হিসাববিজ্ঞানে সুনাম তাৎপর্য বণনা কর, হিসাববিজ্ঞানে সুনাম গুরুত্ব প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর, হিসাববিজ্ঞানে সুনাম উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর
হিসাববিজ্ঞানে সুনাম তাৎপর্য বণনা কর, হিসাববিজ্ঞানে সুনাম গুরুত্ব প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর, হিসাববিজ্ঞানে সুনাম উদ্দেশ্য সমূহ আলোচনা কর
সুনামের প্রকৃতি :-
সুনামের কোনো আকার বা বস্তুগত অস্তিত্ব নেই। এটি একটি অদৃশ্য ও অস্পর্শনীয় সম্পত্তি, তবে কাল্পনিক সম্পত্তি নহে কারণ ইহার বাজার মূল্য রয়েছে। সুনাম অনেক সময় দৃশ্যমান সম্পত্তি হতেও অধিক মূল্যবান হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে।
প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশিত স্বাভাবিক আয়ের অতিরিক্ত আয়ের ধারণাই সুনাম হিসেবে দেখানো হয় তবে ব্যবসায়ের সুনাম একটি বহু আলোচিত ও বিতর্কিত বিষয়। কারণ প্রতিষ্ঠানের নিট ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও সুনামকে উদ্বর্তপত্রে সম্পদ হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।
অধ্যাপক ডিকসির মতে, যখন কোনো ব্যক্তি সুনামের জন্য কোনো মূল্য প্রদান করে, তখন সে আসলে এমন কোনো কিছুর জন্য অর্থ প্রদান করে, যা তাকে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনে সাহায্য করবে। এ অতিরিক্ত মুনাফা সুনামের সাহায্য ছাড়া স্বচেষ্টায় উপার্জন করা তার পক্ষে সম্ভব হবেনা।
প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, বয়স, কর্মচারীদের সুমিষ্ট ব্যবহার, মালিকের ব্যক্তিগত যশ বা খ্যাতি, খরিদ্দারের প্রকৃতি, সঠিক মূল্য, প্রভৃতি কারণে একেক প্রতিষ্ঠানের সুনামের প্রকৃতি একেক রকমের হয়ে থাকে।
[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সুনাম সৃষ্টিতে সাহায্যকারী উপাদানসমূহ :-
সুনাম একটি প্রতিষ্ঠানের অদৃশ্য সম্পত্তি। একটি প্রতিষ্ঠানের সুনাম সৃষ্টিতে বিভিন্ন বিষয় প্রভাব বিস্তার করে। নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:
১. ক্রেতার সাথে সুমিষ্ট ব্যবহার।
২. পণ্য বা সেবার উৎকর্ষতা বা গুণাগুণ।
৩. পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগত সুনাম ও দক্ষতা।
৪. প্রতিষ্ঠানের সুবিধাজনক অবস্থান।
৫. গ্রন্থস্বত্ব ও পেটেন্ট স্বত্বের অধিকার।
৬. ব্যবসায়ের প্রকৃতি ও কাঁচামাল সংগ্রহের সুবিধা।
সুনামের মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা :-
কোনো প্রতিষ্ঠান যখন বিক্রয় করা হয় কিংবা প্রতিষ্ঠানে যখন মালিকানা বা সাংগঠনিক কাঠামোতে পরিবর্তন আসে তখন সুনামের মূল্য নির্ধারণের প্রয়েজনীয়তা দেখা দেয়। নিম্নে সুনামের মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো:
ক) একমালিকানা কারবারের ক্ষেত্রে :
i) এক মালিকানা প্রতিষ্ঠনটি অপর কোনো ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করা হলে,
ii) প্রতিষ্ঠানটিকে অংশীদারী কারবারে রূপান্তর করা হলে,
iii) প্রতিষ্ঠানটিকে কোম্পানিতে রূপান্তর করা হলে সুনামের মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজন হয়।
খ) অংশীদারি কারবারের ক্ষেত্রে :
i) নতুন অংশীদার গ্রহণ করা হলে,
ii) পুরাতন কোনো অংশীদারের মৃত্যু বা অবসর গ্রহণ করলে,
iii) অংশীদারি প্রতিষ্ঠান একত্রীকরণ বা প্রসণ করা হলে,
iv) অংশীদারদের মধ্যে মুনাফা বন্টনের হার পরিবর্তন হলে,
v) অংশীদারি প্রতিষ্ঠান বিলোপসাধন হলে,
vi) অংশীদারি কারবারকে কোম্পানিতে রূপান্তর করা হলেসুনামের মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজন হয়।
গ) যৌথ মূলধনী কোম্পানির ক্ষেত্রে :
i) দুই বা ততোধিক কোম্পানির একত্রীকরণ হলে,
ii) এক কোম্পানি অপর কোম্পানিকে ক্রয় করলে,
iii) কোম্পানির পুণর্গঠনের ক্ষেত্রে,
iv) হোল্ডিং কোম্পানি কিংবা সাবসিডিয়ারি কোম্পানির যৌথ স্থিতিপত্র প্রস্তুত করতে হলে সুনামের মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজন হয়।