শ্রেণি: HSC -2021 বিষয়: উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন ২য় পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04 বিষয় কোডঃ 293 |
বিভাগ: ব্যবসায় শাখা |
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বিপণন কার্যাবলি বিশ্লেষণ।
অ্যাসাইনমেন্ট ও অধ্যায়ের শিরােনাম: অধ্যায়-তৃতীয়; বিপণন কার্যাবলি।
শিখনফল/বিষয়বস্তু:
১. বিপণন কার্যাবলির ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
২. ক্রয় ও বিক্রয়ের ধারণা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
৩, পরিবহন ও গুদামজাতকরণের ধারণা ও সুবিধা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
৪. প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণের ধারণা ও সুবিধা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
৫. মােড়কিকরণের ধারণা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):
ক. বিপণন কার্যাবলির। ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।
খ. ক্রয় ও বিক্রয়ের ধারণা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।
গ. পরিবহন ও গুদামজাতকরণের ধারণা ও সুবিধা ব্যাখ্যা করতে হবে।
ঘ. প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণের ধারণা ও সুবিধা ব্যাখ্যা করতে হবে।
ঙ. মােড়কিকরণের ধারণা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
সাধারণ লােকজন বিপণন কার্য বলতে শুধুমাত্র ক্রয় ও বিক্রয়কেই বুঝে থাকে । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিপণন কার্যের পরিধি অনেক বিস্তৃত । বিপণন কার্যাবলীকে এমন কতগুলাে কাজ বা সেবার সমষ্টি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় যা উৎপাদকের নিকট থেকে ভােক্তা বা ব্যবহারকারীর নিকট পণ্য বা সেবার প্রবাহ পরিচালিত করার প্রক্রিয়ায় সম্পাদিত হয়ে থাকে ।
অর্থাৎ উৎপাদক ও ভােক্তার মধ্যে পণ্য ও সেবার আদান – প্রদানে যেসব কার্যাবলি জড়িত থাকে সেগুলাে বিপণন কার্যের আওতায় পড়ে একটি বিপণন কার্য উৎপাদক নিজে কিংবা মধ্যস্থ ব্যবসায়ী ( পাইকার , খুচরা ব্যবসায়ী , আড়তদার ) বা ভােক্তারা সম্পাদন করতে পারে ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
বিপণন কার্যাবলি উৎপাদক ও ভােক্তার মধ্যবর্তী পর্যায়ে পণ্য বা সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য সম্পাদিত হয়ে থাকে । বিপণন কার্যাবলির সাথে পণ্যের স্বত্ত্ব পরিবর্তন , পণ্যের হস্তান্তর , পণ্যের সংরক্ষণ , পণ্যের প্রসারসহ ইত্যাদি জড়িত । বিপণন পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে বিপণন কার্যাবলি নিয়মিত বিশ্লেষণ করা প্রয়ােজন ।
কারণ এর মাধ্যমে বিপণন – দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব । সাধারণত বিপণনে ক্রয় , বিক্রয় , পরিবহন , গুদামজাতকরণ , প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণ , অর্থসংস্থান , মােড়কীকরণ , ঝুঁকি – বহন , বাজার তথ্য সংগ্রহ , মূল্য নির্ধারণ , পণ্যের প্রসার ইত্যাদি কাজ সম্পাদিত হয় ।
( খ ) ক্রয় ও বিক্রয়ের ধারণা ও গুরুত্ব
ক্রয়ের ধারণাঃ সাধারণ অর্থে , একটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ক্রয় হলাে ভােক্তার চাহিদা পূরণ করার জন্য সরবরাহকারীর নিকট থেকে প্রয়ােজনীয় পণ্য সংগ্রহ । বিপণনের ক্ষেত্রে ক্রয়কার্য কয়েকটি বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকে । সেগুলাে হলাে :
( ক ) পণ্যের প্রয়ােজন নির্ধারণের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
( খ ) সঠিক বরাহের উৎস নির্বাচন ;
( গ ) পণ্যের উপযুক্ততা যাচাইকরণ
( ঘ ) পণ্যের মূল্য , ডেলিভারী ইত্যাদি সংক্রান্ত শর্ত নিরূপণ এবং
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
( ঙ ) স্বত্ব হস্তান্তর । পণ্য ক্রয় করার পূর্বে ক্রেতাকে পণ্যের প্রয়ােজনীয়তা নির্ধারণ করতে হয় । তাকে তার প্রয়ােজনীয় পণ্যের প্রকার , পরিমাণ ও গুণাগুণ হেয় নির্ণয় করে তা সংগ্রহের পন্থা নির্বাচন করতে হয় । ক্রেতাকে যখন নিজের উদ্যোগে সরবরাহের উৎস খুঁজে বের করতে হয় তখন বিরাজমান পরিস্থিতিকে বলা হয় বিক্রেতার বাজার ( Sellers market ) । অপরদিকে , বিক্রেতা পণ্যের উৎস সম্পর্কে ক্রেতাদের জানানাের জন্য সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে তখন তা ক্রেতারবাজার ( Buyers ’ market ) নামে অভিহিত হয় । পণ্যের উৎস নির্বাচনের পর ক্রেতাকে তার প্রয়ােজনের সাথে সংগতি রেখে পণ্যের উপযােগিতা যাচাই করে দেখতে হয় । ক্রয় কার্যের সর্বশেষ ধাপ হলাে পণ্যের মূল্য ও বিক্রয় শর্তাদি নিরূপন ।
ক্রয়ের গুরুত্বঃ
নিচে ক্রয়ের ৫ টি গুরুত্ব যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হলােঃ
( ১ ) ভােক্তা যেসময়ে ও যে স্থানে পণ্য ক্রয় করতে চায় সেসময় পণ্য বা সেবা বিপণনকারী পণ্য সরবরাহ করে ।
( ২ ) পণ্যের সঠিক মান ও মূল্য বজায় রেখে বিপণনকারী পণ্য বাজারে সরবরাহ করে যেন ভােক্তা সহজে পণ্য ক্রয় করতে পারে ।
( ৩ ) ভােক্তার প্রত্যাশা ও চাহিদার বিভিন্নতা অনুযায়ী পণ্য প্রস্তুত করে , সেই পণ্য বাজারে সরবরাহ করার ফলে ক্রেতা বা ভােক্তা উপযুক্ত পণ্য ক্রয় করতে পারে ।
( 8 ) ভােক্তার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য ক্রয় কার্যক্রমের মাধ্যমে ভােক্তার নিকট মানসম্মত পণ্য যথাযথ মূল্যে সঠিক স্থানে সহজলভ্য করা হয় ।
( ৫ ) বিপণনকারী ভােক্তার ক্রয় নিশ্চিত করার জন ভোক্তার , চাহিদা আগেই নিরূপন করে পণ্য প্রস্তুত করে রাখে , আবার পণ্য সংরক্ষণও করে ।
বিক্রয়ের ধারণাঃ
বিক্রয় বিপণনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্য । বিক্রয় কার্য শুধু পণ্যের স্বত্ব হস্তান্তরের সাথেই জড়িত নয় ; চাহিদা সৃষ্টি , ক্রেতা অনুসন্ধান , ক্রেতার প্রয়ােজনের সাথে বিক্রেতার পণ্যের সামঞ্জস্য বিধান এবং বিক্রয় সংক্রান্ত শর্তাদি নিরূপণ এর অন্তর্ভূক্ত । বিক্রেতা ক্রেতার অবচেতন মনে পণ্যের সুপ্ত প্রয়ােজনীয়তাউদ্দীপ্ত করে তােলে ও সক্রিয় চাহিদার সৃষ্টি করে ।
চাহিদা সৃষ্টির জন্য সে বিভিন্ন প্রসার মাধ্যম ব্যবহার করে ( যেমন বিজ্ঞাপন বিক্রয় প্রসার , ব্যক্তিক বিক্রয় ও জনসংযােগ ) । চূড়ান্ত বিক্রয়কার্য সম্পাদনের জন্য চাহিদা সৃষ্টিই যথেষ্ট নয় , পণ্য ক্রয়ের জন্য কাঙ্খিত ক্রেতাও খুঁজে বের করতে হয় । ক্রেতা অনুসন্ধানের জন্য বিক্রেতা বিক্রয়কর্মী নিয়ােগ করে , সম্ভাব্য ক্রেতার নিকট পণ্য তালিকা প্রেরণ করে , টেলিফোনে যােগাযােগ করে , পাইকারী বা খুচরা দোকানে পণ্য সরবরাহ করে ,
পরিবেশক নিয়ােগকরে এবং আকর্ষণীয় পণ্য সজ্জার ব্যবস্থা করে । ক্রেতা অনুসন্ধান করার পর বিক্রেতা ক্রেতার প্রয়ােজনের সাথে নিজের পণ্য খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য বাজার গবেষণা , বিক্রয় পর্যবেক্ষণ এবং বিক্রয়কর্মী ও অন্যান্যদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ক্রেতার পছন্দ – অপছন্দ নির্ণয় করে । ক্রেতাদের সর্বাধিক সন্তুষ্টি বিধান করে অব্যাহত সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য তাদের চাহিদা ও পছন্দ – অপছন্দের সাথে পণ্যের ডিজাইন , আকার , রং , মডেল ও প্যাকিং এর সামঞ্জস্যবিধান অপরিহার্য ।
বিক্রেতা বিক্রয়ের শর্তাদিও নিরূপন করে । মূল্য পরিশােধের সময় , পরিশােধের নিয়ম , বাট্টা বা কমিশনের হার , পণ্য ডেলিভারীর তারিখ , প্রদেয় মূল্য ইত্যাদি সম্পর্কিত শর্তাবলি ঠিকঠাক হওয়ার পর বিক্রেতার নিকট থেকে ক্রেতার নিকট পণ্যের স্বত্ব হস্তান্তরিত হয় ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
বিক্রয়ের গুরুত্বঃ
( ১ ) বিক্রয়ের মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতা একটি স্থানে একত্রিত হতে পারে । বিক্রেতা পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাকে জানাতে পারে , আবার ক্রেতার কাছ থেকে পণ্য সম্পর্কে অভিব্যক্তিও জানতে পারে ।
( ২ ) বিক্রয়ের মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে পণ্য বা সেবার মালিকানার বিনিময় হয় । তাই বিক্রয় বিপণন কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।
( ৩ ) ভােক্তার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য বিপণনকারী ক্রেতা বা ভােক্তার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করে বিক্রয়ের মাধ্যমে।
( ৪ ) বিক্রয় কার্যক্রমের মাধ্যমে বিপণনকারী প্রকৃত্ব ক্রেতা সৃষ্টিকরণে প্রকৃত ক্রেতা সৃষ্টি করতে পারে , আবার স্থায়ী ক্রেতায় রূপান্তর করতে পারে।
( ৫ ) পণ্য প্রস্তুত করার পর পণ্য বিক্রয় করে বিপণনকারী বাজারে চাহিদা ও যােগানের মধ্যে সমতা রাখতে পারে ।
( গ ) পরিবহন ও গুদামজাতকরণের ধারণা ও সুবিধা
পরিবহনের ধারণাঃ যেখানে পণ্য উৎপাদিত হয় সেখান থেকে যে স্থানে পণ্য ভােগ হয় সে স্থানে পণ্য স্থানান্তর করে । পরিবহন স্থানগত উপযোগ সৃষ্টি করে । পরিবহন বিপণনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা বাজারের পরিধি স্থানীয় এলাকা থেকে দূর অঞ্চলে সম্প্রসারিত করে , জাতীয় বাজারের সম্প্রসারণ ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবশের সুযােগ করে দেয় , ভােক্তাদের পণ্য ভােগে বৈচিত্র্য আনয়ন করে , বিপণন ব্যয় হাস করে এবং পণ্যেরহস্তান্তর দ্রুত করে ।
উন্নত পরিবহন প্রত্যেক অঞ্চলের জন্য পণ্য উৎপাদনে বিশেষায়িত হওয়ার পথ প্রশস্ত করে যা আন্তঃআঞ্চলিক উন্নয়নে ভারসাম্য সৃষ্টির সহায়ক । উৎপাদক ও ক্রেতার মধ্যে দূরত্ব যত বেশি হবে পরিবহনের গুরুত্বও তত বৃদ্ধি পাবে । উৎপাদন কেন্দ্রে পণ্য প্রেরণের জন্য বিভিন্ন প্রকার পরিবহন ব্যবহৃত হয় , যথা
( ক ) স্থল পরিবহন ( রেল ও সড়ক পথ ) ,
( খ ) জল পরিবহন ( নৌপথ ও সামুদ্রিক পথ ) এবং
( গ ) বিমান পরিবহন ।
বিমান পরিবহন খুবই ব্যয়সাধ্য বলে পণ্য পরিবহনে স্থল এবং জল পথই সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় ।
পরিবহনের সুবিধাঃ
( ১ ) পণ্য উৎপাদকের নিকট থেকে ক্রেতা বা ভােক্তার কাছে পৌছে দিয়ে পরিবহন স্থানগত উপযােগ সৃষ্টি করে ।
( ২ ) পরিবহনের মাধ্যমে সঠিক সময়ে উৎপাদকের কাছ থেকে ক্রেতা বা ভােক্তার কাছে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয় ।
( ৩ ) ভােক্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বিপণনকারী মানসম্মত পণ্য , সঠিক মূল্যে সরবরাহ করার সাথে সাথে সঠিক স্থানে সহজলভ্য করে । বিক্রেতার মাঝে যােগাযােগ স্থাপিত হয় ।
( ৪ ) পরিবহনের মাধ্যমে ক্রেতা ও
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
( ৫ ) উৎপাদকের কাছ উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করা হয় ফলে উৎপাদক পণ্য বন্টনের ব্যাপারে চিন্তামুক্ত থাকে ।
গুদামজাতকরণের ধারণাঃ সভ্যতার বিকাশ ঘটার সাথে সাথে পণ্য উৎপাদনে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটল । আর এ সাথে প্রয়ােজন দেখা দিল পণ্যদ্রব্য সংরক্ষণের । প্রয়ােজনের অতিরিক্ত উৎপাদিত পণ্য ভবিষ্যতের প্রয়ােজন মেটানাে ও নষ্ট হবার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য গুদামজাতকরণের প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেয় ।
গুদামজাতকরণ ( বা পণ্য সংরক্ষণ ) বিপণনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ । পণ্য উৎপাদনের পর ব্যবহার হওয়া পর্যন্ত মজুদ করে গুদামজাতকরণ সময়গত উপযােগ ( Time utility ) সৃষ্টি করে । বিপণনের প্রায় প্রত্যেক পর্যায়েই পণ্য সংরক্ষণের প্রয়ােজন হয় । পণ্যের উৎপাদন ও চূড়ান্ত বিক্রয়ের মধ্যবর্তী সময়ে সঠিক অবস্থায় পণ্য নিরাপদে রাখাকেই সংরক্ষণ বলা যায় ।
সংরক্ষণ কার্য বন্টন পণনেরাপদে রচেসংরক্ষণ প্রণালির প্রায় সর্বস্তরেই সম্পাদিত হয়ে থাকে । উৎপাদক যেমন তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত নিজের কাছে রেখে দেয় , ঠিক অনুরূপভাবে পরিবহন এজেন্সী , পণ্যাগার কর্তৃপক্ষ এবং পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মতাে অন্যান্য মধ্যস্থব্যবসায়ীগণও পণ্য সংরক্ষণ করে থাকে ।
গুদামজাতকরণের সুবিধাঃ
( ১ ) পণ্য সংরক্ষণ করে মৌসুমের বাড়তি উৎপাদন বছরের অন্যান্য সময়ে ব্যবহারের জন্য ধরে রাখা যায় । তাই সংরক্ষণের মাধ্যমে সময়গত উপযােগের সৃষ্টি হয় ।
( ২ ) পণ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে ব্যবসায়িক উত্থান – পতনের প্রতিকূলতা মােকাবেলা করা যায় । যখন ব্যবসায় মন্দা চলতে থাকে , তখন উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ করা হলে তা উৎপাদনের বর্তমান গতি অব্যাহত রাখে ।
( ৩ ) পণ্য সংরক্ষণ করে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সমন্বয় বিধান করা যায় । চাহিদা ও সরবরাহের এরূপ সমন্বয় বাজারে পণ্যের উঠা – নামা হ্রাস করে , ফলে মূল্যে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
( ৪ ) সাধারণত পণ্য সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী বহুল পরিমাণে পণ্য একত্রিত করে । অধিক পণ্য সংগ্রহ এবং গুদাম ঘরে সরবরাহ করার ফলে পরিবহন ব্যয় হ্রাস পায় ।
( ৫ ) স্বনামধন্য পণ্যাগারে পণ্য সংরক্ষণ করে পণ্যের মালিক মালিকানার সাথে জড়িত কতিপয় ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে । পণ্যাগার কর্তৃপক্ষ ঝুঁকির কিছু অংশ নিজেই বহন করে ।
( ঘ ) প্রমিতকরণ ও পৰ্যায়িতকরণের ধারণা ও সুবিধা
প্রমিতকরণের ধারণাঃ ইংরেজি Standardization শব্দটির আভিধানিক অর্থ প্রমিতকরণ বা মান নির্ধারণ । মান বা ( Standard ) শব্দটি থেকে মান নির্ধারণ কথাটির উৎপত্তি । মান হলাে যেকোন কিছুর গুণাগুণের ( Quality ) একটি পরিমাপ । এর মধ্যে নিহিত থাকে সমরূপতার ( Uniformity ) ধারণা । বিপণন শাস্ত্রে মান বলতে কোন দ্রব্যের বাহ্যিক বা নৈসর্গিক মানকে ( Physical ) বুঝায় । যেকোন পণ্যদ্রব্যের ওজন , আকার , মজবুতি , রং বা বর্ণ , স্থায়িত্ব , অবয়ব বা অন্যান্য বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য মান ARFAT ACADEMY ) এর অন্তর্ভুক্ত ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
প্রমিতকরণ স্ট্যান্ডার্ড বা মানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত । প্রমিতকরণ হচ্ছে কতিপয় নির্ণায়ক ( Criteria ) নির্ধারণ করা , যার সাথে পর্ণ্যদ্রব্যের হুবহু মিল থাকবে ।
আর বাহ্যিক মানসমূহই হলাে নির্ণায়ক । যখন কোন একটি পণ্য প্রমিতকরণ করা হয় , তখন এ দ্বারা বুঝানাে হয় যে নির্দিষ্ট মানের সাথে পণ্যের সাদৃশ্য রয়েছে । আরও সােজা কথায় বলা যায় , পণ্যের সুনির্দিষ্ট মান । স্থির করাই হচ্ছে মান নির্ধারণ বা প্রমিতকরণ । পণ্যদ্রব্যের কতিপয় বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে মান নির্ধারণ করা হয় । সুনির্দিষ্ট মান স্থির করার পর পণ্যদ্রব্য পর্যায়িত করা হয় ।
প্রমিতকরণের সুবিধাঃ
( ১ ) পণ্য বিপণনে সুবিধার জন্য প্রমিতকরণের মাধ্যমে পণ্যের গুণাগুণ , আকার , ওজন ইত্যাদি অনুযায়ী পণ্যকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায় ।
( ২ ) নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে প্রমিতকরণে পণ্যের মান নির্ধারণ করা হয় ।
( ৩ ) পণ্যের মানের বিভিন্নতা অনুযায়ী প্রমিতকরণের মাধ্যমে পণ্যকে ভাগ করা হয় বলে পরবর্তীতে সে অনুযায়ী পণ্যকে সংরক্ষণ , পরিবহন , বিজ্ঞাপনসহ ইত্যাদি বিপণনকার্য সম্পাদন করা হয় ।
( ৪ ) বিভিন্ন মানের পণ্য বাজারে থাকার কারণে ক্রেতা বা ভােক্তা তার সামর্থ্য ও রুচি অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন করতে পারে , ফলে ক্রেতা বা ভােক্তার সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব ।
( ৫ ) পণ্যের মান নির্ধারিত থাকলে পণ্যের গুণগত মান , আকার ইত্যাদি অনুযায়ী মােড়কিকরণের ক্ষেত্রে সুবিধা হয় ।
পর্যায়িতকরণের ধারণাঃ প্রমিতকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কতিপয় মান স্থির করা হয় । প্রতিষ্ঠিত মানসমূহকে ‘ গ্রেড ‘ বলা হয় । এসব মান বা গ্রেডের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকার কৃষিপণ্য ও শিল্পজাত পণ্যকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয় । একইরূপ বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পণ্যদ্রব্যের শ্রেণী বিভাজন প্রক্রিয়াকে বলা হয় পর্যায়িতকরণ । পূর্বনির্ধারিত মান পর্যায়িতকরণের মূল ভিত্তি । সুতরাং দেখা যাচ্ছে , পর্যায়িতকরণ ও প্রমিতকরণ একটি অপরটির সাথে জড়িত- একটিকে ছাড়া অপরটি অচল । প্রমিতকরণ ব্যতীত পর্যায়িতকরণ অর্থহীন , তেমনি প্যায়িতকরণ ব্যতীত প্রমিতকরণ বা মান নির্ধারণ সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।একইরূপ গুণাগুণ সম্পন্ন পণ্যের কোন মানের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে তা নির্ণয় করার একটি পন্থা হলাে পণ্যের প্যায়িতকরণ । উদাহরণস্বরূপ , আলু ব্যবসায়ী আলুকে চাষের উৎপত্তি স্থান বা আকার অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করতে পারে ।
পর্যায়িতকরণের সুবিধাঃ
( ১ ) বিক্রয়ের পূর্বে পণ্য পর্যায়িতকরণ করে নিলে সেই অনুযায়ী বিক্রয়ের কাজ তুলনামূলকভাবে সহজে করা যায় ।
( ২ ) ক্রেতা বা ভােক্তাদের বিভিন্নতার কারণে একই ধরনের পণ্য দিয়ে তাদের সবাইকে সন্তুষ্ট করা যায় না । তাই পৰ্যায়িতকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্রেতা বা ভােক্তার বিভিন্ন প্রয়ােজন বা চাহিদা পূরণ করা যায় । ও ভােক্তাদের মধ্যে বিপণনকারী সম্পর্কে অনুকূল ধারণা
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
( ৩ ) পণ্য পর্যায়িতকরণের ফলে ক্রেতা ও ভােক্তাদের তৈরি করা যায় ।
৪ ) প্রমিতকরণ অনুযায়ী পণ্য পর্যায়িতকরণের ফলে মানের বিভিন্নতা অনুযায়ী সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব হয় ।
( ৫ ) পণ্যের প্যায়িতকরণ করা থাকলে পণ্যের ভিন্নতা অনুযায়ী অভিষ্ট ভােক্তা সনাক্ত করে তাদের কাছে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয় ।
( ঙ ) মােডকিকরণের ধারণা ও গুরুত্ব
মােড়কিকরণের ধারণাঃ সাধারণ অর্থে , মােড়কিকরণ হলাে পণ্যকে বিপণনযােগ্য করার জন্য প্যাকিং বা মােড়ক – বাঁধাই করার কাজ । শিল্পজাত পণ্যের ক্ষেত্রে মােড়ক – বাঁধাই অধিক প্রয়ােজনীয় । কৃষিজাত পণ্যের মধ্যে পাস্তুরিত দুধ , মাছ – মাংস ইত্যাদি প্যাকিং করে ( প্রক্রিয়াজাতের পর ) বিক্রয় করা হয় ।
কেবলমাত্র বিনষ্টের হাত থেকে রক্ষার জন্য পণ্য প্যাকিং করা হয় না , পণ্যকে ভােক্তা বা ব্যবহারকারীর নিকট আকর্ষণীয় করে তােলাও মােড়কিকরণের অন্যতম উদ্দেশ্য । সুতরাং , মােড়কিকরণ হলাে পণ্যের নির্দিষ্টমান সংরক্ষণ , পরিবহন ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পণ্যের মােড়ক নির্ধারণ , নক্সাকরণ , উন্নয়ন ও পণ্যের গায়ে লাগানাের সাথে জড়িত সকল কাজের সমষ্টি ।
মােড়কিকরণের গুরুত্বঃ
( ১ ) মােড়কিকরণের মাধ্যমে পণ্যের মান ও গুণগত বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় ।
( ২ ) পণ্যের মােড়কিকরণ করা থাকলে প্রতিকূল আবহাওয়া , চুরি , অবহেলাজনিত নষ্ট ইত্যাদি সমস্যা থেকে পণ্যকে রক্ষা করা যায় ।
( ৩ ) পণ্যের আকর্ষণীয় নক্সা , রং , ছবি ইত্যাদির মাধ্যমে ক্রেতা ও ভােক্তাকে আকর্ষণ করা যায় ।
( 8 ) পন্য মােড়কিকরণের মাধ্যমে । সহজেই পণ্যটিকে সনাক্ত করা যায় ।
( ৫ ) মােড়কিকরণের মাধ্যমে পণ্যের ব্রান্ড ভ্যালু সুরক্ষিত থাকে ।
৬ ) মােড়কে পণ্যের সকল প্রয়ােজনীয় তথ্য দেওয়া থাকে যেমন পণ্যের ওজন , উপকরণ , ব্যবহার বিধি , উৎপাদনকাল ইত্যাদি ।এরফলে ক্রেতা ও ভােক্তা পণ্য সম্পর্কে সহজে জানতে পারে ।
( ৭ ) পণ্য মােড়কিরণের ফলে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পণ্য পরিবহন করা সহজ হয় ।
( ৮ ) একটি পণ্যকে অন্য পন্য থেকে সহজেই পৃথক করা যায়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক