আজকের বিষয়: সূরা হজ্জ সকল তথ্য আল কোরআন ও হাদিসের আলোতে,পৃথিবীর জানা অজানা কিছু তথ্য আল হজ্জ আলমল ও ফজিলত, সূরা হজ্জ কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা হজ্জ নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ২২ সূরা আল – হজ্জ
হজ্জের গুরুত্ব ও ফজিলত। হজ্জ ইসলামের পঞ্চম রোকন বা স্তম্ভ। মুমিন বান্দার প্রতি মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের বিশেষ অনুগ্রহ এই যে, তিনি তাকে এমন কিছু ইবাদত দান করেছেন, যা দ্বারা বান্দা তার রূহানি তারাক্কি, কলবের সুকুন ও প্রশান্তি এবং দুনিয়া-আখিরাতের খায়ের ও বরকত লাভ করে থাকে। এসবের একটি হলো হজ্জ। হজ্জ ইসলামের পঞ্চম রোকন বা স্তম্ভ। নামায, রোযা, যাকাত যেমন ফরয ইবাদত, তেমনি আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর জন্য হজ্জ অন্যতম বরকতপূর্ণ অবধারিত কর্তব্য। হজ্জ আরবি শব্দ । অর্থ: নিয়ত করা, দর্শন করা, সংকল্প করা, সন্ধান করা, সাক্ষাৎ করা, ইচ্ছা করা বা প্রতিজ্ঞা করাসহ কোনো মহৎ কাজের ইচ্ছা করা। শরিয়তের পরিভাষায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের ফরয আমলটি পালনার্থে এবং আল্লাহ তা’আলার সান্নিধ্য ও সন্তোষ লাভের আশায় হজ্জের নির্ধারিত সময়-সীমার ভেতরে নির্দিষ্ট আমল সম্পাদনের জন্য পবিত্র ‘বাইতুল্লাহ’ তথা কা’বা ঘর জেয়ারত করাকে হজ্জ বলে। আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন, ‘মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তির উপর আল্লাহর জন্য হজ্জ আদায় করা ফরয’ (সূরা আল ইমরান, আয়াত: ৯৭)। ‘তোমরা আল্লাহর জন্য হজ্জ ও উমরাহ পালন কর’ (সূরা-আল বাকারা, আয়াত: ১৯৬)। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘যখন আমি ইবরাহিম (আলাইহিস সালাম)কে বায়তুল্লাহর স্থান ঠিক করে দিয়ে বলেছিলাম যে, আমার সাথে কাউকে শরিক করো না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রাখ তাওয়াফকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে তুমি হজ্জের ঘোষণা প্রচার করো, তাঁরা তোমার কাছে আসবে পাঁয়ে হেঁটে, উটে চড়ে এবং সর্ব-প্রকার বাহনে সওয়ার হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে’ (সূরা হজ্জ, আয়াত: ২৬-২৭)।
নবম হিজরীতে হজ্জ ফরয হয়। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ১০ম হিজরীতে একবার স্বপরিবারে হজ্জ পালন করেন। মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম এমন প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও মহিলার জন্য জীবনে একবার হজ্জ আদায় করা ফরয। এ সম্পর্কে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে মানব সকল! আল্লাহ তা’আলা তোমাদের উপর হজ্জ ফরয করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ্জ করো। এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! প্রতি বছর কি হজ্জ করতে হবে? তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে প্রতি বছর হজ্জ করা ফরয হয়ে যেতো, কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না’ (মুসলিম, হাদিস : ১৩৩৭)। বারবার হজ্জ আদায় করা মুস্তাহাব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেছেন, ‘হজ্জ একবার, যে ব্যক্তি একাধিকবার করবে তা তার জন্য নফল হবে’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৮৬, আবু দাউদ হাদিস : ১৭২১)।
হাদিস শরীফে হজ্জ ফরয হওয়া মাত্র আদায় করার তাগিদ ও হুকুম দেওয়া হয়েছে। হযরত ইবনে আববাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘ফরয হজ্জ আদায়ে তোমরা বিলম্ব করো না। কারণ তোমাদের কারো জানা নেই তোমাদের পরবর্তী জীবনে কী ঘটবে’ (সুনানে কুবরা বায়হাকী ৪/৩৪০, মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২৮৬৭)। অন্য বর্ণনায় ইরশাদ হয়েছে, হযরত ইবনে আববাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজ্জ করার ইচ্ছে করে, সে যেন তাড়াতাড়ি তা আদায় করে নেয়। কারণ যে কোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বা বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৮৮৩; আবু দাউদ, হাদিস : ১৭৩২)।
একটি হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তা’আলা যে স্বচ্ছল সামর্থ্যবান ব্যক্তি সত্ত¡র হজ্জ আদায় করে না তাকে হতভাগা ও বঞ্চিত আখ্যায়িত করেছেন। আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি আমার বান্দার শরীরকে সুস্থ রাখলাম, তার রিযিক ও আয়-উপার্জনে প্রশস্ততা দান করলাম। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি সে আমার গৃহের হজ্জের উদ্দেশ্যে আগমন না করে তবে সে হতভাগ্য ও বঞ্চিত’ (তবারানী, হাদিস : ৪৯০; সুনানে কুবরা বায়হাকী ৫/২৬২; ইবনে হিববান, হাদিস : ৩৬৯৫; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস : ১০৩১; মাজমাউয যাওয়াইদ, হাদিস : ৫২৫৯)। শুধু তাই নয়, একসময় বায়তুল্লাহ শরীফ উঠিয়ে নেয়া হলে মানুষ হজ্জ করতে পারবে না এই আশঙ্কার কারণেও আল্লাহর রাসূল উম্মতকে তাড়াতাড়ি হজ্জ করার হুকুম করেছেন। ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা হজ্জ ও উমরার মাধ্যমে বায়তুল্লাহ এর উপকার গ্রহণ কর। কেননা তা ইতিপূর্বে দু’বার ধ্বংস হয়েছে। তৃতীয় বারের পর উঠিয়ে নেওয়া হবে’ (ইবনে হিববান, হাদিস : ৬৭১৮; ইবনে খুযাইমা, হাদিস : ২৫০৬; মুসনাদে বাযযার, হাদিস : ১০৭২; মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস : ১৬৫২)।
কেউ হজ্জের আবশ্যকীয়তা বা ফরয হওয়া অস্বীকার করলে তাকে অমুসলিম বলে গণ্য করা হবে। আর যদি কোনো সক্ষম ব্যক্তি হজ্জ ফরয মানা সত্তে¡ও তা আদায় না করেন তাহলে কঠিন পাপের মধ্যে নিপতিত হবেন এবং তার ঈমান নষ্ট হওয়ার ভয় রয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে অবহেলা করে ফরয হজ্জ ত্যাগ করে, আমি জানি না তার মৃত্যু ঈমানের উপর হবে কি না। হজ্জ করার শক্তি-সামর্থ্য ও অর্থ-বিত্ত থাকার পরও যে ব্যক্তি হজ্জ করে না তার সম্পর্কে হাদিস শরীফে কঠোর সতর্কবাণী প্রদান করা হয়েছে। যে ব্যক্তি হজ্জ করার সামর্থ্য রাখে, তবুও হজ্জ করে না সে ইহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করল কি খিস্টান হয়ে তার কোনো পরোয়া আল্লাহর নেই’ (তিরমিযী, হাদিস ৮১২, তাফসীরে ইবনে কাসীর ১/৫৭৮)।
হজ্জের ফজিলতহজ্জ একটি আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। এ কারণেই আল্লাহ তা’আলা একে অতি ফজিলতপূর্ণ করেছেন। হজ্জের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হাদিস শরীফে মকবুল হজ্জের বহু ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসূলের প্রতি গভীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখায় বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ ও রওজা মোবারক যিয়ারতের মাধ্যমে। নিম্নে কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য নিবেদিতভাবে, সর্বপ্রকার পাপ, অন্যায় ও অশ্লীলতা মুক্ত হয়ে হজ্জ আদায় করলো, সে মাতৃগর্ভ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ঘরে ফিরলো’ (বুখারী, হাদিস: ১৫২১; মুসলিম, হাদিস : ১৩৫০)। তিনি আরও বলেছেন; একবার উমরা আদায়ের পরে দ্বিতীয়বার যখন উমরা আদায় করা হয়, তখন দুই উমরার মধ্যবর্তী গোনাহ আল্লাহ্ মাফ করে দেন। আর হজ্জে মাবরুর বা পুণ্যময় হজ্জের একমাত্র পুরস্কার হলো জান্নাত’ (বুখারী, হাদিস : ১৭৭৩; মুসলিম, হাদিস : ১৩৪৯; তিরমিযী, হাদিস : ৯৩৩; নাসায়ী, হাদিস : ২৬২৯; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৮৮)।
কবুল হজ্জ দ্বারা উদ্দেশ্য এমন হজ্জ, যা সুন্নাত মুতাবেক সম্পন্ন হয়, যাতে পাপাচার ও গোনাহ থেকে মুক্ত থাকা হয় (রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১২৮১-এর ব্যাখ্যা)। হজ্জ শুধু শারীরিক ইবাদতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং হজ্জ পালন বান্দার পাপও মোচন করে দেয়। ফলে হজ্জ পালনকারীর পাপের বোঝা হালকা হয় এবং দারিদ্র্য দূর হয়। তবে হজ্জ পালন একমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে হতে হবে। এতে কোনো প্রকার লৌকিকতা থাকতে পারবে না। এ মর্মে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা বারবার হজ্জ ও উমরা আদায় কর, কারণ কর্মকারের ও স্বর্ণকারের আগুন যেমন লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা মুছে ফেলে তেমনিভাবে এ দুটি ইবাদত দারিদ্র্য ও পাপ মুছে ফেলে। আর হজ্জে মাবরুর বা পুণ্যময় হজ্জের একমাত্র পুরস্কার হলো জান্নাত’ (তিরমিযী, হাদিস : ৮১০; নাসায়ী, হাদিস : ২৬৩১)।হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হয়, সর্বশ্রেষ্ঠ কর্ম কি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। প্রশ্নকারী বলেন, এরপর কোন কর্ম? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা । প্রশ্নকারী বলেন, এরপর কোন কর্ম? তিনি বললেন, তোমাদের জন্য উত্তম ও সুন্দরতম জিহাদ হলো হজ্জ, তথা মাবরুর হজ্জ (কবুল হজ্জ)’ (বুখারী, হাদিস : ২৬; মুসলিম, হাদিস : ৮৩; তিরমিযী, হাদিস : ১৬৫৮)।
হযরত আয়শা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম! জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করবো না? তিনি বললেন, তোমাদের জন্য উত্তম ও সুন্দরতম জিহাদ হলো ‘হজ্জ’, তথা মাবরুর হজ্জ’ (বুখারী, হাদিস: ১৫২০)।হযরত ইবনে উমর (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহ তা’আলা হজ্জকারীকে তার উটনীর প্রতি কদমে একটি নেকি লেখেন কিংবা একটি গুনাহ মুছে দেন। অথবা একটি মর্তবা বুলন্দ করেন’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ১৮৮৭; শুআবুল ঈমান, বায়হাকি, হাদিস : ৪১১৬)। হযরত সাহল ইবনে সা’দ আসসায়েদী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনো ব্যক্তি যখন তালবিয়া পাঠ করে তখন তার ডানে ও বামে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যা কিছু আছে যেমন, গাছপালা, মাটি, পাথর সব কিছু তালবিয়া (লাব্বাইক) পাঠ করতে থাকে, (তিরমিযী, হাদিস : ৮২৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৯২১)। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হজ্ব করার তৌফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
- নামাজে আমরা যা বলি , তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা !!
- “লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?
- রমজানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যত পরামর্শ
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন
- আজহারী: কোন ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙে
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
নামকরণ
চতুর্থ রুকূ’র দ্বিতীয় আয়াত () থেকে সূরার নাম গৃহীত হয়েছে।
নাযিলের সময় কাল
এর সূরায় মক্কী ও মাদানী সূরার বৈশিষ্ট মিলেমিশে আছে। এ কারণে মুফাসসিরগণের মাঝে এর মক্কী বা মাদানী হওয়া নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু আমার মতে এর একটি অংশ মক্কী যুগের শেষের দিকে এবং অন্য অংশটি মাদানী যুগের প্রথম দিকে নাযিল হবার কারণে এর বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভংগীতে এ বিশেষ রূপ পরিগ্রহ করেছে। এজন্য উভয় যুগের বৈশিষ্ট এর মধ্যে একক হয়ে গেছে।
গোড়ার দিকের বিষয়বস্তু ও বর্ণনাভংগী থেকে পরিস্কার জানা যায় যে, এটি মক্কায় নাযিল হয়েছে। এ ব্যাপারে বেশী নিশ্চয়তার সাথে বলা যেতে পারে যে, এ অংশটি মক্কী জীবনের শেষ যুগে হিজরতের কিছু পূর্বে নাযিল হয়েছে। এ অংশটি ২৪ আয়াত () এ এসে শেষ হয়ে গেছে।
এরপর()থেকে হঠাৎ বিষয়বস্তুর প্রকৃতি পাল্টে গেছে এবং পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে যে, এখান থেকে শেষ পর্যন্তকার অংশটি মদীনা তাইয়েবায় নাযিল হয়েছে। এ অংশটি যে, হিজরতের পর প্রথম বছরেই যিলহজ্জ মাসে নাযিল হয়েছে তা মনে করাটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। কারণ, ২৫ থেকে ৪১ আয়াত পর্যন্ত যে বিষয়বস্তু উপস্থাপিত হয়েছে তা এ কথাই নির্দেশ করে এবং ৩৯-৪০ আয়াতে শানেনুযুল তথা নাযিলের কার্যকারণও এর প্রতি সমর্থন দেয়। সে সময় মুহাজিররা সবেমাত্র নিজেদের জন্মভূমি ও বাড়িঘর ছেড়ে মদীনায় এসেছিলেন। হজ্জের সময় তাদের নিজেদের শহর ও হজ্জের সমাবেশের কথা মনে পড়ে থাকতে পারে। কুরাইশ মুশরিকরা যে, তাদের মসজিদে হারামে যাবার পথ বন্ধ করে দিয়েছে একথা তদের মনকে মারাত্মকভাবে তোলপাড় করে থাকবে। যে অত্যাচারী কুরাইশ গোষ্ঠী ইতিপূর্বে তাদেরকে নিজেদের ঘর থেকে বের করে দিয়েছে, মসজিদে হারামের যিয়ারত থেকে বঞ্চিত করেছে এবং আল্লাহর পথ অবলম্বন করার জন্য তাদের জীবন পর্যন্ত দুর্বিসহ করে তুলেছে, তাদের বিরুদ্ধে মুসলমানরা হয়তো যুদ্ধ করারও অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। এ ছিল এ আয়াতগুলোর নাযিলের যথার্থ মনস্থাত্বিক পটভূমি। এখানে প্রথমে হজ্জের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, দুনিয়ায় একমাত্র আল্লাহর বন্দেগী করার জন্য মসজিদে হারাম নির্মাণ এবং হজ্জের পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু আজ সেখানে শিরক করা হচ্ছে এবং এক আল্লাহর ইবাদাতকারীদের জন্য তার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরপর দুরাচারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এবং এদেরকে বেদখল করে দেশে এমন একটি কল্যাণমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মুসলমানদেরকে অনুমতি দেয়া হয়েছে যেখানে অসৎবৃত্তি প্রদমিত ও সৎবৃত্তি বিকশিত হবে। ইবনে আব্বাস, মুজাহিদ, উরওয়াহ ইবনে যুবাইর, যায়েদ ইবনে আসলাম, মুকাতিল ইবনে হাইয়ান, কাতাদাহ ও অন্যান্য মুফাসসিরগণের মতে মুসলমানদেরকে যুদ্ধের অনুমতি দান সম্পর্কিত এটিই প্রথম আয়াত। অন্যদিকে হাদীস ও সীরাতের বর্ণনাসমূহ থেকে প্রমাণ হয়, এর অনুমতির পরপরই কুরাইশদের বিরুদ্ধে বাস্তব কর্মতৎপরতা শুরু করা হয় এবং দ্বিতীয় হিজরীর সফর মাসে লোহিত সাগরের দিকে প্রথম অভিযান পরিচালনা করা হয়। এটি দাওয়ান যুদ্ধ বা আবওয়া যুদ্ধ নামে পরিচিত।
বিষয়বস্তু ও কেন্দ্রীয় আলোচ্য
এ সূরায় তিনটি দলকে সম্বোধন করা হয়েছেঃ মক্কার মুশরিক সমাজ, দ্বিধাগ্রস্ত ও দোটানায় পড়ে থাকা মুসলিমগণ এবং আপোষহীন সত্যনিষ্ঠ মু’মিন সমাজ।
মুশরিকদেরকে সম্বোধন করার পর্বটি মক্কায় শুরু হয়েছে এবং মদীনায় এর সমাপ্তি ঘটানো হয়েছে। এ সম্বোধনের মাধ্যমে তাদেরকে বজ্রকন্ঠে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, তোমরা হঠকারিতা ও জিদের বশবর্তী হয়ে নিজেদের ভিত্তিহীন জাহিলী চিস্তাধারার ওপর জোর দিয়েছো, আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন সব মাবুদদের ওপর ভরসা করেছো যাদের কাছে কোন শক্তি নেই এবং আল্লাহর রসূলকে মিথ্যা বলেছো। এখন তোমাদের পূর্বে এ নীতি অবলম্বনকারীরা যে পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে তোমাদেরও অনিবার্যভাবে সে একই পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে। নবীকে অমান্য করে এবং নিজের জাতির সবচেয়ে সৎলোকদেরকে জুলুম নিপীড়নের শিকারে পরিণত করে তোমরা নিজেদেরই ক্ষতি করেছো। এর ফলে তোমাদের ওপর আল্লাহর যে গযব নাযিল হবে তা থেকে তোমাদের বানোয়াট উপাস্যরা তোমাদের রক্ষা করতে পারবে না। এ সতর্কীকরণ ও ভীতি প্রদর্শনের সাথে সাথে বুঝাবার ও উপলদ্ধি করাবার কাজও চলেছে। সমগ্র সূরার বিভিন্ন জায়গায় স্মরণ করিয়ে দেয়া ও উপদেশ প্রদানের কাজও চলেছে। এ সংগে শিরকের বিরুদ্ধে এবং তাওহীদ ও আখেরাতের পক্ষে শক্তিশালী যুক্তি প্রমাণও পেশ করা হয়েছে।
দ্বিধান্বিত মুসলমানরা, যারা আল্লাহর বন্দেগী গ্রহণ করেছিল ঠিকই কিন্তু তাঁর পথে কোন প্রকার বিপদের মোকাবিলা করতে রাজি ছিল না, তাদেরকে সম্বোধন করে কঠোর ভাষায় তিরস্কার করা ও ধমক দেয়া হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে, এটা কেমন ঈমান! আরাম, আয়েশ, আনন্দ ও সুখ লাভ হলে তখন আল্লাহ তোমাদের আল্লাহ থাকে এবং তোমরা তাঁর বান্দা থাকো, কিন্তু যখনই আল্লাহর পথে বিপদ আসে এবং কঠিন সংকটের মোকাবিলা করতে হয় তখনই আল্লাহ আর তোমাদের আল্লাহ থাকে না এবং তোমরাও তাঁর বান্দা থাকো না। অথচ নিজেদের এ নীতি ও কর্মপদ্ধতির মাধ্যমে তোমরা এমন কোন বিপদ, ক্ষতি ও কষ্টের হাত থেকে রেহাই পেতে পারবে না, যা আল্লাহ তোমাদের ভাগ্যে লিখে দিয়েছেন।
ঈমানদারদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দান করা হয়েছে দু’টি পদ্ধতিতে। একটি ভাষণে সম্বোধন এমনভাবে করা হয়েছে যার লক্ষ তারা নিজেরাও এবং এ সংগে আরবের সাধারণ জনসমাজও। আর দ্বিতীয় ভাষণটির লক্ষ কেবলমাত্র মু’মিনগণ।
প্রথম ভাষনে মক্কার মুশরিকেদর মনোভাব ও কর্মনীতির সমালোচনা করা হয়েছ। বলা হয়েছে তারা মুসলমানদের জন্য সমজিদে হারামের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ মসজিদে হরাম তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কাজেই কাউকে হজ্জ করার পথে বাধা দেবার অধিকার তাদের নেই। এ আপত্তি শুধু যে, যথার্থই ছিল তাই নয় বরং রাজনৈতিক দিক দিয়ে এটি কুরাইশদের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তম অস্ত্রও ছিল। এরর মাধ্যমে আরবের অন্যান্য সকল গোত্রের মনে এ প্রশ্ন সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে যে, কুরাইশরা হারাম শরীফের খাদেম, না মালিক? আজ যদি তারা নিজেদের ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে একটি দলকে হজ্জ করতে বাধা দেয় এবং তাদের এ পদক্ষেপকে মেনে নেয়া হয়, তাহলে কালকেই যে তারা যার সাথে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে তাকে হারাম শরীফের সীমানায় প্রবেশ করতে বাধা দেবে না এবং এবং তার উমরাহ ও হজ্জ বন্ধ করে দেবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? এ প্রসংগে মসজিদুল হারামের ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে একদিকে বলা হয়েছে যে, ইবরাহীম আলাইহিস সালাম যখন আল্লাহর হুকুমে এ ঘরটি নির্মাণ করেছিলেন তখন সবাইকে এ ঘরে হজ্জ করার সাধারণ অনুমতি দিয়েছিলেন। প্রথম দিন থেকেই সেখানে স্থানীয় অধিবাসী ও বহিরাগতদের সমান অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল। অন্যদিকে বলা হয়েছে, এ ঘরটি শিরক করার জন্য নয় বরং এক আল্লাহর বন্দেগী করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। অথচ কী ভয়ংকর কথা! আজ সেখানে এক আল্লাহর বন্দেগী নিষিদ্ধ কিন্তু মূর্তি ও দেবদেবীর পূজার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
দ্বিতীয় ভাষণে মুসলমানদেরকে কুরাইশদের জুলুমের জবাবে শক্তি প্রয়োগ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ সংগে মুসলমানরা যখন কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা লাভ করবে তখন তাদের নীতি কি হবে এবং নিজেদের রাষ্ট্রে তাদের কি উদ্দেশ্যে কাজ করতে হবে এ কথাও তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি সূরার মাঝখানে আছে এবং শেষেও আছে। শেষে ঈমানদারদের দলের জন্য “মুসলিম” নামটির যথারীতি ঘোষণা দিয়ে বলা হয়েছে, তোমরাই হচ্ছো ইবরাহীমের আসল স্থলাভিষিক্ত। তোমরা দুনিয়ায় মানব জাতির সামনে সাক্ষদানকারীর স্থানে দাঁড়িয়ে আছো, এ দায়িত্ব পালন করার জন্য তোমাদেরকে বাছাই করে নেয়া হয়েছে। এখন তোমাদের নামায কায়েম যাকাত দান ও সৎকাজ করে নিজেদের জীবনকে সর্বোত্তম আদর্শ জীবনে পরিণত করা এবং আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল হয়ে আল্লাহর কলেমাকে বুলন্দ করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম চালানো উচিত।
এ সুযোগে সূরা বাকারাহ ও সূরা আনফালের ভূমিকার ওপর একবার চোখ বুলিয়ে নিলে ভালো হয়। এতে আলোচ্য বিষয় অনুধাবন করা বেশী সহজ হবে।
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
সুরা নং- ০২২ : সুরা আল-হাজ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)।
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ22.1
আরবি উচ্চারণ ২২.১। ইয়া য় আইয়্যুহান্না-সুত্তাকু রব্বাকুম্ ইন্না যাল্যালাতাস্ সা-‘আতি শাইয়্যুন্ ‘আজীম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.১ হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর। নিশ্চয় কিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ঙ্কর ব্যাপার।
يَوْمَ تَرَوْنَهَا تَذْهَلُ كُلُّ مُرْضِعَةٍ عَمَّا أَرْضَعَتْ وَتَضَعُ كُلُّ ذَاتِ حَمْلٍ حَمْلَهَا وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى وَلَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ22.2
আরবি উচ্চারণ ২২.২। ইয়াওমা তারওনাহা- তায্হালু কুল্লু র্মুদ্বি‘আতিন্ ‘আম্মা য় র্আদ্বোয়া‘আত্ অ তাদ্বোয়া‘ঊ কুল্লু যা-তি হাম্লিন্ হাম্লাহা- অ তারন্না-সা সুকার-অমা-হুম্ বিসুকা-র-অলা-কিন্না ‘আযা-বা ল্লা-হি শাদীদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.২ যেদিন তোমরা তা দেখবে সেদিন প্রত্যেক স্তন্য দানকারিনী আপন দুগ্ধপোষ্য শিশুকে ভুলে যাবে এবং প্রত্যেক গর্ভধারিণী তার গর্ভপাত করে ফেলবে, তুমি দেখবে মানুষকে মাতাল সদৃশ, অথচ তারা মাতাল নয়। তবে আল্লাহর আযাবই কঠিন।
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطَانٍ مَرِيدٍ 22.3
আরবি উচ্চারণ ২২.৩। অ মিনান্ না-সি মাইঁ ইয়ুজ্বা-দিলু ফীল্লা-হি বিগইরি ‘ইল্মিওঁ অইয়াত্তাবি‘উ কুল্লা শাইত্বোয়া-নিম্ মারীদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৩ মানুষের মধ্যে কতক আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক-বিতর্ক করে না জেনে এবং সে অনুসরণ করে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের।
كُتِبَ عَلَيْهِ أَنَّهُ مَنْ تَوَلَّاهُ فَأَنَّهُ يُضِلُّهُ وَيَهْدِيهِ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ22.4
আরবি উচ্চারণ ২২.৪। কুতিবা ‘আলাইহি আন্নাহূ মান্ তাওয়াল্লা-হু ফাআন্নাহূ ইয়ুদ্বিল্লুহূ অ ইয়াহ্দীহি ইলা-‘আযা-বিস্ সা‘র্ঈ।
বাংলা আনুবাদ ২২.৪ তার সম্পর্কে নির্ধারণ করা হয়েছে যে, যে তার সাথে বন্ধুত্ব করবে সে অবশ্যই তাকে পথভ্রষ্ট করবে এবং তাকে প্রজ্জ্বলিত আগুনের শাস্তির দিকে পরিচালিত করবে।
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنْ كُنْتُمْ فِي رَيْبٍ مِنَ الْبَعْثِ فَإِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ مِنْ نُطْفَةٍ ثُمَّ مِنْ عَلَقَةٍ ثُمَّ مِنْ مُضْغَةٍ مُخَلَّقَةٍ وَغَيْرِ مُخَلَّقَةٍ لِنُبَيِّنَ لَكُمْ وَنُقِرُّ فِي الْأَرْحَامِ مَا نَشَاءُ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى ثُمَّ نُخْرِجُكُمْ طِفْلًا ثُمَّ لِتَبْلُغُوا أَشُدَّكُمْ وَمِنْكُمْ مَنْ يُتَوَفَّى وَمِنْكُمْ مَنْ يُرَدُّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ لِكَيْلَا يَعْلَمَ مِنْ بَعْدِ عِلْمٍ شَيْئًا وَتَرَى الْأَرْضَ هَامِدَةً فَإِذَا أَنْزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاءَ اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ وَأَنْبَتَتْ مِنْ كُلِّ زَوْجٍ بَهِيجٍ22.5
আরবি উচ্চারণ ২২.৫। ইয়া য় আইয়্যুহান্না-সু ইন্ কুন্তুম্ ফী রইবিম্ মিনাল্ বাছি ফাইন্না- খলাক্বনা-কুম্ মিন্ তুরা-বিন্ ছুম্মা মিন্ নুত্বফাতিন্ ছুম্মা মিন্ ‘আলাক্বতিন্ ছুম্মা মিন্ মুদ্বগতিম্ মুখল্লাক্বতিঁও অগইরি মুখল্লাক্বতিল্লি লিনুবাইয়্যিনা লাকুম্; অনুর্ক্বিরু ফিল্ র্আহা-মি মা-নাশা – য়ু ইলা য় আজ্বালিম্ মুসাম্মান্ ছুম্মা নুখ্রিজুকুম্ ত্বিফ্লান্ ছুম্মা লিতাব্লুগূ য় আশুদ্দাকুম্ অ মিন্কুম্ মাইঁ ইয়ুতাওয়াফ্ফা-অমিন্কুম্ মাইঁ ইয়ুরদ্দু ইলা য় র্আযালিল্ উমুরি লিকাইলা-ইয়া’লামা মিম্ বা’দ্বি ‘ইল্মিন শাইয়া-; অতারাল্ র্আদ্বোয়া হা-মিদাতান্ ফাইযা য় আন্যাল্না- ‘আলাইহাল্ মা – য়াহ্ তায্যাত্ অরবাত্ অআম্বাতাত্ মিন্ কুল্লি যাওজ্বিম্ বাহীজু।
বাংলা আনুবাদ ২২.৫ হে মানুষ! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দেহে থাক তবে নিশ্চয়ই জেনে রেখো, আমি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি, তারপর শুক্র থেকে, তারপর আলাকা থেকে, তারপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট অথবা অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট গোশ্ত থেকে। তোমাদের নিকট বিষয়টি সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করার নিমিত্তে। আর আমি যা ইচ্ছা করি তা একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত মাতৃগর্ভে অবস্থিত রাখি। অতঃপর আমি তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করি, পরে যাতে তোমরা যৌবনে উপনীত হও। তোমাদের মধ্যে কারো কারো মৃত্যু দেয়া হয় এ বয়সেই, আবার কাউকে কাউকে ফিরিয়ে নেয়া হয় হীনতম বয়সে, যাতে সে জ্ঞান লাভের পরও কিছু না জানে। তুমি যমীনকে দেখতে পাও শুষ্কাবস্থায়, অতঃপর যখনই আমি তাতে পানি বর্ষণ করি, তখন তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয় এবং উদগত করে সকল প্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ।
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّهُ يُحْيِي الْمَوْتَى وَأَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ22.6
আরবি উচ্চারণ ২২.৬। যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা হুওয়াল্ হাককু অআন্নাহূ ইয়ুহ্য়িল্ মাওতা অ আন্নাহূ ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বর্দী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৬ এটি এজন্য যে, আল্লাহই সত্য এবং তিনিই মৃতকে জীবন দান করেন এবং তিনিই সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَنْ فِي الْقُبُورِ22.7
আরবি উচ্চারণ ২২.৭। অ আন্নাস্ সা‘আতা আ- তিয়াতুল্লা-রইবা ফীহা-অআন্নাল্লা-হা ইয়াব্ ‘আছু মান্ ফিল্ কুবূর্ ।
বাংলা আনুবাদ ২২.৭ আর কিয়ামত আসবেই, এতে কোন সন্দেহ নেই এবং কবরে যারা আছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের পুনরুত্থিত করবেন।
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا هُدًى وَلَا كِتَابٍ مُنِيرٍ22.8
আরবি উচ্চারণ ২২.৮। অ মিনান্না-সি মাইঁ ইয়ুজ্বা-দিলু ফিল্লা-হি বিগইরি ‘ইল্মিঁও অলা-হুদাঁও অলা-কিতা-বিম্ মুর্নী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৮ আর মানুষের মধ্যে কতক আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে কোন জ্ঞান ছাড়া, কোন হিদায়াত ছাড়া এবং দীপ্তিমান কিতাব ছাড়া।
ثَانِيَ عِطْفِهِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ لَهُ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَنُذِيقُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَذَابَ الْحَرِيقِ 22.9
আরবি উচ্চারণ ২২.৯। ছা-নিয়া ‘ঈত্বফিহী লিইয়ুদ্বিল্লা ‘আন্ সাবীলিল্লা-হ্; লাহূ ফীদ্দুন্ইয়া-খিয্ইয়ুঁও অনুযীকুহূ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি ‘আযা-বাল্ হারীক্ব।
বাংলা আনুবাদ ২২.৯ সে বিতর্ক করে ঘাড় বাঁকিয়ে, মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে তার জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে দহন যন্ত্রণা আস্বাদন করাব।
ذَلِكَ بِمَا قَدَّمَتْ يَدَاكَ وَأَنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِظَلَّامٍ لِلْعَبِيدِ22.10
আরবি উচ্চারণ ২২.১০। যা-লিকা বিমা-ক্বদ্দামাত্ ইয়াদা-কা অআন্না ল্লা-হা লাইসা বিজোয়াল্লা-মিল্লিল্ ‘আবীদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.১০ (সেদিন তাকে বলা হবে), ‘এটি তোমার দু’হাত যা পূর্বে প্রেরণ করেছে তার কারণে। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ বান্দাদের প্রতি যুল্মকারী নন’।
وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَعْبُدُ اللَّهَ عَلَى حَرْفٍ فَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ اطْمَأَنَّ بِهِ وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ انْقَلَبَ عَلَى وَجْهِهِ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةَ ذَلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِينُ22.11
আরবি উচ্চারণ ২২.১১। অ মিনা ন্না-সি মাইঁইয়া’বুদুল্লা-হা ‘আলা-র্হাফিন্ ফাইন্ আছোয়া-বাহূ খইরু নিত্বমায়ান্না বিহী, অ ইন্ আছোয়া-বাত্হু ফিত্নাতুনিন্ ক্বলাবা ‘আলা-অজ্বহিহী খাসিরা দ্দুন্ইয়া-অল্আ-খিরহ্; যা-লিকা হুওয়াল খুস্র-নুল্ মুবীন্।
বাংলা আনুবাদ ২২.১১ মানুষের মধ্যে কতক এমন রয়েছে, যারা দ্বিধার সাথে আল্লাহর ইবাদাত করে। যদি তার কোন কল্যাণ হয় তবে সে তাতে প্রশান্ত হয়। আর যদি তার কোন বিপর্যয় ঘটে, তাহলে সে তার আসল চেহারায় ফিরে যায়। সে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি হল সুস্পষ্ট ক্ষতি।
يَدْعُو مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُ وَمَا لَا يَنْفَعُهُ ذَلِكَ هُوَ الضَّلَالُ الْبَعِيدُ22.12
আরবি উচ্চারণ ২২.১২। ইয়াদ্‘ঊ মিন্ দূনিল্লা-হি মা-লা ইয়ার্দ্বুরুহূ অমা-লা-ইয়ান্ফা‘ঊহ্; যা-লিকা হুওয়াদ্ব্ দ্বোয়ালা-লুল্ বা‘ঈদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.১২ সে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যা তার কোন ক্ষতি করতে পারে না এবং কোন উপকারও করতে পারে না। এটিই চরম পথভ্রষ্টতা।
يَدْعُو لَمَنْ ضَرُّهُ أَقْرَبُ مِنْ نَفْعِهِ لَبِئْسَ الْمَوْلَى وَلَبِئْسَ الْعَشِيرُ 22.13
আরবি উচ্চারণ ২২.১৩। ইয়াদ্‘ঊ লামান্ দ্বোর্য়ারুহূ য় আকরাবু মিন্ নাফ্‘ইহ্; লাবিসাল্ মাওলা-অলাবিসাল্ আর্শী।
বাংলা আনুবাদ ২২.১৩ সে এমন কিছুকে ডাকে যার ক্ষতি তার উপকার অপেক্ষা নিকটতর। কতইনা নিকৃষ্ট এই অভিভাবক এবং কতই না নিকৃষ্ট এই সঙ্গী!
إِنَّ اللَّهَ يُدْخِلُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ22.14
আরবি উচ্চারণ ২২.১৪। ইন্নাল্লা-হা ইয়ুদ্খিলুল লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ছোয়া-লিহা-তি জ্বান্না-তিন্ তাজুরী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হার্-; ইন্নাল্লা-হা ইয়াফ্‘আলু মা-ইয়ুরীদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.১৪ নিশ্চয় যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন এমন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। নিশ্চয়ই আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।
مَنْ كَانَ يَظُنُّ أَنْ لَنْ يَنْصُرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ فَلْيَمْدُدْ بِسَبَبٍ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ لِيَقْطَعْ فَلْيَنْظُرْ هَلْ يُذْهِبَنَّ كَيْدُهُ مَا يَغِيظُ22.15
আরবি উচ্চারণ ২২.১৫। মান্ কা-না ইয়াজুন্নুআল্লাইঁইয়ান্ ছুরাহুল্লা-হু ফিদ্দুনইয়া-অল্আ-খিরতি ফাল্ইয়াম্দুদ্ বিসাবাবিন্ ইলাস্ সামা – য়ি ছুম্মাল্ ইয়াকত্বোয়া’ ফাল্ইয়ার্ন্জু হাল্ ইয়ুয্ হিবান্না-কাইদুহূ মা-ইয়াগীজ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.১৫ যে ধারণা করে যে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে কখনো তাকে (রাসূলকে) সাহায্য করবেন না, সে আসমানের দিকে একটি রশি প্রসারিত করুক, এরপর তা কেটে দিক, অতঃপর দেখুক তার কৌশল তার আক্রোশ দূর করে কিনা।
وَكَذَلِكَ أَنْزَلْنَاهُ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ وَأَنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يُرِيدُ22.16
আরবি উচ্চারণ ২২.১৬। অ কাযা-লিকা আন্যাল্না-হু আ-ইয়া-তিম্ বাইয়্যিনা-তিঁও অ আন্নাল্লা-হা ইয়াহ্দি মাইঁ ইয়ুরীদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.১৬ এভাবেই আমি সুস্পষ্ট আয়াতরূপে তা (কুরআন) নাযিল করেছি। আর আল্লাহ নিঃসন্দেহে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন।
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَادُوا وَالصَّابِئِينَ وَالنَّصَارَى وَالْمَجُوسَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا إِنَّ اللَّهَ يَفْصِلُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ22.17
আরবি উচ্চারণ ২২.১৭। ইন্না ল্লাযীনা আ-মানূ অল্লাযীনা হা-দু অছ্ছোয়া-বিয়ীনা অন্ নাছোয়া-রা অল্মাজু সা অল্লাযীনা আশ্রাকূ য় ইন্নাল্লা-হা ইয়াফ্ছিলু বাইনাহুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাহ্; ইন্নাল্লা-হা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ শাহীদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.১৭ নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং যারা ইয়াহূদী হয়েছে, যারা সাবিঈ, খৃস্টান ও অগ্নিপূজক এবং যারা মুশরিক হয়েছে- কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব কিছুই সম্যক প্রত্যক্ষকারী।
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ وَكَثِيرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ وَمَنْ يُهِنِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ مُكْرِمٍ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ 22.18
আরবি উচ্চারণ ২২.১৮। আলাম্ তার আন্নাল্লা-হা ইয়াস্জ্বু লাহূ মান্ ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমান্ ফিল্ র্আদ্বি অশ্শাম্সু অল্ক্বমারু অন্নু মু অল্জ্বিবা-লু অশ্শাজ্বারু অদ্দাওয়া – ব্বু অকাছীরুম্ মিনান্না-স্; অকাছীরুন্ হাকক্ব ‘আলাইহিল্ ‘আযা-ব্ ; অ মাইঁ ইয়ুহিনিল্লা-হু ফামা-লাহূ মিম্ মুক্রিম্; ইন্নাল্লা-হা ইয়াফ্ ‘আলু মা-ইয়াশা – য়্।
বাংলা আনুবাদ ২২.১৮ তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা করে যা কিছু রয়েছে আসমানসমূহে এবং যা কিছু রয়েছে যমীনে, সূর্য, চাঁদ, তারকারাজী, পর্বতমালা, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু ও মানুষের মধ্যে অনেকে। আবার অনেকের উপর শাস্তি অবধারিত হয়ে আছে। আল্লাহ যাকে অপমানিত করেন তার সম্মানদাতা কেউ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।
هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ فَالَّذِينَ كَفَرُوا قُطِّعَتْ لَهُمْ ثِيَابٌ مِنْ نَارٍ يُصَبُّ مِنْ فَوْقِ رُءُوسِهِمُ الْحَمِيمُ22.19
আরবি উচ্চারণ ২২.১৯। হা-যা-নি খছ্মা- নিখ্ তাছোয়ামূ ফী রব্বিহিম্ ফাল্লাযীনা কাফারূ কুত্ত্বি‘আত্ লাহুম্ ছিয়া-বুম্ মিন্ নার্-; ইয়ুছোয়াবুন্ ফাওক্বি রুয়ূ সিহিমুল্ হামীম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.১৯ এরা দু’টি বিবদমান পক্ষ, যারা তাদের রব সম্পর্কে বিতর্ক করে। তবে যারা কুফরী করে তাদের জন্য আগুনের পোশাক প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর থেকে ঢেলে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি।
يُصْهَرُ بِهِ مَا فِي بُطُونِهِمْ وَالْجُلُودُ22.20
আরবি উচ্চারণ ২২.২০। ইয়ুছ্ হারু বিহী মা-ফী বুত্ব ূনিহিম্ অল্ জুলূদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.২০ যার দ্বারা তাদের পেটের অভ্যন্তরে যা কিছু রয়েছে তা ও তাদের চামড়াসমূহ বিগলিত করা হবে।
وَلَهُمْ مَقَامِعُ مِنْ حَدِيدٍ22.21
আরবি উচ্চারণ ২২.২১। অ লাহুম্ মাক্ব-মি‘ঊ মিন্ হাদীদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.২১ আর তাদের জন্য থাকবে লোহার হাতুড়ী।
كُلَّمَا أَرَادُوا أَنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا مِنْ غَمٍّ أُعِيدُوا فِيهَا وَذُوقُوا عَذَابَ الْحَرِيقِ22.22
আরবি উচ্চারণ ২২.২২। কুল্লামা য় আরা দূ য় আইঁ ইয়াখ্রুজু মিন্হা-মিন্ গম্মিন্ উ‘ঈ দূ ফীহা-অযূকু ‘আযা-বাল্ হারীক।
বাংলা আনুবাদ ২২.২২ যখনই তারা যন্ত্রণাকাতর হয়ে তা থেকে বের হয়ে আসতে চাইবে, তখনই তাদেরকে তাতে ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং বলা হবে, দহন-যন্ত্রণা আস্বাদন কর।
إِنَّ اللَّهَ يُدْخِلُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ يُحَلَّوْنَ فِيهَا يُحَلَّوْنَ فِيهَا مِنْ أَسَاوِرَ مِنْ ذَهَبٍ وَلُؤْلُؤًا وَلِبَاسُهُمْ فِيهَا حَرِيرٌ22.23
আরবি উচ্চারণ ২২.২৩। ইন্নাল্লা-হা ইয়ুদ্খিলুল্লাযীনা আ-মানূ অ ‘আমিলুছ্ছোয়া-লিহা-তি জ্বান্নাতিন্ তাজ্বরী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হা-রু ইয়ুহাল্লাওনা ফীহা মিন্ আসাওয়িরা মিন্ যাহাবিঁও অ লুলুওয়া অলিবা-সুহুম্ ফীহা-হার্রী।
বাংলা আনুবাদ ২২.২৩ যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে দাখিল করবেন এমন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। যেখানে তাদেরকে সোনার কাঁকন ও মুক্তা দ্বারা অলংকৃত করা হবে এবং যেখানে তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ হবে রেশমের।
وَهُدُوا إِلَى الطَّيِّبِ مِنَ الْقَوْلِ وَهُدُوا إِلَى صِرَاطِ الْحَمِيدِ22.24
আরবি উচ্চারণ ২২.২৪। অহুদূ য় ইলাত্ত্বোয়ায়্যিবি মিনাল্ ক্বওলি অহুদূ য় ইলা-ছির-ত্বিল্ হামীদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.২৪ তাদেরকে পবিত্র বাণীর দিকে পরিচালনা করা হয়েছিল এবং তাদেরকে মহা প্রশংসিত আল্লাহর পথ দেখানো হয়েছিল।
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ الَّذِي جَعَلْنَاهُ لِلنَّاسِ سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِي وَمَنْ يُرِدْ فِيهِ بِإِلْحَادٍ بِظُلْمٍ نُذِقْهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ22.25
আরবি উচ্চারণ ২২.২৫। ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ অইয়াছুদ্দু ‘আন্ সাবীলিল্লা-হি অল্ মাস্জ্বিদিল্ হারা-মিল্লাযী জ্বা‘আল্না-হু লিন্না-সি সাওয়া – য়ানিল্ ‘আ-কিফু ফীহি অল্ বা-দ্; অমাইঁ ইয়ুরিদ্ ফীহি বিইল্হা-দিম্ বিজুল্মিন্ নুযিক্বহু মিন্ ‘আযা- বিন্ আলীম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.২৫ নিশ্চয় যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথ থেকে ও মসজিদে হারাম থেকে বাধা দেয়, যাকে আমি স্থানীয় ও বহিরাগত সকলের জন্য সমান করেছি। আর যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করে সেখানে পাপকাজ করতে চায়, তাকে আমি যন্ত্রণাদায়ক আযাব আস্বাদন করাব।
وَإِذْ بَوَّأْنَا لِإِبْرَاهِيمَ مَكَانَ الْبَيْتِ أَنْ لَا تُشْرِكْ بِي شَيْئًا وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ 22.26
আরবি উচ্চারণ ২২.২৬। অ ইয্ বাওয়্যানা-লিইব্রা- হীমা মাকা-নাল্ বাইতি আল্লা-তুশ্রিক্বী শাইয়াঁও অ ত্বোয়ার্হ্হি বাইতিয়া লিত্ত্বোয়া – য়িফীনা অল্ক্ব – য়িমীনা র্অ রুক্কা‘ইস্ সুজুদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.২৬ আর স্মরণ কর, যখন আমি ইবরাহীমকে সে ঘরের (বায়তুল্লাহ্র) স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না এবং আমার ঘরকে পাক সাফ রাখবে তাওয়াফকারী, রুকূ-সিজদা ও দাঁড়িয়ে সালাত আদায়কারীর জন্য’।
وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ22.27
আরবি উচ্চারণ ২২.২৭। অ আয্যিন্ ফিন্না-সি বিল্হাজ্জ্বি ইয়াতূকা-রিজ্বা-লাঁও অ ‘আলা-কুল্লি দ্বোয়া-মিরিইঁ ইয়া তীনা মিন্ কুল্লি ফাজ্জ্বিন্ ‘আমীক।
বাংলা আনুবাদ ২২.২৭ ‘আর মানুষের নিকট হজ্জের ঘোষণা দাও; তারা তোমার কাছে আসবে পায়ে হেঁটে এবং কৃশকায় উটে চড়ে দূর পথ পাড়ি দিয়ে’।
لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ22.28
আরবি উচ্চারণ ২২.২৮। লিইয়াশ্হাদূ মানা-ফি‘আ লাহুম্ অইয়ায্কুরুস্ মাল্লা- হি ফী য় আইয়্যা-মিম্ মা’লূ মা-তিন্ ‘আলা-মা-রযাক্বহুম্ মিম্ বাহীমাতিল্ আন্‘আ-মি ফাকুলূ মিন্হা-অআত্ব ‘ইমুল্ বা – য়িসা ল্ ফার্ক্বী।
বাংলা আনুবাদ ২২.২৮ ‘যেন তারা নিজদের কল্যাণের স্থানসমূহে হাযির হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু থেকে যে রিয্ক দিয়েছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে। অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্থ-দরিদ্রকে খেতে দাও’।
ثُمَّ لْيَقْضُوا تَفَثَهُمْ وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ وَلْيَطَّوَّفُوا بِالْبَيْتِ الْعَتِيقِ22.29
আরবি উচ্চারণ ২২.২৯। ছুম্মাল্ ইয়াকদ্ব তাফাছাহুম্ অল্ইয়ূফূ নুযূরহুম্ অল্ইয়াত্ত্বোয়াওঅফূ বিল্ বাইতিল্ ‘আতীক্ব।
বাংলা আনুবাদ ২২.২৯ ‘তারপর তারা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়, তাদের মানতসমূহ পূরণ করে এবং প্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করে’।
ذَلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ حُرُمَاتِ اللَّهِ فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ عِنْدَ رَبِّهِ وَأُحِلَّتْ لَكُمُ الْأَنْعَامُ إِلَّا مَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ22.30
আরবি উচ্চারণ ২২.৩০। যা-লিকা অমাইঁ ইয়ু ‘আজ্জিম্ হুরুমা-তিল্লা-হি ফাহুওয়া খাইরুল্লাহূ ‘ইন্দা রব্বিহ্; অউহিল্লাত্ লাকুমুল্ আন্‘আ-মু ইল্লা-মা ইয়ুত্লা- ‘আলাইকুম্ ফাজুতানির্বু রিজ্বসা মিনাল্ আওছা-নি অজুতানিবূ ক্বওলায্ র্যূ।
বাংলা আনুবাদ ২২.৩০ এটিই বিধান আর কেউ আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত পবিত্র বিষয়সমূহকে সম্মান করলে তার রবের নিকট তা-ই তার জন্য উত্তম। আর তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে চতুষ্পদ জন্তু; তবে যা তোমাদের কাছে পাঠ করা হয় সেগুলি ছাড়া। সুতরাং মূর্তিপূজার অপবিত্রতা থেকে বিরত থাক এবং মিথ্যা কথা পরিহার কর-
حُنَفَاءَ لِلَّهِ غَيْرَ مُشْرِكِينَ بِهِ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَاءِ فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ22.31
আরবি উচ্চারণ ২২.৩১। হুনাফা – য়া লিল্লা-হি গইরা মুশ্রিকীনা বিহ্; অমাইঁ ইয়ুশ্রিক্ বিল্লা-হি ফাকাআন্নামা-র্খর মিনাস্ সামা – য়ি ফাতাখ্ত্বোয়াফুহুত্বত্বোয়াইরু আও তাহ্ওয়ী বির্হি রীহু ফী মাকা-নিন্ সাহীক্ব।
বাংলা আনুবাদ ২২.৩১ আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ হয়ে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করে। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, সে যেন আকাশ থেকে পড়ল। অতঃপর পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল কিম্বা বাতাস তাকে দূরের কোন জায়গায় নিক্ষেপ করল।
ذَلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ22.32
আরবি উচ্চারণ ২২.৩২। যা-লিকা অমাইঁ ইয়ু‘আজ্জিম্ শা‘আ – য়িরাল্লা-হি ফাইন্নাহা-মিন্ তাকওয়াল্ কুলূব্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৩২ এটাই হল আল্লাহর বিধান; যে আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করে, নিঃসন্দেহে তা অন্তরের তাকওয়া থেকেই।
لَكُمْ فِيهَا مَنَافِعُ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى ثُمَّ مَحِلُّهَا إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ 22.33
আরবি উচ্চারণ ২২.৩৩। লাকুম্ ফীহা- মানা-ফি‘উ ইলা য় আজ্বালিম্ মুসাম্মান্ ছুম্মা মাহিল্লুহা য় ইলাল্্ বাইতিল্ ‘আতীক।
বাংলা আনুবাদ ২২.৩৩ এসব চতুষ্পদ জন্তুতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে, তারপর এগুলোর কুরবানীর স্থান হবে প্রাচীন ঘরের নিকট।
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا لِيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ فَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَلَهُ أَسْلِمُوا وَبَشِّرِ الْمُخْبِتِينَ22.34
আরবি উচ্চারণ ২২.৩৪। অলিকুল্লি উম্মাতিন্ জ্বা‘আল্না-মান্সাকা ল্লিইয়ায্ কুরুস্ মাল্লা-হি ‘আলা-মা-রযাক্বহুম্ মিম্ বাহীমাতিল্ আন্‘আ-ম্; ফাইলা-হুকুম্ ইলা-হুঁও অ-হিদুন্ ফালাহূ য় আস্লিমূ; অবাশ্শিরিল্ মুখ্বিতীন্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৩৪ প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কুরবানীর নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, যেসমস্ত জন্তু তিনি রিয্ক হিসেবে দিয়েছেন তার উপর। তোমাদের ইলাহতো এক ইলাহ; অতএব তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণ কর; আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও,
الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَالصَّابِرِينَ عَلَى مَا أَصَابَهُمْ وَالْمُقِيمِي الصَّلَاةِ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ22.35
আরবি উচ্চারণ ২২.৩৫। আল্লাযীনা ইযা-যুকিরাল্লা-হু অজ্বিলাত্ কুলূবুহুম্ অছ্ছোয়া-বিরীনা ‘আলা-মা য় আছোয়া-বাহুম্ অল্মুক্বীমিছ্ ছলা-তি অমিম্মা -রযাকনা-হুম্ ইয়ুন্ফিকুন্। বাংলা আনুবাদ ২২.৩৫ যাদের কাছে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের অন্তর কেঁপে ওঠে, যারা তাদের বিপদ-আপদে ধৈর্যধারণ করে, যারা সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।
وَالْبُدْنَ جَعَلْنَاهَا لَكُمْ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ لَكُمْ فِيهَا خَيْرٌ فَاذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهَا صَوَافَّ فَإِذَا وَجَبَتْ جُنُوبُهَا فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْقَانِعَ وَالْمُعْتَرَّ كَذَلِكَ سَخَّرْنَاهَا لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ22.36
আরবি উচ্চারণ ২২.৩৬। অল্ বুদ্না জ্বা‘আল্না-হা-লাকুম্ মিন্ শা‘আ – য়িরিল্লা-হি লাকুম্ ফীহা-খইরুন্ ফায্ কুরুস্মা ল্লা-হি ‘আলাইহা-ছওয়া – ফ্ফা ফাইযা-অজ্বাবাত্ জুনূ বুহা-ফাকুলূ মিন্হা-অআত্ব‘ইমুল্ ক্ব-নি‘আ অল্ মু’র্তা; অকাযা-লিকা সার্খ্খনা-হা- লাকুম্ লা‘আল্লাকুম্ তাশ্কুরূন্ ।
বাংলা আনুবাদ ২২.৩৬ আর কুরবানীর উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন বানিয়েছি; তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে কল্যাণ। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান অবস্থায় সেগুলির উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর যখন সেগুলি কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তা থেকে খাও। যে অভাবী, মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবী চেয়ে বেড়ায়-তাদেরকে খেতে দাও। এভাবেই আমি ওগুলিকে তোমাদের অনুগত করে দিয়েছি; যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
لَنْ يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِنْ يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنْكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ22.37
আরবি উচ্চারণ ২২.৩৭। লাইঁইয়ানা-লাল্লা-হা লুহূমুহা-অলা-দিমা – য়ুহা- অলা- কিঁ ইয়ানা-লুহু ত্তাক্বওয়া- মিন্কুম্; কাযা-লিকা সাখ্খরহা-লাকুম্ লিতুকাব্বিরুল্ লা-হা ‘আলা-মা-হাদা-কুম্; অবাশ্শিরিল্ মুহ্সিনীন্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৩৭ আল্লাহর কাছে পৌঁছে না এগুলোর গোশ্ত ও রক্ত; বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি সেসবকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর তাকবীর পাঠ করতে পার, এজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন; সুতরাং তুমি সৎকর্মশীলদেরকে সুসংবাদ দাও।
إِنَّ اللَّهَ يُدَافِعُ عَنِ الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ خَوَّانٍ كَفُورٍ22.38
আরবি উচ্চারণ ২২.৩৮। ইন্নাল্লা-হা ইয়ুদা-ফি‘উ ‘আনিল্লাযীনা আ-মানূ ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়ূহিবুকুল্লা খাওয়্যা-নিন্ কার্ফূ।
বাংলা আনুবাদ ২২.৩৮ নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদেরকে রক্ষা করেন এবং কোন বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।
أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ22.39
আরবি উচ্চারণ ২২.৩৯। উযিনা লিল্লাযীনা ইয়ুক্ব-তালূনা বিআন্নাহুম্ জুলিমূ অ ইন্নাল্লা-হা ‘আলা-নাস্রিহিম্ লাক্বার্দী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৩৯ যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে, যাদেরকে আক্রমণ করা হচ্ছে। কারণ তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে বিজয় দানে সক্ষম।
الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ إِلَّا أَنْ يَقُولُوا رَبُّنَا اللَّهُ وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَهُدِّمَتْ صَوَامِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَوَاتٌ وَمَسَاجِدُ يُذْكَرُ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ كَثِيرًا وَلَيَنْصُرَنَّ اللَّهُ مَنْ يَنْصُرُهُ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ22.40
আরবি উচ্চারণ ২২.৪০। নিল্লাযীনা উখ্রিজু মিন্ দিয়া-রিহিম্ বিগইরি হাক্বকিন্ ইল্লা য় আইঁ ইয়াকুলূ রব্বুনাল্লা-হ্ অলাওলা-দাফ্‘উল্লা-হি ন্না-সা বা’দ্বোয়াহুম্ বিবা’দ্বিল্লা-হুদ্দিমাত্ ছওয়া-মি‘উ অবিয়া‘উওঁ অ ছলাওয়া-তুওঁ অমাসা-জ্বিদু ইয়ুয্কারু ফীহাস্মুল্লা-হি কাছীর-; অলা-ইয়ান্ ছুরন্নাল্ লা-হু মাইঁ ইয়ান্ছুরুহ্; ইন্নাল্লা-হা লাক্বওয়িয়্যুন্ ‘আযীয্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৪০ যাদেরকে তাদের নিজ বাড়ী-ঘর থেকে অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে বের করে দেয়া হয়েছে যে, তারা বলে, ‘আমাদের রব আল্লাহ’। আর আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা দমন না করতেন, তবে বিধস্ত হয়ে যেত খৃস্টান সন্ন্যাসীদের আশ্রম, গির্জা, ইয়াহূদীদের উপাসনালয় ও মসজিদসমূহ- যেখানে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আর আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন, যে তাকে সাহায্য করে। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী।
الَّذِينَ إِنْ مَكَّنَّاهُمْ فِي الْأَرْضِ أَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ وَأَمَرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَنَهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ وَلِلَّهِ عَاقِبَةُ الْأُمُورِ22.41
আরবি উচ্চারণ ২২.৪১। আল্লাযীনা ইম্ মাক্কান্না-হুম্ ফিল্ র্আদ্বি আক্ব-মুছ্ ছলা-তা অআ-তায়ুয্ যাকা-তা অ আমারূ বিল্ মা’রূফি অ নাহাও ‘আনিল্ মুর্ন্কা; অ লিল্লা-হি ‘আ-ক্বিবাতুল্ উর্মূ।
বাংলা আনুবাদ ২২.৪১ তারা এমন যাদেরকে আমি যমীনে ক্ষমতা দান করলে তারা সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং সৎকাজের আদেশ দেবে ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে; আর সব কাজের পরিণাম আল্লাহরই অধিকারে।
وَإِنْ يُكَذِّبُوكَ فَقَدْ كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوحٍ وَعَادٌ وَثَمُودُ22.42
আরবি উচ্চারণ ২২.৪২। অইঁ ইয়ুকায্যিবূকা ফাক্বদ্ কায্যাবাত্ ক্বব্লাহুম্ ক্বওমু নূহিঁও অ ‘আ-দুঁও অ ছামূদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৪২ আর তারা যদি তোমাকে অস্বীকার করে তবে তাদের পূর্বে অস্বীকার করেছিল নূহ, ‘আদ ও ছামূদের কওম।
وَقَوْمُ إِبْرَاهِيمَ وَقَوْمُ لُوطٍ 22.43
আরবি উচ্চারণ ২২.৪৩। অক্বওমু ইব্রা-হীমা অক্বওমু লূত্ব।
বাংলা আনুবাদ ২২.৪৩ আর ইবরাহীমর কওম ও লূতের কওম
وَأَصْحَابُ مَدْيَنَ وَكُذِّبَ مُوسَى فَأَمْلَيْتُ لِلْكَافِرِينَ ثُمَّ أَخَذْتُهُمْ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيرِ22.44
আরবি উচ্চারণ ২২.৪৪। অ আছ্হা-বু মাদ্ইয়ানা অ কুয্যিবা মূসা-ফাআম্লাইতু লিল্কা-ফিরীনা ছুম্মা আখয্তুহুম্ ফাকাইফা কা-না নার্কী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৪৪ আর মাদইয়ানবাসীরা। আর অস্বীকার করা হয়েছিল মূসাকে। তাই কাফিরদেরকে আমি অবকাশ দিয়েছিলাম, তারপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম। অতএব কেমন ছিল আমার শাস্তি!
فَكَأَيِّنْ مِنْ قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَاهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ فَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَى عُرُوشِهَا وَبِئْرٍ مُعَطَّلَةٍ وَقَصْرٍ مَشِيدٍ22.45
আরবি উচ্চারণ ২২.৪৫। ফাকাআইয়িম্ মিন্ র্ক্বইয়াতিন্ আহ্ লাক্না-হা-অহিয়া জোয়া-লিমাতুন্ ফাহিয়া খ-ওয়িয়াতুন্ ‘আলা-‘উরূ শিহা-অ বিরিম্ মু‘আত্ত্বোয়ালাতিঁও অক্বাছ্রিম্ মাশীদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৪৫ অতঃপর কত জনপদ আমি ধ্বংস করেছি যেগুলির বাসিন্দারা ছিল যালিম, তাই এইসব জনপদ তাদের ঘরের ছাদসহ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল, কত কূপ পরিত্যক্ত হয়েছে এবং কত সুদৃঢ় প্রাসাদ ধ্বংস হয়েছে!
أَفَلَمْ يَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَتَكُونَ لَهُمْ قُلُوبٌ يَعْقِلُونَ بِهَا أَوْ آذَانٌ يَسْمَعُونَ بِهَا فَإِنَّهَا لَا تَعْمَى الْأَبْصَارُ وَلَكِنْ تَعْمَى الْقُلُوبُ الَّتِي فِي الصُّدُورِ22.46
আরবি উচ্চারণ ২২.৪৬। আফালাম্ ইয়াসীরূ ফিল্ র্আদ্বি ফাতাকূনা লাহুম্ ক্বলূবুইঁ ইয়া’ক্বিলূনা বিহা য় আও আ-যা-নুঁই ইয়াস্মা‘ঊনা বিহা-ফাইন্নাহা-লা-তা’মাল্ আব্ছোয়া-রু অলা-কিন্ তা’মাল্ক্বুলূবু ল্লাতী ফিছ্ছুর্দূ।
বাংলা আনুবাদ ২২.৪৬ তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনি? তাহলে তাদের হত এমন হৃদয় যা দ্বারা তারা উপলব্ধি করতে পারত এবং এমন কান যা দ্বারা তারা শুনতে পারত। বস্তুত চোখ তো অন্ধ হয় না, বরং অন্ধ হয় বক্ষস্থিত হৃদয়।
وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِالْعَذَابِ وَلَنْ يُخْلِفَ اللَّهُ وَعْدَهُ وَإِنَّ يَوْمًا عِنْدَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ22.47
আরবি উচ্চারণ ২২.৪৭। অ ইয়াস্তা’জ্বিলূনাকা বিল্ ‘আযা-বি অলাইঁ ইয়ুখ্ লিফাল্লা-হু ওয়া’দাহ্; অ ইন্না ইয়াওমান্ ‘ইন্দা রব্বিকা কাআল্ফি সানাতিম্ মিম্মা- তা‘উদ্দূন্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৪৭ আর তারা তোমাকে আযাব তরান্বিত করতে বলে, অথচ আল্লাহ কখনো তাঁর ওয়াদা খেলাফ করেন না। আর তোমার রবের নিকট নিশ্চয় এক দিন তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান।
وَكَأَيِّنْ مِنْ قَرْيَةٍ أَمْلَيْتُ لَهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ ثُمَّ أَخَذْتُهَا وَإِلَيَّ الْمَصِيرُ22.48
আরবি উচ্চারণ ২২.৪৮। অ কায়াইয়িম্মিন্ র্ক্বইয়াতিন্ আম্লাইতু লাহা-অহিয়া জোয়া-লিমাতুন্ ছুম্মা আখয্তুহা-অইলাইয়্যাল্ মার্ছী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৪৮ আর আমি কত জনপদকে অবকাশ দিয়েছি, অথচ তারা ছিল যালিম; অতঃপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি। আর আমারই নিকট প্রত্যাবর্তনস্থল ।
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ نَذِيرٌ مُبِينٌ22.49
আরবি উচ্চারণ ২২.৪৯। কুল্ ইয়া য় আইয়ুহান্না-সু ইন্নামা য় আনা লাকুম্ নাযীরুম্ মুবীন।
বাংলা আনুবাদ ২২.৪৯ বল, ‘হে মানুষ, আমি তো কেবল তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী’।
فَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ22.50
আরবি উচ্চারণ ২২.৫০। ফাল্লাযীনা আ-মানূ অ ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি লাহুম্ মাগ্ফিরাতুঁও অরিয্ক্ব ুন্ কারীম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৫০ সুতরাং যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিজিক।
وَالَّذِينَ سَعَوْا فِي آيَاتِنَا مُعَاجِزِينَ أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ22.51
আরবি উচ্চারণ ২২.৫১। অল্লাযীনা সা‘আও ফী য় আ-ইয়া-তিনা- মু‘আজ্বিযীনা উলা – য়িকা আছ্হা-বুল্ জ্বাহীম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৫১ আর যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করে দেয়ার চেষ্টা করে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী।
وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَسُولٍ وَلَا نَبِيٍّ إِلَّا إِذَا تَمَنَّى أَلْقَى الشَّيْطَانُ فِي أُمْنِيَّتِهِ فَيَنْسَخُ اللَّهُ مَا يُلْقِي الشَّيْطَانُ فَيَنْسَخُ اللَّهُ مَا يُلْقِي الشَّيْطَانُ ثُمَّ يُحْكِمُ اللَّهُ آيَاتِهِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ22.52
আরবি উচ্চারণ ২২.৫২। অমা য় র্আসাল্না-মিন্ ক্বব্লিকা র্মি রসূলিঁও অলা-নাবিয়্যিন্ ইল্লা য় ইযা-তামান্না য় আল্ক্বশ্ শাইত্বোয়া-নু ফী য় উম্নিয়্যাতিহী, ফাইয়ান্সাখুল্লা-হু মা-ইয়ুল্ক্বিশ্ শাইত্বোয়া-নু ছুম্মা ইয়ুহ্কিমুল্লা-হু আ-ইয়াতিহ্; অল্লা-হু ‘আলীমুন্ হাকীম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৫২ আর আমি তোমার পূর্বে যে রাসূল কিংবা নবী পাঠিয়েছি, সে যখনই (ওহীকৃত বাণী) পাঠ করেছে, শয়তান তার পাঠে (কিছু) নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু শয়তান যা নিক্ষেপ করে আল্লাহ তা মুছে দেন। অতঃপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সুদৃঢ় করে দেন। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, অতি প্রজ্ঞাময়।
لِيَجْعَلَ مَا يُلْقِي الشَّيْطَانُ فِتْنَةً لِلَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ وَالْقَاسِيَةِ قُلُوبُهُمْ وَإِنَّ الظَّالِمِينَ لَفِي شِقَاقٍ بَعِيدٍ22.53
আরবি উচ্চারণ ২২.৫৩। লিইয়াজ্ব‘আলা মা-ইয়ুল্ক্বিশ্ শাইত্বোয়া-নু ফিত্নাতা ল্লিল্লাযীনা ফী কুলূবিহিম্ মারাদ্বঁ ূও অল্ক্ব-সিয়াতি কুলূবুহুম্; অইন্নাজ্জোয়া-লিমীনা লাফী শিক্ব-ক্বিম্ বা‘ঈদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৫৩ এটা এজন্য যে, শয়তান যা নিক্ষেপ করে, তা যাতে তিনি তাদের জন্য পরীক্ষার বস্তু বানিয়ে দেন, যাদের অন্তরসমূহে ব্যাধি রয়েছে এবং যাদের হৃদয়সমূহ পাষাণ। আর নিশ্চয় যালিমরা দুস্তর মতভেদে লিপ্ত রয়েছে।
وَلِيَعْلَمَ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ فَيُؤْمِنُوا بِهِ فَتُخْبِتَ لَهُ قُلُوبُهُمْ وَإِنَّ اللَّهَ لَهَادِي الَّذِينَ آمَنُوا إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ 22.54
আরবি উচ্চারণ ২২.৫৪। অলিইয়া’ লামাল্লাযীনা ঊতুল্ ‘ইল্মা আন্নাহুল্ হাক্বকুর্মি রব্বিকা ফাইয়ুমিনূ বিহী ফাতুখ্বিতা লাহূ কুলূবুহুম্; অ ইন্নাল্লা-হা লাহা- দিল্লাযীনা আ-মানূ য় ইলা-ছির-ত্বিম্ মুস্তাক্বীম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৫৪ এটা এজন্যও যে, যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তারা যেন জানতে পারে যে, এটা অবশ্যই তোমার রবের পক্ষ থেকে সত্য। অতঃপর তারা যেন এর প্রতি ঈমান আনে এবং তাদের অন্তর যেন এর প্রতি অনুগত হয়। আর যারা ঈমান এনেছে, নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে সরল পথ প্রদর্শনকারী।
وَلَا يَزَالُ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي مِرْيَةٍ مِنْهُ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ السَّاعَةُ بَغْتَةً أَوْ يَأْتِيَهُمْ عَذَابُ يَوْمٍ عَقِيمٍ22.55
আরবি উচ্চারণ ২২.৫৫। অলা-ইয়াযা-লুল্লাযীনা কাফারূ ফী র্মিইয়াতিম্ মিন্হু হাত্তা-তাতিয়াহুমুস্ সা-‘আতু বাগ্তাতান্ আও ইয়াতিয়াহুম্ ‘আযাবু ইয়াওমিন্ ‘আক্বীম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৫৫ আর যারা কুফরী করে, তারা এতে সন্দেহ পোষণ করতে থাকবে যতক্ষণ না তাদের নিকট আকস্মিকভাবে কিয়ামত এসে পড়বে অথবা তাদের নিকট এসে পড়বে এক বন্ধ্যা দিনের আযাব।
الْمُلْكُ يَوْمَئِذٍ لِلَّهِ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ22.56
আরবি উচ্চারণ ২২.৫৬। আল্মুল্কু ইয়াওমায়িযিল্লিল্লা-হ্; ইয়াহ্কুমু বাইনাহুম্; ফাল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলূছ্ ছোয়া-লিহা-তি ফী জ্বান্না-তি ন্না‘ঈম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৫৬ সে দিনের বাদশাহী আল্লাহরই। তিনিই তাদের মধ্যে বিচার করবেন। সুতরাং যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারা নিআমতপূর্ণ জান্নাতসমূহে অবস্থান করবে।
وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا فَأُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ22.57
আরবি উচ্চারণ ২২.৫৭। অল্লাযীনা কাফারূ অকায্যাবূ বিআ-ইয়া-তিনা ফাউলা – য়িকা লাহুম্ ‘আযা-বুম্ মুহীন্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৫৭ আর যারা কুফরী করে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে, তাদের জন্যেই রয়েছে অপমানজনক আযাব।
وَالَّذِينَ هَاجَرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ قُتِلُوا أَوْ مَاتُوا لَيَرْزُقَنَّهُمُ اللَّهُ رِزْقًا حَسَنًا وَإِنَّ اللَّهَ لَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ22.58
আরবি উচ্চারণ ২২.৫৮। অল্লাযীনা হা-জ্বারূ ফী সাবীলিল্লাহি ছুম্মা কুতিলূ য় আও-মা তূ লাইর্য়াযু ক্বান্নাহুমুল্লা-হু রিয্ক্বান্ হাসানা; অইন্নাল্লা-হা লাহুঅ খইর্রু র-যিক্বীন্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৫৮ আর যারা আল্লাহর পথে হিজরত করে, অতঃপর নিহত হয় কিংবা মারা যায়, তাদেরকে অবশ্যই আল্লাহ উত্তম রিয্ক দান করবেন। আর নিশ্চয় আল্লাহই সর্বোৎকৃষ্ট রিয্কদাতা।
لَيُدْخِلَنَّهُمْ مُدْخَلًا يَرْضَوْنَهُ وَإِنَّ اللَّهَ لَعَلِيمٌ حَلِيمٌ22.59
আরবি উচ্চারণ ২২.৫৯। লাইয়ুদ্খিলান্নাহুম্ মুদ্খলাইঁ ইর্য়াদ্বোয়াওনাহ্; অইন্নাল্লা-হা লা‘আলীমুন্ হালীম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৫৯ তিনি অবশ্যই তাদেরকে এমন স্থানে প্রবেশ করাবেন, যা তারা পছন্দ করবে আর আল্লাহ তো নিশ্চয় মহাজ্ঞানী, পরম সহনশীল।
ذَلِكَ وَمَنْ عَاقَبَ بِمِثْلِ مَا عُوقِبَ بِهِ ثُمَّ بُغِيَ عَلَيْهِ لَيَنْصُرَنَّهُ اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ لَعَفُوٌّ غَفُورٌ22.60
আরবি উচ্চারণ ২২.৬০। যা-লিকা অমান্ ‘আ-ক্ববা বিমিছ্লি মা-‘ঊক্বিবা বিহী ছুম্মা বুগিইয়া ‘আলাইহি লা-ইয়্ন্ ছুরান্নাহুল্লা-হ্ ;ইন্নাল্লাহা লা‘আফুয়্যুন্ গর্ফূ।
বাংলা আনুবাদ ২২.৬০ এটাই প্রকৃত অবস্থা। আর যে ব্যক্তি নিপীড়িত হয়ে তার সমপরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করে; অতঃপর তার উপর আবার নিপীড়ন করা হয় তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পাপ মোচনকারী, অতীব ক্ষমাশীল।
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَأَنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ22.61
আরবি উচ্চারণ ২২.৬১। যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা ইয়ূলিজু ল্লাইলা ফিন নাহা-রি অইয়ূলিজুন্ নাহা-রা ফিল্লাইলি ওয়াআন্নাল্লা-হা সামী‘উম্ বার্ছী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৬১ এটা এজন্য যে, নিশ্চয় আল্লাহ রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আর নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা।
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّ مَا يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ هُوَ الْبَاطِلُ وَأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ22.62
আরবি উচ্চারণ ২২.৬২। যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা হুঅল্ হাক্বকুঅআন্না মা-ইয়াদ্‘ঊন মিন্ দূনিহী হুওয়াল্ বা-ত্বিলূ অআন্না ল্লা-হা হুওয়াল্ ‘আলিইয়ুল্ কার্বী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৬২ আর এটা এজন্য যে, নিশ্চয় আল্লাহই সত্য এবং তারা তাঁর পরিবর্তে যাকে ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয় আল্লাহ তো সমুচ্চ, সুমহান।
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَتُصْبِحُ الْأَرْضُ مُخْضَرَّةً إِنَّ اللَّهَ لَطِيفٌ خَبِيرٌ 22.63
আরবি উচ্চারণ ২২.৬৩। আলাম্ তারা আন্নাল্লা-হা আন্যালা মিনাস্ সামা – য়ি মা – য়ান্ ফাতুছ্ বিহুল্ র্আদ্বু মুখ্ দ্বোর্য়ারহ্; ইন্নাল্লা-হা লাত্বীফুন্ খর্বী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৬৩ তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, যার ফলে যমীন সবুজ-শ্যামল হয়ে উঠে। নিশ্চয় আল্লাহ øেহপরায়ণ, সর্ববিষয়ে সম্যকজ্ঞাত।
لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَإِنَّ اللَّهَ لَهُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ22.64
আরবি উচ্চারণ ২২.৬৪। লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ্ব্; অইন্নাল্লা-হা লাহুওয়াল্ গানিইয়ুল্ হামীদ্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৬৪ আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে, সব তাঁরই। আর নিশ্চয় আল্লাহইতো অভাবমুক্ত, সকল প্রশংসার অধিকারী।
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ سَخَّرَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ وَالْفُلْكَ تَجْرِي فِي الْبَحْرِ بِأَمْرِهِ وَيُمْسِكُ السَّمَاءَ أَنْ تَقَعَ عَلَى الْأَرْضِ إِلَّا بِإِذْنِهِ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ22.65
আরবি উচ্চারণ ২২.৬৫। আলাম্ তার আন্নাল্লা-হা সাখ্খার লাকুম্ মা-ফিল্ র্আদ্বি অল্ফুল্কা তাজ্বরী ফীল্ বাহ্রি বিআম্রিহ্; অইয়ুম্সিকুস্ সামা – য়া আন্ তাক্বা‘আ ‘আলাল্ র্আদ্বি ইল্লা-বিইয্নিহ্ ইন্নাল্লা-হা বিন্না-সি লারায়ূর্ফু রহীম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৬৫ তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, যমীনে যা কিছু আছে এবং নৌযানগুলো যা তাঁরই নির্দেশে সমুদ্রে বিচরণ করে সবই আল্লাহ তোমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন। আর তিনিই আসমানকে আটকিয়ে রেখেছেন, যাতে তাঁর অনুমতি ছাড়া তা যমীনের উপর পড়ে না যায়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই করুণাময়, পরম দয়ালু।
وَهُوَ الَّذِي أَحْيَاكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ إِنَّ الْإِنْسَانَ لَكَفُورٌ22.66
আরবি উচ্চারণ ২২.৬৬। অহুওয়াল্লাযী য় আহ্ইয়া-কুম্ ছুম্মা ইয়ুমীতুকুম্ ছুম্মা ইয়ুহ্য়ীকুম্; ইন্নাল্ ইন্সা-না লাকার্ফূ ।
বাংলা আনুবাদ ২২.৬৬ আর তিনিই তোমাদের জীবন দিয়েছেন, অতঃপর তিনিই তোমাদের মৃত্যু দেবেন, তারপর তিনিই তোমাদেরকে আবার জীবন দেবেন। নিশ্চয় মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ।
لِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنْسَكًا هُمْ نَاسِكُوهُ فَلَا يُنَازِعُنَّكَ فِي الْأَمْرِ وَادْعُ إِلَى رَبِّكَ إِنَّكَ لَعَلَى هُدًى مُسْتَقِيمٍ 22.67
আরবি উচ্চারণ ২২.৬৭। লিকুল্লি উম্মাতিন্ জ্বা‘আল্না- মান্সাকান্ হুম্ না-সিকূহু ফালা-ইয়ুনা-যি‘উন্নাকা ফিল্ আম্রি ওয়াদ্‘উ ইলা-রব্বিক্; ইন্নাকা লা ‘আলা-হুদাম্ মুস্তাক্বীম্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৬৭ আমি প্রত্যেক জাতির জন্য ইবাদাতের নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করে দিয়েছি, তারা যার অনুসরণকারী। সুতরাং তারা যেন তোমার সাথে এ ব্যাপারে কোন বিতর্ক করতে না পারে। আর তুমি তোমার রবের দিকে আহ্বান কর। নিশ্চয় তুমি সরল পথেই রয়েছ।
وَإِنْ جَادَلُوكَ فَقُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا تَعْمَلُونَ22.68
আরবি উচ্চারণ ২২.৬৮। অইন্ জ্বা-দালূকা ফাকুলিল্লা-হু ‘আলামু বিমা-তা’মালূন্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৬৮ আর তারা যদি তোমার সাথে বাকবিতণ্ডা করে, তাহলে বল, ‘তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।’
اللَّهُ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كُنْتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ22.69
আরবি উচ্চারণ ২২.৬৯। আল্লা-হু ইয়াহ্কুমু বাইনাকুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি ফীমা-কুন্তুম্ ফীহি তাখ্তালিফূন্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৬৯ তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ, আল্লাহ সে বিষয়ে কিয়ামতের দিন ফয়সালা করে দেবেন।
أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ إِنَّ ذَلِكَ فِي كِتَابٍ إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ22.70
আরবি উচ্চারণ ২২.৭০। আলাম্ তা’লাম্ আন্নাল্লা-হা ইয়া’লামু মা-ফিস্ সামা – য়ি অল্র্আদ্ব্; ইন্না যা-লিকা ফী কিতা-ব্; ইন্না যা-লিকা ‘আলাল্লা-হি ইয়ার্সী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৭০ তুমি কি জান না যে, আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, আল্লাহ তা জানেন? নিশ্চয় তা একটি কিতাবে রয়েছে। অবশ্যই এটা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ।
وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَمَا لَيْسَ لَهُمْ بِهِ عِلْمٌ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ نَصِيرٍ 22.71
আরবি উচ্চারণ ২২.৭১। অ ইয়া’বুদূনা মিন্ দূনিল্লা-হি মা-লাম্ ইয়ুনায্যিল্ বিহী সুল্ত্বোয়া-নাঁও অমা-লাইসা লাহুম্ বিহী ‘ইল্ম্ ; অমা-লিজ্জোয়া-লিমীনা মিন্ নার্ছী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৭১ আর তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদাত করে, যে সম্পর্কে তিনি কোন প্রমাণ নাযিল করেননি এবং যে ব্যাপারে তাদেরও কোন জ্ঞান নেই। আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।
وَإِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُنَا بَيِّنَاتٍ تَعْرِفُ فِي وُجُوهِ الَّذِينَ كَفَرُوا الْمُنْكَرَ يَكَادُونَ يَسْطُونَ بِالَّذِينَ يَتْلُونَ عَلَيْهِمْ آيَاتِنَا قُلْ أَفَأُنَبِّئُكُمْ بِشَرٍّ مِنْ ذَلِكُمُ النَّارُ وَعَدَهَا اللَّهُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَبِئْسَ الْمَصِيرُ22.72
আরবি উচ্চারণ ২২.৭২। অইযা-তুত্লা ‘আলাইহিম্ আ-ইয়া-তুনা-; বাইয়্যিনা-তিন্ তা’রিফু ফী উজু হিল্ লাযীনা কাফারূল্ মুর্ন্কা; ইয়াকা-দূনা ইয়াস্ত্ব ূনা বিল্লাযীনা ইয়াত্লূনা ‘আলাইহিম্ আ-ইয়া-তিনা- কুল্ আফায়ুনাব্বিয়ুকুম্ বির্শারিম্ মিন্ যা-লিকুম্; আন্নার্-; অ ‘আদাহা ল্লা-হুল্ লাযীনা কাফারূ; অবিসাল্ মার্ছী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৭২ আর তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টরূপে তিলাওয়াত করা হলে যারা কুফরী করে তাদের মুখমণ্ডলে তুমি অসন্তোষ লক্ষ্য করবে; তাদের কাছে যারা আমার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে, তাদেরকে তারা আক্রমণ করতে উদ্যত হয়। বল, তাহলে কি আমি তোমাদেরকে এর চেয়েও খারাপ কিছুর সংবাদ দেব? সেটা আগুন। যারা কুফরী করে, আল্লাহ তাদেরকে এর ওয়াদা দিয়েছেন। আর এটা কত নিকৃষ্ট ঠিকানা!
يَا أَيُّهَا النَّاسُ ضُرِبَ مَثَلٌ فَاسْتَمِعُوا لَهُ إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ لَنْ يَخْلُقُوا ذُبَابًا وَلَوِ اجْتَمَعُوا لَهُ وَإِنْ يَسْلُبْهُمُ الذُّبَابُ شَيْئًا لَا يَسْتَنْقِذُوهُ مِنْهُ ضَعُفَ الطَّالِبُ وَالْمَطْلُوبُ 22.73
আরবি উচ্চারণ ২২.৭৩। ইয়া য় আইয়্যুহান্না-সু দ্বুরিবা মাছালুন্ ফাস্তামি‘ঊ লাহ্; ইন্নাল্লাযীনা তাদ্‘ঊ না মিন্ দূনিল্লা-হি লাইঁ ইয়াখ্লুকু যুবা-বাঁও অলাওয়িজ্বতাম‘ঊলাহ্; অ ইঁইয়াস্লুব্ হুমুয্ যুবা-বু শাইয়া ল্লা-ইয়াস্ তান্ক্বিযূহু মিন্হু; দ্বোয়া‘উফাত্বত্বোয়া-লিবু অল্মাত্লূব্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৭৩ হে মানুষ, একটি উপমা পেশ করা হল, মনোযোগ দিয়ে তা শোন, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তারা কখনো একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না। যদিও তারা এ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়। আর যদি মাছি তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নেয়, তারা তার কাছ থেকে তাও উদ্ধার করতে পারবে না। অন্বেষণকারী ও যার কাছে অন্বেষণ করা হয় উভয়েই দুর্বল।
مَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ22.74
আরবি উচ্চারণ ২২.৭৪। মা-ক্বদারু ল্লা-হা হাক্বক্ব ক্বদ্রিহ্; ইন্নাল্লা-হা লাক্বওয়ি্যুন্ ‘আযীয্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৭৪ তারা আল্লাহকে যথাযথ মর্যাদা দেয় না। নিশ্চয় আল্লাহ মহাক্ষমতাবান, মহাপরাক্রমশালী।
اللَّهُ يَصْطَفِي مِنَ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا وَمِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ22.75
আরবি উচ্চারণ ২২.৭৫। আল্লা-হু ইয়াছ্ ত্বোয়াফী মিনাল্ মালা – য়িকাতি রুসুলাঁও অ মিনান্না-স্ ইন্নাল্লা-হা সামীউ’ম্ বার্ছী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৭৫ আল্লাহ ফেরেশতা ও মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন। অবশ্যই আল্লাহ সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ22.76
আরবি উচ্চারণ ২২.৭৬। ইয়া’লামু মা-বাইনা আইদীহিম্ অমা-খালফাহুম্; অইলা ল্লা-হি র্তুজ্বা‘উল্ উর্মূ।
বাংলা আনুবাদ ২২.৭৬ তাদের সামনে এবং পেছনে যা কিছু আছে তিনি তা জানেন। আর সবকিছু আল্লাহর কাছেই প্রত্যাবর্তিত হবে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ارْكَعُوا وَاسْجُدُوا وَاعْبُدُوا رَبَّكُمْ وَافْعَلُوا الْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ22.77
আরবি উচ্চারণ ২২.৭৭। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মার্নু কা‘ঊ অস্জ্ব ুদূ ওয়া’বুদূ রব্বাকুম্ অফ্‘আলুল্ খইর লা‘আল্লাকুম্ তুফ্লিহূন্।
বাংলা আনুবাদ ২২.৭৭ হে মুমিনগণ, তোমরা রুকূ‘ কর, সিজদা কর, তোমাদের রবের ইবাদাত কর এবং ভাল কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে।
وَجَاهِدُوا فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ مِلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ هُوَ سَمَّاكُمُ الْمُسْلِمِينَ مِنْ قَبْلُ وَفِي هَذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ وَتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ فَنِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ 22.78
আরবি উচ্চারণ ২২.৭৮। অ জ্বা-হিদূ ফিল্লা-হি হাক্বক্বা জ্বিহা -দিহ্; হুওয়াজ্বতাবা-কুম্ অমা-জ্বা‘আলা আলাইকুম্ ফিদ্দীনি মিন্ হারাজ্ব্; মিল্লাতা আবীকুম্ ইব্রা-হীম্; হুঅ ছাম্মা-কুমুল্ মুস্লিমীনা মিন্ ক্বাব্লু অফী হাযা-লিয়াকূর্না রাসূলু শাহীদান্ ‘আলাইকুম্ অ তাকূনূ শুহাদা – য়া ‘আলান্ না-সি ফাআক্বীমুছ্ ছলা-তা অ আ-তুয্ যাকা- তা অ’তাছিমূ বিল্লা-হ্; হুঅ মাওলা-কুম্ ফানি’মাল্ মাওলা-অনি’মান্নার্ছী।
বাংলা আনুবাদ ২২.৭৮ আর তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ কর যেভাবে জিহাদ করা উচিৎ। তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করেছেন। দীনের ব্যাপারে তিনি তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি। এটা তোমাদের পিতা ইবরাহীমের দীন। তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন ‘মুসলিম’ পূর্বে এবং এ কিতাবেও। যাতে রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী হয় আর তোমরা মানুষের জন্য সাক্ষী হও। অতএব তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে মজবুতভাবে ধর। তিনিই তোমাদের অভিভাবক। আর তিনি কতই না উত্তম অভিভাবক এবং কতই না উত্তম সাহায্যকারী!
আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
- ভাগে কোরবানির নিয়ম, অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করার নিয়ম, ভাগে কোরবানির যত বিধি বিধান
- কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব,আরও একবার জানুন কোরবানির অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব
- ইসলামে কুরবানীর গুরুত্ব ও বিধান,ইসলামে কোরবানির যত ফজিলত গুরুত্ব ও শিক্ষা
- বৃষ্টির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, বৃষ্টির নামাজের পর আমল
- ইসতিসকার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত, ইসতিসকার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইসতিসকার নামাজের পর আমল
- বাসর রাত সম্পর্কে ইসলামের বিধান,বাসর রাতের নামাজ
- তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত, তাসবিহ সালাতের ফজিলত
- রমজানের ৩০ দিনের ৩০টি ফজিলতরমজানের ৩০ দিনের আমল ও ফজিলত