বায়ুপ্রবাহের কারণে গতিশক্তি উৎপন্ন হয়, আর এ গতিশক্তিকে যান্ত্রিক বা বিদ্যুত্শক্তিতে রূপান্তরের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তা-ই উইন্ডমিল। একে বাংলায় বায়ুকল বলে। বাতাসের গতি কাজে লাগিয়ে যান্ত্রিক শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই যন্ত্র দিয়ে সরাসরি পানি তোলা, কাঠ কাটা ও পাথর কাটা মতো কাজ করা যায়।
উইন্ডমিল সাধারণত পাখা দিয়ে তৈরি হয়। প্রয়োজন বুঝে এতে দুই বা তারও বেশি পাখা বসানো হয়। সরু বা প্রশস্ত দুই ধরনের পাখা দেখা যায়। প্রশস্ত পাখায় বাতাস বেশি লাগে; তাই ঘোরেও বেশি, তবে এসব পাখার ওজন বেশি। অন্যদিকে পাখা সরু হলে বা সংখ্যায় কম হলে ওজন কম হয়, ঘোরেও নির্বিঘ্নে। উইন্ডমিল অনুভূমিক বা উলম্ব দুই রকমই হতে পারে। তবে বাতাসের প্রবাহকে সহজেই কাজে লাগানোর জন্য অনুভূমিক পাখার উইন্ডমিল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
আধুনিক উইন্ডমিলগুলোতে টার্বাইন ব্যবহার করা হয়। এটি উইন্ডমিলের পাখাগুলোর কেন্দ্রে সংযোগ হিসেবে থাকে। এটি একটি সহজ নীতির ওপর কাজ করে। বায়ু যখন টার্বাইনের পাখার মধ্য দিয়ে যায়, তখন বায়ুুর গতিশক্তি এই পাখাগুলোকে ঘুরতে সাহায্য করে। পাখাগুলোর সঙ্গে রোটর লাগানো থাকে। রোটর বায়ুর প্রবাহে পাখা ঘোরার ফলে সক্রিয় হয় এবং বাতাসের গতিশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপ দেয়। পাখা ঘোরার ফলে এর সঙ্গে সংযুক্ত মোটর ঘুরতে শুরু করে। মোটরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে গিয়ারবক্স। গিয়ারবক্সের কাজ হলো, অল্প গতিতে ঘুরতে থাকা শ্যাফটের গতিকে বেশি গতিতে রূপান্তরিত করা। এখানে শ্যাফট বলতে বোঝানো হয়েছে মোটরের দণ্ডকে, যার সঙ্গে গিয়ারবক্স লাগানো আছে।
গিয়ারবক্সের ঠিক পেছনেই থাকে জেনারেটর। জেনারেটরের কাজ হচ্ছে গিয়ারবক্সের গতিশক্তিকে ধারণ করে বিদ্যুত্শক্তিতে রূপান্তর করা। এভাবেই উইন্ডমিল বায়ুর প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। চার্লস ফ্রান্সিস ব্রুস ১৮৮৭-৮৮ সালে প্রথম আধুনিক উইন্ডমিল নির্মাণ করেন, যা একটি ব্যাটারির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জেনারেটরের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
উইন্ডমিল থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ একটি বাড়িতে, বহুতল ভবনে বা জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য সংযুক্ত থাকতে পারে। পুনর্ব্যবহার উপযোগী ও জ্বালানিবিহীন হওয়ায় বায়ুশক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
P.S.C
- ৫ম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের শখের মৃৎশিল্প প্রবন্ধে শখের হাঁড়ির উল্লেখ আছে
- পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের সুন্দরবনের প্রাণী প্রবন্ধে মদনটাকের উল্লেখ আছে
- পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের ‘অবাক জলপান’ নাটকের ‘আলুবোখারা’
- পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের ‘হাতি আর শিয়ালের গল্প’ নামক গদ্যে ‘গুবরে পোকা’র
- পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের ‘অবাক জলপান’ নাটক ‘চালতা’র
- পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের সুন্দরবনের প্রাণী প্রবন্ধে ‘গণ্ডার’
- পঞ্চম শ্রেণির আমার বাংলা বইয়ের ‘এই দেশ এই মানুষ’ প্রবন্ধে ‘তঞ্চঙ্গ্যা’দের কথা উল্লেখ আছে
- ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘জিগুরাত’-এর কথা উল্লেখ আছে
- ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ কার্যক্রমের ২জানুয়ারি-২০২০১ এর ক্লাস রুটিন
- ২০২১ সালের সকল শ্রেণীর বই ডাউনলোড করুন
3 thoughts on “৫ম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান বইয়ের এয়োদশ অধ্যায় উইন্ডমিলের উল্লেখ আছে”