হনুমান (/hʌnʊˈmɑn/) হলেন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা যিনি রামের একনিষ্ঠ ভক্ত। হিন্দু পুরাণে হনুমানকে বিশেষ স্থান দেয়া হয়েছে। রামায়ণ বর্ণিত হনুমান পবননন্দন হিসেবে হিন্দুদের নিকট পূজনীয়। রামায়ণের মূল চরিত্র রাম যাকে হিন্দুরা ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে দাবি করে তার অনুগত চরিত্র হিসেবে পাওয়া যায় এই হনুমানকে। তিনি বায়ুদেবতার পুত্র। হিন্দুদের কাছে হনুমান রামভক্ত হিসেবে পরিচিত।
রামায়ণের কাহিনী অনুসারে হনুমান সীতাকে উদ্ধারের জন্য লংকায় অভিযান চালান।
হনুমান (Colobinae) ১১টি বর্গের মোট ৬১ প্রজাতির বানরের মধ্যে একটি প্রজাতি। এটি প্রাইমেট (Primates) বর্গের অন্তর্গত লম্বা লেজযুক্ত বানর। হনুমানের প্রধান দুটি রূপ হচ্ছে—আফ্রিকান হনুমান ও এশিয়ান হনুমান।
বাংলাদেশে সাধারণ হনুমান, কালো হনুমান ও মুখপোড়া লালচে হনুমান—এই তিনটি প্রজাতি পাওয়া যায়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সাধারণ হনুমানের বৈজ্ঞানিক নাম Semnopithecus entellus (আগে নাম ছিল Presbytis entellus)। এদের দেহের রং ফ্যাকাশে-কমলা এবং নিচের দিকে কিছুটা হালকা। মাটিতে থাকা অবস্থায় এরা সাধারণত লেজ বাঁকিয়ে শরীরের ওপর দিকে রাখে। প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্রুর পাশে গালের ওপর চুল আছে। এদের মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ৫১-১০৮ সেন্টিমিটার এবং লেজ ৭২-১০৯ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। পুরুষ ও স্ত্রী হনুমানের ওজন যথাক্রমে ৯-২১ কেজি ও ৮-১৮ কেজি হয়ে থাকে। এরা দল বেঁধে থাকে। একটি দলে ৮ থেকে ২৫টির মতো সদস্য দেখা যায়। বাংলাদেশে এরা অতি বিপন্ন এবং এদের সংখ্যা এখন দুই শর নিচে।
কালো হনুমানের বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus phayrei (আগে নাম ছিল Presbytis phayrei)। এদের পিঠ ও লেজ ধূসর-কালো কিংবা গাঢ় বাদামি রঙের এবং নিচের দিকটা সাদাটে-ধূসর রঙের হয়। এদের চোখ ও মুখ ঘিরে সাদা বলয় রয়েছে। পুরুষ ও স্ত্রী কালো হনুমানের দেহের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৫০-৫৫ সেন্টিমিটার ও ৪৫-৫৩ সেন্টিমিটার এবং পুরুষ ও স্ত্রী উভয়ের লেজের দৈর্ঘ্য গড়ে ৬৫-৮৬ সেন্টিমিটার হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
মুখপোড়া লালচে হনুমানের বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus pileatus (আগে নাম ছিল Presbytis pileata)। কপালে পেছন ফেরানো, সোজা, লম্বা, মোটা, টুপির মতো একগুচ্ছ চুল থাকায় এরা টুপিওয়ালা হনুমান নামেও পরিচিত। এদের পিঠ ধূসর থেকে গাঢ় ধূসর রঙের, নিচের দিক ও দাড়ি বাদামি-হলুদ থেকে কমলা-লাল রঙের এবং লেজের মাঝ থেকে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে গাঢ় রঙের হয়। পুরুষ ও স্ত্রী হনুমানের দেহের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৬৮-৭০ সেন্টিমিটার ও ৫৯-৬৭ সেন্টিমিটার, লেজ যথাক্রমে ৯৪-১০৪ সেন্টিমিটার ও ৭৮-৯০ সেন্টিমিটার এবং ওজন যথাক্রমে ১১-১৪ কেজি ও ৯-১১ কেজি হতে দেখা যায়। একটি দলে ৩-১৫টির মতো সদস্য থাকে।
বাংলাদেশের তিন প্রজাতির হনুমানেরই প্রজননকাল জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত। স্ত্রী হনুমান প্রতি দুই বছরে একবার ১৮০-২০০ দিন গর্ভধারণের পর একটি বা দুটি বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চারা ১৩ মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করে। পুরুষ হনুমান ৫-৬ ও স্ত্রী হনুমান ৩-৪ বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। এদের আয়ুষ্কাল ১৮-৩০ বছর।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সাস্থ্য
- এন্টিসেপটিক soap/hand wash
- সকালে খালি পেটে খেজুর যেসব রোগ থেকে মুক্তি মিলবে
- স্ত্রীর মলদ্বার দিয়ে যৌনমিলন সম্পর্কে কি বলে ইসলাম
- ঘরে বসেই শ্যাম্পু তৈরির পদ্ধতি
- যদি পার্টনার আপনার চেয়ে অনেক বেশি লম্বা হয় তবে শারীরিক সম্পর্ক করার ক্ষেত্রে কি করবেন।
- বিবাহিত জীবনের ১০০ টি গোপন যৌন মিলনের অজানা কথা
- ‘ফরেন বডি’ বা যৌন পন্যের ছড়াছড়ি, ফরেন বডি মানে কি?
- মস্তিষ্ক ভালো রাখার কিছু টিপস
- যে গতিতে তরুণরা কিডনি রোগে ভুগতে থাকে, তা আশংকাজনক
- সিজার ডেলিভারি বৃদ্ধির কারণ
1 thought on “১১দশ-১২দশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে হনুমানের উল্লেখ আছে”