আজকের বিষয়: সূরা শুরা সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল শুরা আলমল ও ফজিলত, সূরা শুরা কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা শুরা নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ৪২ সূরা আল – শুরা
নামকরণ :
৩৮ আয়াতের আরবী : ……………………………………..আয়াতাংশ থেকে এর নাম গৃহীত হয়েছে। এ নামের তাৎপর্য হলো, এটি সেই সূরা যার মধ্যে শূরা শব্দটি আছে।
নাযিল হওয়ার সময়-কাল :
নির্ভরযোগ্য কোন বর্ণনা থেকে এ সূরার নাযিল হওয়ার সময় কাল জানা যায়নি । তবে এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে চিন্তা করলে স্পষ্ট জানা যায়, সূরাটি …………সূরা নাযিল হওয়ার পরপরই নাযিল হয়েছে । কারণ, এ সূরাটিকে সূরা হা-মীম আস সাজদার এক রকম সম্পূরক বলে মনে হয়। যে ব্যক্তিই মনযোগ সহকারে প্রথমে সূরা হা-মীম আস সাজদা পড়বে এবং তারপর এ সূরা পাঠ করবে সে-ই এ বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবে।
সে দেখবে এ সূরাটিতে কুরাইশ নেতাদের অন্ধ ও অযৌক্তিক বিরোধিতার ওপর বড় মোক্ষম আঘাত হানা হয়েছিল। এভাবে পবিত্র মক্কা ও তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থানকারী যাদের মধ্যেই নৈতিকতা, শিষ্টাচার ও যুক্তিবাদিতার কোন অনুভূতি আছে তারা জানতে পারবে জাতির উচ্চস্তরের লোকেরা কেমন অন্যায়ভাবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধিতা করছে আর তাদের মোকাবিলায় তাঁর কথা কত ভারসাম্যপূর্ণ, ভূমিকা কত যুক্তিসঙ্গত এবং আচার-আচরণ কত ভদ্র। ঐ সতর্কীকরণের পরপরই এ সূরা নাযির করা হয়েছে। ফলে এটি যথাযথভাবে দিক নির্দেশনার দায়িত্ব পালন করেছে এবং একান্ত হৃদয়গ্রাহী ভঙ্গিতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আন্দোলনের বাস্তবতা বুঝিয়ে দিয়েছে। কাজেই যার মধ্যেই সত্য প্রীতির হয়ে যায়নি তার পক্ষে এর প্রভাবমুক্ত থাকা ছিল অসম্ভব ব্যাপার।
বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য :
কথা শুরু করা হয়েছে এভাবে : তোমরা আমার নবীর পেশকৃত বক্তব্য শুনে এ কেমন আজেবাজে কথা বলে বেড়াচ্ছ ? কোন ব্যক্তির কাছে অহী আসা এবং তাকে মানব জাতির পথপ্রদর্শনের হিদায়াত বা পথনির্দেশনা দেয়া কোন নতুন বা অদ্ভুত কথা নয় কিংবা কোন অগ্রহণযোগ্য ঘটনায নয় যে, ইতিহাসে এই বারই সর্বপ্রথম এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে । এর আগে আল্লাহ নবী-রসূলদের কাছে এ রকম দিক নির্দেশনা দিয়ে একের পর এক অনুরূপ অহী পাঠিয়েছেন। আসমান ও যমীনের অধিকর্তাকে উপাস্য ও শাসক মেনে নেয়া অদ্ভূত ও অভিনব কথা নয়। তাঁর বান্দা হয়ে, তাঁর খোদায়ীর অধীনে বাস করে অন্য কারো খোদায়ী মেনে নেয়াটাই বরং অদ্ভূত ও অভিনব ব্যাপার। তোমরা তাওহীদ পেশকারীর প্রতি ক্রোধান্বিত হচ্ছো। অথচ বিশ্ব জাহানের মালিকের সাথে তোমরা যে শিরক করছো তো এমন মহা অপরাধ যে আমাশ যদি তাতে ভেঙ্গে পড়ে তাও অসম্ভব নয় । তোমাদের এই ধৃষ্টতা দেখে ফেরেশতারাও অবাক। তারা এই ভেবে সর্বক্ষণ ভীত সন্ত্রস্ত যে জানি কখন তোমাদের ওপর আল্লাহর গযব নেমে আসে!
এরপর মানুষকে বলা হয়েছে , কোন ব্যক্তিকে নবী হিসেবে নিয়োজিত করা এবং সেই ব্যক্তির নিজেকে নবী বলে পেশ করার অর্থ এ নয় যে, তাঁকে আল্লাহর সৃষ্টির ভাগ্য বিধাতা বানিয়ে দেয়া হয়েছে এবং সেই দাবী নিয়েই সে মাঠে নেমেছে। সবার ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ আল্লাহ নিজের হাতেই রেখেছেন। নবী এসেছেন শুধু গাফিলদের সাবধান এবং পথভ্রষ্টদের পথ দেখাতে। তাঁর কথা অমান্যকারীদের কাছে জবাবদিহি চাওয়া এবং তাদেরকে আযাব দেয়া বা না দেয়া আল্লাহর নিজের কাজ। নবীকে এ কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তাই তোমাদের সমাজের কথাকথিত ধর্মীয় নেতা ও পীর ফকীররা যে ধরনের দাবী করে অর্থাৎ যে তাদের কথা মানবে না, কিংবা তাদের সাথে বে-আদবী করে তারা তাকে জ্বালিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেবে, নবী এ ধরনের কোন দাবী নিয়ে এসেছেন বলে মনে করে থাকলে সে ভ্রান্ত ধারণা মন-মগজ থেকে ঝেড়ে ফেলো। এ প্রসঙ্গে মানুষকে একথাও বলা হয়েছে যে, নবী তোমাদের অমঙ্গল কামনার জন্য আসেননি। তিনি বরং তোমাদের কল্যাণকামী। তোমরা যে পথে চলছো সে পথে তোমদের নিজেদের ধবংস রয়েছে, তিনি শুধু এ বিষয়ে তোমাদের সতর্ক করছেন।
অতপর আল্লাহ জন্মগতভাবে মানুষকে সুপথগামী করে কেন সৃষ্টি করেননি এবং মতানৈক্যের এই সুযোগ কেন রেখেছেন , যে কারণে মানুষ চিন্তা ও কর্মের যে কোন উল্টা বা সোজা পথে চলতে থাকে, এ বিষয়টির তাৎপর্য বুঝিয়েছেন । বলা হয়েছে, এ জিনিসের বদৌলতেই মানুষ যাতে আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভ করতে পারে সে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ইখতিয়ার বিহীন অন্যান্য সৃষ্টিকূলের জন্য এ সুযোগ নেই। এ সুযোগ আছে শুধু স্বাধীন ইচ্ছা শক্তির অধিকারী সৃষ্টি কুলের জন্য যারা প্রকৃতিগতভাবে নয়, বরং জ্ঞানগত-ভাবে বুঝে শুনে নিজের স্বাধীন ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহকে নিজেদের অভিভাবক বানিয়েছে। যে মানুষ এই নীতি ও আচরণ গ্রহণ করে আল্লাহ তাকে সাহায্য করার মাধ্যমে পথ প্রদর্শন করেন এবং সৎ কাজের তাওফীক দান করে তাঁর বিশেষ রহমতের মধ্যে শামিল করে নেন। কিন্তু যে ব্যক্তি তার স্বাধীন ক্ষমতা ও ইখতিয়ার ভুল পন্থায় ব্যবহার করে যারা প্রকৃত অভিভাবক নয় এবং হতেও পারে না তাদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা এই রহমত হতে বঞ্চিত হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে আরো বলা হয়েছে যে, প্রকৃতপক্ষে মানুষের ও গোটা সৃষ্টিকূলের অভিভাবক হচ্ছেন আল্লাহ। অন্যরা না প্রকৃত অভিভাবক, না আছে তাদের প্রকৃত অভিভাবকত্বের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার ক্ষমতা। মানুষ তার স্বাধীন ক্ষমতা ও ইখতিয়ার প্রয়োগ করে নিজের অভিভাবক নির্বাচনে ভুল করবে না এবং যে প্রকৃতই অভিভাবক তাকেই অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবে। এর ওপরই তার সফলতা নির্ভর করে।
তারপর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দীন পেশ করছেন তা প্রকৃতপক্ষে কি সে বিষয় বলা হয়েছে :
সেই দীনের সর্বপ্রথম ভিত্তি হলো, আল্লাহ যেহেতু বিশ্ব জাহান ও মানুষের স্রষ্টা, মালিক এবং প্রকৃত অভিভাবক তাই মানুষের শাসনকর্তাও তিনি। মানুষকে দীন ও শরীয়ত (বিশ্বাস ও কর্মের আদর্শ) দান করা এবং মানুষের মধ্যোকার মতানৈক্য ও মতদ্বৈধতার ফায়সালা করে কোনটি হক এবং কোনটি নাহক তা বলে আল্লাহর অধিকারে অন্তর্ভুক্ত। অন্য কোন সত্ত্বার মানুষের জন্য আইনদাতা ও রচয়িতা হওয়ার আদৌ কোন অধিকার নেই। অন্য কথায় প্রাকৃতিক সার্বভৌমত্বের মত আইন প্রণয়নের সার্বভৌমত্বেও আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট। মানুষ বা আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্তা এই সার্বভৌমত্বের ধারক হতে পারে না। কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহর এই সার্বভৌমত্ব না মানে তাহলে তার আল্লাহর প্রাকৃতিক সার্বভৌমত্ব মানা অর্থহীন। এ কারণে আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য প্রথম থেকেই একটি দীন নির্ধারিত করেছেন।
সে দীন ছিল একটিই। প্রত্যেক যুগে সমস্ত নবী-রসূলকে ঐ দীনটিই দেয়া হতো। কোন নবীই স্বতন্ত্র কোন ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন না। আল্লাহর পক্ষ থেকে মানব জাতির জন্য প্রথম দিন হতে ঐ দীনটিই নির্ধারিত হয়ে এসেছে এবং সমস্ত নবী-রসূল ছিলেন সেই দীনেরই অনুসারী ও আন্দোলনকারী ।
শুধু মেনে নিয়ে চুপচাপ বসে থাকার জন্য সে দীন পাঠানো হয়নি। বরং পৃথিবীতে সেই দীনই প্রতিষ্ঠিত ও প্রচলিত থাকবে এবং যমীনে আল্লাহর দীন ছাড়া অন্যদের রচিত দীন যেন প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে সবসময় এ উদ্দেশ্যেই তা পাঠানো হয়েছে। শুধু এ দীনের তাবলীগের জন্য নবী-রসূলগণ আদিষ্ট ছিলেন না, বরং কায়েম করার জন্য আদিষ্ট ছিলেন। এটিই ছিল মানব জাতির মূল দীন। কিন্তু নবী-রসূলদের পরবর্তী যুগে স্বার্থান্বেষী মানুষেরা আত্মপ্রীতি, স্বেচ্ছাচার এবং আত্মম্ভরিতার কারণে স্বার্থের বশবর্তী হয়ে এ দীনের মধ্যে বিভেদ ও বিরোধ সৃষ্টি করে নতুন নতুন ধর্ম সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীতে যত ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম দেখা যায় তার সবই ঐ একমাত্র দীনকে বিকৃত করেই সৃষ্টি করা হয়েছে।
এখন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো তিনি যেন বহুবিধ পথ, কৃত্রিম ধর্মসমূহ এবং মানুষের রচিত দীনের পরিবর্তে সেই আসল দীন মানুষের সামনে পেশ করেন এবং তা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচ্ছেষ্টা চালান। এ জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার পরিবর্তে তোমরা যদি আরো বিগড়ে যাও এবং সংঘাতের জন্য তৎপর হয়ে ওঠো তাহলে সেটা তোমাদের অজ্ঞতা । তোমাদের এই নিবুদ্ধিতার কারণে নবী তাঁর কর্মতৎপরতা বন্ধ করে দেবেন না। তাকে আদেশ দেয়া হয়েছে, যেন তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে আপনার ভূমিকায় অটল থাকেন এবং যে কাজের জন্য তিনি আদিষ্ট হয়েছেন তা সম্পাদন করেন। যেসব কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস এবং জাহেলী রীতিনীতি ও আচার-অনুষ্ঠান দ্বারা ইতিপূর্বে আল্লাহর দীনকে বিকৃত করা হয়েছে তিনি তোমাদের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য দীনের মধ্যে তা অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করবেন তোমরা তাঁর কাছে এ প্রত্যাশা করো না।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
- রমজান মাসের ৯টি ফজিলত
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
حم42.1
আরবি উচ্চারণ ৪২.১। হা-মী-ম্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.১ হা-মীম। عسق42.2
আরবি উচ্চারণ ৪২.২। ‘আই-ন্ সী-ন্ ক্ব- ফ্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.২ ‘আইন-সীন-কাফ।
كَذَلِكَ يُوحِي إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ اللَّهُ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ42.3
আরবি উচ্চারণ ৪২.৩। কাযা-লিকা ইয়ূহী য় ইলাইকা অ ইলা ল্লাযীনা মিন্ ক্বব্লিকা ল্লা-হুল্ ‘আযীযুল্ হাকীম্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৩ এমনিভাবে মহাপরাসমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তোমার কাছে ওহী প্রেরণ করেন এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছেও।
لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ42.4
আরবি উচ্চারণ ৪২.৪। লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ; অহুওয়াল্ ‘আলিয়্যুল্ ‘আজীম্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৪ আসমানসমূহে যা কিছু আছে এবং যমীনে যা কিছুআছে সব তাঁরই। তিনিই সমুনড়বত, সুমহান।
تَكَادُ السَّمَاوَاتُ يَتَفَطَّرْنَ مِنْ فَوْقِهِنَّ وَالْمَلَائِكَةُ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيَسْتَغْفِرُونَ لِمَنْ فِي الْأَرْضِ أَلَا إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ42.5
আরবি উচ্চারণ ৪২.৫। তাকা-দুস্ সামা-ওয়া-তু ইয়াতাফাতত্বোর্য়ানা-মিন্ ফাওক্বিহিন্না অল্মালা-য়িকাতু ইয়ুসাব্বিহূনা বিহাম্দি রব্বিহিম্ অইয়াস্তাগ্ফিরূনা লিমান্ ফিল্ র্আদ্ব্; আলা য় ইন্নাল্লা-হা হুওয়াল্ গফূর্রু রহীম্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৫ উপর থেকে আসমান ফেটে পড়ার উপসম হয়; আর ফেরেশতারা তাদের রবের প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করে এবং পৃথিবীতে যারা আছে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে; জেনে রেখ, আল্লাহ, তিনি তো অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مِنْ دُونِهِ أَولِيَاءَ اللَّهُ حَفِيظٌ عَلَيْهِمْ اللَّهُ حَفِيظٌ عَلَيْهِمْ وَمَا أَنْتَ عَلَيْهِمْ بِوَكِيلٍ42.6
আরবি উচ্চারণ ৪২.৬। অল্লাযীনাত্ তাখাযূ মিন্ দূনিহী য় আউলিয়া-য়াল্লা-হু হাফীজুন্ ‘আলাইহিম্ অমা য় আন্তা ‘আলাইহিম্ বিঅকীল্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৬ আর যারা তাঁর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি সম্যক দৃষ্টিদাতা এবং তুমি তাদের কর্মবিধায়ক নও।
وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِتُنْذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنْذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ42.7
আরবি উচ্চারণ ৪২.৭। অকাযা-লিকা আওহাইনা য় ইলাইকা ক্বর্ আ-নান্ ‘আরবিয়্যাল্ লিতুন্যির উম্মাল্ কুর-অমান্ হাওলাহা-অতুন্যির ইয়াওমাল জ্বাম্‘ই লা-রইবা ফীহ্; ফারীকুন্ ফিল্ জ্বান্নাতি অ ফারীকুন্ ফিস্ সা‘র্ঈ।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৭ আর এভাবেই আমি তোমার ওপর আরবী ভাষায় কুরআন নাযিল করেছি যাতে তুমি মূল জনপদ ও তার আশপাশের বাসিন্দাদেরকে সতর্ক করতে পার, আর যাতে ‘একত্রিত হওয়ার দিন’ এর ব্যাপারে সতকর্ করতে পার, যাতে কোন সন্দেহ নেই, একদল থাকবে জানড়বাতে আরেক দল জ্বলন্ত আগুনে।
وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَجَعَلَهُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَلَكِنْ يُدْخِلُ مَنْ يَشَاءُ فِي رَحْمَتِهِ وَالظَّالِمُونَ مَا لَهُمْ مِنْ وَلِيٍّ وَلَا نَصِيرٍ42.8
আরবি উচ্চারণ ৪২.৮। অলাও শা-য়া ল্লা-হু লাজ্বা‘আলাহুম্ উম্মাতাঁও ওয়া-হিদাতাঁও অলা-কিইঁ ইয়ুদ্খিলু মাইঁ ইয়াশা-য়ু ফী রহ্মাতিহ্; অজ্ জোয়া-লিমূনা মা-লাহুম্ মিওঁ অলিয়্যিঁও অলা-নার্ছী। বাংলা অনুবাদ ৪২.৮ আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে এক জাতিভুক্ত করতে পারতেন; কিন্তু তিনি যাকে চান তাঁর রহমতে প্রবেশ করান আর যালিমদের জন্য কোন অভিভাবক নেই, সাহায্যকারীও নেই।
أَمِ اتَّخَذُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ فَاللَّهُ هُوَ الْوَلِيُّ وَهُوَ يُحْيِي الْمَوْتَى وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ 42.9
আরবি উচ্চারণ ৪২.৯। আমিত্তাখযূ মিন্ দুনিহী য় আউলিয়া-য়া ফাল্লা-হু হুওয়াল্ অলিয়্যু অহুওয়া ইয়ুহ্য়িল মাওতা অ হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বর্দী।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৯ তারা কি তাঁকে বাদ দিয়ে বহু অভিভাবক গ্রহণ করেছে? কিন্তু আল্লাহ, তিনিই হলেন প্রকৃত অভিভাবক; তিনিই মৃতকে জীবিত করেন আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বক্ষমতাবান।
وَمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ مِنْ شَيْءٍ فَحُكْمُهُ إِلَى اللَّهِ ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبِّي عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ أُنِيبُ42.10
আরবি উচ্চারণ ৪২.১০। অমাখ্ তালাফ্তুম্ ফীহি মিন্ শাইয়িন্ ফাহুক্মুহূ য় ইলাল্লা-হ্; যা-লিকুমুল্লা-হু রব্বী ‘আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু অইলাইহি উনীব্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.১০ আর যে কোন বিষয়েই তোমরা মতবিরোধ কর, তার ফয়সালা আল্লাহর কাছে; তিনিই আল্লাহ, আমার রব; তাঁরই উপর আমি তাওয়াক্কুল করেছি এবং আমি তাঁরই অভিমুখী হই।
فَاطِرُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ جَعَلَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا وَمِنَ الْأَنْعَامِ أَزْوَاجًا يَذْرَؤُكُمْ فِيهِ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ42.11
আরবি উচ্চারণ ৪২.১১। ফা-ত্বিরুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব্; জ্বা‘আলা লাকুম্ মিন্ আন্ফুস্কিম্ আয্ওয়া-জ্বাঁও অমিনাল্ আন্‘আ-মি আয্ওয়া-জ্বান্ ইয়ায্রায়ুকুম্ ফীহ্; লাইসা কামিছ্লিহী শাইয়ুন্ অহুওয়াস্ সামীউ’ল্ বার্ছী।
বাংলা অনুবাদ ৪২.১১ তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা; তোমাদেও জন্য তোমাদের মধ্য থেকে জোড়া বানিয়েছেন এবং চতুষ্পদ জন্তু থেকেও জোড়া বানিয়েছেন, (এভাবেই) তিনি তোমাদেরকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মত কিছু নেই আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।
لَهُ مَقَالِيدُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَقْدِرُ إِنَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ42.12
আরবি উচ্চারণ ৪২.১২। লাহূ মাক্ব-লীদুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি ইয়াব্সুত্বর্ রিয্ক্ব লিমাইঁ ইয়াশা-য়ু অইয়ার্ক্ব্দি ইন্নাহূ বিকুল্লি শাইয়িন্ ‘আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.১২ আসমানসমূহ ও যমীনের চাবি তাঁর কাছে; যার জন্য ইচ্ছা তিনি রিয্ক প্রশস্ত করেন এবং নিয়ন্ত্রিত করেন; নিশ্চয় তিনি সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞাতা।
شَرَعَ لَكُمْ مِنَ الدِّينِ مَا وَصَّى بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ كَبُرَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ اللَّهُ يَجْتَبِي إِلَيْهِ مَنْ يَشَاءُ وَيَهْدِي إِلَيْهِ مَنْ يُنِيبُ42.13
আরবি উচ্চারণ ৪২.১৩। শারা‘আ লাকুম্ মিনাদ্দীনি মা-অছ্ছোয়া- বিহী নূহাঁও অল্লাযী য় আওহাইনা য় ইলাইকা অমা-অছ্ছোয়াইনা-বিহী ইব্রা য় হীমা অমূসা-অ‘ঈসা য় আন্ আক্বীমুদ্দীনা অলা-তাতার্ফারকু ফীহ্; কাবুর ‘আলাল্ মুশ্রিকীনা মা-তাদ্‘ঊহুম্ ইলাইহ্; আল্লা-হু ইয়াজ্ব্ তাবী য় ইলাইহি মাইঁ ইয়াশা-য়ু অইয়াহ্দী য় ইলাইহি মাইঁ ইয়ুনীব্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.১৩ তিনি তোমাদের জন্য দীন বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; যে বিষয়ে তিনি নূহকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর আমি তোমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হল, তোমরা দীন কায়েম করবে এবং এতে বিচ্ছিন হবে না। তুমি মুশরিকদেরকে যেদিকে আহবান করছ তা তাদের কাছে কঠিন মনে হয়; আল্লাহ যাকে চান তার দিকে নিয়ে আসেন। আর যে তাঁর অভিমুখী হয় তাকে তিনি হিদায়াত দান করেন।
وَمَا تَفَرَّقُوا إِلَّا مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِنْ رَبِّكَ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى لَقُضِيَ بَيْنَهُمْ وَإِنَّ الَّذِينَ أُورِثُوا الْكِتَابَ مِنْ بَعْدِهِمْ لَفِي شَكٍّ مِنْهُ مُرِيبٍ 42.14
আরবি উচ্চারণ ৪২.১৪। অমা-তার্ফারাকু য় ইল্লা-মিম্ বা’দি মা-জ্বা-য়াহুমুল্ ‘ইল্মু বাগ্ইয়াম্ বাইনাহুম্; অলাওলা- কালিমাতুন্ সাবাক্বত্ র্মি রব্বিকা ইলা -আজ্বালিম্ মুসাম্মাল্ লাকুদিয়া বাইনাহুম্; অইন্নাল্লাযীনা ঊরিছুল্ কিতা-বা মিম্ বা’দিহিম্ লাফী শাক্কিম্ মিন্হু মুরীব্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.১৪ আর তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরও তারা কেবল নিজদের মধ্যকার বিদ্বেষের কারণে মতভেদ করেছে; একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত অবকাশ সম্পকে তোমার রবের পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকলে তাদের বিষয়ে ফয়সালা হয়ে যেত। আর তাদের পরে যারা কিতাবের উত্তরাধিকারী হয়েছিল, তারা সে সম্পকে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রয়েছে।
فَلِذَلِكَ فَادْعُ وَاسْتَقِمْ كَمَا أُمِرْتَ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَقُلْ آمَنْتُ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ مِنْ كِتَابٍ وَأُمِرْتُ لِأَعْدِلَ بَيْنَكُمُ اللَّهُ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ لَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ لَا حُجَّةَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ اللَّهُ يَجْمَعُ بَيْنَنَا وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ42.15
আরবি উচ্চারণ ৪২.১৫। ফালিযা-লিকা ফাদ্‘উ অস্তাক্বিম্ কামা য় উর্মিতা অলা-তাত্তাবি’ আহ্ওয়া য় য়াহুম অকুল্ আ-মান্তু বিমা য় আন্যালা ল্লা-হু মিন্ কিতা-বিন্ আউর্মিতু লিআ’দিলা বাইনাকুম্; আল্লা-হু রব্বুনা- অরব্বুকুম্; লানা য় আ’মা-লুনা-অলাকুম্ আ’মা-লুকুম্;লা-হুজ্জাতা বাইনানা- অবাইনাকুম্; আল্লা-হু ইয়াজ্ব মা‘উ বাইনানা অইলাইহিল্ মার্ছী।
বাংলা অনুবাদ ৪২.১৫ এ কারণে তুমি আহবান কর এবং দৃঢ় থাক যেমন তুমি আদিষ্ট হয়েছ। আর তুমি তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করো না এবং বল, ‘আল্লাহ যে কিতাব নাযিল করেছেন আমি তাতে ঈমান এনেছি এবং তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করতে আমি আদিষ্ট হয়েছি। আল্লাহ আমাদের রব এবং তোমাদের রব। আমাদের কমর্ আমাদের এবং তোমাদের কমর্ তোমাদের; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে কোন বিবাদ-বিসম্বাদ নেই; আল্লাহ আমাদেরকে একত্র করবেন এবং প্রত্যাবর্তন তাঁরই কাছে’।
وَالَّذِينَ يُحَاجُّونَ فِي اللَّهِ مِنْ بَعْدِ مَا اسْتُجِيبَ لَهُ حُجَّتُهُمْ دَاحِضَةٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ42.16
আরবি উচ্চারণ ৪২.১৬। অল্লাযীনা ইয়ুহা-জুনা ফিল্লা-হি মিম্ বা’দি মাস্তুজীবা লাহূ হুজ্জ্বাতুহুম্ দা-হিদ্বোয়াতুন্ ‘ইন্দা রব্বিহিম্ অ‘আলাইহিম্ গদ্বোয়াবুঁও অলাহুম্ ‘আযা-বুন্ শাদীদ্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.১৬ আর আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়ার পর আল্লাহ সম্পকের্ যারা বিতকর্ করে, তাদের দলীল-প্রমাণ তাদের রবের নিকট অসার। তাদের উপর (আল্লাহর) গযব এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।
اللَّهُ الَّذِي أَنْزَلَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ وَالْمِيزَانَ وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ السَّاعَةَ قَرِيبٌ42.17
আরবি উচ্চারণ ৪২.১৭। আল্লা-হুল্ লাযী য় আন্যালাল্ কিতা-বা বিল্হাক্ব ক্বি অল্ মীযা-ন্; অমা-ইয়ুদ্রীকা লা‘আল্লাস্ সা-‘আতা ক্বরীব্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.১৭ আল্লাহ, যিনি সত্যসহ কিতাব ও মীযান নাযিল করেছেন। আর কিসে তোমাকে জানাবে, হয়ত কিয়ামত খুবই নিকটবর্তী?
يَسْتَعْجِلُ بِهَا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِهَا وَالَّذِينَ آمَنُوا مُشْفِقُونَ مِنْهَا وَيَعْلَمُونَ أَنَّهَا الْحَقُّ أَلَا إِنَّ الَّذِينَ يُمَارُونَ فِي السَّاعَةِ لَفِي ضَلَالٍ بَعِيدٍ42.18
আরবি উচ্চারণ ৪২.১৮। ইয়াস্তা’জ্বিলু বিহাল্লাযীনা লা- ইয়ুমিনূনা বিহা-অল্লাযীনা আ-মানূ মুশ্ফিকুনা মিন্হা- অইয়া’লামূনা আন্নাহাল্ হাক্ব্; আলা য় ইন্নাল্ লাযীনা ইয়ুমা-রূনা ফিস্ সা-‘আতি লাফী দ্বোয়ালা-লিম্ বা‘ঈদ্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.১৮ যারা এতে ঈমান আনে না, তারাই তা ত্বরান্বিত করতে চায়। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা একে ভয় করে এবং তারা জানে যে, এটা অবশ্যই সত্য। জেনে রেখ, নিশ্চয় যারা কিয়ামত সম্পকের্ বাক-বিতণ্ডা করে তারা সুদূর পথভ্রষ্টতায় নিপতিত।
اللَّهُ لَطِيفٌ بِعِبَادِهِ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيزُ42.19
আরবি উচ্চারণ ৪২.১৯। আল্লা-হু লাত্বীফুম্ বি‘ইবা-দিহী ইর্য়াযুকু মাইঁ ইয়াশা-য়ু অহুওয়াল্ ক্বওয়িয়্যুল্ ‘আযীয্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.১৯ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি দয়াল। তিনি যাকে ইচ্ছা রিয্ক দান করেন। আর তিনি মহাশক্তিধর, মহাপরাসমশালী।
مَنْ كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ الْآخِرَةِ نَزِدْ لَهُ فِي حَرْثِهِ وَمَنْ كَانَ يُرِيدُ حَرْثَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِ مِنْهَا وَمَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ نَصِيبٍ 42.20
আরবি উচ্চারণ ৪২.২০। মান্ কা-না ইয়ুরীদু র্হাছাল্ আ-খিরতি নাযিদ্ লাহূ ফী র্হাছিহী অমান্ কা-না ইয়ুরীদু র্হাছাদ্দুন্ইয়া- নুতিহী মিন্হা-অমা-লাহূ ফিল্ আ-খিরতি মিন্ নাছীব্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.২০ যে আখিরাতের ফসল কামনা করে, আমি তার জন্য তার ফসলে প্রবৃদ্ধি দান করি, আর যে দুনিয়ার ফসল কামনা করে আমি তাকে তা থেকে কিছ দেই এবং আখিরাতে তার জন্য কোন অংশই থাকবে না।
أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُمْ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ وَلَوْلَا كَلِمَةُ الْفَصْلِ لَقُضِيَ بَيْنَهُمْ وَإِنَّ الظَّالِمِينَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ42.21
আরবি উচ্চারণ ৪২.২১। আম্ লাহুম্ শুরাকা-য়ু শারা‘উলাহুম্ মিনা দ্দীনি মা-লাম্ ইয়াযাম্ বিহিল্লা-হ্; অলাওলা-কালিমাতুল্ ফাছ্লি লাকুদ্বিয়া বাইনাহুম্ অইন্নাজ্ জোয়া-লিমীনা লাহুম্ ‘আযা-বুন্ আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.২১ তাদের জন্য কি এমন কিছু শরীক আছে, যারা তাদের জন্য দীনের বিধান দিয়েছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? আর ফয়সালার ঘোষণা না থাকলে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েই যেত। আর নিশ্চয় যালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
تَرَى الظَّالِمِينَ مُشْفِقِينَ مِمَّا كَسَبُوا وَهُوَ وَاقِعٌ بِهِمْ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فِي رَوْضَاتِ الْجَنَّاتِ لَهُمْ مَا يَشَاءُونَ عِنْدَ رَبِّهِمْ ذَلِكَ هُوَ الْفَضْلُ الْكَبِيرُ42.22
আরবি উচ্চারণ ৪২.২২। তারজ্ জোয়া-লিমীনা মুশ্ফিক্বীনা মিম্মা-কাসাবূ অহুওয়া ওয়া-ক্বিউ’ম্ বিহিম্; অল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি ফী রাওদ্বোয়া-তিল্ জ্বান্না-তি লাহুম্ মা-ইয়াশা-য়ূনা ‘ইন্দা রব্বিহিম্; যা-লিকা হুওয়াল্ ফাদ্ব্লুল্ কার্বী।
বাংলা অনুবাদ ৪২.২২ তুমি যালিমদেরকে তাদের কৃত কর্মের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত দেখতে পাবে। অথচ তা (তাদেও কর্মের শাস্তি) তাদের উপর পতিত হবেই। আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তারা জানড়বাতের উদ্যানসমূহে থাকবে। তারা যা চাইবে, তাদেও রবের নিকট তাদের জন্য তাই থাকবে। এটাই তো মহাঅনুগ্রহ।
ذَلِكَ الَّذِي يُبَشِّرُ اللَّهُ عِبَادَهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ قُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى وَمَنْ يَقْتَرِفْ حَسَنَةً نَزِدْ لَهُ فِيهَا حُسْنًا إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ شَكُورٌ42.23
আরবি উচ্চারণ ৪২.২৩। যা-লিকাল্লাযী ইয়ুবাশ্শিরুল্লা-হু ‘ইবা-দাহুল্ লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-ত্; কুল্ লা য় আস্য়ালুকুম্ ‘আলাইহি আজ্ব রান্ ইল্লাল্ মাওয়াদ্দাতা ফিল্ ক্বর্ ুবা-; অ মাইঁ ইয়াক্ব তারিফ্ হাসানাতান্ নাযিদ্ লাহূ ফীহা-হুস্না-ইন্না ল্লা-হা গফূরুন্ শার্কূ।
বাংলা অনুবাদ ৪২.২৩ এটা তাই, যার সুসংবাদ আল্লাহ তার বান্দাদেরকে দেন- যারা ঈমান আনে ও সৎকমর্ করে। বল, ‘আমি এর জন্য তোমাদের কাছে আত্মীয়তার সৌহাদ ছাড়া অন্য কোন প্রতিদান চাই না’। যে উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্য তাতে কল্যাণ বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, বড়ই গুণগ্রাহী।
أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا فَإِنْ يَشَأِ اللَّهُ يَخْتِمْ عَلَى قَلْبِكَ وَيَمْحُ اللَّهُ الْبَاطِلَ وَيُحِقُّ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ42.24
আরবি উচ্চারণ ৪২.২৪। আম্ ইয়াকু লূনাফ্ তারা-‘আলাল্লা-হি কাযিবান্ ফাইঁ ইয়াশায়িল্লা-হু ইয়াখ্তিম্ ‘আলা-ক্বল্বিক্; অইয়াম্হু ল্লা-হুল্ বা-ত্বিলা অ ইয়ুহিক্ব কুল্ হাক্ব ক্ব বিকালিমা-তিহ্; ইন্নাহূ ‘আলীমুম্ বিযা-তিছ্ছুর্দূ।
বাংলা অনুবাদ ৪২.২৪ তারা কি একথা বলে যে, সে আল্লাহ সম্পকের্ মিথ্যা উদ্ভাবন করেছে? অথচ যদি আল্লাহ চাইতেন তোমার হৃদয়ে মোহর মেরে দিতেন। আর আল্লাহ মিথ্যাকে মুছে দেন এবং নিজ বাণী দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। নিশ্চয় তিনি অন্তরসমূহে যা আছে, সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।
وَهُوَ الَّذِي يَقْبَلُ التَّوْبَةَ عَنْ عِبَادِهِ وَيَعْفُو عَنِ السَّيِّئَاتِ وَيَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ42.25
আরবি উচ্চারণ ৪২.২৫। অহুওয়াল্ লাযী ইয়াক্ব বালুত্ তাওবাতা ‘আন ‘ইবা-দিহী অইয়া’ফূ ‘আনিস্ সাইয়িয়া-তি অইয়া’লামু মা-তাফ্‘আলূ ন্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.২৫ আর তিনিই তাঁর বান্দাদের তাওবা কবূল করেন এবং পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন। আর তোমরা যা কর, তা তিনি জানেন।
وَيَسْتَجِيبُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَيَزِيدُهُمْ مِنْ فَضْلِهِ وَالْكَافِرُونَ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ 42.26
আরবি উচ্চারণ ৪২.২৬। অ ইয়াস্তাজ্বীবুল্ লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি অইয়াযীদুহুম্ মিন্ ফাদ্ব্লিহ্; অল্ কা-ফিরূনা লাহুম্ ‘আযা-বুন্ শাদীদ্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.২৬ আর যারা ঈমান আনে ও সৎকমর্ করে তাদের আহ্বানে তিনি সাড়া দেন এবং তাদের প্রতি তাঁর অনগুরহ বৃদ্ধি করেন। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন আযাব।
وَلَوْ بَسَطَ اللَّهُ الرِّزْقَ لِعِبَادِهِ لَبَغَوْا فِي الْأَرْضِ وَلَكِنْ يُنَزِّلُ بِقَدَرٍ مَا يَشَاءُ إِنَّهُ بِعِبَادِهِ خَبِيرٌ بَصِيرٌ42.27
আরবি উচ্চারণ ৪২.২৭। অলাও বাসাত্বোয়া ল্লা-র্হু রিয্ক্ব লি‘ইবা-দিহী লাবাগাও ফিল্ র্আদ্বি অলা-কিঁও ইয়ুনায্যিলু বিক্বদারিম্ মা-ইয়াশা-য়ু; ইন্নাহূ বি‘ইবা-দিহী খবীরুম্ বাছ্রী।
বাংলা অনুবাদ ৪২.২৭ আর আল্লাহ যদি তার বান্দাদের জন্য রিয্ক প্রশস্ত করে দিতেন, তাহলে তারা যমীনে অবশ্যই বিদ্রোহ করত। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণে যা ইচ্ছা নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে পণূর্ অবগত, সম্যক দ্রষ্টা।
وَهُوَ الَّذِي يُنَزِّلُ الْغَيْثَ مِنْ بَعْدِ مَا قَنَطُوا وَيَنْشُرُ رَحْمَتَهُ وَهُوَ الْوَلِيُّ الْحَمِيدُ42.28
আরবি উচ্চারণ ৪২.২৮। অহুওয়াল্লাযী ইয়ুনায্যিলুল্ গইছা মিম্ বা’দি মা- ক্বানতু অইয়ান্শুরু রহ্মাতাহ্; অহুওয়াল্ অলিইয়ুল্ হামীদ্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.২৮ আর তারা নিরাশ হয়ে পড়লে তিনিই বৃষ্টি বষর্ণ করেন এবং তাঁর রহমত ছড়িয়ে দেন। আর তিনিই তো অভিভাবক, প্রশংসিত।
وَمِنْ آيَاتِهِ خَلْقُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَثَّ فِيهِمَا مِنْ دَابَّةٍ وَهُوَ عَلَى جَمْعِهِمْ إِذَا يَشَاءُ قَدِيرٌ42.29
আরবি উচ্চারণ ৪২.২৯। অমিন্ আ-ইয়া-তিহী খল্ক্ব স্ সামা-ওয়া-তি অল্র্আদ্বি অমা-বাছ্ছা ফীহিমা-মিন্ দা-ব্বাহ্; অহুওয়া ‘আলা-জ্বাম্‘ইহিম্ ইযা- ইয়াশা-য়ু ক্বর্দী।
বাংলা অনুবাদ ৪২.২৯ আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং এতদোভয়ের মধ্যে তিনি যে সব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন সেগুলো। তিনি যখন ইচ্ছা তখনই এগুলোকে একত্র করতে সক্ষম।
وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ 42.30
আরবি উচ্চারণ ৪২.৩০। অমা-আছোয়া-বাকুম্ মিম্ মুছীবাতিন্ ফাবিমা-কাসাবাত্ আইদীকুম্ অ ইয়া’ফূ ‘আন্ কার্ছী।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৩০ আর তোমাদের প্রতি যে মুসীবত আপতিত হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল। আর অনেক কিছুই তিনি ক্ষমা করে দেন।
وَمَا أَنْتُمْ بِمُعْجِزِينَ فِي الْأَرْضِ وَمَا لَكُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ مِنْ وَلِيٍّ وَلَا نَصِيرٍ42.31
আরবি উচ্চারণ ৪২.৩১। অমা য় আন্তুম্ বিমু’জ্বিযীনা ফিল্ র্আদ্বি অমা-লাকুম্ মিন্ দূনিল্লা-হি অমা-লাকুম্ মিন্ দূ নিল্লা-হি মিঁও অলিয়িঁও অলা-নার্ছী।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৩১ তোমরা যমীনে (আল্লাহর কমর্ পরিকল্পনাকে) ব্যথর্ করতে পারবে না। আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদেও কোন অভিভাবক নেই এবং কোন সাহায্যকারীও নেই।
وَمِنْ آيَاتِهِ الْجَوَارِي فِي الْبَحْرِ كَالْأَعْلَامِ42.32
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
আরবি উচ্চারণ ৪২.৩২। অমিন্ আ-ইয়া-তিহিল্ জ্বাওয়া-রি ফিল্ বাহ্রি কাল্ আ’লা-ম্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৩২ তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে আরো রয়েছে সমুদে চলাচলকারী পর্বতমালার মত জাহাজসমূহ।
إِنْ يَشَأْ يُسْكِنِ الرِّيحَ فَيَظْلَلْنَ رَوَاكِدَ عَلَى ظَهْرِهِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِكُلِّ صَبَّارٍ شَكُورٍ42.33
আরবি উচ্চারণ ৪২.৩৩। ইঁইয়াশা ইয়ুস্কির্নি রীহা-ফাইয়াজ্লাল্না রাওয়া-কিদা ‘আলা-জোয়াহ্রিহ্; ইন্না ফী যা-লিকা লাআ-ইয়া-তিল্ লিকুল্লি ছোয়াব্বা-রিন্ শার্কূ।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৩৩ তিনি যদি চান বাতাসকে থামিয়ে দিতে পারেন। ফলে জাহাজগুলো সমুদ্র পৃষ্ঠে গতিহীন হয়ে পড়বে। নিশ্চয় এতে পরম ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।
أَوْ يُوبِقْهُنَّ بِمَا كَسَبُوا وَيَعْفُ عَنْ كَثِيرٍ42.34
আরবি উচ্চারণ ৪২.৩৪। আও ইয়ূ বিক্ব হুন্না বিমা-কাসাবূ অইয়া’ফু ‘আন্ কার্ছী।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৩৪ অথবা তাদের কৃতকর্মের জন্য সেগুলোকে তিনি ধ্বংস করে দিতে পারেন, আবার অনেককে তিনি ক্ষমাও করেন।
وَيَعْلَمَ الَّذِينَ يُجَادِلُونَ فِي آيَاتِنَا مَا لَهُمْ مِنْ مَحِيصٍ42.35
আরবি উচ্চারণ ৪২.৩৫। অ ইয়া’লামুল্ লাযীনা ইয়ুজ্বা-দিলূনা ফী য় আ-ইয়া-তিনা-; মা-লাহুম্ মিম্ মাহীছ্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৩৫ আর যারা আমার নিদর্শনসমূহ সম্পর্কে বাক বিতণ্ডা করে তারা যেন জানতে পারে যে, তাদের কোন আশ্রয়স্থল নেই।
فَمَا أُوتِيتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَمَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ وَأَبْقَى وَمَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ وَأَبْقَى لِلَّذِينَ آمَنُوا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ42.36
আরবি উচ্চারণ ৪২.৩৬। ফামা য় ঊতীতুম্ মিন্ শাইয়িন্ ফামাতা-‘উল্ হা-ইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া-অমা-‘ইন্দাল্লা-হি খইরুঁও অআব্ক্ব- লিল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আলা-রব্বিহিম্ ইয়াতাওয়াক্কালূন্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৩৬ আর তোমাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে তা দুনিয়ার জীবনের ভোগ্য সামগ্রী মাত্র। আর আল্লাহর নিকট যা আছে তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী তাদের জন্য যারা ঈমান আনে এবং তাদের রবের উপর তাওয়াক্কুল করে।
وَالَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الْإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ وَإِذَا مَا غَضِبُوا هُمْ يَغْفِرُونَ42.37
আরবি উচ্চারণ ৪২.৩৭। অল্লাযীনা ইয়াজ্ব্ তানিবূনা কাবা-য়িরাল্ ইছ্মি অল্ফাওয়া-হিশা অইযা-মা-গদ্বিবূ হুম্ ইয়াগ্ফিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৩৭ আর যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন রাগান্বিত হয় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়।
وَالَّذِينَ اسْتَجَابُوا لِرَبِّهِمْ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَمْرُهُمْ شُورَى بَيْنَهُمْ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ42.38
আরবি উচ্চারণ ৪২.৩৮। অল্লাযীনাস্ তাজ্বা-বূ লিরব্বিহিম্ অআক্ব-মুছ্ ছলা-তা অআম্রুহুম্ শূরা- বাইনাহুম্ অমিম্মা-রাযাক্বনা-হুম্ ইয়ুন্ফিকুন্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৩৮ আর যারা তাদের রবের আহ্বানে সাড়া দেয়, সালাত কায়েম করে, তাদের কার্যাবলী তাদেও পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে সম্পন ড়ব করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে।
وَالَّذِينَ إِذَا أَصَابَهُمُ الْبَغْيُ هُمْ يَنْتَصِرُونَ42.39
আরবি উচ্চারণ ৪২.৩৯। অল্লাযীনা ইযা য় আছোয়া-বাহুমুল্ বাগ্ইয়ু হুম্ ইয়ান্তাছিরূন্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৩৯ আর তাদের উপর অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা হলে তারা তার প্রতিবিধান করে।
وَجَزَاءُ سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِثْلُهَا فَمَنْ عَفَا وَأَصْلَحَ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الظَّالِمِينَ 42.40
আরবি উচ্চারণ ৪২.৪০। অজ্বাযা-য়ু সাইয়িয়াতিন্ সাইয়িয়াতুম্ মিছ্লুহা-ফামান্ ‘আফা-অআছ্লাহা ফাআজরুহূ ‘আলাল্লা-হ্; ইন্নাহূ লা-ইয়ুহিব্বুজ্ জোয়া-লিমীন্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৪০ আর মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ। অতঃপর যে ক্ষমা করে দেয় এবং আপোস নিস্পত্তি করে, তার পুরস্কার আল্লাহর নিকট রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ যালিমদের পছন্দ করেন না।
وَلَمَنِ انْتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهِ فَأُولَئِكَ مَا عَلَيْهِمْ مِنْ سَبِيلٍ42.41
আরবি উচ্চারণ ৪২.৪১। অলামানিন্ তাছোয়ার বা’দা জুল্মিহী ফায়ুলা-য়িকা মা ‘আলাইহিম্ মিন্ সাবীল্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৪১ তবে অত্যাচারিত হবার পর যারা প্রতিবিধান করে, তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।
إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَظْلِمُونَ النَّاسَ وَيَبْغُونَ فِي الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ42.42
আরবি উচ্চারণ ৪২.৪২। ইন্নামাস্ সাবীলু ‘আলাল্লাযীনা ইয়াজ্লিমূনান্না-সা অইয়াব্গূনা ফিল্ র্আদ্বি বিগইরিল্ হাক্ব ; উলা-য়িকা লাহুম্ ‘আযা-বুন্ আলীম্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৪২ কেবল তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যারা মানুষের উপর যুলম করে এবং যমীনে অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।
وَلَمَنْ صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَلِكَ لَمِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ42.43
আরবি উচ্চারণ ৪২.৪৩। অলামান্ ছবার অগফার ইন্না যা-লিকা লামিন্ ‘আয্মিল্ উ’র্মূ।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৪৩ আর যে ধৈযর্ধারণ করে এবং ক্ষমা করে, তা নিশ্চয় দৃঢ়সংকল্পেরই কাজ।
وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ وَلِيٍّ مِنْ بَعْدِهِ وَتَرَى الظَّالِمِينَ لَمَّا رَأَوُا الْعَذَابَ يَقُولُونَ هَلْ إِلَى مَرَدٍّ مِنْ سَبِيلٍ42.44
আরবি উচ্চারণ ৪২.৪৪। অমাইঁ ইয়ুদ্ব্লিলিল্লা-হু ফামা-লাহূ মিঁও অলিয়ি্যঁম্ মিম্ বা’দিহ্; অতারাজ্জোয়া-লিমীনা লাম্মা-রয়ায়ুল্ ‘আযা-বা ইয়াকুলূনা হাল্ ইলা- মারাদ্দিম্মিন্ সাবীল্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৪৪ আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তারপর তার জন্য কোন অভিভাবক নেই। আর তুমি যালিমদেরকে দেখবে, যখন তারা আযাব প্রত্যক্ষ করবে তখন বলবে, ‘ফিরে যাওয়ার কোন পথ আছে কি’?
وَتَرَاهُمْ يُعْرَضُونَ عَلَيْهَا خَاشِعِينَ مِنَ الذُّلِّ يَنْظُرُونَ مِنْ طَرْفٍ خَفِيٍّ وَقَالَ الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ الْخَاسِرِينَ الَّذِينَ خَسِرُوا أَنْفُسَهُمْ وَأَهْلِيهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَلَا إِنَّ الظَّالِمِينَ فِي عَذَابٍ مُقِيمٍ42.45
আরবি উচ্চারণ ৪২.৪৫। অ তর-হুম্ ইয়ু’রদ্ব না ‘আলাইহা-খ-শি‘ঈনা মিনায্ যুল্লি ইয়ান্জুরূনা মিন্ ত্বোর্য়াফিন্ খফী; অক্বা-লাল্ লাযীনা আ-মানূ য় ইন্নাল্ খ-সিরীনাল্ লাযীনা খসিরূ য় আন্ফুসাহুম্ অআহ্লীহিম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাহ্; আলা য় ইন্নাজ্ জোয়া-লিমীনা ফী ‘আযা-বিম্ মুক্বীম্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৪৫ তুমি তাদেরকে আরো দেখবে যে, তাদেরকে অপমানে অবনত অবস্থায় জাহানড়বামে উপস্থিত করা হচ্ছে, তারা আড় চোখে তাকাচ্ছে। আর কিয়ামতের দিন মুমিনগণ বলবে, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত যারা নিজদের ও পরিবার-পরিজনের ক্ষতি সাধন করেছে। সাবধান! যালিমরাই থাকবে স্থায়ী আযাবে।
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
وَمَا كَانَ لَهُمْ مِنْ أَوْلِيَاءَ يَنْصُرُونَهُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ سَبِيلٍ42.46
আরবি উচ্চারণ ৪২.৪৬। অমা-কা-না লাহুম্ মিন্ আউলিয়া-য়া ইয়ান্ছুরূনাহুম্ মিন্ দূনিল্লা-হ্; অমাইঁ ইয়ুদ্ব্লিলিল্লা-হু ফামা-লাহূ মিন্ সাবীল্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৪৬ আর আল্লাহ ছাড়া তাদেরকে সাহায্য করার জন্য তাদের কোন অভিভাবক থাকবে না। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন পথ নেই।
اسْتَجِيبُوا لِرَبِّكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ يَوْمٌ لَا مَرَدَّ لَهُ مِنَ اللَّهِ مَا لَكُمْ مِنْ مَلْجَإٍ يَوْمَئِذٍ وَمَا لَكُمْ مِنْ نَكِيرٍ42.47
আরবি উচ্চারণ ৪২.৪৭। ইস্তাজ্বীবূ লিরব্বিকুম্ মিন্ ক্বব্লি আইঁ ইয়াতিয়া ইয়াওমুল্ লা-মারদ্দা লাহূ মিনাল্লা-হ্; মা-লাকুম্ মিম্ মাল্জ্বায়িঁ ইয়াওমায়িযিঁও অমা-লাকুম্ মিন্ নার্কী।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৪৭ তোমরা তোমাদের রবের ডাকে সাড়া দাও, আল্লাহর পক্ষ থেকে সেদিন আসার পূর্বেই, যাকে ফিরিয়ে দেয়ার কোনো উপায় নেই। সেদিন তোমাদের জন্য কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং তোমাদের জন্য প্রতিরোধকারীও থাকবে না।
فَإِنْ أَعْرَضُوا فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا إِنْ عَلَيْكَ إِلَّا الْبَلَاغُ وَإِنَّا إِذَا أَذَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنَّا رَحْمَةً فَرِحَ بِهَا وَإِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيهِمْ فَإِنَّ الْإِنْسَانَ كَفُورٌ42.48
আরবি উচ্চারণ ৪২.৪৮। ফাইন, আ’রাদ্ব ফামা য় র্আসাল্না-কা ‘আলাইহিম্ হাফীজোয়া-; ইন্ ‘আলাইকা ইল্লাল্ বালা-গ্; অইন্না য় ইযা য় আযাক্ব নাল্ ইন্সা-না মিন্না-রহ্মাতান্ ফারিহা-বিহা-অইন্ তুছিব্হুম্ সাইয়িয়াতুম্ বিমা-ক্বদ্দামাত্ আইদীহিম্ ফাইন্নাল্ ইন্সা-না কার্ফূ।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৪৮ আর যদি তারা বিমখু হয়, তবে আমি তো তোমাকে তাদের রক্ষক হিসেবে পাঠাইনি। বাণী পৌঁছে দেয়াই তোমার দায়িত্ব আর আমি যখন মানুষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই তখন সে খুশি হয়। আর যখন তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদের উপর কোন বিপদ আসে তখন মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ হয়।
لِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ يَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ إِنَاثًا وَيَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ الذُّكُورَ42.49
আরবি উচ্চারণ ৪২.৪৯। লিল্লা-হি মুল্কুস্ সামা-ওয়া-তি অল্আরদ্ব্; ইয়াখ্লুকু মা-ইয়া শা-য়্; ইয়াহাবু লিমাইঁ ইয়াশা-য়ু ইনা-ছাঁও অইয়াহাবু লিমাই ইঁয়াশা-য়ুয্ যুর্কূ।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৪৯ আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যা চান সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।
أَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَاثًا وَيَجْعَلُ مَنْ يَشَاءُ عَقِيمًا إِنَّهُ عَلِيمٌ قَدِيرٌ42.50
আরবি উচ্চারণ ৪২.৫০। আও ইয়ুযাওয়্যিজুহুম্ যুক্রা-নাঁও অইনা-ছান্ অইয়াজ্ব্-‘আলূ মাইঁ ইয়াশা-য়ু ‘আক্বীমা-; ইন্নাহূ ‘আলীমুন্ ক্বর্দী।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৫০ অথবা তাদেরকে পুত্র ও কন্যা উভয়ই দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করেন। তিনি তো সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।
وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُكَلِّمَهُ اللَّهُ إِلَّا وَحْيًا أَوْ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولًا فَيُوحِيَ بِإِذْنِهِ مَا يَشَاءُ إِنَّهُ عَلِيٌّ حَكِيمٌ 42.51
আরবি উচ্চারণ ৪২.৫১। অমা- কা-না লিবাশারিন্ আইঁ ইয়ুকাল্লিমাহুল্লা-হু ইল্লা-অহ্ইয়ান্ আও মিওঁ অর-য়ি হিজ্বা-বিন্ আও ইর্য়ুসিলা রসূলান্ ফাইয়ূহিয়া বিইয্নিহী মা-ইয়াশা-য়্; ইন্নাহূ ‘আলিয়্যুন্ হাকীম।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৫১ কোন মানুষের এ মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে সরাসরি কথা বলবেন, ওহীর মাধ্যম, পর্দার আড়াল অথবা কোন দূত পাঠানো ছাড়া। তারপর আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে তিনি যা চান তাই ওহী প্রেরণ করেন। তিনি তো মহীয়ান, প্রজ্ঞাময়।
وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ رُوحًا مِنْ أَمْرِنَا مَا كُنْتَ تَدْرِي مَا الْكِتَابُ وَلَا الْإِيمَانُ وَلَكِنْ جَعَلْنَاهُ نُورًا نَهْدِي بِهِ مَنْ نَشَاءُ مِنْ عِبَادِنَا وَإِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ42.52
আরবি উচ্চারণ ৪২.৫২। অ কাযা-লিকা আওহাইনা য় ইলাইকা রূহাম্ মিন্ আম্রিনা-; মা-কুন্তা তাদ্রী মাল্ কিতা-বু অলাল্ ঈমা-নু অলা-কিন্ জ্বা‘আল্না-হু নূরান্ নাহ্দী বিহী মান্ নাশা-য়ু মিন্ ‘ইবা-দিনা- অইন্নাকা লা-তাহ্দী ইলা-ছিরা-ত্বিম্ মুস্তাকীম্।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৫২ অনুরূপভাবে (উপরোক্ত তিনটি পদ্ধতিতে) আমি তোমার কাছে আমার নির্দেশ থেকে ‘রূহ’কে ওহী যোগে প্রেরণ করেছি। তুমি জানতে না কিতাব কী এবং ঈমান কী? কিন্তু আমি একে আলো বানিয়েছি, যার মাধ্যমে আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করি। আর নিশ্চয় তুমি সরল পথের দিক নির্দেশনা দাও।
صِرَاطِ اللَّهِ الَّذِي لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ أَلَا إِلَى اللَّهِ تَصِيرُ الْأُمُورُ 42.53
আরবি উচ্চারণ ৪২.৫৩। ছিরা-ত্বি ল্লা-হিল্ লাযীলাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ্ব; আলা য় ইলাল্লা-হি তাছীরূল উর্মূ।
বাংলা অনুবাদ ৪২.৫৩ সেই আল্লাহর পথ, যিনি আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তার মালিক। সাবধান! সব বিষয়ই আল্লাহর কাছে ফিরে যাবে।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত