২৩ বছরের করুণ ইতিহাস বলতে কী বােঝানো হয়েছে ?,আমি প্রধানমন্ত্রিত চাই না- এ উক্তির কারণ ব্যাখ্যা কর,আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না”- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ। “তােমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা” বলতে কী বােঝানাে হয়েছে ?

বিষয়: ২৩ বছরের করুণ ইতিহাস বলতে কী বােঝানো হয়েছে ?,আমি প্রধানমন্ত্রিত চাই না- এ উক্তির কারণ ব্যাখ্যা কর,আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না”- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ। “তােমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা” বলতে কী বােঝানাে হয়েছে ?

২৩ বছরের করুণ ইতিহাস বলতে কী বােঝানো হয়েছে ?

উত্তর : ২৩ বছরের করুণ ইতিহাস বলতে ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের পূর্ব পর্যন্ত বাঙালির নানাভাবে নিপীড়িত-নির্যাতিত হওয়াকে বোঝানো হয়েছে।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শাসকগােষ্ঠী বাঙালিদের শােষণ করতে থাকে। এর বিরুদ্ধে বাঙালিরা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। প্রতিবারই বাংলার মানুষকে শাসকদের নির্দেশে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে।

তাদের এই অন্যায় আচরণ। ও শােষণের বিরুদ্ধে জাতির অনেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়ধানে এক ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বাঙালিকে ঐক্যবদ্দ করেন। সেখানে তিনি বাঙালির ২৩ বছরের করুণ ইতিহাস তুলে ধরে তাদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ার অহিবান জানান।

আমি প্রধানমন্ত্রিত চাই না- এ উক্তির কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আমি প্রধানমন্ত্রিত চাই না- এ উক্তিটির কারণ বাংলা মানুষের ন্যায্য দাবি আদায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমানের আপসহীনতা।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি ও বাঙালি জাহিসত্তা বিকাশের পুরােধা ব্যক্তি। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র কাঠামাে ভেঙে বাঙালির সার্বিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা কর্মসূচি ঘােষণা করে কারাবরণ করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরুঙ্কুশ বিজয় অর্জণ করে।

তবুও পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর প্রতিবাদে ১৯৭১ সালে ২ মার্চ বাংলায় সর্বাত্মক অসহযােগ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৭ই ঢাকার রেসকোর্স ময়ধানে তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ১৮ মিনিটের এই ভাষণে তিনি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে বংলার মানুষের অধিকার আদায়ে তার আপসহীন অবস্থান তুলে ধরেছেন।

আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না”- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না।’- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কথার মাধমে বাঙলির আপসহীন সংগ্রামের দিকটিকে নির্দেশ করেছেন।

১৯৪৭ সালে পাক্সিতান সৃষ্টির পর থেকে বাঙালি জাতি নানাভাবে পশ্চিম-পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর দ্বারা বস্কানার শিকার হয়ে আসছিল। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর তারা নতুনভাবে ষঢ়যন্ত্র শুরু করে। বঞ্চনার সাথে যুক্ত হয় নিপীড়ন, অত্যাচার।

এই পটভূমিতেই ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ১৮ মিনিটের ওই ভাষণে তিনি বাঙালিরমুক্তি না হওয়া পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের আহবান জানান। এখানে তিনি প্রম্নোক্ত উক্তিটি করেন। যার মাধ্যমে নিপীড়িত বাঙালি জাতির আপসহীন সংগ্রামী মনোভাবের দিকটি উঠে এসেছে।

“তােমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা” বলতে কী বােঝানাে হয়েছে ?

উত্তর : “তােমার আমরা ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা” – বলতে বাঙালি জাতি বােঝাতে চেয়েছে যে, নদীবিধৌত এ পূর্ব বাংলা তাদের ঠিকানা।
বাংলার মানুষের অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে বাংলার নদ-নদী। এই নদীবিধৌত পূর্ব বাংলা বাঙালির প্রকৃত ঠিকানা।

এই পরিচয় বাংলার মানুষের শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ১৯৭১ সালে। প্রতিবাদী মানুষ এদেশের প্রকৃতি পরিবেশ ও নদীকে অম্ভঙ্গে গেঁথে নেয়। তাই তারা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের প্রকাশ ঘটনায় প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মাধ্যমে।


আরো ও সাজেশন:-

“মার্শাল-ল’ উইথড্র” বলতে কী বােঝানাে হয়েছে ?

উত্তর ঃ “মার্শাল-ল উইথড্র” বলতে সামরিক আইন প্রত্যাহারকে বােঝানাে হয়েছে। মার্শাল ল’ হচ্ছে সামরিক আইন।

পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক শাসন প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার জন্য ১৯৫৮ সাল থেকে সামরিক শাসন চালু করা হয়। এই সামরিক আইন চালুর মাধ্যমে পাকিস্তানের তৎকালীন পাকিস্তানের তৎকালীন শাসকগােষ্ঠী বাঙালির রাজনৈতিক অধিকার খুব করেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে এই সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবি করেন।

“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”- উকিইতট বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংঘ্রাম” বলতে বাংলাদেশের স্বাধীণতা সংগ্রামকে বুঝানাে হয়েছে। ১৯৫২ সালের বাংলাদেশর মানুষ ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে।

১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে এ দেশেল ছেলেদের হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯ সালে এ দেশের মানুষ স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের পতনের জন্য সংগ্রাম করেছে। কিন্তু ১৯৭১ সালের সংগ্রামে সবকিছু ছাপিয়ে প্রদান হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার দীর্ঘদিনের পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তি। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বলেছিলেন- “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

“রক্তের দাগ শুকায় নাই।” – লাইনটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : পশ্চিম পাকিস্তানের সেনারা নিরস্ত্র বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করার স্মৃতি মন থেকে এখনও মুছে ফেলতে পারেনি।
পূর্ব পকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একচেটিয়া বিজয় অর্জন করার পরও সামলিক বাহিনী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা দেয়নি।

সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণ শান্তিপূর্ণ হরতাল পাল করার সময় মিলিটারি তাদের উপর গুলি চালায়। এর পর শাসকগােষ্ঠী অ্যাসেম্বলি ডাকলে শেখ মুজিব দুঃখভারাক্রান্ত মনে অপরাগতা প্রকাশ করে বলে, “রক্তের দাগ শুকায় নাই।”

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও

Leave a Comment