অ্যাসাইনমেন্ট : সবজির চারা উৎপাদন ও রোপন এবং অঙ্গজ বংশ বিস্তার
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- ৩.১ বিভিন্ন সবজি উৎপাদনে বীজের হার ও বীজ তলায় বীজবপন পদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারবে
- ৩.২ চারা উত্তলন, চারা রোপন পরবর্তী পরিচর্যা ব্যাখ্যা করতে পারবে
- ৩.৩ সবজির উৎপাদনে অঙ্গজ বংশ বস্তার পদ্ধতি বর্ণনা করতে পারবে
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
- ১. বীজের হার ও বপন পদ্ধতি বর্ণনা করতে হবে
- ২. চারা উত্তলন বর্ণনা করতে হবে
- ৩. অঙ্গজ বংশ বিস্তার বর্ণনা করতে হবে
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
১. বীজের হার ও বপন পদ্ধতি বর্ণনা করতে হবে
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
২. চারা উত্তলন বর্ণনা করতে হবে
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৩. অঙ্গজ বংশ বিস্তার বর্ণনা করতে হবে
অযৌন প্রক্রিয়াই মুখ্য। এর কারণ এসব সবজির বীজ উৎপাদন কষ্টকর। অধিকাংশ সময় এসব অঙ্গজ অঙ্গ সংগ্রহ করা যায় সহজেই এবং অল্প পরিশ্রমে।
অঙ্গজ বংশবিস্তারে ব্যবহৃত উপকরণের নাম সবজির অযৌন বা অঙ্গজ বংশবিস্তারে বিভিন্ন অঙ্গ বা উপকরণ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এগুলো হচ্ছে:-
১। শাখাকলম (Stem cutting)
২। শুল্ককন্দ (Culb)
৩। গুঁড়িকন্দ (Corm)
৪। রাইজোম (Rhizomes)
৫। কন্দ (Tuber)
৬। টিউবারকল বা বুলবিল (Tubercle)
৭। গুঁড়িচারা (Sucker)
৮। কন্দমূল (Tuberous root)
বংশবিস্তারকারী উপকরণগুলোর বৈশিষ্ট্য:
উপরোক্ত উপকরণগুলোর বৈশিষ্ট্য এবং কোন কোন সবজিতে এগুলো ব্যবহৃত হয় তা নিম্নে বর্ণনা করা হল:
১। শাখাকলম (Stem cutting): কাণ্ডের টুকরা অংশ ব্যবহার করে নতুন গাছ উৎপাদন করাকে শাখাকলম বলে। উদাহরণস্বরূপ মিষ্টি আলু, পুঁইশাক, কলমিশাক, পটল ইত্যাদি বংশবিস্তারে ব্যবহৃত কাণ্ডের টুকরা অংশ কমপক্ষে ২-৩ টি আইকসহ ৩০ সে.মি. লম্বা হতে হবে। কাণ্ডটির কিছু অংশ মাটির নিচে রেখে দিতে হবে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
২। শুল্ককন্দ (Culb): এটি একটি বিশেষ ধরনের রূপান্তরিত কাণ্ড যা খাটো প্রকৃতির এবং গোলাকার চাকতির মত। এটি ভূনিম্নস্থ
যা রসালো শুল্কপত্র দ্বারা আবৃত থাকে। শুল্কপত্র হল পাতার রূপান্তরিত নিম্নাংশ। শল্ককন্দে একটি শীর্ষমুকুল থাকে, যা থেকে নতুন গাছের সৃষ্টি হয়। শল্ককন্দ ও কোয়া ব্যবহার করে পেঁয়াজ ও রসুনের বংশবিস্তার করা হয়।
৩। গুঁড়িকন্দ (Corm): এটি একটি ভূ-নিম্নস্থ রূপান্তরিত কাণ্ড। কাণ্ডের অক্ষের নিম্নাংশ নিরেট ও মাংসল অঙ্গে পরিণত হলে তাকে বলা হয় গুঁড়িকন্দ। এর গায়ে সমান্তরাল রেখার আকারে পত্রদাগ (Leaf scar) থাকে। কচু জাতীয় সবজিগুলোতে বংশবিস্তার
করতে গুঁড়িকন্দ ও মুখী ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৪। রাইজোম (Rhizomes): রাইজোম এক ধরনের রূপান্তরিত কাণ্ড, যা মাটিসংলগ্ন বা মাটির ভেতরে পাশের দিকে বিস্তার লাভ করে। আদা, হলুদ ইত্যাদি বংশবিস্তার রাইজোমের সাহায্যে করে থাকে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৫। কন্দ (Tuber): কন্দ একটি ভূ-নিম্নস্থ রূপান্তরিত কাণ্ড। কাণ্ডের ভূ-নিম্নস্থ শাখার অগ্রভাগ খাদ্য সঞ্চিত হওয়ার দরুন স্ফীত হয়ে টিউবার উৎপাদন করে। এর গায়ে অবস্থিত চোখসমূহ কাণ্ডের কাক্ষিক কুঁড়ির অবস্থান নির্দেশ করে। সাধারণত চোখের নিচে শল্কপত্র থাকে। টিউবার দিয়ে আলুর বংশবিস্তার করা যায়।
৬। টিউবারকল বা বুলবিল (Tubercle): কাণ্ডের ভূ-উপরস্থ কক্ষের কুঁড়ি অনেক সময় স্বাভাবিক শাখায় পরিণত না হয়ে রূপান্তরিত হয়ে স্ফীত, গোলাকার, মাংসল অঙ্গ সৃষ্টি করে। এদেরকে টিউবারকল বা বুলবিল বলা হয়। মোটে আলু এর সাহায্যে বংশবিস্তার করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
৭। গুঁড়িচারা (Sucker): উদ্ভিদের কাণ্ডের ভূসংলগ্ন অংশ বা মূল থেকে পার্শ্বমুকুল বের হয়। প্রথমাবস্থায় এগুলো মাতৃ উদ্ভিদ থেকে খাদ্যগ্রহণ করে। পরে নিজস্ব শিকড় ও পত্র পল্লব উৎপাদন করে স্বয়ংসম্পূর্ণ উদ্ভিদে পরিণত হয়। উদ্ভিদের প্রকৃতি অনুযায়ী এগুলো সাকার, অফসুট, অফসেট, স্লিপ, ডিভিশন, রেটুন ইত্যাদি বলা হয়। গুঁড়িচারা কাণ্ডজ বা মূলজ হতে পারে। মানকচু গুঁড়িচারা উৎপাদন করে। বাঁধাকপি, ফুলকপির ফস সংগ্রহের পর পরিত্যক্ত অংশ থেকে গুঁড়িচারা বের হয়, যা প্রজননে কাজে লাগে।
৮। কন্দমূল (Tuberous root): এটি একটি ভূ-নিম্নস্থ মূল। খাদ্য জমা হয়ে স্ফীত হয়ে উঠে। এদের গায়ে অস্থানিক মূল থাকে যা থেকে চারা বের হয়। মিষ্টি আলু, চারকোণী শিম, কাকরোল ইত্যাদির বংশবিস্তার কন্দমূল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
অঙ্গজ বংশবিস্তারের সুবিধা-অসুবিধা:
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
সবজিতে অঙ্গজ বংশবিস্তারের সুবিধা অসুবিধা দুইই আছে। অল্প খরচে, অধিক ফসলের জন্য অঙ্গজ পদ্ধতি অনুসরণ করা হতে পারে। অনেক সময় বীজ দিয়ে অধিক ফলন আশা করা যায় না। আবার বীজের অধিক ব্যবহার এড়িয়ে খরচ এড়ানো সম্ভব। যেমন কলমিশাক প্রথমবার বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে।
অঙ্গজ বংশবিস্তারের উপকরণ সংগ্রহ করতে উন্নত কৌশল, প্রযুক্তি ও যত্ন প্রয়োজন। যা সব সময় ব্যবস্থাপা করা যায় না। যেমন- আলু সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সাইজেরর আলু গ্রেডিং করে তা হিমাগারজাত করে রাখতে হবে। তা না হলে ভালো ভালো টিউবারের অভাবে ফলন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আবার টিউবারের কর্তিত অংশ জীবাণুমুক্ত করে না নিলে তাতে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। একস্থান থেকে অন্যস্থানে পরিবহনের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দেয়।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
- ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
- ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
- ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক