাল্ ‘আযীযুল হাকীম্।

বাংলা অনুবাদ ৫.১১৮ যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করেন তবে তারা আপনারই বান্দা, আর তাদেরকে যদি ক্ষমা করেন,তবে নিশ্চয় আপনি পরাসমশালী, প্রজ্ঞাময়।’

5:119 قَالَ اللَّهُ هَذَا يَوْمُ يَنْفَعُ الصَّادِقِينَ صِدْقُهُمْ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

আরবি উচ্চারণ ১১৯। ক্ব-লা ল্লা-হু হা-যা- ইয়াওমু ইয়ান্ফা‘উছ্ ছোয়া-দ্বিক্বীনা ছিদ্ক্ব ুহুম্; লাহুম্ জ্বান্না-তুন্ তাজ্ব ্রী মিন্ তাহ্তিহাল আন্হা-রু খা-লিদীনা ফীহা য় আবাদা-; রাদ্বিয়াল্লা-হু ‘আন্হুম্ অরাদ্ব ূ ‘আন্হু; যা-লিকাল্ ফাওযুল্ ‘আজীম।

বাংলা অনুবাদ ৫.১১৯ আল্লাহ বলবেন, ‘এটা হল সেই দিন যেদিনসত্যবাদীগণকে তাদের সততা উপকার করবে।তাদের জন্য আছে জান্নাতসমূহ যার নীচে প্রবাহিতহবে নদীসমূহ। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। আল্লাহতাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। এটা মহাসাফল্য।

5:120 لِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا فِيهِنَّ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

আরবি উচ্চারণ ১২০। লিল্লা-হি মুল্কুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি অমা- ফীহিন্না; অহুঅ ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন্ ক্বার্দী।

বাংলা অনুবাদ ৫.১২০ আসমানসমূহ ও যমীন এবং তাদের মধ্যে যা কিছু আছে তার রাজত আল্লাহরই এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

এ সূরার ১৫ রুকূর ******* আয়াতে উল্লেখিত মা-য়েদাহ শব্দ থেকে এ নামকরণ করা হয়েছে। কুরআনের অধিকাংশ সূরার নামের মতো এ সূরার নামের সাথেও এর আলোচ্য বিষয়বস্তুর তেমন কোন সম্পর্ক নেই। নিছক অন্যান্য সূরা থেকে আলাদা হিসেবে চিহ্নিত করার জন্যই একে এ নামে অভিহিত করা হয়েছে।

নাযিলেরসময়কালঃ

হোদাইবিয়ার সন্ধির পর ৬ হিজরীর শেষের দিকে অথবা ৭ হিজরীর প্রথম দিকে এ সূরাটি নাযিল হয়। সূরায় আলোচ্য বিষয় থেকে একথা সুস্পষ্ট হয় এবং হাদীসের বিভিন্ন বর্ণনাও এর সত্যতা প্রমাণ করে। ষষ্ঠ হিজরীর যিলকদ মাসের ঘটনা । চৌদ্দশ, মুসলমানকে সাথে নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উমরাহ সম্পন্ন করার জন্য মক্কায় উপস্থিত হয়েছেন। কিন্তু কুরাইশ কাফেররা শক্রতার বশবর্তী হয়ে আরবের প্রাচীনতম ধর্মীঁয় ঐতিহ্যের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধাচরণ করে তাঁকে উমরাহ করতে দিল না। অনেক তর্ক বিতর্ক ও বাদানুবাদের পর তারা এতটুকু মেনে নিল যে, আগামী বছর আপনারা আল্লাহর ঘর যিয়ারত করার জন্য্য আসতে পারেন। এ সময় একদিকে মুসলমানদেরকে কাবাঘর যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করার নিয়ম কানুন বাতলে দেবার প্রয়োজন ছিল, যাতে পরবর্তী বছর পূর্ণ ইসলামী শান শওকতের সাথে উমরাহর সফর করা যায় এবং অন্য দিকে তাদেরকে এ মর্মে ভালভাবে তাকীদ করারও প্রয়োজন ছিল যে, কাফের শক্র দল তাদের উমরাহ করতে না দিয়ে যে বাড়াবাড়ি করেছে তার জবাবে তারা নিজেরা অগ্রবর্তী হয়ে যেন আবার কাফেরদের ওপর কোন অন্যায় বাড়াবাড়ি ও জুলুম না করে বসে। কারণ অনেক কাফের গোত্রকে হজ্জ সফরের জন্য মুসলিম অধিকারভুক্ত এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়া আসা করতে হতো। মুসলমানদেরকে যেভাবে কাবা যিয়ারত করতে দেয়া হয়নি সেভাবে তারাও এ ক্ষেত্রে জোর পূর্বক এসব কাফের গোত্রের কাবা যিয়ারতের পথ বন্ধ করে দিতে পারতো। এ সূরার শুরুতে ভূমিকাস্বরূপ যে ভাষণটির অবতারণা করা হয়েছে সেখানে এ প্রসংগই আলোচিত হয়েছে। সামনের দিকে তের রুকূতে আবার এ প্রসংগটি উত্থাপিত হয়েছে। এ থেকে প্রমাণ হয় যে, প্রথম রুকূ থেকে নিয়ে চৌদ্দ রুকূ পর্যন্ত একই ভাষণের ধারাবাহিকতা চলছে। এ ছাড়াও এ সূরার মধ্যে আর যে সমস্ত বিষয়বস্তু আমরা পাই তা সবই একই সময়কার বলে মনে হয়।

বর্ণনার ধারাবাহিকতা দেখে মনে হয় এ সমগ্র সূরাটি একটি মাত্র ভাষণের অন্তরভুক্ত এবং সম্ভবত এটি একই সংগে নাযিল হয়েছে। আবার এর কোন কোন আয়াত পরবর্তীকালে পৃথক পৃথকভাবে নাযিল হতেও পারে এবং বিষয়বস্তুর একাত্মতার কারণে সেগুলোকে এ সূরার বিভিন্ন স্থানে জায়গা মতো জুড়ে দেয়া হয়েছে । কিন্তু বর্ণনার ধারাবাহিকতার মধ্যে কোথাও সামান্যতম শূন্যতাও অনুভূত হয় না। ফলে একে দুটি বা তিনটি ভাষণের সমষ্টি মনে করার কোন অবকাশ নেই।

নাযিলেরউপলক্ষঃ

আলে ইমরান ও আন্‌ নিসা সূরা দুটি যে যুগে নাযিল হয় সে যুগ থেকে এ সূরাটির নাযিলের যুগে পৌঁছতে বিরাজমান পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে অনেক বড় রকমের পরিবর্তন সূচিত হয়েছিল। ওহোদ যুদ্ধের বিপর্যয় যেখানে মদীনার নিকটতম পরিবেশও মুসলমানদের জন্য বিপদসংকুল করে তুলেছিল। সেখানে এখন সম্পূর্ণ ভিন্নতর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। আরবে ইসলাম এখন একটি অজেয় ও অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ইসলামী রাষ্ট্র একদিকে নজ্‌দ থেকে সিরিয়া সীমান্ত এবং অন্যদিকে লোহিত সাগর থেকে মক্কার নিকট এলাকা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। ওহোদে মুসলমানরা যে আঘাত পেয়েছিল তা তাদের হিম্মত ও সাহসকে দমিত এবং মনোবলকে নিস্তেজ করার পরিবর্তে তাদের সংকল্প ও কর্মোন্মদনার জন্য চাবুকের কাজ করেছিল। তারা আহত সিংহের মতো গর্জে ওঠে এবং তিন বছরের মধ্যে সমগ্র পরিস্থিতি পাল্টে দেয়। তাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টা, সংগ্রাম ও আত্মদানের ফলে মদীনার চারদিকে দেড়শ, দুশ, মাইলের মধ্যে সমস্ত বিরোধী গোত্রের শক্তির দর্প চূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। মদীনার ওপর সবসময় যে ইহুদী বিপদ শকুনির মতো ডানা বিস্তার করে রেখেছিল তার অশুভ পাঁয়তারার অবসান ঘটেছিল চিরকালের জন্য। আর হিজাযের অন্যান্য যেসব জায়গায় ইহুদী জনবসতি ছিল সেসব এলাকা মদীনার ইসলামী শাসনের অধীনে এসে গিয়েছিল। ইসলামের শক্তিকে দমন করার জন্য কুরাইশরা সর্বশেষ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল খন্দকের যুদ্ধে। এতেও তারা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়। এরপর আরববাসীদের মনে এ ব্যাপারে আর কোন সন্দেহই রইলো না যে, ইসলামের ও আন্দোলনকে খতম করার সাধ্য দুনিয়ার আর কোন শক্তির নেই। ইসলাম এখন আর নিছক একটি আকীদা-বিশ্বাস ও আদর্শের পর্যায় সীমিত নয়। নিছক মন ও মস্তিষ্কের ওপরই তার রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত নয়। বরং ইসলাম এখন একটি পরাক্রান্ত রাষ্ট্রীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং রাষ্ট্রের সীমানায় বসবাসকারী সমস্ত অধিবাসীর জীবনের ওপর তার কর্তৃত্ব ও প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত। এখন মুসলমানরা এতটা শক্তির অধিকারী যে, যে চিন্তা ও ভাবধারার ওপর তারা ঈমান এনেছিল সে অনুযায়ী স্বাধীনভাবে নিজেদের জীবনকে গড়ে তোলার এবং সে চিন্তা ও ভাবধারা ছাড়া অন্য কোন আকীদা-বিশ্বাস, ভাবধারা, কর্মনীতি অথবা আইন-বিধানকে নিজেদের জীবন ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ করতে না দেয়ার পূর্ণ ইখতিয়ার তারা লাভ করেছিল।

তাছাড়া এ কয়েক বছরের মধ্যে ইসলামী মূলনীতি ও দৃষ্টিভংগী অনুযায়ী মুসলমানদের নিজস্ব একটি কৃষ্টি ও সংস্কৃতিও গড়ে উঠেছিল। এ সংস্কৃতি জীবনের যাবতীয় বিস্তারিত বিষয়ে অন্যদের থেকে আলাদা একটি স্বতন্ত্র ভাবমূর্তির অধিকারী ছিল। নৈতিকতা, স্বভাব-চরিত্র, আচার-আচরণ, জীবন যাপন প্রণালী, সামাজিক রীতিনীতি ইত্যাদি যাবতীয় ক্ষেত্রে মুসলমানরা এখন অমুসলিমদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ইসলামী রাষ্ট্রের সমস্ত মুসলিম অধ্যুসিত জনপদে মসজিদ ও জামায়াতে সাথে নামায পড়ার ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত। প্রত্যেক জনবসতিতে ও প্রত্যেক গোত্রে একজন ইমাম নিযুক্ত রয়েছে। ইসলামের দেওয়ানী ও ফৌজদারী আইন-কানুন অনেকটা বিস্তারিত আকারে প্রণীত হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের নিজস্ব আদালতের মাধ্যমে সর্বত্র গেগুলো প্রবর্তিত হচ্ছে। লেনদেন ও কেনা –বেচা ব্যবসায় বাণিজ্যের পুরাতন রীতি ও নিয়ম রহিত তৈরী হয়ে গেছে। বিয়ে ও তালাকের আইন, শরয়ী পরদা ও অনুমতি নিয়ে অন্যের গৃহে প্রবেশের বিধান এবং যিনা ও মিথ্যা অপবাদের শাস্তি বিধান জারি হয়ে গেছে। এর ফলে মুসলমানদের সমাজ জীবন একটি বিশেষ ছাঁচে গড়ে উঠতে শুরু করেছে। মুসলমানদের ওঠা, বসা, কথাবার্তা, পানাহার, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং জীবন যাপন ও বসবাস করার পদ্ধতিও একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্টে সমুজ্জল হয়ে উঠেছে। এভাবে ইসলামী জীবন একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করার এবং মুসলমানদের একটি স্বতন্ত্র সংস্কৃতি ও তামাদ্দুন গড়ে ওঠার পর, তারা যে আবার কোন দিন অমুসলিম সমাজের সাথে মিলে একাত্ম হয়ে যেতে পারে। তেমনটি আশা করা তৎকালীন অমুসলিম বিশ্বের পক্ষে আর সম্ভবপর ছিল না।

হোদায়বিয়ার চুক্তি সম্পাদিত হবার পূর্ব পর্যন্ত মুসলমানদের পথে একটি বড় প্রতিবন্ধক ছিল এই যে , কুরাইশ কাফেরদের সাথে তাদের ক্রমাগত যুদ্ধ, সংঘর্ষ ও সংঘাত লেগেই ছিল। নিজেদের ইসলামী দাওয়াতে সীমানা বৃদ্ধি ও এর পরিসর প্রশস্ত করার জন্য অবকাশই তারা পাইনি। হোদাইবিয়ার বাহ্যিক পরাজয় ও প্রকৃত বিজয় এ বাধা দূর করে দিয়েছিল । এর ফলে কেবল নিজেদের রাষ্ট্রীয় সীমায়ই তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে পায়নি এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ইসলামের দাওয়াত বিস্তৃত করার সুযোগ এবং অবকাশও লাভ করেছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কাজটিরই উদ্ধোধন করলেন ইরান, রোম মিসর ও আরবের বাদশাহ ও রাষ্ট্র প্রধানদের কাছে পত্র লেখার মাধ্যমে । এ সাথে ইসলাম প্রচারকবৃন্দ মানুষকে আল্লাহর দীনের দিকে আহবান জানাবার জন্য বিভিন্ন গোত্র এ কওমের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লেন।

আলোচ্যবিষয়সমূহঃ

এ ছিল সূরা মা-য়েদাহ নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট । নিম্নলিখিত তিনটি বড় বড় বিষয় এ সূরাটির অন্তরভুক্তঃ

একঃ মুসলমানদের ধর্মীয়, তামাদ্দুনিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে আরো কিছু বিধি নির্দেশ। এ প্রসংগে হজ্জ সফরের রীতি-পদ্ধতি নির্ধারিত হয়। ইসলামী নিদর্শনগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং কাবা যিয়ারতকারীদেরকে কোন প্রকার বাধা না দেবার হুকুম দেয়া হয়। পানাহার দ্রব্য সামগ্রীর মধ্যে হালাল ও হারামের চূড়ান্ত সীমা প্রবর্তিত হয়। জাহেলী যুগের মনগড়া বাধা নিষেধগুলো উঠিয়ে দেয়া হয়। আহলী কিতাবদের সাথে পানাহার ও তাদের মেয়েদের বিয়ে করার অনুমতি দেয়া হয়। অযু, গোসল ও তায়াম্মুম করার রীতি পদ্ধতি নির্ধারিত হয়। বিদ্রোহ ও অরাজকতা সৃষ্টি এবং চুরি-ডাকাতির শাস্তি প্রবর্তিত হয় । মদ ও জুয়াকে চূড়ান্তভাবে হারাম ও নিষিদ্ধ করা হয়। কসম ভাঙার কাফ্‌ফারা নির্ধারিত হয়। সাক্ষ প্রদান আইনের আরো কয়েকটি ধারা প্রবর্তন করা হয়।

দুইঃ মুসলমানদেরকে উপদেশ প্রদান । এখন মুসলমানরা একটি শাসক গোষ্ঠীতে পরিণত হয়ে যাওয়ায় তাদের হাতে ছিল শাসন শক্তি। এর নেশায় বহু জাতি পথভ্রষ্ট হয়। মজলুমীর যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছিল এবং তার চাইতে অনেকে বেশী কঠিন পরীক্ষার যুগে মুসলমানরা পদার্পণ করেছিল। তাই তাদেরকে সম্বোধন করে বারবার উপদেশ দয়া হয়েছেঃ ন্যায়, ইনসাফ ও ভারসাম্যের নীতি অবলম্বন করো। তোমাদের পূর্ববর্তী আহ্‌লী কিতাবদের মনোভাব ও নীতি পরিহার করো। আল্লাহর আনুগত্য এবং তাঁর হুকুম ও আইন কানুন মেনে চলার যে অংগীকার তোমরা করেছো তার ওপর অবিচল থাকো। ইহুদী ও খৃস্টানদের মতো তার সীমালংঘন করে তাদের মতো একই পরিণতির শিকার হয়ো না। নিজেদের যাবতীয় বিষয়ের ফায়সালার জন্য কিতাবের অনুসরণ করো। মুনাফিকী নীতি পরিহার করো।

তিনঃ ইহুদী ও খৃস্টানদেরকে উপদেশ প্রদান। এ সময় ইহুদীদের শক্তি খর্ব হয়ে গেছে। উত্তর আরবের প্রায় সমস্ত ইহুদী জনপদ মুসলমানদের পদানত। এ অবস্থায় তাদের অনুসৃত ভ্রান্ত নীতি সম্পর্কে তাদেরকে আর একবার সর্তক করে দেয়া হয়। তাদেরকে সত্য-সঠিক পথে আসার দাওয়াত দেয়া হয়। এ ছাড়া যেহেতু হোদায়বিয়ার চুক্তির কারণে সমগ্র আরবে ও আশপাশের দেশগুলোয় ইসলামের দাওয়াত প্রচারের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল তাই খৃস্টানদেরকেও ব্যাপকভাবে সম্বোধন করে তাদের বিশ্বাসের ভ্রান্তিগুলো জানিয়ে দেয়া হয় এবং শেষ নবীর প্রতি ঈমান আনার জন্য তাদেরকে আহবান জানানো হয়। যেসব প্রতিবেশী দেশে মূর্তিপূজারী ও অগ্নি উপাসক জাতির বসবাস ছিল সেসব দেশের অধিবাসীদেরকে সরাসরি সম্বোধন করা হয়নি। কারণ ইতিপূর্বে তাদের সমমনা আরবের মুশরিকদেরকে সম্বোধন করে মক্কায় যে হেদায়াত নাযিল হয়েছিল তা-ই তাদের জন্য যথেষ্ট ছিল।

আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

অধ্যায়ঃ ৪৪, অনুচ্ছেদ-৬ঃ সূরা মায়েদা তাফসীর

৩০৪৩. তারিক্ব ইবনি শিহাব [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক ইয়াহূদী উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] কে বলল, হে আমীরুল মুমিনীন! “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম” – [সূরা আল –মায়িদাহ্‌ : ৩] আয়াতটি যদি আমাদের উপর অবতীর্ণ হত তাহলে আমরা উক্ত দিনকে ঈদের [উৎসবের] দিন হিসেবে নির্দ্ধারণ করতাম। উমার [রাদি.] বলিলেন, নিশ্চয়ই আমি জানি কোন দিন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। এটি [বিদায় হাজ্জে] আরাফার দিন শুক্রবারে অবতীর্ণ হয়েছিল।

সহীহ : বোখারি [৪৬০৬], মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৪৪. আম্মার ইবনি আবী আম্মার [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ইবনি আব্বাস [রাদি.] নিম্নোক্ত আয়াতটি পাঠ করিলেন [অনুবাদ] : “আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম” – [সূরা আল –মায়িদাহ ৩]। তাহাঁর নিকট এক ইয়াহূদী উপস্থিত ছিল। সে বলল, আমাদের উপর এরূপ একটি আয়াত অবতীর্ণ হলে সেই দিনকে আমরা অবশ্যই ঈদের দিন হিসেবে পালন করতাম। ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেন, এটি তো [আমাদের] ঈদের দিনেই অবতীর্ণ হয়েছে : জুমুআর দিন ও আরাফার দিন।

সনদ সহীহ। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি ইবনি আব্বাস [রাদি.] এর রিওয়ায়াত হিসেবে হাসান গারীব। হাদীসটি সহীহ। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৪৫. আবু হুরাইরাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দয়াময় আল্লাহ তাআলা ডান হাত পূর্ণ। সর্বদা তা অনুগ্রহ ঢালছে। রাত দিনের অবিরাম দান তাতে কখনো কমতি ঘটাতে পারে না। তিনি আরো বলেন, তোমরা লক্ষ্য করেছ কি যেদিন থেকে তিনি আসমান-যামীন সৃষ্টি করিয়াছেন সেদিন হইতে কত না দান করে আসছেন, অথচ তাহাঁর ডান হাতে যা আছে তাতে কিছুই কমতি হয়নি। [সৃষ্টির পূর্বে] তাহাঁর আরশ ছিল পানির উপর। তাহাঁর অপর হাতে রয়েছে মীযান [দাড়ি-পাল্লা]। তিনি তা নীচু করেন ও উত্তোলন করেন [সৃষ্টির রিযিক নির্ধারণ করেন]।

সহীহ : ইবনি মাজাহ [১৯৭]। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি হল নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যাস্বরূপ : “ইয়াহূদীরা বলে, আল্লাহ তাআলার হাত রুদ্ধ। ওরাই আসলে রুদ্ধহস্ত এবং ওরা যা বলে তজ্জন্য ওরা অভিশপ্ত। বরং আল্লাহ তাআলার উভয় হাতই প্রসারিত, যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন” – [সূরা আল –মায়িদাহ : ৬৪] ।

ইমামগণ বলেন, এ হাদীস যেরূপে [আমাদের নিকট] এসেছে, কোনরূপ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও সন্দেহ-সংশয় ব্যতীতই তার উপর সেভাবেই ঈমান আনতে হইবে। একাধিক ইমাম এ কথা বলেছেন। তাহাদের মধ্যে রয়েছেন সুফইয়ান সাওরী, মালিক ইবনি আনাস, ইবনি উয়াইনাহ, ইবনিল মুবারাক [রঃ]প্রমুখ। তাহাদের মতে এরূপ বিষয় বর্ণনা করা যাবে, এগুলোর উপর ঈমান রাখতে হইবে, কিন্তু তা কেমন এ কথা বলা যাবে না। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৪৬.আয়িশাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] কে [নিরাপত্তামূলক] পাহারা দেয়া হত। তারপর আয়াত অবতীর্ণ হল [অনুবাদ] : “আল্লাহ তাআলা তোমাকে মানুষ হইতে তাহাঁর রক্ষা করবেন” – [সূরা আল –মায়িদাহ ৬৭]। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিজের ঘর হইতে মাথা বের করে পাহারাদারগণকে বলিলেন, হে লোকজন! তোমরা [আমার পাহারা হইতে] চলে যাও। কারণ আল্লাহ তাআলাই আমার হিফাজাতের দায়িত্ব নিয়েছেন।

নাসর ইবনি আলী মুসলিম ইবনি ইবরাহীম হইতে উক্ত সনদ অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এ হাদীসটি কেউ কেউ জুরাইরী হইতে আবদুল্লাহ ইবনি শাক্বীক্বের সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি বলেছেন, “নাবী [সাঃআঃ] কে পাহারা দেয়া হত”। তাতে তারা আয়িশাহ্‌ [রাদি.] এর উল্লেখ করেননি। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩০৪৭. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বানূ ইসরাঈল গর্হিত কাজে জড়িত হলে তাহাদের বিজ্ঞ আলিমগণ তাহাদেরকে বাধা দেন। কিন্তু তারা [পাপাচার থেকে] ক্ষান্ত হয়নি। এতদসত্ত্বেও তাহাদের আলিমগণ তাহাদের সাথে তাহাদের সভা সমিতিতে উঠাবসা ঠিক রাখে এবং তাহাদের সাথে এক সঙ্গে ভোজসভায় যোগদান করে। ফলে আল্লাহ্ তাআলা তাহাদের কারো হৃদয়সমূহ অন্য কারো [পাপীদের] হৃদয়ের সাথে একাকার করে দিলেন এবং দাঊদ [আঃ] ও ঈসা ইবনি মারইয়াম [আঃ]-এর যবানীতে তাহাদেরকে অভিসম্পাত করিলেন। কেননা, তারা বিরুদ্ধাচারী হয়ে গিয়েছিল এবং সীমালংঘন করেছিল। রাবী বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। তিনি এবার সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেনঃ কসম সেই সত্তার যাঁর হাতে আমার জান! ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা মুক্তি পাবে না যতক্ষণ না তোমরা পথভ্রষ্ট লোকদের [শক্তভাবে] বাধা দিচ্ছ।

জঈফ, ইবনি মাজাহ [৪০০৬] আবু ঈসা বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবনি আবদুর রহমান বলেন, ইয়াযীদ বলেছেন, সুফিয়ান সাওরী [রঃ]উক্ত হাদীসের সনদে আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর উল্লেখ করেননি। এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনি মুসলিম ইবনি আবুল ওয়ায্যাহ-আলী ইবনি বাযীমা হইতে তিনি আবু উবাইদা হইতে তিনি আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে এরকমই বর্ণনা করিয়াছেন। কেউ কেউ এ হাদীস আবু উবাইদার সূত্রে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে মুরসালরূপে বর্ণনা করিয়াছেন। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩০৪৮. আবু উবাইদা [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বানী ইসরাঈলের মধ্যে যখন দোষ পদ-স্খলন ছড়িয়ে পড়তে লাগলো তখন তাহাদের একজন অন্যজনকে পাপে নিমজ্জিত দেখলে তাকে তা থেকে নিষেধ করত। কিন্তু সে তাকে যা করিতে দেখেছে তা পরদিন তাকে তার সাথে পানাহার ও এক সাথে মাজলিসে উঠাবাসা হইতে নিবৃত্ত রাখল না। অবশেষে আল্লাহ্ তাআলা তাহাদের হৃদয়সমূহকে পরস্পর একাকার করে দিলেন। তাহাদের প্রসঙ্গেই কুরআন অবতীর্ণ হয়। তিনি পাঠ করেনঃ “বানী ইসরাঈলের মধ্যে যেসব লোক কুফরী করেছিল তাহাদের প্রতি দাঊদ ও মারইয়ামের পুত্র ঈসার যবানে অভিশাপ করা হয়েছে। কেননা, তারা ছিল অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী”। তিনি তিলাওয়াত করিতে করিতে “তারা আল্লাহ্ তাআলাতে, নাবীতে ও তার উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান আনলে ওদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না, কিন্তু তাহাদের অনেকেই ফাসিক” [সূরাঃ আল-মায়িদাহ- ৭৯-৮১] পর্যন্ত পৌঁছলেন। রাবী বলেন, আল্লাহ্ তাআলার নাবী হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন। তিনি সোজা হয়ে বসে বলেনঃ না, তোমরা যালিমের হাত ধরে তাকে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত রক্ষা পাবে না।

জঈফ, দেখুন পূর্বের হাদীস। বুনদার আবু দাঊদ-আত-তাইয়া লিসী হইতে তিনি মুহাম্মদ ইবনি মুসলিম ইবনি আবুল ওয়ায্যাহ হইতে তিনি আলী ইবনি বাযীমা হইতে তিনি আবু উবাইদা হইতে তিনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর সূত্রে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩০৪৯. উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, হে আল্লাহ! শরাবের ব্যাপারে আমাদের জন্য পরিপূর্ণ ও সুষ্পষ্ট বর্ণনা দিন। এ প্রসঙ্গেই সূরা আল –বাক্বারার নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “লোকে তোমাকে মদ ও জুয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করে। বল, উভয়ের মধ্যে আছে মহাপাপ এবং মানুষের জন্য উপকারও। কিন্তু এগুলোর পাপ এগুলোর উপকার অপেক্ষা বেশী” [সূরা আল –বাক্বারাহ ২১৯]।

উমার [রাদি.] কে ডেকে এনে তাকে উক্ত আয়াত তিলাওয়াত করে শুনানো হল। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহ! শরাবের ব্যাপারে আমাদের আরও সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিন। তখন সূরা আন –নিসার নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের নিকটেও যেও না, যতক্ষণ না তোমরা যা বল তা বুঝতে পার” – [সূরা আন –নিসা ৪৩]। উমার [রাদি.] কে ডেকে এনে তাকে উক্ত আয়াত পাঠ করে শুনানো হল। উমার [রাদি.] আবারো বলিলেন, হে আল্লাহ! শরাবের ব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্ট ও পূর্ণ বিবরণ দিন। তারপর সূরা আল –মাইদার এ আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “শাইতান তো শরাব ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহ তাআলার স্মরণে ও নামাযে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হইবে না?” [সূরা আল –মায়িদাহ ৯১] উমার [রাদি.] কে ডেকে এনে তাকে এ আয়াত পাঠ করে শুনানো হল। তিনি বলিলেন, আমরা নিবৃত হলাম, আমরা নিবৃত হলাম।

সহীহ : সহীহাহ [২৩৪৮] । আবু ঈসা বলেন, ইসরাঈলের সূত্রে এটি মুরসালরূপে বর্ণিত হয়েছে। মুহাম্মদ ইবনিল আলা –ওয়াকী হইতে, তিনি ইসরাঈল হইতে, তিনি আবু ইসহাক হইতে, তিনি আবু মাইসারাহ [রঃ]হইতে এই সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহ! শরাব ও মাদকদ্রব্য প্রসঙ্গে আমাদের জন্য সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্হ বিবরণ দিন… তারপর তিনি পূর্বোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। এটি মুহাম্মদ ইবনি ইউসুফের হাদীসের চাইতে অনেক বেশী সহীহ। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৫০. আল–বারাআ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, শরাব হারাম হওয়ার পূর্বেই নাবী [সাঃআঃ] এর সাহাবীদের বেশ কয়েকজন মারা যান। শরাব হারাম হওয়ার পর লোকেরা বলাবলি করিতে লাগল, আমাদের ঐ সকল সাথীদের কি হইবে, যারা শরাব পানে অভ্যস্ত থাকা অবস্থায় মারা গেছেন! তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে, তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে সেজন্য তাহাদের কোনরূপ গুনাহ নেই, যদি তারা সাবধান হয় এবং ঈমান আনে ও উত্তম কাজ করে, সাবধান হয় ও ঈমান আনে, আবার সাবধান হয় ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন” – [সূরা আল –মায়িদাহ ৯৩]।

পরবর্তী হাদীসের সহায়তায় সহীহ। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। শুবাহ্‌ [রঃ]আবু ইসহাক [রঃ]এর বরাতে এটি আল –বারাআ [রাদি.] সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। বুন্‌দার এটি আমাদের নিকট বর্ণনা করিয়াছেন। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৫১. আবু ইসহাক [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আল –বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] বলেছেন, নাবী [সাঃআঃ] এর বেশ কিছু সাহাবী শরাব নিষিদ্ধ হওয়ার পূর্বে মদ্যপানে অভ্যস্ত অবস্থায় মারা যান। শরাব হারাম হওয়া সম্পর্কিত আয়াত অবতীর্ণ হলে নাবী [সাঃআঃ] এর সাথীদের কেউ কেউ বলেন, আমাদের ঐসব সাথীদের কি হইবে, যারা শরাব পানে অভ্যস্ত থাকাকালে মারা গেছেন! তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে, সেজন্য তাহাদের কোন গুনাহ নেই…..” – [সূরা আল –মায়িদাহ ৯৩]।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৫২. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, মদ্যপান হারাম হওয়ার পর লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল “মদ্যপান হারাম হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যারা শরাবপানে অভ্যস্ত থাকাকালে মারা গেছে তাহাদের সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তখন নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে সেজন্য তাহাদের কোনরূপ গুনাহ নেই, যদি তারা সাবধান হয় এবং ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে” – [সূরা আল –মায়িদাহ ৯৩]।

পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।. আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৫৩. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, “যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে সেজন্য তাহাদের কোন গুনাহ নেই…” [সূরা আল –মায়িদাহ ৯৩] , এই আয়াত অবতীর্ণ হলে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলেন, তুমিও তাহাদের অন্তর্ভূক্ত।

সহীহ : মুসলিম [১/১৪৭]। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।  সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৫৪. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহ রাসূল! আমি গোশ্‌ত খেলে স্ত্রীসহবাসের জন্য অস্থির হয়ে পড়ি এবং যৌনাবেগ আমাকে ব্যাকুল করে তোলে। তাই আমি নিজের জন্য গোশত খাওয়া হারাম করে নিয়েছি। এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন [অনুবাদ] : “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য উৎকৃষ্ট ও পবিত্র যেসব বস্তু হালাল করিয়াছেন, তোমরা সেগুলোকে হারাম করে নিও না এবং সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে যা কিছু হালাল ও উৎকৃষ্ট রিযিক দান করিয়াছেন তোমরা তা হইতে খাও এবং আল্লাহ তাআলাকে ভয় কর, যার প্রতি তোমরা ঈমান এনেছ” – [সূরা আল –মায়িদাহ্‌ ৮৭, ৮৮]।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। উসমান ইবনি সাদ হইতে কেউ কেউ এটিকে মুরসালরূপে বর্ণনা করিয়াছেন। তাতে ইবনি আব্বাস [রাদি.] এর উল্লেখ নেই। খালিদ এ হাদীসটি ইকরিমাহ [রঃ]হইতে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করিয়াছেন। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৫৫. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, “লোকদের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার ক্ষমতা আছে, আল্লাহ্ তাআলার উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হাজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য” [সূরাঃ আলে-ইমরান- ৯৭], এই আয়াত অবতীর্ণ হলে সাহাবীগণ বলিলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! প্রতি বছর [কি হাজ্জ করিতে হইবে]? তিনি নিরব থাকলেন। তারা আবার বলিলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! প্রতি বছর কি? তিনি বলিলেন, না। তবে আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে তাই ওয়াজিব হত। তখন পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা এমন কোন বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা তোমাদের জন্য প্রকাশ করা হলে তোমাদের মন্দ লাগবে” [সূরাঃ আল-মায়িদাহ- ১০১]।

জঈফ, পূর্বেও [৮১১] নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। আবু ঈসা বলেনঃ আলী [রাদি.]-এর হাদীস হিসেবে এটি হাসান গারীব। এ অনুচ্ছেদে আবু হুরাইরা ও ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে।  সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩০৫৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার বাবা কে? তিনি বললেনঃ তোমার বাবা অমুক। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় [অনুবাদ] : “হে ঈমানদারগণ! তোমরা এমন কোন বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা তোমাদের নিকট প্রকাশিত হলে তা তোমাদের কষ্ট দিবে” – [সূরা আল –মায়িদাহ ১০১]।

সহীহ : বোখারি [২৬২১], মুসলিম। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৫৭. আবু বাক্‌র সিদ্দীক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, হে লোকসকল! তোমরা এ আয়াত পাঠ করে থাক [অনুবাদ] : “হে ইমানদারগণ! তোমাদের দায়িত্ব তোমাদেরই উপর। তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও তবে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করিতে পারবে না [সূরা আল-মায়িদাহ্‌ ১০৫]। অথচ আমি রাসুলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কে বলিতে শুনিয়াছি : মানুষ কোন যালিমকে যুলুম ও অত্যাচার করিতে দেখেও তার হাত ধরে তাকে নিবৃত্ত না করলে অচিরেই আলাহ তাআলা তাহাদেরকে ব্যপকভাবে শাস্তি দিবেন।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ । ইসমাইল ইবনি আবী খালিদের সুত্রে অপরাপর বর্ণনাকারীও এটিকে মারফুরুপে একি রকম বর্ণনা করিয়াছেন । কেউ কেউ ইস্মাঈল হইতে কাইস [রঃ]এর সুত্রে এটিকে আবু বাকর [রাদি.] এর বক্তব্য হিসাবে বর্ণনা করিয়াছেন । তারা এটিকে মারফুরুপে বর্ণনা করেননি । সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৫৮. আবু উমাইয়্যা আশ-শাবানী [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেনঃ আমি আবু সালাবা আল-খুশানী [রাদি.]-এর নিকট এসে তাকে বললাম, এ আয়াত প্রসঙ্গে আপনি কি করণীয় বলে ঠিক করিয়াছেন? তিনি বললেনঃ কোন্ আয়াত? আমি বললাম, আল্লাহ্ তাআলার বাণীঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের দায়িত্ব তোমাদেরই উপর। তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও তবে যে বিপথগামী হয়েছে সে তোমাদের কোন লোকসান করিতে পারবে না” [সূরাঃ আল-মায়িদাহ- ১০৫]। আবু সালাবা [রাদি.] বললেনঃ আল্লাহ্‌র কসম! তুমি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ জেনেছে এমন একজনকে প্রশ্ন করেছ। আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছি। তিনি বলেছেনঃ বরং তোমরা সৎ কাজের আদেশ দিতে থাক এবং খারাপ কাজ হইতে বিরত করিতে থাক। অবশেষে যখন দেখবে কৃপণতার বশ্যতী করা হচ্ছে, নাফসের অনুসরণ করা হচ্ছে, দুনিয়াকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে এবং প্রত্যেকে নিজের মতকে সর্বোত্তম মনে করছে, তখন তুমি শুধুমাত্র নিজেকে রক্ষায় নিয়োজিত থেকো এবং সাধারণের ভাবনা ছেড়ে দিও। কারণ তোমাদের পর এমন যুগ আসবে, যখন [দ্বীনের উপর] সবর করে থাকা জ্বলন্ত অঙ্গার হাতের মুঠোয় ধারণ করে রাখার মত [যন্ত্রণাদায়ক] হইবে। ঐ সময় দ্বীনের উপর আমলকারীর প্রতিদান হইবে তোমাদের মত পঞ্চাশজন আমলকারীর প্রতিদানের সমান। আবদুল্লাহ ইবনিল মুবারাক [রঃ]বলেনঃ উতবা ছাড়া অপরাপর রাবীর রিওয়ায়াত আরো আছে, প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমাদের মধ্যকার পঞ্চাশজন না তাহাদের মধ্যকার পঞ্চাশজন আমলকারীর সমান? তিনি বললেনঃ না, বরং তোমাদের মধ্যকার পঞ্চাশজনের সমান তার সাওয়াব হইবে।

জঈফ, নাকদুল কাত্তানী [২৭/২৭], মিশকাত [৫১৪৪] কিন্তু হাদীসের কিছু অংশ সহীহ, দেখুন হাদীস নং [২৩৬১]। সহীহা [৫৯৪], আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩০৫৯. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তামীম আদ-দারী [রাদি.] নিম্নোক্ত আয়াত প্রসঙ্গে বলেছেন, আমি ও আদী ইবনি বাদ্দা ব্যতীত অপর কারো সাথে তা সম্পর্কিত নয়ঃ “হে ঈমানদারগণ! যখন তোমাদের মধ্যে কারো মৃত্যু হাযির হয় তখন ওসিয়াত করার সময় তোমাদের মধ্য হইতে ন্যায়নিষ্ঠ দুজনকে সাক্ষী রাখবে” [সূরাঃ আল-মাইদা- ১০৬]। তারা দুজনই ছিলেন নাসারা।

ইসলাম ক্ববূলের পূর্বে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে তাহাদের সিরিয়ায় আসা যাওয়া ছিল। কোন এক সময় তারা ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া যান। বানূ সাহ্‌মের গোলাম বুদাইল ইবনি আবু মারইয়ামও ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে তাহাদের নিকট আসলো। তার নিকট একটি রূপার পানপাত্র ছিল। তিনি এটি বাদশার নিকট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে এনেছিলেন। তার ব্যবসায় পণ্যের মধ্যে এটিই ছিল সর্বোৎকৃষ্ট। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি তাহাদের [তামীমুদ দারী ও আদী ইবনি বাদ্দা] উভয়কে ওসিয়াত করেন যে, [তার মারা যাবার পর] তার রেখে যাওয়া মালামালা যেন তারা তার পরিজনকে পৌঁছে দেয়। তামীম [রাদি.] বলেনঃ তিনি মারা গেলে আমরা পানপাত্রটি নিয়ে গিয়ে এক হাজার দিরহামে বিক্রয় করি এবং বিক্রয়লব্ধ টাকা আমি ও আদী ইবনি বাদ্দা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেই। আমরা তার পরিবার-পরিজনের নিকট পৌছে, আমাদের নিকট যা কিছু সঞ্চিত ছিল তা তাহাদের ফিরিয়ে দিলাম। কিন্তু তারা পানপাত্রটি না পেয়ে আমাদেরকে সেটি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করে। আমরা বললাম, সে তো আমাদের নিকট ইহা ব্যতীত আর কিছু রেখে যায়নি। তামীম [রাদি.] বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মাদীনায় পদাপর্ণের পর যখন আমি ইসলাম ক্ববূল করি, তখন আমি আমার এ অপকর্মের জন্য নিজেকে দোষী মনে করলাম [এবং এ হইতে মুক্ত হইতে চাইলাম]। তাই আমি তার পরিজনের নিকট এসে তাহাদের আসল ঘটনা খুলে বললাম এবং তাহাদের পাঁচ শত দিরহাম দিয়ে দিলাম। আমি তাহাদের এও বললাম, আমার সংগীর [আদী ইবনি বাদ্দা] নিকটও সমপরিমাণ [দিরহাম] রয়েছে। তারা তখন বিষয়টি নিয়ে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে এলো। তিনি তাহাদের নিকট প্রমাণ চাইলে তারা তা পেশ করিতে অক্ষম হয়। তিনি তাহাদের নির্দেশ দিলেন যে, তারা আদী ইবনি বাদ্দাকে এমনভাবে কসম করিতে বলবে যেভাবে কসম করলে তার ধর্মের দৃষ্টিতে তা গুরুত্বপূর্ণ হয়। তারপর আদী শপথ করিল [নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য]। তখন আল্লাহ্ তাআলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ হে মুমিনগণ! তোমাদের কারও যখন মৃত্যু হাযির হয় তখন ওসিয়াত করার সময় তোমাদের মধ্য হইতে দুজন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী রাখবে… আল্লাহ্ তাআলা সত্যত্যাগী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না” [সূরাঃ আল-মায়িদাহ- ১০৬-১০৮]। তারপর আমর ইবনিল আস [রাদি.] ও অপর এক ব্যক্তি সাক্ষ্য দিতে উঠলেন এবং শপথ করিলেন। অবশেষে আদী ইবনি বাদ্দার নিকট হইতে পাঁচশত দিরহাম আদায় করা হয়।

সনদ অত্যন্ত দুর্বল, আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। এটির সনদ সহীহ নয়। আর যে আবুন নাযরের নিকট হইতে মুহাম্মাদ ইবনি ইসহাক এ হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন, আমার মতে তিনি হচ্ছেন মুহাম্মাদ ইবনিস সাইব আল-কালবী। আবুন নাদর হল তার ডাকনাম। মুহাদ্দিসগণ তাকে বর্জন করিয়াছেন। তিনি একজন তাফসীরকারও। আমি মুহাম্মাদ ইবনি ইসমাঈলকে বলিতে শুনিয়াছি যে, মুহাম্মাদ ইবনিস সাইব আল-কালবীর ডাকনাম আবুন নাযর। উম্মু হানী [রাদি.]-এর মুক্তগোলাম আবু সালিহ হইতে সালিম আবুন নাযর আল-মাদীনীর কোন বর্ণনা আছে বলে আমাদের জানা নেই। ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতেও এ বিষয়ে সংক্ষেপিত আকারে ভিন্নরূপে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ খুবই দুর্বল

৩০৬০. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বানু সাহ্‌মের এক লোক তামীমুদ দারী [রাদি.] ও আদী ইবনি বাদ্দার সাথে [সফরে] বের হয়। বানু সাহমের লোকটি এমন এক এলাকায় মারা গেল, যেখানে কোন মুসলিম ছিল না। ঐ দুই ব্যক্তি তার পরিত্যক্ত সম্পদ নিয়ে তার পরিজনের নিকট ফিরে এলে তারা তার মধ্যে স্বর্নখচিত রুপার পানপাত্রটি খুঁজে পেল না। রাসুলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তাহাদের উভয়কে শপথ করালেন। তার ওয়ারিশরা পরে মক্কায় ঐ পানপাত্রটি দেখিতে পায়। তাহাদের বলা হয়, আমরা এটি তামীম ও আদীর নিকট হইতে কিনেছি। সাহমীর ওয়ারিশদের মধ্য হইতে দুইজন লোক দাবি নিয়ে উঠে এবং আল্লাহর শপথ করে বলে, আমাদের সাক্ষ্য উক্ত দুইজনের সাক্ষ্যর চাইতে অনেক বেশি সত্য ও গ্রহণযোগ্য। নিঃসন্দেহে এ পানপাত্রটি তাহাদের সাথীরই। এদের সম্পর্কেই এ আয়াত অবতীর্ণ [অনুবাদ] : “ হে মমিনগণ! তোমাদের কারও যখন মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন ওয়াসিয়াত করার সময় তোমাদের মধ্য হইতে দুজন ন্যায়পরায়ন লোককে সাক্ষী রাখবে… [সূরা আল-মায়েদাহ্‌ ১০৬]।

সহীহ : বোখারি [২৭৮০]। আবু ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব । এটি হল ইবনি আবী বারিদার রিওয়ায়াত । সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৬১. আম্মার ইবনি ইয়াসির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আকাশ হইতে [ঈসা [আঃ]-এর উম্মাতের জন্য] খাঞ্চাভর্তি রুটি ও মাংস পাঠানো হয়। তাহাদের প্রতি হুকুম ছিল তারা যেন খিয়ানাত না করে এবং আগামী কালের জন্য তা সঞ্চয় করে না রাখে। কিন্তু তারা এতে খিয়ানাত করিল ও তা থেকে জমা করিল এবং আগামীকালের জন্য তুলে রাখল। ফলে তাহাদেরকে বানর ও শুকরে পরিনত করা হল।

সনদ দুর্বল। সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস। ব্যাখ্যা

৩০৬২. আবু হুরাইরাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ঈসা [আঃ] কে তাহাঁর যুক্তি –প্রমান শিখিয়ে দেয়া হয়। আল্লাহ তাআলাই তাঁকে তা শিখিয়ে দেন। যেমন নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন [অনুবাদ] : “আল্লাহ তাআলা যখন বললেনঃ হে ঈসা ইবনি মারিয়াম! তুমি কি লোকদের বলেছিলে, তোমরা আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আমাকে এবং আমার মাকে ইলাহরুপে গ্রহন কর –[সূরা আল-মায়িদাহ ১১৬]? আবু হুরায়রা্‌ [রাদি.] নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] হইতে বর্ণনা করেন : তখন আল্লাহ তাআলাই ঈসা [আঃ] কে উত্তর শিক্ষা দিলেন : “ তিনি বলিলেন , তুমি মহিহান্বিত! যা বলার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার পক্ষে শোভনীয় নয় —-তবে তুমি তো পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়”—[সূরা আল-মায়েদাহ্‌ ১১৬-১১৮]।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ । সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩০৬৩. আবদুল্লাহ ইবনি আম্‌র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, সর্বশেষ অবতীর্ণ সূরা হল সূরা আল –মায়িদাহ্‌।

সনদ হাসান [সহীহ আত-তিরমিযি অনুযায়ী] / সনদ দুর্বল [জয়ীফ আত-তিরমিযি অনুযায়ী]। , হাকিম এটিকে সহীহ বলেছেন এবং এর একটি শাহিদ বর্ণনা করিয়াছেন। ইমাম যাহাবী তাকে সমর্থন করিয়াছেন।আবু ঈসা বলেন, এ হাদিসটি হাসান গারীব । এ ছাড়া ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতেও একটি বর্ণনা করিয়াছেন । তাতে তিনি বলেছেন, সবশেষে অবতীর্ণ সূরা হচ্ছে “ ইয়া জা-য়া নাস্‌রুল্লাহ –হ —[সূরা নাস্‌র] ।  সূরা মায়েদা তাফসীর – এই হাদিসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ

    প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

    আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও

    Leave a Comment