আসুন আমরা ১ জি ২ জি কি সেটা একটু জানার চেস্টা করি ।
১ জি : আপনি কথা বলবেন আমি শুনবো তারপর আমি উত্তর দিবো। দুজন একসাথে কথা বলা বা শোনা যায় না।
২জি : দু প্রান্ত থেকে দুজন কথা বলা ও শোনা এক সাথে
৩ জি : কথা বলা, শোনা ও ছবি দেখা
৪ জি/ ৫ জি : আরো সচ্ছ ছবি দেখা, কথা বলা ও শোনা
৩,৪,৫ জি ডাটা এনক্রিপশন রেটের তারতম্যের জন্য ই এই টার্ম ব্যাবহার হয়।
৪ জি তো এখনই ভারতে আছে। বেশি সময় লাগবে না ৫ জি বাজারে আনতে। যত বেশি ডাটা খরচ ততই আয়। আয়ের কথা মাথায় রেখে দেরি করবে না।
[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]
G দ্বারা বোঝানো হয়েছে জেনারেশন। অর্থাৎ ওয়ান জি মানে নেটওয়ার্কের প্রথম জেনারেশন। টুজি মানে সেকেন্ড জেনারেশন থ্রিজি মানে থার্ড জেনারেশন। এরকম ক্রমান্বয়ে নেটওয়ার্কের জেনারেশন উন্মুক্ত হচ্ছে।
অর্থাৎ নেটওয়ার্ককে উন্নত করা হচ্ছে। নেটওয়ার্কের এই প্রত্যেকটি জেনারেশনের রয়েছে কিছু কিছু বিশেষত্ব।যখন 1G নেটওয়ার্ক 2G তে পদার্পণ করেছে সে ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়েছে এবং নতুন নতুন সুবিধা যুক্ত হয়েছে।নেটওয়ার্ক এর জেনারেশন এর উপর ভিত্তি করে আমরা এর সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারি।
প্রত্যেকটি জেনারেশনের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন ওয়ান জি নেটওয়ার্ক থেকে টুজি নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য হল -এ নেটওয়ার্ক আপনি ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু ওয়ান জি নেটওয়ার্ক ভ্রাম্যমান ভাবে ব্যবহার করা যেত না। নির্দিষ্ট জায়গায় স্থির হয়ে ব্যবহার করতে হতো। কোন সিম কার্ড ব্যবহার করা যেত না। আপনি যদি কথা বলা অবস্থায় স্থান পরিবর্তন করতেন তাহলে আপনার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত এবং আপনার ফোনের লাইনটি কেটে যেত। যখন 1জি নেটওয়ার্ক 2 জি নেটওয়ার্কে পরিবর্তন করা হয় তখন ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় অর্থাৎ আপনি স্থান পরিবর্তন করলেও আপনার ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত না।এবং আপনি ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করতে পারতেন। অর্থাৎ আমরা সর্বপ্রথম ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করতে পেরেছি টুজি নেটওয়ার্ক থেকে। এছাড়া আপনি সিমকার্ড ব্যবহার করতে পারছেন ২ জি নেটওয়ার্ক থেকে।
এভাবেই নেটওয়ার্কের উন্নতি সাধনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের জেনারেশন পরিবর্তন করা হয়। যেমন 2g থেকে 3g এর ইন্টারনেটের স্পিড অনেক বেশি। এবং 3g নেটওয়ার্কে ভিডিও কলিং এর সুবিধা যুক্ত করা হয়। জা ২ জি নেটওয়ার্কের ছিল না।
আর্টিকেলটিতে 1G, 2G,3G,4G নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া কত সাল থেকে কত সালের মাঝে নেটওয়ার্ক প্রজন্মের বিবর্তন ঘটেছে তার বিস্তারিত রয়েছে!
সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
আমরা বর্তমানে যে মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করছি শুরুতেই কি তা এমন ছিল? অবশ্যই না।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি উন্নয়নের ফলে মোবাইল ফোনের বর্তমান রূপ লাভ করেছে। উন্নয়নের এক একটি পর্যায় বা ধাপ কে মোবাইল ফোনের প্রজন্ম নামে অভিহিত করা হয়।1940 সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করে। সে সময় মোবাইল ফোনের কার্যক্ষমতা ছিল খুবই কম দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং সীমিত এলাকাভিত্তিক। হাজার 979 সালে এশিয়ার সর্ববৃহৎ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি জাপানের এনটিটিসি(Nippon Telegraph and telephone Corporation) বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মোবাইল ফোন বা সেলুলার ফোন উৎপাদন শুরু করে।
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন থেকে বর্তমান পর্যন্ত কোন উন্নতির সময়কালকে চারটি প্রজন্মে ভাগ করা হয়।
প্রজন্ম চারটি হল-
১- প্রথম প্রজন্ম (first generation -1G)
২- দ্বিতীয় প্রজন্ম(second generation -2G)
৩- তৃতীয় প্রজন্ম(third generation -3G)
4- চতুর্থ প্রজন্ম(4th generation -4G)
5- ৫ম প্রজন্ম (5th generation -5G)
চলুন তাহলে এই চার প্রজন্মের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
1⃣প্রথম প্রজন্ম(first generation -1G)( সময়কাল 1979 থেকে 1990)-
হাজার 979 সালের পূর্ব পর্যন্ত কারিগরি সীমাবদ্ধতা ও নিরাপত্তার অজুহাতে মোবাইল ফোন সাধারণ জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত ছিলনা 979 সালে এশিয়ার সর্ববৃহৎ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি জাপানের NTTC(Nippon Telegraph and telephone Corporation) বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মোবাইল ফোন বা সেলুলার ফোন উৎপাদন শুরু করে। হাজার 983 সালের যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম মটোরোলা নামে hand-held মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু হয়।
প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোন গুলির বৈশিষ্ট্য-
১- রেডিও সিগন্যাল হিসেবে অ্যানালগ সিস্টেম এর ব্যবহার।
২- কম ব্যান্ডের সিগন্যাল ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার।
৩- চ্যানেল এক্সেস FDMA(Frequency division multiple access) পদ্ধতির।
৪-Handoff সুবিধা না থাকা,অর্থাৎ সংযোগ থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারীর অবস্থান পরিবর্তন হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
৫- সেমিকন্ডাক্টর ও মাইক্রোপ্রসেসর প্রযুক্তির ব্যবহার।
৬- আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা না থাকা।
৭- সমসাময়িক অন্যান্য ফোন অপেক্ষা আকারে ছোট ও ওজনে হালকা কিন্তু বর্তমান মোবাইল হ্যান্ডসেট অপেক্ষা আকারে অনেক বড় ও ওজনে ভারী।
৮- সিম কার্ড ব্যবহারের সুবিধা না থাকা।
এগুলো হলো প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্য।
2⃣ দ্বিতীয় প্রজন্ম(second generation -2G)( সময়কাল 1991 থেকে 2000)-
এনালগ ট্রান্সমিশন এর পরিবর্তে ডিজিটাল ট্রান্সমিশন এর মাধ্যমে দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন চালু হয়। এসময় মোবাইল টেকনোলজির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো GSM(Global system for mobile communication) এবং CDMA(code division multiple access). 1991 সালে জিএসএম এর সুবিধা নিয়ে সর্বপ্রথম দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের সূচনা। মোবাইল হ্যান্ডসেট এর আকৃতি ও ওজন উল্লেখযোগ্য হারে কমতে থাকে হাজার 998 সালে ফিনল্যান্ড এবং 1999 সালে ফিলিপাইনে সর্বপ্রথম মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন কাজ শুরু হয়। হাজার 999 সালে জাপানের এনটিটি ডোকোমো কোম্পানি সেলুলার ফোনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট সার্ভিস চালু করে। 2000 সালে সর্বপ্রথম ফিনল্যান্ডের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে দৈনিক নিউজ হেডলাইন ও বিজ্ঞাপন প্রচার করে।
দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্য-
১- নেটওয়ার্কের রেডিও সিগন্যাল হিসেবে ডিজিটাল সিস্টেমের ব্যবহার।
২- নেটওয়ার্ক জিএসএম এবং সিডিএমএ স্ট্যান্ডার্ড।
৩- প্রথম প্রজন্মের তুলনায় উচ্চ ব্যান্ডের সিগন্যাল ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার।
৪- চ্যানেল অ্যাক্সেস FDMA,TDMA,CDMA পদ্ধতির।
৫- সীমিত আকারে আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা থাকা।
৬- জিএসএম স্ট্যান্ডার্ডে হ্যান্ডসেটে যেকোন মোবাইল অপারেটরের কোম্পানির নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুবিধা বা সিম কার্ড ব্যবহারের সুবিধা। তবে সিডিএমএ স্ট্যান্ডার্ড এসব সুবিধা ছিল না।
৭- হ্যান্ড অফ সুবিধা চালু। অর্থাৎ সংযোগ থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারীর অবস্থান পরিবর্তন হলেও সংযোগও অবিচ্ছিন্ন থাকা।
৮- এই প্রজন্ম থেকেই প্রিপেড সিম চালু হয়।
৯- এসএমএস এমএমএস এবং ভয়েস মেইল ব্যবহারের সুবিধা।
১০- মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন।
১১- সমসাময়িক অন্যান্য সকল ধরনের ফোন অপেক্ষা আকারে ছোট ও ওজনে হালকা।
উপরোক্ত এই সকল বৈশিষ্ট্য দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনে বিদ্যমান ছিল।
3⃣ তৃতীয় প্রজন্ম(3rd Generation-3G)( সময়কাল 2001 থেকে 2008)-
2001 সালে জাপানের এনটিটি ডোকোমো কম্পানি পরীক্ষামূলকভাবে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন চালু করে। দ্বিতীয় প্রজন্ম থেকে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের প্রধান প্রযুক্তিগত পার্থক্য হলো সার্কিট সুইচিং ট্রান্সমিশন এর পরিবর্তে প্যাকেট সুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবহার করা।
2001 সালের শেষের দিকে w-cdma প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভিত্তিতে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের উৎপাদন শুরু হয়। থ্রিজি বা তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে,GSM,EDGE,UMTS এবং CDMA 2000 প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত। থ্রিজি প্রযুক্তি ব্যবহার করে DECT,WIMAX,Voice call,Video call ইত্যাদি সার্ভিস প্রদান করা সম্ভব।
তৃতীয় প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মোবাইলে স্টান্ডার্ড হল-
UMTS(Universal Mobile telecommunication system)
WCDMA (wideband code division multiple access)
EDGE(enhanced data rates for GSM evolution)
HSDPA(high speed downlink packet access)
তৃতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক এর বৈশিষ্ট্য-
১- ডেটা ট্রান্সমিশন এক্ষেত্রে প্যাকেট সুইচিং ও সার্কিট সুইচিং পদ্ধতির ব্যবহার।
২- পূর্বের তুলনায় উচ্চ ব্যান্ডের সিগন্যাল ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার। লেটার ট্রান্সফার রেট টু এমবিপিএস এর বেশি।
৩- চ্যানেল এক্সেস TD-SCDNA,TD-CDMA পদ্ধতির।
৪- জিপিআরএস( জেনারেল প্যাকেট রেডিও সিস্টেম) স্ট্যান্ডার্ডের ব্যাপক উন্নয়ন।
৫- নেটওয়ার্কে GSM,EDGE,UMTS এবং CDMA 2000 স্ট্যান্ডার্ড এর ব্যবহার।
৬- ভিডিও কলের ব্যবহার শুরু হওয়া।
৭- ব্যাপক আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা পাওয়া।
৮- মোবাইল ব্যাংকিংয়,ই- কমার্স,ইমেইল এবং অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সার্ভিস প্রদান।
উপরোক্ত এগুলো হচ্ছে তৃতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক এর বৈশিষ্ট্য।
4⃣ চতুর্থ প্রজন্ম(4th generation -4G)( সময়কাল 2009 থেকে বর্তমান পর্যন্ত)-
চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোনের প্রধান প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য হলো সার্কিট সুইচিং বা প্যাকেট সুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশন এর পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রটোকল ভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার। ফলে LAN,WAN,VOIP,Internet প্রভৃতি সিস্টেম এ প্যাকেট সুইচিং এর পরিবর্তে প্রটোকল ভিত্তিক ভয়েস যেটা ট্রানস্ফার সম্ভব হচ্ছে। দ্রুত চলনশীল ডিভাইসের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ডাটা ট্রান্সফার রেট 100 এমবিপিএস এবং স্থীর ডিভাইসের ক্ষেত্রে 1gbps আশা করা হচ্ছে। মোবাইল ওয়েব অ্যাক্সেস,আইপি টেলিফোনি,গেমিং সার্ভিসেস, high-definition মোবাইল টিভি, ভিডিও কনফারেন্সিং, থ্রিডি টেলিভিশন ইত্যাদির ক্ষেত্রে ফোরজি মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
ফোর-জি প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য সমূহ নিম্নরূপ-
১- উচ্চগতির ওয়ারলেস ব্রডব্যান্ড সার্ভিস, প্রকৃত ডাটা ট্রান্সফার রেট সর্বোচ্চ 20 এমবিপিএস।
৩- ত্রিমাত্রিক ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা।
৪- আইপি নির্ভর ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক সিস্টেম।
৫-Bluetooth,WLAN, GPS(Global positioning system), WCDMA, GRRS প্রভৃতি ওয়ারলেস সিস্টেম সাপোর্টের জন্য নেটওয়ার্কে SDR (software defined radio) প্রযুক্তির ব্যবহার।
উপরোক্ত সকল হচ্ছে ফোরজি নেটওয়ার্ক এর বৈশিষ্ট্য।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
5G প্রযুক্তিতে আমরা নিত্য় নতুন রুপে পা রাখছে। এই ডিজিটাল যুগের মূল জিনিস হল গতি (স্পিড)। ডিজিটাল যুগে আমরা প্রায় নিত্য় নতুন পরিবর্তন দেখতে পারছি। আমরা 2020 সালে এসে পৌঁছেছি এবং এটি 5G Technology যুগ!
5G Technology নিয়ে গত 2 বছর ধরে আলোচনা চলছে এবং এখন এটি চিন, আমেরিকা, জাপান এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশে 5G ব্যবহার করা শুরু হয়ে গিয়েছে। 5জি’র কথা বলতেই আমাদের মনে পরে অটোমেটিক গাড়ি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR)।
5G আসলে কী? (WHAT IS 5G TECHNOLGY)
৫জি তে G মানে ‘জেনারেশন’। 5জি মোবাইল নেটওয়ার্কের পঞ্চম প্রজন্ম। 1G, 2G থেকে শুরু হওয়া এই ডিজিটাল নেটওয়ার্ক সূচনা আধুনিক হয়ে 3G পেরিয়ে 4G হয়ে যায়। এখন আমরা রয়েছি 4G জমানায়। এর আগামী আধুনিকীকরন হবে 5G। যদিও অনেক দেশেই শুরু হয়ে গেছে 5G নেটওয়ার্ক। ভারতও এই দৌড়ে সামিল হতে চলেছে। টেলিকম শিল্পের সঙ্গে একজোট হচ্ছে ইন্টারনেট বা ডিজিটাল পরিষেবা। ৫টি নেটওয়ার্কের রূপরেখা তৈরির জন্য ‘৫জি ইন্ডিয়া ফোরাম’ গড়েছে সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (COAI)।
5G পরিসেবার স্পিডে যে কোনও HD সিনেমা মাত্র 3 সেকেন্ডে ডাউনলোড করা যাবে। একই সময় একসাথে বহু ডিভাইসকে যুক্ত করা যাবে এই প্রযুক্তির মাধ্য়মে। চালকবিহীন গাড়ি চলাচল কিংবা বাড়ির বাইরে থেকে ভিতরের বৈদ্যুতিন পণ্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ৫জি-তে। বিশষজ্ঞরা বলছেন, ৫জি পরিষেবায় দূরে থেকেই চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারবেন ডাক্তাররা।
5G নেটওয়ার্ক কী? (WHAT IS 5G NETWORK)
5G নেটওয়ার্কের স্পিড, 4G নেটওয়ার্কের স্পিডের থেকে 100 গুণ বেশি হয়। পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস প্রযুক্তি আল্ট্রা লো ল্যাটেন্সি (আপনার ফোন এবং টাওয়ারের মধ্যে সিগন্য়ালের স্পিড) এবং মাল্টি-জিবিপিএস ডেটার গতি সরবরাহ করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা বলেন, 5জি ইন্টারনেটের স্পিড হবে দুরন্ত। এই ওয়ারলেস নেটওয়ার্কের মাধ্য়মে একসাথে বহু ডিভাইসকে যোগ করা যাবে। অনেক দ্রুত গতিতে বড় বড় ফাইল ও ভিডিও ট্রান্সফার করা যাবে খুব সহজেই।
5G টেকনোলজি পাঁচটি প্রযুক্তি থেকে গঠিত হয়: (HOW DOSE 5G WORKS)
1. মিলিমিটার ওয়েভ
2. স্পিড সেল
3. ম্যাক্সিমাম মিমো
4. বিমফর্মিং
5. ফুল ডুপ্লেক্স
মিলিমিটার ওয়েভ 5G
মিলিমিটার ওয়েভ 5জি প্রচুর ডেটা অর্জন করে, যা প্রতি সেকেন্ডে 1GB গতিতে ডেটা স্থানান্তর করা সম্ভব করে। এই প্রযুক্তি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভেরিজন এবং AT&T-র মতো টেলিকম অপারেটররা ব্যবহার করছেন। মোবাইল কল করার সময় বা ইন্টারনেট ব্য়বহার করার সময় মোবাইল তরঙ্গ মাধ্যম ব্য়বহার করে। যখন একসঙ্গে অনেকে ইন্টারনেট ব্য়বহার করেন, তখন সিগন্য়াল ড্রপ হয়ে যায়ে। তাই বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা করছেন এই তরঙ্গের দৈর্ঘ্য আরও বাড়ানোর। ৫জি-তে পরীক্ষামূলকভাবে মিলিমিটার তরঙ্গ বা ৩০-৩০০ গিগাহার্টজ কম্পাঙ্কের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ব্যবহার করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্পিড সেল
5জি প্রযুক্তির দ্বিতীয় বেস হ’ল স্পিড সেল। মিলিমিটার-ওয়েভের সমস্যা যেখান থেকে শুরু হয়ে, সেখান থেকেই শুরু হয়ে স্পিড সেলের কাজ। হাই ওয়েভের মিলিমিটার তরঙ্গ কোনও বাধা অতিক্রম করতে পারে না। যেহেতু mm তরঙ্গ বাধাগুলিতে কাজ করতে পারে না, তাই মূল সেল টাওয়ার থেকে সিগন্য়াল রিলে করার জন্য় পুরো অঞ্চল জুড়ে প্রচুর পরিমাণে মিনি সেল টাওয়ার স্থাপন করা হয়। এই টাওয়ারগুলির মধ্য়ে দূরত্বটা এতটাই কম হয়ে যে একটি টাওয়ারে সিগন্য়ালের সমস্য়া হলে অন্য় টাওয়ারের মাধ্য়ে সিগন্য়াল চলে আসবে।
ম্যাক্সিমাম মিমো
5G প্রযুক্তির পরবর্তী ভিত্তি হ’ল সর্বাধিক MIMO, অর্থাৎ মাল্টিপল ইনপুট এবং মাল্টিপল আউটপুট প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির ব্যবহার করে ট্র্যাফিক পরিচালনা করতে বড় সেল টাওয়ার ব্যবহার করা হয়। 4G নেটওয়ার্ক সরবরাহকারী একটি নিয়মিত সেল টাওয়ারে 12টি অ্যান্টেনা আসে যা সেই অঞ্চলে সেলুলার ট্র্যাফিক পরিচালনা করে।
MIMO 100 অ্যান্টেনাকে একসাথে সমর্থন করতে পারে যা বেশি ট্র্যাফিক থাকাকালীন টাওয়ারের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এই প্রযুক্তিটির সাহায্যে এটি সহজে ৫জি সংকেত সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
বিমফর্মিং
বিমফর্মিং এমন একটি প্রযুক্তি যা নিয়মিতভাবে একাধিক সোর্স কে নজরদারি করতে পারে এবং যখন একটি সিগন্য়াল ব্লক থাকে তখন অন্য শক্তিশালী এবং উচ্চতর স্পিডের টাওয়ারে স্যুইচ করতে পারে। এটি নিশ্চিত করে যে নির্দিষ্ট ডেটা কেবল একটি নির্দিষ্ট দিকে যাক। যার কারণেই একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রাহকের কাছে উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে যাবে।
ফুল ডুপ্লেক্স
ফুল ডুপ্লেক্স এমন একটি প্রযুক্তি যা একই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে একই সাথে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে সাহায্য করে। এই প্রযুক্তি ল্যান্ডলাইন টেলিফোন এবং শর্ট-ওয়েভ রেডিওতে ব্যবহৃত হয়। এটি দ্বিমুখী রাস্তার মতো, যা উভয় দিক থেকে একই ট্র্যাফিক প্রেরণ করে।
[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]
সবার আগে সাজেশন আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
১ম থেকে ৪৩তম বিসিএস প্রশ্ন ও সমাধান লিংক
Professor Primary Assistant Teacher book লিংক
ইংরেজি
বাংলা
বাংলা ব্যাকরণ
গণিত
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সুপার সাজেশন ও উত্তর, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক সাজেশন,প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সাজেশন,কম সময়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার সাজেশন,ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান
- শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার সাজেশন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (EEDMOE) উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)’ ও ‘ড্রাফটসম্যান’ নিয়োগ পরীক্ষার সাজেশন