শ্রেণি: HSCভোকেশনাল -2021 বিষয়: পদার্থ বিজ্ঞান (১) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021 |
---|
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 06 বিষয় কোডঃ 81412 |
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা |
অ্যাসাইনমেন্ট/ শিরো নাম : অভিকর্ষজ ত্বরণের মান পৃথিবীর সব জায়গায় ও সবসময় এক থাকেনা, ব্যাখ্যা কর।
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- মহাকর্ষীয় ধ্রুবক ও অভিকর্ষজ ত্বরণের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- মহাকর্ষীয় বল ও অভিকর্ষ ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- মহাকর্ষ সূত্র প্রয়োগ করতে পারবে।
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
- অভিকর্ষ
- অভিকর্ষজ ত্বরণ
- মহাকর্ষীয় ধ্রুবক ও অভিকর্ষজ ত্বরণের সর্ম্পক
- অভিকর্ষজ ত্বরণ – G -এর পরিবর্তন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
পৃথিবী ও অন্য যেকোনো বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাই অবিকর্ষ। অর্থাৎ অভিকর্ষ হলো এমন একটি শক্তি বা বল যার মাধ্যমে পৃথিবী তার কেন্দ্রাভিমুখে সকল বস্তুকে আকর্ষণ করে। বিশেষত এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছাকাছি জিনিসগুলিকে প্রভাবিত করে। এটি ভর বা শক্তি দিয়ে সমস্ত জিনিস একে অপরের দিকে টান দেয়। সেই বলকে অভিকর্ষ বা অভিকর্ষ বল বা মাধ্যাকর্ষণ বল বা Gravity বলে।
কোনো বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণকেই অভিকর্ষ বলা হয়। যেমনঃ যখন কোনও বস্তু পৃথিবীর দিকে পড়ে তখন তা দ্রুত এবং দ্রুততর হয় অর্থাৎ গাছের ফল মাটিতে পড়ে। এখানে পৃথিবী যেমন ফলকে অকর্ষণ করে তেমনি ফলটিও পৃথিবীকে আকর্ষণ করে। পৃথিবী অনেক বড় এবং আকর্ষণ বল অনেক বেশি হওয়ায় ফল মাটিতে পড়ে।
তাই বলা যায় যে, পৃথিবী ও অন্য যেকোনো বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাই অবিকর্ষ।
মাধ্যাকর্ষণ/অভিকর্ষ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তা ছাড়া পৃথিবীতে বাঁচতে পারি না। সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীকে চারপাশে কক্ষপথে রাখে এবং আমাদেরকে সূর্যের আলো এবং উষ্ণতা উপভোগ করতে আরামদায়ক দূরত্বে রাখে। এটি আমাদের বায়ুমণ্ডল এবং বায়ুকে নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারে। মাধ্যাকর্ষণ/অভিকর্ষ/Gravity যা আমাদের বিশ্বকে একত্রে ধারণ করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
অভিকর্ষজ ত্বরণ ওপর থেকে পড়ন্ত বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হার। অভিকর্ষের কারণে ওপর থেকে ছেড়ে দেয়া বস্তু ভূপৃষ্ঠের দিকে ধাবিত হয় এবং যতই ভূপৃষ্ঠের (তথা ভূ-কেন্দ্রের) নিকটবর্তী হয় এর পতনের বেগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। পতনকালে প্রতি সেকেণ্ডে বেগ যতটুকু বৃদ্ধি লাভ করে তা-ই ‘অভিকর্ষজ ত্বরণ’ হিসেবে পদার্থ বিজ্ঞানে অভিহিত। অভিন্ন বস্তু তথা একই ভরের বস্তু পতনকালে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ত্বরণ পরিলক্ষিত হয়। ভূ-কেন্দ্রের নৈকট্যের কারণে ত্বরণ বৃদ্ধি পায়।
পৃথিবী ও অন্য যে কোন বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ বল তাকে অভিকর্ষ বল বলা হয়। নিউটনের ২য় সূত্র অনুযায়ী বল প্রয়োগে বস্তুর ত্বরণ হয়। সুতরাং অভিকর্ষ বলের প্রভাবেও ত্বরণ হবে। অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ ( Gravitational acceleration) বলে। একে g দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
মহাকর্ষের বিশেষ উদাহরণ হলো মধ্যাকর্ষণ বা অভিকর্ষ। যার কারণে ভূপৃষ্ঠের উপরস্থ সকল বস্তু ভূকেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হয়। মধ্যাকর্ষণের প্রভাবেই উপরিস্থিত বা ঝুলন্ত বস্তু মুক্ত হলে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। মধ্যাকর্ষণের প্রভাবে ভরসম্পন্ন বস্তুসমূহে ওজন অনুভূত হয়। একটি বস্তুর ভর যত বেশি হয়, মধ্যাকর্ষণের প্রভাবে তার ওজনও তত বেশি।
বিজ্ঞানী নিউটন সর্বপ্রথম মহাকর্ষ বলের গাণিতিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এটি নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র নামে পরিচিত। আধুনিক পদার্থবিদ্যায় মহাকর্ষ সবচেয়ে সঠিকভাবে আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব (আইনস্টাইন দ্বারা প্রস্তাবিত) দ্বারা বর্ণনা করা হয়।
আইনস্টাইনের মতে স্থান-কালের বক্রতার কারণেই মহাকর্ষ বল সৃষ্টি হয়। এই মধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকার কারণেই মানুষ পৃথিবীর উপর চলাফেরা করতে পারছে, বৃষ্টির পানি নিচে মাটিতে আসে, গাছের ফল জমিনে পড়ে, বাতাস পৃথিবীর সঙ্গে লেগে থাকে। শুধু তাই নয় পৃথিবী হতে কোন বস্ত্তর দুরত্ব যতই বাড়তে থাকে ততই তার ওজন কমতে থাকে।
আর যদি মধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যবস্থা মহান স্রষ্টা না করতেন তবে পৃথিবীর সব কিছু মহাশূন্যে হারিয়ে যেত, তা আর পাওয়া যেত না।
অপরদিকে, অভিকর্ষজ বল হলো পৃথিবী তার কেন্দ্রাভিমুখে উপরস্থ সকল বস্তুকে যে বলে আকর্ষণ করে সেই বল। সর্বপ্রথম নিউটন অভিকর্ষজ বল সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। কথিত আছে, একদিন নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে ভাবছিলেন এমন সময় তার মাথায় একটি আপেল এসে পড়ে। আপেলটি কেন মাটিতে পড়ল এই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেই তিনি অভিকর্ষ বা মহাকর্ষ বল সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন। এই সৌরজগতের যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ বল কাজ করে তাকে মহাকর্ষীয় বল বলে। আর এই দুটি বস্তুর মধ্যে একটি যদি পৃথিবী হয় তখনি এই বলকে অভিকর্ষজ বল বলে। অভিকর্ষজ বল ‘মাধ্যাকর্ষণ শক্তি’ নামেও সাধারণের কাছে পরিচিত, যদিও বল ও শক্তি এক জিনিস নয়। সুতরাং অভিকর্ষ বল মহাকর্ষ বলের একটি অংশ। বিশ্বে যে চার প্রকারের মৌলিক বল রয়েছে তার মধ্যে একটি হল মহাকর্ষীয় বল।
মহাকর্ষ ধ্রুবক
- 1kg ভরবিশিষ্ট দুটি বস্তু 1m দূরত্বে থেকে যে বলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে তাকে মহাকর্ষ ধ্রুবক বলে।
- মহাকর্ষ ধ্রুবককে G দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
- মহাকর্ষ ধ্রুবক একটি সার্বজনীন ধ্রুবক বলে স্থানভেদে এর মান অপরিবর্তিত থাকে।
- মহাকর্ষ ধ্রুবক G-এর মান হচ্ছে 6.674×10−11 Nm2kg−2।
- G-এর মাত্রা [L3M−1T−2]।
অভিকর্ষ ত্বরণ
- অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূ-পৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষ ত্বরণ বলে।
- অভিকর্ষজ ত্বরণকে g দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
- অভিকর্ষজ ত্বরণের মান সার্বজনীন নয় বলে এর মান স্থানভেদে পরিবর্তিত হয়।
- অভিকর্ষজ ত্বরণ g এর মান হচ্ছে 9.8ms−2 বা 9.81ms−2।
- g-এর মাত্রা LT−2।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
পৃথিবীর আহ্নিক গতির জন্য অভিকর্ষজ ত্বরণ বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
পৃথিবী সুষম গোলক না হওয়ায় পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠের সকল স্থান সমদূরে নয়। যেহেতু g এর মান পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে দূরত্বের উপর নির্ভর করে, তাই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে g এর মানের পরিবর্তন হয়।
বিষুবীয় অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ সবচেয়ে বেশি হওয়ায় g এর মান সবচেয়ে কম (৯.৭৮ মিটার/সেকেন্ড২)। বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে যত যাওয়া যায়, ব্যাসার্ধ তত কমতে থাকে এবং g এর মান বাড়তে থাকে (৯.৮৩ মিটার/সেকেন্ড২) । মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ সবচেয়ে কম হওয়ায় g এর মান মেরু অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি।
আহ্নিক গতির জন্য g এর মান পরিবর্তন হয়। কারন g বলতে অভিকর্ষ বলকে বুঝায় অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠে কোন বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণ। আহ্নিক গতি হলো পৃথিবীর নিজ অক্ষের সাপেক্ষে যে ঘূর্ণন।
এই ঘূর্ণন ভূপৃষ্ঠে সকল বস্তুকণা এবং বায়ুমন্ডল সহ। পৃথিবী যেহেতু অনেকটা গোলক আকৃতির তাই ভূপৃষ্ঠে থাকা বস্তু গুলো একটা বৃত্তাকার গতি প্রাপ্ত হয়(যদিও স্বাভাবিক ভাবে সেটা বুঝার উপায় নেই)।
এই গতির ফলে একটা কেন্দ্র বহির্মুখী বলের সৃষ্টি হয়। যেহেতু g হল একটি কেন্দ্র মুখি বল তাই আহ্নিক গতির ফলে সৃষ্ট কেন্দ্র বহির্মুখী g এর মান কে কমিয়ে দেয়। জানিনা বুঝতে পারছেন কিনা। একটু জটিল করে বলে ফেলছি। এটা আসলে চিত্র হলে অনেক সহজে বুঝানো যায়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,
৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :
- মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
- ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট লিংক
1 thought on “২০২১ সালের এইচএসসি ভোকেশনাল ১১শ শ্রেণি পদার্থ বিজ্ঞান (১) ৮ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান 2021”