তোমার চারপাশের নানা নিদর্শন উল্লেখসহ কালিমা তায়্যিবা ও কালিমা শাহাদাত এর আলোকে আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
উত্তর:
তাওহিদ আরবি শব্দ। বাংলা ভাষায় একে বলা হয় একত্ববাদ। আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে বিশ্বাস করাকে তাওহিদ বা একত্ববাদ বলা হয়।
আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা। তিনি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কেউ নেই। তিনিই হলেন একমাত্র ইলাহ। আল্লাহ তায়ালার প্রতি এরূপ বিশ্বাসই হলো তাওহিদ।
আমাদের চারপাশে সুন্দর সুন্দর ফুল, ফল, গাছপালা, তরুলতা, পশুপাখি ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে নদী-নালা, পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল, সাগর-মহাসাগর।
আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না এমন অনেক বস্তু এবং প্রাণী ও রয়েছে। এসব কিছুই সৃষ্টি জগতের অন্তর্গত।
এগুলো সৃষ্টিকর্তা ছাড়া নিজে থেকে সৃষ্টি হয়নি। নিশ্চয়ই একজন স্রষ্টা এগুলো সৃষ্টি করেছেন। তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। তার কোন সাহায্যকারী প্রয়োজন হয়নি।
কালিমা তায়্যিবা অর্থ হলো পবিত্র বাক্য। এটি তাওহিদ, ইমান ও ইসলামের মূলভিত্তি।
উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ বা মাবুদ নেই, মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর রাসূল।
এ কালিমা স্বীকার না করলে কেউ ইসলামে প্রবেশ করতে পারে না। এ কালিমার দুটি অংশ।
প্রথম অংশে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও একত্ববাদের কথা বলা হয়েছে।
আর দ্বিতীয় অংশে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর প্রতি বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে।
তাওহীদের বিশ্বাস এর জন্য প্রয়োজন পবিত্র অন্তর। অর্থাৎ প্রথমে অন্তর থেকে সব রকমের ভুল ও ভ্রান্ত বিশ্বাস দূর করতে হবে। ‘লা-ইলাহা’ দ্বারা এটাই করা হয়।
অতঃপর ‘ইল্লাল্লাহু’ দ্বারা আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা হবে।
চারপাশের নানা নিদর্শন উল্লেখসহ আল্লাহর একত্ববাদের উপর প্রতিবেদন
কালিমা শাহাদাত হলো- সাক্ষ্য দানের বাক্য।
অর্থাৎ, এ কালিমা দ্বারা ইমানের সাক্ষ্য দেওয়া হয়। এ কালিমা উচ্চারণের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদ ও মুহাম্মদ (স.)-এর রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান করা হয়।
উচ্চারণ: আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (স.) তাঁর (আল্লাহর) বান্দা ও রাসুল।
এ কালিমাও দুটি অংশে বিভক্ত।
এর প্রথম অংশে তাওহিদ বা একত্ববাদের সাক্ষ্য দেওয়া হয়।
আর দ্বিতীয় অংশে মুহাম্মদ (স.)-এর রিসালাতের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
কালিমা শাহাদাত এর মাধ্যমে আমরা এ দুটো কাজই করতে পারি।
তা ছাড়াও মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর প্রতি আমাদের বিশ্বাসের প্রমান দিতে পারি।
তাওহিদ বা আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদে বিশ্বাস আকাইদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইসলাম ও ঈমানের মূল ভিত্তি হলো তাওহীদ।
তাওহীদে বিশ্বাস না করলে কেউ মুমিন বা মুসলিম হতে পারে না।
সকল নবী-রাসুল (আ.) তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন। সকলেই ঘোষণা করেছেন যে, আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর তুল্য কিছুই নেই।
তাওহীদে বিশ্বাস মানুষকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করে। আর তাওহীদে বিশ্বাসীগণ আখিরাতে জান্নাত লাভ করবে।
J.S.C
- সহপাঠীর কোন কোন আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ তার উল্লেখ
- মনে কর তােমার ঘনিষ্ঠ একজন সহপাঠীর আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে সহায়তা করার জন্য তুমি কী কী উদ্যোগ নিতে পারাে- এ সম্পর্কিত একটি কর্মপরিকলপনা তৈরি করাে।
- ৮ম শ্রেণির ২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এ্যাসাইনমেন্ট
- রিনা ও মলি স্কুলে নতুন বই আনতে গিয়েছে। বই নিয়ে বের হওয়ার সময় তারা স্কুলের মাঠে একটি দামি মোবাইল ফোন পেল। তারা তাদের সহপাঠী রনির সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে৷ তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ফোনের প্রকৃত মালিককে এটি ফেরত দেবে। কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিতে পারে, সেই ধাপসমূহের বর্ণনা
- Class 8 Subject: Bangla Assignment Solution, 1st Week Assignment Answer 2021
- ‘সংবাদ পাইলাম, কাবুলিওয়ালার সহিত মিনির এই যে দ্বিতীয় সাক্ষাৎ তাহা নহে, ইতোমধ্যে সে প্রায় প্রত্যহ আসিয়া পেস্তা বাদাম ঘুষ দিয়া মিনির ক্ষুদ্র হৃদয়টুকু অনেকটা অধিকার করিয়া লইয়াছে।’
- আমাদের চারপাশের সৃষ্টি জগতের মাঝে মহান আল্লাহর একত্ববাদের অসংখ্য নমুনা বিদ্যমান।
- ৭ম শ্রেণীর বিষয়: ইসলামী শিক্ষা।। ১ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর ২০২১
- ৭ম শ্রেণীর বিষয়: বাংলা ব্যাকরণ ।। ১ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর ২০২১
- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রকাশিত ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম এ্যাসাইনমেন্ট
3 thoughts on “৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিষয়: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা।। ১ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর ২০২১”