হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন কভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে—প্রভাবশালী মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এমন গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গবেষণায় তথ্যের মান ও সত্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করেছেন প্রতিবেদনটির তিনজন লেখক।
হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সমর্থনের পর ওষুধটি নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। গত মাসে প্রকাশিত গবেষণাটির ফলে ওষুধটির বেশ কয়েকটি ট্রায়াল বন্ধ করে দেয়া হয়।
প্রতিবেদনটির তিনজন লেখক বলেন, গবেষণাটির তথ্য সরবরাহকারী সংস্থা সার্জিস্ফেয়ার প্রাথমিক তথ্য উৎসগুলো সত্যতার পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
তবে গবেষণাটির চতুর্থ লেখক সার্জিস্ফেয়ারের প্রধান নির্বাহী ডা. স্বপন দেশাই এ প্রতিবেদন প্রত্যাহার নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ল্যানসেট বৃহস্পতিবার বলেছে, এটা কেবল বৈজ্ঞানিক নিষ্ঠার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং সার্জিস্ফেয়ার ও গবেষণাটিতে অন্তর্ভুক্ত ডেটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে।
সার্জিস্ফেয়ারের গবেষণা সহযোগিতার প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনাগুলো জরুরি প্রয়োজন। একই কারণে সার্জিস্ফেয়ারের ডেটানির্ভর আরেকটি গবেষণাও নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন জার্নাল থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
গত ২২ মে দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত এ পর্যবেক্ষণ গবেষণায় বলা হয়েছিল, তারা কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৬ হাজার মানুষকে পর্যবেক্ষণ করেছিল,
যাদের মধ্যে কিছু মানুষকে এ ম্যালেরিয়ার ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়। গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, ওষুধটি দেয়া হয়নি এমন রোগীদের তুলনায় ওষুধটি গ্রহণ করা রোগীদের মৃত্যু ও হূদযন্ত্রের সমস্যার ঝুঁকি বেশি।
সূত্র/রয়টার্স
- ইজারা অর্থায়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা কর
- বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা কোনটি?
- যে কারণে পুরুষের গোপন অঙ্গের ক্ষমতা নষ্ট হয়
- লিভারেজ ইজারার সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ
- হাঁপানি রোগী জন্য পরামর্শ ও হাঁপানি রোগীর ঘরোয়া চিকিৎসা উপায়গুলো