আজকের বিষয়: সূরা মুয্যাম্মিল সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল মুয্যাম্মিল আলমল ও ফজিলত, সূরা মুয্যাম্মিল কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা মুয্যাম্মিল নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ৭৩ সূরা আল – মুয্যাম্মিল
নামকরণ
সূরার প্রথমে আয়াতের ——–(আলমুয্যাম্মিল )শব্দটিকে এ সূরার নাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এটা শুধু সূরাটির নাম, এর বিষয়বস্তুর শিরোনাম নয়।
নাযিল হওয়ার সময়-কাল
এ সূরার দু’টি রুকূ’ দু’টি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নাযিল হয়েছে।
প্রথমে রুকূ’র আয়াতগুলো মক্কায় নাযিল হওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত।এর বিষয়বস্তু এবং বিভিন্ন হাদীসের বর্ণনা থেকেও তা বুঝা যায়।তবে প্রশ্ন থেকে যায় যে,মক্কী জীবনের কোন পর্যায়ে তা নাযিল হয়েছিল? হাদীসের বর্ণনাসমূহ থেকে আমরা এর কোন জবাব পাই না। তবে পুরো রুকূ’টির বিষয়বস্তু আভ্যন্তরীণ প্রমাণ দ্বারা এর নাযিল হওয়ার সময়-কাল নির্ণয় করতে যথেষ্ট সাহায্য পাওয়া যায়।
প্রথমত, এতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাতের বেলা উঠে আল্লাহর ইবাদত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে তাঁর মধ্যে নবুওয়াতের গুরু দায়িত্ব বহনের শক্তি সৃষ্টি হয়। এ থেকে জানা গেল যে, এ নির্দেশটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াতের প্রথম যুগে এমন এক সময় নাযিল হয়ে থাকবে যখন আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে এ পদমর্যাদার জন্য তাঁকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছিল।
দ্বিতীয়ত,এর মধ্যে তাঁকে তাহাজ্জুদ নামাযে অর্ধেক রাত কিংবা তার চেয়ে কম বা বেশী রাত পর্যন্ত কুরআন মজীদ তিলাওয়াত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একথা থেকে প্রমাণিত হয় যে, তখন পর্যন্ত কুরআন মজীদের অন্তত এতটা পরিমাণ নাযিল হয়েছিল যা দীর্ঘক্ষণ তিলাওয়াত করা যেতো।
তৃতীয়ত,এ রুকূ’তে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিরোধীদের অত্যাচার ও বাড়াবাড়ির ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারনের উপদেশ এবং মক্কার কাফেরদের আযাবের হুমকি দেয়া হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, এ রুকূ’টি যখন নাযিল হয়েছিল তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসলামের প্রকাশ্য তাবলীগ বা প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন এবং মক্কায় তাঁর বিরোধীতাও তীব্রতা লাভ করেছিল।
দ্বিতীয় রুকূ’ সম্পর্কে মুফাস্সিরগণ যদিও বলেছেন যে, এটিও মক্কায় নাযিল হয়েছে। কিন্তু কিছু সংখ্যক মুফাস্সির একে মদীনায় অবতীর্ণ বলে মত ব্যক্ত করেছেন। এ রুকূ’টির বিষয়বস্তু থেকে এ মতটিরও সমর্থন পাওয়া যায়। কারণ এর মধ্যে আল্লাহর পথে লড়াই করার উল্লেখ আছে। মক্কায় এর কোন প্রশ্নই ছিল না। এতে ফরযকৃত যাকাত আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর এটা প্রমাণিত বিষয় যে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে যাকাত দেয়া মদীনাতে ফরয হয়েছে।
বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য
প্রথম সাতটি আয়াতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, যে মহান কাজের গুরু দায়িত্ব আপনাকে দেয়া হয়েছে তার দায় -দায়িত্ব ঠিকমত পালনের জন্য আপনি নিজেকে প্রস্তুত করুন। এর বাস্তব পন্থা বলা হয়েছে এই যে, আপনি রাতের বেলা উঠে অর্ধেক রাত কিংবা তার চেয়ে বেশী সময় বা কিছু কম সময় পর্যন্ত নামায পড়ুন।
৮ থেকে ১৪ নং পর্যন্ত আয়াতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উপদেশ দেয়া হয়েছে যে, আপনি সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সমগ্র বিশ্ব-জাহানের অধিপতি আল্লাহ তা’আলার উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয়ে যান। নিজের সমস্ত ব্যাপার তাঁর কাছে সোপর্দ করে দিয়ে নিঃশংক ও নিশ্চিন্ত হয়ে যান। বিরোধীরা আপনার বিরুদ্ধে যা বলছে সে ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করুন, তাদের কথায় ভ্রুক্ষেপ করবেন না। তাদের ব্যাপারটা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিন। তিনিই তাদের সাথে বুঝাপড়া করবেন।
এরপর ১৫ থেকে ১৯ নম্বর পর্যন্ত আয়াতে মক্কার যে সমস্ত মানুষ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধিতা করেছিলো তাদের এ বলে হুশিয়ারী দেয়া হয়েছে যে, আমি যেমন ফেরাউনের কাছে রসূল পাঠিয়েছিলাম ঠিক তেমনি তোমাদের কাছে একজন রসূল পাঠিয়েছি। কিন্তু দেখো, আল্লাহর রসূলের কথা না শুনে ফেরাউন কিরূপ পরিণামের সম্মুখীন হয়েছিল। মনে করো, এ জন্য দুনিয়াতে তোমাদের কোন শাস্তি দেয়া হলো না। কিন্তু কিয়ামতের দিনের শাস্তি থেকে তোমরা কিভাবে নিষ্কৃতি লাভ করবে?
এ পর্যন্ত যা বর্ণিত হলো তা প্রথম রুকূ’র বিষয়বস্তু । হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়েরের বর্ণনা অনুসারে এর দশ বছর পর দ্বিতীয় রুকূ’টি নাযিল হয়েছিল। তাহাজ্জুদ নামায সম্পর্কে প্রথম রুকূ’র শুরুতেই যে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এতে তা সহজ করে দেয়া হয়েছে। এখন নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, তাহাজ্জুদ নামায যতটা সহজ ও স্বাচ্ছন্দে আদায় করা সম্ভব সেভাবেই আদায় করবে। তবে মুসলমানদের যে বিষয়টির প্রতি অত্যাধিক গুরুত্ব আরোপ করতে হবে তাহলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায পূর্ণ নিয়মানুবর্তিতাসহ আদায় করবে। যাকাত যেহেতু ফরয তাই তা যথাযথভাবে আদায় করবে এবং আল্লাহর পথে নিজের অর্থ-সম্পদ বিশুদ্ধ নিয়তে খরচ করবে। সবশেষে মুসলমানদের উপদেশ দেয়া হয়েছে যে, দুনিয়াতে তোমরা যেসব কল্যাণমূলক কাজ আঞ্জাম দেবে তা ব্যর্থ হবে না। বরং তা এমন সব সাজ-সরঞ্জামের মত যা একজন মুসাফির তার স্থায়ী বাসস্থানে আগেই পাঠিয়ে দেয়। আল্লাহর কাছে পৌছার পর তোমরা তার সবকিছুই পেয়ে যাবে যা দুনিয়া থেকে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছিলে। আগেভাগেই পাঠিয়ে দেয়া এমন সরঞ্জাম -সমগ্রী তোমরা দুনিয়াতে যা ছেড়ে যাবে তার চেয়ে যে শুধু ভাল তাই নয়,রবং আল্লাহর কাছে তোমরা তোমাদের আসল সম্পদের চেয়ে অনেক বেশী পুরষ্কারও লাভ করবে।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- নামাজে আমরা যা বলি , তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ73.1
আরবি উচ্চারণ ৭৩.১। ইয়া য় আইয়্যুহাল্ মুয্যাম্মিলু।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.১ হে চাদর আবৃত!
قُمِ اللَّيْلَ إِلَّا قَلِيلًا73.2
আরবি উচ্চারণ ৭৩.২। কুমিল্লাইলা ইল্লা-ক্বলীলান্
বাংলা অনুবাদ ৭৩.২ রাতে সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া।
نِصْفَهُ أَوِ انْقُصْ مِنْهُ قَلِيلًا73.3
আরবি উচ্চারণ ৭৩.৩। নিছ্ফাহূ য় আওয়িন্কুছ্ মিন্হু ক্বলীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.৩ রাতের অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে কিছুটা কম।
أَوْ زِدْ عَلَيْهِ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا73.4
আরবি উচ্চারণ ৭৩.৪। আওযিদ্ ‘আলাইহি অরত্তিলিল্ কুরআ-না র্তাতীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.৪ অথবা তার চেয়ে একটু বাড়াও। আর স্পষ্টভাবে ধীরে ধীরে কুরআন আবৃত্তি কর।
إِنَّا سَنُلْقِي عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيلًا73.5
আরবি উচ্চারণ ৭৩.৫। ইন্না-সানুল্ক্বী ‘আলাইকা ক্বওলান্ ছাক্বীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.৫ নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি এক অতিভারী বাণী নাযিল করছি।
إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وَطْئًا وَأَقْوَمُ قِيلًا73.6
আরবি উচ্চারণ ৭৩.৬। ইন্না না-শিয়াতাল লাইলি হিইয়া আশাদ্দু ওয়াতয়াঁও অআক্বওয়ামু ক্বীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.৬ নিশ্চয় রাত-জাগরণ আত্মসংযমের জন্য অধিকতর প্রবল এবং স্পষ্ট বলার জন্য অধিকতর উপযোগী।
إِنَّ لَكَ فِي اَلنَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلًا73.7
আরবি উচ্চারণ ৭৩.৭। ইন্না-লাকা ফিন্নাহা-রি সাব্হান্ ত্বোয়াওয়ীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.৭ নিশ্চয় তোমার জন্য দিনের বেলায় রয়েছে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।
وَاذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ وَتَبَتَّلْ إِلَيْهِ تَبْتِيلًا73.8
আরবি উচ্চারণ ৭৩.৮। অয্কুরিস্ মা রব্বিকা অতাবাত্তাল্ ইলাইহি তাব্তীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.৮ আর তুমি তোমার রবের নাম স্মরণ কর এবং একাগ্রচিত্তে তাঁর প্রতি নিমগ্ন হও।
رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَاتَّخِذْهُ وَكِيلًا 73.9
আরবি উচ্চারণ ৭৩.৯। রব্বুল্ মাশ্রিক্বি অল্মাগ্রিবি লা য় ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ফাত্তাখিয্হু অক্বীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.৯ তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের রব, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সুতরাং তাঁকেই তুমি কার্য সম্পাদনকারীরূপে গ্রহণ কর।
وَاصْبِرْ عَلَى مَا يَقُولُونَ وَاهْجُرْهُمْ هَجْرًا جَمِيلًا73.10
আরবি উচ্চারণ ৭৩.১০। ওয়ার্ছ্বি ‘আলা-মা-ইয়াকুলূনা ওয়াহজুর হুম্ হায্রন্ জ্বামীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.১০ আর তারা যা বলে, তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চল।
وَذَرْنِي وَالْمُكَذِّبِينَ أُولِي النَّعْمَةِ وَمَهِّلْهُمْ قَلِيلًا73.11
আরবি উচ্চারণ ৭৩.১১। অর্যানী অল্মুকায্যিবীনা উলিন্ না’মাতি অমাহ্হিল্হুম্ ক্বলীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.১১ আর ছেড়ে দাও আমাকে এবং বিলাস সামগ্রীর অধিকারী মিথ্যারোপকারীদেরকে। আর তাদেরকে কিছুকাল অবকাশ দাও।
إِنَّ لَدَيْنَا أَنْكَالًا وَجَحِيمًا73.12
আরবি উচ্চারণ ৭৩.১২। ইন্না-লাদাইনা য় আন্কা-লাঁও অজ্বাহীমাঁ- ।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.১২ নিশ্চয় আমার নিকট রয়েছে শিকলসমূহ ও প্রজ্জ্বলিত আগুন।
وَطَعَامًا ذَا غُصَّةٍ وَعَذَابًا أَلِيمًا73.13
আরবি উচ্চারণ ৭৩.১৩। অত্বোয়া‘আ-মান্ যা-গুছ্ছোয়াতিঁও অ‘আযা-বান্ আলীমা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.১৩ ও কাঁটাযুক্ত খাদ্য এবং যন্ত্রাদায়ক শাস্তি।
يَوْمَ تَرْجُفُ الْأَرْضُ وَالْجِبَالُ وَكَانَتِ الْجِبَالُ كَثِيبًا مَهِيلًا73.14
আরবি উচ্চারণ ৭৩.১৪। ইয়াওমা র্তাজুফুল্ র্আদু অল্জ্বিবা-লু অকা-নাতিল্ জ্বিবা-লু কাছীবাম্ মাহীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.১৪ যেদিন যমীন ও পর্বতমালা প্রকম্পিত হবে এবং পাহাড়গুলো চলমান বালুকারাশিতে পরিণত হবে।
إِنَّا أَرْسَلْنَا إِلَيْكُمْ رَسُولًا شَاهِدًا عَلَيْكُمْ كَمَا أَرْسَلْنَا إِلَى فِرْعَوْنَ رَسُولًا73.15
আরবি উচ্চারণ ৭৩.১৫। ইন্না য় র্আসাল্ না য় ইলাইকুম্ রসূলান্ শা-হিদান্ ‘আলাইকুম্ কামা য় র্আসাল্না য় ইলা- র্ফি‘আ‘উনা রসূলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.১৫ নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য স্বাক্ষীস্বরূপ তোমাদের কাছে রাসূল পাঠিয়েছি যেমনিভাবে ফিরআউনের কাছে রাসূল পাঠিয়েছিলাম।
فَعَصَى فِرْعَوْنُ الرَّسُولَ فَأَخَذْنَاهُ أَخْذًا وَبِيلًا 73.16
আরবি উচ্চারণ ৭৩.১৬। ফা‘আছোয়া- র্ফি‘আউর্নু রসূলা ফাআখয্না-হু আখ্যাঁও অবীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.১৬ কিন্তু ফিরআউন রাসূলকে অমান্য করল। তাই আমি তাকে অত্যন্ত শক্তভাবে পাকড়াও করলাম।
فَكَيْفَ تَتَّقُونَ إِنْ كَفَرْتُمْ يَوْمًا يَجْعَلُ الْوِلْدَانَ شِيبًا73.17
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
আরবি উচ্চারণ ৭৩.১৭। ফাকাইফা তাত্তাকুনা ইন্ কাফারতুম্ ইয়াওমাইঁ ইয়াজ্ব ‘আলুল্ ওয়িল্দা-না শীবা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.১৭ অতএব তোমরা যদি কুফরি কর, তাহলে তোমরা সেদিন কিভাবে আত্মরক্ষা করবে যেদিন কিশোরদেরকে বৃদ্ধে পরিণত করবে।
السَّمَاءُ مُنْفَطِرٌ بِهِ كَانَ وَعْدُهُ مَفْعُولًا73.18
আরবি উচ্চারণ ৭৩.১৮। নিস্ সামা-য়ু মুন্ফাত্বিরুম্ বিহ্; কা-না ওয়া’দুহূ মাফ্‘ঊলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.১৮ যার কারণে আসমান হবে বিদীর্ণ আল্লাহর ওয়াদা হবে বাস্তবায়িত।
إِنَّ هَذِهِ تَذْكِرَةٌ فَمَنْ شَاءَ اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ سَبِيلًا73.19
আরবি উচ্চারণ ৭৩.১৯। ইন্না হা-যিহী তায্ কিরতুন্ ফামান্ শা-য়া ত্তাখাযা ইলা-রব্বিহী সাবীলা-।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.১৯ নিশ্চয় এ এক উপদেশ। অতএব যে চায় সে তার রবের দিকে পথ অবলম্বন করুক।
إِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُومُ أَدْنَى مِنْ ثُلُثَيِ اللَّيْلِ وَنِصْفَهُ وَثُلُثَهُ وَطَائِفَةٌ مِنَ الَّذِينَ مَعَكَ وَاللَّهُ يُقَدِّرُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ عَلِمَ أَنْ لَنْ تُحْصُوهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ عَلِمَ أَنْ سَيَكُونُ مِنْكُمْ مَرْضَى وَآخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِي الْأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَآخَرُونَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَقْرِضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا وَمَا تُقَدِّمُوا لِأَنْفُسِكُمْ مِنْ خَيْرٍ تَجِدُوهُ عِنْدَ اللَّهِ هُوَ خَيْرًا وَأَعْظَمَ أَجْرًا وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ 73.20
আরবি উচ্চারণ ৭৩.২০। ইন্না রব্বাকা ইয়া’লামু আন্নাকা তাকুমু আদ্না-মিন্ ছুলুছায়িল্লাইলি অনিছ্ফাহূ অ ছুলুছাহূ অত্বোয়া-য়িফাতুম্ মিনাল্লাযীনা মা‘আক্; অল্লা-হু ইয়ুক্বদ্দিরুল্ লাইলা অন্নাহার্-; ‘আলিমা আল্লান্ তুহ্ছূহু ফাতা-বা ‘আলাইকুম্ ফাকরায়ূ মা-তাইয়াস্সারা মিনাল্ কুরআ-ন্; ‘আলিমা আন্ সাইয়াকূনু মিন্কুম্ র্মাদ্বোয়া অআ-খরূনা ইয়াদ্ব্রিবূনা ফিল্ র্আদ্বি ইয়াব্তাগূনা মিন্ ফাদ্ব্লিল্লা-হি অআ-খরূনা ইয়ুক্ব-তিলূনা ফী সাবীলিল্লা-হি ফাক্ব্রায়ূ মা-তাইয়াস্সার মিন্হু অআক্বীমুছ্ ছলা-তা অআ-তুয্ যাকা-তা অআকরিদ্বুল্লা-হা র্কাদ্বোয়ান্ হাসানা-; অমা-তুক্বাদ্দিমূ লিআন্ফুসিকুম্ মিন্ খইরিন্ তাজ্বিদূহু ‘ইন্দাল্লা-হি হুওয়া খইরঁও অআ’জোয়ামা আজর-; অস্তাগ্ফিরুল্লা-হ্; ইন্নাল্লা-হা গফূর্রু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ৭৩.২০ নিশ্চয় তোমার রব জানেন যে, তুমি রাতের দুই তৃতীয়াংশের কিছু কম, অথবা অর্ধরাত অথবা রাতের এক তৃতীয়াংশ সালাতে দাঁড়িয়ে থাক এবং তোমার সাথে যারা আছে তাদের মধ্য থেকে একটি দলও। আর আল্লাহ রাত ও দিন নিরূপণ করেন। তিনি জানেন যে, তোমরা তা করতে সক্ষম হবে না। তাই তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করলেন। অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্ত হয়ে পড়বে। আর কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে পৃথিবীতে ভ্রমণ করবে, আর কেউ কেউ আল্লাহর পথে লড়াই করবে। অতএব তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু পড়। আর সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। আর তোমরা নিজদের জন্য মঙ্গলজনক যা কিছু আগে পাঠাবে তোমরা তা আল্লাহর কাছে পাবে প্রতিদান হিসেবে উৎকৃষ্টতর ও মহত্তর রূপে। আর তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
আমাদের নতুন ইসলামিক নিউজ ও জিজ্ঞাসা ভিত্তিক সাইড
Islamic Info Hub ( www.islamicinfohub.com ) আজই ভিজিড করুন !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ