আজকের বিষয়: সূরা মুমিনুন সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল মুমিনুন আলমল ও ফজিলত, সূরা মুমিনুন কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা মুমিনুন নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ২৩ সূরা আল – মুমিনুন
সূরা আল মুমিনুন তাফসীর
“অবশ্যই মুমিনগণ সফলকাম হয়েছে, যারা নিজেদের সালাতে বিনয়-নম্র।”
[সূরা আল-মুমিন, আয়াত: ১-২]
সুরা আল-মু’মিনূন তাফসীর :
মু’মিনরা bolte এমন লোকদেরকে বুঝানো হয়েছে যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াত গ্রহণ করেছে, তাঁকে নিজেদের নেতা ও পথপ্রদর্শক বলে মেনে নিয়েছে এবং তিনি জীবন যাপনের যে পদ্ধতি পেশ করেছেন তা অনুসরণ করে চলতে রাজি হয়েছে।
মূল শব্দ হচ্ছে ‘ফালাহ’। ফালাহ মানে সাফল্য ও সমৃদ্ধি। এটি ক্ষতি, ঘাটতি, লোকসান ও ব্যর্থতার বিপরীত অর্থবোধক শব্দ। যেমন اَفْلَحَ الرَّجُلُ মানে হচ্ছে, অমুক ব্যক্তি সফল হয়েছে, নিজেদের লক্ষে পৌঁছে গেছে, প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ ও সমৃদ্ধিশালী হয়ে গেছে, তার প্রচেষ্টা ফলবতী হয়েছে, তার অবস্থা ভালো হয়ে গেছে। قَدْ أَفْلَحَ “নিশ্চিতভাবেই সফলতা লাভ করেছে।” এ শব্দগুলো দিয়ে বাক্য শুরু করার গুঢ় তাৎপর্য বুঝতে হলে যে পরিবেশে এ ভাষণ দেয়া হচ্ছিল তা চোখের সামনে রাখা অপরিহার্য। তখন একদিকে ছিল ইসলামী দাওয়াত বিরোধী সরদারবৃন্দ। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নতির পর্যায়ে ছিল। তাদের কাছে ছিল প্রচুর ধন-দৌলত। বৈষয়িক সমৃদ্ধির যাবতীয় উপাদান তাদের হাতের মুঠোয় ছিল। আর অন্যদিকে ছিল ইসলামী দাওয়াতের অনুসারীরা। তাদের অধিকাংশ তো আগে থেকেই ছিল গরীব ও দুর্দশাগ্রস্ত। কয়েকজনের অবস্থা সচ্ছল থাকলেও অথবা কাজ-কারবারের ক্ষেত্রে তারা আগে থেকেই সফলকাম থাকলেও সর্বব্যাপী বিরোধিতার কারণে তাদের অবস্থাও তখন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। এ অবস্থায় যখন “নিশ্চিতভাবেই মু’মিনরা সফলকাম হয়েছে” বাক্যাংশ দিয়ে বক্তব্য শুরু করা হয়েছে তখন এ থেকে আপনা আপনি এ অর্থ বের হয়ে এসেছে যে, তোমাদের সাফল্য ও ক্ষতির মানদন্ড ভুল, তোমাদের অনুমান ত্রুটিপূর্ণ, তোমাদের দৃষ্টি দূরপ্রসারী নয়, তোমাদের নিজেদের যে সাময়িক ও সীমিত সমৃদ্ধিকে সাফল্য মনে করছো তা আসল সাফল্য নয়, তা হচ্ছে ক্ষতি এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে অনুসারীদেরকে তোমরা ব্যর্থ ও অসফল মনে করছো তারাই আসলে সফলকাম ও সার্থক। এ সত্যের দাওয়াত গ্রহণ করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বরং তারা এমন জিনিস লাভ করেছে যা তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জায়গায় স্থায়ী সমৃদ্ধি দান করবে। আর ওকে প্রত্যাখ্যান করে তোমরা আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ। এর খারাপ পরিণতি তোমরা এখানেও দেখবে এবং দুনিয়ার জীবনকাল শেষ করে পরবর্তী জীবনেও দেখতে থাকবে।
এ হচ্ছে এ সূরার কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু। এ সূরার সমগ্র ভাষণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ বক্তব্যটিকে মনের মধ্যে বদ্ধমূল করে দেবার জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
এখান থেকে নিয়ে ৯ আয়াত পর্যন্ত মু’মিনদের যে গুণাবলীর কথা বলা হয়েছে তা আসলে মু’মিনরা সফলকাম হয়েছে এ বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তিস্বরূপ।
Mul শব্দ হচ্ছে “খুশূ”। এর আসল মানে হচ্ছে কারোর সামনে ঝুঁকে পড়া, দমিত বা বশীভূত হওয়া, বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ করা। এ অবস্থাটার সম্পর্ক মনের সাথে এবং দেহের বাহ্যিক অবস্থার সাথেও। মনের খূশূ’ হচ্ছে, মানুষ কারোর ভীতি, শ্রেষ্ঠত্ব, প্রতাপ ও পরাক্রমের দরুন সন্ত্রস্ত ও আড়ষ্ট থাকবে। আর দেহের খুশূ’ হচ্ছে, যখন সে তার সামনে যাবে তখন মাথা নত হয়ে যাবে, অংগ-প্রত্যংগ ঢিলে হয়ে যাবে, দৃষ্টি নত হবে, কন্ঠস্বর নিম্নগামী হবে এবং কোন জবরদস্ত প্রতাপশালী ব্যক্তির সামনে উপস্থিত হলে মানুষের মধ্যে যে স্বাভাবিক ভীতির সঞ্চার হয় তার যাবতীয় চিহ্ন তার মধ্যে ফুটে উঠবে। নামাযে খুশূ’ বলতে মন ও শরীরের এ অবস্থাটা বুঝায় এবং এটাই নামাযের আসল প্রাণ। হাদিসে বলা হয়েছে, একবার নবী ﷺ এক ব্যক্তিকে নামায পড়তে দেখলেন এবং সাথে সাথে এও দেখলেন যে, সে নিজের দাড়ি নিয়ে খেলা করছে। এ অবস্থা দেখে তিনি বললেন,
لو خشع قلبه خشعت جوارحه
“যদি তার মনে খুশূ’ থাকতো তাহলে তার দেহেও খুশূ’র সঞ্চার হতো।”
যদিও খুশূ’র সম্পর্ক মূলত মনের সাথে এবং মনের খুশূ’ আপনা আপনি দেহে সঞ্চারিত হয়, যেমন ওপরে উল্লেখিত হাদিস থেকে এখনই জানা গেলো, তবুও শরীয়তে নামাযের এমন কিছু নিয়ম-কানুন নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে যা একদিকে মনের খুশূ’ (আন্তরিক বিনয়-নম্রতা) সৃষ্টিতে সাহায্য করে এবং অন্যদিকে খুশূ’র হ্রাস-বৃদ্ধির অবস্থায় নামাযের কর্মকান্ডকে কমপক্ষে বাহ্যিক দিক দিয়ে একটি বিশেষ মানদণ্ডে প্রতিষ্ঠিত রাখে। এই নিয়ম-কানুনগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে, নামাযী যেন ডানে বামে না ফিরে এবং মাথা উঠিয়ে ওপরের দিকে না তাকায়, (বড়জোর শুধুমাত্র চোখের কিনারা দিয়ে এদিক ওদিক তাকাতে পারে। হানাফি ও শাফেয়ীদের মতে দৃষ্টি সিজদার স্থান অতিক্রম না করা উচিত। কিন্তু মালেকীগণ মনে করেন দৃষ্টি সামনের দিকে থাকা উচিত।) নামাযের মধ্যে নড়াচড়া করা এবং বিভিন্ন দিকে ঝুঁকে পড়া নিষিদ্ধ। বারবার কাপড় গুটানো অথবা ঝাড়া কিংবা কাপড় নিয়ে খেলা করা জায়েয নয়। সিজদায় যাওয়ার সময় বসার জায়গা বা সিজদা করার জায়গা পরিষ্কার করার চেষ্টা করতেও নিষেধ করা হয়েছে। গর্বিত ভংগীতে খাড়া হওয়া, জোরে জোরে ধমকের সুরে কুরআন পড়া অথবা কুরআন পড়ার মধ্যে গান গাওয়াও নামাযের নিয়ম বিরোধী। জোরে জোরে আড়মোড়া ভাংগা ও ঢেকুর তোলাও নামাযের মধ্যে বেআদবি হিসেবে গণ্য। তাড়াহুড়া করে টপাটপ নামায পড়ে নেয়াও ভীষণ অ-পছন্দনীয়। নির্দেশ হচ্ছে, নামাযের প্রত্যেকটি কাজ পুরোপুরি ধীর-স্থিরভাবে শান্ত সমাহিত চিত্তে সম্পন্ন করতে হবে। এক একটি কাজ যেমন রুকু’, সিজদা, দাঁড়ানো বা বসা যতক্ষণ পুরোপুরি শেষ না হয় ততক্ষণ অন্য কাজ শুরু করা যাবে না। নামায পড়া অবস্থায় যদি কোন জিনিস কষ্ট দিতে থাকে তাহলে এক হাত দিয়ে তা দূর করে দেয়া যেতে পারে। কিন্তু বারবার হাত নাড়া অথবা উভয় হাত aksathe ব্যাবহার করা নিষিদ্ধ।
এ বাহ্যিক আদবের সাথে সাথে নামাযের মধ্যে জেনে বুঝে নামাযের সাথে অসংশ্লিষ্ট ও অবান্তর কথা চিন্তা করা থেকে দূরে থাকার বিষয়টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনিচ্ছাকৃত চিন্তা-ভাবনা মনের মধ্যে আসা ও আসতে থাকা মানুষ মাত্রেরই একটি স্বভাবগত দুর্বলতা। কিন্তু মানুষের পূর্ণপ্রচেষ্টা থাকতে হবে নামাযের somoy তার মন যেন আল্লাহর প্রতি আকৃষ্ট থাকে এবং মুখে সে যা কিছু উচ্চারণ করে মনও যেন তারই আর্জি পেশ করে। এ সময়ের মধ্যে যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে অন্য চিন্তাভাবনা এসে যায় তাহলে যখনই মানুষের মধ্যে এর অনুভূতি সজাগ হবে তখনই তার মনোযোগ সেদিক থেকে সরিয়ে নিয়ে পুনরায় নামাযের সাথে সংযুক্ত korte হবে।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
ক্ষমার বিশেষ দোয়াসহ যেসব গুণ ও অন্যায়ের বিধান পড়া হবে আজ
মুমিনদের সফলতার জন্য বিশেষ গুণবর্ণনার সুরায় শুরু হবে আজকের তারাবিহ। সফলতা লাভে মুমিনদের প্রথম গুণটিই হলো নামাজে বিনয়ী হওয়া। ১৫ রোজার প্রস্তুতিতে তারাবিহ নামাজে এ মুমিনের সফলতার ঘোষনা দিতে গিয়ে বলেন-
‘মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে, যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র, যারা অনর্থক কথা-বার্তা এড়িয়ে চলে, যারা যাকাত দান করে থাকে, এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে…।
রমজানের ১৫তম তারাবিহতে সুরা মুমিনুন, সুরা নুর এবং সুরা ফুরক্বানের ২০নং আয়াত পর্যন্ত তেলাওয়াত করা হবে। সুরার আলোচ্য বিষয়গুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
সুরা মুমিনুন : ০১-১১৮
মুমিনগণের বৈশিষ্ট্য সম্বলিত সুরাটি মক্কায় নাজিল হয়েছে। এ সুরা মুমিনগণের যে বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে, তা ঈমানেরও গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এ কারণেই এ সুরাটিকে সুরা মুমিনুন হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। সুরাটি নাজিলের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেবলামুখী হয়ে দু’হাত তুলে দোয়া করেন-
‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে অধিক পরিমাণে দাও, আমাদেরকে কম দিও না। আমাদেরকে সম্মানিত করো, অপমানিত কর না। আমাদেরকে নিয়ামাত দান কর, বঞ্চিত কর না। অন্যদের ওপর আমাদের পছন্দ কর, আমাদের ওপর অন্যদের পছন্দ কর না। আমাদের প্রতি তুমি সন্তুষ্ট থাক, আর আমাদেরকে খুশি করে দাও!’
অতপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমার প্রতি দশটি আয়াত নাজিল হয়েছে, যে এ দশটি আয়াতে বর্ণিত গুণাবলী অর্জন করলো, সে জান্নাতি হয়ে গেলো। আয়াতগুলো হলো-
– ‘মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে। যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র। যারা অনর্থক কথা-বার্তা এড়িয়ে চলে। যারা যাকাত দান করে থাকে। আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে। আর যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে হুশিয়ার থাকে।আর যারা তাদের নামাযসমূহের খবর রাখে। তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে। তারা শীতল ছায়াময় উদ্যানের উত্তরাধিকার লাভ করবে। তারা তাতে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১-১১)
আল্লাহ তাআলা মানুষের জীবিকা হিসেবে ফল ও প্রাণীসহ অনেক নেয়ামত দান করেছেন। যার বর্ণনা এসেছে এ সুরায়। আল্লাহ তাআলা বলেন-
– ‘আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে থাকি পরিমাণ মত অতঃপর আমি জমিনে সংরক্ষণ করি এবং আমি তা অপসারণও করতে সক্ষম।অতপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করেছি। তোমাদের জন্যে এতে প্রচুর ফল আছে এবং তোমরা তা থেকে আহার করে থাক। এবং ঐ বৃক্ষ সৃষ্টি করেছি, যা সিনাই পর্বতে জন্মায় এবং আহারকারীদের জন্যে তৈল ও ব্যঞ্জন উৎপন্ন করে।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১৮-২০)
– ‘এবং তোমাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তু সমূহের মধ্যে চিন্তা করার বিষয় রয়েছে। আমি তোমাদেরকে তাদের উদরস্থিত বস্তু থেকে পান করাই এবং তোমাদের জন্যে তাদের মধ্যে প্রচুর উপকারিতা আছে। তোমরা তাদের কতককে ভক্ষণ কর। তাদের পিঠে ও জলযানে তোমরা আরোহণ করে চলাফেরা করে থাক।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ২১-২২)
এ সুরায় হজরত নুহ আলাইহিস সালামের বর্ণনা এসেছে। তিনি আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘নুহ (আলাইহিস সালাম) বলেছিল, হে আমার পালনকর্তা! আমাকে সাহায্য কর; কেননা, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে।’ (সুরা মুমিনন : আয়াত ২৬)
নুহ আলাইহিস সালামকে সাহায্য করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা তার অবাধ্য জাতিকে মহাদুর্যোগ দিয়ে ধ্বংস করে দেন আর যারা আল্লাহ ও নবি নুহ আলাইহিস সালামের অনুসারি তাদের হেফাজত করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘অতঃপর আমি তার কাছে আদেশ প্রেরণ করলাম যে, তুমি আমার দৃষ্টির সামনে এবং আমার নির্দেশে নৌকা তৈরী কর। এরপর যখন আমার আদেশ আসে এবং চুল্লী প্লাবিত হয়, তখন নৌকায় তুলে নাও, প্রত্যেক জীবের এক এক জোড়া এবং তোমার পরিবারবর্গকে, তাদের মধ্যে যাদের বিপক্ষে পূর্বে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাদের ছাড়া। এবং তুমি জালেমদের সম্পর্কে আমাকে কিছু বলো না। নিশ্চয় তারা নিমজ্জত হবে।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ২৭)
বিপদে নৌকায় আরোহন করে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা এবং বিপদ শেষে নৌকা থেকে অবতরণ করেও শুকরিয়া আদায় করেন হজরত নুহ আলাইহিস সালাম। এ দোয়া মানুষের জন্য শিক্ষণীয়। মানুষ বিপদে যেমন এ দোয়া পড়বে আবার কোনো যানবাহন থেকে নিরাপদ অবতরণ করতেও এ দোয়া পড়বে। আল্লাহ যা বান্দার জন্য নেয়ামতস্বরপ সুরা মুমিনুনে নাজিল করেছেন। আর তাহলো-
– ‘যখন তুমি ও তোমার সঙ্গীরা নৌকায় আরোহণ করবে, তখন বল-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي نَجَّانَا مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ : ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি নাঝ্ঝানা মিনাল ক্বাওমিজ জ্বালিমিন।’
অর্থ : আল্লাহর শোকর, যিনি আমাদেরকে জালেম সম্প্রদায়ের কবল থেকে উদ্ধার করেছেন।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ২৮)
– (অবতরণের সময়) আরও বলুন-
رَّبِّ أَنزِلْنِي مُنزَلًا مُّبَارَكًا وَأَنتَ خَيْرُ الْمُنزِلِينَ
উচ্চারণ : রাব্বি আংযিলনি মুংযালাম মুবারাকাও ওয়া আংতা খাইরুল মুংযিলিন।’
অর্থ : (হে আমার) পালনকর্তা! আমাকে কল্যাণকর ভাবে নামিয়ে দাও, তুমি শ্রেষ্ঠ অবতারণকারী।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ২৯)
সত্যের বাণী প্রচারে আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবি রাসুল পাঠিয়েছেন। যারাই নবি-রাসুলদের অবিশ্বাস করেছে, তারাই আজাবা-গজব ও ধ্বংসে পরিণত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘এরপর আমি পর্যায়ক্রমে আমার রাসুল পাঠিয়েছি। যখনই কোনো উম্মতের কাছে তাঁর রাসুল আগমন করেছেন, তখনই তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলেছে। অতপর আমি তাদের একের পর এক ধ্বংস করেছি এবং তাদেরকে কাহিনীর বিষয়ে পরিণত করেছি। সুতরাং ধ্বংস হোক অবিশ্বাসীরা।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ৪৪)
সব নবি-রাসুলের উম্মতরা একই মাওলার অনুসারি। সবার প্রভু একজন। কেউ আগে এসেছে কেউ পরে এসেছে। সবারই মিশন এক ও অভিন্ন। সে কথার ঘোষণাও এসেছে এ সুরায়। আল্লাহ বলেন-
‘আপনাদের এই সব উম্মত তো একই ধর্মের অনুসারী এবং আমি আপনাদের পালনকর্তা; অতএব আমাকে ভয় করুন।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ৫২)
যেসব লোক আল্লাহর ভয়ে তার দেয়া সম্পদ থেকে গরিব-অসহায়দের দান করে তাদের মর্যাদাও এ সুরায় ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আর যারা যা দান করবার, তা ভীত, কম্পিত হৃদয়ে এ কারণে দান করে যে, তারা তাদের পালনকর্তার কাছে ফিরে যাবে। তারাই দ্রুত কল্যাণ অর্জন করে এবং তারা তাতে অগ্রগামী থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ৬০-৬১)
আল্লাহর অবাধ্যতা ও সীমা লঙ্ঘনের অপরাধ থেকে মুক্ত থাকতে আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। আর তা তারই শেখানো ভাষায় করা উত্তম। আল্লাহ তাআলা সে আবেদনের ভাষা তুলে ধরেছেন এভাবে-
رَبِّ فَلَا تَجْعَلْنِي فِي الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বি ফালা তাঝআলনি ফিল ক্বাওমিজ জ্বালিমিন।’
অর্থ : ‘হে আমার পালনকর্তা! তবে আপনি আমাকে গোনাহগার সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত করবেন না।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ৯৪)
যে কারো মন্দ বা খারাপ কথার উত্তর কিভাবে দিতে হবে তাও বলে দিয়েছেন। আবার মন্দ কথার উত্তম জবাব দেয়ার পর আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার ভাষাও তুলে ধরেছেন এ সুরায়। আল্লাহ বলেন-
‘মন্দের জওয়াবে তাই বলুন, যা উত্তম। তারা যা বলে, আমি সে বিষয়ে সবিশেষ অবগত। আর (আপনি) বলুন-
رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ – وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ
উচ্চারণ : ‘রাব্বি আউজুবিকা মিন হামাযাতিশ শায়াত্বিন – ওয়া আউজুবিকা রাব্বি আইঁইয়াহদুরুন।’
হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি, আর হে আমার পালনকর্তা! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি।’
যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলে, হে আমার পালণকর্তা! আমাকে পুনরায় (দুনিয়াতে ) প্রেরণ করুন।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ৯৬-৯৯)
পথহারা মানুষ সঠিক পথ লাভের পর মহান আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করবে। যাতে মহান আল্লাহ তার দোয়া কবুল করে সঠিক পথের ওপর চলার তাওফিক দান করেন। আল্লাহ বলেন-
‘তারা বলবে-
رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَالِّينَ – رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَالِمُونَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা গালাবাত আলাইনা শিক্বওয়াতুনা ওয়া কুন্না ক্বাওমাং দাল্লিন। রাব্বানা আখরিঝনা মিনহা ফাইন্না উদনা ফাইন্না জ্বালেমুন।’
অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা দূর্ভাগ্যের হাতে পরাভূত ছিলাম এবং আমরা ছিলাম বিভ্রান্ত জাতি। হে আমাদের পালনকর্তা! এ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর; আমরা যদি পুনরায় তা করি, তবে আমরা গোনাহগার হব।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১০৬-১০৭)
মুমিন ব্যক্তি ক্ষমা লাভে আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করবে-
‘আমার বান্দাদের একদলে বলত-
رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা আমান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।’
অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১০৯)
সর্বশেষ আয়াতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তার দরবারে এভাবে প্রার্থনা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন-
‘(হে রাসুল! আপনি) বলুন-
رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আংতা খাইরুর রাহিমিন।’
অর্থ : ‘হে আমার পালনকর্তা! ক্ষমা করুন ও রহম করুন। রহমকারীদের মধ্যে আপনি শ্রেষ্ট রহমকারী।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১১৮)
সুরা নুর : ০১-৬৪
সুরা নুর মদিনায় অবতীর্ণ হয়। এ সুরায় আল্লাহ তাআলা অনেক বিধি-বিধান, শাসন-শৃঙ্খলা এবং তাওহিদের বর্ণনা করেছেন। চারিত্রিক ও নৈতিক মানোন্নয়নের ওপর এ সুরায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘এটা একটা সুরা যা আমি নাযিল করেছি, এবং দায়িত্বে অপরিহার্য করেছি। এতে আমি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ।’ (সুরা নুর : আয়াত ১)
সাঈদ ইবনে মনসুর, ইবনুল মুনজির, বাইহাকি মুজাহিদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহির সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা পুরুষদের সুরা মায়িদা শেখাও, আর তোমাদের স্ত্রীদেরকে সুরা নুর শেখাও।
তাছাড়া সুরা নুরের বিশেষত্বের কারণে হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলতেন, তোমরা স্ত্রীলোকদেরকে সুরা নূর শিক্ষা দাও। এ সুরার মূল বক্তব্য ও আলোচ্যসূচি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
>> এ সুরায় ব্যভিচারের শাস্তি বর্ণনা এসেছে; আল্লাহ বলেন-
‘ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’ (সুরা নুর : আয়াত ২)
>> ব্যভিচারের অপবাদের শাস্তির ঘোষণা এসেছে। মুনাফিকরা উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহার বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়েছিল, এ সুরায় তাদের শাস্তির ঘোষণা করা হয়েছে-
– ‘যারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অতপর স্বপক্ষে চার জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না। এরাই নাফারমান। কিন্তু যারা এরপর তওবা করে এবং সংশোধিত হয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।’ (সুরা নুর : আয়াত ৪-৫)
– ‘আর যারা তাদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং তারা নিজেরা ছাড়া তাদের কোনো সাক্ষী নেই, এরূপ ব্যক্তির সাক্ষ্য এভাবে হবে যে, সে আল্লাহর কসম খেয়ে চারবার সাক্ষ্য দেবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী। আর পঞ্চমবার বলবে যে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লানত।’ (সুরা নুর : আয়াত ৬-৭)
– আর স্ত্রীর শাস্তি রহিত হয়ে যাবে যদি সে আল্লাহর কসম খেয়ে চার বার সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামী অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আর পঞ্চমবার বলে যে, যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয় তবে তার ওপর আল্লাহর গযব নেমে আসবে।’ (সুরা নুর : আয়াত ৮-৯)
>> এ সুরায় নিজ ঘর ছাড়া অন্যদের ঘরে প্রবেশের নিয়ম বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের ঘর ব্যতিত অন্য ঘরে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং ঘরের লোকদের সালাম না কর (তাতে প্রবেশ কর না)। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। যদি তোমরা ঘরে কাউকে না পাও, তবে অনুমতি গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করো না। যদি তোমাদেরকে বলা হয় ফিরে যাও, তবে ফিরে যাবে। এতে তোমাদের জন্যে অনেক পবিত্রতা আছে এবং তোমরা যা কর, আল্লাহ তা ভালোভাবে জানেন।’ (সুরা নুর : আয়াত ২৭-২৮)
>> এ সুরায় মুমিন পুরুষদের ওপর পর্দার বিধান দিয়ে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
‘মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩০)
>> আবার নারীদেরকে সম্বোধন করে পর্দার বিধান জানিয়ে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-
‘ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩১)
>> যাদের জান্য পর্দার বিধানে শিথিলতা আছে। তবে তাদের জন্যও পর্দা করা উত্তম। তাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন-
– ‘বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে তাদের বস্ত্র খুলে রাখে। তাদের জন্যে দোষ নেই, তবে এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর : আয়াত ৬০)
সুরা ফুরক্বান : ০১-২০
সুরা ফুরকান হিজরতের আগে এমন এক সময় মক্কায় নাজিল হয় যখন আরবের অবিশ্বাসীরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরামের ওপর সীমাহীন নির্যাতন করছিল। তারা ছিল গোমরাহীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন, অন্যায়-অনাচার, জুলুম-অত্যাচার এক কথায় যাবতীয় পাপাচারে লিপ্ত।
তারা এ কথাটি বিশ্বাস করতে পারছিল না যে, আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি তাঁর বাণী নাজিল করেছেন, যিনি চল্লিশটি বসন্ত তাদের মাঝেই পরিচ্ছন্ন জীবন অতিবাহিত করেছেন।
এ সুরায় হক্ব ও বাতিল সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে এবং সত্য ও অসত্যের মধ্যে বিশেষভাবে পার্থক্য দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই এ সুরার নামকরণ করা হয়েছে ফুরকান।
তাওহিদ, রিসালাত ও কিয়ামাত সম্পর্কিত বিস্তারিত বিষয়ের আলোচনার পাশাপাশি যার প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তকে অস্বীকার করতো, তাদের যাবতীয় সন্দেহ-সংশয়ের খণ্ডন করা হয়েছে এ সুরায়।
সুরাটির আজকের তারাবিহ-এর অংশে প্রত্যেক সৃষ্ট বস্তুর বিশেষ রহস্য এবং তার আকার, গঠন, প্রতিক্রিয়া ও বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে। তাছাড়া মানব সমাজের অর্থনৈতিক সাম্যের ব্যাপারে আলোচিত হয়েছে। আল্লাহ নিজের পরিচয় ও সত্যতার কথা তুলে ধরে বলেন-
‘পরম কল্যাণময় তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফয়সালার গ্রন্থ অবর্তীণ করেছেন, যাতে সে বিশ্বজগতের জন্যে সতর্ককারী হয়। তিনি হলেন সেই মহান সত্ত্বা, যাঁর রয়েছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব। তিনি কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি। তাঁর রাজত্বে কোনো অংশীদার নেই। তিনি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছেন, অতপর তাকে শোধিত করেছেন পরিমিতভাবে।’ (সুরা ফুরকান : আয়াত ১-২)
অবিশ্বাসীরা প্রিয় নবি সম্পর্কে অমূলক কথা বার্তা বলে বেড়ায়। তার রেসালাতের দাবির বিপক্ষে যেসব কথা বার্তা বলে বেড়াত, তা ছিল এমন। আল্লাহ বলেন-
‘তারা বলে, এ কেমন রসূল যে, খাদ্য আহার করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে? তাঁর কাছে কেন কোন ফেরেশতা নাযিল করা হল না যে, তাঁর সাথে সতর্ককারী হয়ে থাকত? অথবা তিনি ধন-ভান্ডার প্রাপ্ত হলেন না কেন, অথবা তাঁর একটি বাগান হল না কেন, যা থেকে তিনি আহার করতেন? জালেমরা বলে, তোমরা তো একজন জাদুগ্রস্ত ব্যক্তিরই অনুসরণ করছ।’ (সুরা ফুরকান : আয়াত ৭-৮)
আল্লাহ তাদের কথার জবাবে নবি-রাসুল পাঠানোর ব্যাপারে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ আয়াতে বিবরণ বেশ করে ঘোষণা দেন। আল্লাহ বলেন-
‘(হে রাসুল!) আপনার আগে যত রাসুল প্রেরণ করেছি, তারা সবাই খাদ্য গ্রহণ করত এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করত। আমি তোমাদের এককে অপরের জন্যে পরীক্ষাস্বরূপ করেছি। দেখি, তোমরা সবর কর কিনা। আপনার পালনকর্তা সব কিছু দেখেন।’ (সুরা ফুরকান : আয়াত ২০)
এ আয়াত পাঠের মাধ্যমেই শেষ হবে ১৫তম রোজার প্রস্তুতিতে আজকের তারাবিহ। তারাবিহ পড়া মুমিন মুসলমানের উচিত তারাবিহ পড়তে যাওয়ার আগে উল্লেখিত সুরাগুলো অনুবাদ ও আলোচ্য বিষয়গুলো অধ্যয়ন করা। অন্তত এ সুরাগুলো তেলাওয়াত করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের এ গুরুত্বপূর্ণ সুরাগুলো বুঝে পড়ার এবং তাঁর ওপর আমল করার পাশাপাশি নিজেদের আকিদা-বিশ্বাসকে শিরকমুক্ত রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
- নামাজে আমরা যা বলি , তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
সূরা আল মুমিনুন তাফসীর আল কোরআন
৩১৭৩. আবদুর রহমান ইবনি আবদুল কারী [রঃ]হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ আমি উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর উপর যখন ওয়াহী অবতীর্ণ হত সে সময় তাহাঁর মুখমণ্ডলের নিকট হইতে মৌমাছির আওয়াজের মত গুনগুন আওয়াজ শোনা যেত। একদিন তাহাঁর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হল। আমি কিছুক্ষন প্রতীক্ষা করলাম। তাহাঁর উপর হইতে ওয়াহীর বিশেষ অবস্থা সরে গেলে তিনি কিবলামুখী হয়ে তাহাঁর দুই হাত তুলে দুআ করলেনঃ “হে আল্লাহ্! আমাদেরকে বেশি দান কর, আমাদেরকে কম দিও না, আমাদেরকে সম্মান ও মর্যাদা দাও, আমাদেরকে লাঞ্ছিত করো না, আমাদেরকে দান কর, বঞ্চিত করো না, আমাদেরকে অগ্রগামী কর, আমাদের উপর অন্য কাউকে অগ্রগামী করো না, আমাদেরকে সুপ্রসন্ন কর এবং আমাদের উপর সুপ্রসন্ন থাক।” তারপর তিনি বললেনঃ আমার উপর এমন দশটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে, যার মানদণ্ডে কেউ কৃতকার্য হলে সে জান্নাতে যাবে। তারপর তিনি “কাদ আফলাহাল মুমিনূন” হইতে শুরু করে দশটি আয়াত তিলাওয়াত করেন।
জঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী [২৪৯৪] মুহাম্মাদ ইবনি আবান-আবদুর রাযযাক হইতে তিনি ইউনুস ইবনি সুলাইম হইতে তিনি ইউনুস ইবনি ইয়াযীদ হইতে তিনি যুহরী [রঃ]হইতে এই সূত্রে উক্ত মর্মে একই রকম হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। আবু ঈসা বলেনঃ পূর্ববর্তী সূত্রের তুলনায় এই সনদসূত্রটি অনেক বেশি সহীহ। আমি ইসহাক ইবনি মানসূরকে বলিতে শুনিয়াছি, আহমাদ ইবনি হাম্বল, আলী ইবনিল মাদীনী ও ইসহাক ইবনি ইবরাহীম-আবদুর রাযযাক হইতে তিনি ইউনুস ইবনি সুলাইম হইতে তিনি ইউনুস ইবনি ইয়াযীদ হইতে তিনি যুহরী [রঃ]সূত্রে এই হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন। যিনি প্রথমে আবদুর রাযযাকের নিকট এ হাদীস শুনেছেন তিনি ইউনুস ইবনি সুলাইম-এর পরে ইউনুস ইবনি ইয়াযীদের উল্লেখ করিয়াছেন এবং কিছু রাবী ইউনুস ইবনি ইয়াযীদের উল্লেখ করেননি। সুতরাং যারা ইউনুস ইবনি ইয়াযীদের উল্লেখ করিয়াছেন তাহাদের রিওয়ায়াতই অনেক বেশি সহীহ। আর আবদুর রাযযাক কখনও তার উল্লেখ করিয়াছেন এবং কখনও করেননি। হাদীসটি মুরসাল। পূর্বের অনুরূপ দুর্বল। সূরা আল মুমিনুন তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩১৭৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাযর এর মেয়ে রুবাই [রাদি.] নাবী [সাঃআঃ] এর সামনে উপস্থিত হলেন। উক্ত মহিলার পুত্র হারিসাহ ইবনি সুরাকাহ বদরের যুদ্ধে অদৃশ্য তীরের আঘাতে শহীদ হন। তিনি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলিলেন, আমাকে হারিসাহ এর অবস্থা সম্পর্কে বলুন। সে যদি কল্যানের অধিকারী হয়ে থাকে তবে আমি পুন্যের আশাবাদী থাকব এবং ধৈর্য ধারন করবো। আর সে যদি কল্যাণ লাভ না করে থাকে তবে আমি তাহাঁর জন্য দুআ করিতে আপ্রান চেষ্টা করবো। নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ হে হারিসাহর মা! জান্নাতের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীর উদ্যান রয়েছে। তোমার ছেলে সু উচ্চ উদ্যান জান্নাতুল ফেরদাউদ লাভ করেছে। ফিরদাউস হল জান্নাতের উচ্চ ভুমি, জান্নাতের কেন্দ্রভূমি এবং সর্বশ্রেষ্ঠ উদ্যান।
সহীহঃ সহীহাহ [১৮১১, ২০০৩], মুখতাসারুল উলুবি [৭৬], বোখারি। আবু ঈসা বলেন, হাদিসটি হাসান সহীহ। সূরা আল মুমিনুন তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩১৭৫. রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর স্ত্রী আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে এই আয়াত প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলামঃ “তারা যা কিছুই দান করে তাতে তাহাদের অন্তর প্রকম্পিত থাকে”-[সূরা মূমিনূন ৬০]। আয়িশাহ [রাদি.] বলেন, এরা কি মদখোর ও চোর? তিনি বললেনঃ হে সিদ্দীকের মেয়ে! না এরা তা নয়, যারা নামাজ আদায় করে, রোযা রাখে, দান-খয়রাত করে এবং মনে মনে এই ভয় পোষণ করে যে, তাহাদের পক্ষ হইতে এগুলো কবুল করা হল কি না? এরাই “কল্যাণের কাজ দ্রুত শেষ করে এবং তাতে অগ্রগামী হয় “- [সূরা মূমিনূন ৬১]।
সহীহঃ ইবনি মা-যাহ [৪১৯৮] আবু ঈসা বলেন, এ হাদিসটি আব্দুর রহমান ইবনি সাঈদ- আবু হাযিম হইতে, তিনি আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সূত্রেও একই রকম বর্ণিত আছে। সূরা আল মুমিনুন তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদিস
৩১৭৬. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] “তারা জাহান্নামে থাকিবে বীভৎস চেহারায়” [সূরাঃ আল-মুমিনুন- ১০৪] আয়াত প্রসঙ্গে বলেনঃ আগুন তাহাদেরকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ঝলসিয়ে দিবে। ফলে তাহাদের উপরের ঠোঁট কুঞ্চিত হয়ে মাথার মাঝখানে পৌঁছে যাবে। আর নীচের ঠোঁট এত ঢিলা হয়ে যাবে যে, তা নাভী পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।
জঈফ, ২৭১৩ নং হাদীস পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব। সূরা আল মুমিনুন তাফসীর এই হাদিসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
নামকরণ :
সূরার ২৮ আয়াতের (আরবী —————————) অংশ থেকে নাম গৃহীত হয়েছে। অর্থাৎ এটা সে সূরা যার মধ্যে সেই বিশেষ মু’মিন ব্যক্তির উল্লেখ আছে।
নাযিল হওযার সময় কাল
ইবনে আব্বাস ও জাবের ইবনে যায়েত বর্ণনা করেছেন যে , এ সূরা সূরা যুমার নাযিল হওয়ার পর পরই নাযিল হয়েছে। কুরআনা মজীদের বর্তমান ক্রমবিন্যাস এর যে স্থান , নাযিল হওয়ার ধারাক্রম অনুসারেও সূরাটির সে একই স্থান।
নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট
যে পটভূমিতে এ সূরা নাযিল হয়েছিলো এর বিষয়বস্তুর মধ্যে সেদিকে সুস্পষ্ট ইংগিত বিদ্যমান। সে সময় মক্কার কাফেররা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে দুই ধরনের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিলো । এক , বাক – বিতণ্ডা ও তর্ক – বিতর্ক সৃষ্টি করে নানা রকমের উল্টা পাল্টা প্রশ্ন উত্থাপন করে , এবং নিত্য নতুন অপবাদ আরোপ করে কুরআনের শিক্ষা , ইসলামী আন্দোলন এবং খোদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে মানুষের মনে এমন সন্দেহ সংশয় ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দেয়া যে , তা খণ্ডন করতেই যেন নবী (সা) ও ঈমানদারগণ বিরক্ত হয়ে ওঠেন । দুই , নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যা করার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। এ উদ্দেশ্যে তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছিলো। একবার তারা কার্যত এ পদক্ষেপ নিয়েও ফেলেছিলো। বুখারীতে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ‘ আমর ইবনে আস (রা) বর্ণিত হাদীসে উদ্বৃত হয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন হারাম শরীফের মধ্যে নামায পড়ছিলেন । হঠাৎ ‘ উকবা ইবনে আবু মু’আইত অগ্রসর হয়ে তাঁর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে দিল। অতপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার জন্য কাপড়ে মোচড় দিতে লাগলো। ঠিক সে মুহূর্তে হযরত আবু বকর (রা) সেখানে গিয়ে উপস্থিত হলেন এবং ধাক্কা মেরে ‘ উকবা ইবনে আবু মু’আইতকে হটিয়ে দিলেন । হযরত আবদুল্লাহ বর্ণনা করেছেন , হযরত আবু বকর যে সময় ধাক্কা দিয়ে ঐ জালেমকে সরিয়ে দিচ্ছিলেন তখন তাঁর মুখ থেকে উচ্চারিত হচ্ছিলো , (আরবী————————) (তোমরা কি শুধু এতটুকুন অপরাধে একজন মানুষকে হত্যা করছো যে , তিনি বলছেন , আমার রব আল্লাহ ? ) এ ঘটনাটি সীরাতে ইবনে হিশাম গ্রন্থেও কিছুটা ভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া নাসায়ী ও ইবন আবী হাতেমও ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন।
বিষয়বস্তু ও মুলবক্তব্য
বক্তব্যের শুরুতেই পরিস্থিতির এ দু’টি দিক পরিস্কারভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অবশিষ্ট গোটা বক্তব্যই এ দু’টি দিকের অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ও শিক্ষাপ্রদ পর্যালোচনা মাত্র।
হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষিতে ফেরাউনের সভাসদদের মধ্যকার ঈমানদার ব্যক্তির কাহিনী শুনানো হয়েছে (আয়াত ৩৩ থেকে ৫৫ ) এবং এ কাহিনী মাধ্যমে তিনটি গোষ্ঠীকে ভিন্ন ভিন্ন তিনটি শিক্ষা দেয়া হয়েছে :
এক : কাফেরদেরকে বলা হচ্ছে যে , তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে যা কিছু করতে চাচ্ছো ফেরাউন নিজের শক্তির ওপর ভরসা করে হযরত মূসার (আ) সাথে এমন একটা কিছুই করতে চেয়েছিলো। একই আচরণ করে তোমরাও কি সে পরিণাম ভোগ করতে চাও যা তারা ভোগ করেছিলো।
দুই : মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর অনুসারীদের শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, এসব জালেম দৃশ্যত যত শক্তিশালী ও অত্যাচারীই হোক না কেন এবং তাদের মোকবিলায় তোমরা যতই দুর্বল ও অসহায় হও না কেন ,তোমাদের দৃঢ় বিশ্বাস থাকা উচিত , যে আল্লাহর দীনকে সমুন্নত করার জন্য তোমরা কাজ করে যাচ্ছো তাঁর শক্তি যে কোন শক্তির তুলনায় প্রচণ্ডতম। সুতরাং তারা তোমাদের যত বড় ভীতিকর হুমকিই দিক না কেন তার জবাবে তোমরা কেবল আল্লাহর আশ্রয় চেয়ে নাও এবং তারপর একেবারে নির্ভয় হয়ে নিজেদের কাজে লেগে যাও। আল্লাহর পথের পথিকদের কাছে যে কোন জালেমের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের একটিই জবাব , আর তা হচ্ছে :
আরবী ————————————————————————–
এভাবে আল্লাহর ওপর ভরসা করে বিপদ সম্পর্কে বেপরোয়া হয়ে যদি কাজ করো তাহলে শেষ পর্যন্ত তাঁর সাহায্য অবশ্যই লাভ করবে এবং অতীতের ফেরাউন যে পরিণামের সম্মুখীন হয়েছে বর্তমানের ফেরাউনও সে একই পরিণামের সম্মুখীন হবে। সে সময়টি আসার পূর্বে জুলুম – নির্যাতনের তুফান একের পর এক যতই আসুক না কেন তোমাদেরকে তা ধৈর্যের সাথে বরদাশত করতে হবে।
তিন : এ দু’টি গোষ্ঠী ছাড়াও সমাজে তৃতীয় আরেকটি গোষ্ঠী ছিল। সেটি ছিল এমন লোকদের গোষ্ঠী যারা মনেপ্রাণে বুঝতে পেরেছিলো যে , ন্যায় ও সত্য আছে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষে আর কুরাইশ গোত্রের কাফেররা নিছক বাড়াবাড়ি করছে। কিন্তু একথা জানা সত্ত্বেও তারা হক ও বাতিলের এ সংঘাতে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিলো। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’আলা বিবেককে নাড়া দিয়েছেন। তিনি তাদের বলছেন , ন্যায় ও সত্যের দুশমনরা যখন তোমাদের চোখের সামনে এত বড় নির্যাতনমূলক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে তখনও যদি তোমরা বসে বসে তামাসা দেখতে থাকো তাহলে আফসোস। যে ব্যক্তির বিবেক একবারে মরে যায়নি তাদের কর্তব্য ফেরাউন যখন মূসাকে (আ) হত্যা করতে চেয়েছিলো তখন তার ভরা দরবারে সভাসদদের মধ্য থেকে একজন ন্যায়পন্থী ব্যক্তি যে ভূমিকা পালন করেছিলো সে ভূমিকা পালন করা । যে যুক্তি ও উদ্দেশ্য তোমাদেরকে মুখ খোলা থেকে বিরত রাখছে সে একই যুক্তি ও উদ্দেশ্য ,ঐ ব্যক্তির সামনে পথের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। কিন্তু সে (আরবী ———————-) (আমার সব বিষয় আল্লাহর ওপর সোপর্দ করলাম ) বলে সমস্ত যুক্তি ও উদ্দেশ্যকে পদাঘাত করেছিলেন। কিন্তু দেখো , ফেরাউন তার কিছুই করতে পারেনি।
ন্যায় ও সত্যকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য পবিত্র মক্কায় রাতদিন কাফেরদের যে তর্ক বিতর্ক ও বাক বিতণ্ডা চলছিলো তার জবাবে একদিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও কাফেরদের মধ্যকার মূল বিবাদের বিষয় তাওহীদ ও আখিরাতের আকীদা বিশ্বাসের যথার্থতা যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে এবং এ সত্য স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে যে , এসব লোক কোন যুক্তি প্রমাণ ছাড়াই খামখা সত্যের বিরোধিতা করছে। অপর দিকে কুরাইশ নেতারা এতটা তৎপরতার সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলো কেন সে কারণগুলোকে উন্মেচিত করা হয়েছে। বাহ্যত তারা দেখাচ্ছিলো যে , নবীর (সা) শিক্ষা এবং তাঁর নবুওয়াতে দাবী সম্পর্কে তাদের বাস্তব আপত্তি আছে যার কারণে তারা এসব কথা মেনে নিতে পারছে না। তবে মূলত তাদের জন্য এটা ছিলো ক্ষমতার লড়াই । কোন রাগঢাক না করে ৫৬ আয়াতে তাদেরকে পরিস্কার একথা বলে দেয়া হয়েছে যে , তোমাদের অস্বীকৃতির আসল কারণ তোমাদের গর্ব ও অহংকার যা দিয়ে তোমাদের মন ভরা। তোমরা মনে করো মানুষ যদি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াত মেনে নেয় তাহলে তোমাদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় থাকবে না। এ কারণে তাঁকে পরস্ত করার জন্য তোমরা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছো।
এ প্রসংগে কাফেরদেরকে একের পর এক সাবধান করা হয়েছে যে , যদি তোমরা আল্লাহর আয়াতসমূহের বিরুদ্ধে বিতর্ক সৃষ্টি করা থেকে বিরত না হও তাহেল অতীতের জাতিসমূহ যে পরিণাম ভোগ করেছে তোমরাও সে একই পরিণামের সম্মুখীন হবে এবং আখিরাতে তোমাদের জন্যে তার চেয়েও নিকৃষ্ট পরিণাম ভাগ্যের লিখন হয়ে আছে। সে সময় তোমরা অনুশোচনা করবে , কিন্তু তাতে কোন লাভ হবে না।
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
সুরা নং- ০২৩ : সুরা আল-মুমিনুন
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
قَدۡ أَفۡلَحَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٢٣.١
আরবি উচ্চারণ ২৩.১। ক্বাদ্ আফ্লাহাল্ মুমিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১ অবশ্যই মুমিনগণ সফল হয়েছে,
ٱلَّذِينَ هُمۡ فِى صَلَاتِہِمۡ خَـٰشِعُونَ ٢٣.٢
আরবি উচ্চারণ ২৩.২। আল্লাযীনা হুম্ ফী ছলা-তিহিম্ খা-শি‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.২ যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত।
وَٱلَّذِينَ هُمۡ عَنِ ٱللَّغۡوِ مُعۡرِضُونَ ٢٣.٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৩। অল্লাযীনা হুম্ ‘আনিল্লাগ্ওয়ি মু’রিদ্বূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৩ আর যারা অনর্থক কথাকর্ম থেকে বিমুখ।
وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِلزَّكَوٰةِ فَـٰعِلُونَ ٢٣.٤
আরবি উচ্চারণ ২৩.৪। অল্লাযীনা হুম্ লিয্যাকা-তি ফা-‘ইলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৪ আর যারা যাকাতের ক্ষেত্রে সক্রিয়।
وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِفُرُوجِهِمۡ حَـٰفِظُونَ .٢٣.٥
আরবি উচ্চারণ ২৩.৫। অল্লাযীনা হুম্ লিফুরূজ্বিহিম্ হা-ফিজূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৫ আর যারা তাদের নিজদের লজ্জাস্থানের হিফাযতকারী।
إِلَّا عَلَىٰٓ أَزۡوَٲجِهِمۡ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَـٰنُہُمۡ فَإِنَّہُمۡ غَيۡرُ مَلُومِينَ ٢٣.٦
আরবি উচ্চারণ ২৩.৬। ইল্লা ‘আলায় আয্ওয়া-জ্বিহিম্ আও মা- মালাকাত্ আইমা-নু হুম্ ফাইন্নাহুম্ গইরু মালূমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৬ তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা ছাড়া, নিশ্চয় এতে তারা নিন্দিত হবে না।
فَمَنِ ٱبۡتَغَىٰ وَرَآءَ ذَٲلِكَ فَأُوْلَـٰٓٮِٕكَ هُمُ ٱلۡعَادُونَ ٢٣.٧
আরবি উচ্চারণ ২৩.৭। ফামানিব্তাগ- অর-য়া যা-লিকা ফাউলা-য়িকা হুমুল্ আ’দূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৭ অতঃপর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।
وَٱلَّذِينَ هُمۡ لِأَمَـٰنَـٰتِهِمۡ وَعَهۡدِهِمۡ رَٲعُونَ ٢٣.٨
আরবি উচ্চারণ ২৩.৮। অল্লাযীনা হুম্ লিআমা-না-তি হিম্ অ‘আহ্দিহিম্ র-‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৮ আর যারা নিজদের আমানতসমূহ ও অঙ্গীকারে যতœবান।
وَٱلَّذِينَ هُمۡ عَلَىٰ صَلَوَٲتِہِمۡ يُحَافِظُونَ ٢٣.٩
আরবি উচ্চারণ ২৩.৯। অল্লাযীনা হুম্ ‘আলা-ছলাওয়া-তিহিম্ ইয়ুহা-ফিজূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৯ আর যারা নিজদের সালাতসমূহ হিফাযত করে।
أُوْلَـٰٓٮِٕكَ هُمُ ٱلۡوَٲرِثُونَ ١٠.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১০। উলা-য়িকা হুমুল্ ওয়া-রিছূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১০ তারাই হবে ওয়ারিস।
ٱلَّذِينَ يَرِثُونَ ٱلۡفِرۡدَوۡسَ هُمۡ فِيہَا خَـٰلِدُونَ ١١.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১১। আল্লাযীনা ইয়ারিছূনাল্ র্ফিদাউস্ হুম্ ফীহা-খ-লিদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১১ যারা ফিরদাউসের অধিকারী হবে। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
وَلَقَدۡ خَلَقۡنَا ٱلۡإِنسَـٰنَ مِن سُلَـٰلَةٍ۬ مِّن طِينٍ۬ ١٢.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১২। অলাক্বদ্ খলাক্বনাল্ ইন্সা-না মিন্ সুলা-লাতিম্ মিন্ ত্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১২ আর অবশ্যই আমি মানুষকে মাটির নির্যাস থেকে সৃষ্টি করেছি।
ثُمَّ جَعَلۡنَـٰهُ نُطۡفَةً۬ فِى قَرَارٍ۬ مَّكِينٍ۬ ١٣.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১৩। ছুম্মা জ্বা‘আল্না- হু নুত্ব্ ফাতান্ ফী ক্বর-রিম্ মাকীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১৩ তারপর আমি তাকে শুক্ররূপে সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।
ثُمَّ خَلَقۡنَا ٱلنُّطۡفَةَ عَلَقَةً۬ فَخَلَقۡنَا ٱلۡعَلَقَةَ مُضۡغَةً۬ فَخَلَقۡنَا ٱلۡمُضۡغَةَ عِظَـٰمً۬ا فَكَسَوۡنَا ٱلۡعِظَـٰمَ لَحۡمً۬ا ثُمَّ أَنشَأۡنَـٰهُ خَلۡقًا ءَاخَرَۚ فَتَبَارَكَ ٱللَّهُ أَحۡسَنُ ٱلۡخَـٰلِقِينَ ١٤.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১৪। ছুম্মা খলাক্বনান্ নুত্বফাতা ‘আলাক্বতান্ ফাখলাক্বনাল্ ‘আলাক্বতা মুদ্ব্গতান্ ফাখলাক্বনাল্ মুদ্ব্গতা ‘ইজোয়া- মান্ ফাকাসাওনাল্ ‘ইজোয়া-মা লাহ্মান্ ছুম্মা আন্শানা-হু খল্ক্বন্ আ-র্খ; ফাতাবা-রকাল্লা-হু আহ্সানুল্ খ-লিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১৪ তারপর শুক্রকে আমি ‘আলাকায় পরিণত করি। তারপর ‘আলাকাকে গোশ্তপিণ্ডে পরিণত করি। তারপর গোশ্তপিণ্ডকে হাড়ে পরিণত করি। তারপর হাড়কে গোশ্ত দিয়ে আবৃত করি। অতঃপর তাকে অন্য এক সৃৃষ্টিরূপে গড়ে তুলি। অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কত বরকতময়!
ثُمَّ إِنَّكُم بَعۡدَ ذَٲلِكَ لَمَيِّتُونَ ١٥.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১৫। ছুম্মা ইন্নাকুম্ বা’দা যা-লিকা লামাইয়্যিতূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১৫ এরপর অবশ্যই তোমরা মরবে।
ثُمَّ إِنَّكُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَـٰمَةِ تُبۡعَثُونَ ١٦.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১৬। ছুম্মা ইন্নাকুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি তুব্‘আছূ ন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১৬ তারপর কিয়ামতের দিন অবশ্যই তোমরা পুনরুত্থিত হবে।
وَلَقَدۡ خَلَقۡنَا فَوۡقَكُمۡ سَبۡعَ طَرَآٮِٕقَ وَمَا كُنَّا عَنِ ٱلۡخَلۡقِ غَـٰفِلِينَ ١٧.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১৭। অ লাক্বদ্ খলাক্বনা-ফাওক্বকুম্ সাব্‘আ ত্বোয়া-রইকা-অমা-কুন্না- ‘আনিল্ খল্ক্বি গফিলীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১৭ আর অবশ্যই আমি তোমাদের উপর সাতটি স্তর সৃষ্টি করেছি। আর আমি সৃষ্টি সম্পর্কে উদাসীন ছিলাম না।
وَأَنزَلۡنَا مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءَۢ بِقَدَرٍ۬ فَأَسۡكَنَّـٰهُ فِى ٱلۡأَرۡضِۖ وَإِنَّا عَلَىٰ ذَهَابِۭ بِهِۦ لَقَـٰدِرُونَ ١٨.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১৮। অ আন্যালনা- মিনাস্ সামা-য়ি মা-য়াম্ বিক্বদারিন্ ফাআস্কান্না-হু ফিল্ র্আদ্বি অইন্না-আলা যাহা- বিম্ বিহী লাক্ব-দিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১৮ আর আমি আকাশ থেকে পরিমিতভাবে পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর আমি তা যমীনে সংরক্ষণ করেছি। আর অবশ্যই আমি সেটাকে অপসারণ করতেও সক্ষম।
فَأَنشَأۡنَا لَكُم بِهِۦ جَنَّـٰتٍ۬ مِّن نَّخِيلٍ۬ وَأَعۡنَـٰبٍ۬ لَّكُمۡ فِيہَا فَوَٲكِهُ كَثِيرَةٌ۬ وَمِنۡہَا تَأۡكُلُونَ ١٩.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১৯। ফাআন্শানা লাকুম্ বিহী জ্বান্না-তিম্ মিন্ নাখীলিওঁ অ আ’নাব্। লাকুম্ ফীহা-ফাওয়া-কিহু কাছীরাতুওঁ অমিন্হা-তাকুলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১৯ তারপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্য খেজুর ও আঙ্গুরের বাগানসমূহ সৃষ্টি করেছি। তাতে তোমাদের জন্য প্রচুর ফল থাকে। আর তা থেকেই তোমরা খাও।
وَشَجَرَةً۬ تَخۡرُجُ مِن طُورِ سَيۡنَآءَ تَنۢبُتُ بِٱلدُّهۡنِ وَصِبۡغٍ۬ لِّلۡأَڪِلِينَ ٢٠.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.২০। অ শাজ্বারাতান্ তাখ্রুজু মিন্ তুরি সাইনা-য়া তাম্বুতু বিদ্দুহ্নি অ ছিব্গিল্লিল্ আ-কিলীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.২০ আর এক বৃক্ষ যা সিনাই পাহাড় হতে উদ্গত হয়, যা আহারকারীদের জন্য তেল ও তরকারী উৎপন্ন করে।
وَإِنَّ لَكُمۡ فِى ٱلۡأَنۡعَـٰمِ لَعِبۡرَةً۬ۖ نُّسۡقِيكُم مِّمَّا فِى بُطُونِہَا وَلَكُمۡ فِيہَا مَنَـٰفِعُ كَثِيرَةٌ۬ وَمِنۡہَا تَأۡكُلُون ٢١.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.২১। অ ইন্না লাকুম্ ফিল্ আন্‘আ-মি লা‘ইব্রহ্; নুস্ক্বীকুম্ মিম্মা-ফী বুতুনিহা-অলাকুম্ ফীহা-মানা-ফি‘উ কাছীরাতুঁও অ মিন্হা- তাকুলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.২১ আর নিশ্চয় গবাদিপশুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। তাদের পেটে যা আছে তা থেকে আমি তোমাদেরকে পান করাই। আর এতে তোমাদের জন্য প্রচুর উপকারিতা রয়েছে এবং তা থেকে তোমরা খাও।
وَعَلَيۡہَا وَعَلَى ٱلۡفُلۡكِ تُحۡمَلُونَ ٢٢.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.২২। অ ‘আলাইহা-অ‘আলাল্ ফুল্কি তুহ্মালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.২২ আর এসব পশু ও নৌকায় তোমাদেরকে আরোহণ করানো হয়।
وَلَقَدۡ أَرۡسَلۡنَا نُوحًا إِلَىٰ قَوۡمِهِۦ فَقَالَ يَـٰقَوۡمِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مَا لَكُم مِّنۡ إِلَـٰهٍ غَيۡرُهُ ۥۤۖ أَفَلَا تَتَّقُونَ ٢٣.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.২৩। অ লাক্বদ্ র্আসাল্না- নূহান্ ইলা-ক্বওমিহী ফাক্ব-লা ইয়া-ক্বওমি’ বুদু ল্লা-হা মা-লাকুম্ মিন্ ইলা-হিন্ গইরুহ্; আফালা-তাত্তাকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.২৩ আর অবশ্যই আমি নূহকে তার কওমের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। অতঃপর সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন ইলাহ নেই। তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না’?
فَقَالَ ٱلۡمَلَؤُاْ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِن قَوۡمِهِۦ مَا هَـٰذَآ إِلَّا بَشَرٌ۬ مِّثۡلُكُمۡ يُرِيدُ أَن يَتَفَضَّلَ عَلَيۡڪُمۡ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَأَنزَلَ مَلَـٰٓٮِٕكَةً۬ مَّا سَمِعۡنَا بِہَـٰذَا فِىٓ ءَابَآٮِٕنَا ٱلۡأَوَّلِينَ ٢٤.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.২৪। ফাক্বা-লাল্ মালায়ুল্লাযীনা কাফারূ মিন্ ক্বাওমিহী মা-হাযা য় ইল্লা-বাশারুম্ মিছ্লুকুম্ ইয়ুরীদু আইঁ ইয়াতাফাদ্দোয়ালা ‘আলাইকুম্ অলাও শা-য়াল্লা-হু লাআন্যালা মালা-য়িকাতাম্ মা- সামি’না বিহা-যা-ফী য় আ-বা-য়িনাল্ আউয়ালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.২৪ তারপর তার সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয়গণ, যারা কুফরী করেছিল- তারা বলল, ‘এতো তোমাদের মত একজন মানুষ ছাড়া কিছুই না। সে তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করতে চায়। আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে অবশ্যই ফেরেশতা নাযিল করতেন। এ কথাতো আমরা আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদের সময়েও শুনিনি’।
إِنۡ هُوَ إِلَّا رَجُلُۢ بِهِۦ جِنَّةٌ۬ فَتَرَبَّصُواْ بِهِۦ حَتَّىٰ حِينٍ۬ ٢٥.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.২৫। ইন্ হুঅ ইল্লা-রাজুলুম্ বিহী জিন্নাতুন্ ফাতারব্বাছূ বিহী হাত্তা-হীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.২৫ ‘সে কেবল এমন এক লোক, যার মধ্যে পাগলামী রয়েছে। অতএব তোমরা তার সম্পর্কে কিছুকাল অপেক্ষা কর’।
قَالَ رَبِّ ٱنصُرۡنِى بِمَا ڪَذَّبُونِ ٢٦.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.২৬। ক্ব-লা রব্বিন্ র্ছুনী বিমা-কায্যাবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.২৬ নূহ বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন। কেননা তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছে’।
فَأَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡهِ أَنِ ٱصۡنَعِ ٱلۡفُلۡكَ بِأَعۡيُنِنَا وَوَحۡيِنَا فَإِذَا جَآءَ أَمۡرُنَا وَفَارَ ٱلتَّنُّورُۙ فَٱسۡلُكۡ فِيہَا مِن ڪُلٍّ۬ زَوۡجَيۡنِ ٱثۡنَيۡنِ وَأَهۡلَكَ إِلَّا مَن سَبَقَ عَلَيۡهِ ٱلۡقَوۡلُ مِنۡهُمۡۖ وَلَا تُخَـٰطِبۡنِى فِى ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓاْۖ إِنَّہُم مُّغۡرَقُونَ ٢٧.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.২৭। ফাআওহাইনা য় ইলাইহি আনিছ্ না‘ঈল্ ফুল্কা বি-আ’ইয়ুনিনা-অ ওয়াহ্য়িয়েনা- ফাইযা-জ্বা-য়া আম্রুনা-অফা-রত্তান্ নূরু ফাস্লুক্ ফীহা-মিন্ কুল্লিন্ যাওজ্বাইনিছ্ নাইনি অ আহ্লাকা ইল্লা-মান্ সাবাক্ব ‘আলাইহিল্ ক্বওলু মিন্হুম্ অলা-তুখা-ত্বিব্নী ফিল্লাযীনা জোয়ালামূ ইন্নাহুম্ মুগ্রাকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.২৭ তারপর আমি তার কাছে ওহী প্রেরণ করলাম যে, তুমি আমার চোখের সামনে ও আমার ওহী অনুযায়ী নৌকা তৈরী কর। তারপর যখন আমার আদেশ আসবে এবং চুলা (পানিতে) উথলে উঠবে তখন প্রত্যেক জীবের এক জোড়া ও তোমার পরিবারবর্গকে নৌযানে তুলে নিও; তবে তাদের মধ্যে যাদের ব্যাপারে পূর্বে সিদ্ধান্ত হয়ে আছে তারা ছাড়া। আর যারা যুলম করেছে তাদের ব্যাপারে তুমি আমাকে সম্বোধন করো না। নিশ্চয় তারা নিমজ্জিত হবে।
فَإِذَا ٱسۡتَوَيۡتَ أَنتَ وَمَن مَّعَكَ عَلَى ٱلۡفُلۡكِ فَقُلِ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ ٱلَّذِى نَجَّٮٰنَا مِنَ ٱلۡقَوۡمِ ٱلظَّـٰلِمِينَ ٢٨.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.২৮। ফাইযাস্ তাওয়াইতা আন্তা অমাম্ মা‘আকা ‘আলাল্ ফুল্কি ফাকুলিল্ হাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী নাজ্জ্বানা-মিনাল্ ক্বওমিজ্ জোয়া-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.২৮ অতঃপর যখন তুমি ও তোমার সঙ্গীরা নৌযানে আরোহণ করবে তখন বলবে, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে যালিম কওম থেকে মুক্তি দিয়েছেন’।
وَقُل رَّبِّ أَنزِلۡنِى مُنزَلاً۬ مُّبَارَكً۬ا وَأَنتَ خَيۡرُ ٱلۡمُنزِلِينَ ٢٩.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.২৯। অক্বর রব্বি আন্যিল্নী মুন্যালাম্ মুবা-রকাঁও অআন্তা খইরুল মুন্যিলীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.২৯ তুমি আরও বলবে, ‘হে আমার রব, আমাকে বরকতময় অবতরণস্থলে অবতরণ করান। আর আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ অবতরণকারী’।
إِنَّ فِى ذَٲلِكَ لَأَيَـٰتٍ۬ وَإِن كُنَّا لَمُبۡتَلِينَ ٣٠.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৩০। ইন্না ফী যা-লিকা লা আ-ইয়া-তিঁও অইন্ কুন্না-। লামুব্তালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৩০ নিশ্চয় এর মধ্যে অনেক নিদর্শন রয়েছে। আর নিশ্চয় আমি পরীক্ষাকারী ছিলাম।
ثُمَّ أَنشَأۡنَا مِنۢ بَعۡدِهِمۡ قَرۡنًا ءَاخَرِينَ ٣١.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৩১। ছুম্মা আন্শানা-মিম্ বা’দিহিম র্ক্বনান্ আ-খরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৩১ তারপর তাদের পরে আমি অন্য প্রজন্ম সৃষ্টি করেছি।
فَأَرۡسَلۡنَا فِيہِمۡ رَسُولاً۬ مِّنۡہُمۡ أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مَا لَكُم مِّنۡ إِلَـٰهٍ غَيۡرُهُ ۥۤۖ أَفَلَا تَتَّقُونَ ٣٢.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৩২। ফার্আসাল্না-ফীহিম্ রাসূ লাম্ মিন্হুম্ আনি’ বুদু ল্লা-হা মা-লাকুম্ মিন্ ইলা-হিন্ গইরুহ্; আফালা- তাত্তাকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৩২ অতঃপর তাদের মধ্যে তাদেরই একজনকে আমি রাসূলরূপে প্রেরণ করেছিলাম যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত করবে, তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোন (সত্য) ইলাহ নেই। তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না।
وَقَالَ ٱلۡمَلَأُ مِن قَوۡمِهِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَكَذَّبُواْ بِلِقَآءِ ٱلۡأَخِرَةِ وَأَتۡرَفۡنَـٰهُمۡ فِى ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا مَا هَـٰذَآ إِلَّا بَشَرٌ۬ مِّثۡلُكُمۡ يَأۡكُلُ مِمَّا تَأۡكُلُونَ مِنۡهُ وَيَشۡرَبُ مِمَّا تَشۡرَبُونَ ٣٣.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৩৩। অক্ব-লাল্ মালায়ূ মিন্ ক্বওমিহিল্ লাযীনা কাফারূ অ কায্যাবূ বিলিক্ব-য়িল্ আ-খিরতি অ আত্রফ্না-হুম্ ফীল্ হা-ইয়া-তি দ্দুন্ইয়া-মা-হা-যা য় ইল্লা-বাশারুম্ মিছ্লুকুম্ ইয়াকুলু মিম্মা-তাকুলূনা মিন্হু অইয়াশ্রাবু মিম্মা-তাশ্রাবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৩৩ আর তার সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ যারা কুফরী করেছে, আখেরাতের সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছে এবং আমি দুনিয়ার জীবনে যাদের ভোগ বিলাসিতা দিয়েছিলাম, তারা বলল, ‘সে কেবল তোমাদের মত একজন মানুষ, সে তাই খায় যা থেকে তোমরা খাও এবং সে তাই পান করে যা থেকে তোমরা পান কর’।
وَلَٮِٕنۡ أَطَعۡتُم بَشَرً۬ا مِّثۡلَكُمۡ إِنَّكُمۡ إِذً۬ا لَّخَـٰسِرُونَ ٣٤.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৩৪। অলায়িন্ আত্বোয়া’তুম্ বাশারম্ মিছ্লাকুম্ ইন্নাকুম্ ইযা ল্লাখা-সিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৩৪ ‘আর যদি তোমরা তোমাদের মতই একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে’।
أَيَعِدُكُمۡ أَنَّكُمۡ إِذَا مِتُّمۡ وَكُنتُمۡ تُرَابً۬ا وَعِظَـٰمًا أَنَّكُم مُّخۡرَجُونَ ٣٥.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৩৫। আ ইয়া‘ঈদুকুম্ আন্নাকুম্ ইযা- মিত্তুম্ অকুন্তুম্ তুর-বাঁও অঈ’জোয়া-মান্ আন্নাকুম্ মুখ্রজ্বুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৩৫ ‘সে কি তোমাদের ওয়াদা দেয় যে, তোমরা যখন মারা যাবে এবং তোমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাবে। তোমাদেরকে অবশ্যই বের করা হবে?’
۞ هَيۡہَاتَ هَيۡہَاتَ لِمَا تُوعَدُونَ ٣٦.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৩৬। হাইহা-তা হাইহা-তা লিমা-তূ‘আদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৩৬ অনেক দূর, তোমাদের যে ওয়াদা দেয়া হয়েছে তা অনেক দূর।
إِنۡ هِىَ إِلَّا حَيَاتُنَا ٱلدُّنۡيَا نَمُوتُ وَنَحۡيَا وَمَا نَحۡنُ بِمَبۡعُوثِينَ ٣٧.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৩৭। ইন্ হিয়া ইল্লা-হাইয়া-তুনাদ্ দুন্ইয়া-নামূতু অ নাহ্ইয়া-অমা-নাহ্নু বিমাব্‘ঊছীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৩৭ ‘এ শুধু আমাদের দুনিয়ার জীবন। আমরা মরে যাই এবং বেঁেচ থাকি। আর আমরা পুনরুত্থিত হবার নই’।
إِنۡ هُوَ إِلَّا رَجُلٌ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ ڪَذِبً۬ا وَمَا نَحۡنُ لَهُ ۥ بِمُؤۡمِنِينَ ٣٨.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৩৮। ইন্ হুওয়া ইল্লারাজুলু নিফ্তারা-‘আলাল্ল-হি কাযিবাঁও অমা-নাহ্নু লাহূ বিমু’মিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৩৮ ‘সে শুধু এক ব্যক্তি যে আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করেছে; আর আমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনয়নকারী নই’।
قَالَ رَبِّ ٱنصُرۡنِى بِمَا كَذَّبُونِ ٣٩.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৩৯। ক্ব-লা রব্বিন্ র্ছুনী বিমা-কায্যাবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৩৯ সে বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন, কারণ তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছে’।
قَالَ عَمَّا قَلِيلٍ۬ لَّيُصۡبِحُنَّ نَـٰدِمِينَ ٤٠.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৪০। ক্ব-লা ‘আম্মা -ক্বলীলিল্ লাইয়ুছ্বিহুন্না না-দিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৪০ আল্লাহ বললেন, ‘কিছু সময়ের মধ্যেই তারা নিশ্চিতরূপে অনুতপ্ত হবে’।
فَأَخَذَتۡہُمُ ٱلصَّيۡحَةُ بِٱلۡحَقِّ فَجَعَلۡنَـٰهُمۡ غُثَآءً۬ۚ فَبُعۡدً۬ا لِّلۡقَوۡمِ ٱلظَّـٰلِمِينَ ٤١.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৪১। ফাআখযাত্ হুমুছ্ ছোয়াইহাতু বিল্হাক্বক্বি ফাজ্বা‘আল্না-হুম্ গুছা-য়ান্ ফাবু’দাল্লিল্ ক্বওমিজ্ জোয়া-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৪১ অতঃপর যথার্থই তাদেরকে এক বিকট আওয়াজ পেয়ে বসল, তারপর আমি তাদেরকে খড়কুটায় পরিণত করলাম। সুতরাং যালিম কওমের জন্য ধ্বংস।
ثُمَّ أَنشَأۡنَا مِنۢ بَعۡدِهِمۡ قُرُونًا ءَاخَرِينَ ٤٢.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৪২। ছুম্মা আন্শানা-মিম্ বা’দিহিম্ কুরূনান্ আ-খরীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৪২ তারপর তাদের পরে আমি অন্য প্রজন্ম সৃষ্টি করেছি।
مَا تَسۡبِقُ مِنۡ أُمَّةٍ أَجَلَهَا وَمَا يَسۡتَـٔۡخِرُونَ ٤٣.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৪৩। মা-তাস্বিকু মিন্ উম্মাতিন্ আজ্বালাহা-অমা-ইয়াস্ তাখিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৪৩ কোন জাতি থেকে তার নির্দিষ্ট মেয়াদ এগিয়ে আসে না এবং বিলম্বিতও হয় না।
ثُمَّ أَرۡسَلۡنَا رُسُلَنَا تَتۡرَاۖ كُلَّ مَا جَآءَ أُمَّةً۬ رَّسُولُهَا كَذَّبُوهُۚ فَأَتۡبَعۡنَا بَعۡضَہُم بَعۡضً۬ا وَجَعَلۡنَـٰهُمۡ أَحَادِيثَۚ فَبُعۡدً۬ا لِّقَوۡمٍ۬ لَّا يُؤۡمِنُونَ ٤٤.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৪৪। ছুম্মা র্আসাল্না-রুসুলানা-তাত্র-; কুল্লামা- জ্বা-য়া উম্মার্তা রসূলুহা-কায্যাবূহু ফাআত্বা’না-বা’দ্বোয়াহুম্ বা’দ্বোয়াঁও অজ্বা‘আল্না-হুম্ আহা-দীছা ফাবু’দাল্ লিক্বাওমিল্লা-ইয়ুমিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৪৪ এরপর আমি আমাদের রাসূলদেরকে ধারাবাহিকভাবে প্রেরণ করেছি, যখনই কোন জাতির কাছে তাদের রাসূল আসত, তখনই তারা তাকে অস্বীকার করত। অতঃপর আমি এদের এককে অপরের অনুসরণে ধ্বংস করে দিয়েছি এবং তাদেরকে কাহিনীতে পরিণত করেছি। সুতরাং ধ্বংস হোক সে কওম যারা ঈমান আনে না।
ثُمَّ أَرۡسَلۡنَا مُوسَىٰ وَأَخَاهُ هَـٰرُونَ بِـَٔايَـٰتِنَا وَسُلۡطَـٰنٍ۬ مُّبِينٍ ٤٥.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৪৫। ছুম্মা র্আসাল্না-মূসা-অআখ-হু হা-রূনা বিআ-ইয়া-তিনা-অসুল্ত্বোয়া-নিম্ মুবীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৪৫ তারপর আমি মূসা ও তার ভাই হারূনকে আমার নিদর্শনাবলী ও সুস্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেছি।
إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ وَمَلَإِيْهِۦ فَٱسۡتَكۡبَرُواْ وَكَانُواْ قَوۡمًا عَالِينَ ٤٦.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৪৬। ইলা-র্ফি‘আওনা অমালায়িহী ফাস্তাক্বারূ অকা-নূ ক্বওমান্ ‘আ-লীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৪৬ ফির‘আউন ও তার পারিষদবর্গের কাছে; কিন্তু তারা অহঙ্কার করল এবং তারা ছিল উদ্ধত কওম।
فَقَالُوٓاْ أَنُؤۡمِنُ لِبَشَرَيۡنِ مِثۡلِنَا وَقَوۡمُهُمَا لَنَا عَـٰبِدُونَ ٤٧.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৪৭। ফাক্ব-লূ য় আনুমিনু লিবাশারইনি মিছ্লিনা-অক্বও মুহুমা-লানা ‘আ-বিদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৪৭ অতঃপর তারা বলল, আমরা কি আমাদের মতই দু’জন মানুষের প্রতি ঈমান আনব অথচ তাদের কওম আমাদের সেবাদাস।
فَكَذَّبُوهُمَا فَكَانُواْ مِنَ ٱلۡمُهۡلَكِينَ ٤٨.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৪৮। ফাকায্ যাবূ হুমা-ফাকা-নূ মিনাল্ মুহ্লাকীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৪৮ অতএব তারা তাদের উভয়কে মিথ্যাবাদী বলল। ফলে তারা ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
وَلَقَدۡ ءَاتَيۡنَا مُوسَى ٱلۡكِتَـٰبَ لَعَلَّهُمۡ يَہۡتَدُونَ ٤٩.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৪৯। অলাক্বদ্ আ-তাইনা-মূসাল্ কিতা-বা লা‘আল্লাহুম্ ইয়াহ্তাদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৪৯ আর অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব প্রদান করেছিলাম যাতে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়।
وَجَعَلۡنَا ٱبۡنَ مَرۡيَمَ وَأُمَّهُ ۥۤ ءَايَةً۬ وَءَاوَيۡنَـٰهُمَآ إِلَىٰ رَبۡوَةٍ۬ ذَاتِ قَرَارٍ۬ وَمَعِينٍ۬ ٥٠.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৫০। অ জ্বা‘আল্নাব্না র্মাইয়ামা অ উম্মাহূ য় আ-ইয়াতাঁও অ আ-অইনা-হুমা য় ইলা-রবওয়াতিন্ যা-তি ক্বর-রিঁও অ মা‘ঈন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৫০ আর আমি মারইয়াম-পুত্র ও তার মাকে নিদর্শন বানালাম এবং তাদেরকে আবাসযোগ্য ও ঝর্নাবিশিষ্ট এক উঁচু ভূমিতে আশ্রয় দিলাম।
يَـٰٓأَيُّہَا ٱلرُّسُلُ كُلُواْ مِنَ ٱلطَّيِّبَـٰتِ وَٱعۡمَلُواْ صَـٰلِحًاۖ إِنِّى بِمَا تَعۡمَلُونَ عَلِيمٌ۬ ٥١.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৫১। ইয়া য় আইয়ুর্হা রুসুলু কুলূ মিনাত্ব ত্বোয়াইয়্যিবা-তি ওয়া’মালূ ছোয়া-লিহা-; ইন্নী বিমা-তা‘মালূনা ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৫১ ‘হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র ও ভাল বস্তু থেকে খাও এবং সৎকর্ম কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে সর্ম্পকে আমি সম্যক জ্ঞাত।
وَإِنَّ هَـٰذِهِۦۤ أُمَّتُكُمۡ أُمَّةً۬ وَٲحِدَةً۬ وَأَنَا۟ رَبُّڪُمۡ فَٱتَّقُونِ ٥٢.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৫২। অ ইন্না হা-যিহী য় উম্মাতুকুম্ উম্মাতাঁও ওয়া-হিদাতাঁও অআনা রব্বুকুম্ ফাত্তাকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৫২ তোমাদের এই দীন তো একই দীন। আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমাকে কর।
فَتَقَطَّعُوٓاْ أَمۡرَهُم بَيۡنَہُمۡ زُبُرً۬اۖ كُلُّ حِزۡبِۭ بِمَا لَدَيۡہِمۡ فَرِحُونَ ٥٣.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৫৩। ফাতাক্ব্ত্ত্বোয়াঊ’য় আম্রহুম্ বাইনাহুম্ যুবুর-; কুল্লু হিয্বিম্ বিমা-লাদাইহিম্ ফারিহূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৫৩ তারপর লোকেরা তাদের মাঝে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের কাছে যা আছে তা নিয়ে উৎফুল্ল।
فَذَرۡهُمۡ فِى غَمۡرَتِهِمۡ حَتَّىٰ حِينٍ ٥٤.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৫৪। ফার্যাহুম্ ফী গম্রতিহিম্ হাত্তা- হীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৫৪ সুতরাং কিছু সময়ের জন্য তাদেরকে স্বীয় বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।
أَيَحۡسَبُونَ أَنَّمَا نُمِدُّهُم بِهِۦ مِن مَّالٍ۬ وَبَنِينَ ٥٥.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৫৫। আইয়াহ্সাবূনা আন্নামা-নুমিদ্দুহুম্ বিহী মিম্ মা-লিওঁ অবানীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৫৫ তারা কি মনে করছে যে, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি থেকে যা আমি তাদেরকে দেই।
نُسَارِعُ لَهُمۡ فِى ٱلۡخَيۡرَٲتِۚ بَل لَّا يَشۡعُرُونَ ٥٦.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৫৬। নুসা-রিউ’ লাহুম্ ফিল্ খইর-ত্; বাল্ লা-ইয়াশ্‘ঊরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৫৬ (তা দ্বারা) আমি তাদের কল্যাণে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি; বরং তারা উপলদ্ধি করতে পারছে না।
إِنَّ ٱلَّذِينَ هُم مِّنۡ خَشۡيَةِ رَبِّہِم مُّشۡفِقُونَ ٥٧.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৫৭। ইন্নাল্লাযীনা হুম্ মিন্ খশ্ইয়াতি রব্বিহিম্ মুশ্ফিকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৫৭ নিশ্চয় যারা তাদের রবের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত,
وَٱلَّذِينَ هُم بِـَٔايَـٰتِ رَبِّہِمۡ يُؤۡمِنُونَ ٥٨.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৫৮। অল্লাযীনা হুম্ বিআ-ইয়া-তি রব্বিহিম্ ইয়ুমিনূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৫৮ আর যারা তাদের রবের আয়াতসমূহে ঈমান আনে।
وَٱلَّذِينَ هُم بِرَبِّہِمۡ لَا يُشۡرِكُونَ ٥٩.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৫৯। অল্লাযীনা হুম্ বিরব্বিহিম্ লা- ইয়ুশ্রিকূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৫৯ আর যারা তাদের রবের সাথে র্শিক করে না,
وَٱلَّذِينَ يُؤۡتُونَ مَآ ءَاتَواْ وَّقُلُوبُہُمۡ وَجِلَةٌ أَنَّہُمۡ إِلَىٰ رَبِّہِمۡ رَٲجِعُونَ ٦٠.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৬০। অল্লাযীনা ইয়ুতূনা মা য় আ-তাও অকুলূবুহুম্ অজ্বিলাতুন্ আন্নাহুম্ ইলা-রব্বিহিম্ রা-জ্বি‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৬০ আর যারা যা দান করে তা ভীত-কম্পিত হৃদয়ে করে থাকে এজন্য যে, তারা তাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তনশীল।
أُوْلَـٰٓٮِٕكَ يُسَـٰرِعُونَ فِى ٱلۡخَيۡرَٲتِ وَهُمۡ لَهَا سَـٰبِقُونَ ٦١.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৬১। উলা-য়িকা ইয়ুসা-রি‘ঊনা ফীল্ খইর-তি অহুম্ লাহা-সা-বিকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৬১ তারাই কল্যাণসমূহের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এবং তাতে তারা অগ্রগামী।
وَلَا نُكَلِّفُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۖ وَلَدَيۡنَا كِتَـٰبٌ۬ يَنطِقُ بِٱلۡحَقِّۚ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ ٦٢.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৬২। অলা-নুকাল্লিফু নাফ্সান্ ইল্লা-উস্‘আহা-অ লাদাইনা-কিতা-বুঁই ইয়ান্ত্বিকু বিল্হাক্বক্বি অহুম্ লা-ইয়ুজ্লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৬২ আর আমি কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোন দায়িত্ব দেই না। আমার নিকট আছে এমন কিতাব যা সত্য কথা বলে এবং তারা অত্যাচারিত হবে না।
بَلۡ قُلُوبُہُمۡ فِى غَمۡرَةٍ۬ مِّنۡ هَـٰذَا وَلَهُمۡ أَعۡمَـٰلٌ۬ مِّن دُونِ ذَٲلِكَ هُمۡ لَهَا عَـٰمِلُونَ ٦٣.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৬৩। বাল্ কুলূবুহুম্ ফী গম্রতিম্ মিন্ হা-যা-অলাহুম্ আ’মালুম্ মিন্ দূনি যা-লিকা হুম্ লাহা-‘আ-মিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৬৩ বরং তাদের অন্তরসমূহ এ বিষয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে। এছাড়া তাদের আরও আনেক আমল রয়েছে, যা তারা করছে।
حَتَّىٰٓ إِذَآ أَخَذۡنَا مُتۡرَفِيہِم بِٱلۡعَذَابِ إِذَا هُمۡ يَجۡـَٔرُونَ ٦٤.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৬৪। হাত্তা য় ইযায় আখয্না-মুত্রফীহিম্ বিল্‘আযা-বি ইযা-হুম্ ইয়াজ্ব ্য়ারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৬৪ অবশেষে যখন আমি তাদের ভোগবিলাসপূর্ণ জীবনধারীদের আযাব দ্বারা পাকড়াও করব, তখন তারা সজোরে আর্তনাদ করে উঠবে।
لَا تَجۡـَٔرُواْ ٱلۡيَوۡمَۖ إِنَّكُم مِّنَّا لَا تُنصَرُونَ ٦٥.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৬৫। লা- তাজ্ব য়ারুল্ ইয়াওমা ইন্নাকুম্ মিন্না-লা-তুন্ছোয়ারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৬৫ আজ তোমরা সজোরে আর্তনাদ করো না। নিশ্চয় তোমরা আমার পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।
قَدۡ كَانَتۡ ءَايَـٰتِى تُتۡلَىٰ عَلَيۡكُمۡ فَكُنتُمۡ عَلَىٰٓ أَعۡقَـٰبِكُمۡ تَنكِصُونَ ٦٦.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৬৬। ক্বদ্ কা-নাত্ আ-ইয়া-তী তুত্লা-‘আলাইকুম্ ফাকুন্তুম্ ‘আলা য় আ’ক্ব-বিকুম্ তান্কিছূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৬৬ আমার আয়াতসমূহ তোমাদের সামনে অবশ্যই তিলাওয়াত করা হত, তারপর তোমরা তোমাদের পেছন ফিরে চলে যেতে,
مُسۡتَكۡبِرِينَ بِهِۦ سَـٰمِرً۬ا تَهۡجُرُونَ ٦٧.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৬৭। মুস্তাক্বিরীনা বিহী সা-মিরান্ তাহ্জুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৬৭ এর উপর অহঙ্কারবশে, রাত জেগে অর্থহীন গল্প-গুজব করতে করতে।
أَفَلَمۡ يَدَّبَّرُواْ ٱلۡقَوۡلَ أَمۡ جَآءَهُم مَّا لَمۡ يَأۡتِ ءَابَآءَهُمُ ٱلۡأَوَّلِينَ ٦٨.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৬৮। আফালাম্ ইয়াদ্দাব্বারুল্ ক্বওলা আম্ জ্বা-য়াহুম্ মা-লাম্ ইয়াতি আ-বা-য়াহুমুল্ আউওয়ালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৬৮ তারা কি এ বাণী সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? নাকি তাদের কাছে এমন কিছু এসেছে যা তাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদের কাছে আসেনি?
أَمۡ لَمۡ يَعۡرِفُواْ رَسُولَهُمۡ فَهُمۡ لَهُ ۥ مُنكِرُونَ ٦٩.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৬৯। আম্ লাম্ ইয়া’রিফূ রসূলাহুম্ ফাহুম্ লাহূ মুন্কিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৬৯ নাকি তারা তাদের রাসূলকে চিনতে পারেনি, ফলে তারা তাকে অস্বীকার করছে?
أَمۡ يَقُولُونَ بِهِۦ جِنَّةُۢۚ بَلۡ جَآءَهُم بِٱلۡحَقِّ وَأَڪۡثَرُهُمۡ لِلۡحَقِّ كَـٰرِهُونَ ٧٠.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৭০। আম্ ইয়াকুলূনা বিহী জ্বিন্নাহ্; বাল্ জ্বা-য়া হুম্ বিল্হাকুকি অআক্ছারুহুম্ লিল্হাক্বক্বি কা-রিহূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৭০ নাকি তারা বলছে যে, তার মধ্যে কোন পাগলামী রয়েছে? না, বরং সে তাদের কাছে সত্য নিয়েই এসেছিল। আর তাদের অধিকাংশ লোকই সত্যকে অপছন্দকারী।
وَلَوِ ٱتَّبَعَ ٱلۡحَقُّ أَهۡوَآءَهُمۡ لَفَسَدَتِ ٱلسَّمَـٰوَٲتُ وَٱلۡأَرۡضُ وَمَن فِيهِنَّۚ بَلۡ أَتَيۡنَـٰهُم بِذِڪۡرِهِمۡ فَهُمۡ عَن ذِكۡرِهِم مُّعۡرِضُونَ ٧١.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৭১। অলা ওয়িত্তাবা‘আল্ হাককু আহ্ওয়া-য়াহুম্ লাফাসাদাতিস্ সামাওয়া-তু অল্ র্আদু অমান্ ফীহিন্; বাল্ আতাইনা-হুম্ বিযিক্রি হিম্ ফাহুম্ ‘আন্ যিক্রি হিম্ মু’রিদ্বুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৭১ আর যদি সত্য তাদের কামনা-বাসনার অনুগামী হত, তবে আসমানসমূহ, যমীন ও এতদোভয়ের মধ্যস্থিত সব কিছু বিপর্যস্ত হয়ে যেত; বরং আমি তাদেরকে দিয়েছি তাদের উপদেশবাণী (কুরআন)। অথচ তারা তাদের উপদেশ হতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
أَمۡ تَسۡـَٔلُهُمۡ خَرۡجً۬ا فَخَرَاجُ رَبِّكَ خَيۡرٌ۬ۖ وَهُوَ خَيۡرُ ٱلرَّٲزِقِينَ ٧٢.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৭২। আম্ তাস্য়ালুহুম্ র্খাজ্বান্ ফাখর-জু রব্বিকা খাইরুঁও অ হুঅ খাইর্রু র-যিক্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৭২ নাকি তুমি তাদের কাছে কোন প্রতিদান চাও? তবে তোমার রবের প্রতিদান সর্বোত্তম। আর তিনিই সর্বোত্তম রিয্কদাতা।
وَإِنَّكَ لَتَدۡعُوهُمۡ إِلَىٰ صِرَٲطٍ۬ مُّسۡتَقِيمٍ۬ ٧٣.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৭৩। অ ইন্নাকা লাতাদ্‘ঊহুম্ ইলা-সির-ত্বিম্ মুস্তাক্বীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৭৩ আর নিশ্চয় তুমি তাদের সরল-সঠিক পথের দাওয়াত দিচ্ছ।
وَإِنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأَخِرَةِ عَنِ ٱلصِّرَٲطِ لَنَـٰكِبُونَ ٧٤.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৭৪। অ ইন্নাল্ লাযীনা লা-ইয়ুমিনূনা বিল্আ-খিরতি ‘আনিছ্ ছির-ত্বি লানাকিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৭৪ আর নিশ্চয় যারা আখেরাতের প্রতি ঈমান আনে না, তারাই এই পথ থেকে বিচ্যুত।
۞ وَلَوۡ رَحِمۡنَـٰهُمۡ وَكَشَفۡنَا مَا بِهِم مِّن ضُرٍّ۬ لَّلَجُّواْ فِى طُغۡيَـٰنِهِمۡ يَعۡمَهُونَ ٧٥.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৭৫। অলাও রহিম্না-হুম্ অ কাশাফ্না-মা-বিহিম্ মিন্ দ্বররিল্লালাজ্জু ফী তুগইয়া-নিহিম্ ইয়া’মাহূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৭৫ আর যদি আমি তাদের দয়া করতাম এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্ত করতাম, তবুও তারা অবাধ্যতায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াত।
وَلَقَدۡ أَخَذۡنَـٰهُم بِٱلۡعَذَابِ فَمَا ٱسۡتَكَانُواْ لِرَبِّہِمۡ وَمَا يَتَضَرَّعُونَ ٧٦.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৭৬। অলাক্বদ্ আখয্না-হুম্ বিল্‘আযা-বি ফামাস্ তাকা-নূ লিববিহিম্ অমা-ইয়াতাদ্বোর্য়ারা‘ঊ।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৭৬ আর অবশ্যই আমি তাদেরকে আযাব দ্বারা পাকড়াও করলাম, তবুও তারা তাদের রবের কাছে নত হয়নি এবং বিনীত প্রার্থনাও করে না।
حَتَّىٰٓ إِذَا فَتَحۡنَا عَلَيۡہِم بَابً۬ا ذَا عَذَابٍ۬ شَدِيدٍ إِذَا هُمۡ فِيهِ مُبۡلِسُونَ ٧٧.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৭৭। হাত্তা য় ইযা- ফাতাহ্না-‘আলাইহিম্ বা-বান্ যা-‘আযা-বিন্ শাদীদিন্ ইযা-হুম্ ফীহি মুব্লিসূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৭৭ অবশেষে আমি যখন তাদের জন্য কঠিন আযাবের দুয়ার খুলে দেই তখনই তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়ে।
وَهُوَ ٱلَّذِىٓ أَنشَأَ لَكُمُ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡأَبۡصَـٰرَ وَٱلۡأَفۡـِٔدَةَۚ قَلِيلاً۬ مَّا تَشۡكُرُونَ ٧٨.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৭৮। অ হুওয়াল্লাযী আন্শায়ালাকুমুস্ সাম‘আ অল্ আব্ছোয়া-রা অল্ আফ্য়িদাহ্; ক্বলীলাম্ মা-তাশ্কুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৭৮ আর তিনিই তোমাদের জন্য কান, চোখসমূহ ও অন্তরসমূহ সৃষ্টি করেছেন; তোমরা কমই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
وَهُوَ ٱلَّذِى ذَرَأَكُمۡ فِى ٱلۡأَرۡضِ وَإِلَيۡهِ تُحۡشَرُونَ ٧٩.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৭৯। অ হুওয়াল্লাযী যারায়াকুম্ ফিল্ র্আদ্বি অ ইলাইহি তুহ্শারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৭৯ আর তিনিই পৃথিবীতে তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে তাঁরই কাছে একত্র করা হবে।
وَهُوَ ٱلَّذِى يُحۡىِۦ وَيُمِيتُ وَلَهُ ٱخۡتِلَـٰفُ ٱلَّيۡلِ وَٱلنَّهَارِۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ ٨٠.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৮০। অহুওয়াল্লাযী ইয়ুহয়ী অইয়ুমীতু অলাহুখ্তিলা-ফুল্ লাইলি অন্নাহার্-; আফালা-তা’ক্বিলূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৮০ আর তিনিই জীবন দেন ও মৃত্যু দেন এবং রাত ও দিনের পরিবর্তন তাঁরই অধিকারে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
بَلۡ قَالُواْ مِثۡلَ مَا قَالَ ٱلۡأَوَّلُونَ ٨١.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৮১। বাল্ ক্ব-লূ মিছ্লা মা-ক্ব-লাল্ আউওয়ালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৮১ বরং তারা তাই বলে যেমনটি পূর্ববর্তীরা বলত।
قَالُوٓاْ أَءِذَا مِتۡنَا وَڪُنَّا تُرَابً۬ا وَعِظَـٰمًا أَءِنَّا لَمَبۡعُوثُونَ ٨٢.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৮২। ক্ব-লূ-আইযা-মিত্না-অকুন্না-তুর-বাঁও অ ‘ইজোয়া-মান্ আইন্না-লামাব্‘ঊছূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৮২ তারা বলে, যখন আমরা মরে যাব এবং আমরা মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব?
لَقَدۡ وُعِدۡنَا نَحۡنُ وَءَابَآؤُنَا هَـٰذَا مِن قَبۡلُ إِنۡ هَـٰذَآ إِلَّآ أَسَـٰطِيرُ ٱلۡأَوَّلِينَ ٨٣.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৮৩। লাক্বদ্ উ‘ইদ্না-নাহ্নু অ আ-বা-য়ুনা-হা-যা-মিন্ ক্বব্লু ইন্ হা-যা য় ইল্লা য় আসা-ত্বীরুল্ আউওয়ালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৮৩ অবশ্যই আমাদেরকে ও ইতঃপূর্বে আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এই ওয়াদা দেয়া হয়েছিল। এসব কেবল পুরান কালের উপাখ্যান ছাড়া আর কিছু না।
قُل لِّمَنِ ٱلۡأَرۡضُ وَمَن فِيهَآ إِن ڪُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٨٤.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৮৪। কুল্ লিমানিল্ র্আদু অমান্ ফীহা য় ইন্ কুন্তুম্ তা’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৮৪ বল, ‘তোমরা যদি জান তবে বল, ‘এ যমীন ও এতে যারা আছে তারা কার?’
سَيَقُولُونَ لِلَّهِۚ قُلۡ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ ٨٥.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৮৫। সাইয়াকুলূ না লিল্লা-হ্; কুল্ আফালা-তাযাক্কারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৮৫ অচিরেই তারা বলবে, ‘আল্লাহর’। বল, ‘তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?’
قُلۡ مَن رَّبُّ ٱلسَّمَـٰوَٲتِ ٱلسَّبۡعِ وَرَبُّ ٱلۡعَرۡشِ ٱلۡعَظِيمِ ٨٦.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৮৬। কুল্ র্মা রব্বুস্ সামা-ওয়া-তিস্ সাব্‘ঈ অ রব্বুল্ ‘র্আশিল্ ‘আজ্বীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৮৬ বল, ‘কে সাত আসমানের রব এবং মহা আরশের রব’?
سَيَقُولُونَ لِلَّهِۚ قُلۡ أَفَلَا تَتَّقُونَ ٨٧.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৮৭। সাইয়াকুলূনা লিল্লা-হ্; কুল্ আফালা তাত্তাকুন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৮৭ তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’ বল, ‘তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না?’
قُلۡ مَنۢ بِيَدِهِۦ مَلَكُوتُ ڪُلِّ شَىۡءٍ۬ وَهُوَ يُجِيرُ وَلَا يُجَارُ عَلَيۡهِ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٨٨.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৮৮। কুল্ মাম্ বিইয়াদিহী মালাকূতু কুল্লি শাইয়িঁও অহুঅ ইয়ুজ্বীরু অলা-ইয়ুজ্বা-রু ‘আলাইহি ইন্ কুন্তুম্ তা’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৮৮ বল, ‘তিনি কে যার হাতে সকল কিছুর কর্তৃত্ব, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যাঁর ওপর কোন আশ্রয়দাতা নেই?’ যদি তোমরা জান।
سَيَقُولُونَ لِلَّهِۚ قُلۡ فَأَنَّىٰ تُسۡحَرُونَ ٨٩.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৮৯। সাইয়াকুলূনা লিল্লা-হ্; কুল্ ফাআন্না-তুস্হারূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৮৯ তারা বলবে, ‘আল্লাহ।’ বল, ‘তবুও কীভাবে তোমরা মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছ?’
بَلۡ أَتَيۡنَـٰهُم بِٱلۡحَقِّ وَإِنَّهُمۡ لَكَـٰذِبُونَ ٩٠.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৯০। বাল্ আতাইনা-হুম্ বিল্হাক্বক্বি অইন্নাহুম্ লাকা-যিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৯০ বরং আমি তাদের কাছে সত্য পৌঁছিয়েছি, আর নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।
مَا ٱتَّخَذَ ٱللَّهُ مِن وَلَدٍ۬ وَمَا ڪَانَ مَعَهُ ۥ مِنۡ إِلَـٰهٍۚ إِذً۬ا لَّذَهَبَ كُلُّ إِلَـٰهِۭ بِمَا خَلَقَ وَلَعَلَا بَعۡضُهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٍ۬ۚ سُبۡحَـٰنَ ٱللَّهِ عَمَّا يَصِفُونَ ٩١.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৯১। মাত্ তাখযাল্লা-হু মিওঁ অলাদিঁও অমা-কা-না মা‘আহূ মিন্ ইলা-হিন্ ইযাল্লা যাহাবা কুল্লু ইলা-হিম্ বিমা-খলাক্ব অ লা‘আলা-বা’দুহুম্ ‘আলা-বা’দ্ব্; সুব্হা-না ল্লা-হি ‘আম্মা-ইয়াছিফূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৯১ আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহও নেই। (যদি থাকত) তবে প্রত্যেক ইলাহ নিজের সৃষ্টিকে নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত; তারা যা বর্ণনা করে তা থেকে আল্লাহ কত পবিত্র!
عَـٰلِمِ ٱلۡغَيۡبِ وَٱلشَّهَـٰدَةِ فَتَعَـٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِڪُونَ ٩٢.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৯২। ‘আলিমিল্ গইবি অশ্শাহা-দাতি ফাতা‘আ-লা-‘আম্মা-ইয়ুশ্রিকূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৯২ তিনি গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, তারা যা শরীক করে তিনি তার ঊর্ধ্বে।
قُل رَّبِّ إِمَّا تُرِيَنِّى مَا يُوعَدُونَ٩٣ .٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৯৩। ক্বর রব্বি ইম্মা-তুরিয়ান্নী মা-ইয়ূ‘আদূ ন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৯৩ বল, ‘হে আমার রব, যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হচ্ছে তা যদি আমাকে দেখাতে চান,
رَبِّ فَلَا تَجۡعَلۡنِى فِى ٱلۡقَوۡمِ ٱلظَّـٰلِمِينَ ٩٤.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৯৪। রব্বি ফালা-তাজ্ব্‘আল্নী ফিল্ ক্বওমিজ্ জোয়া-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৯৪ ‘হে আমার রব, তাহলে আমাকে যালিম সম্প্রদায়ভুক্ত করবেন না।’
وَإِنَّا عَلَىٰٓ أَن نُّرِيَكَ مَا نَعِدُهُمۡ لَقَـٰدِرُونَ ٩٥.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৯৫। অইন্না-‘আলা য় আন্ নুরিয়াকা মা -না‘ঈদুহুম্ লাক্ব-দিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৯৫ আর যে বিষয়ে আমি তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছি, অবশ্যই আমি তা তোমাকে দেখাতে সক্ষম।
ٱدۡفَعۡ بِٱلَّتِى هِىَ أَحۡسَنُ ٱلسَّيِّئَةَۚ نَحۡنُ أَعۡلَمُ بِمَا يَصِفُونَ ٩٦.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৯৬। ইদ্ফা বিল্লাতী হিয়া আহ্সানুস্ সাইয়িয়াহ্; নাহ্নু আ’লামু বিমা-ইয়াছিফূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৯৬ যা উত্তম তা দিয়ে মন্দ প্রতিহত কর; তারা যা বলে আমি তা সম্পর্কে অধিক জ্ঞানী।
وَقُل رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنۡ هَمَزَٲتِ ٱلشَّيَـٰطِينِ ٩٧.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৯৭। অক্বর রব্বি আ‘ঊযুবিকা মিন্ হামাযা -তিশ্ শাইয়া-ত্বীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৯৭ আর বল, ‘হে আমার রব, আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই’।
وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحۡضُرُونِ ٩٨.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৯৮। অ আ‘ঊ যুবিকা রব্বি আইঁ ইয়াহ্দ্বুরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৯৮ আর হে আমার রব, আমার কাছে তাদের উপস্থিতি হতে আপনার কাছে পানাহ চাই।’
حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَ أَحَدَهُمُ ٱلۡمَوۡتُ قَالَ رَبِّ ٱرۡجِعُونِ ٩٩.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.৯৯। হাত্তা য় ইযা-জ্বা-য়া আহাদাহুমুল্ মাওতু ক্ব-লা রর্ব্বি জ্বি‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.৯৯ অবশেষে যখন তাদের কারো মৃত্যু আসে, সে বলে, ‘হে আমার রব, আমাকে ফেরত পাঠান,
لَعَلِّىٓ أَعۡمَلُ صَـٰلِحً۬ا فِيمَا تَرَكۡتُۚ كَلَّآۚ إِنَّهَا كَلِمَةٌ هُوَ قَآٮِٕلُهَاۖ وَمِن وَرَآٮِٕهِم بَرۡزَخٌ إِلَىٰ يَوۡمِ يُبۡعَثُونَ ١٠٠.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১০০। লা‘আল্লী য় আ’মালু ছোয়া-লিহান্ ফীমা-তারাক্তু কাল্লা-ইন্নাহা-কালিমাতুন্ হুঅ ক্ব-য়িলুহা-; অ মিওঁ অর-য়িহিম্ র্বাযাখুন্ ইলা-ইয়াওমি ইয়ুব্ ‘আছূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১০০ যেন আমি সৎকাজ করতে পারি যা আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম।’ কখনো নয়, এটি একটি বাক্য যা সে বলবে। যেদিন তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন পর্যন্ত তাদের সামনে থাকবে বরযখ।
فَإِذَا نُفِخَ فِى ٱلصُّورِ فَلَآ أَنسَابَ بَيۡنَهُمۡ يَوۡمَٮِٕذٍ۬ وَلَا يَتَسَآءَلُونَ ١٠١.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১০১। ফাইযা-নুফিখ ফিছ্ ছূরি ফালা য় আন্সা-বা বাইনাহুম্ ইয়াওমায়িযিঁও অলা-ইয়াতাসা-য়ালূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১০১ অতঃপর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে সেদিন তাদের মাঝে কোন আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না, কেউ কারো বিষয়ে জানতে চাইবে না।
فَمَن ثَقُلَتۡ مَوَٲزِينُهُ ۥ فَأُوْلَـٰٓٮِٕكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ١٠٢.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১০২। ফামান্ ছাকুলাত্ মাওয়া-যীনুহূ ফাউলা-য়িকা হুমুল্ মুফ্লিহূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১০২ অতঃপর যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম।
وَمَنۡ خَفَّتۡ مَوَٲزِينُهُ ۥ فَأُوْلَـٰٓٮِٕكَ ٱلَّذِينَ خَسِرُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ فِى جَهَنَّمَ خَـٰلِدُونَ ١٠٣.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১০৩। অমান্ খফ্ফাত্ মাওয়াযীনুহূ ফাউলা-য়িকাল্লাযীনা খাসিরূ য় আন্ফুসাহুম্ ফী জ্বাহান্নামা খ-লিদূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১০৩ আর যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই নিজদের ক্ষতি করল; জাহান্নামে তারা হবে স্থায়ী।
تَلۡفَحُ وُجُوهَهُمُ ٱلنَّارُ وَهُمۡ فِيہَا كَـٰلِحُونَ ١٠٤.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১০৪। তাল্ফাখু উজ্বূ হাহুমুন্না-রু অহুম্ ফীহা-কা-লিহূন।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১০৪ আগুন তাদের চেহারা দগ্ধ করবে, সেখানে তারা হবে বীভৎস চেহারাবিশিষ্ট।
أَلَمۡ تَكُنۡ ءَايَـٰتِى تُتۡلَىٰ عَلَيۡكُمۡ فَكُنتُم بِہَا تُكَذِّبُونَ ١٠٥.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১০৫। আলাম্ তাকুন আ-ইয়া-তী তুত্লা- ‘আলাইকুম ফাকুন্তুম্ তুকায্যিবূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১০৫ ‘আমার আয়াতসমূহ কি তোমাদের কাছে পাঠ করা হত না?’ তারপর তোমরা তা অস্বীকার করতে’।
قَالُواْ رَبَّنَا غَلَبَتۡ عَلَيۡنَا شِقۡوَتُنَا وَڪُنَّا قَوۡمً۬ا ضَآلِّينَ ١٠٦.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১০৬। ক্ব-লূ রব্বানা-গলাবাত্ ‘আলাইনা শিক্বওয়াতুনা-অকুন্না- ক্বওমান্ দ্বোয়া-য়ালীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১০৬ তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পেয়ে বসেছিল, আর আমরা ছিলাম পথভ্রষ্ট’।
رَبَّنَآ أَخۡرِجۡنَا مِنۡہَا فَإِنۡ عُدۡنَا فَإِنَّا ظَـٰلِمُونَ ١٠٧.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১০৭। রব্বানা য় আখ্রিজ্ব না-মিন্হা-ফাইন্ ‘উদ্না- ফাইন্না-জোয়া-লিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১০৭ ‘হে আমাদের রব, এ থেকে আমাদেরকে বের করে দিন, তারপর যদি আমরা আবার তা করি তবে অবশ্যই আমরা হব যালিম।’
قَالَ ٱخۡسَـُٔواْ فِيہَا وَلَا تُكَلِّمُونِ ١٠٨.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১০৮। ক্ব-লাখ্ সায়ূ ফীহা-অলা-তুকাল্লিমূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১০৮ আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই থাক, আর আমার সাথে কথা বলো না।’
إِنَّهُ ۥ كَانَ فَرِيقٌ۬ مِّنۡ عِبَادِى يَقُولُونَ رَبَّنَآ ءَامَنَّا فَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَا وَأَنتَ خَيۡرُ ٱلرَّٲحِمِينَ ١٠٩.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১০৯। ইন্নাহূ কা-না ফারীকুম্ মিন্ ই’বা-দী ইয়াকুলূনা রব্বানা য় আ-মান্না- ফার্গ্ফিলানা-র্অহাম্না-অআন্তা খইর্রু র-হিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১০৯ আমার বান্দাদের একদল ছিল যারা বলত, ‘হে আমাদের রব, আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া করুন,আর আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
فَٱتَّخَذۡتُمُوهُمۡ سِخۡرِيًّا حَتَّىٰٓ أَنسَوۡكُمۡ ذِكۡرِى وَكُنتُم مِّنۡہُمۡ تَضۡحَكُونَ ١١٠.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১১০। ফাত্তাখয্তুমূহুম্ সিখ্রিয়্যান্ হাত্তা য় আন্সাওকুম্ যিক্রী অকুন্তুম্ মিন্হুম্ তাদ্ব্হাকূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১১০ ‘তারপর তাদেরকে নিয়ে তোমরা ঠাট্টা করতে। অবশেষে তা তোমাদেরকে আমার স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছিল। আর তোমরা তাদের নিয়ে হাসি-তামাশা করতে।’
إِنِّى جَزَيۡتُهُمُ ٱلۡيَوۡمَ بِمَا صَبَرُوٓاْ أَنَّهُمۡ هُمُ ٱلۡفَآٮِٕزُونَ ١١١.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১১১। ইন্নী জ্বাযাইতুহুমুল্ ইয়াওমা বিমা-ছবারূ য় আন্নাহুম্ হুমুল্ ফা-য়িযূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১১১ নিশ্চয় আমি তাদের ধৈর্যের কারণে আজ তাদেরকে পুরস্কৃত করলাম; নিশ্চয় তারাই হল সফলকাম।
قَـٰلَ كَمۡ لَبِثۡتُمۡ فِى ٱلۡأَرۡضِ عَدَدَ سِنِينَ ١١٢.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১১২। ক্ব-লা কাম্ লাবিছ্তুম্ ফীল্ র্আদ্বি ‘আদাদা সিনীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১১২ আল্লাহ বলবেন, ‘বছরের হিসাবে তোমরা যমীনে কত সময় অবস্থান করেছিলে?’
قَالُواْ لَبِثۡنَا يَوۡمًا أَوۡ بَعۡضَ يَوۡمٍ۬ فَسۡـَٔلِ ٱلۡعَآدِّينَ ١١٣.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১১৩। ক্ব-লূ লাবিছ্না- ইয়াওমান্ আও বা’দ্বোয়া ইয়াওমিন্ ফাস্য়ালিল্ ‘আ-দ্দীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১১৩ তারা বলবে, ‘আমরা একদিন বা দিনের কিছু অংশ অবস্থান করেছি; সুতরাং আপনি গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞাসা করুন।’
قَـٰلَ إِن لَّبِثۡتُمۡ إِلَّا قَلِيلاً۬ۖ لَّوۡ أَنَّكُمۡ كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ١١٤.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১১৪। ক্ব-লা ইল্লাবিছ্তুম্ ইল্লা-ক্বলীলা ল্লাওঁ আন্নাকুম্ কুন্তুম্ তা’লামূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১১৪ তিনি বলবেন, ‘তোমরা কেবল অল্পকালই অবস্থান করেছিলে, তোমরা যদি নিশ্চিত জানতে!’
أَفَحَسِبۡتُمۡ أَنَّمَا خَلَقۡنَـٰكُمۡ عَبَثً۬ا وَأَنَّكُمۡ إِلَيۡنَا لَا تُرۡجَعُونَ ١١٥.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১১৫। আফাহাসিব্তুম্ আন্নামা-খলাক্বনা-কুম্ ‘আবাছাঁও অআন্নাকুম্ ইলাইনা-লা-র্তুজ্বা‘ঊন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১১৫ ‘তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে কেবল অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে না’?
فَتَعَـٰلَى ٱللَّهُ ٱلۡمَلِكُ ٱلۡحَقُّۖ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ ٱلۡعَرۡشِ ٱلۡڪَرِيمِ ١١٦.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১১৬। ফাতা‘আ-লাল্লা-হুল্ মালিকুল্ হাককুলা য় ইলা-হা ইল্লা-হু অ রব্বুল্ ‘আরশিল্ ক্বরীম্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১১৬ সুতরাং সত্যিকারের মালিক আল্লাহ মহিমান্বিত, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই; তিনি সম্মানিত ‘আরশের রব।
وَمَن يَدۡعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَـٰهًا ءَاخَرَ لَا بُرۡهَـٰنَ لَهُ ۥ بِهِۦ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ ۥ عِندَ رَبِّهِۦۤۚ إِنَّهُ ۥ لَا يُفۡلِحُ ٱلۡكَـٰفِرُونَ ١١٧.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১১৭। অ মাইঁ ইয়াদ্‘উ মা‘আল্লা-হি ইলা-হান্ আ-খর লা-র্বুহা-না লাহূ বিহী ফাইন্নামা-হিসা-বু-হূ ‘ইন্দা রব্বিহ্’ ইন্নাহূ লা-ইয়ুফ্লিহুল্ কা-ফিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১১৭ আর যে আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে, যে বিষয়ে তার কাছে প্রমাণ নেই; তার হিসাব কেবল তার রবের কাছে। নিশ্চয় কাফিররা সফলকাম হবে না।
وَقُل رَّبِّ ٱغۡفِرۡ وَٱرۡحَمۡ وَأَنتَ خَيۡرُ ٱلرَّٲحِمِينَ ١١٨.٢٣
আরবি উচ্চারণ ২৩.১১৮। অক্বর রব্বিগ্ র্ফি র্অহাম্ অআন্তা খইর্রু র-হিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ২৩.১১৮ আর বল, ‘হে আমাদের রব, আপনি ক্ষমা করুন, দয়া করুন এবং আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত
- রমজানের ৩০ দিনের ৩০টি ফজিলতরমজানের ৩০ দিনের আমল ও ফজিলত