শ্রেণি: HSC-2021 বিষয়: গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন ১ম পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 03 বিষয় কোডঃ 282 |
বিভাগ: ৪র্থ বিষয় |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ মূল্যবােধ, লক্ষ্য ও মানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা মূল্যায়ন।
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- গৃহ ব্যবস্থাপনায় প্রেষণা সৃষ্টিকারী উপাদান বর্ণনা করতে পারবে।
- মূল্যবােধ বিকাশে পরিবারের ভূমিকা মূল্যায়ন করতেপারবে।
- লক্ষ্য নির্ধারণের উপায় বর্ণনা করতে পারবে।
- মান নির্ধারণের মাধ্যম ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- মূল্যবােধ, লক্ষ্য ও মানের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবে এবং পরিবারের সদস্যদেও এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে পারবে।
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি) :
ক) গৃহ ব্যবস্থাপনায় প্রেষণা সৃষ্টিকারী উপাদানসমূহের ধারণা;
খ) মূল্যবােধ বিকাশে পরিবারের ভূমিকা;
গ) লক্ষ্য নির্ধারণের উপায়;
ঘ) মান নির্ধারণের মাধ্যম;
ঙ) মূল্যবােধ, লক্ষ্য ও মানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা মূল্যায়ন;
চ) পাঠ্যপুস্তক, অন্যান্য সহায়ক গ্রন্থ, শ্রেণি শিক্ষক ও অভিভাবকের সহায়তা গ্রহণ;
ছ) ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট এবং মুঠোফোনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ;
জ) নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা;
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
ক) গৃহ ব্যবস্থাপনায় প্রেষণা সৃষ্টিকারী উপাদানসমূহের ধারণা
প্রেষণা ব্যক্তিকে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে এবং লক্ষ্য অর্জনের দিকে ধাবিত করে। অর্থাৎ প্রেষণা ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী আচরন করতে অনুপ্রাণিত করে। গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রেষণা সৃষ্টিকারী বিষয়গুলো হচ্ছে
গৃহ ব্যবস্থাপনা একটি বিষয় হিসাবে স্বীকৃতির সাথে সাথে পেশাগত ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব বেড়ে গেছে। গৃহ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্র শুধু গৃহাঙ্গনই নয়, গৃহের বাইরে সমাজে এর ক্ষেত্র বিস্তৃত। আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে ‘গৃহ’ অন্যতম। গৃহে আমরা পরিবারের সবাই একসাথে বসবাস করি এবং সুখ শান্তির জন্য নানা ধরনের কাজ করি। এসব কাজ করার জন্য অর্থাৎ গৃহ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন হয় নগদ অর্থ, জায়গা-জমি, জ্ঞান-বুদ্ধি, সময়, শক্তি ইত্যাদি সম্পদের। এই সম্পদগুলো ঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে পরিবারের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন সঠিক ব্যবস্থাপনার। গৃহকে একটা প্রতিষ্ঠানের সাথে তুলনা করা হলে গৃহকর্তা হলেন গৃহ ব্যবস্থাপক।
ব্যবস্থাপকের তত্ত্বাবধানেই এ প্রতিষ্ঠান তথা গৃহ পরিচালিত হয়, লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। গৃহের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করতে হয়। পরিবারের একটি লক্ষ্য অর্জিত হলে আরেকটি এসে হাজির হয়। গৃহ ব্যবস্থাপনায় মূল্যবোধ, লক্ষ্য ও মান পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। মুল্যবোধ লক্ষ্যের ভিত্তি আর মান ব্যক্তির নিজস্বতা ও সমাজের দাবী থেকে সৃষ্ট পরিবার শুধু গৃহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় তার আদান-প্রদানের বিচরণ চারপাশের মধ্যেও রয়েছে। পরিবার তার মূল্যবোধ নিয়ে দূরের ও কাছের পরিবেশের মধ্যে বাস করে। ফলে পরিবেশের যে কোন পরিবর্তন পরিবারের উপর প্রভাব বিস্তার করে। গৃহ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা এই পরিবর্তনের মোকাবেলা করতে জ্ঞান দান করে। এককথায় বলা যায়, গৃহকে সুন্দর, মনোরম, আরামদায়ক ও শান্তিপূর্ণ করার উপায় হচ্ছে গৃহ ব্যবস্থাপনা।
* প্রত্যেক মানুষের নিরাপদ আরামদায়ক এবং মাথা গোঁজার আশ্রয়স্থল হল গৃহ। তবে এটি শুধু আশ্রয়স্থলই নয় বরং খাদ্য, শিক্ষা, পোশাক এবং বেঁচে থাকার জন্য অন্য সব চাহিদা সীমিত পরিসরে সঠিকভাবে পূর্ণ করার স্থানও বলা হয়।
* প্রতিটি গৃহে বিভিন্ন বয়সের সদস্য নিয়ে সবাই একসঙ্গে বসবাস করে। সেখানে এক এক সদস্য তাদের বয়স অনুযায়ী সময়, শক্তি, ধর্ম, বুদ্ধি ইত্যাদি সব কিছু কাজে লাগিয়ে গৃহকে একটি শান্তির স্থান তৈরি করতে চেষ্টা করে।
* সব গৃহে লোকসংখ্যা কম বা বেশি যে ধরনেরই হোক গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন রয়েছে।
* মনে রাখতে হবে গৃহ যে ধরনেরই হোক না কেন কিন্তু সব ঘরেই বিভিন্ন জিনিসপত্র কোথায়, কীভাবে রাখা হবে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রত্যেক সদস্যদের কীভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে একত্রে ব্যবহার করা যাবে- সব কিছুই গৃহ ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে।
* একমাত্র গৃহ ব্যবস্থাপনা আমাদের জীবনে সুন্দর, মনোরম, আরামদায়ক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে জীবনযাপনের পথ দেখাতে পারে।
গৃহ ব্যবস্থাপনার কয়েকটি সংজ্ঞা প্রদান করা হল–
গৃহ ব্যবস্থাপনার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে গার্হস্থ্য অর্থনীতিবিদ গ্রস, ক্রান্ডল ও নল, ডেকন, ফায়ারবাঘ এবং সোয়ান তাদের ভাষায় বলেছেন, ‘তুমি যা চাও তা লাভ করার জন্য তোমার যা কিছু আছে তা সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করাকে গৃহ ব্যবস্থাপনা বলা হয়।’
এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞ নিকেল এবং ডরসি বলেন, যে পারিবারিক লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য মানবিক ও পার্থিব সম্পদের ব্যবহার সঠিক করার জন্য পরিকল্পনা প্রদান করা, নির্দেশ করা, পথপ্রদর্শন, সমন্বয় সাধন ও মূল্যায়ন এবং গৃহ ও গৃহের বাইরে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও দলীয় সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে এক কথায় গৃহ ব্যবস্থাপনা বলে।
অর্থনীতিবিদ রাইস-এর ধারণা কাঠামো থেকে গৃহ ব্যবস্থাপনার সংজ্ঞা দেয়া হল।
গৃহব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যগুলো উল্লেখ করা হল–
১. সম্পদের যথাযথ ও সুষ্ঠু ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে মানবীয় ও বস্তুবাচক সম্পদ ব্যবহারের পারদর্শিতা অর্জন।
২. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক মূল্যবোধের প্রেক্ষিতে লক্ষ্যস্থির করা ও বিশ্লেষণ করা।
৩. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে গৃহ ও গৃহের বাইরে একটি সুষ্ঠু বাস উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা।
৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, সাম্প্রদায়িক, ব্যক্তিগত, পরিবারিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারে বিবেচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ও তা কার্যকরী করতে সাহায্য করা।
৫. বিজ্ঞান ও কলার আবিষ্কৃত তথ্যকে জীবনে প্রয়োগের একমাত্র সাহায়ক গৃহ ব্যবস্থাপনার শিক্ষা।
৬. গৃহ, পরিবার তথা সমাজের নানাবিধ সমস্যার স্বরূপ উদ্ঘাটন করার জন্য গবেষণামূলক মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করা এবং গবেষণার ফলাফল শিক্ষাক্ষেত্রে কার্যকর করা।
৭. ভোক্তা, উৎপাদনকারী ও বণ্টনকারীর মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্ব অনুধাবন করা।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৮. ভোক্তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্বন্ধে সজাগ হওয়া।
৯. দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার স্বরূপ উদ্ঘাটন ও সমস্যা সমাধানের জন্য সচেষ্ট হওয়া।
১০. আর্থিক সচ্ছলতা লাভের জন্য দূরদর্শী উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা।
১১. উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ গ্রহণ করা।
১২. পেশাগত ক্ষেত্রে যোগদানের যোগ্যতা অর্জন করা।
১৩. পারিবারিক ক্রমবিকাশে সহায়তা করা।
১৪. আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গৃহস্থালির আধুনিক সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্রের সঙ্গে পরিচিত হয়ে এগুলোর যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণে পারদর্শিতা অর্জন করা।
১৫. কর্মজীবী মহিলাদের গৃহ ও চাকরি উভয় ক্ষেত্রের অসুবিধাগুলো দূর করে সুষ্ঠু পারিবারিক জীবনযাপনে সাহায্য করা।
* সব শেষে বলা যায়, গৃহ ব্যবস্থাপনা শুধু গৃহেই সীমাবদ্ধ নয়, গৃহের বাইরের সমাজে ও পরিবেশে এর কর্মক্ষেত্র ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। এ পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থায় ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে পরিবর্তন আনা বা পরিবর্তনশীল সমাজের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে খাপ খাওয়ানোর শিক্ষা গৃহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিহিত রয়েছে। গৃহ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য এর বিষয়বস্তুর মধ্যে নিহিত।
প্রেষণা হচ্ছে কর্মসংক্রান্ত মনোবল যা ব্যক্তিকে কোনো কাজে উদ্বুদ্ধ করে। যেকোনো কাজের কারণ বা ব্যক্তিগত আচরণে ‘যা’ প্রভাব সৃষ্টি করে তাকে প্রেষণা বলে। এটি এমন একটা শক্তি যা কোন ব্যক্তিকে কোনো বিশেষ কাজের দিকে টেনে নিয়ে যায়। ব্যক্তিকে পারিবারিক জীবনযাত্রার বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে ছোট বড় নানা ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। গৃহ এবং গৃহের বাইরে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু নির্দেশক রয়েছে। এই নির্দেশকগুলো ব্যক্তিকে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে এবং লক্ষ্য অর্জনের দিকে ধাবিত করে। এই নির্দেশকগুলো হল মূল্যবোধ, লক্ষ্য ও মান। গৃহ ব্যবস্থাপনায় এই নির্দেশকগুলোকেই প্রেষণা সৃষ্টিকারী ধারণা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
কোন জিনিসের দাম বা গুণকে মূল্য বলে। আর বোধ বলতে এখানে প্রবণতাকে বুঝায়। সুতরাং ব্যক্তির বা পরিবারের মূল্যবোধ হল তার নিকট যেসব বিষয় কাঙ্খিত ও প্রিয় এবং সেসব বিষয় ব্যক্তির আগের আচরণ ও কার্যাবলিকে প্রভাবিত কওে সন্তুষ্টি বিধান করে। মূল্যবোধ মানুষের একটি আত্মিক সম্পদ, মানুষের ইচ্ছার মানদন্ড। এটি কোনো বস্তু বা পরিস্থিতির মূল্য সম্বন্ধে ব্যক্তির অনুভূতি বা কোনো উদ্দীপকের প্রতিক্রিয়াকে বোঝায়।
খ) মূল্যবােধ বিকাশে পরিবারের ভূমিকা
মূল্যবোধের বিকাশ
ব্যাক্তির নিজস্ব পরিমন্ডলকে কেদ্র করে মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে । শৈশব মা যখন শিশ্তর যন্ত করে ,দুধ খাওয়ার তখন শিশ্ত মায়ের উপর আস্থা অর্জন করে, ফলে মাকে সে খুব মূল্য দেয় । এভাবেই পরিবার , সম্প্রদায় , সমাজ ও বিশ্বের সদস্য হিসেবে ব্যাক্তি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে ,তা থেকেই ব্যাক্তির মূল্যবোধ গড়ে ওঠে ; যেমন পরিবার থেকে সৎ পথে চলা , বড়দের সম্মান করা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার মূল্যবোধ । সমাজ থেকে সামাজিক রীতিনীতি অনুসারে চলা এবৎ বিশ্বে মানুষ হিসেবে মানবগোষ্ঠীর কল্যান কামনা ইত্যাদি মূল্যবোধ ব্যাক্তির জীবনে প্রতিফলিত হয় ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
আবার দৈনন্দিন জীবনে অভিজ্ঞতা এবৎ বিশ্বায়নের যুগে তথ্যের আদান প্রদানের মাধ্যমেও কিছু মূল্যবোধ গড়ে ওঠে ; যেমন সময়মতো কাজ করা । যোগাযোগ ও তথ্য সৎগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার । মূল্যবোধের বিকাশ অবিরাম ধারায় চলতে থাকে ।
পরিবারের মাধ্যম শিশ্তকাল থেকে মুল্যবোধ গঠনের ভিত্তি রচিত হয় । বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কিছু মূল্যবোধ দৃঢ় হয় এবং কিছু মূল্যবোধ পরিশোধিত মার্জিত ও সুন্দর রূপ ধারণ করে। কিছু মূল্যবোধজন্মগত এবংকিছু মূল্যবোধ অর্জিত।সমূল্যবোধ বিকাশের ভিত্তি হলো –
- (১)ব্যক্তির জৈবিক ও জন্মগত চাহিদা,
- (২) পারিবারিক ঐতিহ্য,রীতিনীতি ,
- (৩)ধর্মও বিশ্বাস
- (৪)দল,
- (৫)শিক্ষা ও সংস্কৃতি
- (৬)সাহিত্য গনমাধ্যম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্পকলা,গবেষণা।
গ) লক্ষ্য নির্ধারণের উপায়
কোন কাজে পরিসীমাকে লক্ষ্য বলা হয়। আর সেই কাজের পরিসমাপ্তি কি দিয়ে করা হবে তা নির্ধারণ করতে পারাকে লক্ষ্য নির্ধারণ বলা হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
নিম্নে লক্ষ্য নির্ধারণ করা চারটি উপায় দেওয়া হলো:
সম্ভাব্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা :আপনার জীবনের লক্ষ্য গুলো নির্ধারণ করুন।। আপনি আপনার জীবনের জন্য না মা চান তার এটা কি সম্পর্কে নিজেকে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করুন। যেমন আমি খুশি হতে চাই বা আমি জীবনে মানুষকে সহায়তা করতে চাই। তার জন্য আমাকে বা আপনাকে যা করতে হবে তা নির্ধারণ করায় হল সম্ভাব্য লক্ষ নির্ধারণ করা।
দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ : একে দূরত্ব বা চূড়ান্ত লক্ষ্য বলা হয়। এই লক্ষ্য অর্জন সময় সাপেক্ষ। এই লক্ষ্য সব সময় মানুষকে মনে অবস্থান করে। এটি একটি গ্রামের লক্ষ লক্ষ উত্থিত হলে মানুষ জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যেমন লক্ষণ নিজেই পেশা গ্রহণ করে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করা।
স্বল্পমেয়াদী বা মধ্যবর্তী লক্ষ :একটু দূরে যেয়ে লক্ষ্য থাকে। দীর্ঘমেয়াদি বা চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন করতে হলে স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য অর্জন করতে হয়। দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জন করতে হলে স্বল্পমেয়াদী লক্ষে রুম্মান নবান্ন হতে হয়। যেমন শিক্ষক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে শিক্ষার্থীকে পাবলিকে পরীক্ষাগুলোতে অধিক কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হতে হবে।
তৎকালীন লক্ষ্য :একেবারে নিকটবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে তৎকালীন লক্ষ। এটি স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিবর্তন করতে হয়। যেমন ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যায় পড়াশোনা করার জন্য।
ঘ) মান নির্ধারণের মাধ্যম
মূল্যবোধ ও লক্ষ্য থেকে সৃষ্ট মানদণ্ডকেই মান বলে। মান ব্যক্তির নিজ সত্তা ও সমাজের দাবী থেকে সৃষ্টি হয়। সম্পদ ব্যবহারে গুণগত ও পরিমাণগত পরিমাপ পরিমানই হলো মান।যেমন লক্ষ্য হচ্ছে বাড়ি তৈরি করা। তবে বাড়িটি কেমন হবে তা নির্ভর করে কি ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হবে তার ওপর। আবার জীবন-যাপনের মান নির্ভর করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সেবা কর্মের ভোগ,ব্যক্তির মৌলিক চাহিদা, আরাম -বিলাসিতার বস্তু এবং বস্তুর পদ্ধতির উপর। মূল্যবোধের ভিত্তিতে মান কে দুই ভাগে এবং জীবনযাত্রার ওপর ভিত্তিতে মান কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
নিম্নে মানের মোট ৪টি ভাগ উল্লেখ করা হলো :
প্রচলিত মান :সামাজিক বিধি নিষেধ ও নিয়মকানুন কে ভিত্তি করে এই মান সৃষ্টি হয়। এইমান সহজে পরিবর্তিত হয় না যেমন আমাদের দেশে ছেলেরা শার্ট প্যান্ট এবং মেয়েরা সেলোয়ার-কামিজ পরিধান করে।
নমনীয় মান :পরিস্থিতিও অবস্থা অনুযায়ী মান নির্ধারিত হয় এই নমনীয় মান। নমনীয় মান মানুষকে স্বাধীনভাবে চলার এবং পছন্দ করার সুযোগ দান করে। যেমন মেয়েটি বিজ্ঞান বিভাগে পড়বে নাকি ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পড়বে এটা স্বাধীনভাবে বাছাই করার সুযোগই হচ্ছে নমনীয় মান।
পরিমাণগত মান :পরিমাণগত সাধারণত কোন কিছুর ও জনঘনত্ব পরিমাণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করতে পরিমাণগত মান যেমন নাকে যে কিলোমিটার, লিটার, মিটার, ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
গুনগত মান :গুনগতমান ভঙ্গুর জ্ঞান বা বৈশিষ্ট্য দ্বারা বিবেচনা করা হয়। একজন ব্যক্তি কি ধরনের গুণগতমানসম্পন্ন দ্রব্য সামগ্রিক বা সেবা ক্রয় বা ভোগ করবে তার নির্ভর করে ওই ব্যক্তির উচিত পর্যন্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও মনোবোধের ওপর।
ঙ) মূল্যবােধ, লক্ষ্য ও মানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পরিবারের সদস্যদের সচেতনতা মূল্যায়ন
মূল্যবোধ, লক্ষ্য ও মানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পরিবারের সদস্যদের সচেতনতামূলক করা হলো :
- মূল্যবোধ, লক্ষ্য ও মান পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং গৃহ ব্যবস্থাপনার চালিকাশক্তি। মূল্যবোধকে ভিত্তি করে লক্ষ্য ওমান গড়ে ওঠে। আবার লক্ষ ও মান একে অপরকে এবং উভয় একত্রে মূল্যবোধকে প্রভাবিত করে।
- মূল্যবোধ সচেতন হয়ে লক্ষ্য স্থির করতে হয়। লক্ষ্য স্থির করে সম্পদ ব্যবহারে গুণগত ও পরিমাণগত মান নির্ধারণ করলেও কৃতকার্য হওয়া যায়।
- মূল্যবোধ সুস্পষ্ট নয় লক্ষ সুস্পষ্ট পরিমাপের মাধ্যম এর তুলনায় অধিক সুস্পষ্ট। লক্ষ্য.- শিক্ষক হওয়ার
মান -নিয়মিত পড়াশোনা করা। পরীক্ষায় ভালো ফল করা। মূল্যবোধ -জ্ঞান অর্জন করা। - মূল্যবোধ ব্যবস্থাপনায় প্রেরণা যোগায় ।লক্ষ দিক নির্দেশনা দেয় এবং মান ফলাফল প্রকাশ করে। লক্ষ ও মানের তুলনায় মূল্যবোধ অধিকতর ব্যাপক। ব্যক্তি তে মূল্যবোধের তারতম্য ঘটে।
- মূল্যবোধের লক্ষ্যের ভিত্তি লক্ষ্যের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য থাকে। তবে কিছু লক্ষ্য সবার ক্ষেত্রে একই রকম। যেমন সচ্ছলভাবে জীবন যাপন।
লক্ষের মত মান মূল্যবোধ থেকে উৎপন্ন হয়। মানের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য থাকে। যেমন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জীবন যাত্রার মান ভিন্ন। ধনী পরিবারের জীবনযাত্রার মান ও দরিদ্র পরিবারে জীবনযাত্রার মানের অনেক তারতম্য পরিলক্ষিত হয়।
একটি লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে এক বা একাধিক মূল্যবোধ উদ্যোগ করতে পারে। আবার একটি মূল্যবোধ একাধিক লক্ষ্যের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। যেমন লক্ষ পড়াশোনায় ভালো ফল। ভালো ফল মর্যাদা বৃদ্ধি করে ও উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট , ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট