শ্রেণি: HSC ইন কমার্স/-2021 বিষয়: অথনীতি এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 06 বিষয় কোডঃ 1726 |
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা |
অ্যাসাইনমেন্ট/ শিরো নাম : বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির কারণ এবং দেশের উৎপাদনের উপর মদ্রাস্ফীতির ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রতিকারের উপায় নিরুপন।
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
- মুদ্রাস্ফীতি এর ধারণা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে হবে।
- বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে।
- বাংলাদেশে উৎপাদনের উপর মুদ্রাস্ফীতির ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাখ্যা করতে হবে।
- বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিকারের উপায় ব্যাখ্যা করতে হবে।
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
সহজভাবে বলতে গেলে, মুদ্রাস্ফীতি হল উপলব্ধ অর্থের পরিপ্রেক্ষিতে সময়ের সাথে সাথে মূল্য বৃদ্ধি। পরিচিত পরিভাষায় বললে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থে আপনি আগের তুলনায় আজ অনেক কম জিনিষ ক্রয় করতে পারেন।
এটি ভালো করে বোঝার জন্য একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরুন আপনি আজ 100 টাকায় একটি গ্রিলড স্যান্ডউইচ কিনলেন। বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি 10%। পরের বছর, একই স্যান্ডউইচ কেনার জন্য আপনার খরচ পড়বে 110 টাকা। যদি আপনার আয় মুদ্রাস্ফীতির হারের অন্তত সমান হারে বৃদ্ধি না পায় তাহলে আপনি স্যান্ডউইচ বা অন্যান্য কোনও পণ্য কিনতে পারবেন না, তাই তো?
মুদ্রাস্ফীতি বিনিয়োগকারীদেরকে আরও জানিয়ে দেয় যে তাদের সাম্প্রতিক/বর্তমান জীবনযাপনের মান বজায় রাখার জন্য তাদের করা বিনিয়োগগুলি থেকে কতো পরিমাণ রিটার্ন (%) করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি ‘এক্স’-এ করা বিনিয়োগ 4% রিটার্ন দেয় এবং মুদ্রাস্ফীতি 5% থাকে, তাহলে বিনিয়োগের প্রকৃত রিটার্ন হবে -1% (5% -4%)।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা হল ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই
বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয় এবং বর্তমানে এ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতির প্রধান
কারণগুলো নিচে বর্ণনা করা হল:
১। অর্থের যোগান বৃদ্ধি: বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল অর্থের যোগান বৃদ্ধি। স্বাধীনতা লাভের
পর থেকে বাংলাদেশে অর্থ সরবরাহের পরিমাণ ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৭৩-১৯৭৪ সালে দেশে অর্থ সরবরাহের
পরিমাণ ছিল মাত্র ৭৪৫ কোটি টাকা। ২০০৭-০৮ সাল নাগাদ অর্থ সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫৯,৩১৫ কোটি
টাকা। ২০১০-১১ সাল নাগাদ অর্থ সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭,১৩৬ কোটি টাকা। সুতরাং অর্থের
যোগানের ক্রমাগত বৃদ্ধি বাংলাদেশের মুদ্রস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে দায়ী।
২। উৎপাদন হ্রাস: বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ হল উৎপাদন হ্রাস। বিগত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়
বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বানিজ্য ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাছাড়া শিল্পের কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রপাতির অভাব ও
সুষ্ঠু শিল্পনীতির অভাবে দেশে উৎপাদন বিশেষ করে শিল্পজাত দ্রব্যের উৎপাদন আশানুরূপ বাড়েনি। বস্তুত স্বাধীনতা-উত্তর
বাংলাদেশে জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে উৎপাদন সে হারে বৃদ্ধি না পাওয়ায় দেশে-দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ক্রমশ তীব্র হচ্ছে
এবং মুদ্রাস্ফীতির মাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৩। উদার ঋণ নীতি: স্বাধীনতা লাভের পর দেশের যুদ্ধবিদ্ধস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠন ও পুনঃনির্মানের জন্য বাণিজ্যিক
ব্যাংকসমূহের ঋণদান যথেষ্ট উদার করা হয়। ফলে দেশের ব্যাংক ঋণের পরিমাণ যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। ১৯৭৩-৭৪ সালে
দেশে ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ১,৩৩৯ কোটি টাকা। ১৯৯৫-৯৬ সাল নাগাদ ব্যাংক ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে
দাঁড়ায় ৪৬,৮৬৯ কোটি টাকা। ২০১০-১১ সাল নাগাদ মোট ব্যাংক ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩,৯৪,২২২কোটি
টাকা। এভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ কর্তৃক ব্যাপক ঋণদানের ফলে দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
৪। সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি: উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক
অবকাঠামো নির্মানের জন্য বিভিন্ন খাতে সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এসব ব্যয়ের বিপরীতে সমপরিমাণ
দ্রব্যসামগ্রী সাথে সাথে সৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশে মুদ্রাস্ফীতির চাপ তীব্রতর হচ্ছে।
৫। খাদ্য ঘাটতি: দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বন্যা, খরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের দরুন বাংলদেশে প্রতি বছর বিপুল
পরিমাণ খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। দেশে চাহিদার তুলনায় খাদ্যশস্যের উৎপাদন কম হওয়ায় খাদ্যশস্যের মূল্য এবং সেই
সাথে অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে দেশে সার্বিক মূল্যস্তর বৃদ্ধি পায়।
৬। টাকার অবমূল্যায়ন: অবমূল্যায়নের ফলে টাকার বাহ্যিক মূল্য হ্রাস পায়। এর ফলে আমাদনিকৃত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়
এবং দেশের অভ্যন্তরে মূদ্রাস্ফীতি ঘটে। স্বাধীনতা লাভের পর বহুবার ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার অবমূল্যায়ন
করা হয়েছে। ১৯৭১-৭২ সালে টাকা ডলারের গড় বিনিময় হার ছিল ১ ডলার =৭.৩০ টাকা। ২০১১-১২ সালে টাকা ও
ডলারের গড় বিনিময় হার দাঁড়ায় ১ ডলার=৭৮.১৮ টাকা। বর্তমান বাংলাদেশী টাকায় ডলারের বিনিময় হার হল ৮০.০০
টাকারও বেশি। টাকার অবমূল্যায়ন বাংলাদেশের মূদ্রাস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ।
৭। জ¦ালানি ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি: আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণে সরকারকে বিভিন্ন সময়ে গ্যাস, তেল ও
বিদ্যুতের মূল্য বাড়াতে হয়েছে। এর ফলে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশের অভ্যন্তরে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে।
৮। অধিক রপ্তানির প্রবণতা: দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট না হওয়া সত্ত্বেও কিছু সংখ্যক পণ্য ব্যাপক হারে
রপ্তানি করা হয়। এর ফলে দেশের অভ্যন্তরে পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয় এবং এসব দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ধরুন আপনি একলক্ষ টাকা মাসে বেতন পান। আপনার সংসার ভালোই চলছিল। তো দেখা দিল, হঠাৎ এই টাকা দিয়ে আপনি বাড়ি বাড়ি ভাড়াই দিতে পারছেন না। তাহলে কেমন হবে?
অনেক অংশেই এমনটি হয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও ভেনেজুয়েলার ক্ষেত্রে। সেখানে পরিস্থিতি এমন হল যে, বেতনের টাকা দিয়ে টিস্যু পেপার ক্রয় করাই যাচ্ছিল না। খাদ্যদ্রব্য তো দূরে থাক! জিম্বাবুয়ে তো 100 ট্রিলিয়ন (১ লক্ষ কোটি) টাকার ছাপিয়েছিল। যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মুদ্রা 1000 টাকার নোট, ১০,০০০,০০,০০,০০০ টির সমান। আফগানিস্তানের চরম মুদ্রাস্ফীতির সময় ব্যাগ ভর্তি টাকা নিতে হত ট্যাক্সি ভাড়া দিতে।
মুদ্রাস্ফীতির সময় হু হু করে টাকার মূল্য হ্রাস পাবে, সমানতালে বাড়তে থাকবে দ্রব্যমূল্যের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের চরম সংকট তৈরি হবে। একগাদা টাকা থাকা সত্ত্বেও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহজে কিনতে পারবেন না।
এর ফলে রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। মানুষের জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্যোগ।
বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আছে সব সময়। তবুও এক্ষেত্রে আমাদের জীবনে কি প্রভাব ফেলতে পারে তার একটা ধারণা দেই, ধরুন আপনি এক লক্ষ টাকা ব্যাংকে রেখেছেন প্রতি মাসে 1000 টাকা করে লাভ পাচ্ছেন। তাহলে আপনার বাসরিক লাভ কত? নিঃসন্দেহে বলবেন 12000 টাকা, হয়তো ব্যাংকে আসা যাওয়া খরচ-টরচ ও ট্যাক্স বাদ দিয়ে আর একটু কম করে হলেও বলবেন 10000 টাকা। তাইতো?
কিন্তু না। আপনার প্রকৃত লাভ হবে ৪০০০ টাকা। কারণ মুদ্রাস্ফীতি ৬% হলে, এর অর্থ হল বছরের শুরুতে ১০০ টাকায় কেনা সম্পদ অথবা সেবা বছরের শেষে কিনছেন ১০৬ টাকায়। অর্থাৎ আপনার অর্থের মূল্য ১০০ টাকায় ৬ টাকা হ্রাস পেয়েছে। ১ লক্ষে ৬০০০ টাকা।
তারপর কী হবে? বছর শেষে ডাক্তার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেবে এখন থেকে ভিজিট ৭০০ টাকা হতে ৮০০ টাকা, বাসভাড়া ২০ হতে ২৫ টাকা, বাড়ি ভাড়া ১০ হতে ১২ হাজার, মাছ ২৫০ হতে ৩০০ টাকা কেজি ইত্যাদি।
আর এভাবেই মুদ্রাস্ফীতি মানুষের প্রকৃত আয়টাকে নাগাল টেনে নিয়ন্ত্রণ করছে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
পূর্ণ নিয়োগ স্তরে সামগ্রিক যোগানের তুলনায় সামগ্রিক চাহিদা বেশি হলে মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান সৃষ্টি হয়। তাই মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূর করতে হলে সামগ্রিক চাহিদা হ্রাসের লক্ষ্যে নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করতে হবে:
১। সরকারি ব্যয়: মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূর করতে হলে সরকারি ব্যয় হ্রাস করতে হবে। বিশেষ করে অনুৎপাদনশীল ও অনুন্নয়ন খাতে সরকারি ব্যয় হ্রাস করা একান্ত প্রয়োজন। সরকারি ব্যয় হ্রাস করা হলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে আসবে এবং সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পাবে। এর ফলে চলতি আয় হ্রাস পেয়ে পূর্ণ নিয়োগস্তরে ফিরে আসবে এবং মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান বা মুদ্রাস্ফীতি ফাঁক দূর হবে।
২। কর বৃদ্ধি: করের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হলে জনগণের ব্যয়যোগ্য আয় হ্রাস পায়। এর ফলে ভোগব্যয় কমে আসে। এ অবস্থায় সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পাবে। এর ফলে দ্রব্যমূল্য কমবে ও চলতি আয় হ্রাস পেয়ে পূর্ণ নিয়োগ স্তরে ফিরে আসবে এবং মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূর হবে।
৩। সরকারের ঋণ গ্রহণ: সরকার দেশের ভিতরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারে। এর ফলে জনগণের ব্যক্তিগত ব্যয় সংকুচিত হয় এবং সামগ্রিক চাহিদা কমে যায়। এ অবস্থায় দ্রব্যমূল্য হ্রাস পায় এবং মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূরীভূত হয়।
৪। বাধ্যতামূলক সঞ্চয়: মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূর করার জন্য সরকার জনগণকে বাধ্যতামূলক সঞ্চয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। এই উদ্দেশ্যে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনের একাংশ নগদে প্রদান না করে ঋণপত্র ও বন্ডের আকারে প্রদান করা যেতে পারে। এর ফলে জনগণের হাতে নগদ অর্থ কমবে এবং সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পাবে ও মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূর হবে।
৫। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি : মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূর করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করতে পারে। খোলাবাজারে ঋণপত্র বিক্রয়, ব্যাংক হার বৃদ্ধি, রিজার্ভের অনুপাত বৃদ্ধি প্রভৃতি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে অর্থনীতিতে ঋণ সরবরাহ কমে আসবে এবং সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পাবে। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূর হবে।
৬। সুদের হার বৃদ্ধি: বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ সুদের হার বাড়লে বিনিয়োগ চাহিদা হ্রাস পায়। এর ফলে বিনিয়োগ সংকুচিত হয় এবং সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পায়। এভাবে সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পেলে মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূরীভূত হয়।
৭। আমদানি বৃদ্ধি: মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূরীকরনের অন্যতম উপায় হল বিদেশ থেকে আমদানি বৃদ্ধি। কারণ মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান মূলত পূর্ণ নিয়োগ স্তরে উদ্ভব হয়। এ ক্ষেত্রে দেশীয় পণ্যের যোগান বৃদ্ধির সুযোগ থাকে না। এ অবস্থায় বিদেশ থেকে ভোগ্যপণ্য ও বিনিয়োগ দ্রব্য আমদানি করে দেশে সামগ্রিক যোগান বৃদ্ধি করা যায়। এর ফলে সামগ্রিক চাহিদা যোগানের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান দূর করা যায়। এ সব ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অর্থনীতিতে পূর্ণ নিয়োগ স্তরে সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধির দরুণ যে মুদ্রাস্ফীতি ব্যবধান বা ফাঁক সৃষ্টি হয় তা দূরীভূত হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
1 thought on “২০২১ সালের এইচএসসি ডিপ্লোমা ইন কমার্স ১২শ শ্রেণি অথনীতি ৮ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান 2021”