শ্রেণি: HSC/ 2022 বিষয়: সমাজকর্ম ১ম পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2022 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 03 বিষয় কোডঃ 271 |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ 1601 সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইনের আঙ্গিকে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন উপযোগী দরিদ্র আইন প্রণয়ন এর রুপ রেখা অঙ্কন।
শিখনফল
- দরিদ্র আইনের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে
- সমাজকর্ম পেশার বিকাশে দরিদ্র আইনের ভূমিকা মূল্যায়ন করতে পারবে
নির্দেশনা
- দরিদ্র আইনের ধারণা
- ১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সমূহ
- ১৬০১সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইন এর অবদান
- বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইনের অনুসরণ করে একটি দরিদ্র আইনের রূপরেখা প্রণয়ন।
- দরিদ্র আইনের ধারণা
উত্তর:
দরিদ্র আইন একটি সামগ্রিক ও সাধারণ পরিভাষা। দরিদ্র আইনের ভিত্তিভূমি হিসেবে ইংল্যান্ডকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। মূলত দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ভিক্ষাবৃত্তি রোধকল্পে চতুর্দশ শতাব্দী থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ইংল্যান্ডে যেসব আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয় সেগুলোকেই দরিদ্র আইন বলা হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
অন্যভাবে বলা যায় ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় ভিক্ষুক, ভবঘুরে এবং সমাজের দুস্থদের কল্যাণে দরিদ্রদের শ্রেণিকরণ, সংশোধনের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিয়ন্ত্রণমূলক আইনকে দরিদ্র আইন বলে। দরিদ্র আইনগুলোর মধ্যে রাজা অষ্টম হেনরি প্রণীত দরিদ্র আইন, এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইন, শ্রমিক আইন, দরিদ্র আইন ১৮৩৪ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- ১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সমূহ
উত্তর:
১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইন The Elizabethan Poor Law of 1601 প্রাকশিল্প যুগে ইংল্যান্ড বিভিন্ন ধরনের আর্থ-সামাজিক সমস্যা ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল। সরকার বিভিন্ন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান এ দারিদ্র্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
কিন্তু ষােড়শ শতাব্দী পর্যন্ত সমস্যা মােকাবিলায় গৃহীত সরকারি কার্যক্রমের বেশির ভাগই ছিল শাস্তি ও দমনমূলক। এর পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তদশ শতকের প্রারম্ভেই ইংল্যান্ডের শাসকশ্রেণি ১৩৪৯ থেকে ১৬০১ সালের পূর্ব পর্যন্ত বিদ্যমান বিভিন্ন আইনের অভিজ্ঞতার আলােকে দরিদ্রদের কার্যকর সাহায্য প্রদানের চিন্তাভাবনা শুরু করে।
দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দরিদ্রদের সঠিক পুনর্বাসনের লক্ষ্যে একটি উল্লেখযােগ্য পদক্ষেপ হিসেবে ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনটি প্রণয়ন করা হয়। ইংল্যান্ডের দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ভবঘুরে সমস্যা মােকাবিলায় এটি ছিল ৪৩তম প্রয়াস। ইংল্যান্ডের রানি প্রথম এলিজাবেথ-এর সময় এই আইনটি প্রণীত হয় বলে অনেকে একে ‘৪৩তম এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এ আইন সম্পর্কে ডব্লিউ, এ farworteta cu- “The Poor Law of 1601 was a codification of the preceding poor relief legislation” ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনের ধারা/বিধান (Provisions of the Poor Law of 1601) ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনে সেবাদানের ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি দরিদ্রদের আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের কর্তব্য চিহ্নিত করা হয়। এ ছাড়াও দরিদ্রের শ্রেণিবিভাগ এবং আইন প্রয়ােগের কঠোরতার উপর গুরুত্বারােপ করা হয়।
সে সময় এ আইনকে সরকারি দায়িত্বশীলতার সূচনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হতাে। এর মাধ্যমে দরিদ্রদের সাহায্য ও পুনর্বাসনে কার্যকর প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়। এতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান রাখা হয়, যা নিচে উল্লেখ করা হলাে১, সামর্থ্যবান পরিবার ও সম্পদশালী আত্মীয়স্বজন যেন দায়িত্বগ্রহণে বাধ্য থাকে সেজন্য দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিকে সাহায্যদানের তালিকায় না রাখা।
২, প্যারিশ বা স্থানীয় গির্জার অধীনস্থ এলাকায় শুধু সেসব দরিদ্রকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে দায়িত্ব গ্রহণ করবে যারা প্যারিশের জন্মগত বাসিন্দা অথবা কমপক্ষে তিন বছর ধরে প্যারিশে বসবাস করছে এবং যাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সাহায্যদানে অক্ষম।
৩, শারীরিকভাবে সক্ষম ও সচ্ছল আত্মীয়স্বজন সম্পন্ন ভিক্ষুকদের সাহায্য দেওয়া নিষিদ্ধ ঘােষণা করা হয়। এছাড়া Johnson (1995) ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনের প্রধান কতগুলাে বিধানের কথা উল্লেখ করেন। এগুলাে হলাে—
১, স্থানীয় পর্যায়ে দরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
২. আত্মীয়স্বজনদের দায়িত্বশীলতা বা পিতা কর্তৃক তার সন্তান ও সন্তানের সন্তানকে সহায়তা করা আর সন্তানদের তার | নির্ভরশীল পিতা ও পিতামহকে সহায়তা দেওয়ার বিধান করা।
৩, প্রত্যেক প্যারিশের অধিবাসী কর্তৃক প্যারিশের নিজস্ব দরিদ্র কর প্রদান।
৪, সাহায্যদানের সুবিধার্থে দরিদ্রদের বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্তিকরণ। যা মূলত নিম্নরূপ: ক. সক্ষম দরিদ্র (Able-bodied Poor): সবল বা কর্মক্ষম ভিক্ষুকদের সক্ষম দরিদ্র বা ‘sturdy Beggar’ বলা হতাে।
এদের ভিক্ষা দেওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল এবং তাদের সংশােধনাগারে কাজ করতে বাধ্য করা হতাে। কেউ অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে কারাদণ্ডসহ কঠোর শাস্তি প্রদান করা হতাে। অক্ষম দরিদ্র (Impotent Poor): রুগ্ন, বৃদ্ধ, প, বধির, অন্ধ এবং সন্তানাদিসহ বিধৰা ইত্যাদি যারা কাজ করতে সক্ষম নয় তারাই অক্ষম দরিদ্রদের পর্যায়ভুক্ত ছিলাে।
এদেরকে দরিদ্রাগারে রেখে সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য করা হতাে। কারাে আশ্রয়ের ব্যবস্থা থাকলে এবং সেখানে ভরণপােষণের খরচ কম হলে তাদেরকে সেখানে রেখে Overseer (ওভারসিয়ার)-এর মাধ্যমে সাহায্যদানের ব্যবস্থা করা হতাে।
- ১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইন এর অবদান
উত্তর:
প্রাক-শিল্প যুগে ইংল্যান্ডের দারিদ্র্য দূরীকরণ, ভিক্ষাবৃত্তিরোধ, ভবঘুরে প্রতিকার, দুস্থ ও অসহায়দের সেবা প্রদান প্রভৃতি ব্যাপারে প্রথম সরকারিভাবে আইন প্রণয়ন করা হয় ১৬০১ সালে। নিম্নে ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১- সাহায্য ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা: ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনের মাধ্যমে দরিদ্রদের জন্য সাহায্য ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে সামাজিক সমস্যা হিসেবে স্বীকৃত ভিক্ষাবৃত্তিরোধ করা সম্ভব হয়। দরিদ্রদের পুনর্বাসনের ফলে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
২. অলস ও অকর্মণ্য শ্রেণীর সংখ্যা হ্রাস : এ আইন প্রণয়নের ফলে সমাজের অক্ষম ও অকর্মণ্য শ্রেণীর সংখ্যা হাস পায়। সক্ষম, অক্ষম দরিদ্র সংশোধনাগারে এবং নির্ভরশীল শিশু মনিবের বাসস্থানে কাজ করা বাধ্যতামূলক করা হয়।
৩. স্থানীয়ভাবে সেবা প্রদান : আইনে প্যারিস (এলাকা) ভিত্তিক দরিদ্রদের সেবা প্রদানের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। এর মাধ্যমে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (প্যারিস) এলাকার জনগণের সহায়তায় দরিদ্রদের সাহায্য প্রদানের নীতি গ্রহণ করে।
৪. সমাজকর্ম পদ্ধতির বিকাশ : সমাজকর্মকে পেশাগত মর্যাদায় উন্নীতকরণে ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনের ভূমিকা অপরিসীম। এ আইন আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। কালক্রমে এ সেবা সরকারি স্বীকৃতির মাধ্যমে পেশাগত সমাজকর্মের মর্যাদায় উন্নীত করতে সহায়তা করে।
৫. দরিদ্রতা থেকে মুক্তি : এ আইন প্রণয়নের ফলে দরিদ্রতার অভিশাপ থেকে মানুষ মুক্তি পায়। দরিদ্রদের ত্রাণ সহায়তা এবং পুনর্বাসনের ফলে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে সক্ষম হয়। এ ব্যবস্থায় দরিদ্র ও অসহায় ব্যাক্তিরা তাদের সচ্ছল আত্মীয়-স্বজনদের সহায়তা লাভ করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৬, সুষ্ঠু পরিচালনা : সুষ্ঠু ও দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে এ আইন বাস্তবায়ন করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃতে প্যারিসে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে ওভারসিয়ার নিয়োগ করা হয়। ওভারসিয়ার কর্তৃক দরিদ্রাগারের জন্য তত্বাবধায়ক নিয়োগ দান করা হয়। এভাবে দরিদ্র আইনটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়।
৭. পূর্ণাঙ্গ দরিদ্র আইন : ১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইন প্রণয়নের পূর্বে ইংল্যান্ডে ৪২টি আইন প্রণীত হয়। কিন্তু কোন আইনই পূ্ণা্তা ছিল না। ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন ছিল দরিদ্রদের কল্যাণে একটি পূরণাঙ্তা আইন। ফলে দরিদ্রদের সকল দিককে আইনে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
৮. সমাজকল্যাশে সরকারের ভূমিকা : দরিদ্রদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সরকারের হস্তক্ষেপের সূচনা হয় এ আইনের মাধ্যমে। সরকারিভাবে প্রথম দরিদ্রদের কল্যাণ কার্যকম শুরু হওয়ায় দরিপ্ররা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া আরম্ত করে।
৯. সামাজিক দায়িত্ববোধ : এ আইন প্রণয়নের ফলে মানুষের দায়িত্ববোধ জাগ্রত হয়। সামাজিক চেতনা জাগ্রত হওয়ার ফলে মানুষ অন্যের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে তৎপর হয়। তাই এ আইনের গুরুত্ব অত্যধিক।
১০- সম্পদের সদ্ব্যবহার: এ আইনে দরিদ্রদের সহায়তার দায়িত্ প্রদান করা হয় ওভারসিয়ারের উপর । ওভারসিয়ার কর্তৃক প্যারিসের স্থানীয় সম্পদের মাধ্যমে দরিদ্রদের আর্থ-সামাজিক সমস্যার সমাধান করা হতো।
১১. অপরাধের পরিমাণ হ্রাস : ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনে মানুষের অলসতা, অকর্মণ্যতা, বেকারত্ব প্রভৃতি দূর করার জন্য কাজ করতে বাধ্য করা হয়। সক্ষম-অক্ষম শ্রেণী কাজ করার ফলে সমাজে অপরাধের পরিমাণ হাস পায়।
১২. আইনের দৃষ্টান্ত অন্যান্য দেশে অনুসরণ : পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এ আইনের আদর্শ দৃষ্টান্ত হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ সময় আমেরিকা দরিদ্রতম দেশ ছিল এবং এ দেশের দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য তখন এ আইন চালু করা হয়।
পরিশেষে বলা যায়, ১৬০১, সালের দরিদ্র আইন ইংল্যান্ডের দরিদ্র জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধুনিক সমাজকর্মের পথপ্রদর্শক হিসেবে এ আইনের গুরুত্ব অপরিসীম । ৪৩তম এলিজাবেখীয় আইন হচ্ছে ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার সরকারি সাহায্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে তারও পূর্বপুরুষ ।
- বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইনের অনুসরণ করে একটি দরিদ্র আইনের রূপরেখা প্রণয়ন।
উত্তর:
১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইনের অনুসরণ করে একটি দরিদ্র আইনের রূপরেখা প্রণয়নঃ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে সমাজদেহ থেকে দারিদ্র্যের অভিশাপ দূর করতে হলে আমাদেরকে নিক্তে ব্যবস্থাগুলাে গ্রহণ করতে হবেঃ
১। কৃষি উন্নয়নঃ কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড। কাজেই কৃষি উন্নয়নে আমাদেরকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। পুরাতন পদ্ধতির চাষাবাদ পরিহার করে কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক পদ্ধতির প্রবর্তন করতে হবে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে দারিদ্র্য দূর হবে এবং জনগণের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
২। শিল্পোন্নয়নঃ অতীতের সকল ব্যর্থতা মুছে ফেলে শিল্পোন্নয়নের জন্য আমাদেরকে একটি সুষ্ঠু কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। শিল্পোন্নয়নের সাথে সাথে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং জনসাধারণের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মান বাড়বে। দ্রুত শিল্পোন্নয়নের উদ্দেশ্যে বর্তমানে দেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়ােগ আকর্ষণের উপর গুরুত্ব আরােপ করা হয়েছে এবং বৈদেশিক বিনিয়ােগকে বিভিন্ন সুযােগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
৩। জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণঃ আমাদের দেশে বর্তমানে যে দ্রুতগতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা রােধ করতে না পারলে সকল পরিকল্পনাই বানচাল হয়ে যাবে। সুতরাং দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে হলে পরিবার পরিকল্পনা সুষ্ঠু বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই উত্তাল তরঙ্গকে অবশ্যই রােধ করতে হবে। পাশাপাশি গ্রামে গঞ্জে নারী-পুরুষদের প্রাথমিক মৌলিক শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মূলত নারীর ক্ষমতায়ন, কুসংস্কারমুক্ত ও সমাজসচেতন দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে।
৪। প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহারঃ দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করে জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে হলে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ এর পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিন্ত করতে হবে। দেশে কারিগরি জ্ঞানের উন্নয়ন এবং প্রয়ােজনবােধে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি আমদানি করে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদগুলােকে কাজে লাগাতে হবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৫। শিক্ষা বিস্তারঃ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ শিক্ষার আলাে থেকে বঞ্চিত। অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে দেশ থেকে। দারিদ্র্য দূর করতে হলে জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার একান্ত অপরিহার্য।
৬। কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণঃ শিল্প ও কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের দারিদ্র্য দূর করতে হলে দেশে কারিগরি শিক্ষার সুযােগ বৃদ্ধি করে শ্রমিকের কর্মদক্ষতা বাড়াতে হবে।
৭। মূলধন গঠণঃ মূলধনের অভাবে আমাদের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে। সুতরাং দেশে মূলধন গঠণের হার বৃদ্ধি করার জন্য সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৮| বেকার সমস্যার সমাধানঃ বাংলাদেশ বেকার সমস্যায় জর্জরিত। এদেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে হলে বেকার সমস্যার আশু সমাধান করতে হবে। এই উদ্দেশ্যে নানা ধরনের গ্রামীণ শিল্পের উন্নতি ও গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র ও হাল্কা শিল্পের ব্যবস্থা করে গ্রামের বেকার লােকদের জন্য কাজের সংস্থান করা যেতে পারে।
৯৷ মহিলা সমাজের উন্নয়নঃ দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক হল মহিলা। সুতরাং মহিলাদের অবস্থার উন্নতি না করে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর। করা যাবে না। গ্রামীণ মহিলাদের অবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রয়ােজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামাে গড়া এবং বিবাহ, নারী শিক্ষা ইত্যাদি প্রশ্নে প্রয়ােজনীয় আইনের সংশােধন ও মহিলাদের জন্য আলাদা সমবায় আন্দোলনের উপর জোর দিতে হবে।
১০। পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নঃ অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিবহন ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। সুতরাং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনসাধারণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করতে হলে আমাদের যােগাযােগ ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে।
১১। সুষ্ঠু পরিকল্পনাঃ জনগণের মাথাপিছু আয় ও জীবন যাত্রার মান উন্নত করতে হলে আমাদেরকে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদ শেষ হয়েছে। বর্তমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলে আমাদের অবস্থার নিশ্চয়ই উন্নতি হবে।
১২। সামাজিক ও ধর্মীয় গােড়ামিঃ দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে হলে প্রচলিত সামাজিক ও। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলাে থেকে সকল প্রকার গোঁড়ামি ও কুসংস্কার দূর করতে হবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- Class: 6 To 10 Assignment Answer Link
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
১০ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
- ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন ডিগ্রি ৩য় বর্ষ , degree 3rd year islamic studies 5th paper suggestion,ডিগ্রি ৩য় বর্ষ ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন, ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন PDF Download
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 politics and citizenship solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week politics and citizenship solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 bangladesh and world identity solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 science solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week science solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 finance and banking solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 biology solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week biology solution 2022]
- মাধ্যমিক ৬ষ্ঠ/ষষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 6 islam and moral education solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৬ষ্ঠ/ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 6 information and communication technology solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৭ম/সপ্তম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৭ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 7 Ict solution (6th week) 2022, class 7 Ict answer 2022 [6th week Ict solution 2022]
- মাধ্যমিক ৭ম/সপ্তম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৭ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 7 Islam and moral education solution (6th week) 2022
- ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন ডিগ্রি ৩য় বর্ষ , degree 3rd year islamic studies 5th paper suggestion,ডিগ্রি ৩য় বর্ষ ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন, ডিগ্রী ৩য় বর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ ৫ম পত্র সাজেশন PDF Download
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 politics and citizenship solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week politics and citizenship solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 bangladesh and world identity solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 science solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week science solution 2022]
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 finance and banking solution (6th week) 2022
- মাধ্যমিক ৯ম/নবম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২,৯ম শ্রেণির জীববিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান ২০২২, class 9 biology solution (6th week) 2022, class 9 answer 2022 [6th week biology solution 2022]