বিষয়: হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই অগৌরব হল মিথ্যায় একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন, ভাবসম্প্রসারণ রচনা হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই অগৌরব হল মিথ্যায় , হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই অগৌরব হল মিথ্যায় ভাবসম্প্রসারণ রচনা, হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই অগৌরব হল মিথ্যায় ভাবসম্প্রসারণ PDF Download, নিয়োগ পরীক্ষায় আসা হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই অগৌরব হল মিথ্যায়
একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই অগৌরব হল মিথ্যায়: ০১
ভাব-সম্প্রসারণ : নিজের কাজ নিজে করার মধ্যে রয়েছে আত্মতৃপ্তি, গৌরব; মিথ্যায় কিংবা মূর্খতায় কোনো গৌরব নেই।
আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা নিজের কাজ নিজে করাটাকে ছোট হওয়া মনে করে। নিজের কাজ নিজে করে জীবনে উন্নতি লাভ করার চেয়ে এসব মানুষ মিথ্যা আর মূর্খতায় নিজের গৌরব বৃদ্ধি করাতে চায়। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অবৈধ ও অন্যায়ভাবে টাকা উপার্জন করে জীবনের শ্রী-বৃদ্ধিটাকে এরা গৌরবজনক মনে করে। মূর্খতা এদের কাছে অভিশাপ মনে হয় না।
অথচ নিজের কাজ নিজে করার মধ্যেই প্রকৃত গৌরব নিহিত। অন্যের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা চাওয়া, চুরি করা কিংবা অবৈধ কিছু করার চেয়ে খেটে খাওয়া অনেক ভাল। কাজ, তা যা-ই হোক, কাজ করার মধ্যে কোনো অসম্মান নেই।
শ্রমজীবী মানুষই নতুন সভ্যতার কারিগর। তাদের ঘামে ও শ্রমেই প্রোথিত বিলাসী জীবনের ভীত। পৃথিবীতে যারা স্মরণীয় ও বরণীয় হয়েছে তাঁরা সবাই নিজের কাজ নিজেই করেছে। অন্যদিকে মিথ্যা মূর্খতায় অন্যায়ভাবে যারা নিজেদের জীবনের গৌরবকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে তাদের পতন হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সংকীর্ণমনারাই কাজের শ্রেণীবিন্যাস করে উঁচু-নিচু ভেদাভেদ সৃষ্টি করে থাকে। হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই, অগৌরব হল মিথ্যায়, মূর্খতায়। বস্তুত যারা মূর্খ তারাই হাতের কাজকে অগৌরব মনে করে।
আরো ও সাজেশন:-
একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই অগৌরব হল মিথ্যায়: ০২
মানুষের জীবন কর্মমুখর। জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রত্যেক মানুষকেই কোনো না কোনো কর্মে ব্রতী হতে হয়। জীবনের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে হলে অর্থোপার্জনের প্রয়োজন হয়। বেঁচে থাকার জন্য আমাদের খাদ্যের পরিধেয় বস্ত্রের এবং আরও অসংখ্য জিনিসের প্রয়োজন।
যে যত পরিশ্রম করে ততই তার উন্নতি হয়। তাই দেখা যায়, জীবনের সাথে পরিশ্রমের একটা বিশেষ যোগাযোগ রয়েছে। মানুষে মানুষে শিক্ষা ও যোগ্যতার যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। এ পার্থক্যের জন্য মানুষের জীবিকার্জনে শ্রমের পরিমাণগত পার্থক্য সৃষ্টি হয়।
কেউ অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভবান হয়, আবার কেউ মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও দুমুঠো ভাতের ব্যবস্থা করতে পারে না। শ্রমের তারতম্যের জন্য মানুষের সামাজিক মর্যাদায় পার্থক্য দেখা দেয়। কোনো ব্যক্তি যোগ্যতার অভাবে নিচু স্তরের কাজ করে থাকে।
আবার কেউ যোগ্যতার জন্য উঁচু স্তরের কাজ করে থাকে। যোগ্যতার তারতম্যের জন্য কাজের তারতম্য ঘটলেও সকল শ্রেণির কর্মীরই প্রয়োজন রয়েছে। কোনো ধরনের কায়িক শ্রমই ঘৃণার নয়। অথচ অনেকের ধারণা কাজকর্ম হতে হাত গুটিয়ে রাখলে সম্মান বেশি পাওয়া যায়। অনেক শিক্ষিত লোক আছেন যারা অশিক্ষিত লোকদের কাজকে অবজ্ঞার চোখে দেখে থাকেন- এটি ঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে হাতে কাজ করায় কোনো অগৌরব নেই, অগৌরব হয় মিথ্যায় ও মুর্খতায় ৷
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই অগৌরব হল মিথ্যায়: ০৩
মূলভাব: কাজ বা পরিশ্রম করার মধ্যে অগৌরবের কিছু নেই, বরং মিথ্যা, মূখতায় মানুষের অগৌরব প্রকাশ পায়।
সম্প্রসারিত ভাব: পরিশ্রমই ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সফলতার চাবিকাঠি। পরিশ্রম ছাড়া ধন, মান, জ্ঞান, প্রতিপত্তি কোনােকিছু লাভ করা যায় না। পরিশ্রম মানুষকে তার ভাগ্য গড়তে সাহায্য করে। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, “Improvement, and improvement live together. Where there is industry there is improvement, there is no industry there is no improvement. ” অর্থাৎ পরিশ্রম ও উন্নতি একত্রে অবস্থান করে। যেখানে পরিশ্রম আছে সেখানে উন্নতি আছে, যেখানে পরিশ্রম নেই সেখানে উন্নতি নেই। মােদ্দাকথা, পরিশ্রমই উন্নতি ও সৌভাগ্য বয়ে আনে। আর যদি পরিশ্রমের সাথে জ্ঞান, সততা ও শিক্ষা যুক্ত হয়, তাহলে পরিশ্রমী ব্যক্তির ও জগতের অশেষ কল্যাণ সাধিত হয়। আর এ কল্যাণই মানুষকে মহান মানুষে পরিণত করে জগতে চিরস্মরণীয় করে রাখে। তাছাড়া শিক্ষা মানুষকে ভালাে-মন্দ বুঝার ক্ষমতা দেয়। ন্যায়-অন্যায় বােধ শিক্ষার মাধ্যমেই অর্জিত হয়। আর এ শিক্ষার সাথে যদি সত্যের সংমিশ্রণ ঘটে তাহলে অনন্যতা লাভ করে।
সত্যবাদীগণ সমাজের সম্পদ, দেশের গৌরব। নির্মল চরিত্র, উন্নত মন, পরহিব্রতী হৃদয় সৎপথে থেকেই অর্জন করা সম্ভব। জ্ঞান ও সততার গুণে গুণান্বিত মহৎ ব্যক্তিগণ নিজ হাতে কাজ করে জগতের অশেষ কল্যাণ সাধন করে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। পক্ষান্তরে, যারা কাজকে ফাঁকি দিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেয়, জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে সচেতন হতে চায় না তাদের জীবনে প্রকৃত অর্থে গৌরব করার কিছু নেই। মূর্খতা মানুষকে অন্ধ করে, ভালাে-মন্দ বুঝার ক্ষমতা অর্জন করতে দেয় না এবং বিভিন্ন কুসংস্কারে আবদ্ধ করে রাখে।
মিথ্যা মানুষকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। মিথ্যার ওপর নির্ভর করে জীবনে কোনাে সফলতা অর্জন করা যায় না। আসলে জ্ঞান ও সততার সাথে নিজ হাতে কাজ করার মাঝে কোনাে অগৌরব নেই, বরং মিথ্যা এবং মূর্খতাই মানুষের অগৌরব ডেকে আনে, ডেকে আনে ধ্বংস।
মন্তব্য: শিক্ষার্জন করে মিথ্যা পরিহার করে কাজ করার মধ্যেই মানবজীবনের গৌরব নিহিত।
Honors & Degree, HSC, SSC, JSC Suggestion
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
Honors & Degree, HSC, SSC, JSC Suggestion
একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই অগৌরব হল মিথ্যায়: ০৪
মানুষের প্রকৃত পরিচয় কর্ম ও সাফল্যের ওপর নির্ভর করে। জীবনে উন্নতির মূল চাবিকাঠি হচ্ছে পরিশ্রম। দৈহিক শ্রম দ্বারা মানুষ তার নিজের ভাগ্যকে নির্মাণ করে। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা কায়িক শ্রমকে ছোট মনে করে, নিজে কাজ করতে অপমানবোধ করে এবং মিথ্যা আর মূর্খতা দ্বারা নিজের গৌরব বৃদ্ধি করতে চায়। কিন্তু মিথ্যা পদে পদে তাদের ধ্বংস ডেকে আনে।
মূর্খতা তাদের জীবনে অভিশাপ হয়ে দেখা দেয়। যুগ যুগ ধরে কুলি মজুরের মতো লক্ষ কোটি শ্রমজীবী মানুষের হাতে গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। এদেরই অক্লান্ত শ্রম আর ঘামে মোটর, জাহাজ, রেলগাড়ি চলছে, গড়ে উঠেছে আকাশছোঁয়া দালানকোঠা। আমাদের দেশের কৃষকরা আমাদের খাদ্যের যোগান দিতে ঝড়-বৃষ্টি রোদ্র উপেক্ষা করে ফসল ফলায়। এ কাজ তাদের কঠিন সাধনার কাজ।
এতে তাদের গৌরব কমে না এই কাজের মধ্য দিয়েই তারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাধক রূপে পরিগণিত হয়েছে। আমাদের দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছে এই শ্রমজীবী মানুষ। আমাদের পোশাক শিল্পকে শ্রম দ্বারাই টিকিয়ে রেখেছে শ্রমিকশ্রেণি। আধুনিক বিশ্বের চালিকা শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ কাচাঁমাল কয়লা, যা উত্তোলন করে শ্রমিকরা। পৃথিবীতে যারা মহামানবের অবিধায় অভিসিক্ত হয়েছেন তারা কায়িক পরিশ্রম করেছেন। তাতে তাদের সম্মান কমেনি বরং বেড়েছে।
অন্যের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা নেওয়ার মধ্যে কোনো গৌরব নেই। আমেরিকার ষোড়শ প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছেন- “পাঁচটি টাকা কুড়িয়ে পাওয়ার চেয়ে একটি টাকা উপার্জনের মধ্যে তৃপ্তি অনেক বেশি।” আমাদের প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম শৈশবে রুটির দোকানে কাজ করেছেন। হাতের কারুকার্যে চিত্রশল্পী কাজ হিসেবে পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়েছেন লিওনার্দো-দ্যা-ভিঞ্চি, পাবলো পিকাসো এবং ভ্যানগগের মতো ব্যক্তিবর্গ। মিথ্যা ও মূর্খতা নয় সাধুতা ও সত্যের ভিতর দিয়ে সত্তার মহিমা উদ্ভাসিত হয়। কাজের মাধ্যমে সমাজ স্বনির্ভর হয় এতে মানুষের অফুরন্ত শক্তির প্রকাশ ঘটে।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন হাতে কাজ করায় অগৌরব নেই অগৌরব হল মিথ্যায়: ০৫
মূলভাব: কর্মই জীবন। তাই নিজের হাতে নিজের কাজগুলো সম্পাদন করাই শ্রেয়। কিন্তু মূর্খতার কারণে অনেকেই নিজ হাতে কাজ করাকে অগৌরবের মনে করে। এ ধরনের মানসিকতা পরিত্যাজ্য। নিজের কাজ নিজে করার মধ্যে রয়েছে আত্মতৃপ্তি, গৌরব; মিথ্যায় কিংবা মূর্খতায় কোনো গৌরব নেই।
সম্প্রসারিত ভাব: পরিশ্রমই ব্যক্তি ও সমাজজীবনে সাফল্যের চাবিকাঠি। পরিশ্রম ছাড়া ধন, মান, জ্ঞান, প্রতিপত্তি কোনো কিছুই সত্যিকার অর্থে অর্জন করা যায় না। অবশ্য কিছু মানুষ প্রতারণা, ছলনা ও ধাপ্পাবাজির সাহায্যে সমাজে ধনী, মানী, জ্ঞানী ও প্রতিপত্তিশালী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
তাই বলা হয় হাতে কাজ করায় অগৌরব নাই, অগৌরব হয় মিথ্যায়, মূর্খতায়। আমরা তাদের যথেষ্ট সমাদরও করে থাকি। কিন্তু এরা সত্যিকার অর্থে মানুষ নয়- এরা সমাজের দুষ্ট কীট। বস্তুত মানুষের প্রকৃত মর্যাদা তার দৈহিক পরিশ্রমে, তার নিজের হাতে কাজ করায়। নিজের কাজ নিজে করে জীবনে উন্নতি লাভ করার চেয়ে এসব মানুষ মিথ্যা আর মূর্খতায় নিজের গৌরব বৃদ্ধি করাতে চায়। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অবৈধ ও অন্যায়ভাবে টাকা উপার্জন করে জীবনের শ্রী-বৃদ্ধিটাকে এরা গৌরবজনক মনে করে। মূর্খতা এদের কাছে অভিশাপ মনে হয় না।
এতে একদিকে যেমন দেহ থাকে সুঠাম ও সবল, অন্যদিকে মনে থাকে পবিত্রতা ও পরিপূর্ণ তৃপ্তি । ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স) অনেক কাজ নিজের হাতেই করতেন। হযরত ফাতিমা (রা) আটা পিষতে গিয়ে হাতে ফোসকা ফেলেছেন। এভাবেই তাঁরা কর্মের মধ্যেই মানুষের প্রকৃত গৌরবকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। অন্যদিকে যারা কাজকে ফাঁকি দিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেয়, জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে সচেতন হতে চায় না, তাদের জীবনে প্রকৃত অর্থে গৌরব করার কিছুই নেই।
মিথ্যাচার ও মূর্খতা সর্বকালেই সকল ধর্মে ও সকল সমাজে ঘৃণিত ও পরিত্যাজ্য। এতে মনুষ্যত্ব হয় লাঞ্ছিত। তাই আমাদের শ্রম-সাধনার মাধ্যমে জীবনকে গড়ে তুলতে হবে। শ্রমবিমুখ মিথ্যা বাহাদুরি নিয়ে জীবনকে আমরা কলুষিত করতে চাই না ।
মন্তব্য: বাংলাদেশে সৎকর্মের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব প্রকট। প্রত্যেক মানুষের কর্মবিমুখ প্রবণতা পরিহার করা উচিত। আমাদের উচিত এই কথা টি মনে রেখে কাজ করতে হবে হাতে কাজ করায় অগৌরব নাই, অগৌরব হয় মিথ্যায়, মূর্খতায়।
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
- বাংলাদেশের সংবিধানের প্রনয়ণের প্রক্রিয়া শুরু হয় কবে? উত্তর-২৩ মার্চ, ১৯৭২,বাংলাদেশের সংবিধান কবে উত্থাপিত হয়? উত্তর- ১২ অক্টোবর, ১৯৭২,গনপরিষদে কবে সংবিধান গৃহীত হয়? উত্তর-০৪ নভেম্বর,১৯৭২,কোন তারিখে বাংলাদেশের সংবিধান বলবৎ হয়? উত্তর-১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
- Hon‘s 2nd: Business Communication & Report Writing
- Degree 3rd Year Exam Marketing 5th paper Suggestion