৭ম শ্রেণি, বিষয়: বিজ্ঞান, ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর

৭ম শ্রেণি, বিষয়: বিজ্ঞান, ৪র্থ এসাইনমেন্ট <
এ্যাসাইনমেন্টের ক্রম: নির্ধারিত কাজ-২

অধ্যায় ও বিষয়বস্তুর শিরােনাম:
ষষ্ঠ অধ্যায় : পদার্থের গঠন পরমাণুর কণা পরমাণু ও অণু ক্ষুদ্রতম কণার মতবাদ অণু ও সংকেত সার্বজনীন দ্রাবক হিসেবে পানির ব্যবহার
এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:

প্রশ্ন ১: লিথিয়াম, পানি, খাবার লবন, চক, কার্বন, চুন, নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, অক্সিজেন, আয়ােডাইড, লােহা, ক্লোরিন ইত্যাদি কিছু পদার্থ।

ক) মৌলিক পদার্থ কাকে বলে?
খ) অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য লিখ।
গ) উদ্দীপকে উল্লেখিত পদার্থগুলােকে প্রতীক ও সংকেতের সাহায্যে প্রকাশ করে মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থ আলাদা কর।
ঘ) উল্লেখিত পদার্থগুলাের মধ্যে কাকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়? কারণ বিশ্লেষণ কর।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন – ১ : চিনিকে কেন যৌগিক পদার্থ বলা হয়?

মুল্যায়ন নির্দেশক:
নির্ভুল তথ্য ও যুক্তি সম্মত ব্যাখ্যা প্রদান।
প্রশ্নের চাহিদা অনুযায়ী উত্তর প্রদানের দক্ষতা;
প্রতীক ও সংকেতের সঠিক ব্যবহারের দক্ষতা;
প্রশ্নের অনুধাবন ক্ষমতা বিষয় বস্তুর গভীরতা প্রয়ােগ ক্ষমতা;

উত্তর দেখুন:

ক. মৌলিক পদার্থ কাকে বলে?

উত্তর: আমরা জানি প্রত্যেকটি পদার্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দিয়ে গঠিত। যেসকল পদার্থের অতি ক্ষুদ্রতম কণিকা এক অভিন্ন উপাদান দিয়ে গঠিত তাকে মৌলিক পদার্থ বলে।

অর্থাৎ যে সকল পদার্থ একটি মাত্র উপাদান দিয়ে গঠিত তাকে মৌলিক পদার্থ বলে।

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

More Assignment Answer Links==>>Click

খ) অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য লিখ।

উত্তর: অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য:

  • সংজ্ঞা: মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা কে অনু বলে আর অনুর ক্ষুদ্রতম কণা কে পরমাণু বলে।
  • অবস্থান: পরমাণু স্বাধীনভাবে থাকতে পারে না কিন্তু অন্য স্বাধীনভাবে থাকতে পারে।
  • ক্ষুদ্রতম কণা: অনুর ক্ষুদ্রতম কণা কে পরমাণু বলে আর পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণা কে ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন বলে।
  • গঠন: অনু অনেকগুলো ক্ষুদ্রতম পরমাণু দিয়ে গঠিত আর পরমাণু ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন দিয়ে গঠিত।
  • দুই বা ততোধিক একই ধরনের পরমাণু মিলে একটি মৌলিক পদার্থ গঠন করে আর দুই বা ততোধিক ভিন্নধর্মী পদার্থের পরমাণুর মিলে একটি যৌগিক পদার্থের অণুর গঠন করে।
  • পরমাণু প্রতীক দিয়ে চিহ্নিত করা হয় আর অনু সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।

গ) উদ্দীপকে উল্লেখিত পদার্থগুলােকে প্রতীক ও সংকেতের সাহায্যে প্রকাশ করে মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থ আলাদা কর:

উত্তর: উদ্দীপকে উল্লেখিত পদার্থসমূহের প্রতীক সংকেত ও মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ আলাদা করা হল-

মৌলিক পদার্থ সমূহ:

পদার্থের নামপ্রতীকসংকেত
লিথিয়ামLi
কার্বনC
নাইট্রোজেনNN2
অক্সিজেনOO2
লোহাFe
ক্লোরিনC1C12
পটাশিয়ামk
আয়োডাইডI

যৌগিক পদার্থ সমূহ:

পদার্থের নামসংকেত
পানিH2O
খাবার লবনNaCl
চকCaCO3
চুনCaO


উত্তর: সার্বজনীন দ্রাবক:
  উপরে উল্লেখিত পদার্থগুলোর মধ্যে পানি একটি সার্বজনীন দ্রাবক।ঘ) উল্লেখিত পদার্থগুলাের মধ্যে কাকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়? কারণ বিশ্লেষণ কর;

পানি সার্বজনীন দ্রাবক হওয়ার কারণ:

পানি একটি সার্বজনীন দ্রাবক, কারণ এটি জৈব ও অজৈব অনেক পদার্থকে দ্রবীভূত করে যা অন্য দ্রাবক এর পক্ষে সম্ভব নয়।

এখন আমরা একটি পরীক্ষার মাধ্যমে জানবো পানি সত্যিকারঅর্থে সার্বজনীন দ্রাবক কিনা:

পরীক্ষণ এর নাম: পানি সার্বজনীন দ্রাবক এর কারণ বিশ্লেষণ।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

পানি, টেস্ট টিউব, নানারকম পদার্থ (যেমন খাবার লবণ, সোডা, টেস্টিং সল্ট, বিট লবণ, ফিটকিরি, চিনি, ভিনেগার, স্পিরিট, ভিটামিন সি ট্যাবলেট, গ্লুকোজ ইত্যাদি)

পরীক্ষণ পদ্ধতি:

  • ১. প্রথমে আমরা টেস্টটিউবে ৫ মিলি লিটার এর মত পানি নিব।
  • ২. টেস্টটিউব নেওয়া পানির সাথে কিছু খাবার লবণ যোগ করে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিব।
  • ৩. এভাবে প্রত্যেকটি জৈব ও অজৈব পদার্থ গুলো কে পানিতে মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে পর্যবেক্ষণ করব।
  • ৪. এরপর আমরা অন্য একটি দ্রাবক যেমন স্পিরিট দিয়ে উপরে উল্লেখিত সবগুলো জৈব ও অজৈব পদার্থ গুলো দ্রবীভূত করার চেষ্টা করব।

পর্যবেক্ষণ:

  • ১. আমরা দেখতে পেলাম পানি অজৈব ও জৈব পদার্থ গুলো দ্রবীভূত করতে সক্ষম।
  • ২. অন্য দ্রাবক ইসপিরিট উপরে উল্লেখিত জৈব ও অজৈব পদার্থের মধ্যে সবগুলোকে দ্রবীভূত করতে পারেনি।

সিদ্ধান্ত:

যেহেতু পানি সবগুলো জৈব ও অজৈব পদার্থ কে দ্রবীভূত করতে সক্ষম সেহেতু আমরা পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলতে পারি।

বিশ্লেষণ:

পানি সবগুলো অজৈব ও জৈব পদার্থকে নিজের মধ্যে দ্রবীভূত করতে পেরেছে কিন্তু অন্য একটি দ্রব্য যেমন ইসপিরিট নিজের মধ্যে অন্য কোন জৈব ও অজৈব পদার্থ কে দ্রবীভূত করতে পারেনি। সুতরাং পানি একটি সার্বজনীন দ্রাবক।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন – ১ : চিনিকে কেন যৌগিক পদার্থ বলা হয়?

উত্তর: চিনিকে যৌগিক পদার্থ বলার কারণ:

যৌগিক পদার্থের সংজ্ঞা থেকে আমরা পাই, যে সকল পদার্থ অনেকগুলো মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা অর্থাৎ পরমাণু দিয়ে গঠিত সে গুলোকে যৌগিক পদার্থ বলে।

মৌলিক পদার্থকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করে অন্য কোনো বস্তুতে রূপান্তরিত করা যায় না। আবার যৌগিক পদার্থকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে একাধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। চিনিকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে C, H ও O মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। তাই চিনিকে যৌগিক পদার্থ বলা হয়।

এই ছিল তোমাদের জন্য মৌলিক পদার্থের গঠন, অনু ও পরমাণুর পার্থক্য, সার্বজনীন দ্রাবক নিয়ে আজকের আলোচনা।

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

More Assignment Answer Links==>>Click

1 thought on “৭ম শ্রেণি, বিষয়: বিজ্ঞান, ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর”

Leave a Comment